মুজাহিদের আত্মশুদ্ধি – ০১ || তাযকিয়ার প্রয়োজনীয়তা -উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়া হাফিজাহুল্লাহ
বালাকোট মিডিয়া
পরিবেশিত
মুজাহিদের আত্মশুদ্ধি – ০১
তাযকিয়ার প্রয়োজনীয়তা
-উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়া হাফিজাহুল্লাহ
ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/G8o87yT7gBMW9JZ
word
https://banglafiles.net/index.php/s/548wLEKLfgMmrGi
====================
মুজাহিদের আত্মশুদ্ধি – ০১ |
তাযকিয়ার প্রয়োজনীয়তা
উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়া হাফিজাহুল্লাহ
উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়াঃ ইন্নাল হামদা লিল্লাহ, ওয়াস সালাতু আস সালাম আলা রাসুলিল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদেরকে আরেকটি মজলিশে বসার তাউফিক দিয়েছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন। চলুন আমরা বিসমিল্লাহ বলে শুরু করি।
তাযকিয়া ক্লাশ এর ব্যাপারে আমার কিছু খাস কথা আছে। আজ উপস্থিতি কম তবুও বলি। ভাই, এই ক্লাশটা আমাদের সবার জন্য। আমাদের সবার উপস্থিতি এখানে কাম্য। শুধু উপস্থিতিই না, বরং জোশের সাথে উপস্থিতি দরকার। এই মজলিশের মাকসাদ এই না যে – কিছু ভাই হাজির হবেন, মজলিশ শেষে চলে যাবেন। বরং এই ক্লাশের মাকসাদ হচ্ছে – প্রতিটা ক্লাশ থেকে যেন আমরা নিজেরা প্রত্যেকে কিছু হলেও উপকৃত হতে পারি। এটা অনেকের ধারণা হতে পারে যে – তাযকিয়া ক্লাশ এত গুরুত্বপূর্ণ কিছু না, বরং আমাদের অফিশিয়াল কাজই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা ভুল। আমার কথা নয়, বরং আমি বলব আপনাদের উপরের মাসুলগণ এবং আমিরগণ এই ব্যাপারে অনেক অনেক বেশি সিরিয়াস। এত বেশিই সিরিয়াস যে আপনারা বাস্তবতা দেখলে হয়ত নিজের চোখ কানকে বিশ্বাস করতে পারতেন না। আমি শুধু একটা উদাহরণ দিব ইনশা আল্লাহ। এমনও ভাই আছেন – যিনি প্রতি ৩০ মিনিট কিংবা ১ ঘন্টা কাজের পরে একবার করে কুরআন খুলেন, কারন উনি চিন্তা করেন – কুরআনের হক আদায় হচ্ছে তো! এবং উনার কাজের পরিমাণ আমাদের অন্তত ৫ জনের সম্মিলিত কাজের চেয়েও বেশি।
আমি কী বলতে চাচ্ছি? আমি বলতে চাচ্ছি – আগে আমাদের বুঝতে হবে তাযকিয়া কী? এবং তাযকিয়া কেন দরকার? বা এই ক্লাশের মাকসাদ কী? এবং এই ক্লাশ কেন জরুরী? আপনারা প্রত্যেকে উপরের প্রশ্ন ২ টির উত্তর রেডি করেন ইনশা আল্লাহ। এই ক্লাশটা যেহেতু আমার উপরে একটা জিম্মাদারি তাই আমি আপনাদের উপরে কিছুটা কঠিন হব ইনশা আল্লাহ।
১ম ভাইয়ের উত্তরঃ তাযকিয়া মানে আত্নশুদ্ধি। তাযকিয়ার মাকসাদ আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করা ও তার থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হওয়া (সকল কাজের ক্ষেত্রে)।
২য় ভাইয়ের উত্তরঃ তাযকিয়া হচ্ছে নিজেকে পবিত্র করে আল্লাহর কাছে কবুল করিয়ে নেয়া । আর এটা এ জন্য দরকার যে, নিজেকে পবিত্র করে আল্লাহর কাছে কবুল করিয়ে না নিলে আল্লাহর সাহায্য কোন ভাবেই পাওয়া যাবে না। তাই এটার গুরুত্ব আমাদের অফিশিয়াল কাজের চেয়েও বেশি।
৩য় ভাইয়ের উত্তরঃ ১- মাকসাদ হচ্ছে আমাদের সাথী ভাইদের আত্মিক উন্নতি, কারণ ভাইদের আত্মিক শুদ্ধতায় কমতি থাকলে কাজের উপর প্রভাব পড়বে, ভাইদের কাজ আগাবে না, থমকে যাবে।
২- সাথী ভাইদের কাজকে গতিশীল করতে তাযকিয়াহ মজলিস অত্যান্ত জরুরী, কারণ মুজাহিদ ভাইদের রুহের খোরাক না হলে উনারা কাজ হক আদায় করে করতে পারবেন না!
উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়াঃ জি, আলহামদুলিল্লাহ মূল বিষয় এটাই। তাযকিয়া হচ্ছে নিজের সংশোধন। নিজের আত্মার সংশোধন। এই ব্যাপারে কারো কোন প্রশ্ন থাকার কথা না ইনশা আল্লাহ।
মূল বিষয় হচ্ছে এর ২য় অংশ, এটি কেন দরকার?
এর আগে কিছু কথা বলে নেই ইনশাআল্লাহ। দেখেন ভাইয়েরা আমার, আমি আপনি, আমরা আলহামদুলিল্লাহ যে রাস্তায় এসেছি এই রাস্তা সহজ রাস্তা না। খুব কঠিন রাস্তা এটা – যতক্ষন না আল্লাহ সহজ করে দেন। আর আল্লাহ সহজ করে দেন বলেই আমরা এটা টের পাইনা। কিন্তু আপনাকে আমাকে এর হাকিকত বুঝতে হবে। কোন ব্যাপারকে গভীরভাবে না বুঝলে সে ব্যাপারে সামনে আগানো কঠিন হয়ে যায়। আমি ধাপে ধাপে বলি। প্রথমে আমরা এটা পেলাম যে তাযকিয়া দরকার কারণ এর মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করতে পারব আর এটা দরকার আল্লাহর সাহায্য পাবার জন্য।
আমি কয়েকটি উদাহরণ পেশ করছি আপনাদের সামনে, লক্ষ্য করেন ইনশা আল্লাহ।
মনে করেন – আমাদের ৫ জন ভাই একটি বাসায় আছেন। উনারা কোন একটা বিষয়ে দাওরা করছেন। যখন এই নিউজটি তাগুত বাহিনী পাবে তখন তারা কী পরিমাণ ফোর্স নিয়ে সেই বাসা ঘেরাও দিবে? সবাই বলেন। এক এক করে প্রত্যেকেই বলবেন। কী পরিমাণ জনবল থাকবে? কয়টা গাড়ি থাকবে?
১ম ভাইঃ নিঃসন্দেহে প্রচুর পরিমাণে জনবল থাকবে।
উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়াঃ না এভাবে না, আমি নির্দিষ্ট ভাবে সংখ্যা চাচ্ছি। যার যেমন মনে হয় সেটাই বলেন।
২য় ভাইঃ ৫ টা গাড়ি আর তাগুত বাহিনীর অন্তত ৫০ জন থাকবে।
৩য় ভাইঃ যদি সাধারণ দাওরের কথা তারা জানে তাহলে ৩০-৫০ জন। আর যদি আসকারি ভাইদের হয় তাহলে তো কথাই নাই!
৪র্থ ভাইঃ কমপক্ষে ১০০ জন, ৪-৫ টি গাড়ি করে আসবে।
উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়াঃ মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া গেলো। ধরে নেই কমপক্ষে ৫ টি গাড়ি আসবে, আর জনবল থাকবে কম পক্ষে ২০/২৫ জন। সাথে থাকবে কমপক্ষে ২৫/৩০ টি অস্ত্র, একই সাথে কমপক্ষে আরো ২/৩ টি ইউনিট ব্যাকআপ বা স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এখন আসেন একটা রাফ হিসাব করি আমরা।
৫ টি গাড়ি কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা। ৩০ জন ফোর্স এর পিছনে সরকার এর কমপক্ষে ৫ বছরের ট্রেনিং এর খরচ আছে কমপক্ষে আরো ৫ কোটি টাকা।
৩০ টা অস্ত্রের দাম আছে কমপক্ষে – ১ কোটি টাকা। এদের পিছনে সরকারের বীমা করা আছে কমপক্ষে আরো ১০ কোটি টাকা, কত হল কেউ একজন বলেন?
আমরা ধরে নিচ্ছি কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা।
৫ জন ভাই এর জন্য তাদের নগদ ইনভেস্টমেন্ট ১০ কোটি টাকা!!! আর জনবল এর হিসাব কমপক্ষে ২০ জন।
অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের ঐ ৫ জন ভাই এর মধ্যে এমন কিছু দিয়েছেন যার মোকাবেলায় কুফফারদের এই পরিমাণ শক্তি দরকার হচ্ছে, বিষয়টা আপনারা ক্লিয়ার? তাহলে বুঝে দেখেন সমীকরণটা কি! ৫ জনের মোকাবেলায় আল্লাহ এমন হাল করেছেন যে তাদের লাগে ১০ কোটি টাকার নগদ ইনভেস্টমেন্ট আর ২০ জন মানুষ।
এবার আসেন মূল কথায়, এটাই হল নুসরাহ, এটাই হল কুওয়াহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার পক্ষ থেকে এটাই হচ্ছে গালিবাহ। এটাই হচ্ছে আল ফাতহ, এটাই হচ্ছে নাসর। ঐ ৫ ভাই এর কোন সামর্থ্য নাই, একদম কোন সামর্থ্যই নাই, হয়ত খুব সাধারণ ভাই, উনারা কিছুই জানেন না, কিন্তু উনাদের ভিতরে আল্লাহ কিছু দিয়ে দিয়েছেন। আর এটাই আমাদের দরকার। এটা ছাড়া আমরা জিহাদের ময়দানে অচল। ভাই কথাটা দিলের মধ্যে বসিয়ে নেন।
এই হচ্ছে সেই সমীকরণ যার জন্য আজ আফগান থেকে আমেরিকা পালাচ্ছে! আসলে আমাদের কিছুই নাই, সব কিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে। আমরা মিসকিন। এর বেশি কিছু না।
এটা ছিলো ১ নং উদাহরণ, এবার আসেন ২ নং উদাহরণ দেখি।
তাগুত তার শক্তির অনেক বড় একটা অংশ ব্যয় করে ইন্টেলিজেন্সের পিছনে। সামরিক বাজেটের একটা অনেক বড় অংশ থাকে ইন্টেলিজেন্সের জন্য। তাদের অনেক দামি দামি ইকুইপমেন্ট থাকে, তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করে গবেষণা করে এই ইন্টেলিজেন্স এর পিছনে।
কেন?
যেন তারা মুজাহিদিনদের গতিবিধি জানতে পারে।
আর মুজাহিদ ভাইরা কী করেন?
মনে করেন তারা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবে। মুজাহিদদের তো আর কোটি টাকার ইকুইপমেন্ট নাই, তাহলে তারা কী করে? কেউ একজন বলেন – মুজাহিদ ভাইরা কী করে?
১ম ভাইঃ তারা সকাল সন্ধ্যার আযকার এবং নিরাপত্তার দুয়া পড়ে ও আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে নিজেদের সাধ্যের মধ্যে খরচ করে।
উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়াঃ খাস ভাবে বললে – ইস্তেখারা করেন, মুজাহিদিনদের ইন্টেলিজেন্স হচ্ছে ইস্তেখারা। সরাসরি আল্লাহর কাছে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট চায়। আল্লাহ, আমি তো যাব ইরাদা করেছি এই ব্যাপারে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট কী ভালো নাকি খারাপ?
কোটি কোটি টাকা বনাম – ২ রাকাত নামাজ। এই হল ২ নং উদাহরণ।
এভাবেই আল্লাহ আমাদের জন্য জিহাদকে সহজ করে দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু পয়েন্ট এটা না। পয়েন্ট হচ্ছে আমি এবং আপনি আমরা যেন সঠিক সময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সঠিক সাহায্যটা পাই এজন্য আমাদের কে সব সময়ে আল্লাহর সাথে কানেক্টেড থাকতে হবে। পুলিশের গাড়ি যখন রেইডে যায় তখন রেডিওতে তারা কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ রাখে। কোন ভেজাল লাগলে সাথে সাথে সাপোর্ট চায়। এখন তাদের রেডিওই যদি ঠিক না থাকে তবে তারা সাপোর্ট পাবে না।
একই ভাবে আমাদের সাথে আল্লাহর যে সম্পর্কের রেডিও সেটাকে সব সময়ে রেডি রাখতে হবে। এটাতে যেন কোন জং না ধরে, কোন জ্যাম না লাগে সেজন্যই দরকার তাযকিয়া। আমাদের অন্তর হচ্ছে সেই রেডিও, আর তাযকিয়া হচ্ছে সেই রেডিওকে ফ্রেশ রাখার উপায়।
সোজা কথায় আমার আপনার তাযকিয়া কেন দরকার? এক শায়েখের উত্তর দিয়ে উত্তরটা দেই –“তুমি সবসময় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো যেন বিপদের মুহূর্তে আল্লাহর সাহায্য পাবার জন্য তোমার এক মুহূর্তও দেরি করতে না হয়!” ভাই আমি কি বিষয়টা বুঝাতে পারলাম?
মজলিশে অনেক জ্ঞানী ভাই উপস্থিত আছেন উনাদের সামনে আমাকে এভাবে ভেঙ্গে কথা বলতে হল। বিশ্বাস করেন আমি কখনই এভাবে বলতে চাইনি।
কিন্তু আমি আজ বলতে বাধ্য হলাম কারণ এই ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট উদাসীনতা রয়েছে। আমার মধ্যেও এটা (উদাসীনতা) আছে। আল্লাহ আমাকে মাফ করুন।
আমি কি বুঝাতে পেরেছি ভাই – তাযকিয়া কেন দরকার?
এবার আরো কিছু কথা বলি। দেখেন তাযকিয়া আসলে শুধু এই জিহাদ এর কাজে সাপোর্ট এর জন্য খাস না। বরং সত্য যদি বলি – মনে করেন – আল্লাহর সাথে আমাদের প্রত্যেকের একটি সম্পর্কের সিড়ি আছে। আল্লাহর সাথে আমার সেই সম্পর্কের সিড়ি দিয়ে উপড়ে যাবার মাধ্যম হচ্ছে তাযকিয়া।
কিভাবে?
সবাই সবকিছু পারেনা। সবাই এক সমান সিড়ি ভাংতে পারে না। কেউ একবারেই ১২ তলা উঠে যেতে পারে, কেউ ৫ তলা পারে, কেউ আবার ২ তলাও পারেনা। তাযকিয়া হচ্ছে সেই মাধ্যম যার মাধ্যমে আমরা ধীরে ধীরে আল্লাহর আরো নিকটবর্তী হতে পারব ইনশা আল্লাহ। তাযকিয়ার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর বান্দা থেকে আল্লাহর ‘আউলিয়া’ তে পরিণত হয়! আর বান্দা যখন আল্লাহর সাথে আউলিয়ার সম্পর্ক করে ফেলে তখন বান্দার বিপদে আল্লাহ তাঁর সাহায্য পাঠাতে কোন দেরি করেন না। তাঁর সেনাবাহিনী পাঠাতে কোন দেরি করেন না। এমনকি আল্লাহ তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন যে আল্লাহর আউলিয়ার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে!
এমন বিশাল শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে আল্লাহর সেই সাহায্য ছাড়া আমরা অচল, আমরা ধ্বংস হয়ে যাব। স্রেফ বিলীন হয়ে যাব যদি না আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করেন।
আমাদেরকে কাজ করতে হয় খুব অল্প কিছু সরঞ্জাম নিয়ে। তারপরও এই আমরাই আশা রাখি যে, একদিন হিন্দের বুকে দ্বীনের পতাকা উড়াবো ইনশা আল্লাহ। আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য এটাই হচ্ছে নুসরাহ! এটাই হচ্ছে ইজ্জাহ! আর এটা যেন সব সময়ের জন্য জারি থাকে এজন্য দরকার আল্লাহর সাথে রেডিওটা ঠিক রাখা। আর রেডিওটা ঠিক রাখার তরিকার নামটা যেন কী ভাই?
-“তাযকিয়াহ”
আমি চাই আপনারা বিষয়টাকে দিলের মধ্যে গেঁথে নেন। আমাদের তাযকিয়া দরকার – কারণ এটা ছাড়া আমি আমার রবের সাথে সম্পর্ক করব কিভাবে?
এটা ছাড়া আমি শুদ্ধ হব কিভাবে? আর একথাতো আমরা সবাই জানি যে, আল্লাহ শুদ্ধ এবং পবিত্র ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করেন না।
“ইন্নাল্লাহা তায়িব ওয়া ইন্নাহু লা ইউকবাল ইল্লা তায়িব”।
আল্লাহ পবিত্র আর তিনি পবিত্র ছাড়া অন্য কোন কিছুই গ্রহণ করেন না।
তাই আমরা যদি আল্লাহর নিরাপত্তা, সাহায্য, ভালোবাসা পেতে চাই তাহলে তাযকিয়ার কোন বিকল্প নাই।
এমন কে আছেন যিনি আল্লাহকে ‘আউলিয়া’ হিসেবে পেতে চান না?
কেউ আছেন?
কেউ নাই। আর আল্লাহর সাথে সম্পর্কের রাস্তা হচ্ছে নিজেকে শুদ্ধ করতে থাকা।
এখন এক ভাই এর গল্প বলি – উনার কাছে একটা আসলিহা ছিলো। রাস্তায় ব্যাগ চেক হচ্ছে। তাগুত বাহিনীর লোক ভাই এর ব্যাগ থেকে আসলিহা বের করে নেড়ে চেড়ে আবার রেখে দিলো! এটা কিভাবে সম্ভব! আমি আপনি দেখছি এটা আসলিহা, কিন্তু আল্লাহ হয়ত তাগুত বাহিনীর লোককে দেখিয়েছেন – তিব্বত সাবান! এটা ছাড়া আর কিই বা হতে পারে ভাই!
এটিই হচ্ছে আল্লাহর সাথে সেই সম্পর্কের সামান্য নমুনা মাত্র।তাই এটা খুব কষ্টের যখন দেখি এই মজলিশের ব্যাপারে আপনাদের থেকে সাড়া পাইনা, ওয়াল্লাহি ভাই – আমি খুব কষ্ট পাই। এটা এজন্য না যে আমি অনেক বড় উস্তাদ হয়ে গেছি। নাউজুবিল্লাহ। বরং এটা এজন্য যে – আল্লাহর কাছে এটা পছন্দের নয় যে – কেউ একজন খুব উস্তাদ হয়ে যাবে আর অন্যরা বসে থাকবে। আল্লাহ চান – সবাই এক সাথে তার দ্বীনের জন্য সামনে আগাবে সীসাঢালা প্রাচীরের মত।
তাহলে বলেন এখন থেকে আমরা সবাই কি এই ক্লাশের জন্য সীসাঢালা প্রাচীরের মত হাজির থাকতে এবং সামনের দিকে আগাতে রাজি আছি?
-জি ইনশাআল্লাহ।
আমার মনটা অনেক ভালো হয়ে গেলো আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ আপনি আমাদের বাড়াবাড়িগুলো মাফ করে দেন। আমাদের কদম কে মজবুত করে দেন। আমাদের অবহেলা ও অলসতাগুলো মাফ করুন। আমিন।
রব্বানা ফাগফির লানা জুনুবানা ওয়া ইসরফানা ফি আমরিনা – ওয়া সাব্বিত আকদামানা ওয়ান সুরনা আলাল কওমিল কাফিরিন।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে সাহায্য করুন, বিজয় দান করুন, আর এগুলো পাওয়ার উপযুক্ত করে নিন।
আলহামদুলিল্লাহ – আজ এ পর্যন্তই।
আল্লাহ আমার কথার ভ্রান্তি থেকে আমাকে এবং আমাদের সবাইকে হেফাযত করুন।
আর যা কিছু কল্যান তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই। সমস্ত সম্মান শুধুই আল্লাহর জন্য। সমস্ত প্রসংশাও শুধুই আল্লাহর জন্য।
সালাম এবং দরুদ মুহাম্মদ সাঃ এবং তার পরিবার বর্গের উপরে।
——————————–