ধারাবাহিক দাওয়া সিরিজ-২য় পর্ব || রমাদান বিজয় এবং সবরের মাস -শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ
পরিবেশিত
ধারাবাহিক দাওয়া সিরিজ
-২য় পর্ব
রমাদান
বিজয় এবং সবরের মাস
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ
ডাউনলোড করুন [১৭৩ এমবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/oY2rfzj8x45KkYq
https://archive.org/details/Ramadan720Part2
https://archive.org/download/Ramadan720Part2/Ramadan720_part-2.mp4
https://www.file-upload.com/4zjxvdbj9mai
Video Banner
https://banglafiles.net/index.php/s/trxiLHZpM95kYEc
https://www.file-upload.com/cldg6xqaayx8
———————————–
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/DnTWHtS2BTpyRmZ
https://archive.org/details/dawah-2nd-part_PDF
https://www.file-upload.com/j7zaw794ot9s
https://www.mediafire.com/file/g122c1wjsiknlud/DAWAH_-_2nd_Part.pdf/file
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/H8PsAeJnb8GF6sr
https://archive.org/details/dawah-2nd-part
https://www.file-upload.com/2k0052eowm16
https://www.mediafire.com/file/xy0mpu8d7jg41h0/DAWAH_-_2nd_Part.docx/file
Book Cover
https://banglafiles.net/index.php/s/8T9PfLfdKkfNfRF
https://www.file-upload.com/ek0k24bor5sa
Banner
https://banglafiles.net/index.php/s/W6RzqQ7G6Cwm5jN
https://www.file-upload.com/zhvvmwlztv53
——————
اپنی دعاؤں میں ہمیں یاد رکھيں
اداره النصر براۓ نشر و اشاعت
القاعدہ برِّ صغیر(بنگلادیش)
আপনাদের দোয়ায়
আন নাসর মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ (বাংলাদেশ শাখা)
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]
ধারাবাহিক দাওয়া সিরিজ-২য় পর্ব
রমাদান বিজয় এবং সবরের মাস
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ
بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وصحبه ومن والاه
সর্বত্র অবস্থানরত প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা!
আমাদের সামনেই পবিত্র রমজান অপেক্ষমাণ। আমরা পবিত্র রমজানের প্রায় শেষের দিকে। এটি যেমনিভাবে নামাজ, রোজা, কুরআন তিলাওয়াত, মাগফিরাত, রহমত ও দোয়া কবুলের মাস; একইভাবে এটি চেষ্টা-মুজাহাদা, আল্লাহর পথে জিহাদ ও বিজয়েরও মাস। বিশেষ করে এটি আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস।
আল্লাহ তায়ালার দরবারে ফরিয়াদ করছি, আমরা যেন এই পবিত্র মাসে আমাদের মিজানের পাল্লাকে আরও ভারী করতে পারি। কারণ আমাদের এই আমল সেদিন উপকারে আসবে, যেদিন ধন-দৌলত, সন্তান-সন্তুতি কিছুই কাজে আসবে না। তবে যে ব্যক্তি পরিচ্ছন্ন হৃদয় নিয়ে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হয়, তার কথা ভিন্ন।
মুসলিম উম্মাহর এই ক্রান্তিকালে, অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শত্রুর শত্রুতার এই বিপদ মুহূর্তে তাদের মোকাবেলা করার জন্য এমন একটি মাস আমাদের জন্য হতে পারে বড় একটি পুঁজি, দৃঢ়তা, সংকল্প ও শক্তি-সাহস বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ। কারণ এটি এমন একটি মাস, যাতে আল্লাহর রহমতের আশা করা যায়, তাঁর ক্ষমা পাওয়া যায়, তাঁর অনুগ্রহ অর্জন করা যায় এবং তাঁর ইচ্ছায় শত্রুর মোকাবেলায় বিজয়ী হওয়া যায়।
মুসলমানদের ইতিহাসে রমাজান মাস হচ্ছে বিজয়ের মাস। (অতীতে) এই মাসেই ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এবং সবচেয়ে বড় বিজয় মক্কা বিজয়ও এই মাসেই হয়েছিল। (বর্তমানে) মা’রাকাতুজ জালাকাহ ও ঐতিহাসিক তোরাবোরার যুদ্ধও এই মাসেই হয়েছে।
রমাজান মাস হচ্ছে কল্যাণের মৌসুম। প্রতিদান কুড়ানোর মৌসুম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ، الْحَسَنَةُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعمِائَة ضِعْفٍ، قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: إِلَّا الصَّوْمَ، فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ، يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي. لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ: فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ، وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ، وَلَخُلُوفُ فِيهِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ.
‘আদম সন্তানের সকল আমলে দশ গুণ থেকে শুরু করে সাতশ গুণ পর্যন্ত প্রতিদান দেওয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ রোজা স্বয়ং আমার জন্য। আর আমিই এর প্রতিদান দেবো। কারণ বান্দা কেবল আমার জন্যই তার প্রবৃত্তি ও পানাহার ত্যাগ করে।” রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ—একটি আনন্দ তার ইফতারের সময় এবং অপরটি তার প্রভুর সাথে সাক্ষাতের সময়। আর রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের ঘ্রাণের চেয়েও অধিক সুগন্ধময়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১১৫৪)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যত্র ইরশাদ করেন,
مَنْ قَامَ لَيْلَةَ القَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ، وَمَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
‘যে ব্যক্তি ইমানের সাথে প্রতিদান পাওয়ার আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে ইবাদাত করবে, তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ইমানের সাথে প্রতিদান পাওয়ার আশায় রমজানের রোজা রাখবে, তাকেও অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ আল বুখারি, হাদিস নং ১৯০১)
আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ العَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ، وَأَحْيَا لَيْلَهُ، وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ
‘যখন রমজানের শেষ দশক আসত, তখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর লুঙ্গি কষে বাঁধতেন, রাতে জাগ্রত থাকতেন এবং তাঁর পরিবারকে জাগিয়ে দিতেন।’ (সহিহ আল বুখারি, হাদিস নং ২০২৪)
রমজান মাস হচ্ছে মিসকিনদের প্রতি সদাচারের মাস, মুজাহিদদেরকে জাকাত দেওয়ার মাস, বন্দীদের মুক্তির জন্য সাহায্য করার মাস, তাদের দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষণের মাস। তাছাড়া রমজান মাস হচ্ছে ইসলামকে নতুন করে আঁকড়ে ধরার মাস এবং এর বিধিবিধানকে দৃঢ়ভাবে পালন করার মাস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالعَمَلَ بِهِ وَالجَهْلَ، فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ
‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, সে অনুযায়ী কাজ করা এবং মূর্খতা পরিহার করল না, আল্লাহর নিকট তার পানাহার বর্জনের কোনো প্রয়োজন নেই।’ (সহিহ আল বুখারি, হাদিস নং ৬০৫৭)
আর গণতন্ত্রের ধোঁকা ও গণতন্ত্রবাদীদের শরিয়াহ বর্জনের চেয়ে বড় ধোঁকা আর কী হতে পারে!!! ইসলামি শরিয়াহকে অপমান করার চেয়ে বড় ধোঁকা আর কী হতে পারে! কেউ যদি মানে, মানবরচিত মতবাদের সাথে ইসলামের যতটুকু মিল রয়েছে ততটুকু পালন করা যাবে। আর যতটুকুর মিল নেই তা পালন করা যাবে না। তাহলে এর চেয়ে বড় ধোঁকা ও প্রতারণা কী হতে পারে!
ইসলামি বন্ধনকে বাদ দিয়ে জাতীয়তার বন্ধন সৃষ্টি করার চেয়ে বড় কোনো অপরাধ হতে পারে?! এমনকি তার চেয়ে বেশি দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, যারা নিজেদেরকে ইসলামি বলে দাবি করে, তাদের কাছ থেকে স্বজনপ্রীতির ধারণা নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আপনি তাদের গণমাধ্যমগুলোতে এমন কথা শুনতে পাবেন যে, আমি হচ্ছি মিশরি। আমি পিরামিড নির্মাতাদের আদর্শ লালন করি, যা আধুনিক শিল্পকেও হার মানিয়েছে।
কিন্তু আমি সেই মুশরিক খুফুর (প্রাচীন মিশরের পুরাতন রাজত্ব সময়কালীন এক ফারাও) আদর্শ লালন করি না, যারা পিরামিড তৈরি করেছে। বরং আমি হচ্ছি একজন মুসলিম। আল্লাহ তায়ালা আমার ও মুমিনদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন, যেমন তিনি বলেছেন,
لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
‘নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মাঝে তাদেরই মধ্য থেকে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন, যিনি তাদের সামনে আল্লাহর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করেন। তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। যদিও এর আগে তারা সুস্পষ্ট ভ্রান্তির মধ্যে ছিল।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত নং ১৬৪)
অতএব আমি এমন খুফুর আদর্শের বাহক নই, যে মানুষকে তার দাসত্ব করতে বাধ্য করত। বরং আমি একজন গর্বিত মুসলিম। ইসলাম আমাকে মুক্ত করেছে সকল ভূখ-ভিত্তিক শাসক/শাসন থেকে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
قُلْ إِنَّنِي هَدَانِي رَبِّي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ دِينًا قِيَمًا مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ
‘আপনি বলুন, নিশ্চয় আমার রব আমাকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন, যা একনিষ্ঠ ইবরাহিমের বিশুদ্ধ ধর্ম। আর তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কুরবানি এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি এর প্রতিই আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি হলাম প্রথম মুসলমান।’ (সুরা আল আনআম, আয়াত নং ১৬১-১৬৩)
আমি মুসলিম। ইসলাম আমাকে মর্যাদাবান ও সম্মানিত করেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ
‘সকল মর্যাদা তো আল্লাহর, তাঁর রাসুলের ও মুমিনদের জন্য।’ (সুরা আল মুনাফিকুন, আয়াত নং ৮)
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা কোনো ফেরাউন, মূর্তিপূজক বা তাগুতকে সম্মানিত বলেননি।
হে মুসলিম উম্মাহ, ইসলামের সাথে বর্তমানে যেই শত্রুতা চলছে, সেই শত্রুতার ধরন দেখেই আমরা আমাদের লক্ষ্য স্থির করে নিতে পারি যে, ধর্মনিরপেক্ষ বেইমানরাই আমাদের শত্রু। যারা পশ্চিমা ক্রুসেডারদের দালাল। এছাড়াও আমরা আরও এক শ্রেণীর শত্রুর প্রতি আমাদের লক্ষ্য স্থির করতে পারি। তারা হলো তিউনিসিয়া, মিশর, জাজিরাতুল আরবের মতো বিভিন্ন মুসলিম শাসক। যারা কেবল ক্রসেডারদের দালালিই করে যাচ্ছে। এরা মুসলমানদেরকে তাদের ধর্ম থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিতে চায়। পথভ্রষ্ট করে দিতে চায়।
সুতরাং এই করুণ মুহূর্তে মুসলিম উম্মাহর কতর্ব্য হলো, পবিত্র রমজান মাস থেকে ফায়দা গ্রহণ করা। ইসলামি আকিদাকে আরও দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা। ইসলামের বিধিবিধানগুলো পূর্ণভাবে মেনে চলার শিক্ষা নেওয়া।
অতএব আমাদের উচিত হলো, আমাদের আচার-আচরণে, মুয়ামালা-মুয়াশারায় ইসলামি বিধানের প্রতি লক্ষ রাখা। আমাদের সন্তানাদিকে কুরআন মুখস্থ করার প্রতি অভ্যস্ত করে তোলা, সুন্নাহ পালনে সহায়তা করা। আর বিশেষ করে আমাদের মা, বোন, মেয়েরা যেন পর্দার বিধানকে দৃঢ়ভাবে পালন করে, তার প্রতি লক্ষ্য রাখা। কারণ মুসলিম রমণীদেরকে বেপর্দা করার জন্য শত্রুদের গভীর চক্রান্ত কখনো থেমে নেই। আর আমরা অবশ্যই সুদকে বর্জন করব এবং মিরাস বণ্টনে ইনসাফ করব। আমাদের ঘরগুলোকে ইমান-বিধ্বংসী মিডিয়ার ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত রাখব। আমরা আমাদের যাবতীয় বিষয় সত্যবাদী আলিমদের মাধ্যমে শরিয়াহ-সম্মতভাবে পালন করার চেষ্টা করব এবং মানব-আবিষ্কৃত নীতিকে সর্ববিষয়ে সর্বদাই বর্জন করব।
রমজান হচ্ছে তাওবাহ ও ক্ষমার মাস। অতএব আমরা নিজেরা এই প্রতিজ্ঞা করি যে, আমাদের আমলগুলোকে আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ করে নেব। আল্লাহর দ্বীনকে সাহায্য করার, তাঁর বন্ধুদের সাথে থাকার, তাঁর শত্রুদের সাথে বিদ্বেষ পোষণের, মাজলুম-দুর্বলদের সাহায্য করার এবং তাঁর রাস্তায় যুদ্ধ করার যেই অঙ্গীকার করেছি তাঁর সাথে, সেটাকে নতুন করে শক্ত করে নেব। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا
‘আর তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর পথে লড়াই করছ না! দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে
আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এই জালিম অধ্যুষিত জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দিন। আর আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন অভিভাবক নির্ধারণ করে দিন এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দিন। (সুরা আন নিসা, আয়াত নং ৭৫)
আমরা রমজানের এই সুবর্ণ সুযোগে যেন নিজেদেরকে পুনরায় শোধন করে নিই এবং অতীতে যেই ভুল-ত্রুটি ও পাপ হয়ে গেছে, সেগুলো থেকে ফিরে আসি।
পৃথিবীর সর্বত্র আমাদের মুজাহিদ ভাইদেরকে যেন আমরা সাহায্য করি, হোক তা দোয়ার মাধ্যমে। মুজাহিদ ভাইদের ও বন্দীদেরকে অবশ্যই আমরা আমাদের দোয়ায়, নামাজে, সিজদায় এবং ইফতারের সময় স্মরণ করব।
বিশেষ করে আমাদের নেক দোয়ার মধ্যে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানকে অবশ্যই স্মরণ করব। আল্লাহর অনুগ্রহে আমেরিকার সামরিকশক্তি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। তাই তারা রাজনৈতিকভাবে আলাপ-আলোচনা করতে চায়।
হে আল্লাহ! আফগানিস্তানে এবং সব জায়গায় আপনার মুমিন বান্দাদের দৃঢ় রাখুন। তাদেরকে সাহায্য করুন। হে আল্লাহ! আমাদের নামাজ ও রোজাগুলোকে কবুল করুন। আপনার মনোনীত দ্বীনকে আমাদের জন্য স্থির জায়গায় নিয়ে দিন। আপনি সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের ইহকাল থেকে বিদায় দিয়েন।
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين، وصلى الله على سيدنا محمد وآله وصحبه وسلم. والسلام
عليكم ورحمة الله وبركاته
****************