শহিদ শায়েখ মাওলানা সামিউল হক্ব রহ. এর শাহাদাতে তেহরিক-ই-তালিবানের শোকবার্তা!
ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা দেখতে পাবো প্রত্যেক পৃষ্ঠাই সাক্ষ্য দিবে যে, অত্যাচারী শাসকের খড়গ নেমে এসেছে সমসাময়িক আলিমদের উপরে। আলিমদেরকে তারা হত্যা করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি এবং অনেক আলিমকেই অন্ধকার কারাগারের অতল গহ্বর থেকে ফেরত দেওয়া হয়েছে কফিনে মুড়িয়ে।
পাকিস্তানের রাজপথ আর কয়েদখানাগুলোর সাম্প্রতিক ইতিহাসের দিকে তাকালে সেগুলো নবীর ওয়ারিশ আলিমদের রক্ত মেখেই উঁকি দেবে। আসলে এর পেছনের কারণটা কি? এই প্রশ্নটি আল্লাহ যাকে নূন্যতম জ্ঞান দান করেছেন এবং যারা মিথ্যাবাদী মিডিয়ার সত্য-মিথ্যা চেনানোর কৌশলে বিশ্বাস করে না, তাদের মাথাতে অবশ্যই আসবে।
আমরা পাকিস্তানের বন্দীশালা আর রাজপথের দিকে নজর ঘুরালেই দেখতে পাবো মুফতি নিজামউদ্দীন শামজাই, নাসিব খান, মাওলানা আসলাম শেইখওপুরি, শেইখ ওয়ালীউল্লাহ ক্বাবিলগ্রামী সহ অন্যান্য হক্বপন্থী, সত্যান্বেষী আলিম, দ্বীনের দ্বায়ী, শত শত ছাত্রছাত্রী এবং অসংখ্য সাধারণ মুসলমানদের রক্তমাখা শরীর চিৎকার করে করে বলছে ” আল্লাহর কসম! আমরা সফল হয়েছি”
গতকাল আমাদের মাঝে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সংবাদ এসেছে। মুজাহিদীনের উস্তাদ, শায়খুল হাদীস, সম্মানিত মাওলানা সামিউল হক্ব অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে শহীদ হয়েছেন।
প্রকৃতপক্ষে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংস্থা ও তাদের খ্রিস্টান প্রভুদের ষড়যন্ত্রের ফসল।
তেহরিক ই তালিবান এই প্রাণঘাতী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং মরহুম শায়খ (আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন) এর শোকসন্তপ্ত পরিবার, স্বজন এবং তাঁর গুণগ্রাহী ছাত্রদেরকে এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ এবং দৃঢ়তার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানাচ্ছে।
এরই সাথে আমরা তেহরিক ই তালিবানের মুজাহিদগণ সাধারণ জনগণ এবং আলিম, যারা আল্লাহর রাস্তায় নামার জন্য চিন্তামগ্ন রয়েছেন, তাদের আহবান জানাচ্ছি বন্ধু এবং শত্রুকে প্রকৃতভাবে চিনে নেওয়ার জন্য এবং মানবরচিত কুফুরি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যা এই ভূমিতে অন্যায়-অত্যাচারকে টিকেয়ে রেখেছে সেটা বর্জন করতে। এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে এবং বাস্তবিক ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহকে বেছে নিতে, যাঁর মাঝে রয়েছে দুনিয়া এবং আখিরাতের সব কল্যাণ।
আমরাও এই একই কারণে জিহাদকে বেছে নিয়েছি যাতে অত্যাচারিত উম্মাহ্র সাহায্যকারী হিসেবে আমাদের ধর্ম ইসলামকে সমুন্নত করতে এবং মানবরচিত আইনের শেকড় উপড়ে ফেলে আল্লাহর জমীনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করতে পারি, যা আমাদের ঈমানী দ্বায়িত্ব।
আলেমদের হত্যাকারীদের আমরা একবিন্দুও শান্তিতে থাকতে দেইনি এবং সামনেও দেবো না ইনশা আল্লাহ।
জিহাদের ইতিহাস সাক্ষ্য দিবে যে, আমরা তাদের পাওনা কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছি এবং কোন বাকির খাতা খুলে রাখিনি৷ আমাদের যুবা যোদ্ধারা আর শাহাদাতপ্রেমীরা আল্লাহর রহমতে ইসলামের শত্রুদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করেছে।
তাই খুব দেরী হয়ে যাওয়ার পূর্বেই আমরা আহবান করবো তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তানের কাছ থেকে আপনারা যুদ্ধের অভিজ্ঞতা এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শত্রুদের খতম করতে এবং এই অত্যাচারিত উম্মাহর অন্তরকে প্রশান্ত করতে তেহরিক ই তালিবানের সত্যের কাফেলাকে নিজের হাতে সর্বাত্মক সাহায্য করুন ।