খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে উইঘুর মুসলমানরা! – শাইখ আব্দুল হক তুর্কিস্তানী (হাফিজাহুল্লাহ)
আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী (তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি) এর প্রধান আমীর শাইখ আব্দুল হক তুর্কিস্তানী (হাফিজাহুল্লাহ) এর সাক্ষাৎকার।
খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে উইঘুর মুসলমানরা!
মাওলানা হামিদুর রহমান
অনুদিত
https://archive.org/details/KhilafahAndolon
https://archive.org/download/Khilafa…%20andolon.pdf
http://www.mediafire.com/file/051i4t…ah_andolon.pdf
word
https://archive.org/download/Khilafa…20andolon.docx
http://www.mediafire.com/file/g3cnsw…h_andolon.docx
Banner
http://u.cubeupload.com/usama_media/112khilafahandolon.jpg
PDF
—-
http://www.mediafire.com/file/jkyfyurjnvmnf45/112._khilafah_andolon.pdf/file
https://archive.org/download/U_M_A_04/112.%20khilafah%20andolon.pdf
Word
—–
http://www.mediafire.com/file/qtyg6dgs328ljnb/112._khilafah_andolon.docx/file
https://archive.org/download/U_M_A_04/112.%20khilafah%20andolon.docx
=============
আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী (তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি) এর প্রধান আমীর শাইখ আব্দুল হক তুর্কিস্তানী (হাফিজাহুল্লাহ) এর সাক্ষাৎকার।
খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে
উইঘুর মুসলমানরা!
অনুবাদ
মাওলানা হামিদুর রহমান
শাইখের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
শাইখ আব্দুল হক তুর্কিস্তানী হাফিজাহুল্লাহ ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে জন্ম গ্রহণ করেন। তার আসল উইঘুর নাম মেমতিমিং মেমেত। বর্তমানে তিনি তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টির প্রধান আমীর হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
২০০৩ সালে তাঁর আমীর শাইখ হাসান মাখদুম রহ. এর শাহাদাতের পর তিনি তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টির আমীর নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে তিনি আল-কায়দার শুরা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হন। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকসহ জিনজিয়াং প্রদেশে সংঘটিত বেশ কয়েকটি হামলার জন্য চীন সরকার তাঁকে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় সংযুক্ত করে। আমেরিকান ট্রেজারী ডিপার্টমেন্ট ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে তাঁর দল তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টিকে “সন্ত্রাসী” তালিকাভূক্ত করে। এছাড়াও জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহর সাথে সম্পর্ক থাকায় তাঁকে সন্দেহভাজন তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ১৯৯৮ সালের মার্চে তিনি চীন ত্যাগ করেন এবং তখন থেকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে মুজাহিদদের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে আমেরিকান আগ্রাসনের পূর্বে শাইখ আব্দুল হক নাংগাহার প্রদেশের তোরাবোরায় প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করতেন। তিনি পরবর্তীতে পাকিস্তানের উপজাতী এলকায় পুণরায় প্রশিক্ষন শিবির চালু করেন। গুয়ান্তানামো বে’র উইঘুর বন্দীরা স্বীকার করেন যে, তাঁদেরকে শাইখ আব্দুল হক হাফিজাহুল্লাহ এবং শাইখ হাসান মাখদুম রহিমাহুল্লাহ প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
শাইখ আব্দুল হক হাফিজাহুল্লাহকে আল-কায়দার কেন্দ্রীয় সার্কেলে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে পাকিস্তানের উপজাতী এলাকায় তালেবানের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে মধ্যস্থতা ও গুরুত্বপুর্ণ সামরিক বিষয়াদিতে মজলিসে শুরার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে পাঠানো হয়। এ সময় তিনি আল-কায়দা অন্যতম কমান্ডার, দ্বীনের দাঈ শাইখ আবু ইয়াহ্ইয়া আল-লিবী রহিমাহুল্লাহ, তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের (TTP) আমীর শাইখ বায়তুল্লাহ মেহসুদ রহিমাহুল্লাহ এবং তালেবানের আরেক গুরুত্বপুর্ণ নেতা হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান শাইখ সিরাজুদ্দীন হাক্কানি হাফিজাহুল্লাহর সাথে দেখা করেন।
২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারী প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় শাইখ আব্দুল হক হাফিজাহুল্লাহ বলেন-
“আল্লাহ্র ইচ্ছায়, এই পথে আমাদের সকল শক্তি নিয়ে আমরা আমাদের পূর্ব তুর্কিস্তানের নির্যাতিত ভাইদের উদ্ধারের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি – আর আল্লাহ্র ইচ্ছায়, আমরা আমাদের মজলুম ভাইদের কমিউনিস্ট সরকারের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য কাজ করে যাচ্ছি যতদিন না আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এবং আমরা ইসলামী শরীয়াহ্র ছায়ায় আমাদের মূল্যবান জীবন অতিবাহিত করি অথবা আল্লাহ্র রাস্তায় শাহাদাত লাভ করি”।
এছাড়াও ২০০৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত আরেক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন-
“যদি তোমরা জিহাদ না কর তবে তোমরা কখনোই ধর্মদ্রোহীদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না যারা তোমাদেরকে তোমাদের ধর্ম ত্যাগ করতে বাধ্য করে এবং তাদের দাসে পরিণত করে। আর এভাবে তোমরা এই দুনিয়ার নিপীড়ন এবং পরকালীন শাস্তি থেকেও মুক্তি পাবে না, অথবা চিরসুখের জান্নাত যতদিন না তোমরা আল্লাহ্র দ্বীনে ফিরে আস”।
২০০৯ সালে ২ আগস্ট ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় শাইখ আব্দুল হক তুর্কিস্তানী হাফিজাহুল্লাহ উইঘুর আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হান চাইনীজদের সহিংসতার জবাব হিসেবে বিশ্বব্যাপী চীনা দূতাবাসগুলোতে হামলার আহ্বান জানান। ২০০৯ সালের ৫ জুলাইয়ের আন্দোলনটি পুলিশ বল প্রয়োগে দমন করলে তাতে অত্যন্ত ২০০ মুসলিম শহীদ হন।
২০১০ সালের মার্চে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আমেরিকান ড্রোন হামলায় শাইখ আব্দুল হক হাফিজাহুল্লাহ মারাত্মকভাবে আহত হন এবং ২০১৪ সালে সুস্থ হয়ে পুনরায় দলের হাল ধরেন।
তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি’র ম্যাগাজিন “ইসলামিক তুর্কিস্তান” এর ২য় ও ৩য় সংখ্যায় তাঁর সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। এছাড়াও আল-কায়দার আরব উপদ্বীপ শাখার (AQAP) আল মাসরা রিসালা’র ৩৪তম সংখ্যায় তাঁর ব্যাপারে একটি লেখা ছাপা হয়। TIP এর একটি ভিডিওতে শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসি, শাইখ আবু কুদামা, হাকিমুল উম্মাহ শাইখ ড. আইমান আয-যাওয়াহিরী, শাইখ হানি-আস-সিবাঈ, শাইখ আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনি, শাইখ নাসির বিন আলী আল-আনসি’র সাথে শাইখ আব্দুল হক হাফিজাহুল্লাহকেও দেখা যায়।
২০১৬ সালের জুনে একটি ভিডিও বার্তায় (সেই ভিডিও বার্তাটির অনুবাদ-ই আজ গ্রন্থাকারে পাঠকদের সামনে পেশ করা হচ্ছে।) শাইখ আব্দুল হক তুর্কিস্তানী আইএস (IS) এর খিলাফতকে অস্বীকার করেন এবং তা অবৈধ ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি তাঁর প্রাক্তন মিত্র উজবেকিস্তান ইসলামিক আন্দোলনে (IMU) এর আইএসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের জন্য নিন্দা জানান।
সুত্র- উইকিপিডিয়া অবলম্বনে লিখিত
অবতরণিকা
بسم الله الرحمٰن الرحيم
পূর্ব তুর্কিস্তানের মুসলমানদের প্রতি আল্লাহ্ তা’আলার অনুগ্রহসমূহের মধ্য থেকে একটি হচ্ছে, তাঁদেরকে এই দল তথা আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী দান করা৷ যা এ অঞ্চলের জনগণের জন্য স্তম্ভে পরিণত হয়েছে, যে দলের সৈনিকরা বিশ্বের সকল প্রান্তের মুজাহিদীন ভাইদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে৷ তারপর আল্লাহর সাহায্য তথা বিজয় অর্জিত হলে তাঁরা শুকরিয়া আদায় করে এবং মুসিবত-দুর্যোগে আক্রান্ত হলে ধৈর্য্য ধারণ করে৷ তুর্কিস্তানের মুজাহিদগণ তাওহীদের ঝান্ডাকে বুলন্দ করার জন্য এমন এক সময়ে জিহাদের পথকে বেছে নিয়েছেন, যখন কুফরী শক্তি গোটা বিশ্বময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে৷ তাঁদের প্রথম অস্ত্র হচ্ছে ঈমান ও কুরআন৷
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন-
إن يمسسكم قرح فقد مس القوم قرح مثله وتلك الأيام نداولها بين الناس وليعلمن الله الذين آمنوا ويتخذ منكم الشهداء والله لا يحب الظالمين
অর্থঃ “যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে, তবে নিশ্চয়ই সেই সম্প্রদায়েরও তদ্রূপ আঘাত লেগেছে এবং এ দিনগুলোকে আমি পালাক্রমে মানুষদের মধ্যে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি৷ এভাবে আল্লাহ্ তা’আলা জানতে চান কারা ঈমানদার, আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ রূপে গ্রহণ করতে চান৷ আর আল্লাহ্ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না”৷ (সুরা আল ইমরান: ১৪০)
আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী ইসলাম ও মুসলমানদের সাহায্য করার জন্য সর্বাধিক মূল্যবান যে সকল কমান্ডার, বিজ্ঞজন ও মুখলিছ সৈনিকদের নজরানা পেশ করেছে তাঁদের কয়েকজন হলেন-
শাইখ হাসান মাখদুম রহিমাহুল্লাহ্
শাইখ ইউসুফ কাদের খান রহিমাহুল্লাহ্
শাইখ আব্দুল জাব্বার রহিমাহুল্লাহ্
শাইখ ইবনে ওমর রহিমাহুল্লাহ্
শাইখ আব্দুশ শাকুর রহিমাহুল্লাহ্
শাইখ বিলাল – আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ্
শাইখ হাসান মাখদুম রহিমাহুল্লাহর শাহাদাত বরণের পর শাইখ আব্দুল হক হাফিজাহুল্লাহ্ আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী’র নেতৃত্ব গ্রহণ করেন৷ তাঁদের ও ন্যায়-নিষ্ঠাবান বিজ্ঞজনদের জিহাদের ডাক চীনাদের ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছে এবং একের পর এক সুসংবাদ নিয়ে আসছে৷ তন্মধ্যে একটি হচ্ছে, আহলে শামদের সাহায্য করার জন্য স্বতন্ত্র “আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী লিনুসরাতি আহলিশ শাম” গঠন করা৷ সুতরাং তুর্কিস্তানের যুবক-বৃদ্ধ সকলে একযোগে শামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ কেননা তাঁরা যুদ্ধের প্রস্তুতিস্বরূপ আহলে শামদের সামরিক প্রশিক্ষণ অর্জন করেছে৷ তাঁরা আহলে শাম ও তুর্কিস্তানীদের জন্য কুরবানী দিয়ে যাচ্ছে ও আজীবন দিতে থাকবে৷
আর ইসলামী তুর্কিস্তানের (পূর্ব তুর্কিস্তান) ভেতর চীনাদের ওপর বিভিন্ন প্রকারের অপারেশন ও আক্রমণ ক্রমশ উন্নত হচ্ছে ও বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এ সকল অপারেশন শতশত চীনা ও তাদের মুরতাদ এজেন্টদেরকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিয়েছে৷
এখন আমরা আপনাদের সামনে আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী’র আমীরে আম বা প্রধান আমীর শাইখ আব্দুল হক হাফিজাহুল্লাহ’র এ সাক্ষাৎকারটি পেশ করছি, যেখানে আমরা তাঁর কাছে এমন কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করব, যেগুলো উম্মাহকে উদ্বিগ্ন করে থাকে৷
প্রথম প্রশ্নঃ আপনারা আলহিযবুল ইসলামী আত–তুর্কিস্তানী’র আকিদা-বিশ্বাস ও কর্মপদ্ধতি কিভাবে সাজান?
উত্তরঃ পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি৷ সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলার জন্য এবং দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কেরাম ও যারা তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন তাঁদের প্রতি৷
হামদ ও সালামের পর–
আমাদের আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী’র আকিদা-বিশ্বাস হচ্ছে সেটাই, যা ছিল সাহাবায়ে কেরাম তাবেয়ী’ ও তাবে’ তাবেয়ী’দের বুঝ অনুযায়ী আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকিদা-বিশ্বাস৷ আর আমাদের কর্মপদ্ধতি হচ্ছেঃ একটি ব্যাপক ইসলামী ও তরবিয়াতী পদ্ধতি অনুযায়ী কোরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা৷ আমাদের লক্ষ্য হচ্ছেঃ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা৷ আমাদের পন্থা হচ্ছেঃ আল্লাহর পথে জিহাদ এবং আমর বিল মা’রুফ ও নাহী আ’নিল মুনকার করা৷ যেমন আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন-
ومن أحسن قولا ممن دعا الى الله وعمل صالحا وقال إنني من المسلمين
অর্থঃ “ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা কথায় কে উত্তম যে আল্লাহর দিকে মানুষকে আহবান করে, সৎকর্ম করে এবং বলে আমি তো আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত”৷ (সুরা হা-মীম সেজদাহ: ৩৩)
আমরা আমাদের আমলকে সুসজ্জিত করি কুরআন-সুন্নাহ্, আকীদা-বিশ্বাস, আখলাক, ইবাদাত ও শিক্ষা-দীক্ষা এবং এমন ইসলামী রাজনীতি দ্বারা, যার কাঠামো হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ্ এবং যার ভিত্তি একটি ব্যাপক ইসলামী তরবিয়াতের উপর হওয়া আবশ্যক৷
চীন পূর্ব তুর্কিস্তানকে জবরদখল করে নিয়েছে এবং সেখানে চীনের মানবিক, সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সবধরনের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে৷ চীনের এ কাজই সকল মুসলমানের ওপর জিহাদকে ওয়াজিব করে দেয়৷ আর আমাদের আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী’র মিশন হল তুর্কিস্তানীদের মাঝে জিহাদকে জিন্দা করা৷
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ আলহিযবুল ইসলামী আত–তুর্কিস্তানী কিভাবে পরিচালিত হয়?
উত্তরঃ “আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী” গঠিত হয়েছে কুরআন, হাদিস, ইজমা’ ও কেয়াসের কাঠামোতে৷ এবং এটাই “আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী” কে তুর্কিস্তানের অন্যান্য ঐ সকল দল থেকে স্বতন্ত্র করে দেয়, যেগুলো গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের পন্থা অবলম্বন করেছে৷
আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন-
وإن هذا صراطي مستقيما فاتبعوه ولا تتبعوا السبل فتفرق بكم عن سبيله ذلكم وصاكم به لعلكم تتقون
অর্থঃ “আর এ পথই আমার সরল পথ; সুতরাং তোমরা এ পথেরই অনুসরণ কর৷ এ পথ ছাড়া অন্যান্য কোন পথের অনুসরণ করো না, অন্যথায় তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাদেরকে এই নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা বেঁচে থাকতে পারো”৷ (সুরা আনআম: ১৫৩)
আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী’র শীর্ষভাগে আমীর, নায়েবে আমীর ও মজলিসে শুরা রয়েছে৷
আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন-
ياأيها الذين آمنوا أطيعوا الله وأطيعوا الرسول وأولي الأمر منكم
অর্থঃ “হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর অনুগত হও ও রাসুলের অনুগত হও এবং তোমাদের অন্তর্গত আদেশদাতাগণের; অতপঃর যদি তোমাদের মধ্যে কোন বিষয়ে মতবিরোধ হয় তবে আল্লাহ্ ও রাসুলের দিকে প্রত্যাবর্তিত হও— যদি তোমরা আল্লাহ্ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে থাক; এটাই কল্যাণকর ও শ্রেষ্ঠতর সমাধান৷ (সুরা নিসা: ৫৯)
এবং আল্লাহ তাআলা আরও বলেছেন-
والذين استجابوا لربهم وأقاموا الصلاة وأمرهم شورى بينهم ومما رزقناهم ينفقون
অর্থঃ “(ওগুলি তাঁদের জন্য) যারা তাঁদের প্রতিপালকের আহবানে সাড়া দেয়, নামাজ কায়েম করে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে তাদের কর্ম সম্পাদন করে এবং তাদেরকে আমি যে রিজিক দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে”৷ (সুরা শুরা: ৩৮)
তৃতীয় প্রশ্নঃ শামে আলহিযবুল ইসলামী আত–তুর্কিস্তানী’র একটি শাখা গঠন করা হয়েছে৷ তো এই শাখার কাজ কি?
উত্তরঃ আল্লাহ্ তা’আলার দয়া ও অনুগ্রহে আমরা শামের ভূমিতে একটি শাখা গঠন করতে সক্ষম হয়েছি৷ আমরা কিছুকাল যাবৎ জিহাদের পরিধি প্রশস্ত করার ও খোরাসানের বাহিরে আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী’র কিছু নতুন শাখা খোলার চিন্তা-ভাবনা করছিলাম এবং আমরা চেষ্টা-তদবিরও চালিয়ে গিয়েছিলাম৷ তারপর আল্লাহ্ তা’আলা আমাদেরকে শামের জিহাদ দান করে আমাদের প্রতি ইহসান করলেন৷ কাফেরদের শক্তির সাথে আমাদের শক্তির সমতুল্যতা না থাকা সত্ত্বেও আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ছিল দলের সেই ভিত্তিকে হেফাজত করা, যার ওপর দলটি ভিত্তিপ্রস্তর করবে এবং সামনের আগত জিহাদি কাফেলা থেকে শত্রুকে প্রতিহত করা৷
শামে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যসমূহের মধ্য থেকে একটি হচ্ছে ইসলামী তরবিয়ত/শিক্ষা জোরদার করা এবং ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য জান কোরবানকারী মুখলিছ মুজাহিদ তৈরী করা৷
আল্লাহ্ তা’ আলা বলেছেন-
وأعدوا لهم ما استطعتم من قوة ومن رباط الخيل ترهبون به عدو الله وعدوكم وآخرين من دونهم لا تعلمونهم الله يعلمهم
অর্থঃ “তোমরা কাফেরদের মুকাবিলা করার জন্যে যথাসাধ্য শক্তি ও সদা সজ্জিত অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে, যা দ্বারা আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করবে, এ ছাড়া অন্যান্যদেরকেও, যাদেরকে তোমরা জানোনা; কিন্তু আল্লাহ্ জানেন”৷ (সুরা আনফাল: ৬০)
এছাড়া আমাদের কাজের ভেতর উম্মাহর মুজাহিদগণের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে শামে মজলুম আহলে শামদের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাও রয়েছে৷ জিহাদের এই আবশ্যিকতা আমাদের প্রতি প্রত্যেক ভূমিতেই ওয়াজিব৷
আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন-
وقاتلوا المشركين كافة كما يقاتلونكم كافة واعلموا أن الله مع المتقين
অর্থঃ “আর তোমরা সকল মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যেমন তারা তোমাদের সকলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন”৷ (সুরা তাওবাহ্: ৩৬)
আমাদের উচিত বর্তমানে শামে যে পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে সেটাকে আমাদের ধার্মিক, সামরিক ও রাজনৈতিক নেতা তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো, যেন পরবর্তীতে তারা জিহাদের কাজে তাঁদের তুর্কীস্তানী ভাইদেরকে সাহায্য করতে পারে ও একই সময়ে আহলে শামদের প্রতিও তাঁদের দায়িত্ব আদায় করতে পারে৷
আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন-
يا أيها الذين آمنوا قاتلوا الذين يلونكم من الكفار وليجدوا فيكم غلظة واعلموا أن الله مع المتقين
অর্থঃ “হে মুমিনগণ! ঐ কাফেরদের সাথে যুদ্ধ কর যারা তোমাদের আশেপাশে অবস্থান করে, আর যেন তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা পায়; আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ পরহেযগারদের সাথে রয়েছেন”৷ (সুরা তাওবাহ্: ১২৩)
চতুর্থ প্রশ্নঃ প্রায় বছরখানেক পূর্বে দাউলাতুল ইসলামিয়া (দায়ে’শ) খেলাফত কায়েমের ঘোষণা দিয়েছিল৷ তো সে ব্যপারে আপনাদের কি অভিমত?
উত্তরঃ নবুওয়তের আদলে খেলাফত প্রতিষ্ঠা হওয়া আমাদের হৃদয়ের তামান্না, তার জন্য আমরা বিগত কয়েক দশক যাবৎ কুরবানী দিয়ে আসছি, খিলাফাহ এ উম্মাহর স্বপ্ন এবং তা প্রতিষ্ঠা করা খোদায়ী নির্দেশ ও খেলাফত হারানোর কারণেই আমাদেরকে আজ এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে৷ ইরাক ও শামের মুজাহিদদের মাঝে যখন খেলাফতের সূর্য আবির্ভূত হল তখন আমরা এ মাসআলার ব্যাপারে আল্লাহওয়ালা আলেমদের পক্ষ থেকে কি আজ্ঞাবহ জারী হয়— তা জানার অপেক্ষায় সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছিলাম৷ ওলামায়ে কেরাম যখন এ বিতর্কের ব্যাপারে তাঁদের বাণী জানালেন তখন আমরা চুপ থাকাকে প্রাধান্য দিলাম৷ কেননা সে সকল সত্যনিষ্ঠ আলেমদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে, তাঁদের নিকট আমরা যে মাসআলাই জানতে চেয়েছি; কোন সময় নৈরাশ হইনি৷
ইরাকে জিহাদের যে মশাল শাইখ আবু মুস’আব আয-যারকাবী রহিমাহুল্লাহ জ্বালিয়ে ছিলেন তা বিগত দশ বছর যাবৎ বিশ্ব কুফরী শক্তির স্তম্ভকে চুরমার করে দিয়েছিল৷ তখন কাফেররা দলের ভেতর ফেতনা ও বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করার জন্য আমীরদেরকে গুপ্তহত্যা করার নীতি অবলম্বন করা শুরু করল৷ ইরাকের মুজাহিদগণ এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন একাধিকবার৷
আমরা যদি দাউলাতুল ইসলামিয়া কর্তৃক খেলাফত ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টির দিকে ফিরে তাকাই তাহলে দেখতে পাই যে, তার তুলনা হয় সেই ফলের সাথে যা পরিপক্ক হওয়ার আগেই বৃক্ষ থেকে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে৷ আর যদি বিষয়টিকে আমরা শরীয়তের সামনে তুলে ধরি তাহলে দেখতে পাই যে, কেবল একদল মানুষ থাকলে তাদের দ্বারাই খেলাফত কায়েম হয়ে যায় না; বরং খেলাফত কায়েম হয় কিছু শরয়ী শর্তসাপেক্ষে৷ আর তা কায়েম করতে হয় উম্মাহর একটি বিরাট সংখ্যার ঐক্যমতের ভিত্তিতে ও খেলাফতকে সর্বোতভাবে সঙ্গ দেয়া হয় মুসলমানদের কাতার এক হওয়ার মাধ্যমে এবং খেলাফতের প্রতি তাঁদের সম্মতি থাকার মাধ্যমে৷ আর দাউলাতুল ইসলামিয়া যে সময় খেলাফত কায়েমের কথা ঘোষণা দিয়েছে, তখন মুসলমানরা সব এক কাতারে ছিল না; বরং খেলাফত কায়েমের এ ঘোষণা ছিল দাউলাতুল ইসলামিয়া কর্তৃক সেই বাইয়াতের প্রত্যাহার, যা তারা আল কায়েদার হাতে দিয়েছিল এবং পরিবেশ ছিল তখন শত্রুতা ও ঘৃণায় পরিপূর্ণ৷ আর সেই পরিস্থিতিতেই তথাকথিত খেলাফতের ঘোষণা আসে৷
খেলাফতের ঘোষণা দেওয়া কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়; বরং তা একটি শরয়ী মাসআলা৷ আর আল্লাহ্ওয়ালা আলেমগণ এ কথায় একাত্মতা পোষণ করেছেন যে, বাগদাদীর খেলাফত বাতিল৷ আমাদের সামনে সত্যনিষ্ঠ আলেমদের ফতোয়া রয়েছে৷ এ মাসআলায় আমাদের আলেমগণ যা বলবে আমরা তাই মানবো৷ তাঁদেরকে অনুসরণ করার নির্দেশ আল্লাহ্ তাআ’লা-ই দিয়েছেন৷
আল্লাহ্ তাআ’লা বলেছেন-
فاسألوا أهل الذكر إن كنتم لا تعلمون
অর্থঃ “তোমরা যদি না জান তবে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর”৷ (সুরা নাহল: ৪৩)
আমাদের ধর্মে নবুওয়তের আদলে প্রতিষ্ঠিত খেলাফত পর্যন্ত পৌছার জন্য লোকদের পেছনে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দেওয়ার আগপর্যন্ত কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব এমন কোন লক্ষ্য হতে পারে না, যার পেছনে আমরা দৌড়াতে পারি বা যার প্রত্যাশা আমরা করতে পারি৷ বরং খেলাফত কায়েমের জন্য মুসলমানদের একতা ও সম্মতি এবং যারা “আহলুল হাল্ল ওয়াল আকদ” তাঁদের মাশওয়ারা ও সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এবং মুসলমানদের প্রাণ রক্ষার পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তির মজুদ থাকা আবশ্যক৷ এ সম্পর্কে হযরত ওমর রাযিঃ বলেছেন-
“যে ব্যক্তি মুসলমানদের সাথে মাশওয়ারা করা ব্যতিত কারো হাতে বাইআ’ত গ্রহণ করল, তারও বাইআ’ত শুদ্ধ হয়নি এবং যার কাছে সে বাইআ’ত গ্রহণ করেছে তারও; এই আশঙ্কায় যে, তাদের উভয়কেই হত্যা করা হবে”৷ (মুসনাদে আহমাদ: ৩৯১)
আর সেই তথাকথিত খেলাফতের নামে যে গণহত্যা ও হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে কথা বলতে গেলে আমরা সেই মর্মবেদনা ও শোক প্রকাশ করার মত কোন ভাষা-ই খুঁজে পাইনা, যা আমাদের হৃদয়কে দখল করে রয়েছে৷ মুসলমানদেরকে কেবল এই দাবীতেই কাফের আখ্যা দেওয়া ও তাঁদের রক্তকে হালাল মনে করা যে, তারা কোন মানহাজের বিরোধিতা করে থাকে, এটা আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামাআতের কোন আকিদা নয়৷ আমরা যদি সাহাবায়ে কেরামের যমানার দিকে ফিরে তাকাই তাহলে দেখতে পাই যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ পরস্পরে মতবিরোধ ও বিবাদ এমনকি হত্যাকাণ্ডে পর্যন্ত লিপ্ত হওয়া সত্ত্বেও একজন আরেকজনকে কখনো কাফের আখ্যা দেননি ও পরস্পরের রক্তকে হালাল মনে করেননি৷ হারাম রক্ত ঝরানোর ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বলেছেন-
ومن يقتل مؤمنا متعمدا فجزاؤه جهنم خالدا فيها وغضب الله عليه ولعنه وأعد له عذابا عظيما
অর্থঃ “আর যে কেউ স্বেচ্ছায় কোন মুমিনকে হত্যা করবে তার শাস্তি হবে জাহান্নাম, তন্মধ্যে সে সদা অবস্থান করবে এবং আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ ও তাকে অভিশপ্ত করেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন৷ (সুরা নিসা: ৯৩)
এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন-
“একজন মুমিনকে হত্যা করা আল্লাহ্ তাআ’লার নিকট দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাওয়ার চেয়েও মারাত্মক”৷ (সুনানে নাসাঈ: ৩৯৮৮)
অপর হাদিসে এসেছে-
“যদি আসমান ও জমিনের সকলেই একজন মুমিনের হত্যায় অংশগ্রহণ করে তাহলে আল্লাহ তাআ’লা তাদের সকলকেই অধোমুখী করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন”৷ (সুনানে তিরমিজী: ১৩৯৮)
ইসলামী ইতিহাসের কিতাবগুলোতে আমরা দেখতে পাই যে, কিছুসংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম আবু বকর সিদ্দীক রাযিঃ এর হাতে বাইআ’ত গ্রহণ করেননি; তন্মধ্যে হযরত সা’দ বিন উবাদাহ রাযিঃও রয়েছেন, তেমনিভাবে অন্যান্য খোলাফায়ে রাশেদীনের খেলাফত আমলেও কিছুসংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম বাইআ’ত গ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন; কিন্তু সে সকল খলীফাগণ তাঁদের হাতে যারা বাইআ’ত গ্রহণ করেননি তাঁদেরকে কাফের আখ্যা দেননি৷ পক্ষান্তরে বাগদাদীর জামাতের সেই তথাকথিত খেলাফত প্রত্যেক ঐ ব্যক্তিকেই কাফের আখ্যা দেয় ও তার রক্ত হালাল মনে করে, যে তার কাছে বাইআ’ত গ্রহণ করেনা৷
আবু মুহাম্মাদ আল আদনানী (আইএসের সাবেক মুখপাত্র) বলেছিল- “আমরা অচিরেই জামাতগুলোর মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করব ও তানজিমগুলোর সারিবদ্ধতার ভেতর ফাটল তৈরী করব৷ হ্যাঁ, আমরা এমনটিই করব; কেননা আল্লাহ্ তাআ’লা (এক) জামাতের সাথে রয়েছেন, (একাধিক) জামাতের সাথে নয়৷ দূর হোক! সেই তানজিমগুলো… অচিরেই আমরা সকল আন্দোলন, জমায়েত ও ফ্রন্টের সাথে লড়াই করব৷ অচিরেই আমরা ব্যাটালিয়ন, ব্রিগেড ও সেনাবাহিনীগুলোকে খণ্ড-বিখণ্ড করে দিব৷ অবশেষে আমরা আল্লাহর ইচ্ছায় প্লাটুনগুলোকে একেবারে নিঃশেষ করে দিব”৷
আমরা সকল মুসলমানদেরকে সাধারণভাবে ও তুর্কিস্তানীদেরকে বিশেষভাবে আহবান জানাচ্ছি যে, আপনারা এ সকল গোমরাহ ও নববী মানহাজ পরিপন্থী দলের সম্প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি দ্বারা প্রতারিত হবেন না৷ তাদের এ সকল চাকচিক্যময় বিজ্ঞপ্তিগুলো যেন আপনাদেরকে হক ও হকের অনুসরণ থেকে বিরত রাখতে না পারে৷
শাইখ ডঃ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ তাঁর ইসলামী বসন্তের তৃতীয় খণ্ডে খেলাফতের বৈশিষ্ট্য, শর্ত ও ঐ সকল শর্তসমূহও বর্ণনা করেছেন যা খলীফার মাঝে বিদ্যমান থাকা আবশ্যক৷ সেখানে তিনি বিষয়গুলো সবিস্তারে আলোচনা করেছেন৷ আমাদের যে সকল ভাইয়েরা নিজেদের জিহাদকে বিচক্ষণতার সাথে আদায় করতে চায়, আমি তাঁদেরকে উপদেশ দিব যে, আপনারা এ খণ্ডটি যত্নসহকারে অধ্যায়ন করুন৷
পঞ্চম প্রশ্নঃ ঐ সমস্ত দায়েশ গোষ্ঠীর প্রতি আপনার কি নসিহত থাকবে, যারা তুর্কিস্তানী ভাষা বুঝে?
উত্তরঃ জিহাদ নামক ইবাদতটি এমন এক ইবাদত, যার নির্দেশ আমাদেরকে প্রদান করেছেন আল্লাহ্ তাআ’লা৷ একমাত্র তখনই আমাদের আমলসমূহ আল্লাহ্ তাআ’লার দরবারে গ্রহণযোগ্য হবে যখন আমরা ইবাদত আদায়ের ক্ষেত্রে শরীয়তের ওপর নির্ভরশীল হব৷ আর জিহাদটি যখন আদায় করা হবে সন্দেহ ও সংশয়কর উপায়ে, তখন তার পরিণাম নিশ্চিতরূপে দুনিয়া ও আখেরাতে অমঙ্গলজনক-ই হবে৷ তাই আমাদেরকে কেবল একটি পথই অনুসরণ করতে হবে, আর তা হচ্ছে- সীরাতে মুস্তাকীমের পথ৷ জিহাদ নামক ইবাদতের জন্য আবশ্যক হল যে, তা দলিল-প্রমাণ ভিত্তিক হতে হবে৷
আল্লাহ্ তাআ’লা বলেছেন-
وأن هذا صراطي مستقيما فاتبعوه ولا تتبعوا السبل فتفرق بكم عن سبيله ذلكم وصاكم به لعلكم تتقون
অর্থঃ “আর এ পথই আমার সরল পথ; সুতরাং তোমরা এ পথেরই অনুসরণ কর৷ এ পথ ছাড়া অন্যান্য কোন পথের অনুসরণ করো না, অন্যথায় তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে দেবে, আল্লাহ্ তোমাদেরকে এই নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা বেঁচে থাকতে পার”৷ (সুরা আনআম: ১৫৩)
এবং আল্লাহ তাআলা আরও বলেছেন-
قل هذه سبيلي أدعو إلى الله على بصيرة أنا ومن اتبعني وسبحان الله وما أنا من المشركين
অর্থঃ “আপনি বলুন! এটাই আমার পথ, আল্লাহর প্রতি মানুষকে আমি আহবান করি সজ্ঞানে, আমি এবং আমার অনুসারীগণও, আল্লাহ মহান পবিত্র৷ আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই”৷ (সুরা ইউসুফ: ১০৮)
হে ভাইয়েরা! পূর্ব তুর্কিস্তানে চীনাদের ভয়ংকর নীতির কারণে সেখানে জিহাদের দলিল ভিত্তিক মৌলিক নিয়মগুলো পুরোপুরি লক্ষ্য রাখা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি এবং চীনাদের অবিচারের দরুন তুর্কিস্তানীরা তাঁদের দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো থেকে বঞ্চিত থেকে গেছে৷ কিন্তু সেখানে হিজরতের দাওয়াত অত্যান্ত ক্ষীণভাবে চললেও আল্লাহর দয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ হাজার হাজার মানুষ হিজরত করে চলে এসেছে৷
হিজরতের পথে তুর্কিস্তানীদেরকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে৷ কিন্তু আল্লাহ তাআ’লাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তারা ওই সকল জটিলতার প্রতি ভ্রূক্ষেপ করেননি৷ আর এখন আমরা জিহাদ করার জন্য এতসকল কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করার পরও যদি ভুল পথে ধাবিত হই, অগ্রসর হই তাহলে আমাদের চেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত আর কেউ আছে কি?
অতএব হে ওই সকল তুর্কিস্তানীরা, যারা দায়েশের দলে যোগদান করেছেন আপনারা চাকচিক্যময় স্লোগান এবং ফাঁকা প্রচারণার পেছনে পড়বেন না; বরং আপনারা ইসলামের প্রকৃত আহবান ও ইসলামের প্রকৃত আহবানকারীদের অনুসরণ করুন, আর তাঁরা হচ্ছেন আল্লাহ্ওয়ালা আলেমগণ৷ কেননা কুরআন, হাদিস ও উলামায়ে কেরামের ইজমা’র দলিল দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, এই খেলাফত বাতিল ও শরীয়ত বিবর্জিত৷ আপনারা আপনাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের দিকে তাকিয়ে এই দলকে পরিহার করুন এবং হকের পথে দন্ডায়মান সত্যনিষ্ঠ জামাতের কাতারে এসে শামিল হোন৷ কেননা এই দল থেকে বেরিয়ে আসা ও এই তথাকথিত খেলাফতের বাইআ’ত ভঙ্গ করা কোন গোনাহের কাজ তো নয়ই বরং ওয়াজিব৷ আমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে, তিনি আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করেন এবং আমাদেরকে তাঁর শরীয়তের অনুসরণ করার তাওফিক দান করেন ও তিনি আমাদেরকে সে পথে পরিচালিত করেন, যে পথে আমাদের জিহাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে৷
ষষ্ঠ প্রশ্নঃ ২০১৪ সাল থেকে পূর্ব তুর্কিস্তানে জিহাদি কার্যক্রম উন্নতি লাভ করেছে৷ আলহিযবুল ইসলামী আত–তুর্কিস্তানী এ সকল কার্যক্রম কিভাবে পরিচালনা করে থাকে?
উত্তরঃ আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্ তাআ’লার দয়ায় তুর্কিস্তানে জিহাদি আহবানের ধ্বনি দিন দিন উঁচুই হচ্ছে৷ আমরা মনে করি এর প্রধানতম হেতু হল তুর্কিস্তানের মুসলমানদের প্রতি আল্লাহ্ তাআ’লার সাহায্য৷ অতঃপর তা হচ্ছে আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী’র বিগত কয়েক বৎসরের কুরবানীর ফসল৷
চীন ১৯৪৯ সাল থেকেই বিরামহীনভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যে, তুর্কিস্তানের মুসলমানরা যেন কোন দলে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে৷ ইতিপূর্বে অবশ্য কতক সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিগণ কয়েকবারই বিভিন্ন দল গঠন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন; কিন্তু সেগুলোর ফলাফল ছিল খুবই নগণ্য৷ অতঃপর শাইখ হাসান মাখদুম রহিমাহুল্লাহ ও তাঁর সাথীদের মত যারা বুঝতে পেরেছিলেন যে, আসল সমস্যাটি কোথায়, তাঁরা আফগানিস্তানে হিজরত করে সেখানে আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী গঠন করলেন এবং আল্লাহর দয়ায় এ দলটি টিকে গেল ও তুর্কিস্তানীরা যখন তুর্কিস্তানস্থ জিহাদি পতাকা উড্ডীন হতে দেখল তখন তাঁদের এক বিরাট সংখ্যা এসে তাঁর সদস্য হয়ে গেল৷ এমনকি হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন উম্মে মাকতুম রাযিঃ এর ন্যায় মাজুর লোকেরা তাঁদের ওজর সত্ত্বেও আমাদের সাথে এসে যুক্ত হয়েছেন এবং আমাদেরকে শক্তিশালী করেছেন৷
আলহিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী কর্তৃক জিহাদ প্রতিষ্ঠার গোড়াপত্তন করার দ্বারা কিছু ফলাফল বেরিয়ে এসেছে যেমনঃ “আলউমদাতু ফি ই’দাদিল ই’দ্দাহ্” নামক কিতাবটির অনুবাদ ও প্রকাশনা এবং শাইখ হাসান মাখদুম রহিমাহুল্লাহ, শাইখ আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ ও ভাই আব্দুস সালামের আলোচনা প্রকাশ করা ও অন্যান্য দা’ওয়াতি প্রোগ্রাম প্রচার করা৷ এবং মুজাহিদ তৈরী করার জন্যে দ্বীনী তরবিয়াত/শিক্ষা ও সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করত সেনাছাউনি প্রতিষ্ঠা করা৷ এবং আলহামদুলিল্লাহ্ বর্তমানে তুর্কিস্তানের মুজাহিদগণ খোরাসান ও শামে তাঁদের দায়িত্ব আদায় করছেন ও তাঁদের আনসার ভাইদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে তাঁদের বোঝা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন৷
তেমনিভাবে আমরা সামরিক শিক্ষামূলক যেমন- খেলাফতের ভীতসমূহ সম্পর্কিত প্রকাশনাগুলোও প্রস্তুত করছি, যেন এর দ্বারা সাধারণ মুসলমানগণ উপকৃত হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে আমরা এমন একটি কিতাব প্রকাশ করেছি, যেখানে সবধরনের অস্ত্রের বিবরণ রয়েছে ও সেটিকে আমরা সাধারণ মুসলমানদের খেদমতে পেশ করেছি৷ তেমনিভাবে রেডিও প্রোগ্রাম ও প্রকাশনার মাধ্যেমেও আমরা জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে থাকি যেমন- সিয়াহাতুল মুমিনিন সিরিজ, উশ্শাকুল জিনান সিরিজ ও তুবা লিলগুরাবা সিরিজ ইত্যাদি৷ সেগুলোতে আমরা আমাদের সামরিক কার্যক্রম ও পূর্ব তুর্কিস্তানের মুসলমানদের বিরুদ্ধে কমিউনিজম চীনা সরকারের আচরণ প্রকাশ করে থাকি৷ মোটকথা আমরা আমাদের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে পূর্ব তুর্কিস্তানে জিহাদ জিন্দা করছি৷
সপ্তম প্রশ্নঃ “আলহারকাতুল ইসলামিয়্যাহ আলউযবিকিয়্যাহ” সম্পর্কে আপনাদের মত কি?
উত্তরঃ কাফেরদের সাথে লড়াইরত অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর মত আলহারকাতুল ইসলামিয়্যাহ আলউযবিকিয়্যাহ’ও একটি দল ছিল৷ প্রথমদিকে ইমারতে ইসলামী আফগানিস্তানের অধিনে আমরা ও তাঁরা কাছাকাছিই অবস্থান করতাম৷ অধিকাংশ সময় শাইখ হাসান মাখদুম রহিমাহুল্লাহ তাঁদের মধ্যকার অমিল ও ঝগড়া-বিবাদে মিটমাট করে দিতেন৷ ইমারতে ইসলামী’র পতনের পর তাঁদের মূল লক্ষ্যে-ই বিকৃতি চলে আসে এবং যতই দিন যাচ্ছিল ততই এই দল ঐ সমস্ত উযবেকদের চোখ থেকে পড়ে যাচ্ছিল, যারা তাঁদেরকে একত্রিত করত ও তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করত৷ এবং তাঁদের মাঝে আমরা দলের আইনগত ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বাড়াবাড়ি লক্ষ্য করতে লাগলাম৷ যেমন- যে তাদের দলকে ছেড়ে চলে আসে তাকে গুপ্তহত্যা করা ও দলের লোকদেরকে তাদের কার্যকলাপ নিয়ে সংশয় পোষণ করার কারণে হত্যা করে ফেলা, ইত্যাদি৷
সে সময় ১৪২৫ হিজরী সনে তাঁদের আমীর ভাই তাহেরের সাথে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চুক্তি ছিল৷ অতঃপর তারা ১৪২৮ হিজরী সনে সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে ফেলে৷ আমরা ভাই তাহেরকে লিখিত পত্রের মাধ্যমে সতর্ক করলাম; কিন্তু আমরা কোন জবাব পাইনি৷ তারপর তার সাথে সামনা-সামনি সাক্ষাৎ করার জন্য আমরা প্রতিনিধিদল প্রেরণ করলে সেটাকেও তিনি প্রত্যাখ্যান করেন৷ তখন আমরা কতিপয় মাশায়েখের ফতওয়া অনুযায়ী বিশেষকরে শাইখ ঈসার ফতওয়া অনুযায়ী তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করলাম৷ তাদের আমীর তাহেরের শাহাদাত বরণের পর উসমান ‘আদেল তাদের আমীর নিযুক্ত হলেন৷ তার নিকট আমরা একটি লিখিত উপদেশ প্রেরণ করেছিলাম৷
উসমান ‘আদেলের শাহাদাত বরণের পর উসমান গাজী তাদের আমীর নিযুক্ত হলেন৷ তার কাছেও আমরা উপদেশ বাণী পাঠানো থেকে বিরত থাকিনি৷ সম্প্রতি আলহারকাতুল ইসলামিয়্যাহ আলউযবিকিয়্যাহ ইমারতে ইসলামী’র বাইআ’ত ভঙ্গ করেছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধেই লড়াইয়ের পথ বেছে নিয়েছে৷ ইমারতে ইসলামী তাদের নিকট ওলামায়ে কেরামদের পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু তাঁদের এ প্রচেষ্টা কোনই ফল বয়ে আনতে পারেনি৷ বরং তারা আরো অগ্রসর হয়ে তাদের মিডিয়ায় ইমারতে ইসলামী’র আমীরদেরকে কাফের পর্যন্ত আখ্যা দিয়ে বেড়াচ্ছে৷ পরিশেষে উম্মাহ এই আলহারকাতুল ইসলামিয়্যাহ আলউযবিকিয়্যাহ’র প্রতি যে বুকভরা আশা রেখেছিল তাদের আমীরদের ভুল সিদ্ধান্তের দরুণ তা ছিন্নভিন্ন ও নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে৷ বর্তমানে আলহারকাতুল ইসলামিয়্যাহ আলউযবিকিয়্যাহ’র পরিণাম যে সকল ঘটনাগুলো পর্যন্ত গড়িয়েছে তার সাথে আমাদের দলের কোন সম্পৃক্ততা নেই৷
অষ্টম প্রশ্নঃ ইসলামী তুর্কিস্তানের (পূর্ব তুর্কিস্তান) মুসলমানদের লক্ষ্য করে আপনি কি ভাষণ বা নসিহত প্রদান করবেন?
উত্তরঃ হে মুসলমানগণ! হে বুকে কুরআন ধারণকারীগণ! হে দ্বীনের সাহায্যকারীগণ! তুর্কিস্তানের ভূমি আমাদের সালাফে সালেহীনদের রক্তের বিনিময়ে মুসলিম ভূমিতে রুপান্তরিত হয়েছে হিজরী ৯৬ সনে৷ এবং এ ভূমি কেবলমাত্রই মুসলমানদের৷ এ ভূমিতে কাফেরদের বিদ্যমান থাকাই প্রতিটি মুসলমানের ওপর জিহাদ ফরজ হওয়ার জন্য যথেষ্ট৷ জিহাদ ইবাদতটি এমন এক ইবাদত, যা মুসলমানরা দলবদ্ধভাবে আদায় করে থাকে৷ তাই প্রতিটি তুর্কিস্তানী মুসলমানের ওপর আবশ্যক হল নিজেদের দ্বীন, ঈমান ও আকিদার হেফাজতকারী মুসলমানদের (রক্ষণাবেক্ষণের) জিম্মাদারী গ্রহণ করা৷
আল্লাহ্ তাআ’লা বলেছেন-
إنفروا خفافا وثقالا وجاهدوا بأموالكم وأنفسكم في سبيل الله ذلكم خير لكم إن كنتم تعلمون
অর্থঃ “তোমরা আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে৷ এটি তোমাদের জন্য অতি উত্তম যদি তোমরা বুঝতে পারো”৷ (সুরা তাওবাহ: ১৪)
হে তুর্কিস্তানের নওজোয়ানগণ! আপনারা তুর্কিস্তানের মজলুমদের ফরিয়াদের কথা ভুলবেন না, ভুলবেন না ঐ সকল শিশুদের কথা যাদেরকে জবরদস্তিভাবে তাঁদের দ্বীন ও তাওহীদের পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে৷ জিহাদের তরবারিই কেবল পারে এ জুলুমের ইতি টানতে৷
আল্লাহ্ তাআ’লা বলেছেন-
قاتلوهم يعذبهم الله بأيديكم ويخزهم وينصركم عليهم ويشف صدور قوم مؤمنين
অর্থঃ “তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ কর, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন, তাদের লাঞ্চিত করবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের হৃদয়সমূহকে প্রশান্ত করবেন৷ (সুরা তাওবাহ: ১৪)
আমি আমার মুসলিম ভাইদেরকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ বাণী স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি-
أنا آمركم بخمس ألله أمرني بهن؛ الجماعة والسمع والطاعة والهجرة والجهاد في سبيل الله
অর্থঃ “আমি তোমাদেরকে এমন পাঁচ জিনিসের নির্দেশ দিচ্ছি, যার নির্দেশ আল্লাহ্ তাআ’লা আমাকে দিয়েছেনঃ জামাতের সাথে থাকা, আমীরের কথা শ্রবণ করা, আমীরের কথা মান্য করা এবং হিজরত করা ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা”৷
হে আল্লাহ্! আমাদের নিকট হককে হক বলেই দেখান ও তার অনুসরণ করার তাওফীক দান করুন এবং বাতিলকে বাতিল বলেই দেখান ও তা থেকে বিরত থাকার তাওফীক দান করুন৷ হে আল্লাহ্! হক ও হকের অনুসারীদের সাহায্য করুন৷ হে আল্লাহ্! বাতিলপন্থীদের মুকাবিলায় আপনি আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান এবং আমাদেরকে ঐ সমস্ত লোকদের মাঝে শামিল করুন যারা অসহায় নিপীড়িতদের সাহায্য করে এবং হে পরওয়ারদিগার! আপনি এই মাজলুম উম্মাহর দোয়া কবুল করুন৷
ربنا لا تؤاخذنا إن نسينا أو أخطأنا ربنا ولا تحمل علينا إصرا كما حملته على الذين من قبلنا ربنا ولا تحملنا ما لا طاقة لنا به واعف عنا واغفر لنا وارحمنا أنت مولانا فانصرنا على القوم الكافرين
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين