অডিও ও ভিডিওআর্কাইভআল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ (AQIS)আল কায়েদার বাঙ্গালী মুজাহিদিনআল-কাদিসিয়াহ মিডিয়াএ ধুলা কখনই মিটবে নাতানজীমপাকিস্তানবই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতিবাংলা প্রকাশনামাওলানা আসিম উমরমিডিয়াহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে অভিজিৎ রায় ও অন্যান্য কটূক্তিকারীদের গুপ্তহত্যা প্রসঙ্গে || এ ধুলা কখনই মিটবে না – মাওলানা আসেম উমার (দা বা)

Al-Qadisiyyah Media
আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

Presents
পরিবেশিত

The Bengali Transcript
বাংলা প্রতিলিপি

As-Sahab (Subcontinent)
আস-সাহাব (উপমহাদেশ)

A statement by

Maulana Aasim Umar
মাওলানা আসিম ওমরের বার্তা

On the Assassination of Avijit Roy and other Blasphemers in Bangladesh and Pakistan

বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে অভিজিৎ রায় ও অন্যান্য কটূক্তিকারীদের গুপ্তহত্যা প্রসঙ্গে

The Dust Will Never Settle Down !
এই ধূলা কখনও মিটে যাবে না !

(Jamadu us Sani, 1436)
(জামিদুস সানি, ১৪৩৬)

লিখিত রুপ-

ডাউনলোড করুন

Word
https://banglafiles.net/index.php/s/r8aaGeKH5QCwMWX
http://www.mediafire.com/file/2x8zn665v3qn5su/3.ei_dhula.docx/file
https://archive.org/details/20201024_20201024_0331
http://www.mediafire.com/file/spzbpdl5gaesaun/%25E0%25A6%258F_%25E0%25A6%25A7%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE.docx/file

=====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

==============

পরম করুনাময় এবং অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে

সকল প্রসংশা একমাত্র আল্লাহর, এবং শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক শেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর।
শুরুতেই, আমি আল্লাহর নিকট অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই। পরম করুনাময় এবং অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।

“মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী পল্লীবাসীদের উচিত নয় রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলের প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা। এটি এজন্য যে, আল্লাহর পথে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা তাদের স্পর্শ করে এবং তাদের এমন পদক্ষেপ যা কাফেরদের মনে ক্রোধের কারণ হয় আর শত্রুদের পক্ষ থেকে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয়-তার প্রত্যেকটির পরিবর্তে তাদের জন্য লিখিত হয়ে নেক আমল। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের হক নষ্ট করেন না।”(আল-কুরআন, ৯ : ১২০)

ওহুদের যুদ্ধের ময়দানে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আওয়াজ লাগালেন, “এমন কেউ কি আছে যে আমার জন্য নিজের জীবনকে কোরবান করবে?” হজরত জিয়াদ বিন সাকান (রাঃ) পাঁচ আনসারী সহ দাড়িয়ে গেলেন। আজ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সম্মান রক্ষার্থে কোরবান হবার দিন, আজ নবীর জন্য জান কোরবান হবার দিন, আজ মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আনীত শরীয়তের জন্য নিজের জীবনের পরিবর্তে জান্নাত হাসিল করার দিন। একের পর এক কোরবান হতে লাগলো, শেষ পর্যন্ত জিয়াদ বিন সাকান (রাঃ) রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে রক্ষা করতে লাগলেন। আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেল, তবুও যতক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার সামর্থ্য ছিল ততক্ষণ পর্যন্ত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে রক্ষা করতে লাগলেন। শেষ পর্যন্ত আঘাতে-রক্তে জর্জরিত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন, সাহাবারা এসে তাকে উঠালেন। দুনিয়ার জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরিত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেন, “জিয়াদকে আমার সামনে নিয়ে এসো।” জিয়াদের গাল রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর গায়ে লাগা অবস্থায় তিনি শহীদ হয়ে গেলেন।

উম্মে আম্মারা (রাঃ) মহিলা হওয়া সত্ত্বেও রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর নিজের জীবনকে কোরবান করার জন্য রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলেন, কখনও ডান দিক দিয়ে, কখনও বাম দিক দিয়ে রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দিফা করতে লাগলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে রক্ষার জন্য নিজের জীবনকে ঢাল বানিয়ে দিলেন। বেপরোয়া বাঘিনীর মত শরীয়তের দুশমনদের বিরুদ্দে হামলা করেছিলেন, যারা শরীয়তের এই দাবীকে নিভীয়ে ফেলতে চায়।

হজরত আলী (রাঃ) কে রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে আনা হয়েছিল, যার শরীরের ভেতর তীর, তলোয়ার ও বর্শার সত্তরের বেশী আঘাত ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের বরকতময় হাত দ্বারা ক্ষতস্থানগুলোর উপর বুলাচ্ছিলেন আর আল্লাহর হুকুমে ক্ষতস্থানগুলো এমনভাবে ঠিক হয়ে যাচ্ছিল যেন ক্ষতই হয় নি। আবু দুজানাকে দেখুন, যিনি নিজের শরীর দিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শরীরকে ঢেকেছিলেন যাতে কোন তীর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর গায়ে না লাগে, তার শরীরে কোন ক্ষত না হয়। সব তীর তার নিজের শরীরে বিঁধেছিল।

এই ওহুদের ময়দানেই শয়তান নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মৃত্যুর কথা অপপ্রচার করল। এমনকি এই রটনা মদিনা পর্যন্ত পৌঁছে গেল। যখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদিনাতে ফেরত আসলেন তখন এক মহিলা সাহাবীকে বলা হল, তোমার পিতা শহীদ হয়ে গেছে। তিনি বললেন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অবস্থা কি ? তাকে বলা হল, তোমার ভাই শহীদ হয়ে গেছেন। তিনি অস্থির হয়ে জিজ্ঞাস করলেন, আমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অবস্থা বলুন। তারপর তাকে বলা হল, তোমার স্বামী শহীদ হয়ে গেছেন। তিনি বলতে লাগলেন, রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খবর বলুন। তাকে জবাবে বলা হল, রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুস্থ আছেন। সেই মহিলা সাহাবী বললেন, আমাকে তার কাছে নিয়ে চলুন। তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে নিয়ে যাওয়া হল। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখে বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আপনাকে ঠিক দেখার পর, আপনাকে সুস্থ দেখার পর, সব মুসীবত সহজ, কোন মুসীবতই, মুসীবত নয়।

সকল প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উম্মতের মধ্যে এমন রসূলের আশেক সৃষ্টি করে যারা তাদের হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করছে। ফ্রান্স, ডেনমার্ক, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশে দ্বীনের উপহাসকারী ও রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কটূক্তিকারীদের এমন উচিত শিক্ষা দিচ্ছে, যা দেখে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উম্মতের হৃদয় শীতল হচ্ছে এবং মুনাফিকদের অন্তর দাউ দাউ করে জ্বলছে।

আল্লাহর সাহায্যে আল-কায়েদা উপমহাদেশের ভাইয়েরা বেশ কিছু দ্বীনের উপহাসকারী এবং রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কটূক্তিকারীদেরকে জাহান্নামের পাঠিয়ে দিয়েছে। করাচীতে ডা. শাকিল ওজ এবং আনিকা নাজ (ব্লগার) আর বাংলাদেশে আহমেদ রাজীব হায়দার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যিন্দিক প্রফেসর এবং সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেট ব্লগার আমেরকান আধিবাসী হিন্দু অভিজিৎ রায়কে আল-কায়েদা উপমহাদেরশের মুজাহিদ ভাইয়েরা মাংশ কাটা চাপাতি দিয়েই হত্যা করেছে। অত্যাধুনিক টেকনোলজির আধিকারীদেরকে আবারো এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে, মুমিন ব্যক্তি তো তরবারী ছাড়াই সাহসিকতার সাথে লড়ে। আলহামদুলিল্লাহ, এইগুলো অপারেশনের ধারাবাহিকতা যা আল-কায়েদা’র বিভিন্ন শাখা মুহতারাম আমীর শাইখ আইমান আল-জাওাহিরী (আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুক) এর সাধারণ নির্দেশনা মোতাবেক এবং শাইখ উসামা বিন-লাদিন (আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন) এর শপথকে বাস্তবায়ন করার জন্য শুরু করেছে। এমনিভাবে দুনিয়ার জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরিত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আনীত শরীয়ত বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের এক যুবক সালমান (আশিকুর রহমান আশিক) ভাইও নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। সালমান ভাইকে খোরাসানের ভূমিতে সেই শক্তিধর ড্রোনের মাধ্যমে শহীদ করা হয়েছে, যারা ফ্রান্সের ম্যাগাজিনের জন্য প্যারিসে লং মার্চে জড়িত ছিল। যাতে অন্তরের অন্ধত্ব এই যুদ্ধকে বুঝতে পারে যে, ওয়াজিরিস্থান থেকে চার্লি-এব্দো পর্যন্ত একই যুদ্ধ, যদিও এটা ড্রোনের মাধ্যমে হোক অথবা চার্লি-এব্দো’র কলমের মাধ্যমে হোক, অথবা আইএমএফ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসির মাধ্যমে হোক অথবা, ইউনাইটেড নেশনের (জাতিসংঘ) কাফের সদস্যদের মুসলিম দেশের উপর আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমেই হোক অথবা ক্যারি লুগার বিলের মাধ্যমেই হোক অথবা, সরকারি মুফতির রাজনৈতিক লেখনীর মাধ্যমেই হোক অথবা নরেন্দ্র মোদীর রক্ত-পিপাসু মুখ থেকেই হোক অথবা, মুসলিমদেরকে জীবিত জ্বালিয়ে দেবার মাধ্যমেই হোক। এসব একই যুদ্ধ, যার কল-কাঠী নাড়ানোর সর্দার হচ্ছে পর্দার পিছনে বসে থাকা জাদুকর আন্তর্জাতিক ঋণদাতা ইহুদী ব্যাংকাররা।

হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উম্মত, আজ আপনাদের সামনে আপনাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ব্যাঙ্গ করছে। আমেরিকা এবং ইউরোপে বসে থাকা ইহুদী আপনার নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে যে কষ্ট দিয়েছে এবং সকল দেশের ঐক্যজোট একত্র হয়ে এই ম্যাগাজিনকে সহায়তা করে এই বার্তা দিয়েছে যে, এই ব্যবস্থা সকল সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর সাথে জড়িত। হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি মহব্বতকারী ভাইয়েরা, আজ যদি আপনারা হৃদয় দিয়ে শুনেন, তবে ওহুদ থেকে আওয়াজ ভেসে আসছে,

“এমন কেউ কি আছে যে নবীর সম্মান রক্ষার্থে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করবে?”

উম্মতের সেই মা কোথায়, যে নবীর সম্মান রক্ষার্থে নিজের ছেলেকে জিহাদের পথে রওনা করায়? কোথায় সেই বোন যে, নবীর সম্মানার্থে নিজের ভাইকে উদ্বুদ্ধ করে এবং নবীর সম্মানার্থে ফ্রান্স এবং আমেরিকাতে বসবাসরত কটূক্তিকারীদের উপর নিজেকে শহীদি হামলার মাধ্যমে নিজেকে উৎসর্গ করে?

এই কটূক্তিকারীদের যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই হত্যা করুন, সেটা কোন খঞ্জর বা ছুরির মাধ্যমেই হোক না কেন। কিয়ামতের ময়দানে রসূলদের আশেকদের মধ্যে নিজের নাম লিখিয়ে নিন, যারা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) র জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়ে এই বাণী প্রচার করে যে,

যারা নবীর মহব্বতে অধীর হয়
তারা সব যুগেই কোরবান হয়
কাউসার থেকে অভ্যর্থিত হয়
ফেরদৌসে মেহমান হয়
খুশির স্রোত বহমান হয়
এই আশেকদের ব্যাপারে কি আর বলা হয়
আরও অনেক আমোদ মিলে যখন রক্তের বন্যা বহে
তীর যখন হৃদয়ে আঘাত হানে চোখে তখন অশ্রুধারা বহে
তখনই সান্নিধ্য পাওয়া যায়
তখনই তিনি মেহেরবান হন।

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সারা জাহানের মালিক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − fourteen =

Back to top button