“ডকুমেন্টিং অপ্রেশন এগেইন্স্ট মুসলিমস” নামক বার্তা সংস্থার বরাতে জানা যায়, পূর্ব তুর্কিস্তানের উইঘুর মুসলিমদের ওপর চায়নিজ সরকারের কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালিয়েই যাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে বিনা অপরাধে তারা তাদের কনসেনট্রেশন নামক নির্যাতন ক্যাম্পে বছরের পর বছর বন্দি করে রাখছে এবং ছোট শিশুদেরকে এতিমখানায় পাঠাচ্ছে, যেখানে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে শেখানো হয়! তন্মধ্যে, গত ১৩ অক্টোবর শনিবার পূর্ব তুর্কিস্তানের ইয়ার্কান্ট বিভাগের কাচুং গ্রামের আব্দুলহক মাহমুদ(১০) ও আব্দুজাপ্পার মাহমুদ(০৮)কে চায়নিজ কর্তৃপক্ষ এতিমখানায় পাঠিয়েছে এবং তাদের পিতামাতাকে জোর করে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়েছে।
তাছাড়া, উরুমকি শহরের ইয়ালকুন কুরবান(৩৭) চায়নিজদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে গত বছর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আটক হয়ে ১০ মাস পর গত ১৪ অক্টোবর রবিবার মুক্তি পেয়ে কিছুদিন পর তার বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছে। তার আত্মীয়-স্বজনেরা ধারণা করেছিল ২০১৫ সালে তার মা কে সে হজ্জ্বে পাঠানোর কারেণে তাকে বন্দি করা হয়।
অপরদিকে, চায়নিজরা ঘোষণা দিয়েছে যে, চীন ও পূর্ব তুর্কিস্তানে মুসলিমরা সরাসরি মসজিদে নামাজ পরতে পারবে না, রমজান মাসে রোজা রাখতে পারবে না, ঘরে যেকোনো ধরনের ধার্মিক বই ও কুরআন রাখতে পারবে না, ইসলামিক মতে নিকাহ বা বিবাহ করতে পারবে না, শিশুদের মুসলিম নাম রাখতে পারবে না, খাবারের জন্য কোনো হালাল-হারাম পার্থক্য করতে পারবে না, কোনো ধরনের নিকাব বা হিজাব পরিধান করতে পারবে না!
চায়নার কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে (মুসলমান) যুদ্ধ হিসেবে পূর্ব তুর্কিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায়। উইঘুর মুসলিমদেরকে চরমপন্থি ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে প্রতিনিয়ত নির্বিচারে হত্যা ও বন্দি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, উইঘুর মুসলিমদেরকে চায়নিজদের প্রতি আনুগত্য দেখাতে জোর করে শূকরের মাংস খেতে বাধ্য করা হচ্ছে।