আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-১০ || আপনি সৌভাগ্যের জীবন ও শাহাদাতের মরণ পেয়েছেন!
আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-১০
আপনি সৌভাগ্যের জীবন ও শাহাদাতের মরণ পেয়েছেন!
আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত
জুমাদাল উলা || ১৪৩৮ হিজরী
ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড (১০৫.১ কেবি)
https://banglafiles.net/index.php/s/2a5s5D2fqEfyFxt
https://archive.org/download/AnNafir17_201906/An%20Nafir%20Bulletin-10.docx
https://alfirdawsweb.files.wordpress…lletin-10.docx
https://archive.org/download/AnNafir…lletin-10.docx
https://www.file-upload.com/70u666bz3qtx
http://www.mediafire.com/file/qspz3u…lletin-10.docx
http://www.mediafire.com/file/o8podzu8kg7u83c/An_Nafir_Bulletin-10.docx/file
পিডিএফ (৪০৪.৮ কেবি)
https://banglafiles.net/index.php/s/FzBAGjNAGREjWT6
https://archive.org/download/AnNafir17_201906/An%20Nafir%20Bulletin-10.pdf
https://alfirdawsweb.files.wordpress…ulletin-10.pdf
https://archive.org/download/AnNafir…ulletin-10.pdf
https://www.file-upload.com/366vs7sk6ki7
http://www.mediafire.com/file/7ikxh9…ulletin-10.pdf
http://www.mediafire.com/file/ihk7ei9bs6a3uqa/An_Nafir_Bulletin-10.pdf/file
===================
মুজাহিদ ইমাম শায়েখ উমর আব্দুর রহমান রহমাতুল্লাহি আলাইহির জীবন ওই সকল গুণাবলী ও অবস্থান দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল, যা শুধু মহান মানুষদের অর্জিত থাকে। তাঁর জীবনের উদাহরণ হচ্ছে একটি আলোকিত চাঁদের ন্যায়, যে আলোতে সর্বস্তরের, সকল যুগের সত্যান্বেষী মানুষেরা পথের দিশা খুঁজে পায়। সমগ্র জীবনব্যাপী তাঁর মহান কীর্তিগুলো ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে খোদিত আছে, বাস্তবিকই তিনি ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে আছেন।
কোথায় সেই কারারক্ষীরা?
কোথায় তাঁর কারারক্ষীরা?
কোথায় তাঁর জল্লাদ?
কোথায় তার প্রতিপক্ষ দল যারা অন্যের জীবনের জন্য নিজের ঈমানকে বিক্রি করে দিয়েছিল?
ইতিহাস তাদের শুধুই আবু জাহেল ও আবু রিগালের ন্যায় স্মরণ করবে।
فَأَمَّا الزَّبَدُ فَيَذْهَبُ جُفَاءً ۖ وَأَمَّا مَا يَنْفَعُ النَّاسَ فَيَمْكُثُ فِي الْأَرْضِ ۚ كَذَٰلِكَ يَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ
“অতএব, ফেনা তো শুকিয়ে খতম হয়ে যায় এবং যা মানুষের উপকারে আসে, তা জমিতে অবশিষ্ট থাকে। আল্লাহ এমনিভাবে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন।” (সুরা রা’দ ১৩:১৭)
তাঁর স্নিগ্ধ ও সুরভিত জীবন যুগে যুগে উম্মাহর সন্তানদের পাথেয় হয়ে থাকবে এবং তাদের গৌরব ও সম্মানের পথে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এবং আল্লাহর তাকদিরের প্রতি ধৈর্য্যশীল ও পুরস্কার প্রত্যাশীদের জন্য তিনি এক জীবন্ত উদাহরণ। সূর্যোদয়ের পরে সিতারাগুলোর আর কোন প্রয়োজন নেই।
শায়খ অসাধারণ জীবনের অধিকারী ছিলেন, তথাপি তার মৃত্যুতে তিনি কৃতজ্ঞ হয়েছেন। তাঁর এই মৃত্যু তাঁর শত্রুদের উদ্দেশ্যে যেন বলে দিচ্ছে যে, এই জানাযার দিনটিই আমাদের এবং তোমাদের মাঝে পার্থক্য দেখিয়ে দিয়েছে। তাঁর জানাযায় ছিল বিপুল লোক সমাগম। ন্যায়পরায়ণ লোকদের একটা বিরাট অংশ এর সাক্ষী হয়ে আছে। পায়ে হেঁটে, যানবাহনে চড়ে এত বিপুল সংখ্যক লোক এসেছিল যে, রাস্তাঘাট এবং চারপাশের ঘরবাড়ি গুলো অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল, দোকানপাট গুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছিল এবং জানালাগুলোতেও ভীড় জমেছিল। ইতিহাসে এমন আর কোন গ্রাম নেই যেখানে তার জানাযার মত এত বিপুল লোক সমারোহ হয়েছিল।
মানুষ এক প্রকৃতিরই হয় ও দোষমুক্ত তো মৃতরাই হয়ে থাকে,
বিরোধীরা চিৎকার করে বলছেঃ পুরুষেরা সব কোথায়?
এখানে, ইবনে আব্দুর রহমান তাঁর খাটিয়ায় শুয়ে আছে।
চোখ মেলে দেখ, পর্বতসদৃশ ভীড়গুলো কিভাবে সম্মুখে অগ্রসর হচ্ছে।
আপনার জানাযা আমাদের আহলুস সুন্নাহর ইমাম, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ মহান ব্যক্তিত্বদের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, যিনি জেলে বন্দী হওয়ার দরুণ মৃত্যু বরণ করেছেন। আনুমানিক ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ তাঁর জানাযায় অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়াও, শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি দামেস্কের দুর্গে একাকী বন্দী থাকা অবস্থায়, তাঁর সেলের অভ্যন্তরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তাঁর উপরে এর বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়ে নি। তাঁর জানাযাও আড়ম্বরপূর্ণ ছিল ও বিপুল পরিমাণ লোক সমাগম ঘটেছিল এবং ইমাম যাহাবি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর বর্ণনামতে, হাজার হাজার ন্যায়পরায়ণ লোক এতে অংশগ্রহণ করেছিল।
আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন হে শায়েখ আব্দুর রহমান! আল্লাহ যেন আপনাকে নবী, সিদ্দিকীন ও শহীদদের সাথে জান্নাতের উচ্চস্তরে আসীন করেন। কতই না উত্তম সাথী তাঁরা!
ও আল্লাহ! আপনার বান্দা আব্দুর রহমানকে ক্ষমা করে দিন। হক্বের অনুসারীদের মধ্যে তাঁর মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করুন এবং জীবিতদের মধ্য হতে তাঁর প্রতিশোধ গ্রহণকারী বানিয়ে দিন। আমাদের ও তাঁকে ক্ষমা করুন। হে বিশ্ব জাহানের রব! তাঁর কবরকে আরো প্রশস্ত করুন এবং তাঁর কবরকে আলোকিত করে দিন।