আন-নাসর মিডিয়াবই ও রিসালাহবই ও রিসালাহ [আন নাসর]বার্তা ও বিবৃতিশাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

ইচ্ছা ও সচেতনতার দ্বন্দ্বঃ সীসাঢালা প্রাচীর || শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

ইচ্ছা ও সচেতনতার দ্বন্দ্বঃ সীসাঢালা প্রাচীর

[ইমারতে ইসলামী আফগানিস্তানের অধীনে বিশ্বের মুসলমানদের ও মুজাহিদদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা]

হাকিমুল উম্মাহ শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

 

 

ডাউনলোড করুন

pdf

https://banglafiles.net/index.php/s/6ALeDTT6epMYwNG

https://archive.org/details/ShishaDhalaPrachir_201808

https://archive.org/download/ShishaDhalaPrachir_201905/ShishaDhalaPrachir.pdf

https://www.file-upload.com/0e1w9ufqwhgi

http://www.mediafire.com/file/a9a28rfdde47rje/ShishaDhalaPrachir.pdf/file

word

https://banglafiles.net/index.php/s/tJ3kDQy62LkYe58

https://archive.org/details/ShishaDhalaPrachir_201808

https://archive.org/download/ShishaDhalaPrachir_201905/ShishaDhalaPrachir.doc

https://www.file-upload.com/89kpfongx9r3

http://www.mediafire.com/file/jq0e5r02dehmdys/ShishaDhalaPrachir.doc/file

=====================

ইচ্ছা ও সচেতনতার দ্বন্দ্বঃ সীসাঢালা প্রাচীর

[ইমারতে ইসলামী আফগানিস্তানের অধীনে বিশ্বের মুসলমানদের ও মুজাহিদদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা]

হাকিমুল উম্মাহ শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

 

[এই পুস্তিকাটি খোরাসানের আস সাহাব মিডিয়া থেকে গত ২৪ আগস্ট, ২০১৮ ইংরেজি তারিখে প্রকাশিত শাইখ হাফিজাহুল্লাহর “মা’রিকাতুল ওয়া’ই ওয়ালইরাদাহঃ আলবুনিয়ান আলমারসুস” নামক ভিডিও বার্তার বাংলা অনুবাদ। – প্রকাশক]

بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وصحبه ومن والاه

আল্লাহর নামে শুরু করছি! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য! সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূল, তাঁর পরিবারবর্গ, তাঁর সাহাবায়ে কেরাম, ও তাঁর অনুসারীদের উপর!

সারাবিশ্বে অবস্থানরত আমার মুসলিম ভাইয়েরা! আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু!

আমি আমার এই আলোচনায় একটি বিষয়ে জোর দিতে চাই, পবিত্র শরিয়ত যার নির্দেশ দিয়েছে ও তাকিদ করেছে। আর সেটা হলো – মুসলমান ও মুজাহিদদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করা, এবং সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় কাতারবদ্ধ হওয়ার অপরিহার্যতা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা ইরশাদ করেন-

﴿وَاعْتَصِمُواْ بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلاَ تَفَرَّقُواْ﴾

“আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।” (সুরা আলে ইমরানঃ ১০৩)

এছাড়াও এই বিষয়ে আরও অনেক আয়াত ও হাদিস রয়েছে।

যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ক্রুসেডার রাষ্ট্রগুলোর কাছে উসমানী খিলাফতের পতন হয়ে গেলো, দুর্বলতা, অনৈক্য ও শরিয়ত থেকে বিচ্যুতির দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলো। এরপর উসমানী খিলাফতের ভূখণ্ডগুলো দখলদার কাফের শত্রুরা নিজেদের মাঝে বণ্টন করে নিলো। আর মুসলিম উম্মাহ পঞ্চাশেরও অধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলো, যার প্রত্যেকটি ভূমি অহংকারী কাফের শত্রুদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ দখলদারিত্বে ছিলো।

তখন উম্মাহর মাঝে কিছু আন্দোলন জন্ম নেয়, যেগুলো এই উদ্ধত কাফেরদের মোকাবেলা করা শুরু করে। দীর্ঘ লড়াই ও চেষ্টা-প্রচেষ্টার পর আফগানিস্তানে ইসলামী ইমারত আত্মপ্রকাশ করে, যেন ফিতনার জলাভূমিতে ডুবে যাওয়া আফগান জিহাদের পথচলাকে সঠিকভাবে পরিচালিত করা যায়। আফগান জিহাদের অগ্রপথিকেরা – যাদের মাঝে রয়েছেন শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ – এই বরকতময় ইমারতের পাশে মুসলমান ও মুজাহিদদের জমায়েত হয়ে যাওয়ার চরম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অনুধাবন করলেন। কেননা এর মাধ্যমে মুসলমানরা নবুয়তের আদলে খিলাফত ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালাতে পারবে।

ইমারতে ইসলামীকে সমর্থন করা ও তার অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাওয়ার প্রতি উম্মাহকে শাইখ রাহিমাহুল্লাহর আহ্বান জারি ছিলো। অনেক লোক তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন। এরপর শাইখ রাহিমাহুল্লাহ শহীদ হয়ে তার রবের সান্নিধ্যে চলে গেলেন (আমরা তার ব্যাপারে এমনটিই ধারণা করি) এবং ইমারতে ইসলামীর পাশে এই জমায়েতের বীজ অঙ্কুরিত হলো। এক পর্যায়ে অনেক ইসলামী ও জিহাদি জামা’আত এই বরকতময় ইমারতের পাশে জমা হয়ে গেলো। অতঃপর তা আল্লাহর ফজলে তুর্কিস্তান থেকে আটলান্টিকের তীর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি আন্তর্জাতিক জিহাদি জমায়েত হয়ে গেলো।

এমনিভাবে উম্মাহ এই বরকতময় ইমারতের প্রতি তাদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটালেন যে, ইমারত দুর্বলদের প্রতিরক্ষা করেছে এবং আফগানিস্তানে কাফের ক্রুসেডারদের হামলা প্রতিরোধ করেছে।

সুতরাং, আমাদের উপর আবশ্যক হলো – আমরা তুর্কিস্তান থেকে আটলান্টিকের তীর পর্যন্ত বিস্তৃত এই ইসলামী জিহাদি জমায়েতকে শক্তিশালী করবো, তাদেরকে সমর্থন দিবো, এবং এই জমায়েতকে আল্লাহর নেয়ামত মনে করবো। পাশাপাশি, আমরা সকল মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে আমাদের উম্মাহর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী ক্রুসেডারদের হামলার মোকাবেলায় এই ইমারতকে সহযোগিতা করা ও সমর্থন দেওয়ার জন্য উম্মাহকে আহ্বান জানাবো।

আমরা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেকটা দলকে আহ্বান করছি – যাদের মাঝে রয়েছেন সত্যবাদী আলেমগণ, ধৈর্যশীল মুজাহিদগণ, ও হকের আওয়াজ বুলন্দকারী দাঈগণ; আমরা পুরো উম্মাহর পাশাপাশি তাদেরকে আহ্বান জানাবো, যেন আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কাফের জোটের চলা লড়াইয়ের মোকাবেলায় তাওহীদের কালেমার অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেতে পারি।

আমাদের উপর আবশ্যক হলো – প্রতিনিয়ত ইমারতকে সহযোগিতা করা, তার নিকটবর্তী হওয়া, তার অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাওয়া, এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের মাধ্যমে আমরা এই জোরকে আরও বৃদ্ধি করবো। আর আমরা প্রতিদিন ধাপে ধাপে সামনে অগ্রসর হবো এবং যারা অগ্রসর হওয়ার পর পিছনে ফিরে যেতে চায়, তাদেরকে সতর্ক করে দিবো।

এ কারণেই আমরা দখলদার কাফের ও তাদের সহযোগী চাকরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম, চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গ, নেতৃবৃন্দ, ও সত্যবাদী মুখলিস দাঈদের এই ব্যাপারে জোর দেওয়ার এবং সত্যবাদী উলামা ও সম্মানিত মুজাহিদদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করার অনুরোধ জানাবো।

আমরা তাদের কাছে কামনা করি যে, তারা উম্মাহকে একটি ব্যাপক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ করবেন, যা পুরো উম্মাহকে এই ইমারতের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও তার নিকটবর্তী হওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করবে এবং যারা বিভক্তির বীজ বপন করে ও কাতারগুলোর মাঝে ফাটল সৃষ্টি করে, তাদেরকে সতর্ক করবে।

আমরা মুসলমানদের হারাম রক্তকে প্রবাহিত করতে উৎসাহ প্রদান করা ও বৈধ করাকে বারণ করছি।

আমরা গড়তে চাই, ধ্বংস নয়; আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই, বিভক্ত নয়; আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই, পিছনে নয়!

নিশ্চয় উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়াই আমাদের শত্রুদের জন্য প্রচণ্ড ভয়ের বিষয়। অথচ এই একতাই হচ্ছে সাহায্য ও নুসরতের প্রবেশদ্বার। আল্লাহর ইচ্ছায় এটাই হচ্ছে নবুয়তের আদলে খিলাফত ফিরিয়ে আনার মজবুত ভিত্তি।

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين، وصلى الله  على سيدنا محمد وآله وصحبه وسلم. والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته.

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 2 =

Back to top button