ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রুহতাকে গত বুধবারে (ঈদ-উল-আযহার দিন) একজন মুসলিম পরিবারের ঘরে হামলা করেছে উগ্রবাদী হিন্দুরা। একটি গরুর বাছুর হত্যা করার অভিযোগ আরোপ করে তারা এ হামলা চালায়। গো-রক্ষক হিন্দুদের ধারণা গরুর বাছুরটিকে ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে কুরবানি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নাসিরুদ্দিন নামে স্থানীয় একজন মুসলিম ‘দি হিন্দুস্তান টাইমস্’ নামক সংবাদসংস্থাকে বলেছে যে, ঐ বাছুরটি ইয়ামিন খুখার নামে রুহতাকের তিতুলি গ্রামের এক বাসিন্দার মেয়েকে আঘাত করে আহত করায়, তিনি লাঠি দ্বারা বাছুরটিকে আঘাত করেন। পরে, কিছুদূর যাওয়ার পরই বাছুরটি মারা যায়। মুসলিম একতা মঞ্চ এর চেয়ারম্যান হাজি শাহজাদ খান স্থানীয় কয়েকটি পরিবারের সাথে কথা বলে জানিয়েছেন, আত্মরক্ষার জন্য ইয়ামিন বাছুরটিকে আঘাত করেছিলেন। নাসিরুদ্দিন আরো বলেন, কিন্তু কিছু অসামাজিক লোক গুজব ছড়াচ্ছে যে, মুসলিমরা বকরি ঈদ উপলক্ষ্যে ঐ বাছুরটিকে হত্যা করেছে। এদিকে, ইয়ামিন এবং তার পরিবার হিন্দুদের রোষানলে পড়ে ঐ গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
জানা যায়, খুখারের বাড়িতে হামলা করার পর হিন্দুরা জোরপূর্বকভাবে মুসলিমদের কবরস্থানে ঐ বাছুরটিকে কবর দেয় এবং ঐ স্থানে গরুর বাসস্থান বানানোর নির্দেশ দিয়ে যায়। এদিকে, স্থানীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছে, পুলিশকে ঘটনাটি জানানোর জন্য পুলিশ স্টেশনে গেলে ইয়ামিনের ভাই ইয়াসিন এবং স্থানীয় আরেকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে, যেহেতু ওয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে ঘটনাটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়েছিল, তাই মুসলিমরা যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে সে জন্য ৫০জন পুলিশ সদস্যকে উক্ত অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়।[সূত্র: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সমূহ]