আকিদা-মানহাজআল-কাদিসিয়াহ মিডিয়াবই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতিমিডিয়াশাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

জিহাদের সর্বজনীন দিকনির্দেশনা – শাইখ মুজাহিদ আইমান আল জাওয়াহিরি


مؤسسة القادسية
Al-Qadisiyyah Media
আল-ক্বাদিসিয়াহ
মিডিয়া

تقدم
Presents
পরিবেশিত

الترجمة البنغالية لإصدار
السحاب المرئي
A Translation of As-Sahab’s Video
আস-সাহাবের একটি ভিডিও এর
অনুবাদ

بعنوان
Entitled

শিরোনাম


توجيهات عامة للعمل
الجهادي
General Guidelines for Jihad

জিহাদের সর্বজনীন দিকনির্দেশনা

للشيخ المجاهد /
أيــمـــن الظــواهـــري
Shaykh Mujahid Ayman Al Zawahiri
শাইখ মুজাহিদ
আইমান আল জাওয়াহিরি

حفظه الله
May Allah protect him
আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করুন

 

     আর্কাইভ পেজ থেকে ডাউনলোড করুন!

 

আর্কাইভ পেজ

https://archive.org/details/GGFJBn

 

Word

https://banglafiles.net/index.php/s/9CYfqna5EedWRTN

https://archive.org/download/GGFJBn/G_G_F_J_Bn.doc
http://www.mediafire.com/file/lcpy7q0ggpaut6z/17.G_G_F_J_Bn.doc/file

 PDF

https://banglafiles.net/index.php/s/MM4nRfcb7argZ6z

https://archive.org/download/GGFJBn/G_G_F_J_Bn.pdf
http://www.mediafire.com/file/xfiaxnc8l6oajgf/17.G_G_F_J_Bn.pdf/file

=============================

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

জিহাদের কিছু সর্বজনীন দিকনির্দেশনা

শাইখ আইমান আলজাওয়াহিরি দাঃবাঃ

প্রথমঃ ভূমিকা

১। এটা কোন গোপন রহস্যের বিষয় নয় যে , এ পর্যায়ে আমাদের কাজের দুটি দিক রয়েছেঃ

প্রথমটি সামরিক এবং দ্বিতীয়টি হলো দাওয়াতি ।

২। সামরিক দিকের প্রথম লক্ষ্যই হলো কুফর প্রধান আমেরিকা ও এর মিত্র ইসরাঈলকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করা। আর দ্বিতীয়টি হলো আমেরিকার সেইসব ঘরোয়া মিত্র যারা কিনা আমাদের মুসলিম দেশগুলো শাসন করছে।

ক। আমেরিকাকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যই হলো একে দুর্বল করা, রক্তাক্ত করে একে মৃত্যুর দিকে ঠেলা দেয়া। যেন সে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের মতোই ভাগ্য বরণ করে নেয় এবং নিজের ভারেই যেন সে ধসে যায়, যার ফলে এর সামরিক, জনশক্তি, আর্থিক ক্ষতি হয়। এই ধারাবাহিকতায় আমাদের ভূমিগুলোতে এর প্রভাব দুর্বল হবে এবং এর মিত্রগুলোর একে একে পতন ঘটবে।

আরব বিশ্বে বিপ্লবের সময় যা উদ্ভাসিত হয়েছে; আর এটা আমেরিকার প্রভাব নিস্তেজ হয়ে যাওয়ারই প্রমাণ। আফগানিস্তান ও ইরাকে মুজাহিদিনদের কাছ থেকে একের পর এক মায়াহীন নির্দয় আঘাত প্রাপ্তি এবং সেপ্টেমবরের ১১র পর থেকে এর জাতীয় সিকিউরিটি ফোর্সের অব্যাহত হুমকির সম্মুখখীন হওয়ার পর থেকেই আমেরিকা পালানোর কিছু পথ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিলো যাতে করে সে মুসলিম দেশগুলোতে জনগণের চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে। এমনকি এ পরিস্থিতি বিশাল আকারে এর দালালদের চেহারায় ফুটে উঠেছে।

মহান আল্লাহর ইচ্ছায়, আসন্ন পরবর্তি পর্যায়গুলো বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকার প্রভাব আরো বেশি খর্ব হবার এবং আমেরিকার নিজেই নিজের গর্তে পালানোর সাক্ষী হয়ে থাকবে, যা এর মিত্র ও দালালদেরও দুর্বল করে দেবে।

খ। যতদূর সম্ভব আমেরিকার দালালগুলোকে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারনের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া, এটা অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হবে। মূল নীতিমালা হলো এদের সাথে যে কোন ধরনের সঙ্ঘর্ষ এড়িয়ে চলা। কিন্তু সেই সব অঞ্চল এই মূলনীতির বাইরে থাকবে যেখানে এদের সাথে মুখোমুখি হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।

এর উদাহরণ হতে পারে আফগানিস্তান; এদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মূলত আমেরিকার সাথে জিহাদ করারই অংশ।

পাকিস্তানে ওদের বিরুদ্ধে জিহাদ আমেরিকার দখলদারিত্ব থেকে আফগানিস্তানের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিপূরকের ভূমিকা পালন করছে; তাছাড়া এর উদ্দেশ্য মুজাহিদদের জন্য পাকিস্তানকে এক নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে গড়ে তোলা; যা কিনা পাকিস্তানে একটি ইসলামিক ভূমি প্রতিষ্ঠার জিহাদে মজবুত ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

ইরাকে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদের লক্ষ্য হলো, সুন্নি অঞ্চলগুলোকে আমেরিকার উত্তরসূরী শিয়াদের হাত থেকে স্বাধীন করা।

আলজেরিয়াতে, যেখানে আমেরিকানদের উপস্থিতির ব্যাপারটি নগন্য ও অস্পষ্ট; সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদের উদ্দেশ্য হলো একে দুর্বল করে দেয়া এবং ইসলামি মাগরিব, উপকূলবর্তী পশ্চিম আফ্রিকার অঞ্চলগুলো ও দক্ষিণ সাহারার দেশগুলোতে জিহাদের প্রভাব ছড়িয়ে দেয়া।

আরব উপদ্বীপে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ এই জন্যই যে, তারা আমেরিকার দালালি করছে।

সোমালিয়াতে এ জন্য যে তারা ক্রুসেডার দখলদারিত্বের মুখ্য ভুমিকা পালন করছে।

সিরিয়াতে ওদের বিরুদ্ধে জিহাদ এই জন্য যে, যে ভিত্তির উপর চলছে এর প্রকৃত ব্যাপার হলো, সিরিয়ার শাসকগুলো জিহাদ তো দূরের কথা ইসলামি নিদর্শনার কোন অস্তিত্বই সহ্য করেনা এবং এদের ইসলামকে উৎপাটনের নিরন্তন চেষ্টার রক্তাত্ত্ব ইতিহাসতো এক প্রসিদ্ধ বিষয়।

জেরুজালেমের আশেপাশের এলাকাগুলোতে প্রথম ও প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হচ্ছে ইহুদিদের বিরুদ্ধে; স্থানীয় শাসকেরা যারা অসলো চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে অবশ্যই তাদের ব্যাপারে যতটুকু সম্ভব সবরের অনুশীলন করা উচিত।

৩। যতদূর সম্ভব দাওয়াতি কাজে গুরুত্ব দেয়া; যার উদ্দেশ্য হবে ক্রুসেডারদের প্রচন্ড আক্রমণের হুমকি থেকে উম্মাহর মাঝে চেতনা তৈরি করা, তাওহিদের সত্য অর্থের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারনা দেয়া বিশেষ করে শাসন ও সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহরএ তাওহিদের ব্যাপারে। ইসলাম ও মুসলিম ভূমিগুলোর ঐক্যের উপর ভিত্তি করে ভ্রাতৃত্বের গুরুত্বের ব্যাপারে জোর দেয়া। ইনশাল্লাহ, তা নবী(সাঃ)এর পদ্ধতি অনুসারে খিলাফাত প্রতিষ্ঠার উপক্রমণিকা হিসেবে কাজ করবে।

এই পর্যায়ে দাওয়াতি ময়দানে দুটি বিষয়ের উপর মূল দৃষ্টি রাখা উচিতঃ

প্রথমঃ অগ্রগামি মুজাহিদদের শিক্ষিত ও পরিচর্যা করা যা গুরুভার বহন করে এবং যতক্ষণ না খিলাফাত প্রতিষ্ঠা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ক্রুসেডার ও এর দালালদের বিরুদ্ধে সম্মুখ লড়াইয়ের দায়িত্বের ভার বহন করে চলবে, ইনশাআল্লাহ।

দ্বিতীয়ঃ জনসাধারণের মাঝে চেতনা সৃষ্টি করা, তাদের উদ্দিপ্ত করা, তাদের একত্রিত করতে খুবই সচেষ্ট হওয়া যেন তারা নিজেদের শাসকদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠে এবং ইসলাম ও ইসলামের জন্য যারা কাজ করে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়।

দ্বিতীয়ঃ প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা

এই উপক্রমণিকার উপর ভিত্তিতে, আসসিয়াসাহ আশশারিয়াহর নীতিমালার আলোকে আজ থেকে আমরা নিচে বর্ণিত কিছু দিকনির্দেশনামূলক প্রস্তাব রাখতে পারি, যার উদ্দ্যেশ্যই হলো উপকারিতা সংরক্ষণ করা এবং ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো।

১। এমনভাবে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতার বিষয়টি ছড়ানো যেন তাদের একতাবদ্ধ করা যায়এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেয়া। একটি সুসজ্জিত, একতাবদ্ধ, আদর্শিক ও সচেতন মুজাহিদ বাহিনী তৈরি করতে অগ্রগামি মুজাহিদদের মাঝে সর্বোচ্চ পরিমাণ সচেতনতা সৃষ্টি বৃদ্ধির ব্যাপারে দৃষ্টিবান হওয়া যেন তারা ইসলামি ঈমানে দৃঢ় ইয়াকিন রাখে, ইসলামি অনুশাসনে অবিচল থাকে, মুমিনদের জন্য হয় নম্র ও কাফিরদের প্রতি হয় খুবই কঠোর। সে সাথে, অবিলম্বে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দেয়া উচিত এটা নিশ্চিত করতে যেন এখন থেকে ইলমি ও দাওয়াতি যোগ্যতাসম্পন্ন লোকেরা মুজাহিদদের মাঝ থেকে আসে, যাতে করে আমাদের বার্তা ও চিন্তাচেতনা সংরক্ষিত হতে পারে এবং জিহাদের দাওয়াত মুসলমানদের মাঝে ছড়ানো যেতে পারে।

২। সামরিক বিভাগের উচিত হলো এ ব্যাপারে কঠোর নজর দেয়া যেন আন্তর্জাতিক কুফর প্রধানকে (আমেরিকা) ক্রমাগত দুর্বল করা যায় যতক্ষণ পর্যন্তনা রক্তাত্ব হয়ে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেসামরিক ও আর্থিক দু দিক থেকেই। আর ততক্ষণ পর্যন্তনা যতক্ষণ এর মানব সম্পদ নিঃশেষিত হয়ে যায় এবং একটি পালানো ও একাকিত্বের পর্যায়ে উপনীত হবার পর নিজেকে নিজের গর্তে গুটিয়ে নেয়।

সব মুজাহিদ ভাইদের অবশ্যই প্রধান দায়িত্ব হিসেবে পশ্চিমা ইহুদী ক্রুসেডার জোটদের স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু বানানো উচিত, পৃথিবীর যে কোন অংশেই তা হোক না কেন। তাদের অবশ্যই উচিত এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে প্রচেষ্টা চালানো।

একইভাবে, ভাইদের অবশ্যই উচিত মুসলিম বন্দীদের মুক্ত করতে সাধ্যের সকল উপায় ব্যবস্থার মাধ্যমে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা স্বীকার করা। এর মধ্যে আছে জেলগুলোতে আক্রমণ করা যেখানে তাদের রাখা হচ্ছে অথবা যেসব দেশ আমাদের মুসলিম ভূমিগুলোতে আক্রমণ করেছে তাদের নাগরিকদের অপহরণ করা যেন জিম্মি হিসেবে বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে আমাদের বন্দীদের মুক্ত করতে পারি।

এই অধম বলেছিলো, এই ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারনা থাকা উচিত যে, কুফর প্রধানের (আমেরিকা) উপর দৃষ্টি রাখার নীতি সাধারণ মুসলিমের অধিকারের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করেনা, তা সাংঘর্ষিক নয় তাদের পক্ষে মৌখিক জিহাদ পরিচালনা করা অথবা যারা তাদের নির্যাতন করছে তাদের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তোলে নেয়া।

এ কারণে যে, রাশিয়ান আগ্রাসী ও তাদের মিত্রদের বিরূদ্ধে জিহাদ করা আমাদের ককেশাসের ভাইদের অধিকার। অপরাধী হিন্দুদের বিরূদ্ধে জিহাদে জড়িত হওয়া আমাদের কাশ্মিরি ভাইদের অধিকার। এটা সমানভাবে পূর্ব তুর্কিস্তানের ভাইদের অধিকার যে, চীনা জালিমদের বিরুদ্ধে জিহাদে নিজেদের যুক্ত করবে। একইভাবে, ফিলিপাইন, বার্মা এবং প্রত্যেক ভূমিতে যেখানে মুসলমানেরা প্রতিনিয়ত অত্যাচারিত হয় সে সব জালিমদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ওখানকার ভাইদের অধিকার।

৩। স্থানীয় শাসনের সাথে সামরিক সংঘর্ষ এড়িয়ে চলা, যদি না বাধ্য করা হয়। উদাহরণ হলো, যখন স্থানীয় শাসন আমেরিকান বাহিনীর অংশ হিসেবে কাজ করে যেমনটি হচ্ছে আফগানিস্তানে; অথবা যেখানে এটি আমেরিকার পক্ষ হয়ে মুজাহিদদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করে যেমনটি সোমালিয়া ও জাজিরাতুল আরবে হচ্ছে, অথবা মুজাহিদদের উপস্থিতিই সহ্য করতে পারেনা যেমনটি হচ্ছে ইসলামি মাগরিব, সিরিয়া এবং ইরাকে।

এমনকি, যতটুকু সম্ভব এদের সাথে সামরিক সংঘর্ষে জড়ানো অবশ্যই এড়ানো উচিত ।

যদি আমাদের লড়াই করতে বাধ্য করতে হয়, তখন অবশ্যই আমাদের উচিত এ ব্যাপারে পরিষ্কার হওয়া যে, তাদের বিরূদ্ধে আমাদের যে জিহাদ তা যেন ক্রুসেডারদের বিরূদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ হয় আর তা হবে মুসলমানদের বিরূদ্ধে প্রচন্ড আক্রমণের জবাব।

যেখানেই যে কোন জায়গায় ঘরোয়া শাসকদের সাথে সংঘর্ষ প্রশমনের সম্ভাবনা যদি আমাদের সামর্থ্যে থাকে তবে সেই সাথে দাওয়াহ, আমাদের মতামত প্রকাশ, মুমিনদের উদ্দীপ্ত করা, রিক্রুটমেন্ট, তহবিল উঠানো ও সমর্থক প্রাপ্তি সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। আমাদের অবশ্যই উচিত এর সর্বোচ্চ সুবিধা নেয়া; এটা আমাদের এই দীর্ঘ জিহাদের জন্য, আর জিহাদের প্রয়োজন নিরাপদ ঘাঁটি এবং মানুষ, অর্থ ও বিশেষজ্ঞতাপূর্ণ সঙ্গতিময় অব্যাহত সমর্থন।

হ্যাঁ, এ কর্মনীতি কোনভাবেই বিরোধী নয় যে, এ স্থানীয় শাসনের ক্রুসেডার দালালদের প্রচন্ড আক্রমণের সুযোগ তৈরি করে দেয়া হবেএটা এক পরিষ্কার বার্তা যে, আমরা সহজ শিকারের বস্তু নই এবং প্রত্যেকটি আক্রমণের যথোচিত জবাব দেয়া হবে এমনকি যদি তা হয় তাড়াতাড়ি। এমন অনুযায়ী এই নীতি প্রত্যেকটি ফ্রন্টে অবশ্যই বাস্তবায়ন করা উচিত যা পরিস্থিতির জন্য যথোপযুক্ত।

৪। ভ্রান্ত ফিরকাগুলো যেমন রাফিদা,ইসমাঈলি, কাদিয়ানি এবং ভ্রান্ত সুফিদের সাথে যুদ্ধ এড়িয়ে চলা উচিত, যদি এরা আহলুসুন্নাহর সাথে যুদ্ধ করে তবে ভিন্ন কথা। যদি ওরা আহলুসুন্নাহর সাথে যুদ্ধ বাঁধায় , এমনকি তখন অবশ্যই এর জবাব শুধুমাত্র তাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত যারা সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত। একই সময়ে, আমাদের এ ব্যাপারেও অবশ্যই পরিষ্কার থাকা উচিত যে, আমরা শুধুমাত্র নিজেদের প্রতিরক্ষা করে চলেছি। তাদের মধ্যে যারা আমাদের সাথে যুদ্ধ অংশগ্রহণ করেনি এবং তাদের পরিবার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবেনা তাদের বাড়িঘর, উপাসনালয়ে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এবং ধর্মীয় সম্মীলনে। যদিও তা আক্বিদাহ ও আমলের ক্ষেত্রে তাদের ভ্রান্তি ও বিচ্যুতির ব্যাপারে আমাদের অবিরত সত্য প্রকাশের প্রচেষ্টা রোধ করবেনা।

মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে যতটুকু এলাকা আসে, এসব ভ্রান্ত ফিরকাগুলোকে প্রজ্ঞার সাথে ইসলামের দিকে দাওয়াহ দিতে হবে, তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, সন্দেহগুলো খন্ডন করতে হবে,এমনভাবে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করতে হবে যা বড় কোন ক্ষতি বয়ে আনেনা যেমনঃ এলাকা থেকে মুজাহিদীনদের বহিষ্কার, তাদের বিরূদ্ধে জনসাধারণের বিদ্রোহ অথবা অস্থিরতা তৈরি যাতে কিনা শত্রুরা এসব এলাকা দখল করার অজুহাত পেতে পারে।

৫। মুসলিম দেশে খ্রিস্টান, শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অনধিকার চর্চা বর্জন করা। যদি তারা সীমা লংঘন করে তবে এর জবাব ততুটুকু দেওয়াই যথেষ্ট। এই জবাব একটি বিবৃতির সাথে যুক্ত হওয়া উচিত যে, আমরা তাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ সূত্রপাত করার তালে থাকবনা, ইতোমধ্যে আমরা কুফর প্রধানের(আমেরিকা) সাথে যুদ্ধে লিপ্ত,এবং ইনশাল্লাহ আসছে ভবিষ্যতে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবার পর আমরা তাদের সাথে শান্তিপূর্ণ আচারব্যবহারের সাথে বসবাস করতে আগ্রহী।

৬। সাধারণত যারা আমাদের বিরূদ্ধে অস্ত্র উঠায়নি অথবা যে কোন ধরনের শত্রুভাবাপন্ন কাজে সহায়তা করেছে তাদের সাথে যুদ্ধ করা বা তাদের টার্গেট বানানো বর্জন করা। এবং আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে মূলত ক্রুসেডমিত্রদের উপর ও তারপর এদের ঘরোয়া দালালদের উপর।

৭। যোদ্ধা নয় এমন নারীশিশুকে হত্যা এবং তাদের সাথে লড়াই করা থেকে বিরত থাকা। এমনকি যদি যারা আমাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করছে তাদের পরিবারও হয় তবুও যতটুকু সম্ভব তাদেরকে টার্গেট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৮। বোমা হামলা, হত্যা, অপহরণ অথবা জীবন সম্পদ ধ্বংসের মাধ্যমে মুসলমানের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকা।

৯। শত্রুদের মসজিদে, বাজারে, এবং যেখানে মুসলমানদের সাথে উপস্থিতি রয়েছে বা যারা আমাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করছেনা তাদের উপস্থিতি রয়েছেএমন স্থানে টার্গেট না করা।

১০। উলামায়ে কিরামকে শ্রদ্ধা করে চলা এবং তাঁদের সম্মানকে প্রতিরক্ষা করা, যেহেতু তাঁরা নবীদের(আঃ) উত্তরাধিকার এবং উম্মাহর ইমাম। এই বাধ্যকতা সেসব উলামাদের ব্যাপারে আরও বেশি প্রগাড় যাঁরা সত্যের ঘোষণা দেন এবং এর জন্য ত্যাগ স্বীকার করেন। উলামায়ে সু দের সাথে আমাদের বিরোধিতা শুধু সীমাবদ্ধ থাকবে তারা যেসব বিষয়ে সন্দেহ তোলে ধরেন সেসব খন্ডন করা এবং তাদের প্রতারণার অখন্ডনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রকাশ করার মাধ্যমে।তাদের বিরূদ্ধে না যুদ্ধ করা হবে না করা হবে তাদের হত্যা, কিন্তু যদি তারা মুসলমান বা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সামরিক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবে ভিন্ন কথা।

১১। ইসলামি দলগুলোর ব্যাপারে অবস্থানঃ

ক। যেসব বিষয়ে আমরা একমত সেসব বিষয়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করবো এবং যেসব বিষয়ে একমত নই সেসব বিষয়ে একে অপরকে উপদেশ দেবো ও সংশোধন করবো।

খ। আমাদের মূল বিরোধিতা ইসলামের শত্রুদের সাথে এবং যারা ইসলামবিদ্বেষী তাদের সাথে। সুতরাং ইসলামি দলগুলোর সাথে মতপার্থক্য ইসলামের শত্রুদের বিরূদ্ধে আমাদের সামরিক, দাওয়াতি, আদর্শিক বা রাজনৈতিক বিরোধিতার মনযোগ ভিন্নমুখে প্রবাহিত করতে পারবেনা ।

গ।কুফর শত্রুদের পাশাপাশি ইসলামের দাবীদার কোন জামাত যদি আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত হয়, অবশ্যই উচিত হবেনা ততটুকু জবাব দেয়া যতটুকু না হলেই নয় যা কিনা তাদের আগ্রাসন থামাতে যথেষ্ট হবে, তাই মুসলমানদের মধ্যে দ্বন্দের দরজা বন্ধ করার বিষয়ে এবং যারা শত্রুদের পাশাপাশি যুদ্ধ করছেনা তাদের ক্ষতি করা এড়িয়ে চলা।

১২। জালিমদের বিরুদ্ধে নির্যাতিতদের বিপ্লবের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গিঃ

সমর্থনঅংশগ্রহণ করাপথনির্দেশনা

) যেহেতু জালিমদের বিরুদ্ধে মজলুমদের সমর্থন করা শারিয়াহতে ফরয দায়িত্ব, তাদের মাঝে কেউ মুসলিম বা অমুসলিম নির্বিশেষে যেই হোক না কেন তা ফরয।

) অংশগ্রহণঃ যেহেতু জালিমদের বিরূদ্ধে মজলুমদের সমর্থন করা সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধের অন্তর্ভুক্ত বিষয়, যা আমাদের উপর ফরয করা হয়েছে।

) এই ব্যাপারটা পরিষ্কার করা যে, একজনের আমলের উদ্দেশ্য অবশ্যই তা হওয়া উচিত যেন সে তাওহিদকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে আল্লাহর আদেশে উপর অবিচলতার মাধ্যমে, শারিয়াহকে বিজয় করার মাধ্যমে এবং একটি ইসলামি ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মাধ্যমে।

১৪) মুসলিমদের অধিকার সংরক্ষণ করা এবং তাদের অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করাসে যে কোন জায়গার লোক হোক না কেন।

১৫) যারা জুলুম করেছে তাদের বিরুদ্ধে মজলুমদের সাহায্য করা এবং জুলুমে আঘাতপ্রাপ্তদের সমর্থন করাসে মুসলিম অমুসলিম যেই হোক না কেন। যে তাদের সাহায্য করে তাদের প্রত্যেককে সমর্থন ও উৎসাহ দেয়া এমনকি সে যদি একজন অমুসলিমও হয়।

১৬) মুজাহিদদের অবশ্যই উচিত প্রত্যেক মিথ্যাকে ভ্রান্ত বলে প্রমাণে নিরন্তন সচেষ্ট হওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে আপতিত অন্যায় অভিযোগের ব্যাপারেও। এবং এই অভিযোগের ব্যাপারে সত্যকে খোলাসা করা। যদি মুজাহিদদের কাছে স্পষ্ট হয় যে তারা বিশেষ কোন ভুল করেছে তবে তাদের অবশ্যই এ জন্য আল্লাহর ক্ষমা খোঁজা চাওয়া উচিত। প্রকাশ্যে তাদেরকে ভ্রান্তিতে নিপতিত ব্যক্তির ভুলকে অসমর্থন করা এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়াএটা হবে শারিয়াহর নির্দেশ অনুযায়ী এবং তাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে।

১৭) আলকায়েদাহর পরিচালনায় কাজ করছে সেইসব গোষ্ঠী ও সংগঠনের প্রধানদের এবং আমাদের সকল সমর্থক ও সহানুভূতিশীলদের প্রতি তাদের অনুসারীদের মাঝে এই নির্দেশনা ছড়িয়ে দিতে আমরা আহবান করছি ,যাতে কিনা দায়িত্বের দিক থেকে বা স্বাভাবিক ব্যক্তিদের জন্য এই দলিলে কোন গোপন রহস্য নেই বরং এটা একটি সাধারণনীতি নির্দেশনা। এর উদ্দেশ্য শুধু শারিয়াহ প্রতিষ্ঠিত স্বার্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ইজতিহাদের মাধ্যমে ইসলামি জিহাদি কাজের এ পর্যায়ে ক্ষতি নিবারিত করা যে ইজতিহাদ শারিয়াহ আইনের বিরুদ্ধে যায়না এবং এর মৌলনীতিমালাকে সমর্থন করে চলে।

আমরা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করি, এবং তিনিই একমাত্র সত্ত্বা যিনি আমাদের সঠিক পথে পরিচালনা করেন। এবং আমাদের নেতা মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও সাহাবিদের উপর সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক। আমাদের সর্বশেষ প্রার্থনা এই যে, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি জগতগুলোর রব।

আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় লিখিত

আপনাদের ভাই,

আইমান আলজাওয়াহিরি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 3 =

Back to top button