GIMFইতিহাস- ঐতিহ্যবই ও রিসালাহমিডিয়া

বার্মার মুসলমানদের গণহত্যা নিয়ে GIMF এর গবেষনাধর্মী বিশেষ প্রতিবেদন (২০১২)

বার্মার মুসলমানদের গণহত্যা নিয়ে GIMF এর গবেষনাধর্মী বিশেষ প্রতিবেদন (২০১২)

Download in Bengali
বাংলায় অনূদিত ডাউনলোড লিঙ্কঃ

DOC
 http://archive.org/download/the_Muslims-in-Burma/Burma_Bangla.doc

PDF
http://archive.org/download/the_Muslims-in-Burma/Burma_Bangla.pdf

===================

بسم الله الرحمن الرحيم

বার্মায় মুসলিমদের গণহত্যা

গণহত্যা শুরুর প্রকৃত কারন?
রাখাইন বৌদ্ধরা এই বিষয়ে মিথ্যা দাবি করছে যে তিনজন মুসলিম যুবক কতৃক একজন ২৬ বছরের রাখাইন বৌদ্ধ মহিলা ধর্ষিত এবং নিহত হয়েছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৌদ্ধ রাখাইনদের এই প্রচারনা সম্পূর্ন ভুল। সত্য ঘটনা এইটি যে এই রাখাইন বৌদ্ধ মহিলাটি রাখাইন দল দ্বারা ধর্ষিত এবং নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে একজন তাঁর ছেলেবন্ধু(বয়ফ্রেন্ড) ছিল । ঐ মহিলাটি এবং তার ছেলেবন্ধু(বয়ফ্রেন্ড) এর মধ্যে বিরোধ ছিল। ছেলেবন্ধুটি(বয়ফ্রেন্ড) ঐ মহিলাটিকে পুনরায় তার মেয়েবন্ধু হওয়ার জন্য প্ররোচিত করতেছিল। কিন্তু ঐ মহিলাটি ঐ ছেলেটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং নতুন ছেলেবন্ধু(বয়ফ্রেন্ড) নিয়েছিল। তারপর ঐ মহিলাটির আগের ছেলেবন্ধুটি(বয়ফ্রেন্ড) তার ঘনিষ্ঠ দুইজন বন্ধুসহ ঐ মহিলাটিকে ধর্ষন করে এবং হত্যা করে। এই রাখাইন বৌদ্ধ হত্যাকারিরা এই মহিলার মৃতদেহটি গোপনে মুসলিম গ্রামের নিকটে রেখে এসেছিল। এরপর রাখাইন বৌদ্ধ এবং বার্মার কুফফার কতৃপক্ষ এই মহিলাটির হত্যাকান্ডে কোনও তদন্ত ছাড়াই মুসলিমদের উপর দোষ চাপায়। বার্মার কুফফার কতৃপক্ষ তিনজন নিরাপরাধ মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে একজনকে মৃত্যুদন্ডের শাস্তি দেয়া হয়েছে এবং বাকি দুইজনকে কোর্ট কতৃক মৃত্যুদন্ডের আদেশ করা হয়েছে। বার্মার কুফফার কতৃপক্ষ প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার জন্য এই ধরনের ভূয়া ইস্যু তৈরি করেছে এবং বিশ্বের সকলের কাছে ভূয়া তথ্য পাঠিয়েছে।
এই গণহত্যা শুরু হওয়ার পূর্বে বার্মার রোহিঙ্গা মুসলমানদের সার্বিক পরিস্থিত
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাখাইন চরমপন্থি গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বিদেশি আখ্যা দিয়ে বার্মার ভিতরে এবং বাইরে তাদের সেই পুরাতন মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছিলো এই বলে যে, “ রোহিঙ্গারা বার্মার নাগরিক নয়। তাঁরা বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী ”।
[রোহিঙ্গা মুসলিম বিরোধী মিথ্যা প্রচারনা] আশ্চর্যজনকভাবে এই ধরনের সুসংগঠিত প্রচারনাগুলো বার্মার শাসক কতৃপক্ষ এবং দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের বক্তব্যেও পাওয়া গেছে।
কখন এই গণহত্যা শুরু হয়েছিল এবং তারপর কি ঘটেছিল?
২০১২ সালের জুনের ৩ তারিখে দক্ষিন আরাকান রাজ্যের তাউনগুপ টাউনশিপে রাখাইন উচ্ছৃঙ্খল জনতা কতৃক একজন রক্ষী সহ তাবলীগ জামাতের ৮ জন, একজন বাস সহকারী এবং একজন মহিলা নিহত হয়। এই গনহত্যা থেকে পাঁচজন পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়। আক্রান্তরা ছিল মুসলিম দা’য়ী যারা দক্ষিন আরাকান রাজ্যের থানভীর থেটসা মসজিদে তাদের দাওয়াতের কাজ সমাপ্ত করে বাসে করে রেন্গুন যাচ্ছিলো।

[আক্রমনের শিকার মুসলিম দা’য়ী] রাখাইন সন্ত্রাসী গ্রুপটি প্রানহরনকারী মারাত্নক অস্ত্র বহন করে তাদের বাসটি ইমিগ্রেশন গেইটের সামনে থামিয়ে ছিল যার লাইসেন্স নাম্বার ৭ (গ) ৭৮৬৮ এবং আহবান করতে থাকে এই বলে যে “ভিতরে কোনও বিদেশী থেকে থাকলে নিচে নেমে আসো”। রক্ষী এবং বাসের সহকারী রাখাইন সন্ত্রাসীদেরকে যাত্রীদেরকে আক্রমণ না করার অনুরোধ জানিয়েছিলো কিন্তু সন্ত্রাসীরা আক্রমনাত্মক হয়ে বাসে উঠে পড়ে এবং এই বলে চিৎকার করতে থাকে যে সেখানে বিদেশি আছে। তারপর তারা মুসলিম দা’য়ীদেরকে নির্যাতন করতে থাকে এবং বাস থেকে তাদেরকে টেনে
হিঁচড়ে রাস্তায় নামিয়ে আনে যেখানে ৩০০ এর অধিক রাখাইন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দল মুসলিমদের নির্যাতন করতে থাকে যতক্ষন পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয়। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি ইমিগ্রেশন গেইটের সামনেই দাঁড়িয়েছিল কিন্তু কতৃপক্ষের কেউই এই গনহত্যা থামাতে এগিয়ে আসেনি।
[আক্রমনের শিকার মুসলিম দা’য়ী] টাছান পাই মসজিদ থেকে থানভি যাওয়া আট মুসলিমকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের সকলে এসেছে বার্মার কেন্দ্রস্থল থেকে এদের তালিকা নিন্মরূপঃ
১) মুহাম্মদ শরিফ@ উ নি পাউয়ি s/o উ আহমেদ সুবান, ৫৮ ৮/টা কা টা (এন) ০৯৫৫৪৮, তাউং তুইন গাঈ
২) মুহাম্মদ হানিফ@ উ মাউং নি s/o উ কাই পি সুফি, ৬৫ ৮/টা কা টা (এন) ০৯৫৫৩০, তাউং তুইন গাঈ
৩) শাফিয়েলদ বাই@ উ আইয়ে লুইন s/o উ এ হোপই গাই , ৫২ ৮/টা কা টা (এন) ০৯৩৫৭৩, তাউং তুইন গাঈ
৪) আসলাম বাই@ উ অং মিয়েন্ট s/o উ হিলা মং , ৫০৮/টা কা টা (এন) ০৯৪৫৫৭, তাউং তুইন গাঈ
৫) বালাই বাই@ তাইযার মিয়েন্ট s/o উ হিলা মং , ২৮৮/টা কা টা (এন) ১৮৯৮১৫, তাউং তুইন গাঈ
৬) শুয়াইব@ তিন মং হুতই s/o উ তিন ও , ২১৮/টা কা টা (এন) ২৩১০৮৪, তাউং তুইন গাঈ
৭) সালিম বাই@ অং বো বো কিআউ s/o উ তুন তুন জাও , ২৬১৪/মা লা না (এন) ২৩১০৮৪, মায়ুঙ্গ মায়া
৮) লুকমান বাই@ জাউ নি নি হতুত s/o উ ইব্রাহিম , ৩৩১৪/মা লা না (এন) ১৪৮১৩৩, মায়ুঙ্গ মায়া
আক্রান্তের শিকার অন্য দুইজন হচ্ছে স্বামী স্ত্রী যারা চালকের আত্মীয় এবং থানভি টাউনশিপ থেকে তারা এসেছে।
বাসটিও জ্বালিয়ে দিয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে যার নাম্বার “৭ (গ) ৭৮৬৮” ।
এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ থেকে পাঁচজন নিজেদেরকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। হত্যাকারীরা রাস্তায় মৃতদেহগুলোকে ফেলে রেখে মৃতদেহগুলোর উপর অবজ্ঞা ভরে থুথু নিক্ষেপ করে এবং মদ ঢেলে বিজয় উল্লাস করতে থাকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হত্যাকারীদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি এবং কারোও বিরুদ্ধে বৈধ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। ২০১২ সালের জুনের ৩ তারিখে সন্ধ্যাবেলায় এই মৃতদেহগুলোর কবর দেওয়া হয়েছে ।
[২০১২ সালের জুনের ৩ তারিখে সন্ধ্যাবেলায় এই মৃতদেহগুলোর কবর দেওয়া হয়েছে] ১৪৪ ধারার অধীনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সম্পদ লুট করা হয়েছে এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বার্মিজ কতৃপক্ষ কতৃক ১৪৪ ধারা জারির পর মংডুর রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাড়ির বাইরে বের হতে পারে নি। অথছ রাখাইন বৌদ্ধরা সহজেই চলাফেরা করতে পারছে।

[ রাখাইন বৌদ্ধরা এবং নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী রাতের আঁধারে মুসলিমদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে] [রাখাইন বৌদ্ধরা এবং নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী রাতের আঁধারে মুসলিমদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে]

নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী রাখাইন বৌদ্ধদেরকে নিরাপত্তা দেয় যখন রোহিঙ্গা মুসলিমদের ঘরবাড়ি রাখাইনরা জ্বালিয়ে দিচ্ছিলো।
[রাখাইন বৌদ্ধরা এবং নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী ভোরের আলোতে মুসলিমদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে]

মংডুর এক বিশ্বস্ত লোক থেকে জানা যায় যে সকল রোহিঙ্গা মুসলিমরা তাদের সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী তাদের গুলি করে হত্যা করছে।

[বার্মার নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী মুসলিমদেরকে হত্যা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে]

নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী এবং রাখাইন গোষ্ঠী রাযাক,লালু এবং সাইয়েদ আহমেদ এর ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাঁচের অধিক কাপড়ের দোকান লুট করা হয়েছে যার আর্থিক পরিমাণ ১৫ কোটি কায়াত এবং সাওমাওনা গ্রামের একটি মসজিদ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ২০১২ সালের জুনের ৮ তারিখে বিভিন্ন গ্রামের ২০০ এর অধিক রোহিঙ্গা মুসলিমকে আহত করা হয়েছে।
২০১২ সালের জুনের ৯ তারিখে রাখাইন দাঙ্গাবাজ এবং নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী ১০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করেছে এবং প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে আহত করেছে।

 

আর্মি নিয়ন্ত্রন নেওয়ার পরেও মুসলিম গণহত্যা অব্যাহত আরাকানে
আকিয়াব থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমরা আশ্রয়ের সন্ধানে বাংলাদেশে আসছে কারন আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে এবং তাদের গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বহু নিরাপরাধ রোহিঙ্গা মুসলিমকে পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী এবং রাখাইন কতৃক হত্যা করা হয়েছে। রোহিঙ্গা মুসলিমরা মনে করেছিল বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ এবং তারা তাদের এই কঠিন মূহুর্তে তাদেরকে সাহায্য করতে পারবে।

[রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশের কাছে একটু আশ্রয় দেওয়ার জন্য আবেদন করছে] [এই সকল রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে তাগুত বাংলাদেশ কতৃপক্ষ আশ্রয় না দিয়ে সমুদ্রের বুকে নিক্ষেপ করেছে] দূর্ভাগ্যজনকভাবে তাগুত বাংলাদেশি সরকার এবং তাগুত বাংলাদেশি আর্মি রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রবেশ করার কোনও অনুমতি দিচ্ছে না। যদি কোনও স্থানীয় মুসলিম রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দেয় তাহলে তাগুত বাংলাদেশি আর্মি তাদের গ্রেপ্তার করছে এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের ফেরত পাঠাচ্ছে।
[তাগুত বাংলাদেশি আর্মি রোহিঙ্গা মুসলিমদের বোট খুঁজছে] [এই সকল রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে তাগুত বাংলাদেশ কতৃপক্ষ আশ্রয় না দিয়ে সমুদ্রের বুকে নিক্ষেপ করছে] বার্মিজ কতৃপক্ষ মংডু পুলিশ স্টেশনে বিশেষ কোর্টরুম স্থাপন করেছে,জানান মংডুর একজন। “গত ৮ জুন থেকে যে সমস্ত রোহিঙাকে পুলিশ,নাসাকা বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করেছে তাদের বিচারের জন্য উক্ত কোর্ট ব্যবহার করা হচ্ছে।বিশেষ কোর্টে কোন শুনানী ছাড়াই তাদের আদেশ শুনানো হয়েছে ও জেলে পাঠানো হয়েছে।”

মংডূর একজন রাজনীতিবিদ জানান,পুলিশ,নাসাকা ও আর্মি তাদের কাছের মানূষগুলোকে খুজে পাচ্ছে না এবং এরূপ একটি কোর্ট থাকতে পারে তারা কখনো চিন্তা করে নি।

মংডুর একজন রাজনীতিবিদ জানান নিরাপত্তা বাহিনী এখন মংডুতে রোহিঙা তরুণীদের ধর্ষন শুরু করেছে। “জুন এর ৮ তারিখ পর্যন্ত প্রাউ ৬০ জন নারীকে মংডূ নিরাপত্তা বাহিনী-পুলিশ,নাসাকা,আর্মি —রাখাইন ও নাতালা গ্রামবাসীদের সহায়তায় ধর্ষন করেছে”
অধিকাংশ রোহিঙ্গা তরুণীকে নিরাপত্তাবাহিনী রাখাইন ও নতুন অধিবাসী -নাতালাদের সাহায্যে ধর্ষন করে যখন ঘরের পুরুষ মানুষেরা বাইরে ছিল-এছাড়া তারা ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় -যার মধ্যে স্বর্ন ও অর্থও ছিল,এই সময় ঘরে কেবল নারীরাই ছিল যখন নেই কাজ করে রাখাইন ও নাতালারা জানান একজন ভুক্তভোগী।
“নিরাপত্তা বাহিনী রাতের বেলায় পরিবারের লিস্ট চেক করার কথা বলে তাদের ঘরে প্রবেশ করে এবং রোহিঙা মুসলিম মহিলাদেরধর্ষন করে যখন পরুষরা গ্রেপ্তারির ভয়ে ঘরের বাইরে আছে”
আরাকান ও আকিয়াবে নিরাপত্তাবাহিণী সংখ্যালগুতে পরিনত হওয়া রোহিঙ্গাদের উপর এখন নির্যাতনের স্টীম রোলার চালচ্ছে। লুন্তিন ,নাসাকা,আর্মি,পুলিশ সাধারনের পাশে না দাঁড়িয়ে তাদের হয়রানী করছে এবং ঘরবাড়ী পূড়িয়ে দিচ্ছে। কার্ফিউ জারির পর অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। রাখাইনরা মুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে। মুসলিমদের ধনসম্পত্তি লুট করা হচ্ছে।

শাবান ১৪৩৩
জুলাই ২০১২
উৎসঃ (ইকো অফ জিহাদ মিডিয়া সেন্টার )

গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্ট
মুজাহিদিনদের খবরকে পর্যবেক্ষন করছে এবং মুমিনদেরকে উদ্দীপ্ত করছে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 5 =

Back to top button