এটা কতইনা লাভজনক অর্জন হে আবু যুবায়ের! শাইখ মুখতার আবু যুবায়ের রহঃ এর শাহাদাত উপলক্ষ্যে
এটা কতইনা লাভজনক অর্জন হে আবু যুবায়ের!
শাইখ মুখতার আবু যুবায়ের রহঃ
এর শাহাদাত উপলক্ষ্যে
ডাউনলোড করুন
Word
https://banglafiles.net/index.php/s/BeWYTBFGAa4bB6Z
http://www.mediafire.com/file/21kvk4p2k1f1013/7.aj.docx/file
https://banglafiles.net/index.php/s/cotHFytYcg8R7fn
http://www.mediafire.com/file/ej57trc7nsx7yta/7.aj.pdf/file
https://archive.org/details/Al_Qadisiyyah_Media_Bn
=====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
====================
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
এটা কতইনা লাভজনক অর্জন
হে আবু যুবায়ের!
আল শাবাব আল মুজাহিদীনের শূরা কমিটির বিবৃতি
আল শাবাব আল মুজাহিদীনের আমির শাইখ মুখতার আবু যুবায়ের (রহঃ)
এর শাহাদাতে মুসলিম উম্মাহকে অভিনন্দন
শাইখ মুখতার আবু জুবায়ের শাহাদাত বরণ করেছেন। আল্লাহ তাকে কবুল করুন এবং তার উপর রহমত বর্ষণ করুন।
সমস্ত প্রশংসা কেবলমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে মৃত ধারণা করো না; বরং তারা জীবিত, তারা তাদের প্রতিপালক হতে জীবিকা প্রাপ্ত হয়। আল্লাহ তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহ হতে যা দান করেছেন, তাতেই তারা পরিতুষ্ট এবং যারা পশ্চাতে থেকে তাদের সাথে সম্মিলিত হয়নি, তাদের এ অবস্থার প্রতিও তারা সন্তুষ্ট হয় যে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। তারা আল্লাহর নিকট হতে অনুগ্রহ ও নিয়ামত লাভ করার কারণে আনন্দিত হয়, আর এ জন্যে যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বাসীগণের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না।” [আল–ইমরান, ১৬৯–১৭১] এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক শেষ নবীর প্রতি যিনি বলেছেন, “শহীদদের রুহসমুহ সবুজ পাখীর পেটে রক্ষিত থাকে – যা আরশের সাথে ঝূলন্ত দীপাধারে বাস করে। জান্নাতের সর্বত্র তারা যেখানে চায় সেখানে বিচরণ করে অবশেষে সেই দীপাধারগুলোতে ফিরে আসে। একবার তাদের প্রভু তাদের দিকে তাকালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের কি কোন আকাংক্ষা আছে? জবাবে তারা বললোঃ আমাদের আর কি আকাংক্ষা থাকতে পারে আমরা তো যথেচ্ছভাবে জান্নাতে বিচরণ করছি। আল্লাহ তাআলা তাদের সাথে এরুপ তিন তিনবার করলেন। যখন তারা দেখলো, জবাব না দিয়ে প্রশ্ন থেকে রেহাই পাচ্ছে না তখন তারা বললোঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আকাংক্ষা হয় যদি আমাদের রুহ গুলোকে আমাদের দেহসমূহে ফিরিয়ে দিতেন আর পুনরায় আমরা তোমারই পথে নিহত হতে পারতাম। যখন পরোয়ারদিগার দেখলেন, তাদের আর কোন প্রয়োজনই অবশিষ্ট নেই, তখন তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলো (আর প্রশ্ন করা হলো না।)” অতঃপর, আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত সিদ্ধান্তে পরিতৃপ্ত এবং তাঁর প্রতিশ্রুতিতে নিশ্চিন্ত হয়ে – উম্মাহর সন্তান, মহান যোদ্ধা, আলেম, সামরিক প্রধান, হরকত আল–শাবাব আল–মুজাহিদীন এর প্রধান ও প্রতিষ্ঠাতা শাইখ মুখতার আবু জুবায়ের (আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুন) এর শাহাদাত বরণে আমরা হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে সমবেদনা জানাচ্ছি, সাধারণভাবে আমাদের প্রিয় মুসলিম উম্মাহর প্রতি এবং বিশেষভাবে মুজাহিদীন নেতৃবৃন্দের প্রতি, যাদের প্রধান আমিরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমর এবং আমাদের শাইখ ও নেতা শাইখ আইমান আল–জাওয়াহিরি। শাইখ আবু জুবায়ের এবং তার দুই সাথী, ৭ই জিলক্বদ ১৪৩৫ হিজরীতে আমেরিকান ক্রুসেডারদের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। তারা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং মুসলিম উম্মাহর গৌরবে আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত লিখিত হয়েছে – এইবার শাইখ আবু জুবায়ের এর রক্তের দ্বারা। এই বিশাল ক্ষতিতে আমরা মুসলিম উম্মাহ এর প্রতি আমাদের সমবেদনা প্রেরণ করি এবং নিজেদেরকে সান্ত্বনা জানাই, কিন্তু আমরা এমন কিছু উচ্চারণ করি না যা আমাদের মর্যাদাবান প্রভুকে অসন্তুষ্ট করে, যিনি আমাদের ক্ষতির বহু পূর্বেই আমাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন তাঁর বানীর দ্বারাঃ “আর তোমরা দুর্বল হয়ো না ও বিষন্ন হয়ো না এবং যদি তোমরা বিশ্বাসী হও, তবে তোমরাই জয়ী হবে।” [আল–ইমরান, ১৩৯] আত্মত্যাগ, মহত্ত্ব ও জিহাদে সজ্জিত দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পর অবশেষে শাইখ শহীদদের কাতারে নাম লিখিয়েছেন, যেমনটি আমরা তার ব্যাপারে মনে করি। জিহাদের পথে তার যাত্রা প্রথমে শুরু হয়েছিল আফগানিস্তানের ভূমিতে যেখানে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। সোমালিয়াতে শাইখ ইসলামিক উইলাইয়াত এর প্রতিষ্ঠা তত্ত্বাবধান করেছিলেন এবং স্থানীয় গোত্রীয় নেতাদের জন্য কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। এছাড়াও শাইখ মুজাহিদীন ও স্থানীয় গোত্রীয় নেতাদের মাঝে দাওয়াহ, তাওহীদ এবং আল ওয়ালা ওয়াল বারা (বন্ধুতা ও শত্রুতা) এর আকীদা প্রচারণায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। আল্লাহ তার উপর তাঁর অসীম রহমত বর্ষণ করুন এবং তাকে প্রশস্ত জান্নাত দান করুন। এই বাক্যগুলো শাইখ আবু জুবায়েরের মত ব্যক্তির প্রশংসায় যথেষ্ট হতে পারে না, যিনি হিজরত ও জিহাদ করেছিলেন যাতে আল্লাহর কালিমা উচ্চ হয় এবং মুসলিম ভূমিতে ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত হয় যাতে সারা বিশ্ব জুড়ে ন্যায়বিচার বজায় থাকে। বিনয়ী স্বভাবের এবং উদার চরিত্রের এই মানুষটির জীবন বীরত্বের চাদরে আচ্ছাদিত ছিল। কথায় সত্যবাদী, নীতিতে বিশ্বস্ত শাইখ ছিলেন দুনিয়াত্যাগ ও বিনয়ের প্রতীক; একইসাথে ধৈর্য ও ধার্মিকতার জীবন্ত উদাহরণ। কর্মক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে অপারগ, আল্লাহ তাকে বিচক্ষনতা দিয়েছিলেন যাতে তিনি আল্লাহর কিতাব অনুসারে মুসলিমদের বিষয়সমূহ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে পারেন। এই বিজেতা সত্যের পথে যাত্রা আরম্ভ করেছিলেন এবং শাহাদাতের বৃক্ষ হতে আজ তিনি জিহাদের ময়দানে একটি প্রকান্ড শাখা আহরণ করেছেন। তিনি এমনই ছিলেন যার অনুভূতি জুড়ে বিজয় ও সাহসিকতা প্রদর্শিত হতো; আল্লাহর নিকট আপনার জন্য কি পুরষ্কার প্রতিক্ষা করছে, হে দুঃসাহসিক যোদ্ধা। তিনি শত্রুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতেন এবং বজ্রের মতো আঘাত করতেন। তিনি ছিলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রদর্শিত পথের উপর অটল একজন আলেম। ধৈর্য ও উচ্চ নৈতিকতার দ্বারা আমাদের মাঝে তিনি পরিচিত ছিলেন সিদ্ধান্তে অটল এবং জিহাদের ক্ষেত্রে সতর্ক হিসেবে। তিনি কখনই যুদ্ধক্ষেত্রে পিছু হটতে প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি এই দুনিয়ার সকল বিলাসিতা ও আরাম–আয়েশ পরিত্যাগ করেছিলেন, তার পরিবর্তে তিনি দুনিয়াত্যাগের রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন। শান্তির সময় আপনি তাকে পাবেন নম্র, সবচেয়ে শান্ত লোকটির চেয়ে অধিক শান্ত হিসেবে। আর যুদ্ধের সময় তাকে দেখবেন নির্ভীক সিংহ, শত্রুদের বিরুদ্ধে নির্দয় হিসেবে। শাইখের শাহাদাত এসেছে যতদিনে তিনি পূর্ব আফ্রিকায় মুসলিমদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন এক দুর্ভেদ্য দুর্গ যা কুরআনের দিক নির্দেশনায় গঠিত এবং তরবারীর অগ্রভাগ দ্বারা সুরক্ষিত। প্রচন্ড দুর্যোগের সময়, শাইখ, জিহাদের জাহাজের কর্ণধার ছিলেন, একে সাহসিকতার সাথে উত্তাল ঝড়ের মাঝে পরিচালনা করেছেন, ঈমানের তীরে নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছেন এবং শত্রুদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে সাহায্য করেছেন। পথে অনেক বাধা–বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, শাইখ তার নীতিতে অটল থেকেছেন, নিজের বিশ্বাসকে পরিত্যাগ করেন নি অথবা কোন ছাড় দিতে রাজি হন নি যখন অনেকেই আপোষ করতে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। সোমালিয়ার জিহাদের নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব শাইখকে ফিলিস্তিন, বার্মা (মায়ানমার), পূর্ব আফ্রিকা ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের দুর্বল ও নির্যাতিত ভাইদের সাহায্য করার অবশ্য কর্তব্যের ব্যাপারে অসচেতন করতে পারে নি। বরং তিনি সর্বদা তাদের খোঁজখবর নিতেন এবং সর্বাত্মক চেষ্টা করতেন যাতে কুফফার – ইহুদী, ক্রুসেডার ও মুশরিকদের হাতে তাদের অত্যাচার ও অবমাননা শেষ হয়ে যায়। ধৈর্য ও অবিচলতার সাথে তিনি ইসলামের ভূমিকে পাহারা দিয়েছেন এবং ইসলামের শত্রু – ক্রুসেডার ও তার মুরতাদ মিত্রদের বিরুদ্ধে জিহাদ অব্যাহত রেখেছেন যতদিন না তিনি অর্জন করেন তা যার জন্য তিনি আকাংক্ষিত ছিলেন। এটা কতইনা লাভজনক অর্জন, হে আবু জুবায়ের। “মু’মিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে তাদের কৃত অংগীকার পূর্ণ করেছে, তাদের কেউ কেউ শাহাদাত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা তাদের অঙ্গীকারে কোন পরিবর্তন করেনি।” [আল–আহযাব, ২৩] সুতরাং আমরা এখন মুজাহিদীন ভাইদেরকে এবং সোমালিয়ার সাহসী গোত্রদেরকে আহবান করতে চাইব, আপনারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দ্বারা ইসলামিক উইলাওয়াতের বিরুদ্ধে ক্রুসেডারদের আক্রমণ এবং আমাদের ভূমির বিরুদ্ধে অত্যাচারী আমেরিকা ও পশ্চিমা শক্তির আগ্রাসন প্রতিহত করুন। আমরা আপনাদেরকে উপদেশ দিবো যাতে আপনারা ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান করুন যেভাবে তারা ধর্মীয়, আদর্শিক ও রাজনৈতিক পার্থক্য সত্ত্বেও আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে; কারন দ্বীন ইসলামের প্রতিরক্ষা আপনাদের ঘাড়ে অর্পিত একটি আমানত। সুতরাং আপনাদের জীবন উৎসর্গ করুন যেভাবে আপনাদের নেতৃস্থানীয়রা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং তাদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিন। আপনাদের দ্বীন ও সম্মানকে সুরক্ষা করুন, কারন আমেরিকা, তাদের ক্রুসেডার মিত্র এবং বিশ্বাসঘাতক মুরতাদ এজেন্টদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হলো ব্যক্তিগত ফরজের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফরজ। যতদিন আপনাদের হৃদয় স্পন্দিত হয় এবং চক্ষু জাগ্রত থাকে, ততদিন যেন কাফেররা কোন নিরাপত্তা ও আনন্দ উপভোগ না করতে পারে। আপনাদের বলছি – পূর্ব আফ্রিকা, মোম্বাসা, হারার ও অন্য যেকোন জায়গায় আমাদের প্রিয় ভাইয়েরা এবং নিপীড়িত নগরী বানগুইতে আমাদের ভাইয়েরা – আপনারা ধৈর্যের সাথে অবিচলিত থাকুন। আল্লাহর কসম, আমরা আপনাদের ভুলি নি; কিভাবে একজন তার পরিবার ও ভাইদেরকে ভুলতে পারে? জেনে রাখুন আল্লাহর সাহায্য ও ক্ষমতার দ্বারা আমরা কখনই আপনাদের পরিত্যাগ করবো না এবং প্রত্যেক উপায়ে আপনাদের সাহায্য করবো। নিশ্চিত থাকুন, যারা আপনাদের এবং আপনাদের প্রিয়জনদের উপর পৈশাচিক অত্যাচার চালিয়েছে, তাদের শাস্তি দিতে আমরা কোনরূপ বিলম্ব করবো না। সুতরাং আসন্ন সাহায্য ও স্বস্তির সুসংবাদ নিন। একইভাবে আমরা শুভ কামনা জানাই সারা বিশ্বে আমাদের মুজাহিদীন ভাইদের এবং তাদের আশ্বস্ত করি যে শাইখের শাহাদাতে সোমালিয়ার জিহাদ বিন্দুমাত্র বাধাগ্রস্ত হবে না, বরং আল্লাহর ইচ্ছায় এর শক্তি ও ক্ষিপ্রতা আরো বৃদ্ধি পাবে। কারন আমাদের দ্বীন একটি চিরস্থায়ী দ্বীন এবং আমাদের শরীয়াহ কোন নব উদ্ভাবিত মতবাদ নয় যে এর প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুতে তা নিঃশেষ হয়ে যাবে অথবা তার অনুপস্থিতিতে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বরং এটা একটা দৃঢ় মতবাদ, গভীরে প্রেথিত ভাবাদর্শ এবং মজবুত ঈমান (বিশ্বাস) যা রক্তের দ্বারা কর্ষিত, অস্থি দ্বারা গঠিত এবং শহীদদের মৃত্যুতে তা আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। আমাদের জিহাদ আমাদের শাইখদের শাহাদাতে বিন্দুমাত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয় না এবং যদি কোন ব্যক্তির মৃত্যুতে জিহাদ শেষ হয়ে যেত, তাহলে তা শেষ হয়ে যেত যেদিন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণ মৃত্যুবরণ করেছিলেন; অথবা তা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যেত শাইখ উসামা বিন লাদিন, শাইখ আবু মুসাব আল জারকাউয়ী, শাইখ আবু উমার আল বাগদাদী, শাইখ মোল্লা দাদুল্লাহ, শাইখ বায়তুল্লাহ মেহসুদ, শাইখ দোকো উমারাভ এবং শাইখ আবু সুফিয়ান আস সিহরী এর শাহাদাতে। এই নেতারা সুনিশ্চিত ছিলেন যে এটা জিহাদের যুগ এবং তারা কাঁধে কাফন বহন করে এবং গৌরবের পোশাকে আচ্ছাদিত হয়ে অগ্রসর হয়েছেন। তারা গণতন্ত্র এবং অন্য যেকোন কুফরী পদ্ধতিতে পরিচালিত হতে অস্বীকার করেছেন। তারা আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য কোন কিছুকে গ্রহণ করতে অস্বীকার জানিয়েছেন এবং আল্লাহর শরীয়াহর পরিবর্তে অন্য কিছুই আকাঙ্ক্ষা করেন নি। তারা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে তাদের শত্রুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সর্বদিক দিয়ে ইসলামের উপর তাদের আগ্রাসন; কিন্তু তারা এটাকে পিছনে বসে থাকা, ইরজা অবলম্বন করা অথবা মুসলিম উম্মাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার অজুহাত হিসেবে বেছে নেন নি। বরং তা তাদেরকে কোন বিলম্ব বা শৈথিল্য ছাড়াই মুসলিম উম্মাহর সহায়তায় এগিয়ে যেতে এবং কোন একঘেয়েমী বা ক্লান্তি ছাড়াই মুসলিমদের মাঝে জিহাদের চেতনা উজ্জীবিত করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, “এবং মুহাম্মাদ রাসূল ব্যতীত কিছুই নয়, নিশ্চয়ই তাঁর পূর্বে রাসূলগণ বিগত হয়েছে, অনন্তর যদি তাঁর মৃত্যু হয় অথবা তিনি নিহত হন, তবে কি তোমরা পশ্চাদপদে ফিরে যাবে? এবং যে কেউ পশ্চাদপদে ফিরে যায়, তাতে সে আল্লাহর কোনই অনিষ্ট করবে না এবং আল্লাহ কৃতজ্ঞগণকে অচিরেই পুরষ্কার প্রদান করবেন।” [আল–ইমরান, ১৪৪] শাইখ আবদুর রহমান আস সাদী এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, “এই মহান আয়াতটিতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দাদের প্রতি পথ নির্দেশনা এই যে কোন নেতার মৃত্যুতে যেন তাদের ঈমান অথবা কোন ফরজ দায়িত্ব যেন কোনরূপ বাধাগ্রস্ত না হয়; তা সে যত বড় নেতাই হোক না কেন। এই বিষয়টি সম্ভব হবে কেবল যদি দ্বীনের প্রত্যেকটি বিষয়ে প্রস্তুতি থাকে; একদল উপযুক্ত উত্তরসূরী থাকবে, ফলে একজন নেতার মৃত্যুতে অপর একজন শূণ্যস্থান পূরণ করবে। মুসলিমদের লক্ষ্য সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীভূত হওয়া উচিৎ যথাসম্ভব আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা এবং তাঁর রাস্তায় জিহাদ করাকে কেন্দ্র করে; তা নেতা যেই হোক না কেন।” আমরা আপনাদের আরও নিশ্চিত করছি যে শাইখ এমন একদল লোক রেখে গেছেন যারা শোষণকে প্রত্যাখ্যান করে এবং দ্বীনের অমর্যাদার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এই লোকেরা থেমে যাবে না অথবা বিশ্রাম নিবে না যতদিনে না সমগ্র পৃথিবী আল্লাহর শরীয়াহ দ্বারা পরিচালিত হয়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, নিরপেক্ষ কাউন্সিলের প্রচলন ঘটে, মুসলিমরা তাওহীদের কালিমাতলে একত্রিত হয় এবং মুসলিম ভূমি ক্রুসেডার ও তার মুরতাদ মিত্রদের আবর্জনা থেকে মুক্ত হয়। এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে, হরকত আল–শাবাব আল–মুজাহিদীন এর নেতৃত্ব তাদের নতুন আমীর হিসেবে এবং শাইখ মুখতার আবু জুবায়েরের উত্তরসূরী হিসেবে শাইখ আহমদ উমর – আবু উবায়দার নিযুক্তি ঘোষণা করেছে – আল্লাহ তাকে হেফাজত করুক এবং তাকে সত্যের উপর অটল রাখুক। আল–শাবাব নেতৃত্ব কায়েদাত আল–জিহাদ এবং এর আমীর শাইখ আইমান আল–জাওয়াহিরির প্রতি তাদের বাইয়াত নবায়ন করছে। প্রকৃতপক্ষে, সমগ্র মুসলিম বিশ্বজুড়ে জিহাদের বিকাশ, পরিশোধন ও পরিপক্কতার দ্বারা মুসলিম উম্মাহর দিগন্তে এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় ভোর আজ প্রতিভাত হয়েছে। আমাদের ভূমিতে এবং ফিলিস্তিন, ইরাক, শাম, আফগানিস্তান, আরব উপদ্বীপ, ইসলামিক মাগরেব, চেচনিয়া ও অন্যান্য ভূমিতে ক্রুসেডার, জায়োনিস্ট ও রাফেজী (শিয়া) দের নির্মম ও আগ্রাসী আক্রমণ কেবল বিশ্বজুড়ে মুসলিম তরুণদের হৃদয়ে জিহাদের চেতনা আরো উজ্জীবিত করছে। একইভাবে, বহু আত্মত্যাগ, অদম্য ধৈর্য, মজবুত ঈমান এবং অকুতোভয় মনোভাব দ্বারা মুজাহিদীনরা তাদের শত্রুদের অশুভ তৎপরতাকে প্রতিহত করছে; তা তো কেবল জিহাদের প্রচন্ডতা ও পরিশুদ্ধতাকে আরো বৃদ্ধি করছে। সবশেষে আমরা আল্লাহর শত্রুদের বলতে চাইব, তোমরা কেবল চরম বিপদই প্রত্যাশা করতে থাকো এবং প্রস্তুত হয়ে যাও নিজেদের বেপরোয়া মনোভাব ও নির্বুদ্ধিতার ফলাফল ভোগ করতে। আমাদের আলেম ও নেতাদের মৃত্যুর বদলা নেওয়া আমাদের জন্য একটা অবশ্য কর্তব্য যা আমরা কখনই পরিত্যাগ করবো না অথবা ভুলে যাবো না, তা যতদিনই লাগুক না কেন। আল্লাহর ইচ্ছায় তোমরা অবশ্যই তোমাদের কর্মের তিক্ত ফল আস্বাদন করবে। “অত্যাচারীরা শীঘ্রই জানবে তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়” [আশ–শু’আরা, ২২৭]
مُؤَسَّسَةٌ الْقَادِسِيَّةِ لِلْإِنْتَاجِ الْإِعْلامِيَّ
Al-Qadisiyyah Media
আল–ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া
المصدر: ( مركز صدى الجهاد للإعلام )
Source: Echo of Jihad Media Center
উৎসঃ ইকো অফ জিহাদ মিডিয়া সেন্টার
الجبهة الإعلامية الإسلامية العالمية
The Global Islamic Media Front
দ্যা গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্ট
رصد لأخبار المجاهدين و تحريض للمؤمنين
Observing the Mujahideen News and Inspire the Believers
মুজাহিদিনদের খবর পর্যবেক্ষন করছে এবং ঈমানদারদের উৎসাহিত করছে