ফিরে দেখে ২০১৩ সালের সিরিয়ার আলেপ্পোতে ঘটে যাওয়া আসাদের গণহত্যা!!!
২০১৩ সালের ২৯শে জানুয়ারী মঙ্গলবার, আলেপ্পোর বুসতান আল কাসরের অদূরের কোয়েইক নদী থেকে অসংখ্য মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দেহগুলোর হাতগুলো পেছন থেকে বাঁধা ও মুখ টেপ দিয়ে সিলগালা করাবস্থায় পাওয়া যায়।
যাদের মাঝে শিশু, বৃদ্ধ এবং পাঁচজন মহিলাও রয়েছেন। মহিলাদের দেহগুলো নদীতে নিক্ষেপের আগে আসাদ বাহিনীর জানোয়াররা তাদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছিল। উদ্ধারকার্যের প্রথম দিনেই ৯০ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘ ৪৫ দিন পর্যন্ত উদ্ধার কাজ অব্যাহত ছিল। এবং সবমিলিয়ে সেখান থেকে মোট ২২০ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অনেক দেহে ভয়াবহ নির্যাতনে সৃষ্ট ক্ষতচিহ্ন বিরাজ করছিলো।
এ ঘটনার কিছুদিন পূর্বে নিহত মুসলিমদের অনেককে আসাদের এয়ার ফোর্সের গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতার করেছিল। আর অন্যান্যরা আসাদ বাহিনীর বিভিন্ন চেকপয়েন্টে বন্দী হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
মূলত আসাদ আলেপ্পোর জনগনকে একটি বার্তা দিতে চাচ্ছিল। যা বিদ্রোহ দমন করার পরিবর্তে অনেক বেশী বাড়িয়ে দেয়।
এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র আসাদ বাহিনীর কারাগারের ভেতরেই লক্ষাধিক সিরিয়ান মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে। যাদের মাঝে রয়েছে অসংখ্য নারী, শিশু ও বৃদ্ধ।
কিন্তু বিশ্বমানবতার বুলি আওড়ানো সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে কোনো এক রহস্যময় কারণে নিরব ভূমিকা পালন করে চলেছে।