ইসলামের সমর্থনে একটি প্রামাণ্যপত্র – মুজাহিদ শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী (হাফিজাহুল্লাহ)
ইসলামের সমর্থনে একটি প্রামাণ্যপত্র – মুজাহিদ শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী (হাফিজাহুল্লাহ)
বালাকোট মিডিয়া অনূদিত
https://banglafiles.net/index.php/s/LL2TbDQdXSmLXYZ
https://archive.org/download/islamer-somorthone/.pdf
https://ia800900.us.archive.org/3/items/balakot_media_books/Islamer_shomorthone_ekti_pramannopotro.pdf http://www.mediafire.com/file/3q3ppnk9cizlsef/19.Islamer_shomorthone_ekti_pramannopotro.pdf/file
Word
https://banglafiles.net/index.php/s/yDzHW36mR4jmTkW
https://archive.org/download/islamer-somorthone/.docx
http://www.mediafire.com/file/tefw3hor5o767k8/19.Islamer_shomorthone_ekti_pramannopotro.docx/file
=======================
ইসলামের সমর্থনে একটি প্রামাণ্যপত্র – মুজাহিদ শাইখ আইমান আল–জাওয়াহিরী (হাফিজাহুল্লাহ)
উৎস: আস–সাহাব মিডিয়া (হিজরী ১৪৩৩)
অনুবাদ করেছেন: উস্তায আবু আনিকা (দাঃ বাঃ)
পরিবেশনায়: বালাকোট মিডিয়া (হিজরী ১৪৩৫)
আল্লাহর নামে শুরু করছি, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবীবৃন্দ ও মিত্রদের প্রতি।
মুসলিম উম্মাহ বর্তমানে এমন এক বিপদজনক সময়কাল অতিক্রম করছে যে সময়ে মুসলিম জাতি সবচাইতে জঘন্য ও কুখ্যাত ক্রুসেড হামলার সম্মুখীন। যেথায় জনগণ ইসলামী শরীয়তের ছায়াতলে স্বাধীনতা,সম্মান ও মর্যাদা তালাস করছে। আর মুসলিম দেশসমূহে ঘটে চলা এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনকে রুখে দিতে আজ সেকুলার (ধর্মনিরপেক্ষ) ও ক্রুসেড বাহিনী তাদের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিপদ সংকুল সময়ে মুসলিম জাতির উচিৎ এক কথা অর্থাৎ তাওহীদের কালিমার উপর ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
তাই আল–কায়েদার মুজাহিদ ভাইগণ আহ্বান জানাচ্ছেন, সকল মুসলমান, ইসলামের কর্মীগণ, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী সমাজ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব, সবাইকে নিম্নোক্ত পদক্ষেপের আলোকে ইসলাম ও মুসলমানদের সাহায্যে ঐক্যবদ্ধ হতে।
১) দখলকৃত সকল মুসলিম ভূমিসমূহ মুক্ত করতে কাজ করা। সব ধরনের চুক্তি, সমঝোতা বা আন্তর্জাতিক রেজুলেশন (সিদ্ধান্ত–স্বীকৃতি)যা কাফেরদেরকে মুসলমানদের ভূমির উপর কর্তৃত্ব করার অধিকার দিয়েছে, সেগুলো প্রত্যাখ্যান করা। যেমন: ফিলিস্তিনের উপর ইসরাঈলের কর্তৃত্ব করা, চেচনিয়া ও মুসলিম ককেশাসের উপর রাশিয়ার কর্তৃত্ব করা, কাশ্মিরের উপর ভারতের কর্তৃত্ব করা, চেওতা ও মেলিলিয়ার উপর স্পেনের কর্তৃত্ব করা ও পূর্ব তুর্কিস্তানের উপর চীনের কর্তৃত্ব করা।
২) ইসলামী শরীয়তের শাসন আঁকড়ে ধরা এবং ঐ সকল শাসন প্রত্যাখ্যান করা যা মৌলিকভাবে শরীয়ত বিরোধী অথবা আকীদাগত বা বিধানগত বিরোধী, চাই তা হোক:
ক) গণতন্ত্রের শাসন যা জনগণকে সার্বভৌমত্বের অধিকার প্রদান করে (যা হলো শিরক)।
খ) অথবা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় শাসন যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী শক্তিসমূহ দ্বারা গঠিত, যা জাতিসংঘ নামে পরিচিত, যা কিনা:
(এক) পাঁচটি উদ্ধত শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যারা তাদের ইচ্ছাগুলোকে পৃথিবীর অন্যান্য দেশসমূহের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
(দুই) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্যগণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে শাসন কার্যকর করছে, ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী নয়।
(তিন) আর যা ইহার সদস্যগণের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শাসনকে সম্মান করতে বিধান রচনাকরেছে, অর্থাৎ ককেশাস মুসলমানদের উপর রাশিয়ার কর্তৃত্বকে সম্মান করা, এবং একইভাবে পূর্ব তুর্কিস্তানের উপর চীনের কর্তৃত্ব, চেওতা ও মেলিলিয়ার উপর স্পেনের কর্তৃত্ব,এবং ফিলিস্তিনের উপর ইসরাঈলের।
(চার) আর ইহা ১০টি রেজুলেশন (সিদ্ধান্ত–স্বীকৃতি) ইস্যু করেছে যা মুসলিম ভূমিসমূহে আগ্রাসন চালাতে অনুমোদন দিয়েছে। যেমন: ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করা ও ইসরাঈলী সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার নীতি ও তদসংশ্লিষ্ট আরো কিছু নীতিমালা। আরো যেমন, ইরাকের উপর শাস্তিমূলক নীতি চাপিয়ে দেয়া। যেমন, ঐ নীতি যার মাধ্যমে ক্রুসেডার জোট আফগানিস্তানে হামলাকে বৈধতা দিয়েছে। আর যেমন, “বোন চুক্তি” (Bonn Agreement) যার ভিত্তিতেতারা কাবুলে বিশ্বাসঘাতক পুতুল সরকার বসিয়েছে।তাই দাবি হচ্ছে, ইসলামী শরীয়ত প্রতিষ্ঠা করা ও শরীয়তবিরোধী শাসনকে প্রত্যাখ্যান করা। আর প্রচেষ্টা করা যেন মুসলিম রাষ্ট্রসমূহে একমাত্র ইসলামী শরীয়তের দ্বারাই শাসন করা হয়, যেখানে শরয়ী কোনো বির্তক বা দালিলিক কোনো প্রতিযোগিতা থাকবে না। আর আমরা আন্তর্জাতিক আইনের কাছে মাথানত করাকে প্রত্যাখ্যান করি, যে আইন বিশ্বের বৃহত্তম উদ্ধত–অহংকারীদের প্রতিনিধিত্ব করছে।
৩) পশ্চিমা জোট মুসলমানদের যে সম্পদ প্রতারণামূলকভাবে লুট করছে, তা বন্ধ করতে কাজ করা। সেই পশ্চিমা জোট যারা আমেরিকার নেতৃত্বে ইসলামের ভূমি দখল করেছে, যা মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লুন্ঠন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকবে।
৪) দুর্নীতিবাজ স্বেচ্ছাচারী ও জালেমদের বিরুদ্ধে মুসলমান জনগণের বিপ্লবকে সমর্থন ও সহযোগিতা করা। জনগণের মধ্যে ইসলামী শরীয়তের শাসনের প্রয়োজনীয়তা ও ইসলামী বিধানের আবশ্যকতা সর্ম্পকে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যে বিপ্লবটি সাধিত হয়েছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জনগণকে আহ্বান করা, যতক্ষণ পর্যন্ত না দুর্নীতিযুক্ত শাসনব্যবস্থার অবশিষ্টাংশেরও মূলোৎপাটন হয়ে যায়। আর নিজ দেশকে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে ও আভ্যন্তরীণদুর্নীতি হতে পবিত্র করা।
আর যে সকল জনগণ ইতিপূর্বে বিপ্লব করেনি তাদেরকে উৎসাহিত করা যেন তাঁরা পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে, যাতে করে মুসলিম বিশ্ব ঐসকল দালালদের শাসন হতে মুক্ত হয়।
৫) বিশ্বের দুর্নীতিবাজ ও স্বেচ্ছাচারীদের বিরুদ্ধে দুর্বল ও মজলুমের পক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
৬) ঐ খিলাফতকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করা যা দখলবাজদের চাপিয়ে দেয়া কোনো জাতির রাষ্ট্র বা জাতীয় যোগসূত্র বা সীমানাকে চিহ্নিত করে না, বরং যা প্রতিষ্ঠা করবে নবুয়াতী পদ্ধতিতে খুলাফায়ে রাশেদীনগণের ন্যায় খিলাফতব্যবস্থা, যা মুসলমানদের একভূমিতে বিশ্বাস করে, ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক যেখানে সমমানের হবে,যা ঐসমস্ত সীমানাকে মিটিয়ে দেবে যা তাদের উপর শত্রুরা চাপিয়ে দিয়েছে। আর প্রচেষ্টা করবে ইনসাফ ছড়িয়ে দিতে ও সকল কাজে শুরা–পরামর্শ করতে। দুর্বলদেরকে সাহায্য করতে এবং মুসলমানদের সকল ভূমি মুক্ত করতে প্রচেষ্টা করবে।
৭) এই সকল পদক্ষেপকে ঘিরে সকল প্রচেষ্টা ও ইসলামী শক্তিকে একীভূত করা এবং উহার প্রতি আহ্বান জানানো ও মুসলমানদের মধ্যে উহা প্রচার–প্রসার করা।
ইহাই ছিল (وثيقةنصرةالإسلام) বা “ইসলামের সমর্থনে একটি প্রামাণ্যপত্র” এর লক্ষ্য। তাই আমরা এমন সকলকে আহ্বান করছি, যারা এতে সন্তুষ্ট, তারা যেন উহার দিকে আহ্বান করে, সমর্থন করে এবংসম্ভাব্য সকল প্রচার মাধ্যমের দ্বারা উহাকে উম্মাতের জনগণের মধ্যে প্রচার–প্রসার করে।
আল্লাহ তাআলা সকলের নিয়্যত ও উদ্দেশ্যকে ভালোভাবে জানেন। তিনিই সঠিক পথ দেখান।
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের সর্দার হযরত মুহাম্মদ,তাঁর পরিবার ও তাঁর সাহাবীদের উপর। আর আমাদের শেষ কথা হচ্ছে “আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন”।
আপনাদেরই ভাই
আল–কায়েদার পক্ষ থেকে
আইমান আল–জাওয়াহিরী