দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার বরাতে জানা যায়, সম্প্রতি রাশিয়ার চেবারকুল শহরে বেইজিংভিত্তিক সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) কথিত সন্ত্রাসবিরোধী মেগা মহড়া শেষে করছে ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা। শান্তিপূর্ণ মিশন ২০১৮ শীর্ষক যৌথ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে রাশিয়ার সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন। এটি এসসিও এর অধীনে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মোকাবিলা বা সন্ত্রাসবাদ পরিবেশ মোকাবিলায় কৌশলগত বিষয় পরিচালনা করে। সন্ত্রাসবিরোধী মহড়ায় ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। এই মহড়ায় চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, ভারত ও পাকিস্তান থেকে কমপক্ষে ৩ হাজার সেনা অংশ নেয়। [সূত্র: প্রথম আলো]
মহড়া শেষ করে সহকর্মীদের সঙ্গে পাক-ভারত যৌথ সেনারা অন্তরঙ্গতায় মেতে ওঠে! আর সেই দৃশ্য এক ফাঁকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়। ঘটনার ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, বলিউড গানের তালে তালে পাক-ভারত সেনারা একসাথে মিলে নাচ-গান করছে, আনন্দ-উৎফুল্ল কথিত দুই শত্রুদেশের সেনাদেরকে একসাথে নাচতে দেখেছে বিশ্ব! এটা কী করে সম্ভব! এটাও সম্ভব যখন ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নীতিতে ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া ইত্যাদি তথাকথিত সকল রাষ্ট্রগুলোর রীতিই এক! সিরিয়াতে রাশিয়ার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। সেই রাশিয়া সাম্প্রতিক একটি বার্তায় জানিয়েছে যে, তারা ৮৬ হাজার সন্ত্রাসী(?)-কে সিরিয়ার মাটিতে হত্যা করেছে! অথচ, বিশ্বের বিবেকবান মানুষের কাছে রাশিয়ার কথিত ঐ সন্ত্রাসীদের পরিচয় সুস্পষ্ট! আর তা হলো- রাশিয়া বিশ্বের সকল মুসলিমদেরকেই সন্ত্রাসী হিসেবে ভেবে থাকে! আর সেই রাশিয়ার আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী মেগা মহড়ায় কী প্রশিক্ষণ চলতে পারে সেটা চক্ষুষ্মান ব্যক্তিদের নিকট পরিষ্কার! আর সেখানে পাক-ভারত সেনাদের যৌথ মহড়া উপমহাদেশের মুসলিমদের জন্য একটি সতর্কবার্তা স্বরূপ! হয় তারা ইসলামের উপর অটল থেকে সন্ত্রাসী অপবাদ সহ্য করে নিয়ে শত্রুদের মারবে এবং মরবে! আর না হয়, সন্ত্রাসী অপবাদ থেকে বাঁচার জন্য ইসলাম ত্যাগ করে, কথিত শান্তিপ্রিয় মানুষদের ‘গণহত্যা’র ধর্ম গ্রহণ করতে হবে! যারা শান্তির কথা বলে বলে সারা বিশ্বে হাজারো গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, সেই ধর্মের অনুসারী হয়ে গণহত্যা চালানোতে অংশ নিবে!