পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিমুখী চেহারা!!!
যারা আজ পশ্চিমা বিশ্বের দ্বারা মুগ্ধ ও প্রভাবিত তাদেকে বলছি,
নাদা আলী, একজন ইয়েমেনী সুন্নী মুসলিম, বেড়ে উঠেছেন আরবের ইয়েমেনে। যিনি কঠিনভাবেই আঁকড়ে ধরেছেন তার দ্বীনের মুজবুত হাতলকে। কঠিন মুহুর্তেও তিনি ইসলামের সেই মুজবুত হাতলকে ছাড়েননি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন, পাখির কিচিরমিচির শব্দে যেখানে ঘুম ভাঙ্গে না বরং ঘুম ভাঙ্গে বোমা ও গুলির আওয়াজে।
যুদ্ধ আর অবরোধেরর কারণে ইয়েমেন হয়ে পড়েছে দূর্দশাগ্রস্থ জনপদ। যেখানে এখন প্রতিনিয়তই প্রাণ হারাচ্ছেন নিষ্পাপ অনেক শিশু, ক্ষুধা বা অসুস্থতার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে লাখো ইয়েমেনী শিশু। অর্থের অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে না পারায় নিজের চোখের সামনেই হারাতে হচ্ছে আদরের সন্তানদেরকে।
যখন পুরো ইয়েমেনে এমন অবস্থা বিরাজ করছে, তখন সামান্য আশ্রয় ও খাদ্যের সান্ধানে নিজ মাতৃভূমি ছড়তে থাকেন লাখো ইয়েমেনী মুসলিম। তাদের মাঝে নাদা আলীও একজন। এই সম্মানীত ইয়েমেনী মুসলিম বোন সামান্য আশ্রয়ের আশায় পাড়ি জমান কানাডায়।
কিন্তু এখানে এসে তিনি তাঁর দ্বীন ইসলামকে পরিত্যাগ করেন নি। এমনকি নাগরিকত্ব পাওয়ার লোভে অন্তত প্রকাশ্যে ইসলাম ত্যাগের ঘোষণাও দেন নি।
তাই কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ তাঁর সাথে একজন অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীর মতই আচরণ করেছে। দুই বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পরও যার কোনো সমাধান হয়নি।
এই মুসলিম বোন এখানে এসেছেন সেই ইয়েমেন থেকে, যা আজ আন্তর্জাতিক জোট, তাদের তাবেদার হাদী ও সৌদীজোট বাহিনী আর হুথী বিদ্রোহীদের কল্যাণে এক দূর্দশাগ্রস্থ জনপদে পরিণত হয়েছে।
এরপরেও কানাডা কর্তৃপক্ষ এই বোনটিকে অবৈধ অভিবাসী আখ্যা দিয়ে সে ধরনের আচরণই করে যাচ্ছে। এবং এই সূদীর্ঘ সময়ের মধ্যে কোনো মানবাধিকার সংস্থাও তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসে নি।
এবার আসুন আমরা এই বিপদগ্রস্থ বোনটির সাথে সেই সৌদী মেয়েটিকে মেলানোর চেষ্টা করি, যে প্রকাশ্যে ইসলাম পরিত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নিজ দেশ ও পরিবার থেকে পালিয়ে এসেছিল এবং প্লেনের বিজনেস ক্লাসে বসে তার মদের গ্লাসের একটি ছবি তুলে পোষ্ট করেছিল। আর বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো কত গুরুত্বের সাথে তার সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল। বিমানবন্দরে এই কানাডারই এক মন্ত্রী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছিল। এবং কত দ্রুততার সাথেই না তার বৈধ অভিবাসনের সকল কাজ সম্পাদন করে দিয়েছিল।
এটাই হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিমুখী চেহারার সামান্য একটি বাস্তব চিত্র।
Assalamualaikum