আন নাফির বুলেটিন -২৮ || দারিয়া: ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ.এর দাওয়াত থেকে ‘ফরমূলা-ই’ পর্যন্ত || রবিউস সানি | ১৪৪০ হিজরী
ডাউনলোড করুন
Pdf
https://banglafiles.net/index.php/s/6LqjjgrefYJN39e
https://www.file-upload.com/3cu814thlumb
https://archive.org/details/AnNafirBulletin283
https://www.pdf-archive.com/2019/04/10/annafirbulletin-28/
Word
https://banglafiles.net/index.php/s/otxfSRWfaZRNYy7
https://www.file-upload.com/3xiokhij7lzu
https://archive.org/details/AnNafirBulletin283
image
**Archive.org**
https://archive.org/details/AnNafirBulletin283
====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]
—————–
———————-
সে সকল আদি আরবীয় গোত্রগুলোর ছেলে-মেয়েদেরকে টার্গেট করে সামাজিক অধ:পতনের পদক্ষেপগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূমিতে বসবাস করছেন। ঘটনাবলীর বিস্ময়কর দ্রুততার কারণে কেউ কেউ প্রশ্ন করে: সত্যিই কি যামানা খুব দ্রুত এগোচ্ছে এবং যুলখুলাসার আশপাশে নারীদের নিতম্বগুলো পরস্পর টক্কর খাওয়ার সময় এসে গেছে, যে ব্যাপারে নববী ভবিষ্যদ্বাণী এসেছে?!! যে ব্যাপারে আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে জানিয়েছেন!
আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
যতক্ষণ পর্যন্ত যুলখুলাসার আশপাশে দাওসের নারীদের নিতম্বগুলো পরস্পর টক্কর না খাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না।
যুলখুলাসা হল দাওস গোত্রের একটি মূর্তি, জাহিলী যুগে যেটার তারা ইবাদত করত। এটা তাবালাহ নামক স্থানে অবস্থিত।
সাউদ পরিবারের ‘আবরাহা’ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সাউদী শাসনব্যবস্থা মুসলিম সমাজকে পশ্চিমা সামাজিকতায় রুপান্তর করার জন্য মুসলিম সমাজের মাঝে ধর্মনিরপেক্ষতা ও অবাধ স্বাধীনতার উত্তাল হাওয়া প্রবাহিত করতে কোনরূপ ত্রুটি করছে না। তাদেরকে সেই জাহিলী আচার-অনুষ্ঠানের নিকটবর্তী করছে, যেখানে পুরুষের সাথে নৃত্য করতে করতে নারীদের নিতম্বগুলো পরস্পরে টক্কর খায়। এছাড়াও থাকে অবাধ মেলামেশা, লাম্পট্য, অশ্লীলতা ও পাপাচারের বিস্তার।
নারীদেরকে নির্লজ্জ ও উম্মুক্তভাবে সৌদি মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে নারী-পুরুষের অবাধ গানের অনুষ্ঠান করা, নারী-পুরুষের মাঝে স্বাধীন প্রতিযোগীতা করা, রাশিয়ানদের অনুসরণে নারীদের সার্কাস খেলার আয়োজন করা, কোন ধরণের বিধি-নিষেধ বা লাগাম ব্যতিত নারীদের কার ও মটর সাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া এবং সর্বশেষে দারিয়ায় ‘ফরমুলা ই’ এর কার্যকলাপ করা তারই অংশ।
এর মাধ্যমে সৌদি শাসনব্যবস্থার সর্বনিম্ন মানের অধ:পতনের চিত্র ফুটে উঠে। যারা নীতি-নৈতিকতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধের পদক্ষেপ হিসাবে জাযীরাতুল আরবের অধিবাসীদের মূল্যবোধ নষ্ট করে ফেলা, তাদের রক্ষণশীল ঘরগুলোতে অশ্লীলতা ও পাপাচার ছড়ানো এবং ধর্মত্যাগকে হালাল করে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের দ্বীন ও আকীদা পরিবর্তন করে ফেলার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে।
তাহলে কি সমাজ অচিরেই সেই অবস্থার দিকে যাবে, যার ব্যাপারে মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে জানিয়ে গেছেন?
এই অস্থিরচিত্ত আমির কি দারিয়ার পরে অচিরেই যুলখুসালার নিকটও এসকল জাহিলী উৎসব চালু করবে? অথচ দারিয়া হল ইমাম মুজাদ্দিদ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ. এর দাওয়াতের জন্মভূমি!!
নিশ্চয়ই শরীয়ত নারীদের জন্য গাড়ী, এমনকি বিমান ড্রাইভ করারও বিরোধী নয়, তবে শর্ত হল, বিশৃঙ্খলা হওয়া যাবে না। যদি আজ ইসলামের রাজত্ব ও ক্ষমতা থাকতো, তাহলে অবশ্যই মুমিনা মুজাহিদা নারীগণ ইহুদী জায়নবাদী গোষ্ঠী, দখলদার কুফফার গোষ্ঠী ও মুরতাদদের উপর অত্যাধুনিক জঙ্গী বিমান দিয়ে বোমা বর্ষণ করতো।
কিন্তু মূল সমস্যা হল, মুসলিম সমাজের নারীদেরকে নিম্নতা ও অন্যায়ের দিকে নিয়ে যাওয়া, তাদের লজ্জা ও পবিত্রতা শেষ করে দেওয়া, তাদের জন্য অবাধ মেলামেশা ও অশ্লীলতার কেন্দ্র খোলা এবং পাপাচারী অনুষ্ঠানগুলোকে তাদের জন্য সহজলব্ধ করে দেওয়া।
সমগ্র বিশ্ব দেখেছে, কিভাবে গত শাওয়াল মাসে রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মামের শহরে নারীগণ খোলা মাথায় প্রাচীন জাহিলী যুগের ন্যায় সৌন্দর্য প্রকাশ করে বের হয়েছিল।
আমরা দেখেছি, কিভাবে মিডিয়াকর্মী নারীরা মিডিয়ার পর্দার সামনে অশালীন পাতলা পোষাক পরিধান করে হারামাইনের দেশের বিশ্বরোডে বের হয়েছে এবং দর্শক ও স্রোতাদের সামনে ঘুমের ভান ধরেছে। আমরা আরও দেখেছি কিভাবে তারা রিয়াদে রাশিয়ান সার্কাস খেলায় অংশগ্রহণ করতে এবং অশ্লীল অভিনয় করতে প্রকাশ্যে বের হয়ে এসেছিল এবং প্রতিযোগীদের সঙ্গীনীরা নগ্ন পোষাক পরিধান করে টেলিভিশনের পর্দার সামনে আবির্ভূত হয়েছিল?! আর গায়ক কর্তৃক দুই সৌদিয়ান তরুণীকে জড়িয়ে ধরার ঘটনাও আমাদের থেকে দূরে নয়।
সর্বশেষে মাত্র কিছু দিন পূর্বে দারিয়ায় যে অশ্লীলতা, নিম্নতা, নাচ-গান, জাহেলী নারীদের ন্যায় সৌন্দর্য প্রকাশ ও আল্লাহকে অসন্তুষ্টকারী উশৃঙ্খল কার্যকলাপ সংঘটিত হয়েছে, তাও সকলেই দেখেছে।
আল্লাহর শপথ! এ সকল কিছু ইহুদীবাদী সৌদি শাসনব্যবস্থার রাতের গোপন ষড়যন্ত্র। এমন এক পরিকল্পনার অংশ, যার উদ্দেশ্য হল সকল নীতি-নৈতিকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং হীনতার সাথে তাল মিলানো।
পরিতাপের বিষয় হল, সৌদিয়ান সকল সংবাদ মাধ্যমগুলোও এসকল ঘটনাবলীর সাথে তাল মিলিয়ে চলছে খুব উদ্যমতার সাথে। বিশেষ করে দারিয়ায় নাচ-গানের কর্ম-কান্ডের বিষয়টিতে।
এসব ঘটছে এমন এক সময়ে, যখন ইদলিব, হাজিন, গাজা, আফগানিস্তান ইত্যাদি স্থানে ইসলামপন্থীদের উপর রাশিয়া ও আমেরিকার গোলা বৃষ্টি ও ব্যারেল বোমাগুলো বর্ষিত হচ্ছে। বার্মা ও পূর্ব তুর্কিস্থানে মুসলিমদের নির্যাতনের ক্ষেত্রে মায়ানমার ও চীনের তাগুতদের আগ্রাসন বেড়েই চলেছে। আর সাউদ পরিবারের কারাগারে একের পর এক উলামা, দায়ী ও মাজলুমগণ লাঞ্ছিত হচ্ছে।
এখন আমাদের কী করা উচিত?!!
কবি ‘আলাবীওয়ারদী’র প্রতি আল্লাহ রহম করুন, তিনি কত সুন্দর কথা বলেছেন: (আরবি কবিতার অর্থ)
• কিভাবে দু’চোখ জুড়ে ঘুম আসে এমন ট্র্যাজেডি দেখেও, যা যেকোন ঘুমন্তকেও জাগ্রত করে দেয়?!
• তোমাদের ভাইয়েরা শামে তাদের আরামের বিশ্রামকে বিসর্জন দিচ্ছে, হয়ত প্রচণ্ড রৌদ্রের পিঠে, নয়ত শকুনের পেটে।
• রোমানরা তাদেরকে লাঞ্ছনার যন্ত্রণা আস্বাদন করাচ্ছে, অথচ তোমরা সন্ধিকারীর ন্যায় নম্রতার আচল টানছো?
• কত রক্ত প্রবাহিত করা হয়েছে আর কত নারী লজ্জায় হাত পা দ্বারা তার সৌন্দর্য ঢাকছে।
সৌদি সরকার সর্বপ্রকার মাধ্যম ও উপায় অবলম্বন করে পাশ্চাত্যবাদী লাগামহীনতার সকল পদক্ষেপগুলো হারামাইনের দেশে কার্যকর করেছে। আর মিডিয়াগুলো তাদের তুচ্ছ বেতন চালু রাখার স্বার্থে আমানতের খেয়ানত করার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। অপরদিকে বেতনভোগী আলেম, পাশ্চাত্যবাদী শায়খ-ডক্টর ও অসৎ পাগড়ীধারীদের কণ্ঠগুলো উঠেপড়ে লেগেছে পূর্বের সে সকল ফাতওয়া ও আমলগুলো পরিবর্তন করে ফেলতে, যা লজ্জা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য জারি করা হয়েছিল।
পরাধীন কলমগুলোকে তারা (সৌদি শাসকরা)পশ্চিমা বেহায়াপনা ও অবাধ স্বাধীনতা প্রচার-প্রসারের জন্য ব্যবহার করছে, যা সৌদিয়ান নষ্ট শাসনব্যবস্থা আমেরিকার আদেশে নিজ দেশে বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।
একনিষ্ঠ প্রতিবাদী মুখগুলোতে লাগাম লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং পাশ্চাত্যবাদী লাগামহীনতার বিরোধিতাকারীদেরকে জেলে ঢুকানো হয়েছে ও নির্মম নির্যাতনের শিকার করা হয়েছে। অনুপযুক্তের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাজ থেকে লজ্জা ও পবিত্রতার রশিগুলো কেটে দিতে এবং পিতৃপুরুষ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ইসলামী রীতি-নীতিগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পশ্চিমাকরণের চাকা খুব দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। বিপথগামী শাসক শ্রেণী আপ্রাণ চেষ্টা করছে পশ্চিমা ইহুদীবাদী গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত হতে। এভাবে সৌদ পরিবারের এই নির্বোধের হাতে অনেকগুলো নববী ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
আমরা জানি না যে, বহু হাদিসে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেই ভবিষ্যদ্বাণী- যুলখুলাসার আশাপাশে নারীদের নিতম্বগুলো পরস্পর টক্কর খাবে- এটা কি তার হাতেই বাস্তবায়িত হয় কি না? যদিও তার প্রাথমিক ভূমিকাগুলো বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। একমাত্র আল্লাহর নিকটই অভিযোগ!!
হে আমাদের হারামাইনের দেশের অধিবাসীগণ!
হারামাইনের দেশে বসবাসকারী ও দ্বীনকে মজবুতভাবে ধারণকারী কোন মুসলিমের জন্য যে বিষয়টি আজ অজানা থাকার কোন সুযোগ নেই, তা হল: এখন তাদের দ্বীনকে মজবুতভাবে আঁকড়ে থাকা এবং তার উপর পরিপূর্ণ অটল থাকাই সৌদি নিরাপত্তা এবং বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
আজ সৌদি শাসনব্যবস্থা চাচ্ছে এমন একটি প্রজন্ম, বরং এমন একটি দল গড়ে তুলতে, যারা দ্বীনের লাগাম থেকে মুক্ত হবে। যেন সৌদি শাসকদের জন্য তাদেরকে শাসন করা ও পোষ মানানো সহজ হয়। তাদের সেই ভিশন-২০৩০ এর পরিকল্পনা অনুযায়ী, যার লক্ষ্য হল, সাধারণভাবে সমাজকে এবং বিশেষভাবে পূত-পবিত্রা নারীদেরকে তাদের মূল্যবোধ ও ইসলামী ঐতিহ্য থেকে মুক্ত করা।
একারণে বিশেষ করে হারামাইনের দেশের যুবকদের উপর এবং সাধারণভাবে সকল মুসলিমদের উপর অবশ্য করণীয় হল, এই পাশ্চাত্যবাদী লাগামহীনতার স্রোতকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলার কাজে পরস্পরকে সাহায্য করা ও একে অপরকে শক্তিশালী করা। যে স্রোতের শিকরগুলো আজ ঈমান ও অহী অবতরণের কেন্দ্রভূমির গভীরে পৌঁছে গেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গভীর পর্যালোচনা এবং তার প্রতিকার, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার পদ্ধতি নিয়ে গবেষণার জন্য খাস খাস মজলিস কায়েম করা। এছাড়া প্রতিরোধের নকশা তৈরী, কার্যকর পন্থা আবিস্কার ও প্রতিরোধ-কাজে ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার জন্য জেলের বাইরে অবশিষ্ট যেসকল সত্যনিষ্ঠ উলামায়ে কেরাম রয়েছেন, তাদের সাথে ধারাবাহিক পর্যালোচনা ও গবেষণা অব্যাহত রাখা।
যেন ওই সকল অন্যায়কে প্রতিহত করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো যায়, যা সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বিজলীর গতির ন্যায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেন এই নষ্ট ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী শাসনব্যবস্থার পতন ঘটানো যায় এবং বিভিন্ন পন্থা ও পদ্ধতিতে চেষ্টা চালানো যায়। এছাড়া পূর্বের একনিষ্ঠ জিহাদী অভিজ্ঞতা থেকেও পরিপূর্ণ উপকৃত হওয়া উচিত।
এছাড়া মুজাহিদ নেতৃবৃন্দ ও সেসকল সত্যের প্রতীকদের সাথেও নিয়মিত নিরাপদ যোগাযোগ রাখাও অবশ্য করণীয়, যাদের প্রতিরোধ ও বাধাদানের ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের সেসকল দিকনির্দেশনা ও পথপ্রদর্শনমূলক বিবৃতি থেকেও উপকৃত হওয়া, যা তারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূমিতে অন্যায়ে বাধা দান এবং তার সংশোধনের জন্য বিভিন্ন সময় প্রদান করেছে।
আর প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা, সীমালঙ্ঘন ও কট্টরতার সুপরিচিত প্রতীকদের থেকে পরিপূর্ণরূপে সতর্ক থাকা ও বেঁচে থাকা। যেমন সীমালঙ্ঘনকারী জামিয়া মাদখালিয়াদের অনুসারীদের থেকে। যারা শাসকের বিরুদ্ধে যেকোন প্রতিবাদকে হারাম করে দিয়েছে। যদিও শাসক টেলিভিশনের পর্দায় অর্ধ দিনব্যাপী প্রকাশ্যে অশ্লীলতায় লিপ্ত থাকে। তারা আজ সে সকল সাধারণ প্রজাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মহড়া চালাচ্ছে, যারা সকল হীন কাজে বাধা দিতে চায়, যদিও বছরে মাত্র একবার হোক না কেন।
তাই তাদের থেকে বেঁচে থাকুন। কারণ তারা হল ভেড়ার পোষাক পরিধানকারী সেসকল নেকড়ে বাঘের মত, যারা দ্বীনকে দংশন করছে, তার প্রতীকগুলোর উপর ছোবল মারছে, যেন পরিশেষে শুধু ইবাদতগুলো ব্যতিত দ্বীনের কিছুই অবশিষ্ট না থাকে।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে ও আমাদের হারামাইনের জনগণকে শরীয়ত ও পবিত্রতার নির্মল ছায়ায় নতুন করে সম্মানজনক ইসলামী জীবন যাপন শুরু করার মাধ্যমে সম্মানিত করুন!
পরিশেষে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।
টীকাঃ
“Formula E” একটি গাড়ির প্রতিযোগিতার নাম। ২০১৮ সালের ১৫ই ডিসেম্বর সৌদি আরবে তারা একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলো। সৌদিআরব এই আয়োজনকে তাদের ভিসন-২০৩০ বাস্তবায়নের একটি উল্লেখযোগ্য ধাপ বলে মনে করছে। এই ইভেন্ট উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী কনসার্ট এর আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কুফফারদের অনুসারীরা এসে অশ্লীলতা ও পাপাচারের দিকে আহবান করে গেছে। এছাড়া এই ইভেন্ট উপলক্ষে জাযিরাতুল আরবে কুফফারদের অনুপ্রবেশকে সহজ করার জন্য বিশেষ ধরণের ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।