শেখ মুজিবের জীবনী এবং আমাদের শিক্ষা
#প্রশ্নঃ শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন থেকে কি আপনাদের জন্য শিক্ষণীয় কিছু আছে?
.
#উত্তরঃ তথাকথিত জাতির পিতা, শেখ মুজিবুর রহমান একটি আদর্শ বা দর্শন (যদিও সেটা কুফরী একটা আদর্শ) কায়েম করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে, জীবনের একটি বিরাট সময় জেল খেটেছে, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছে, তৎকালীন জালেম সরকারের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে এবং যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও তার দোসর পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ করেছে। এমনকি নিজ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ থেকে আলাদা একটি রাষ্ট্র গঠন করেছে এবং তার আদর্শ বাস্তবায়ন করেছে।
যদি একটি কুফরী, সেক্যুলার আদর্শের জন্য একজন লোক এত কুরবানী করতে পারে, তাহলে আমাদের আদর্শ, দ্বীন ইসলাম, ইসলামী শরীয়ত কায়েমের জন্য আমাদের কতটুকু কুরবানী করা উচিত?
আমাদের সবার, প্রত্যেক মুসলমানেরই উচিত ইসলামী শরীয়াত প্রতিষ্টার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরি করা।
তাগুত, কুফর ও শিরকের সাথে আপোষ না করে জেল খাটার জন্য প্রস্তুত থাকা।
ইসলামী শরীয়ত কায়েমের জন্য প্রয়োজনে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা।
মুরতাদ সরকারের সকল অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া, প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়া।
বর্তমান যুগের হুবাল দেবতা, সাম্রাজ্যবাদী-ক্রসেডার আমেরিকা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জিহাদ করা।
এমনকি প্রয়োজনে এদেশের মুরতাদ সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ করে করে আলাদা একটি রাষ্ট্র গঠন করা এবং ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়ন করা ।
যদি শেখ মুজিবুর রহমান একটি কুফরী আদর্শের জন্য এতকিছু করতে পারে, তাহলে ইসলামের জন্য আমাদের সকলের কতটুকু কাজ করা উচিত?
আমাদের উপরুক্ত কাজগুলোর ব্যাপারে কারো আপত্তি থাকলে, তার আগে আপত্তি করা উচিত শেখ মুজিবের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। কারণ সেও আমাদের মতো একই কাজগুলো করেছে।
আমাদেরকে যদি কোনো বিচারের মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে আমাদের আগে শেখ মুজিবের বিচার করতে হবে। কারণ শেখ মুজিবও একই অপরাধে অপরাধী।
যদি আমাদেরকে কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে আমাদের আগে তার এবং তার মতবাদে বিশ্বাসীদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।
যদি আমাদের কোনো দল বা প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে সবার আগে শেখ মুজিবের আদর্শের গড়া দল ও তার আদর্শের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা উচিৎ।
যদিও সে কুফরী আদর্শ, মানব রচিত আইন, সেক্যুলারিজম এর জন্য লড়াই করেছে, আর আমরা জিহাদ করছি ইসলামী শরীয়ত কায়েমের জন্য।
(সংগৃহীত ও সংশোধিত)
