কেন চীনে মুসলিম নিধনের ব্যাপারে কেউ কথা বলে না?
পূর্ব তুর্কিস্তানে উইঘুর মুসলিমদের জাতিগতভাবে শোষণ ও চীনের মুসলিমদের উপর নিপীড়ন সম্পর্কে মুসলিম বিশ্বের কেউ কিছু বলছে না কেন? সবার কাছে উইঘুর ও চীনের মুসলিমদের আক্ষেপ প্রকাশ!
‘বিজনেস ইনসাইডার’ নামে একটি সংবাদসংস্থার বিবরণ মতে, চীনে মুসলিম নিধনের ব্যাপারে আরব রাষ্ট্রগুলো কথা বলে না; কেননা চীনের সাথে তাদের সুসম্পর্কের বাণিজ্য বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে! কোন কোন বিশ্লেষকদের ধারণা- আরব রাষ্ট্রগুলো চীনে মুসলিমদের পরিস্থিতি নিয়ে কথা না বলার কারণ হলো, বেশিরভাগ আরব রাষ্ট্রের নিজেদেরই মানবাধিকার পরিস্থিতি হুমকির মুখে! যার কারণে তারা চীনে মুসলিমদের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলে নিজেদের দিকে বিশ্বকে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চান না!
এমনকি কোনো রাষ্ট্র তো উইঘুর মুসলিম অভিবাসীদেরকে বিনা কারণে গ্রেফতারও করেছে! ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ৬২ জন উইঘুর মুসলিমকে কোন কারণ ব্যতীতই বন্দী করে মিশর সরকার। বন্দী হওয়া উইঘুরদের অনেকেই ছিল ছাত্র।
ঐ বছরের একই মাসে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস্’ নামক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ১২জন উইঘুর মুসলিমকে চীনে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে মিশর কর্তৃপক্ষ। অথচ, ঐ মুসলিমগণ মিশরের কায়রোতে অবস্থিত আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার কোন কারণই ছিল না।
এভাবে, নামমাত্র মুসলিম রাষ্ট্রগুলোই মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে এবং কাফেরদেরকেও এ ব্যাপারে সাহায্য-সহযোগিতা করছে।