আর্কাইভআল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ (AQIS)আস-সাহাব উপমহাদেশতানজীমপাকিস্তান আর্কাইভবার্তা ও বিবৃতিমিডিয়া

এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড নয়… বরং পাকিস্তানী নৌবাহিনীর জাহাজ দখল করা এবং সেই সাথে আমেরিকান ও ভারতীয় নৌবাহিনীকে আক্রমণ করা

এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড নয়… বরং পাকিস্তানী নৌবাহিনীর জাহাজ দখল করা এবং সেই সাথে আমেরিকান ও ভারতীয় নৌবাহিনীকে আক্রমণ করা

 

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

https://banglafiles.net/index.php/s/NFARBnps8AHs5Fo

https://ln.sync.com/dl/82ed3a7f0/s2fem8sx-uhe7gwfn-au7agjt8-ke9322es

https://archive.org/download/16.pakistaninoubahiniruporhamla/16.pakistani%20noubahinir%20upor%20hamla.pdf

ওয়ার্ড ফাইল ডাউনলোড করুন:

https://banglafiles.net/index.php/s/NXEsfnYL7NpgKQL

 

 

আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু

এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড নয়…

বরং পাকিস্তানি নৌবহরের জাহাজ দখল করা!

সেই সাথে আমেরিকান ও ভারতীয় নৌবাহিনীকে আক্রমণ করা!

___________________________________________________

আল্লাহর রহমতে গত ৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি  নৌবাহিনীতে কর্তব্যরত ‘আল-কায়েদা উপমহাদেশ’ এর ভাইয়েরা দুটো পাকিস্তানি যুদ্ধ জাহাজ দখল করে আমেরিকান ও ভারতীয় নৌবহর ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এই অভিযানের যৎসামান্য প্রাথমিক তথ্য  মিডিয়াতে দেয়া হয়েছে, কিন্তু পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও  তাদের গোয়েন্দা সংস্থার ভয়ে মিডিয়া যথারীতি প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করেছে এবং ভুল তথ্য দিয়েছে।  কিছু বহিরাগত লোক নৌবাহিনীর ভিরতে ছদ্মবেশে  প্রবেশ করে নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডে আক্রমণ করেছে  বলে নাটক সাজানো হয়েছে। অথচ এই অভিযানের দায়িত্ব আমরা স্বীকার করার পরও মিডিয়া সুপরিকল্পিতভাবে  তা প্রত্যাখ্যান করছে। তাই, এই ডকুমেন্টে আমরা আপনাদের সামনে এই অভিযানের আসল পরিকল্পনা ও মূল  লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেশ করবো।

আল্লাহর রহমতে ‘আল-কায়েদা উপমহাদেশ’ এর দুই ভাই ওয়েজ জাকারানি (পাকিস্তানি নৌবাহিনীর প্রাক্তন দ্বিতীয় লেফটেনেন্ট) এবং জিসান রফিক (কর্তব্যরত দ্বিতীয় লেফটেনেন্ট) এর অধিনে এই অভিযান সম্পন্ন হয়

[ছবি:১] জিসান রফিক (কর্তব্যরত দ্বিতীয় লেফটেনেন্ট) মুজাহিদীনদের আমিরদেরকে অভিযানের পরিকল্পনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিচ্ছে

[ছবি:২] ডানদিকে থেকে বামদিকে: মুজাহিদ ওয়েজ জাকারানি (পাকিস্তানি নৌবাহিনীর প্রাক্তন দ্বিতীয় লেফটেনেন্ট) এবং মুজাহিদ জিসান রফিক (পাকিস্তানি নৌবাহিনীর কর্তব্যরত দ্বিতীয় লেফটেনেন্ট)

মুজাহিদীনদের মূল লক্ষ্যবস্তু

  • পাকিস্তানি নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দুটো যুদ্ধজাহাজ – পিএনএস জুসফিকার (PNS Zulfiqar) ও পিএনএস আসলাট (PNS Aslat) – এর দখল নেয়া।
  • আমিরিকান নৌবাহিনীর তেলবাহী জাহাজ ও এর রক্ষার্থে নিযুক্ত রণতরী ধ্বংস করা।

ভূমিকা:

[ছবি: বাহরাইনে অবস্থিত CMCP এর প্রধান সদর দফতর]

১১ সেপ্টেম্বরের বরকতময়  অভিযানের পর, আমেরিকা শুধুমাত্র  ইসলামিক ইমারত আফগানিস্তানেই  হামলা করেনি বরং ভারতীয়  মহাসাগরে তাদের আধিপত্য  বিস্তারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ লক্ষ্যে আমেরিকা একটি বিশাল ঐক্যজোট গঠন করে যা Coalition Maritime Campaign Plan (CMCP)  নামে সুপরিচিত। এই ঐক্যজোটে ৪৫টি দেশ অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।  এদের মধ্যে পাকিস্তানি নৌবাহিনী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এছাড়া ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান এবং  এশিয়ার আরো কিছু দেশের নৌবাহিনীও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। বাহরাইনে এদের প্রধান সদর দফতর রয়েছে।  CMCP এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিম্নরুপ:

  • সামুদ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পথের নিরাপত্তা বিধান করা যাতে আমেরিকা ও কাফেরদের অন্যান্য প্রভাবশালী রাষ্ট্রের বাণিজ্যিক জাহাজগুলো নিরাপদে চলাচল করতে পারে।
  • তথাকথিত জঙ্গি দমনে সহায়তা করা (অর্থাৎ মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে আমেরিকা নিয়ন্ত্রিত ক্রুসেড বাহিনীর দ্বারা আক্রমণ করা) যার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রপথে মুজাহিদীনদের চলাচল বন্ধ করা, মুজাহিদীন কর্তৃক সম্ভাব্য সামুদ্রিক অভিযান প্রতিরোধ করা এবং সমুদ্র হতে মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা করা।
  • আমেরিকা ও তার মিত্র বাহিনী কর্তৃক আফগানিস্তান দখলের সরঞ্জাম সরবরাহে সাহায্য করা।
  • ইসলামিক সমুদ্র সীমানাতে তাদের সাম্রাজ্য মজবুত করা এবং পানিপথের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে ঘিরে ফেলা।

আমেরিকান নৌ ঐক্যজোটের অন্তর্ভূক্ত বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর অন্যতম কাজ হচ্ছে সখ্রিয়ভাবে মুসলিম দেশেরে সমুদ্র সীমানা পর্যবেক্ষণ করা এবং মুসলিম বিশ্বের উপর আমেরিকার আগ্রাষণের কালো হাতকে মজবুত  করা। এ কাজের জন্য পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধজাহাজ গভীর সমুদ্রে টহল দেয়। প্রত্যেক যুদ্ধজাহাজ  আনুমানিক তিন মাস সময় অতিবাহিত করে। এ সময়ে নিয়মিতভাবে তেল ভরতে হয়। এই উদ্দেশ্যে তেলবাহী  জাহাজকে ভারতীয় মহাসাগরে উপস্থিত থাকতে হয়। CMCP ঐক্যজোটের অন্তর্ভুক্ত যুদ্ধজাহাজের তেল সাধারণত আমেরিকান তেলবাহী জাহাজ দ্বারা পূর্ণ করা হয়, তবে এর অবর্তমানে কদাচিৎ ব্রিটিশ অথবা জাপানি তেলবাহী জাহাজের ঘাড়ে এ দ্বায়িত্ব পরে।

আমেরিকান তেলবাহী জাহাজ (USS Supply) এর ভূমিকা

আয়তন, উপযোগীতা এবং দামের দিক দিয়ে আমেরিকান বিমানবাহী জাহাজের পরের অবস্থানই আমেরিকান তেলবাহী জাহাজের। CMCP এর সকল যুদ্ধজাহাজের তেল সরবরাহের জন্য এটা ছয় মাসের পর্যাপ্ত তেল  নিয়ে সমুদ্রে অবস্থান করে। এর মধ্যে দু’শত আমেরিকান নাবিক অবস্থান করে। এই তেলবাহী জাহাজের নিজস্ব  প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই; কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ হওয়াতে এর নিরাপত্তা বিধানের জন্য দশ কিলোমিটারের মধ্যে  আমেরিকান রক্ষী জাহাজ অবস্থান করে। তেলবাহী এই জাহাজ পাকিস্তানসহ ঐক্যজোটের সকল যুদ্ধজাহাজের  তেল প্রতি বারো থেকে পনের দিন পর পর ভরে থাকে। তেল ভরার সময় যুদ্ধজাহাজের ত্রিশ মিটারের কাছাকছি  চলে আসে।

[ছবিতে আমেরিকান তেলবাহী জাহাজ USS Supply (ডানদিকে) যুদ্ধজাহাজের (বামদিকে) তেল ভরছে। তেল ভরার সময়ে তেলবাহী জাহাজ ধ্বংস করার কথা ছিল।]

রক্ষী জাহাজের ভূমিকা

রক্ষী জাহাজ অত্যান্ত মারাত্মক ও দ্রুতগামী হয়। এতে অত্যাধুনিক দামি অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে যার মধ্যে ডুবজাহাজ  বিধ্বংসী টর্পেডো, ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গোলা নিক্ষেপ করতে সক্ষম নিয়ন্ত্রিত মিজাইল, বিমান লক্ষ্য করে  জাহাজ থেকে নিক্ষিপ্ত মিজাইল এবং বিমান ভূপাতিত করার কামান রয়েছে। সাধারণত এটার দাম সবচেয়ে ব্যয়বহুল সামরিক যুদ্ধবিমান (যেমন পিসি ওরিয়েন্ট, যা মুজাহিদীনরা আল্লাহর ইচ্ছায় মেরিন সামরিক ঘাঁটিতে  ধ্বংস করেছে) এর সাতগুন। পাকিস্তানের নৌবহরের মধ্যে শুধুমাত্র ডুবজাহাজ, রক্ষী জাহাজের চাইতে বেশি  দামি। পাকিস্তানি নৌবাহিনীর কাছে সর্বমোট নয়টি রক্ষী জাহাজ রয়েছে। যে রক্ষী জাহাজ আমেরিকান তেলবাহী  জাহাজের নিরাপত্তা বিধান করে তাতেও অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে। এতে ২৫০-৩০০ জন আমেরিকান  নৌবাহিনীর অফিসার অবস্থান করে। CMCP এর ঐক্যজোটের বিভিন্ন রক্ষী জাহাজ ভারতীয় মহাসাগর  নিরাপত্তাবিধানের কাজে নিয়োজিত।

আল্লাহর রহমতে পিএনএস জুলফিকার (PNS Zulfiqar) ও পিএনএস আসলাট (PNS Aslat) এর  অফিসারদের মধ্যে কিছু মুজাহিদ ভাইও রয়েছে। তাদেরকে অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও বিস্ফোরক  দ্রব্য সরবরাহ করা হয়েছিল। পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ নিম্নরুপঃ

[ছবি: ৩ জুন, ২০১৪: পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল আসফাক পারভেজ কিয়ানি আমেরিকান অফিসারদের সাথে দেখা করার জন্য  হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পাকিস্তানি জাহাজ থেকে আমেরিকান জাহাজে যাচ্ছে। বামদিকে: একজন মুজাহিদ ভাই পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজে  স্থাপিত মিজাইল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কম্পিউটার স্ক্রিনে আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ ও প্রাক্তন সেনাপ্রধান এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে।]

পরিকল্পনা

প্রথম দল – পিএনএস জুলফিকার (PNS Zulfiqar)

CMCP এর পক্ষ থেকে আরোপিত নিরাপত্তা বিধানের জন্য ৩ সেম্পেম্বর করাচি থেকে যুদ্ধজাহাজ সমুদ্র যাত্রা  শুরু করে। যাত্রার কিছু দিন পর পিএনএস জুলফিকারকে তেল ভরে দিতে হয় আমেরিকান তেলবাহী জাহাজের।  পরিকল্পনা মোতাবেক পিএনএস জুলফিকারের তেল ভরার সময় আমেরিকান তেলবাহী জাহাজ পাকিস্তানি  যুদ্ধজাহাজের মাত্র ত্রিশ মিটার দূরুত্বের মধ্যে অবস্থান করবে, ঠিক তখনই পিএনএস জুলফিকার যুদ্ধজাহাজে  অবস্থিত মুজাহিদ ভাইয়েরা ৭২মি.মি. বিমান বিধ্বংসী কামান দিয়ে আমেরিকান তেলবাহী জাহাজকে ধ্বংস  করবে। এরই মধ্যে অপর মুজাহিদীন ভাইয়েরা আমেরিকান তেলবাহী জাহাজের নিরাপত্তা বিধানে কর্মরত  আমেরিকান রক্ষী জাহাজকে চারটি জাহাজ বিধ্বংসী নিয়ন্ত্রিত মিজাইল দিয়ে আঘাত হানবে। আল্লাহর সাহায্যে  অপারেশনের এই অংশ সম্পন্ন হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী মুজাহিদ ভাইয়েরা যুদ্ধ জাহাজে অবশিষ্ট অস্ত্র দিয়ে  আশেপাশে অবস্থিত আমেরিকান অথবা ঐক্যজোটের যেকোনো যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করতে থাকবে যতক্ষণ না  শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করে।

দ্বিতীয় দল – পিএনএস আসলাট (PNS Aslat)

এই যুদ্ধ জাহাজ করাচির সমুদ্র তীরের নিকটবর্তী ছিল। আমাদের মুজাহিদ ভাইয়েরা অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ  সেখানে অবস্থান করছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুজাহিদ ভাইয়েরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারতীয় মহাসমুদ্রের  দিকে রওনা দিবে যাতে জাহাজ বিধ্বংসী মিজাইল দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস করতে পারে। এ পরিকল্পনায়  বাধাগ্রস্ত হলে হরমুজের জরধারার নিকতবর্তী আমেরিকান যুদ্ধ জাহাজ (যেমন গাওয়াদারের কাছে আমেরিকান  বিমানবাহী জাহাজ) আক্রমণ করবে।

[ছবি: পিএনএস আসলাট যা মুজাহিদীনরা ব্যবহার করে ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ আক্রমণ করার কথা ছিল]

[ছবি: পিএনএস আসলাটে আগত নাবিক অফিসার]

অপারেশনের বিস্তারিত বিবরণ

আল্লাহর রহমতে মুজাহিদীন ভাইয়েরা দুটো যুদ্ধ জাহাজই দখল করে নিয়েছিল। দখলের সময় পাকিস্তানি  নৌবাহিনীর অফিসারদের সাথে সরাসরি বন্দুকযুদ্ধের শুত্রপাত হয়। দু’পক্ষের যুদ্ধ কয়েক ঘন্টা ব্যাপি চলতে  থাকে। পাকিস্তানি নৌবাহিনীর অফিসারদের সাথে যদ্ধে জড়িয়ে পরাতে মুজাহিদ ভাইয়েরা তাদের পরবর্তী  পরিকল্পনা অর্থাৎ আমেরিকান ও ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ আক্রমণ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাঁধা হয়ে  যায়। বন্দুকযুদ্ধে আমেরিকানদের রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর কিছু নাবিক ও অফিসাররা আহত  ও নিহত হয়, সেইসাথে এই ভাইয়েরাও তাদের শহীদি তামান্না লাভ করে। আল্লাহ এই অভিযানে অংশগ্রহনকৃত  সম্মানিত মুজাহিদীন ভাইদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান এবং জান্নাতের সর্বচ্চো আসনে তাদেরকে অধিষ্টিত করান  যেখানে নবী, সিদ্দিক, শহীদ এবং নেক লোকেরা বসবাস করবে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন  এই অভিযানকে তাঁর দ্বীন ও মুসলিম উম্মতের বিজয়ের মাধ্যম হিসাবে গণ্য করেন এবং কাফেরদের পরাজয়ের  শুভ সূচনা হিসাবে গ্রহণ করেন। আমিন।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং মিডিয়ার কাছে কিছু প্রশ্ন

  • পিএনএস জুলফিকার যুদ্ধজাহজ ৩ সেপ্টেম্বর করাচি ছেড়ে সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছিল। ‘আল-কায়েদা উপমহাদেশ’ এর ভাইয়েরা সেই জাহাজে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ অবস্থান করছিল। পাকিস্তানি নৌবাহিনীর বর্ণনা মতে অপারেশন ৬ সেপ্টেম্বর সংঘটিত হয়েছিল এবং করাচিতে অবস্থিত নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডে আক্রমণ করা হয়েছিল। অথচ ইতিমধ্যেই এই যুদ্ধজাহাজ ভারতীয় মহাসাগরে তিন দিনের পথ পারি  দিয়েছিল! তাহলে কিভাবে আক্রমণ গভীর সমুদ্রে না হয়ে সমুদ্রতীরে সংঘটিত হয়েছিল; কিভাবে বন্দুকযুদ্ধ  পিএনএস জুলফিকার যুদ্ধজাহাজে না হয়ে নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডে সংঘটিত হয়েছিল?
  • পিএনএস জুলফিকারে যদি কোনো বন্দুকযুদ্ধ না হয়ে থাকে এবং নৌবাহিনীর কোনা অফিসার যদি নিহত না হয়ে থাকে, তবে কেন যুদ্ধ জাহাজ করাচি থেকে রওনা হওয়ার পাঁচ দিন পরে অভিযানের সংবাদ জানানো হল?

° এর কারণ কি এটাই যে, বন্দুকযুদ্ধের প্রমাণ মুছে ফেলা এবং এর ফলে পিএনএস জুলফিকার যুদ্ধ  জাহাজের ক্ষতি গোপন করা?

° অথবা যুদ্ধ জাহাজে সংঘর্ষের পর, জাহাজ করাচিতে পৌঁছাতে তিন দিন সময় লাগা?

  • ৩১ অগাস্ট এর মধ্যে মুজাহিদ ভাইয়েরা পিএনএস আসলাটে তাদের অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ পৌঁছেছিল। বহিরাগত দ্বারা নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড আক্রমণ করা হয়নি; বরং নৌবাহিনীর ভাষ্যমতে যদি বন্দুকযুদ্ধ হয়েই থাকে তবে সম্ভবত তা হয়েছিল যখন ভাইয়েরা পিএনএস আসলাট দখল করতে গিয়েছিল। কাজেই,  অন্যকোথা থেকে ডকইয়ার্ডে হামলা জলন্ত মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয় যার উদ্দেশ্য হচ্ছে মুজাহিদীনদের  বিজয়কে মাছ দিয়ে শাক ঢাকার চেষ্টা করা, দুশমনের মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতি গোপন করা।  আমেরিকা ও তার দোসর – পাকিস্তানি সেনা ও নৌবাহিনী – আপামর জনসাধারনকে এই খবর জানাতে  চায় না যে, স্বয়ং সামরিক বাহিনীর অফিসারদের মধ্যে থেকে আল্লাহর দ্বীনের বাণী (ইসলাম) এবং তাঁর  দ্বীনের জন্য জিহাদে লিপ্ত হওয়ার ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে। ‘ডকইয়ার্ডে হামলা’ – এ মিথ্যা বানোয়াট  কাহিনী কি এই ব্যাপারগুলো ঢাকার অপচেষ্টা নয় যে, সামরিক বাহিনীর অফিসারদের মধ্যে থেকে সিস্টেমের  বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ানোর মানসিকতা তৈরি হচ্ছে; আমেরিকা, ভারত ও তার মিত্র, এমনকি আমেরিকার দোসর  পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদে মত্ত হওয়ার আকাঙ্খা তাদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে?
  • অপারেশনে অংশগ্রহণকারী সকল মুজাহিদীন ভাইয়েরা কর্তব্যরত পাকিস্তানি নৌবাহিনীর অফিসার ছিল, শুধুমাত্র ওয়েস জাকারানি নামক একজন মুজাহিদ যিনি তার ঈমান ও গাইরতের কারণে পাকিস্তানি নৌবাহিনী থেকে সাম্প্রতিক সময়ে পদত্যাগ করেছে। তাহলে কেন সরকার ও সেনাবাহিনী এই তথ্য গোপন করতে  চাচ্ছে যে অবশিষ্ট শহীদরা পাকিস্তানি নৌবাহিনীর কর্তব্যরত অফিসার? যদি এটা না হয়, তবে অভিযানে  অংশগহণকারী সেই ব্যক্তি কারা? কেন তাদের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না? কেন তাদের মৃতদেহ  গোপন করা হচ্ছে?

গাজা ও প্যোলেস্টাইনে অবস্থিত আমাদের ভাইদের প্রতি বার্তা

প্যোলেস্টাইনে বসবাসরত আমাদের ভাইদেরকে শহীদ শাইখ ওসামা (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) এর  বক্তব্য পুনরায় স্বরণ করিয়ে দিতে চাই: “আপনাদের সন্তানের রক্ত হচ্ছে আমাদের সন্তানের রক্ত। রক্তের বদলে  রক্ত, ধ্বংসের বদলে ধ্বংস। আমরা আল্লাহর নামে শপথ করছি যে, আমরা কখনই হাল ছেড়ে দিবে না, যতক্ষণ  পর্যন্ত না আমরা বিজয় অর্জন করতে পারি নতুবা সেই স্বাধ লাভ করি যা হামজা বিন আব্দুল মুত্তালিব লাভ  করেছিল।”

মুসলিম উম্মতের প্রতি বার্তা

এই অপারেশনের মাধ্যমে উম্মতের কাছে এই বার্তা পরিস্কার ফুটে উঠেছে যে আপনাদের মুজাহিদ সন্তানেরা  আপনাদেরকে রক্ষার্থে সবকিছু কোরবানী করতে প্রস্তুত রয়েছে। কাজেই, তাদেরকে সাহায্য করুন এবং  তাদেরকে সহায়তা করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন না, কারণ তারাই হচ্চে আপনাদের প্রকৃত সমর্থনকারী ও  রক্ষাকারী।

মুজাহিদীনদের প্রতি বার্তা

সমুদ্রপথে জিহাদ করা মুজাহিদীনদের অন্যতম দ্বায়িত্ব – এই অপারেশনের মাধ্যমে এ কথাটিই মুজাহিদীনদের  কাছে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তাদেরকে সমুদ্রপথে জিহাদের জন্য চেষ্টা করা যাতে সেখানেও কালেমার ঝান্ডা  বুলন্দ হয় এবং ক্রুসেড নৌবাহিনী কর্তৃক সমুদ্রপথে ঘিরে রাখা বন্দিশালা থেকে মুসলিম উম্মতকে মুক্ত করার  বলিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।

আমেরিকা ও ইহুদীদের প্রতি বার্তা

শাইখ ওসামা বিন লাদেনের সেই সতর্কবাণী আমরা আবারও আমেরিকা ও ইহুদীদের স্বরণ করিয়ে দিতে চাই:  আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত আঘাত করতে থাকবো যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা আমাদের ভূমি (ও সমুদ্রসীমানা) ছেড়ে  চলে যাও!

ভারতের প্রতি বার্তা

এই অপরারেশনের মাধ্যমে ভারতকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, এটা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ এর শুভ সূচনা মাত্র।  কাশমির, গুজরাত এবং আসামে তোমরা যে মুসলিমদের উপর যুলুম করেছ তা আমরা ভুলি নাই। খাল কেটে  তোমরাই কুমির আনছো।

মুসলিম দেশের সামরিক বাহিনীর সৈনিক ও অফিসারদের প্রতি বার্তা

এই অপারেশন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং অন্যান্য মুসলিম দেশের সামরিক  বাহিনীতে কর্মরত সৈনিক ও অফিসারদের জন্য নতুন করে চিন্তার দ্বার খুলে দিয়েছে। গোলামির দাসত্ববসত  পাকিস্তানি বাহিনীর জেনারেলরা তাদের পুরো সামরিক শক্তি কাজে লাগিয়ে আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করছে।  প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে পদোন্নতি ও সযোগ-সুবিধা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে বর্তমানকালে একটা  ব্যাপার নিশ্চিত করতে চায়, আর তা হলো: ইসলামের প্রতি ভালোবাসা বসত যারা এই উম্মতের সম্পদ  ইসলামের দুশমনদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চায়, যারা মুসলিম উম্মতের প্রতি সচেতন থাকতে চায় এবং  কুফরের প্রতি কঠোর হতে চায়, তাদেরকে সামরিক প্রতিষ্ঠানে স্থান না দেয়া।   কিন্তু আল্লাহর নিয়ম-নীতি চিরন্তন ও অপরিবর্তনীয় বিধায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। ফেরআউনের প্রাসাদে  মুসা (আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর বেড়ে উঠার মতো ঘটনা ঘটেছে। আল্লাহ পাকিস্তানি নৌবাহিনীর কিছু অফিসারদের তাঁর কিতাব – কোরআন বিশুদ্ধ নিয়্যাত ও গভীর অনুধাবনের মাধ্যমে পড়ার তৌফিক দান  করেছেন। যার ফলে তারা ইসলামের বার্তা বুঝতে পড়েছিল এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভ্রান্ত আক্বিদার মুখশ  উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছিল। দুনিয়ার মোহ তাদেরকে এই পথ হতে সরাতে পারেনি। তথাকথিত বুদ্ধিজীবি, দরবারী ওলামা এবং বিবেক-বুদ্ধিহীন লোকদের ভুল ব্যাখ্যার প্রতারণার ফাঁদে পরেনি। তেমনিভাবে মিডিয়ার সাদাকে কালো করার  অপপ্রচারও তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মিথ্যাকে সত্যে রুপান্তরিত করতে পারেনি। ফলশ্রুতিতে তারা  মুজাহিদীনদের মারকাজের সন্ধান পেয়েছে যেখানে তারা ‘আল-কায়েদা উপমহাদেশ’ এর আমিরদের সাথে  সাক্ষাত করেছে এবং তাদের সামনে দ্বীনের খেদমতের জন্য নিজেদেরকে সকল ধরনের কাজ করার জন্য পেশ  করেছিল যার মধ্যে সামরিক বাহিনী থেকে পদত্যাগ করা, আল্লাহর রাস্তায় হিজরত ও জিহাদ করা, এমনকি  শহীদি হামলা করাও অর্ন্তভুক্ত ছিল।  মুজাহিদীনদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এ ভাইয়েরা প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের সম্মানিত আমির  শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরি এর নির্দেশনায় এই ভাইয়েরা আল্লাহর উপর ভরসা করে সমুদ্রপথে আমেরিকার  সামরিক শক্তির উপর হামলা করার পরিকল্পনার করে যার অধিকাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এই বরকতময় অপারেশন মুসলিম দেশের সৈন্য এবং অফিসারদের প্রতি বার্তা ও নাসিহাত নামা। যদি আপনি  বিশ্বাস করে যে, আপনার হৃদয়ে বিন্দু পরিমাণ ঈমান রয়েছে, যদি আপনি নিজেকে মুসলিম হিসাবে গণ্য করেন,  অন্তরের অন্তস্থলে জান্নাতে প্রবেশ করার বাসনা পোষণ করেন এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার ইচ্ছা রাখেন, তবে  আপনার উচিত অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে এবং গভীরভাবে অনুধাবনের মাধ্যমে কোরআন পড়ে তা আমল  করা। আপনার উচিত আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়া এবং তাদেরকে সাহায্য করা যারা তাঁর রাস্তায় সাহায্য করে।  আপনার উচিত আন্তরিকভাবে তওবা করা, সর্বদা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং মুসলিম সম্পদ ব্যবহার করে  আমেরিক ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে কাজ করা। আল্লাহ আপনাদেরকে দুনিয়া এবং আখেরাতের সফলতা  অর্জনের পন্থা হিসাবে কাফেরদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে মারাত্বক আঘাত করার তৌফিক দান করুন!  হে আল্লাহ, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর দ্বীনকে যারা সাহায্য করে তাদেরকে আপনি সাহায্য  করুন এবং আমাদেরকে তাদের অন্তভর্‚ক্ত করুন। হে আল্লাহ, যে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর  দ্বীনকে অবজ্ঞা করে তাদেরকে আপনি পরিত্যাগ করুন এবং আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভূক্ত করবেন না। দূরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার এবং তাঁর সাহাবাদের উপর।

আস-সাহাব উপমহাদেশ

০২ জুল-হাজ্জা, ১৪৩৫ (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =

Back to top button