আল হিকমাহ মিডিয়া পরিবেশিত || আল্লাহর ভূমিতে আল্লাহর বিধান – আমির জাকির মূসা হাফিজাহুল্লাহ
…. এই বিষয়টি কি এখনও পরিষ্কার নয় যে, যখন পাকিস্তান সরকারের উপর আঘাত লাগল, তখন সে একদিনের মধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তত হয়ে গেল!
আজ যদি আমাদের অবস্থা দেখি, যখন কাশ্মীরে প্রতিমুহূর্তে আমাদের মায়েরা আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন, আমাদের প্রিয় ও সম্মানিত বোনেরা আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে, যখন আমাদের ভাইদের শরীর আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে, তখন এই দেশ(পাকিস্তান) ভারতের সাথে বন্ধুত্বতার সম্পর্ক করতে ব্যস্ত। যখন আমাদের কলিজার টুকরা আসিয়া ও নিলুফারদের রক্তে ভিজে গিয়েছিল এই জমিন! তখনও পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনা!
যখন শোপিয়ান এবং কুলগামে মুজাহিদদের ছিন্নবিচ্ছিন্ন ও আগুনে ঝলশে যাওয়া লাশ তাদের আপনজনদের কাছে এসেছিল সেসময় কে পাকিস্তানকে বাধা দিয়েছিল ভারতে প্রবেশ করতে?!
এরপর ২০০৮, ২০১০ ও ২০১৬ তে আমাদের শিশুরা যখন পাথর নিয়ে আন্দোলন করছিল, তখন তাদের শরীরগুলো হিন্দুদের গুলিতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়েছিল।
মনে রাখবেন! আপনাদের জন্য এদের কোন ভালোবাসা নেই। যেমনটা আমার প্রিয় সাথী ও সহযোগী শহিদ কমান্ডার রিহান খান রহ. বলেছেন যে-
এদেশের (পাকিস্তান) সরকারের তো ইমান ও বিশ্বাস নেই, তারা শুধু তাদের ভূখন্ডের চিন্তায় চিন্তিত।
[আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পাকিস্তানী হুকুমত ও হিন্দুস্তানী কাফেরদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন।]
[ভাই মুখতার আবু যুবাইর অনূদিত কাশ্মির, জনগণ, শরিয়াহ শাসন ও কাশ্মিরের জিহাদ নিয়ে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের আমীর জাকির মুসা হাফিজাহুল্লাহর সর্বশেষ বার্তা ]
ডাউনলোড করুন
pdf
https://archive.org/download/AllahrVumiteAllahrVidhan/AllahrVumiteAllahrVidhan.pdf
https://www.dropbox.com/s/uvkhr1r0goo7e0s/AllahrVumiteAllahrVidhan.pdf?dl=0
https://www.mediafire.com/file/u68a87a7gsaa8vy/AllahrVumiteAllahrVidhan.pdf/file
http://www.mediafire.com/file/ylh6qevltp1wwe6/92.AllahrVumiteAllahrVidhan.pdf/file
https://archive.org/download/93.allahrvumiteallahrvidhan/93.AllahrVumiteAllahrVidhan.pdf
https://www.solidfiles.com/v/6dBRAqBxrmDXL
https://mymegacloud.com/download/dXBsb2Fkcy9qYWhpZDI0L0FMLUhJS01BSC1NRURJQS9BbGxhaHJWdW1pdGVBbGxhaHJWaWRoYW4ucGRm/h/76547d0cddf16e42a3146c72376bc514
https://mega.nz/file/aJtxkI4Y#J_3KIjnsraPm-KqdhzRGbfAVKmLKFIcgwxmHUmGRcLw
https://archive.org/download/AllahrVumiteAllahrVidhan/AllahrVumiteAllahrVidhan.pdf
https://www.mediafire.com/file/u68a87a7gsaa8vy/AllahrVumiteAllahrVidhan.pdf/file
http://www.mediafire.com/file/ylh6qevltp1wwe6/92.AllahrVumiteAllahrVidhan.pdf/file
https://archive.org/download/93.allahrvumiteallahrvidhan/93.AllahrVumiteAllahrVidhan.pdf
word
https://archive.org/download/AllahrVumiteAllahrVidhan/AllahrVumiteAllahrVidhan.docx
https://www.dropbox.com/s/5shs5u1va2yirgr/AllahrVumiteAllahrVidhan.docx?dl=0
https://www.mediafire.com/file/b81yngs2ls2ghvu/AllahrVumiteAllahrVidhan.docx/file
http://www.mediafire.com/file/vse9k9cs63qn4ty/92.AllahrVumiteAllahrVidhan.docx/file
https://archive.org/details/93.allahrvumiteallahrvidhan
https://archive.org/download/93.allahrvumiteallahrvidhan/93.AllahrVumiteAllahrVidhan.docx
https://www.solidfiles.com/v/6dBRAqBxrmDXL
https://mymegacloud.com/download/dXBsb2Fkcy9qYWhpZDI0L0FMLUhJS01BSC1NRURJQS85M19BbGxhaHJWdW1pdGVBbGxhaHJWaWRoYW4uZG9jeA==/h/3066422efe5a98651a42631bc9e650a1
https://mega.nz/file/rZ1HQKCC#wUbug1UJrTrY9LUwloCb9-74kFatnBoC2sNrTXLTJ6s
https://archive.org/download/AllahrVumiteAllahrVidhan/AllahrVumiteAllahrVidhan.docx
https://www.mediafire.com/file/b81yngs2ls2ghvu/AllahrVumiteAllahrVidhan.docx/file
http://www.mediafire.com/file/vse9k9cs63qn4ty/92.AllahrVumiteAllahrVidhan.docx/file
https://archive.org/details/93.allahrvumiteallahrvidhan
https://archive.org/download/93.allahrvumiteallahrvidhan/93.AllahrVumiteAllahrVidhan.docx
————–
আল্লাহর ভূমিতে আল্লাহর বিধান
আমির জাকির মূসা হাফিজাহুল্লাহ
(আমীরঃ আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ, কাশ্মীর)
মুখতার আবু যুবাইর অনূদিত
*************************
কাশ্মীর ও ভারতীয় উপমহাদেশে অবস্থানরত তাওহিদের কালামের অনুসারী আমার প্রিয় ভাইগগণ! সম্মানীত বুজুর্গানে দ্বীন, উজ্জীবিত নওজোওয়ানরা এবং জিহাদের ময়দানে অবস্থানরত একনিষ্ঠ মুজাহিদীন! আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
“প্রতি পদে আসছে বাধা,
দ্বায়িত্ব পালনে সামনে এগুতে,
এরপরেও কার্যক্রম জারী আছে জিহাদের পথে”
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে এই দুয়া করি যাতে তিনি আমাদের ঈমানকে সুরক্ষিত রাখেন এবং আমাদেরকে তাঁর দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিতদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন।
আমার সর্বশেষ বার্তা থেকে এই বার্তা প্রদানের মধ্যেকার সময়ে অনেক মুজাহিদীন সাথীই শহীদ হয়ে গেছেন। এই সংক্ষিপ্ত বার্তায় সবার নাম উল্লেখ করাতো সম্ভব হবে না কিন্তু আল্লাহ তায়ালার কাছে সবসময় এই দুয়া করি যে তিনি যেন তাদের শাহদাতকে কবুল করে নেন। আমি এই ব্যাপারে নিশ্চিত যে, সেইসমস্ত মুজাহিদীন সাথী খালিস নিয়তে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ময়দানী জিহাদে এসেছিলেন। তা সে কুলগাম আর শোপিয়ানের মুজাহিদীন হোক অথবা পুলওয়ামার, বারমুলা আর শোপুর এর মুজাহিদীন হোক অথবা শ্রীনগর আর বড়গামের মুজাহিদীনই হোক। প্রত্যেক মুজাহিদীনের শাহাদত বরণে যখন আমাদের চোখ অশ্রুসজল হয়েছে তো সেইসাথে নিশ্চিতভাবে আল্লাহ আজ্জা ওয়া জ্বালও তাঁর রহমতের দরজা খুলে দিয়েছেন।
এইপ্রসঙ্গে বলা জরূরী যে, আমার খুব কাছের অনেক মুজাহিদ সাথীরা শহীদ হয়েছেন যারা আল্লাহ তায়ালার ওয়াদার উপরে ইয়াক্বীন করে এই মুক্তির জিহাদী সফরে সবসময়ে পাশাপাশি ছিলেন। তাদের শাহাদতে হৃদয়ে ক্ষতের তৈরি হলেও সাথে সাথে আল্লাহর রহমতও এসেছে আলহামদুলিল্লাহ। আনসারুল গাজওয়াতুল হিন্দের নায়েবে আমির কমান্ডার রেহান খান, ও তার সাথীদের শাহাদাতে কাশ্মীরের মুসলিম উম্মাহকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর শরীয়তের খাতিরে জীবন বিলিয়ে দেওয়া এইসমস্ত শহীদদের কবুল করে নিন। আমীন ইয়া রাব্বুল আলামীন। এইসব কুরবানী আমাদের গর্ব ও আমাদের মিশনের অংশ। এতে করে কাশ্মির ও হিন্দের আনসারের হিতাকাংক্ষী ও অনুসারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নাই।
আমার সম্মানিত ভাইয়েরা,
এইকথা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করুন যে, আল্লাহর প্রত্যেকটি ওয়াদা সত্য এবং আল্লাহ তায়ালার ওয়াদাগুলোর সত্যতার শর্ত একটাই যে সেগুলোর উপরে ভরসা করতে হবে। মানুষের দুর্বল জ্ঞানে চাহিদা তো এইটাই যে, এই স্বাধীনতার জিহাদ আজ থেকে অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বিশ্বাস করুন প্রতিদিন আল্লাহর নিত্যনতুন মদদ আমাদের জন্য এসে যাচ্ছে এবং নতুন নতুন সাথীরা আমাদের সাথে এসে যোগদান করছে। আনসারুল গাজওয়াতুল হিন্দ মুক্তির জিহাদের এক আজান ধ্বনির মত যা কাশ্মীরের আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে, আর শুধু কাশ্মির নয় হিন্দুস্থান আর পাকিস্তান থেকেও অনেক সাথী আমাদের সাথে এসে যোগ দিয়েছেন। ইনশআল্লাহ আমরা সেই দিনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যেদিন আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করবো আর তখন হিন্দুস্তানের কুচক্রী কাপুরুষরা পালানোর মত জায়গাও পাবে না ইনশাআল্লাহ।
আমার সম্মানিত মুজাহিদীন সাথীগণ!
আমারা এখন সেই সময়ে অবস্থান করছি যখন কাশ্মীরের জিহাদকে নিয়ে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। এই জিহাদকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে এবং মুজাহিদীনদের কারাগারে বন্দী করার পাঁয়তারা চলছে। আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদে ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশ একযোগে এই জিহাদকে শুধু দুর্বল নয়, পুরোপুরি শেষ করে দেওয়ার নকশা করছে। তাই এখনই সাবধান হয়ে যান। আমাদের কাছে এমনও তথ্য আছে যে অনেক তানজীম আছে যাদের উপরে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়ে গেছে। এইটা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। আজকে যদি এই জিহাদকে শেষ করে দেওয়া হয় তবে এর জন্য আমরাও সমানভাবে দায়ী থাকবো এবং রোজ হাশরের দিনে আমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে যে, আমরা কেন এই জিহাদের হেফাজত করিনি।
(তাগুত ইমরান খানের বার্তা মালাউন মোদির প্রতি, যেখানে পাকিস্তান ভারতের সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত”)
“আমি (ইমরান খান) পুনরায় আপনাকে (মোদি) দাওয়াত দিচ্ছি যে, আমরা আলোচনায় বসি। আমি আপনাকে বলেছি, আমি জানি পুলওয়ামায় যেই ট্রাজেডি হয়েছে, তা আপনাকে কষ্ট দিয়েছে। তাই সন্ত্রাসীদের (মুজাহিদ) উপর আপনি যেমনভাবে অপারেশন চান, আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি”।
আমি এই কথা পরিস্কার করে দিবো যে, কাশ্মীরের পরিস্থিতির ফয়সালা শুধু জিহাদ দিয়েই হবে। আর এর ফয়সালা এই ভিত্তিতে হবে যে হিন্দুস্তানের মাটিতে ইসলামের মাথা উচু হয়ে দাঁড়াবে আর কাশ্মিরের সাথে সাথে পুরা উপমহাদেশে শরীয়ত কায়েম হবে। এই ফয়সালা ব্যতীত অন্য কোন ফয়সালা, অন্য ঐকমত, অন্য কোন সামরিক জোট, অন্য ফর্মুলা ইসলামিক কাশ্মির গ্রহণ করবে না। আমরা তো আল্লাহর কাছে এই ওয়াদা করেছি যে, আমাদের স্বাধীনতা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর উপরে প্রতিষ্ঠিত। আমরা পূর্ব ও পশ্চিমের প্রতিপালকের কাছে এই ওয়াদা করেছি যে, কাশ্মীরে শুধু মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কানুন কায়েম হবে। যদি আমরা এই ওয়াদার বরখেলাপ করি তবে স্মরণ রেখো, আমাদের শাস্তিও কঠোর হবে, ঠিক যেমন কওমে সামুদের মত। যারা আল্লাহর রাসূলের ওয়াদার বরখেলাফ করেছিলো। যদি আপনারা এই ভুল ধারণার মধ্যে থাকেন যে মুজাহিদীন ও জিহাদের পলিসি পাকিস্তানের কোন জেনারেলের কথায় উঠাবসা করে, আর শেষ হয়ে যাবে তবে এটা আপনাদের মস্তিকপ্রসূত এবং তা অপরিপক্কতার পরিচয় বহন করে। পাকিস্তানী সেনা এবং সরকার এই মুহূর্তে মুজাহিদীনদের প্রধান শত্রু। তারা নিজেদের প্রতারণার দ্বারা একদিকে মুজাহিদীনদের শহীদ করছে অপরদিকে নিজেদেরকে জিহাদীদের শুভাকাংখী হিসেবে উপস্থাপন করছে। বস্তুত, এই আমেরিকার গোলামেরা তাদের প্রভু আমেরিকার চেয়ে কোন অংশে কম না। শুধু মাঝে মধ্যে প্রয়োজনমত ইসলামী লেবাস ধারণ করে। তারা মুজাহিদীন বিশেষত আযাদ কাশ্মীরের মুজাহিদদের বোকা বানায়। অতএব এখনই সতর্ক হয়ে যান কারণ, মুমিন কখনও একই গর্ত থেকে দ্বিতীয়বার ধ্বংশিত হয় না।
আমার প্রিয় মুজাহিদীন সাথীরা!
শুধুমাত্র আল্লাহর সাহায্যই মুজাহিদীনদেরকে বিজয় এনে দিতে পারে। আমাদের সবসময়ে আল্লাহর কাছে এই দুয়া করা উচিত যে তিনি যেন আমাদের এমন অন্তর দেন যা তাঁর রহমতের প্রত্যাশী এবং রহমত পাওয়ার পরে সেই অনুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করেন।
আপনারা কি দেখতে পাননি যে কিভাবে সারা পৃথিবী আফগানিস্তানের জিহাদকে খতম করার চক্রান্ত করেছিলো? ১৭ বছর মুজাহিদীনের আল্লাহ ছাড়া কোন হেফাজতকারী ছিলো না। পৃথিবীর প্রায় সব দেশ এই চক্রান্তে শামিল ছিলো আর মুজাহিদদের উপরে বোমবর্ষন করে গেছে। আর আজকে দেখুন কিভাবে আল্লাহর সাহায্যে এসে গেছে। আজ আফগানিস্তানে মুজাহিদীনদের ও শরীয়তের বিজয় প্রমাণিত। যদি এইসব সাহায্য স্বীকার না করি তবে আল্লাহর ওয়াদাকে অস্বীকার করা হলো। আফগানিস্তানে মুজাহিদীনদের বিজয় তখনই সম্ভব হয়েছে যখন তারা নিজেদের জিহাদকে ষড়যন্ত্রমুক্ত রেখেছিলেন। কাউকে জিহাদের পিঠে পেছন থেকে ছুরি বসাতে দেননি। এই বিজয়ী মুজাহিদের দল আমাদের জন্য প্রেরণা স্বরুপ।
কাশ্মীরে অবস্থানরত আমার সম্মানিত ভাইয়েরা!
আপনাদের কাছে আহবান যে মুজাহিদীনদের জন্য সবসময়ে দুয়া করুন এবং নিজেদের সাধ্যমত জিহাদ ও মুজাহিদীনদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন। সাধ্য বলতে বোঝাতে চাচ্ছি যে, তরুন জিহাদপ্রেমীরা জিহাদের প্রস্তুতি নিবে এবং মুক্তির এই জিহাদে যোগদান করবে। আর যারা এই জিহাদে অংশ নিতে অপারগ মনে করছেন তারা সম্পদ এবং দুয়ার মাধ্যমে সাহায্য করবেন। এই ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখুন যে, আপনাদের সম্পদে সবার আগে জিহাদের হক রয়েছে। আপনার উপরে দায়িত্ব আছে যে, মুজাহিদীনদের মালের প্রয়োজন পূরণ করা। আপনারা জিজ্ঞাসিত হবেন এই ব্যাপারে যে যখন মুজাহিদীনদের প্রয়োজনে ডাক এসেছিলো তখন আপনি আপনার যাকাত আর সাদাকাহ কোথায় ব্যয় করেছিলেন।
আমার সম্মানিত আলেমগণ!
আপনারা আল্লাহর দ্বীনের সংরক্ষণকারী। আপনাদের উপরে অনেক বড় বড় গুরুদ্বায়িত্ব আছে। এসকল দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম একটি হল যখনই দ্বীন ও মুসলমানদের উপরে আঘাত আসবে, তখন সর্বাত্মকভাবে ইসলাম ও মুজাহিদীনদের স্বার্থ রক্ষা করবেন ইনশা আল্লাহ।
আমার সম্মানিত উলামাগণ,
যেইদিনের ব্যাপারে আল্লাহ ওয়াদা করেছেন যে- জিহবার উপরে তালা লাগনো হবে, সেদিন আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে আপনি নিজের জ্ঞানকে কিভাবে কাজে লাগিয়েছেন? সেদিন যেন এমন না হয় যে আল্লাহর দরবারে কোন মুজাহিদীন আপনাদের বিরুদ্ধে এই সাক্ষ্য দেয় যে, যখন জিহাদ আর মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিলো তখন এই আলেম প্রাণের ভয়ে চুপ হয়ে বসে ছিলেন এবং দ্বায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার বাহানা খুজছিলেন। মনে রাখবেন এই জ্ঞান আপনার উপরে আমানত এবং এই জ্ঞানের হিসাব আপনাদের কাছ থেকে নেওয়া হবে।
এই সময়ে আমি ইসলামপ্রেমী কাশ্মীরীদেরকে বলতে চাই যে,
শরিয়াতের সুবাতাস আমাদের ভূমিতে তখনই আসবে যখন আমরা হিন্দু মুশরিকদের উপর বিজয়ী হবো। আর আল্লাহ বিজয়ের ওয়াদা তাদেরকে করেছেন যারা আমল সঠিক করবে। তাই নিজেদেরকে তাকওয়াবান হিসেবে গড়ে তুলুন এবং খালেস নিয়তে আল্লহকে খুশী করার জন্য নিজেদেরকে সমর্পন করুন। এই ধারণাটি হৃদয়ে প্রবেশ করান যে, হিন্দু মালাউনদের শুধু শত্রু মনে করাই যথেষ্ট নয়, বরং তাদের সাথে সাথে শত্রুতা পোষন করার সাথে সাথে নিজেদেরকে ইসলামী জীবনব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত করাও সমানভাবে জরুরী। এই দুইয়ের মিল যখনই একসাথে মিলিত হবে তখনই আল্লাহর সাহায্য আসবে এবং আমরা বিজয়ের সুঘ্রাণ পাবো ইনশাআল্লাহ। এই বিষয়ে তরুন-তরুনীদের মনযোগী হওয়া বিশেষ প্রয়োজন। এখন থেকে নিজেদেরকে সব ধরনের অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখুন। সলাত কায়েম করুন ও নেক আমল করুন। গুনাহ মানুষের অন্তরে দাগ ফেলে দেয় এবং ফলশ্রুতিতে আখিরাত ক্ষতিগ্রস্ত করে। আপনাদের কাছে আল্লাহর নিয়ামতের অসংখ্য উদাহরণ আছে তাই সেগুলোকে আপনার আত্নোন্নয়নের জন্য কাজে লাগান যাতে আখিরাতে আল্লাহর সামনে লজ্জায় না পড়তে হয়। মনে রাখবেন জিহাদ ছাড়া অন্য যে কোন ধরনের প্রতিবাদের মাধ্যম যেমন মোমবাতি নিয়ে মিছিল বা জনসাধারণের পথ আটকানো (হরতাল) অবরোধ এবং অন্যান্য উপায় এগুলো আমাদের ক্ষতি বেশী করে এবং শত্রুর তাতে কিছুই যায় আসে না। এইসব শুধুমাত্র দুরাশা ব্যতীত আর কিছুই নয়। ইনশা আল্লাহ হিন্দু কুফফারদের পরাজিত করার একমাত্র মাধ্যম হল জিহাদ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ইসলামের পথে চলার তৌফিক দিন।
পাকিস্তানে বসাবাসকারী জিহাদপ্রেমী ভাইগণ!
আপনারা সবসময়ে কাশ্মীরের জিহাদের জন্য জান ও মাল দিয়ে হাজির ছিলেন। তো আজকে এমন কি হয়ে গেল যে, যখন আজকে কাশ্মীরের বস্তি আর অলিগলিতে মুসলমানদের খুন করা হচ্ছে তখন আপনারা লাহোর আর করাচীতে নালা নর্দমা পরিস্কারে ব্যস্ত? গতকালও আপনারা গণতন্ত্রকে হারাম বলতেন তো আজকে কি হলো যে গণতন্ত্র-জাতীয়তাবাদের বুলি আওড়াচ্ছেন? মনে রাখুন যে রোজ হাশরের দিন আপনার হিসাব আপনার কাছ থেকেই নেওয়া হবে এবং সেদিন আপনাদের রাজনৈতিক নেতারা আপনার সুপারিশ করার জন্য থাকবে না। এ কেমন সাহায্য? যখন আপনাদের মন চায় বা অনুমতি পান শুধু তখন আমাদের সাহায্য করতে আসেন আর যখন ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও অনুমতি পান না তখন থেমে যান!
আপনাদের কাছ থেকে হিসাব নেওয়া হবে, আপনারা যারা পূর্বে কাশ্মীরের জিহাদে শামিল ছিলেন তারা ১০ বছর পরে এই জিহাদকে ভুলে গেলেন কেন? জিহাদ আপনাদের ইচ্ছা মত চলে না, বরং আপনাদের চালচলন বা ইচ্ছা জিহাদকেন্দ্রিক হতে হবে।
জিহাদ আপনাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করেনা। বরং আপনাদের খেয়াল-খুশী আপনাদেরকে ক্রীতদাস বানিয়ে রেখেছে। আর আপনাদের খেয়াল-খুশী ও চাহিদা শুধু দুনিয়াবি। এজন্যই জিহাদের আসল ফল পাচ্ছেন না। ২০১৩ সালে যখন আপনারা কাশ্মীরি জিহাদ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিলেন যা আমাদের জিহাদকে ৩০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। আর এজন্য নতুন করে এই জিহাদ শুরু করতে হয়েছে। কিন্ত আল্লাহ তা’য়ালার রহমতে আবার কাশ্মীর জিহাদে আমাদের পথচলা শুরু হয়েছে।
আমার প্রিয় ভাইয়েরা!
এই বিষয়টি কি এখনও পরিষ্কার নয় যে, যখন পাকিস্তান সরকারের উপর আঘাত লাগল, তখন সে একদিনের মধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তত হয়ে গেল!
আজ যদি আমাদের অবস্থা দেখি, যখন কাশ্মীরে প্রতিমুহূর্তে আমাদের মায়েরা আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন, আমাদের প্রিয় ও সম্মানিত বোনেরা আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে, যখন আমাদের ভাইদের শরীর আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে, তখন এই দেশ(পাকিস্তান) ভারতের সাথে বন্ধুত্বতার সম্পর্ক করতে ব্যস্ত। যখন আমাদের কলিজার টুকরা আসিয়া ও নিলুফারদের রক্তে ভিজে গিয়েছিল এই জমিন! তখনও পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনা!
যখন শোপিয়ান এবং কুলগামে মুজাহিদদের ছিন্নবিচ্ছিন্ন ও আগুনে ঝলশে যাওয়া লাশ তাদের আপনজনদের কাছে এসেছিল সেসময় কে পাকিস্তানকে বাধা দিয়েছিল ভারতে প্রবেশ করতে?!
এরপর ২০০৮, ২০১০ ও ২০১৬ তে আমাদের শিশুরা যখন পাথর নিয়ে আন্দোলন করছিল, তখন তাদের শরীরগুলো হিন্দুদের গুলিতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়েছিল।
মনে রাখবেন! আপনাদের জন্য এদের কোন ভালোবাসা নেই। যেমনটা আমার প্রিয় সাথী ও সহযোগী শহিদ কমান্ডার রিহান খান রহ. বলেছেন যে-
এদেশের (পাকিস্তান) সরকারের তো ইমান ও বিশ্বাস নেই, তারা শুধু তাদের ভূখন্ডের চিন্তায় চিন্তিত।
[আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পাকিস্তানী হুকুমত ও হিন্দুস্তানী কাফেরদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন।]
আমার প্রিয় ভাইয়েরা!
আরেকটা বিষয় হলো ‘ভোট’। বহু মানুষ আপনাদের কাছে আসে বিভিন্ন সময় ভোট চাইতে। অথচ এই ভোটের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাই একটা কুফরী। যা সহজেই আপনাকে গোমরাহ করে দিতে পারে, তা হোক মুশরিক ইন্ডিয়ার দ্বারা বা মুখে আল্লাহর নাম উচ্চারণকারী পাকিস্তানের দ্বারা। যদি আপনি কোন ব্যাক্তিকে ভোট দেন, তো এটা আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত আইনের সাথে বিদ্রোহ। এই কথাকে স্মরণ রাখুন, ভোট দেওয়ার বিষয়টি আপনার ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়। আপনার একটি মাত্র ভোট আপনাকে দ্বীন-ইসলাম ও আল্লাহর শরিয়তের চোখে অপরাধী বানিয়ে ফেলবে।
আর আপনাদের কি মনে হয় যে ভোটের মাধ্যমে এই কাফের জালেমরা হিন্দুস্তান এবং কাশ্মীরীদের সমস্যা দুর করে দিবে?! আপনাদের দৈনন্দিন সমস্যা ঠিক করে দিবে?!
কিন্তু এই বিষয়টি স্মরণ রাখুন! এটা আপনার আমলকে বরবাদ করে দিবে।
হে প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
আমি আপনাদেরকে বলছি যে, আপনারা এসব কুফরী থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখুন।
হিন্দুস্তানে বসবাসরত আমার মুসলিম মায়েরা!
আমি আপনাদের সচেতন করতে চাই এবং এটাও বলতে চাই যে, কিভাবে মুসলিমরা বারংবার পথভ্রষ্ট হয়েছে।
সম্মানিত মায়েরা!
আপনাদের পেরেশানী ও চিন্তা আমার জানা আছে এবং আমার কাছে এও সংবাদ আছে হিন্দুস্তানে মুসলিমরা কতটা কষ্ট ও দুঃখের মধ্য আছেন। কিভাবে আপনাদেরকে একা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, কিভাবে আপনাদেরকে শক্তির জোরে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে!
আপনি বিশ্বাস করুন! আপনার প্রতিটি জুলুম হতে মুক্তির একটাই উপায় যে, আপনারা নিজ সন্তানদের জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহ’র জন্য প্রস্তুত করুন। শুধু জিহাদের কারণেই আপনাদের পূর্বপুরুষরা আল্লাহর অনুগ্রহে সম্মানীত হয়েছেন। শুধু জিহাদই আপনাকে ও আপনার সন্তানদের নিরাপত্তা দিতে পারে। সুতরাং কাজ অনেক রয়ে গেছে এবং পরিশ্রম বা মেহনতও অনেক প্রয়োজন। নিজেদের প্রতিটি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার আগে ও নিজেদের বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার আগেই নিজেদের সন্তানদেরকে জিহাদের জন্য প্রেরণ করুন। যাতে তারা আপনাদের দ্বীন ও আপনাদের ঘরবাড়ি রক্ষা করতে পারে।
সর্বশেষ আমি একজন শহিদ মুজাহিদ ভাইয়ের করা দোয়া পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করবো:
যখন আল্লাহ তা’আলা লাওহে মাহফুজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন, বিশ্ব-জাহান তৈরি করলেন এবং কলম দিয়ে লিখলেন “আমার রহম আমার ক্রোধের উপর বিজয়ী লাভ করে, কিয়ামতের দিন আমি তোমাদের সামনে এমন অবস্থায় মিলিত হব, যখন আমার রহম আমার ক্রোধের উপর বিজয়ী হবে”। হে বনি-আদম যদি তোমার পাপ দুনিয়া ও আসমানের প্রতিটি অংশ পরিপূর্ণ হয়ে যায়, যদি তুমি আমার সাথে কোন শরিক গ্রহণ না করে থাকো এবং যদি তুমি ক্ষমা চাও তাহলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিবো।
হে আসমান ও জমিনের মালিক! আমাদের বক্ষকে প্রসারিত করুন, আমদের অন্তরকে উন্মুক্ত করে দিন। আমাদেরকে কুরআন বুঝার ও তার উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
———————————-