আন-নাসর মিডিয়াইতিহাস- ঐতিহ্যইলম ও আত্মশুদ্ধিবই ও রিসালাহবই ও রিসালাহ [আন নাসর]মিডিয়াশাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

শহীদের অস্ত্র বহন কর! -৫ || ওয়াজিরিস্তানের শহীদেরা – হাকিমুল উম্মাহ আইমান আয- যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ


শহীদের অস্ত্র বহন কর! -৫

ওয়াজিরিস্তানের শহীদেরা
-হাকিমুল উম্মাহ শাইখ আবু মুহাম্মাদ আইমান আয- যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

 

 

پی ڈی ایف
PDF (430 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৩০ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/ipLKxbCNrLRym5n
লিংক-২ :
 https://archive.org/download/waziristaner-shohidera/waziristaner%20shohidera.pdf
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hy0091f40209ec41d78f964d6cf1f04d3b
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/shohiderOstrobohon5/waziristaner+shohidera.pdf
লিংক-৫: https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=q8q0o2u0z8
লিংক-৬ : https://drive.internxt.com/sh/file/65a81b8b-4851-40db-9f11-fd395a604411/022decd7ab2b3ead3d823fbfb0ea06390c799c87768996805a5f2d1da07764ea

ورڈ
WORD (210 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [২১০ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/XJpoy6qAcaD9atr
লিংক-২ :
https://archive.org/download/waziristaner-shohidera/waziristaner%20shohidera.docx
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hycc0f8a7bbb5b420aad47b81337ca8437
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/shohiderOstrobohon5/waziristaner+shohidera.docx
লিংক-৫ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=w5u4k3e9f1
লিংক-৬ : https://drive.internxt.com/sh/file/638388f2-2364-4d6a-a4e4-6ab2b78288cb/194797e461b5fec81071e29c6d19e0463de07ba48b408f9b9044ed11555cd2f9

غلاف
book cover [96 KB]
বুক কভার [৯৬ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.org/download/waziristaner-shohidera/waziristaner%20shohidera%20Cover.jpg
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hy16697bc31dc7409aabc94f08e1af03d7
লিংক-৩ : https://f005.backblazeb2.com/file/shohiderOstrobohon5/waziristaner+shohidera+Cover.jpg
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=r8d9e0k2e8
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/0aadf69f-21e9-4baa-8b3f-217b5b7758da/d8d5b5c6f39e0d4292f2f86d43aa8b26204629c1690dad43cb549b5ebddcad0a

 

بينر
banner [44 KB]
ব্যানার [৪৪ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.org/download/waziristaner-shohidera/waziristaner%20shohidera%20Banner.jpg
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hy36f4e5e0dc614f78af587643e1843b42
লিংক-৩ : https://f005.backblazeb2.com/file/shohiderOstrobohon5/waziristaner+shohidera+Banner.jpg
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=b2q3t8q0o0
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/ad78f3c3-1eea-4cb1-84a7-342cc6adb694/4d7511eed9a4be417a8eaf5923e033370d832eeb20199f5af7fc520a2aca67a1

 

 

==========================

শহীদের অস্ত্র বহন কর! -৫

ওয়াজিরিস্তানের শহীদেরা

হাকিমুল উম্মাহ শাইখ আবু মুহাম্মাদ আইমান আয- যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

অনুবাদ ও প্রকাশনা

بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وصحبه ومن والاه

আল্লাহ্‌র নামে শুরু করছি, সকল প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর, তাঁর পরিবার-পরিজন ও তাঁর সঙ্গী-সাথী এবং যারা তাঁদের অনুসরণ করবে তাঁদের উপর।

প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু।

এই পর্বে আমি শহীদ, দাঈ এবং জিহাদের আলোকবর্তীকা স্বরূপ সেই সকল ভাইদের নিয়ে আমার আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই যারা ধৈর্য, একনিষ্ঠতা, আল্লাহ্‌র দ্বীনের প্রতি কঠিন আনুগত্য এবং এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাঁদের রবের কাছে ফিরে গেছেন। আমি আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন তাঁদের উপর রহম করেন, তাঁদের শাহাদাতকে কবুল করে নেন এবং জান্নাতে আমাদেরকে তাঁদের সাথে মিলিত করেন।

এই জামাআতের মধ্যে রয়েছেন ওয়াজিরিস্তানের শুহাদাদের এক কাফেলা যারা পাকিস্তনা বাহিনীর বিশ্বসঘাতকতামূলক আক্রমনের (শাবান-১৪৩৫) মুখে ধৈর্য্যের আদর্শ স্থাপন করেছেন। এরা হচ্ছে সেই সেনাবাহিনী যার নেতৃত্ব আমেরিকাকে খুশি করা জন্য ও হারাম ডলারের বিনিময়ে তার ভূমি ও জনগণকে বিক্রি করে দিয়েছে। আজকে ব্রিটিশদের তৈরি রয়্যাল ইন্ডিয়ান আর্মির উত্তরসূরি হিসেবে এই বাহিনীটি কুখ্যাতিতে এক নতুন অধ্যায় সংযোজন করে চলেছে, যাদেরকে ভারতবর্ষ ও সারা বিশ্বের মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

এরা হচ্ছে সেই একই বাহিনী যার ৯০,০০০ সেনা বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর উপর নৃশংস হত্যাকান্ড চালানোর পর ঢাকায় পরাজিত হয়েছিল এবং হিন্দুদের কাছে আত্মসমর্পন করেছিল। তারা অহংকার করে দুর্বল ও অসহায়দের উপর।

এই বাহিনী বাংলাদেশে ইসলামী আইনের জন্য লড়াই করেনি, তারা ইসলামাবাদের শাসকদের জন্য লড়াই করেছিল। তারা জনসাধারণের উপর সীমালংঘংন করেছিল যার পরিণতি ছিল যুদ্ধের ময়দানে আত্মসমর্পন ও লজ্জা। তারা বাংলাদেশের মুসলিমদের অখন্ডতা রক্ষার জন্য লড়াই করেনি বরং তারা লড়াই করেছিল দুর্নীতিগ্রস্ত একটি এলিট শ্রেনীর জন্য। আজ এই সেনাবাহিনীর ধোঁকাবাজ নেতাদের দ্বারা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে ওয়াজিরিস্তান এবং সোয়াত উপত্যাকায়। এর পূর্বে আমরা আফগানিস্তানে এই নাটকেরই রিহার্সেল দেখেছিলাম।

শুহাদাদের এই দলটি –তাঁদের ব্যাপারে আমরা এমনটাই ধারণা করি- আমেরিকান ড্রোন আক্রমনের মুখেও অবিচল ছিলেন উপরন্তু তাঁদের রক্তের দ্বারা ইসলাম ও জিহাদের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জল অধ্যায় রচিত হয়েছে… এবং তাঁদের রবের সামনে তাঁরা পাকিস্তান আর্মির সেই নীচতা, হীনতা, অপরাধ এবং ভাড়াটেদের খুনিদের মত আচরণের সাক্ষী হয়েছেন। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারণ ওয়াজিরিস্তানের শুহাদাদের প্রাপ্য আমি দিতে অক্ষম। হয়তো আস-সাহাব এর উপযুক্ত হকদার এবং এর পাশাপাশি জিহাদের জন্য তাদের চালিয়ে যাওয়া নীরব প্রচেষ্টা জন্য আমি আল্লাহ্‌র কাছে তাঁদের প্রচেষ্টাগুলোর কবুলিয়াতের দু’আ করি।

এখানে আমি অবশ্যই আস-সাহাবের সেই অনুগ্রহ এবং অকল্পনীয় কাজের স্বীকারোক্তি প্রদান করছি যা তাঁরা দিয়ে যাচ্ছেন। এই জিহাদি মিডিয়ার সৈনিকেরা সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে সঠিক বার্তাটি পৌছে দেয়ার জন্য চড়া মূল্য পরিশোধ করে থাকেন, মূল্যটা অনেক সময় হয়ে থাকে তাঁদের নিজেদের রক্ত, তাঁদের পরিবারের রক্ত, প্রিয়জনের বিরহ ও একাকীত্ব, শত্রুদের সার্বক্ষনিক ধাওয়া এবং তাঁদের পরিবারগুলোর উপর অত্যাচার নির্যাতন।

তাঁদের কর্মক্ষেত্র ও বাড়িঘরগুলোতে বোমা হামলা করা হয়েছে, তাঁদের নেতৃত্বদানকারীদের ও তাঁদের স্ত্রী ও সন্তানদের এক সাথেই শহীদ করে দেয়া হয়েছে। তাঁরা সার্বক্ষনিক ভয়, দুঃচিন্তা এবং শত্রুদের চোখ এড়ানোর জন্য প্রতি মূহুর্তে স্থান পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন এবং এখনও করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা অবিচলভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর যখন শাহাদাতের সময় উপস্থিত হয় তাঁদের ঈমান হয় আরো মজবুত। তাঁরা তাঁদের বয়ান ও সত্যবাদিতা দ্বারা বর্তমান ক্রুসেডারদের  ধোকাবাজি উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন। এই প্রতিষ্ঠানটির অর্জন শুধুমাত্র তাঁদের সদস্যদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এর সমান কৃতিত্ব তাঁদের স্ত্রী-সন্তানদেরও যারা আত্মত্যাগ স্বীকার করে চলেছেন।

আল্লাহ্‌ আস-সাহাবকে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দীর্ঘজীবী করুন এবং তাঁদের কারাবন্দী বীরদেরকেও, খালিদ শেখ মুহাম্মাদ যিনি নিজেই একা একটি সেনাবাহিনী সমতুল্য, জিহাদের এক উজ্জ্বল আদর্শ; সবচেয়ে বড় অপরাধীর অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাস্তবিকভাবে রুখে দাঁড়াবার মাধ্যমে আমাদের সম্মান ও মর্যাদার শিক্ষা দিয়ে চলেছেন। আল্লাহ আস-সাহাবের গুয়ান্তানামো বে’তে বন্দী তাঁর সাথী আবু আনাস আল মাক্কীকে অনুগ্রহ করুন। আল্লাহ যেন তাঁর মুসলিম ও আল-কায়েদার অন্যান্য বন্দী ভাইদের উপর রহম করেন। আল্লাহ যেন তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করেন।

আল্লাহ যেন আস-সাহাবের শহীদ জুহাইর আল মাগরিবী, আযযাম আল আমরিকী, উমার তালিব, আহমদ ফারুক, এবং তাঁর ভাইদেরকে রহম করুন, যারা সমসাময়িক ক্রুসেডারদের ধোকাবাজির মুখোশ উন্মোচনের করতে গিয়ে তাঁদের জীবন উৎসর্গের করেছেন; ধৈর্য্য, সহনশীলতা ও আত্মত্যাগের আদর্শ স্থাপন করেছেন। আল্লাহ আস-সাহাবকে অনুগ্রহ করুন যার মাধ্যমে তাঁরা সত্যবাদিতা, বিশ্বস্ততায় মেঘের সীমানাকেও অতিক্রম করেছে, সততার, বিশ্বস্ততার এমন এক জিহাদী মিডিয়ার মানদন্ড স্থাপন করেছেন যা বিশ্বের মুসলিমদের একত্রীকরণে কাজ করে যাচ্ছে।

ওয়াজিরিস্তানের শহীদদের কাছে ফিরে আসি, শহীদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নিরলস ইবাদতকারী, মুহাজির, মুজাহিদ, মুরাবিত, কমান্ডার উমর আবু খলিল। তিনি কমিউনিস্ট রাশিয়ার বিরুদ্ধে জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য আফগানিস্তানে হিজরত করেছিলেন। তিনি রিবাতের ময়দানে খুবই ধৈর্যশীল ছিলেন। তিনি ক্বাবা পর্বতের জালিল ফ্রন্টে এক বছর রিবাতে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহর সাথে সুদানে হিজরত করেন। সুদান থেকে তিনি পুনরায় আফগানিস্তানে হিজরত করেন। আমি কান্দাহারের আবরদের গ্রামে তাঁর প্রতিবেশী ছিলাম।

তিনি ভাইদের মসজিদে নসীহাহ্ করতেন। একজন হাসিখুশি সঙ্গী ও প্রচন্ড রকম অমায়িক মানুষ, শাইখ খলিল তাঁর বেশির ভাগ সময়ই ইবাদত, ভাইদের পরামর্শ দান এবং যুদ্ধের ময়দানে ব্যয় করতেন। যখন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রুসেডারদের যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল, তিনি ওয়াজিরিস্তানে হিজরত করে চলে আসেন যেখানে তিনি মুজাহিদদের নেতা ও একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ফলে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাধে তুলে নেন যার মাধ্যে রয়েছে আল-কায়দার নিজস্ব অপারেশনসমূহ এবং অন্যান্য গ্রুপের মুজাহিদদের সাহাযার্থে বিভিন্ন অপারেশনের তত্বাবধান। অধিকন্তু, তিনি আল-কায়েদার কর্মশালাগুলো পর্যবেক্ষন করতেন এবং অর্থে বিনিময়ে মুসলিম বন্দীদের ছাড়িয়ে আনার কিছু প্রচেষ্টায় তিনি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি তার লেকচারের মাধ্যমে মুজাহিদদের ট্রেইনিং এবং আত্মিক-উন্নয়নে জড়িত ছিলেন।

শাইখ উমর আবু খলিল রহিমাহুল্লাহর বয়ান থেকে চুম্বকাংশ-

“তাই, এই যে দলগুলোকে আল্লাহ তাঁরই প্রদর্শিত জিহাদের মাধ্যমে অনুগ্রহ দান করেছেন তাঁদের উচিত তাঁর সেই অনুগ্রহের হেফাযত ও সংরক্ষন করা। আর এটা একমাত্র আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহকে আকড়ে ধরা, আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ এবং তাঁদের নেতাদের সৎকাজে অনুসরণ আর সামগ্রিকভাবে আল্লাহর বাণীকে শক্তিশালী করা; ইসলাম ও মুসলিমদের সুনির্দিষ্ট স্বার্থে কাজ করার গুরুত্বারোপের মাধ্যমেই অর্জন করা যেতে পারে।

একইভাবে ন্যায়নিষ্ঠ পূর্বসুরীদের অনুসরণ করা প্রয়োজন এবং তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে হাসান ইবনে আলী রাঃ ঐক্যমত তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন সারিগুলোর একত্রীকরণের উজ্জ্বল উদাহরণ স্থাপন করেছেন এবং শত্রুদেরকে যেকোন প্রকার অপকর্মের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন। আর তিনি একটি নির্দিষ্ট কল্যাণের পরিবর্তে সামগ্রিক কল্যাণের উপর গুরুত্বারোপের মাধ্যমে এমনটি করতে পেরেছিলেন এবং মুয়াবিয়া রাঃ এর জন্য পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন যেখানে তিনিই ছিলেন সেই পদের বৈধ দাবীদার। কিন্তু তিনি ছিলেন মানুষের নেতাযেমনটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, “আমার এই পুত্র হচ্ছে একজন নেতা আজ উম্মাহর এমন নেতাদের অত্যন্ত প্রয়োজন”

 

যখন আমি তাঁর সাথে ইবরাহীম আল বাদরি, তার গ্রুপ এবং তাদের বিদ্রোহের ব্যাপারে পরামর্শ করলাম তখন তিনি আমাকে তাদের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রতি উৎসাহ দিলেন।

শুহাদাদের এই গ্রুপের মধ্যে যাকে আমরা আরো স্মরণ করি তিনি হচ্ছেন শাইখ আবু দুজানা পাশা মাহমুদ আল বাহ্‌তিতী রহিমাহুল্লাহ। তিনি প্রথমে জামাআতুল জিহাদে যোগ দিয়েছিলেন এবং পরে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে হিজরত করেছিলেন। তিনি আবু হামযা আল মুহাজির ভাইয়ের স্বদেশী ছিলেন এবং প্রথমে জামাআতুল জিহাদ ও পরবর্তীতে আল-কায়েদাতে তাঁর হিজরতের এবং জিহাদের খুবই নিকট সঙ্গী ছিলেন।

তিনি আবু হামযা আল মুহাজির ভাইয়ের সাথে উম্মাহর বীর, কারী শহীদ তারেক আনওয়ার রহিমাহুল্লাহর নেতৃত্বে ইসলামাবাদের মিশরীয় এম্ব্যাসীতে আক্রমণের পরিকল্পনায় অংশগ্রহন করেন। শাইখ আবু দুজানা আফগানিস্তানে থেকে যাওয়ার ইচ্ছা করেন এবং সেখানে আল কায়েদার ক্যাম্পে যোগদান (ট্রেইনার হিসেবে) করেন।

পরবর্তীতে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাজিক জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। যখন শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ আফগানিস্তানে ফিরে আসলেন, তিনি তাঁর সাথে যোগ দেন। তিনি তাঁর মুহাজির ভাইদের সাথে ইসলামিক ইমারতের ব্যানারে নর্দান অ্যালায়েন্সের বিরুদ্ধে জিহাদ করেন। এমন একটি লড়াইয়ে তিনি পায়ে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন যার কারনে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর উক্ত পা কেটে ফেলার প্রয়োজন দেখা দেয়।

আফগানিস্তানে ক্রুসেডার বাহিনীর আক্রমন শুরু হলে তিনি পাকিস্তান চলে যান। মুজাহিদদের উপর পাকিস্তান সরকারের ধড়-পাকড় এড়াতে তিনি পরে ইরান চলে যান এবং সেখানে গ্রেফতার হন। সেখানে তিনি তাঁর পরিবারের সাথে ৭ বছর জেলে বন্দী ছিলেন। জেলে থাকা কালে তিনি ইসলামিক সাইন্স নিয়ে নিজেকে পড়াশুনায় ব্যাস্ত রাখেন।

আল্লাহ তাআলার তাওফিকে তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ লিখেন। যার মধ্যে রয়েছে টিকা ও ব্যাখ্যাসম্বলিত গ্রন্থ “তাহকিক মুখতাসার আয যুবাইদী লি সাহীহিল বুখারী” এবং আরো কিছু প্রবন্ধ যার মধ্যে রয়েছে “আল-মুখতাসার ফি ফিকহিস সফর” এবং “জাওয়ামিউদ দু’আ”। ওয়াজিরিস্তানে থাকাকালে শাইখ আবু ইয়াহ্‌ইয়া রহিমাহুল্লাহর পরামর্শে তিনি “কিরা’আত ফী কিতাব মাফাহীম ইয়ামবাগি আন তাসাহহুহ” এবং “হুকুম হাদায়াল লম্মাল” নামে দুটি বই লিখেন।

নব্য সাফাভীদের কারাগার থেকে আল্লাহ্‌ যখন উনাকে মুক্তি দিলেন, তিনি ওয়াজিরিস্তানে চলে আসেন। সেখানে, দুই শাইখ আতিয়্যাতুল্লাহ এবং আবু ইয়াহ্‌ইয়া এর তত্বাবধানে ও উৎসাহে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দেখাশুনা করেন যার মধ্যে রয়েছে বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করা, শরীয়াহ্‌ কমিটিতে থাকাকালে ভাইদের উত্তর প্রদান, তাঁদের দ্বীনের দাওয়াত ও নসীহাহ্‌ দেয়া।

শাইখ আবু দুজানা পাশা রহিমাহুল্লাহর বয়ান থেকে চুম্বকাংশ-

“হে আমাদের মুসলিম উম্মাহ!

আমরা আপনাদের সেই দলগুলোর ব্যাপারের সতর্ক করছি যারা হয় চরমপন্থা নতুবা ইরজার (ইসলামের মূল নীতিমালার পরিত্যাগ করা) শিকার হয়েছে। আমরা তাদের হাতেও ভূক্তভোগী হয়েছি যারা এই উম্মাহকে বহু ইশ্বরবাদী গণতন্ত্রের পথে পরিচালিত করেছে, এটা হচ্ছে সেই পথ যা শরীয়াহ্‌র এবং দ্বীনের মূলনীতিমালাকে পরিত্যাগ করে।

এই দলটি বারবার তিক্ত ব্যার্থতা সত্ত্বেও মুসলিম জনসাধারণের আবেগ-অনুভূতির সাথে খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যদি আল্লাহ্‌র বান্দাদের ব্যাপারে তাঁকে ভয় করত, তবে তারা হয়তো মুসলিম জনসাধারণকে আল্লাহ্‌র শরীয়াহ্‌র দিকে আহ্বান করতো, রবের দিকে একতাবদ্ধ আহ্বান করতো, -সকল গৌরব তাঁর-ই- যাতে করে মানুষ আল্লাহ্‌র সাথে তাঁর সার্বভৌমত্বে শরীক স্থাপন করত না  যেভাবে তারা তাঁর ইবাদতে কোন শরীক স্থাপন করে না।

এই রাজনৈতিক ধারা ক্ষতিকর একটি উপাদানে পরিণত হয়েছে, এটা এমন একটি যন্ত্র যা উম্মাহ্‌র একনিষ্ঠ সন্তানদের দমিয়ে রাখতে ব্যবহার করছে, যারা বিভিন্ন দেশে শরীয়াহ্‌ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে যেমন আজকের গাজা, তিউনিশিয়া এবং আরো অন্যান্য দেশ।

একইভাবে এই উম্মাহ ভুক্তভোগী হয়েছে চরমপন্থা, অজ্ঞতা ও সীমালংঘনকারীদের হাতে, এই দলটি মুসলিমদের কাফির ঘোষণা করেছে, যারা আল্লাহ্‌র একত্ববাদে তুলে ধরেছে তাঁদেরকেই হত্যা করেছে, জিহাদকে দূষিত করেছে, মুজাহিদদের বার্তাকে বিকৃত ও তাঁদের পথ থেকে দূরে সরে গিয়েছে। আর আমরা আল্লাহ্‌র কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।

হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন এই উভয় পন্থার ক্ষেত্রে আমাদের পরিপূর্ণ অস্বীকৃতির এবং এই উভয় পথ থেকে আমাদের বিচ্ছিন্নতার।

হে আমাদের মুসলিম উম্মাহ!

এই বার্তাটি হচ্ছে আপনাদের সন্তানদের কাছ থেকে, এই বার্তা কেউ কেউ বিকৃত করার চেষ্টা করেছে এবং মানুষকে দূরে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে তাই ইরজা ও চরমপন্থার ভ্রষ্টতা থেকে মুক্ত হয়ে আমরা এটি পরিষ্কারভাবে আপনাদের সামনে পেশ করছি। তাই হে সর্বোত্তম জাতি! সারা দুনিয়ায় মুজাহিদ সন্তানদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে দাড়িয়ে যান।

এখানে আমি ইসলামী যুদ্ধের ময়দানে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকা মুজাহিদ ভাইদেরকে কিছু বলতে চাই। তারা সাক্ষী রয়েছেন আমরা কেমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি এবং আল্লাহ্‌র শত্রুদের ধোকাবাজি যা দুর্ভাগ্যবশত কিছু মানুষের অসাবধানতা পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করে তুলছে, মুজাহিদদের সারিগুলোর মাঝে বিভাজন তৈরি করছে, আত্মকলহের আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে। আর এটা সকলের কাছেই স্পষ্ট এবং এটা কোন গোপন বিষয় নয় এবং আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।

আমার মুজাহিদীন ভাইয়েরা!

আপনারা এই দুনিয়ার কঠিনতম দায়িত্বটি কাঁধে তুলে নিয়েছেন। আপনারা সর্বোত্তম সেই জাতির প্রতিরক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছেন যাদেরকে সমগ্র মানবজাতির পথনির্দেশক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আজ আপনারা সাক্ষী সেই দুঃখজনক ঘটনার যা শামের জিহাদকে জর্জড়িত করেছেএই মতানৈক্য, অন্তর্কলহ এবং তাকফীর যার কারণ হচ্ছে শক্তি হ্রাস পাওয়ার ভীতি এমন পরিস্থিতিতে এটাই আল্লাহ্‌র সুন্নাহ  

এটা আপনাদের এই ক্ষতের চিকিৎসার দায়িত্বকেই আরো বাড়িয়ে দেয় দুর্ভাগ্যবশত যা জিহাদকে ঘিরে ধরেছে এবং মুসলিম উম্মাহ্‌র ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমি আপনাদের আহ্বান করি তা সংশোধনের যা দূষিত হয়েছে, মুজাহিদদের একতা ও ঐক্যমত্যকে ফিরিয়ে আনার জন্য। আর আহ্বান করি সেই সকল ভ্রষ্টতা এবং সকল প্রকার বিভাজনের ডাক ও অনৈক্য মোকাবেলা করার।

আমি সকল ভাইদের বিশেষ করে তাঁদের আলেমদের যারা ইসলামের বিভিন্ন ফ্রন্টে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞদের যারা এর পূর্বেই সাক্ষী হয়েছিলেন কিভাবে জিহাদ পথহারা হয়ে যেতে পারে, কিভাবে এর অর্জিত ফসল বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং কিভাবে জিহাদে যাদের কোন ভূমিকা নেই তারা মুজাহিদদের সারিগুলোতে ঢুকে পড়ে এবং তাঁদেরকে ব্যার্থ ও নিঃশেষ করে দেয়আমি এই সব আলেমদের এবং অন্যদের আহ্বান করছি এই জিহাদের ব্যাপারে আপনারা আল্লাহকে ভয় করুনযাতে তাঁরা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যান এবং উম্মাহ্‌ ও মুজাহিদদের কাছে জিহাদের লক্ষ্য এবং সকল অনৈক্যের ব্যাপার পরিষ্কার করা যায় আর এটাই তো সেই দায়িত্ব যা সম্পর্কে আমাদের সবাইকে শেষ বিচারের দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আমার ভাইয়েরা জেনে রাখুন! খুরাসানে আপনাদের মুজাহিদীন ভাইয়েরা সব সময়ই অবিশ্বাসী এবং ইসলামের শত্রুদের সামনে বাঁধা হয়ে দাড়িয়ে থাকবে। আল্লাহ্‌র সাহায্যে তাঁরা দ্বীনের উপর অবিচল আছেন; তাঁরা পাল্টে যাননি আবার অপ্রাসঙ্গিকও হয়ে যাননি। আলহামদু লিল্লাহ তাঁরা সবরকারী। বহু ক্ষয়ক্ষতি, কঠিন পরিস্থিতি, ফিতনা, গালি, বিকৃতি এবং মিথ্যা তাঁদের সংকল্পে এতটুকুও চিড় ধরাতে পারেনি। তাঁরা খুব ভালো করেই জানেন এই পথের কাজই হচ্ছে এমন এবং তাঁরা জানেন যে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় ফিতনার আধিক্যই বিজয়, স্বস্তি ও ক্ষমতায়নের আগমনী বার্তা বহন করে। 

আমি আমার শামের ভাইদের কিছু উপদেশ দিতে চাই যারা মিথ্যা স্লোগান ও প্রোপাগান্ডা দ্বারা প্রতারিত হয়েছেনঃ আপনার বিচার-বুদ্ধিকে ব্যাবহার করুন, দুরদর্শিতাকে ব্যবহার করুন এবং ঘটনাগুলোকে ন্যায় ও নিরপেক্ষতার মানদন্ডে যাচাই করুন। পক্ষপাতিত্ব ও খাম-খেয়ালির ব্যাপারে সচেতন হোন, কারণ তা একজন ধার্মিকের দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য ভয়াবহ ব্যাপার। আপনার জীবন তো একটাই। তাই জিহাদ তার সঠিক পথ থেকে বিচ্যুতি ও খাম-খেয়ালীর অনুসরণ করার আগেই তা উদ্ধার করুন। পারষ্পরিক শত্রুতার আগুন নির্বাপনে আপনার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করুন এবং মুজাহিদদের মধ্যে সহমর্মিতা ফিরিয়ে আনার জন্য কঠোর সাধনা করুন। আমি আপনাদের সতর্ক করছি শয়তানকে ভাইদের মধ্যে অনৈক্যের বীজ বপন করতে দিবেন না। মুসলমানদের রক্তের পবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক হোন। মুজাহিদদের সাথে লড়াইয়ের ব্যাপারে সতর্ক হোন, কারণ পরিণতিতে এটা চূড়ান্ত ব্যার্থতা, শক্তিহীনতা ও শক্তিক্ষয় এবং পরকালে শাস্তি ও ব্যার্থতার দিকে পরিচালিত করে।

আমি আপনাদের সতর্ক করছি অজ্ঞদের এবং যারা জানার ভান করে তাদের অনুসরণ করার ব্যাপারে, তারা তেমনই যা আল্লাহ্‌র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সতর্ক করেছেন, তারা তাদের অজ্ঞতার দ্বারা ভুল পথে পরিচালিত হবে এবং অন্যেরকেও ভুল পথে পরিচালিত করবে। জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করুন এবং তাঁদের আলোকিত পথের অনুসরণ করুন যারা আপনাদের তুলনায় অভিজ্ঞতায় অগ্রগণ্য। বড় বড় নাম, কৃত্রিম টাইটেল এবং খালি স্লোগান দ্বারা প্রতারিত হবেন না, কারণ এগুলো হচ্ছে এক ধরনের মায়াজাল যা আপনাদেরকে প্রতারিত করবে, এক ধরণের মরিচিকা যা আপনাদেরকে ধ্বংস করবে, এবং উম্মাহ্‌র বিভাজন যাতে আপনার ভূমিকা থাকবে এবং মুজাহিদীনদের সারিগুলোর মাঝে বিচ্ছিন্নতা যাতে আপনি অংশগ্রহন করবেন। আল্লাহ্‌র কাছে পানাহ চাই!

আমার ভাইয়েরা! আমি আপনাদের শরীয়াহ্‌র অনুসরণের এবং খেয়াল খুশির অনুসরণকে পরিত্যাগ করার আহ্বান করছি। তাঁদের মর্যাদা সম্পর্কে জানুন এবং তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করুন যদি আপনার জানা না থাকে জেনে রাখুন! যারা গভীর জ্ঞানের আলেমদের বিরোধিতা করে এবং বিপরীতে অজ্ঞদের এবং যারা জানার ভান করে তাদের অনুসরণ করে, তারা নিজদেরকে ভয়াবহ বিপদের মুখে ফেলে দিবে এবং অন্যদেরকেও বিপদগামী করবে।

আমার ভাইয়েরা! জেনে রাখুন, সত্য কখনো স্বীয় অনুসারীদের মধ্যে বৈষম্য করে না এবং সত্যের অনুসারীরা একমাত্র খাম-খেয়ালীর কারণেই বিভাজিত হয়। যদি কোন কিছু তাদের মধ্যে ফাটল ধরায় তবে তা হচ্ছে মতভেদ ও অনৈক্য এবং এটাই হচ্ছে আল্লাহ্‌র সুন্নাহ যাতে কোন পরিবর্তন নেই।

আমি একনিষ্ঠ আলেমদেরকে মৌলিক বিষয়গুলো সংশোধন করার জন্য তাঁদের ভূমিকা পালন করার আহ্বান করব এবং তা সাধারণ মানুষদের নয় বরং মুজাহিদদের বিষয়গুলোতাঁদের এটা অবশ্যই করা উচিত, যাতে খাম-খেয়ালী এবং আকাঙ্ক্ষা দ্বীন ও কর্মপদ্ধতিতে পরিণত না হয়, ভ্রষ্টতা ও চরমপন্থা যেন অবিচলতা ও দৃঢ়তায়, শরীয়াহ্‌র মূল নীতিমালার পরিত্যাগ যেন প্রজ্ঞা ও দুর্দর্শিতায় পরিণত না হয় এবং জিহাদ যেন জ্ঞান ও জ্ঞানী আলেমদের অনুপস্থিতিতে অজ্ঞ লোকদের বিভিন্ন বিষয়ে হাল আকড়ে ধরার কারনে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে না পড়ে।

সাম্প্রতিক সময়ে একটা বিষয় যা আমাদের নজরে এসেছে তা হচ্ছে একদল বিপুল পরিমান অজ্ঞ, ভন্ড এবং অপরিচিত ব্যক্তি ফতোয়া ও দিকনির্দেশনা দিতে শুরু করেছে। ফলস্বরূপ অনেকগুলো নতুন নতুন পরিভাষা গজিয়ে উঠেছে যার সাথে নির্ভরযোগ্য ইলমের কোন সম্পর্ক নেই এবং দুর্ভাগ্যবশত এগুলোই হচ্ছে দ্বীনের সেই সকল সর্বোচ্চ বিষয়ের মধ্যে অন্যতম যেমন- আল্লাহ্‌র নাম ও গুনাবলী সম্পর্কিত বিশ্বাস এবং অনুরূপ স্পর্শকাতর ফতোয়া।

তারা এই অজুহাতটি ব্যাবহার করেছে তাকফীর করার জন্য তাও শুধুমাত্র সাধারণ মুসলিমদেরই নয় বরং মুজাহিদদের সর্বশ্রেষ্ঠ অংশটির উপর এবং এর মাধ্যমে তাঁদের রক্তকে হালাল বানিয়ে নিয়েছে। আমরা যদি এই ধারাটি চলতে দেই তবে এই ভ্রষ্টতা সুযোগ পেয়ে শুধু বাড়তেই থাকবে।

এটা এমন কিছু বিষয় যা জিহাদ ও তার বার্তাকে সাংঘাতিকভাবে বিকৃত করেছে এবং এটা মারাত্মকভাবে উম্মাহ্‌র বর্তমান ও ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলছে। আমাদের ধারনা যা আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি তার একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে জিহাদের চেহারাকে বিকৃত করা এবং মানুষকে জিহাদ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া।

এই ভ্রষ্টতা শুধুমাত্র অজ্ঞ ও অপরিচিত লোকদের হাতে ফতোয়া এবং দিক নির্দেশোনা তুলে দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তা সমানভাবে একনিষ্ঠ আলেম ও তাদের কাছে জানতে চাওয়া থেকে  থেকে মানুষদেরকে দুরে সরিয়ে দেয়, যা আল্লাহ তাঁদের উপর দায়িত্বারোপ করেছেন।

এহেন পরিস্থিতি আলেমদের জন্য এটাকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে যে তাঁরা তাঁদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ব্যায় করবেন তাঁদের ভাইদের শিক্ষিত করে তোলার জন্য যাতে শরীয়াহর নীতিমালা মুজাহিদদের কাছে কোন অপরিচিত কিছুতে পরিণত না হয় এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে ও তাদের কর্মপদ্ধতি পরিবর্তন করেছে তা তাদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে যায়।

আমাদের অবশ্যই আমাদের ভুল ও সীমাবদ্ধতাগুলো স্বীকার করার সৎসাহস থাকতে হবে বরং যখনই আমরা ভুল করি তা যেন স্বীকার করে নেই এবং তা সংশোধনের কঠোর সাধনা চালিয়ে যাই, আল্লাহর জন্য দোষারোপকারীদের কোন প্রকার ভয়ভীতি ছাড়াই”

 

শাইখ আবু দুজানা যে সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁর মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে শাইখ আতিয়াতুল্লাহ ও শাইখ আবু ইয়াহইয়ার তত্ত্বাবধান ও উৎসাহে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জিহাদী গ্রুপগুলোর মাঝে ঐক্য স্থাপন।

আল্লাহ তাঁকে পথ দেখিয়েছিলেন উপমহাদেশের মুজাহিদদের সাথে ট্রেইনিং ক্যাম্প এবং লড়াইয়ের ময়দানে তাঁর পুরোনো বন্ধুত্বের মাধ্যমে। আল্লাহ তাঁদের মাঝে তাঁকে জনপ্রিয়তা দান করেছিলেন এবং তাই তিনি কয়েকটি গ্রুপকে একতাবদ্ধ করে একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন এবং এভাবে আল্লাহ অনুগ্রহ ও ইচ্ছায় ইমারতে ইসলামিয়্যাহ্‌র পতাকাতলে আল-কায়েদা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট শাখা গঠন করা হয়েছে।

যখন ইবরাহীম আল বদরী এবং তার সঙ্গীরা ক্ষমতার লড়াইয়ে মুসলিমদের মুরতাদ ঘোষণা করে এবং তাঁদের রক্ত ঝরানো শুরু করেছিল, তখন তিনি মানুষদেরকে কামনা-বাসনা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। পরে যখন মুরতাদ পাকিস্তান সরকার ও আমেরিকান ঘুষের উপর গজিয়ে উঠা সেনাবাহিনীর ধোঁকাবাজ নেতারা ওয়াজিরিস্তানে তাদের যুদ্ধ পরিচালনা করে, শাইখ আবু দুজানা তাঁর ভাইদের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে তাঁদের সাহায্য করেন।

তিনি তাঁদের কাজগুলোকে আঞ্জাম দেয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন এবং মুহাজিরদের পরিবারগুলোর নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করেন। এসব কাজের ফলস্বরূপ তাঁকে দিনে ও রাতে ব্যাস্ত থাকতে হয়েছিল, ফলে মুরতাদ গোয়েন্দাবাহিনী তাঁকে পর্যবেক্ষন করার সু্যোগ পায় এবং ড্রোন হামলার মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করে। আর এভাবেই তিনি তার রবের কাছে চলে যান, প্রতারক এবং ভাড়াটেদের ভূমিকায় অবতীর্ণ পাকিস্তান সরকার, সেনাবাহিনী ও ক্রুসেডারদের অপরাধের বিরুদ্ধে তাঁর রক্ত দিয়ে তিনি সাক্ষ্য দিয়ে যান।

আর তখন ইব্রাহীম বদরী ও তার দল এসে দৃশ্যপটে উপস্থিত হয় এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও তাঁর ভাইদের তাকফীর করার জন্য। এমন মারাত্মক কথা তাদের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, সুতরাং তারা তো মিথ্যা ব্যতীত আর কিছুই বলে না!

তারা আসলে এই আয়াত থেকে কতটা দূরে অবস্থা করছে-

﴿وَالَّذِينَ جَاؤُو مِن بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالإِيمَانِ وَلا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلاًّ لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفٌ رَّحِيمٌ﴾

“আর এই সম্পদ তাদের জন্যে, যারা তাদের পরে আগমন করেছে। তারা বলেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে আগ্রহী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়”। (সুরা হাশর-১০)

আজকের জন্য এতোটুকুই। অন্য পর্বে আমি ওয়াজিরিস্তানে ক্রুসেডার পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমনে শহীদদের গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্‌। আর আমাদের সর্বশেষ প্রার্থনা হচ্ছে, সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার যিনি এই বিশ্বজগতের মালিক।

এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবার ও সঙ্গী-সাথীদের উপর। ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু।

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]

======================

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − one =

Back to top button