গুরাবা মিডিয়া পরিবেশিত || শায়েখ সামে আল উরাইদী (আবু মাহমুদ) হাফিজাহুল্লাহ এর সাক্ষাৎকারের বাংলায় অনুবাদ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
গুরাবা মিডিয়া পরিবেশিত
শায়েখ সামে আল উরাইদী (আবু মাহমুদ) হাফিজাহুল্লাহ এর সাক্ষাৎকারের বাংলায় অনুবাদ
মিডিয়াম কোয়ালিটি
66.6 MB
https://archive.org/download/ilmandjihadVDO/SamiAl-uraidiInterview.mp4
লো কোয়ালিটি
21.5 MB
https://archive.org/download/ilmandjihadVDO/SamiAl-uraidiInterview.3gp
بسم الله الرحمن الرحيم.
জাবহাতুন নুসরাহ
পরিবেশিত
শাইখ সামী আল উরাইদী(আবু মাহমুদ) হাফিজাহুল্লাহ
এর সাক্ষাৎকার
আজ আমরা যার সাক্ষাৎকার নিতে যাচ্ছি, তিনি হচ্ছেন শাইখ ডঃ সামী আল উরাইদী (আবু মাহমুদ) হাফিজাহুল্লাহ।
-শাইখ, জাবহাতুন নুসরাহ সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন।
-সম্মানিত ভাই, জাবহাতুন নুসরাহ-তারা এই উম্মাহরই সন্তান। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর অনুসারী। তারা একত্র ও সংঘবদ্ধ হয়েছে, তাদের দ্বীন ও উম্মাহকে সাহায্য করার জন্য।
তারা আকিদা ও মানহাজ ও দৃষ্টি ভঙ্গির দিক থেকে সালফে সালেহীনের অনুসারী,আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর উত্তরসূরী।ইমান ও কুফরের ক্ষেত্রে তারা খাওয়ারেজদের মতো নয়,মুরজিয়াদের মতোও নয়। আল্লাহ তা’আলার আসমা ওয়াস সিফাত এর ক্ষেত্রে তারা মুআত্তিলাও নয়, মুশাব্বিহাও নয়। তাকদীর ও ভাগ্যের ক্ষেত্রে তারা কাদরিয়াও নয়, জাবরিয়াও নয়। সাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারে তাদের অবস্থান হল তারা এক্ষেত্রে খাওয়ারিজদের মতোও নয়, মাওফেসদের মতোও নয়। এভাবেই দ্বীনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর মত ও পথের অনুসারী।
-শাইখ, আপনারা কেন অস্ত্রধারণ করেছেন?
-সম্মানিত ভাই, আমরা অস্ত্রধারণ করেছি, আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আহবানে সাড়া দেয়ার জন্য।
আল্লাহ তা’আলার এই হুকুম পালনার্থে-
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
“আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না ?”
আল্লাহ তা’আলার এই হুকুম পালনার্থে-
وَ قَاتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّ یَکُوۡنَ الدِّیۡنُ کُلُّہٗ لِلّٰہِ ۚ
“ আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাক ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না ফিতনা শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। ”
এবং আল্লাহ তা’আলার এই হুকুম পালনার্থে-
وَ اِنِ اسۡتَنۡصَرُوۡکُمۡ فِی الدِّیۡنِ فَعَلَیۡکُمُ النَّصۡرُ
“অবশ্য যদি তারা ধর্মীয় ব্যাপারে তোমাদের সহায়তা কামনা করে, তবে তাদের সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য। ”
আমরা অস্ত্রধারণ করেছি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আহবানে সাড়া দেয়ার জন্য। তিনি বলেছেন,
الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لَايَظْلِمُهُ وَ لَايُسْلِمُهُ وَ لَايَخْذُلُهُ
“এক মুসলিম তো অপর মুসলিমের ভাই। সে তার উপর জুলুমও করতে পারে না।সে তাকে সোপর্দ করতে পারে না কাফেরদের কাছে। সে তাকে লাঞ্ছিত ও করতে পারে না।”
আমরা অস্ত্রধারণ করেছি আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করার জন্য, আমরা অস্ত্রধারণ করেছি আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য, আমরা অস্ত্রধারণ করেছি আমাদের দ্বীন, ইজ্জত ও ভূখন্ডের উপর আগ্রাসী শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য, ইমান আনার পর যার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফরজ নেই; যেমনটি বলেছেন শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ।
-শাইখ, আপনারা কি সিরিয়ান জনগণকে কাফের বলেন?
-হে সম্মানিত ভাই, আল্লাহ তা’আলা জাবহাতুন নুসরাহর প্রতি অনেক অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহ তা’আলা এই দেশ, জনগণের হৃদয়ে তাদের জন্য গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণ করে রেখেছেন। এমনকি দলে দলে সিরিয়ান যুবক এই জাবহাতুন নুসরাহর ঝান্ডাতলে অংশগ্রহণ করছে। এই অনুভূতি নিয়েছে, “আমরা তো সবাই জাবহাতুন নুসরাহ।” আর এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক কুফরি শক্তির সহ্য হচ্ছে না। এ কারণে তারা জাবহাতুন নুসরাহর বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা, মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। আর তাদের এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডার অংশ হলো, আমরা সিরিয়ান জনগণকে কাফের বলি, আমরা খাওয়ারেজ, আমরা তাকফিরি- এগুলো মিথ্যা অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা তাকফিরিদের অন্তর্ভুক্ত নই। আমাদের মত এটা নয় যে, মুসলিম ভূখন্ডগুলোর মূলই হলো কুফর। যারা একেবারেই নিরবতা অবলম্বন করে, আর যারা মুসলিম ভূখন্ডগুলোর জনসাধারণের ব্যাপারে অতিরঞ্জন করে, আমরা তাদের মধ্য থেকে নই। বরং পূর্বে যেমনটি উল্লেখ করেছি, আমরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর অনুসারী। আমাদের মত হচ্ছে, মুসলিম ভূখন্ডগুলোর জনসাধারণের সাধারণ পরিচয় হচ্ছে তারা মুসলমান। তারা মুসলমান। তারা মুসলমান।আমরা সংশয়,সন্দেহ অথবা ধারণাবশত কাউকে কাফের বলি না। তাকফির করি না।যাদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকে, আল্লাহর ইচ্ছায়,আমরা শুধু তাদেরকেই কাফের হিসেবে আখ্যায়িত করি, অন্যদেরকে নয়।
-শাইখ, এই শাসনব্যবস্থার পতনের পর, শামের সাধারণ জনগণের ব্যাপারে আপনাদের কার্য পরিকল্পনা কি হবে?
-সম্মানিত ভাই, শামের জনগণ- তারা তো আমাদেরই জনগণ। তারা আমাদেরই অংশ, আমাদের প্রিয়জন। আমরা তাদের ব্যাপারে তাই বলবো, যা বলেছেন আমাদের আমীর, আমাদের শাইখ, শাইখ আল ফাতেহ আবু মুহাম্মাদ আল জাওলানী (হাফিজাহুল্লাহ)। তিনি বলেছিলেন, “ওহে শামবাসী, আমরা আমাদের জীবন গুলোকে তোমাদের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছি! ওহে শামবাসী, আমরা আমাদের জীবন গুলোকে তোমাদের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছি! ওহে শামবাসী, আমরা আমাদের জীবন গুলোকে তোমাদের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছি!
সম্মানিত ভাই, শামবাসীরা তো আমাদের জন্য তাদের সকল কল্যাণকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আমাদের দিকে তাদের সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করেছে। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছায় এই নিকৃষ্ট শাসনব্যবস্থার পতনের পর আমরা ও তারা একসাথে মিলে আল্লাহর শরীয়াহ ও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাবো, যাতে এ রাষ্ট্রে ইসলামের বিস্তার ঘটে।
-শাইখ, সিরিয়ার মধ্যে যুদ্ধরত অন্যান্য কাফেলাগুলোর ব্যাপারে আপনাদের অবস্থান কি?
-নিশ্চয়ই যারা সিরিয়ার অবস্থা ও ঘটনাপ্রবাহের প্রতি দৃষ্টিপাত করছে, তারা দেখতে পাচ্ছে সিরিয়ায় যুদ্ধরত দলগুলোর সংখ্যা অনেক এবং তাদের মাঝে রয়েছে নানা বিভক্তি। তবে এই বিভক্তি সত্ত্বেও একটি লক্ষ্যের ক্ষেত্রে তারা সকলেই ঐক্যবদ্ধ। আর তা হলো, এই অত্যাচারী শাসনব্যবস্থার পতন ঘটানো। তবে তাদের দ্বিমতটা এরপরেই। অধিকাংশ তানজীমের লক্ষ্য হলো এই শাসনব্যবস্থার পতনের পর তারা কুরআনি আইন বাস্তবায়ন করবে। আল্লাহর ইচ্ছায়, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। আর এরাই হচ্ছে আমাদের ভাই। তারা আমাদের থেকে এবং আমরাও তাদের থেকে। যদিও আমাদের নামের ক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্নতা, কিছু কিছু শাখাগত মাসআলায় রয়েছে দ্বিমত। তথাপি, এরাই আমাদের ভাই। আমরা তাদের থেকে এবং তারা আমাদের থেকে।
সম্মানিত ভাই, আমরা তো এখনোও একসাথে মিলেই কাজ করছি। তাদের মাঝে এবং আমাদের মাঝে রয়েছে নানা কর্মকান্ড। স্বাভাবিক কর্মকান্ড, দাওয়াতি কর্মকান্ড, পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য-এ ধরনের নানা শরয়ী বন্ধন। আর লড়াইরত অন্য গ্রুপগুলো,তাদের উদ্দেশ্য হলো, এই শাসনের পতনের পর তারা সিরিয়াকে একটি আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত করবে। বাস্তবে এদের সংখ্যা খুবই কম। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক হলো, আমরা তাদেরকে দাওয়াত দেই, তারা যাতে সঠিক পথে ফিরে আসে। মিশর, লিবিয়া ও তিউনিশিয়ায় কি ঘটছে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।
-শাইখ, সিরিয়ার অনেক এলাকায় ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, তথাপি আপনারা কেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছেন না?
-প্রিয় ভাই, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও চমৎকার প্রশ্ন। এর উত্তর টি দুই ভাবে দেয়া যায়।
প্রথমত, আমরা আমাদের আ’মাল জিহাদের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি ও প্রতিদান কামনা করি। তাই আমরা চাই, এগুলো তার শরীয়ত অনুযায়ী হোক। সুতরাং, আমরা শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজের অনুসরণ করি না এবং তা ধারণও করি না। তা যাই হোক না কেন। সম্মানিত ভাই, এটা সকলেই জানে, আমাদেরকে এখন যে ধরনের কাজের দিকে আহবান করা হচ্ছে, তার মূলভিত্তি হলো গণতন্ত্র। আর গণতন্ত্রের মূলনীতি ও মূলভিত্তি ইসলামী জীবনব্যবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক। ইসলামী শাসনব্যবস্থা তার বিধান, আইন, শক্তি ও কর্তৃত্ব গ্রহণ করে আল্লাহ তা’আলার শরীয়ত থেকে। যেমনটি আল্লাহ তা’আলা বলেছেন-
اَلَا لَہُ الۡخَلۡقُ وَ الۡاَمۡرُ
“আর মনে রেখ, সৃষ্টি ও বিধান তাঁরই।”
অর্থাৎ,যেমনিভাবে একমাত্র সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ তা’আলা,তেমনিভাবে একমাত্র আদেশদাতাও তিনি।যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেছেন-
اِنِ الۡحُکۡمُ اِلَّا لِلّٰہِ
“বিধান দানের ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলারই।”
যেমন আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন-
اَفَحُکۡمَ الۡجَاہِلِیَّۃِ یَبۡغُوۡنَ ؕ وَ مَنۡ اَحۡسَنُ مِنَ اللّٰہِ حُکۡمًا لِّقَوۡمٍ یُّوۡقِنُوۡنَ
“তারা কি জাহেলি বিধান কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে বিধান দানের ক্ষেত্রে কে শ্রেষ্ঠ?”
সম্মানিত ভাই, আমাদের মত হচ্ছে ইসলামী শরীয়াহ অনুসারে সকল বিধান ও জীবনব্যবস্থা দুভাগে বিভক্ত। আর ওলামায়ে কেরাম ও এমনটিই বর্ণনা করেছেন। যেমন, ইব্রাহিম আলে শাইখ রহিমাহুল্লাহ
আল্লাহ তা’আলার বাণী-
اَفَحُکۡمَ الۡجَاہِلِیَّۃِ یَبۡغُوۡنَ
এর ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন,“বিধান হয়তো আল্লাহ প্রদত্ত হবে অথবা বিধান জাহিলী বিধান হবে। সুতরাং,প্রত্যেক এমন সংবিধান, যার বিধান ও কর্তৃত্ব ইসলামী শরীয়াহ থেকে নেওয়া হয়নি, সেটাই জাহিলী সংবিধান। আমরা সেটা গ্রহণ করি না। আমরা সেটা পরিত্যাগ ও বর্জন করি। আমরা আমাদের রবের বিধান গ্রহণ করি, তাতে যতই কষ্ট হোক না কেন।
সম্মানিত ভাই, আমি দ্বিতীয় যে বিষয়টি স্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছি তা হলো, বিচক্ষণ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা একমত পোষণ করেছেন, ‘সৌভাগ্যবান হলো সে, যে অন্যের পরিণতি দেখে উপদেশ গ্রহণ করে। আর হতভাগা হলো সে, যে নিজে আক্রান্ত হওয়ার পর উপদেশ গ্রহণ করে।’ তারা এ ব্যাপারে ও একমত পোষণ করেছেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইয়ের অবস্থা দেখে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে, তাহলে সে যেন উপদেশ গ্রহণ করে।’ আর এই গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার পথ অতীত ও বর্তমানে অনেক ইসলামী দল গ্রহণ করেছে। বিশ্বের নানা দেশে, আল জাযায়েরে, তিউনিশিয়ায়, বর্তমান মিশরেও একই পথ অবলম্বন করেছে। তাদের কী অর্জন হয়েছে? তারা কী লাভ করেছে? বরং তারা শুধু হতে পেরেছে অন্যের আরোহণের সিঁড়ি; যাতে আরোহণ করে ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করেছে, উদ্দেশ্য অর্জন করেছে। অতঃপর তাদেরকে তারা কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। তাদের অর্জন শুধু এটাই হয়েছে, তারা সেই মূলনীতি ও আদর্শের বিসর্জন দিয়েছে, যা তারা বিশ্বাস করত, যার দিকে মানুষদেরকে আহবান করত।
সম্মানিত ভাই,তাই আমরা শুধু সেই পথই অবলম্বন করি, যে ব্যাপারে আমাদের রব আমাদেরকে আদেশ করেছেন, আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি বুঝার জন্য আমি ভাইদেরকে নসীহত করছি, তারা যেন সাইয়্যেদ কুতুব রহিমাহুল্লাহ এর কিতাব,“মাআনি ফিত্বরীক” এবং মুহাম্মাদ কুতুব রহিমাহুল্লাহ এর কিতাব “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আকীদাতুন ও শারীয়াতুন ও মানহাজু হায়াতিন” অধ্যয়ন করে এবং সাথে সাথে তারা ড. ইয়াদ কুনাইবির ধারাবাহিক দারস “নুসরাতান লিশ্ শরীয়াহ” শ্রবণ করে।
-শাইখ, আপনারা কাদের থেকে ইলম গ্রহণ করেন?
-সম্মানিত ভাই, আমি মাত্রই উল্লেখ করেছি, আমরা, জাবহাতুন নুসরাহ, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর উত্তরসূরী। সুতরাং,আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর ইলমের উৎস যা, আমাদের ইলমের উৎস তা-ই। অর্থাৎ, কুরআন ও সুন্নাহ এবং কুরআন সুন্নাহ যেভাবে বুঝেছিলেন পূর্বসূরীগণ, সাহাবায়ে কেরামগণ, তাবেয়ীনগণ এবং তাবে তাবেয়ীনগণ এবং কেয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের অনুসরণ করবেন। আর আমাদের ইলমের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো, “আল মাযাহিবুল আরবাআ” অর্থাৎ চার মাযহাব এবং অন্যান্য ফুকাহাগণের অভিমত। যেমন, উদাহরণ স্বরূপ, আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারাক রহিমাহুল্লাহ, আওযাঈ রহিমাহুল্লাহ, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ, ই’জ্জুদ্দিন বিন আব্দুস সালাম রহিমাহুল্লাহ। আর আমাদের সমকালীন ইলমের উৎসের মধ্য থেকে হলেন, শাইখ হামুদ বিন উকলা আশ শুআইবি রহিমাহুল্লাহ, শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ, (আল্লাহ তাআলা তাদের শাহাদাতকে কবুল করুন) এবং শাইখ ওমর বিন আব্দুর রহমান রহিমাহুল্লাহ। আল্লাহ তা’আলা তাকে তাওয়াগিতদের কারাগার থেকে মুক্ত করুন।
সমাপ্ত