বিশ্বব্যাপী চলমান জিহাদে অংশগ্রহণের ব্যাপারে বাস্তবমুখী হওয়া এবং এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাসমূহ – সামির খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি
বিশ্বব্যাপী চলমান জিহাদে অংশগ্রহণের ব্যাপারে বাস্তবমুখী হওয়া এবং এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাসমূহ
– সামির খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি
ডাউনলোড করুন
PDF
https://banglafiles.net/index.php/s/A4onmeqszbKxSMP
https://archive.org/download/balakot_media_books/bisshobapi_choloman_jihade_ongshogrohon.pdf
http://www.mediafire.com/file/vpnfiis3e1rcc16/10.bisshobapi_choloman_jihade_ongshogrohon.pdf/file
WORD
https://banglafiles.net/index.php/s/D3PN2edR8tnxFxm
https://archive.org/download/bishobepi-coloman-jihad/.docx
====================================
মুজাহিদ শহীদ “ইনশাআল্লাহ শহীদ” (সামির খান, আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন) এর ব্লগ থেকে সংগৃহীত একটি প্রবন্ধ
বিশ্বব্যাপী চলমান জিহাদে অংশগ্রহণের ব্যাপারে বাস্তবমুখী হওয়া এবং এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাসমূহ
লেখক: ইনশাআল্লাহ শহীদ (সামির খান, আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন)
পরিবেশনায়: বালাকোট মিডিয়া
২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭
দাজ্জালের এই শেষ যুগে যখন উম্মত জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এর রেনেসাঁ প্রত্যক্ষ করছে সেই সময়ে আমরা শুধুমাত্র তখনই উপকৃত তে পারি যখন আমাদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়া হয়, যখন রগুলোকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করে দেয়া হয় এবং যখন ভুল ধারণা ও চিন্তা দূর করে আমাদের উদ্দেশ্য ও নিয়্যতকে পরিষ্কার করে দেয়া হয়। গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখেছি যে, যেসব ক্ষেত্র দিয়ে জিহাদকে আক্রমণ করা হতো সেসব ক্ষেত্রেই জিহাদ উন্নতি লাভ করছে এবং নিজের অবস্থান মজবুতভাবে তৈরি করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সুস্পষ্ট হলো প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্রসমূহ। ইরাক, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া প্রভৃতি মহিমান্বিত ভূমিসমূহে আল্লাহর প্রতি ওয়াদাকারী লোকের সংখ্যা ও শক্তি অবিশ্বাস্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই ভূমিসমূহ থেকে “হাইয়্যা আলাল জিহাদ” (জিহাদের দিকে এসো) এর ডাক বাতাসে ভেসে পৌঁছে যাচ্ছে সকল মুসলিম বা অমুসলিম দেশে, যেখানেই মুসলমানেরা বাস করছে সেখানে।
আমরা দেখেছি এবং এখনো দেখছি কিভাবে উম্মতের যুবক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের মধ্যেই জিহাদে অংশগ্রহণ করার জন্য নিগুঢ় আকাজ্জা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই সাথে আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রসমূহে – মুসলিম উম্মতের যুদ্ধক্ষেত্রসমূহে – আমাদের প্রতি শত্রুদের ক্রমাগত আক্রমণের ফলস্বরূপ শত বছর ধরে সৃষ্ট হয়ে থাকা ফাটলসমূহ যখন আমরা সারিয়ে তুলছি তখন আল্লাহর শত্রুদের শক্তির ফাটলসমূহ ও ভঙ্গুরতা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে – ঠিক যেন একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। অন্য কথায়, একটি জাতির পতন হচ্ছে এবং তার সাথে সাথে উত্থান হচ্ছে আরেকটি জাতির, ইতিহাস জুড়ে আমরা বারংবার যার পুনরাবৃত্তি দেখেছি।
জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এর প্রতি গভীর ভালোবাসা ধারণ করেন এমন অনেক তরুণেরা প্রায় সময়ই জিজ্ঞেস করেন যে, এই জিহাদে কিভাবে সহায়তা করা যায় যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, এমন একটা সময়ে যখন কিনা আমাদের প্রতিবেশীও হতে পারে শত্রুর গুপ্তচর। এ প্রশ্নের অনেক উত্তর রয়েছে, যা কিনা বিস্তারিত ভাবে বর্ণিত হয়েছে আত-তিবইয়ানের “জিহাদে সহায়তা করার ৩৯টি উপায়” বইয়ে এবং এ প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে প্রশ্নকর্তার উপর। কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি জিহাদের ময়দানে যোগদানের নির্দেশ দেয়া অতীতের চাইতে বর্তমানে আরো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীতে একজন ইমাম যদি জিহাদের জন্য আহবান করতেন তাহলে লক্ষ লক্ষ মুসলমান উপস্থিত হয়ে যেতেন।
এখন আমাদের পরিস্থিতি এরূপ যে, আমাদের অতীতের স্বরূপ কোনো নেতৃত্ব নেই – যদিও তা আমাদের খুব নিকটবর্তী – এবং প্রত্যেক মুসলমানের পরিস্থিতি পার্থক্যপূর্ণ। কিছু ভাই অর্থনৈতিক সমস্যায় আছেন, যেখানে অপর কিছু ভাই ভাষাগত কারণে সমস্যায় পড়ছেন। ভাষাগত বাধা প্রবল হওয়া সত্তেও অতীতে তুরস্কের একজন মুজাহিদের জন্য আলজেরিয়ায় গিয়ে জিহাদ করা কোনো ব্যাপারই ছিল না। খিলাফতের সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই তা সম্ভব হয়েছিল। আফগান-সোভিয়েত জিহাদে পেশোয়ারের রাস্তায় এর পুনর্জাগরণ ঘটে।
আর বর্তমানে তা সম্ভব হলেও বেশ দুরূহ হয়ে উঠেছে, কেননা অসংখ্য বিশ্বাসঘাতক গুপ্তচর মুসলমান বাহিনীর মাঝে প্রবেশ করেছে। তাই এখন শুধুমাত্র গোপনীয়তা রক্ষা করেই একজন ব্যক্তি সফলতার সাথে জিহাদে প্রবেশ করতে পারেন। আর যদি আল্লাহ চান তবে অন্যদের চাইতে বেশ কম প্রস্তুতি গ্রহণ করেও একজন ব্যক্তি এসব বাধা পার হতে পারবেন।
কিন্ত এখানে আমরা বাস্তবমুখী হওয়া নিয়ে কথা বলবো, যা কিনা কোনো না কোনো সময়ে একজন সত্যনিষ্ঠ মুসলমানের মাথায় আসতে বাধ্য। কেননা নির্দিষ্ট কিছু ভূমিতে যাওয়া – যেমন ইরাকে যাওয়া – দিন দিন দুরূহ হয়ে উঠছে। ইরাকে যারা লড়াই করছেন তাদের অধিকাংশেরই মুখে মুখোশ থাকে, তাদের মধ্যে রয়েছে “ইরাকের ইসলামী রাজ্য” (Islamic state of Iraq) (আল্লাহ একে রক্ষা করুন) এর অনেক সদস্য। বন্দীত্ব ও নির্যাতনের প্রবল সম্ভাবনা থাকা সত্তেও যারা এই পথ পুরো পাড়ি দিতে চান তাদের জন্য রয়েছে সুনিশ্চিত পুরস্কার।
সুতরাং সফলতার সাথে একজন জাহান্নামগামী শত্রুর মাথায় গুলি করার সুযোগ পেতে হলে বাস্তবমুখীতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যারা বর্তমানে জিহাদে আছেন এবং যারা এখনো যান নি – উভয়েরই বিষয়টির প্রতি বিস্তৃতভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
আসুন! আমরা আজকের বৈশ্বিক জিহাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করি। আমরা দেখতে পাবো যে, মুজাহিদীনদের এই জিহাদে প্রত্যেকটি ভূমিকারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। এর মধ্যে দুই-একটি বিষয় পালন করেই মনে করা যাবে না যে, আমাদের দায়িত্ব শেষ। এতটুকু কাজ করেই সন্তুষ্ট হওয়া যাবে না। যতক্ষণ না একজন ব্যক্তি ছয় ফুট মাটির নিচে পৌঁছে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তার হৃদয়ে থাকতে হবে শহীদ হয়ে আল্লাহর সাথে দেখা করার সুতীব্র ইচ্ছা।
আর্থিক সংস্থান
এটা চিন্তা করা বোকামি হবে যে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই জিহাদের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন নেই। অর্থই জিহাদকে সচল রাখে এবং এর অভাবে আমাদের যোদ্ধাদেরকে রাইফেলের পরিবর্তে মুষ্টি দিয়ে যুদ্ধ করতে হবে। জিহাদে অর্থ সরবরাহ করা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, এই প্রক্রিয়া কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সুতরাং, এটা অবাক করার মতো কোনো ব্যাপার নয় যে,
রাসূল সোল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোনো যোদ্ধাকে প্রস্তুত করেছে, তবে নিশ্চিতভাবে সে নিজেই যেন যুদ্ধ করেছে। আর যে ব্যক্তি কোনো যোদ্ধার পরিবারের দেখাশুনা ও যত্ন করেছে, তবে নিশ্চিতভাবে সে নিজেই যেন যুদ্ধ করেছে।”[1]
তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় নিবেদিত কোনো যোদ্ধাকে প্রস্তুত করেছে, তবে সে এ যোদ্ধার সমপরিমাণ পুরস্কারই লাভ করবে এবং এতে সেই যোদ্ধার পুরস্কারে কোনো কমতি হবে না।”[2]
একজন ধনী ব্যবসায়ীর জন্য তার অর্থ-সম্পদ ত্যাগ করে চলে আসা এবং যারা এই সম্পদের প্রাপ্য নয় তাদের জন্য তা রেখে আসা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বৈশ্বিক জিহাদে সহায়তা করার কাজটি একটি মানব শরীর চালনার মতো। যারা শারীরিকভাবে জিহাদে সহায়তা করেন তারা শরীরটির মস্তিষ্কের ন্যায়; এটি ব্যতীত কোনো কাজ করা কিংবা সিদ্ধান্ত নেয়া অসম্ভব। যে সম্পদ দ্বারা জিহাদ পরিচালিত ও সমর্থিত হয় তা দেহের রক্তপ্রবাহের মতো;
এটা ছাড়া শরীর কোনো শক্তি পায় না। আর দাওয়াহ (জিহাদের উপর গুরুত্বারোপ করে আহলে সুন্নাহ এর আকীদাহ এর প্রতি আহবান জানানো) হলো এর হৃৎপিন্ড যা ছাড়া শরীর মূল্যহীন হয়ে পড়ে এবং জিহাদ হয়ে যায় লক্ষ্যহীন।
মিডিয়া
আস-সাহাব মিডিয়া তৈরি হবার পর থেকেই আমরা মিডিয়া যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছি। আস-সাহাব মিডিয়া – যা হলো এই শতাব্দীর জিহাদী মিডিয়ার আদি স্তম্ভ – না থাকলে এই সময়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্মহীন মিডিয়াশুলোর আক্রমণ ও যুদ্ধ ঠেকানো আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়তো। এই যুগে কেউ যদি টেলিভিশন খুলে খবর দেখেন এবং মনোযোগী হন তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন যে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। পশ্চিমে একে ডাকা হয় “আদর্শের লড়াই” (“The War of Ideas”) কিংবা “আদর্শগত যুদ্ধ” (“Ideological Warfare”)। আমরা একে সহজ ভাষায় বলি “আকীদাহ এর যুদ্ধ” এবং এর কারণ পশ্চিমা খবর অনুসরণ করা হলো আরেকটা ভিন্ন আকীদাহ এর অনুসরণ করার মতো যেখানে তাওয়াল্লি (ভালবাসা) প্রকাশ করা হয় কাফেরদের দৃষ্টিভঙ্গী ও খবরগুলোর প্রতি (কোনো সত্যতা পরীক্ষা ব্যতীত) এবং তা অনেক ক্ষেত্রেই মুজাহিদীনদের প্রতি “বারাআহ” (শত্রুতা ও ঘৃণা) সৃষ্টি করতে
পারে। কেননা এই খবরগুলোর উৎসগুলো ফাসেকী ও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ দ্বারা গঠিত।
আর এ কারণেই পশ্চিমা মিডিয়ার দ্বারা “মগজ-ধোলাইকৃত” (“Brainwashed”) হয়ে যাওয়া অনেককেই যখন আমরা বলতে শুনি, “উসামা বিন লাদেন হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেছে” কিংবা “মুজাহিদীনরা প্রতিদিন ইরাক ও আফগানিস্তানে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করছে” অথবা “মুজাহিদীনরাই হলো সত্যিকার সন্ত্রাসী কারণ তারা গণতন্ত্র চায় না”, তখন আমরা একটুও অবাক হই না।
ঠিক এ কারণেই মুসলমানেরা আল-ফুরকান মিডিয়া, আস-সাহাব মিডিয়া, জিআইএমএফ, আল- তান্ডেম, আল-ইসরা, সাওত আল-জিহাদ, নুরুদ্দীন মিডিয়া, আত-তাভকা, আত-তিবইয়ান, পার্লস অফ জান্নাহ এর মতো অনেক মিডিয়া চ্যানেল চালু করেছে। মিডিয়া বলতে এখানে আমরা শুধুমাত্র দর্শনভিত্তিক মাধ্যমই (Visual interface; মূলত ভিডিও) বুঝাচ্ছি না, বরং অডিও, ফতোয়া, বই, ফোরাম, ম্যাগাজিন, নিবন্ধ-প্রবন্ধ, ব্লগ, ছবি ইত্যাদি সব কিছুর সমন্বয়ে একটি সার্বিক বিষয়ই এখানে বুঝানো হচ্ছে। তবে সত্যিকার অর্থে দর্শনভিত্তিক মাধ্যমগুলো হক্* এর প্রসার ও প্রচারে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। এর মাধ্যমে আমরা মুজাহিদীনদের সংগ্রাম, তাদের অর্জন, তাদের শক্তি প্রত্যক্ষ করতে পারি।
সত্যিকার অর্থে, যতবারই আস-সাহাৰ বা আল-ফুরকান মিডিয়া থেকে কোনো ভিডিও মুক্তি পায় তা উম্মতের জন্য “সুসংবাদস্বরূপ” এক প্রশান্তি বয়ে আনে, কারণ সেগুলো ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধের বিষয়ে উম্মতের সংকীর্ণ দৃষ্টিকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। এ এমন এক যুদ্ধ যার ব্যাপারে শত্ররা আমাদেরকে কিছুতেই সত্যটা জানতে দিতে চায় না। তাই যখন আমরা আমাদের মিডিয়াগুলোর কোনো ভিডিওতে দেখতে পাই যে, কোনো বিরাট শাহাদাতী অপারেশন (Martyrdom operation) হচ্ছে যেখানে বিপুল সংখ্যক কাফের সেনা মারা গেছে তখন আমরা শুধু হাসি আর বলি,
“পশ্চিমা মিডিয়ায় তো এ নিয়ে কোনো খবর দেখলাম না!” মুজাহিদীনদের এসব মিডিয়া “বিবিসি” কে “পিনোকিও”[3] হিসেবে তুলে ধরে।
মিডিয়ার গুরুত্ব এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আরও অনেক গভীর । এটা অনুধাবন করার জন্য আসুন আমরা নিজেদের কিছু প্রশ্ন করি এবং এর পর আমরা গভীরভাবে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করবো,
১। যদি মুজাহিদীনরা কখনোই যুদ্ধক্ষেত্রে ক্যামেরা বহন না করতেন তাহলে কি হতো?
২। যদি মুজাহিদীনরা তাদের ভিডিও প্রচার করার জন্য শত শত লিংক তৈরি না করতেন তাহলে কি হতো?
৩। যদি মুজাহিদীনদের কাছে তাদের ভিডিওগুলোকে যথাযথ ও সুন্দর করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম না থাকতো তাহলে কি হতো?
৪। যদি মুজাহিদীনরা জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ করার মতো জিহাদী ফোরাম তৈরি না করতেন তাহলে কি হতো?
৫। ফোরামগুলোতে শত্রুদের হ্যাকিং প্রতিরোধ করার মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যদি মুজাহিদীনরা না নিতেন তাহলে কি হতো?
আর এই প্রশ্নগুলো এভাবে চলতে থাকতে পারে । এতে আমরা বুঝতে পারছি যে, জিহাদের ক্ষেত্রে মিডিয়ার গুরুত্ব অনস্থীকার্য। মিডিয়া ব্যতীত জিহাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধমনী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
দাওয়াহ
দাওয়াহ এর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা মিডিয়া যুদ্ধের মতোই, কারণ মিডিয়ার মাধ্যমে মুসলমান এবং কাফের দু’দলের প্রতিই দাওয়াহ করা হচ্ছে। কিন্তু দাওয়াহ একটি স্বতন্ত্র বিষয় হবার কারণে আলাদাভাবে আলোচিত হবার দাবি রাখে।
কাফেরদের প্রতি আমাদের আহ্বান হবে তাওহীদের এবং মুসলিম উম্মতের জন্য আহ্বান হবে “আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআত” এর আকীদাহ এর প্রতি, যা আজকের বিশ্বে “সালাফী জিহাদী” আদর্শ হিসেবে পরিচিত। এই ধরনের লেবেলিং অনেক ক্ষেত্রেই হক্ব* (Pure) এবং বাতিল (Impure) মানহাজের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য দরকারী, কারণ অনেক সময়েই আমরা দেখতে পাই বাতিল গন্থার ভ্রান্ত অনুসারীরা একদিকে নিজেদেরকে “আহলে সুন্নাহ” দাবি করছে, আর
অন্যদিকে কুফরী এবং রিদ্দাহ এর ফাঁদে পড়ছে।
দাওয়াহ বিভিন্নভাবে করা সম্ভব, তবে আমরা একে মুলত দুইটি শ্রেণীতে ভাগ করতে পারি;
১। মিডিয়ার মাধ্যমে দাওয়াহ
২। শারীরিক বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে দাওয়াহ
আমরা ইতিমধ্যেই মিডিয়ার মাধ্যমে দাওয়াহ এর ব্যাপারে আলোচনা করেছি। তাই এখানে দাওয়াহ এর অন্য শ্রেণীটি নিয়ে আলোচনা করবো। এই আলোচনার মাধ্যমে একটা ব্যাপার পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠবে, যা হলো, শারীরিক বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে দাওয়াহ এবং মিডিয়ার মাধ্যমে দাওয়াহকে একই সুতোয় গাঁথা সম্ভব।
নিম্নোক্ত হাদীসটি পর্যালোচনা করলে শারীরিক বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে দাওয়াহ এর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি,
“অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সত্য বলাই সর্বোৎকৃষ্ট জিহাদ”।[4]
অর্থাৎ, মানুষকে সত্যের দিকে আহ্বান করা এবং এজন্য কঠোর শাস্তি, যেমন: বন্দীত্ব, অন্যায়, অবিচার, নির্যাতন, নির্বাসন, মৃত্যু ইত্যাদির মুখোমুখি হবার জন্য প্রস্তুত থাকাই সর্বোত্তম জিহাদ।
একজন দায়ী যদি এই পরিণতিগুলোর মুখোমুখি হতে প্রস্তুত না থাকেন তাহলে দাওয়াহ এর ক্ষেত্রে তিনি সেই অবস্থান গ্রহণ করার জন্য যোগ্য নন, কারণ তার দাওয়াহ এর মধ্যে মিথ্যা এবং প্রতারণার সংমিশ্রণ আছে। নবীগণ (আলাইহিমুস সালাম) ও সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) এবং তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনদের (রহিমাহুমুল্লাহ) মধ্যে কেউই দুনিয়াতে কঠোর পরিণতির মুখোমুখি হবার জন্য প্রস্তত না হয়ে দোটানার মধ্যে দোদুল্যমান থেকে “কল্যাণ”
(মাসলাহা) এর জন্য দাওয়াহ করেন নি। বর্তমান কালে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি – মানুষ সবচেয়ে দ্রুত যে ধর্ম ত্যাগ করছে তা হলো ইসলাম – সেটা এই দোটানায় দোদুল্যমান অন্তর থেকে প্রদানকৃত দাওয়াহ এরই ফলাফল।
যারা এভাবে ইসলাম ত্যাগ করছে তাদের মীমাংসা ও হিসাব অবশ্যই আল্লাহ তাআলারই সাথে হবে, কিন্তু এই পরিণতির একটা বিরাট দায় সেসব দায়ীদের ওপরেও বর্তায় যারা দুর্বলভাবে ইসলামকে প্রচার করছেন। একজন দায়ী যদি ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর মতো এরূপ বলার জন্য প্রস্তুত না হন
قَالَ رَبِّ السِّجْنُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا يَدْعُونَنِي إِلَيْهِ وَإِلاَّ تَصْرِفْ عَنِّي كَيْدَهُنَّ أَصْبُ إِلَيْهِنَّ وَأَكُن مِّنَ الْجَاهِلِينَ
..হে আমার রব! তারা আমাকে যে সবের প্রতি আহ্বান করছে তার চাইতে এই কারাগার আমার কাছে অধিক পছন্দনীয় ।”[5]
তাহলে সেই দায়ীর উচিত হয় নিজেকে প্রস্তুত করা অথবা দাওয়াহ এর এই গুরু ও পবিত্র দায়িত্ব অধিকতর যোগ্য কারো উপর অর্পণ করা।
বর্তমান পৃথিবীতে মুসলমানদের প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যে শম্বুক গতি আমরা দেখতে পাচ্ছি তার একটি অন্যতম কারণ হলো দাওয়াহ এর ক্ষেত্রে এই দুর্বলতা ।
এমন তো না যে, মুসলমানেরা দাওয়াহ ছেড়ে দিয়েছে। মুসলমানেরা দাওয়াহ এর উপরেই আছে, কিন্তু এই দাওয়াহ এর মাঝে সম্মান, দৃঢ়তা এবং স্থিরসংকল্প অনুপস্থিত। যখন দাওয়াহ এবং এই মহান গুণসমূহ পরস্পর বিচ্ছিন্ন থাকে এবং শত্রু ও তাদের শিরকের প্রকৃত রূপ উন্মোচন করার কাজ দাওয়াহ এর মাঝে অনুপস্থিত থাকে, তখন ওই কাজকে আর প্রকৃতপক্ষে দাওয়াহ বলা যায় না।
আলেম-উলামা
এটি মূলত দাওয়াহ এর শ্রেণীভুক্ত, কিন্তু দাওয়াহ এর মতোই এটিও পৃথকভাবে আলোচিত হবার যোগ্য। আজকে জিহাদের কল্যাণের জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর অন্যতম হলো এমন আলেম-উলামা যারা মুজাহিদীনদের সমর্থক ।
আমরা আজ এমন এক সমাজে এমন এক সময় বসবাস করছি যেখানে অনেক উলামাগণ মুজাহিদীনদেরকে পরিত্যাগ করেছেন এবং তাগুতদেরকে সমর্থন করেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে প্রকৃত উলামাদের প্রয়োজনায়তা এবং গুরুত্ব অনেক গুণ বেড়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের উলামাদের বেশীর ভাগই দ্বীনের প্রতি যেসব ভয়াবহ ক্ষতিকর কাজ করছেন, তার অধিকাংশই হচ্ছে দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা অথবা অজ্ঞতার কারণে । অর্থ ও সম্পদের প্রতি এই যামানার আলেমদের দাসত্বের স্বরূপ অনেক ক্ষেত্রেই প্রকাশ পেয়েছে; একই সাথে ইলম (জ্ঞান) এর ক্ষেত্রে মুজাহিদীনেরকে সমর্থনকারী হক্কানী উলামাগণ এসব দুনিয়াকামী কিংবা অজ্ঞ উলামাদের ভ্রান্ত যুক্তিসমূহকে খন্ডন করেছেন।
যারা বর্তমানকালের মুজাহিদ উলামাদের সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন, আমরা তাদের নিম্নোক্ত ব্যাপারগুলো স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যাতে করে তারা তাদের মহান রবের দরবারে এ সকল কিছুর জন্য শুকরিয়া আদায় করতে পারেন:
১। শাইখ আবদুল্লাহ ইউসুফ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ। যদি কখনো জিহাদের ব্যাপারে একটি শব্দও উচ্চারণ না করতেন, একটি বাক্যও না লিখতেন, তাহলে কেমন হতো?
২। শাইখ ইউসুফ বিন সালিহ আল-উয়াইরী (রহিমাহুল্লাহ) যদি কখনো মুজাহিদীনদেরকে প্রায়োগিক আমল ও জ্ঞানের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা না দিতেন এবং শাহাদাতী অপারেশন (Martyrdom operation) এর ব্যাপারে নিরবতা পালন করতেন, তাহলে কেমন হতো?
৩। শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল-মাকদিসী (হাফিজাহুল্লাহ) যদি তাঁর কলমের দ্বারা তাগুতদের কঠোর সমালোচনা না করতেন এবং আল ওয়ালা ওয়াল বারাআহ সম্পর্কে মন্তব্য না করতেন, তাহলে কেমন হতো?
৪। উম্মতের উলামাদের অনেকেই জিহাদ নিয়ে যেসব ভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন সেগুলোর বিপক্ষে যদি শাইখ নাসির বিন হামাদ আল-ফাহদ (হাফিজাহুল্লাহ) কখনো কলম না ধরতেন, তাহলে কেমন হতো?
৫। শাইখ আবু ইয়াহইয়া আল-লিবী (হাফিজাহুল্লাহ) যদি নিজ গৃহের মহিলাদের সাথে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিতেন এবং বৈশ্বিক জিহাদের সাফল্যের সুসংবাদ আমাদের কাছে না নিয়ে আসতেন, তাহলে কেমন হতো?
৬। শাইখ হুসাইন বিন মাহমুদ (হাফিজাহুল্লাহ) যদি জিহাদের চলতি ঘটনাবলী এবং এর প্রতি দরবারী আলেমদের তাব্র আক্রমণের জবাবে চুপ থাকতেন, তাহলে কি হতো?
৭। শাইখ আবু উমার আল-হুসাইনী আল-কুরাঈশী আল-বাগদাদী (রহিমাহুল্লাহ) যদি আল্লাহ্ তাআলার ইচ্ছা অনুযায়ী উম্মতকে একের পর এক বিজয় এবং একের পর এক মূল্যবান দিকনির্দেশনা ভান্ডার দিয়ে নেতৃত্ব না দিতেন, তাহলে কি হতো?
৮। মোল্লাহ মুহাম্মাদ উমার মুজাহিদ (হাফিজাহুল্লাহ) যদি অন্যান্য আফগান বিশ্বাসঘাতকদের মতো মুরতাদ ও ক্রুসেডারদের কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে কি হতো?
৯। যখন উম্মত এরূপে ধর্ষিত হচ্ছিল যেন তার মৃত্যু ঘটে এবং যখন উম্মতের সম্পদ এরূপে লুষ্ঠিত হচ্ছিল যেন আর কিছুই অবশিষ্ট না থাকে, তখন যদি শাইখ উমার আব্দুর রহমান (হাফিজাহুল্লাহ) উম্মতের পুরুষ মানুষদেরকে ঘরে বসে থাকতে বলতেন, তাহলে কি হতো?
১০। শাইখ আব্দুল কাদির বিন আব্দুল আযীয (হাফিজাহুল্লাহ) যদি জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এর গভীর পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ না করতেন, তাহলে কি হতো?
১১। ইমাম আনোয়ার আল-আওলাকী (রহিমাহুল্লাহ) যদি জিহাদ নিয়ে অনবদ্য কাজগুলোর উপরে তাঁর অসাধারণ লেকচার সিরিজগুলো তৈরি না করতেন, বর্তমান বৈশ্বিক জিহাদ সম্পর্কে তাঁর বিশ্লেষণ আমাদের সামনে তুলে না ধরতেন, তাহলে কি হতো?
১২। শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) যদি আরব উপদ্বীপেই বসবাস করতেন এবং তাগুততদের কাছ থেকে বেতন নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিতেন এবং মানুষদের বলতেন জিহাদকে ও জিহাদের নেতৃবৃন্দকে পরিত্যাগ করতেন, তাহল কি হতো?
একটু চিন্তা করে দেখুন, এই মহান শাইখগণ এবং এরকম আরও অনেকে কিভাবে আমাদের পৃথিবীটাকে আল্লাহর ইচ্ছায় বদলে দিয়েছেন। তাঁদের এই অবদান ছাড়া আমাদের আকীদাহ আজো হয়তো বিশ্বাসঘাতকতা এবং কুফরী মিশ্রিত অবস্থায় পড়ে থাকতো । আল্লাহর ইচ্ছা অনুসারে এই মহান ব্যক্তিত্বরাই আহলে সুন্নাহ এর গায়ে শতাব্দী ধরে বিঁধে থাকা বিষাক্ত কাঁটাগুলোকে উৎপাটিত করেছেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এসব মহান ব্যক্তিদের অধিকাংশই কাছাকাছি সময়ে জীবিত ছিলেন।
এরা হলেন সেইসব ব্যক্তি যারা বিশুদ্ধ ক্ল্যাসিকাল উৎস – যেমন: শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব (রহিমাহুল্লাহ, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহিমাহুল্লাহ), ইমাম ইবনুল কাইয্যুম (রহিমাহুল্লাহ), শাইখ আবু হামীদ ইবনে মুহাম্মাদ আল গাযযালী (রহিমাহুল্লাহ), চার ইমাম
(রহিমাহুমুল্লাহ) ইত্যাদি – থেকে ছবীনের শিক্ষা নিয়েছেন।
এ কারণে প্রতিটি প্রজন্মেই ইসলামের এরূপ মহান উলামাদের উপস্থিতি প্রয়োজন যারা সাধারণভাবে উম্মতকে এবং বিশেষ করে মুজাহিদীনদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবেন, যেখানে আজকের যুগের অধিকাংশ উলামাগণ সাধারণ মুসলমানদের সাথে প্রতারণা করেন, মুজাহিদীনদেরকে অবজ্ঞা-অবহেলা করেন অথবা তাঁদের তীব্র সমালোচনায় লিপ্ত হন, যার মধ্যে বিন্দুমাত্র গঠনমূলক সমালোচনা থাকে না।
উপসংহার
উল্লিখিত সবগুলো পন্থাই বস্তুত তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা এখনই সেই জিহাদের ভূমিতে পৌঁছাতে সক্ষম নন যেখানে লোহা দিয়ে লোহা বাঁকানো হয়। যতদিন পর্যন্ত না সশরীরে জিহাদে যোগ দিতে পারছেন ততদিন তাদের উচিত কোনো না কোনো ভাবে মুজাহিদীনদেরকে সাহায্য করার চেষ্টা করা। আর কোনো ভাবেই সক্ষম না হলে কমপক্ষে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য করুন। বৈশ্বিক জিহাদে অংশগ্রহণের প্রতিটি প্রায়োগিক পদ্ধতিই এই পবিত্র আয়াতটির একটি বাস্তবতা:
وَأَعِدُّواْ لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدْوَّ اللّهِوَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِن دُونِهِمْ لاَ تَعْلَمُونَهُمُ اللّهُ يَعْلَمُهُمْ وَمَا تُنفِقُواْ مِن شَيْءٍ فِي سَبِيلِ اللّهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لاَ تُظْلَمُونَ
আর তোমরা কাফেরদের মোকাবেলা করার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও সদা সজ্জিত অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে যা দ্বারা তোমরা আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করবে, এছাড়া অন্যান্যদেরকেও, যাদেরকে তোমরা জানো না, কিন্তু আল্লাহ জানেন…[6]
জিহাদ চলছে। এই জিহাদের মাধ্যমেই পতন ঘটছে একটি পরাশক্তির এবং উত্থান ঘটছে আরেকটির ।
[1] সহীহ মুসলিম
[2] ইবনে মাজাহ
[3] কাফেরদের মাঝে জনপ্রিয় একটি উপন্যাসের মূল চরিত্র “পিনোকিও”। উপন্যাসে “পিনোকিও” এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটি নকল মানুষ – কাঠ দিয়ে একে বানানো হয়, প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে, এবং মিথ্যা ঘটনা বানিয়ে বলা এটির অভ্যাস। উপন্যাসটি মূলত শিশুদের জন্য লিখিত হয়েছে যার মাধ্যমে কাফেররা শিশুদের কাছে “পিনোকিও” কে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করে!
[4] আবু দাউদ
[5] সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩৩
[6] সূরা আনফাল, আয়াত: ৬০