আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশনপিডিএফ ও ওয়ার্ডবই ও রিসালাহবাংলা প্রকাশনা

আত্মশুদ্ধি- পর্ব-২০|| মুত্তাকীদের গুণাবলী


مؤسسة الفردوس
আল ফিরদাউস
Al Firdaws
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presentsفي اللغة البنغالية
বাংলা ভাষায়
In the Bengali Languageبعنوان:
শিরোনাম:
Titled:

تزكية النفس- الحلقة ٢٠
صفات المتقين
আত্মশুদ্ধি- পর্ব-২০
মুত্তাকীদের গুণাবলী
Self-purification- Episode-20
The qualities of the pious

مولانا صالح محمود حفظه الله
মাওলানা সালেহ মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
Mawlana Saleh Mahmud Hafizahullah

আত্মশুদ্ধি- পর্ব-২০|| মুত্তাকীদের গুণাবলী

للقرائة المباشرة والتحميل
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading

https://justpaste.it/tazkia-20-mottakider-gunaboli
https://archive.vn/1UCUy
https://mediagram.me/c43ee711c45607d6
https://archive.vn/xDF7l

روابط بي دي اب
PDF (515 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৫১৫ কিলোবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/CmwY9pWzcZD7J4Q

http://www.mediafire.com/file/8dx6qb…ahmud.pdf/file
https://archive.org/details/20.-mutt…leh-mahmud-pdf

روابط ورد
Word (438 KB)
ওয়ার্ড [৪৩৮ কিলোবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/pAqLWSYHmZRbjmm

http://www.mediafire.com/file/lvsj3e…hmud.docx/file
https://archive.org/details/20.-mutt…a-saleh-mahmud

روابط الغلاف- ١
book Banner [347 KB]

বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৩৪৭ কিলোবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/ksFF2dodT7CcSkQ

http://www.mediafire.com/view/mf7t7x…aboli.jpg/file
https://archive.org/download/tazkia-…r-gonaboli.jpg

روابط الغلاف- ٢
Banner [481 KB]

ব্যানার ডাউনলোড করুন [৪৮১ কিলোবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/SPpg9zxfkPzGJxz

http://www.mediafire.com/view/4nh3es…anner.jpg/file
https://archive.org/download/tazkia-…web-banner.jpg

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الفردوس للإنتاج الإعلامي
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন
In your dua remember your brothers of
Al Firdaws Media Foundation

=======================================

আত্মশুদ্ধি ২০

মুত্তাকীদের গুণাবলী

মাওলানা সালেহ মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ

 

بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ

মাওলানা সালেহ মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহঃ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন, ওয়াস-সালাতু ওয়াস-সালামু আলা সাইয়্যেদিল আম্বিয়া-ই ওয়াল-মুরসালিন, ওয়া আলা আলিহী, ওয়া আসহাবিহী, ওয়ামান তাবিয়াহুম বি ইহসানিন ইলা ইয়াওমিদ্দীন, মিনাল উলামা ওয়াল মুজাহিদীন, ওয়া আম্মাতিল মুসলিমীন, আমীন ইয়া রাব্বাল আ’লামীন।

আম্মা বা’দ:

মুহতারাম ভাইয়েরা! আমরা সকলেই দুরুদ শরীফ পড়ে নেই-

اَللّهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ،كما صَلَّيْتَ عَلٰى إبْرَاهِيْمَ، وَعَلٰي آلِ إبراهيم، إنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إبْرَاهِيْمَ، وَعَلٰى آلِ إبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ.

বেশ কিছুদিন পর আজকে আবারও আমরা তাযকিয়া মজলিসে হাজির হতে পেরেছি, এই জন্য মহান আল্লাহ তা‘আলার দরবারে শুকরিয়া আদায় করি- আলহামদুলিল্লাহ।

মুত্তাকীদের গুণাবলী কেমন হবে?

আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে: মুত্তাকীদের গুণাবলি। অর্থাৎ মুত্তাকীদের গুণাবলি কি? তা নিয়ে আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। কথাগুলো দ্বারা আল্লাহ তাআলা সবাইকে উপকৃত করুন। আমীন।

প্রথমেই আমি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ থেকে কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করছি যার মাঝে মুত্তাকীদের কিছু গুণাবলির কথা বলা হয়েছে। আয়াতগুলো হচ্ছে :

وَأُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِينَ غَيْرَ بَعِيدٍ ﴿٣١ هَـٰذَا مَا تُوعَدُونَ لِكُلِّ أَوَّابٍ حَفِيظٍ ﴿٣٢

অর্থ: জান্নাতকে উপস্থিত করা হবে মুত্তাকীদের অদূরে। তোমাদের প্রত্যেক তওবাকারী ও সংরক্ষণকারীকে এরই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। (সূরা ক্বাফ ৫০:৩১-৩২)

مَّنْ خَشِيَ الرَّحْمَـٰنَ بِالْغَيْبِ وَجَاءَ بِقَلْبٍ مُّنِيبٍ ﴿٣٣

যে না দেখে দয়াময় আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করত এবং বিনীত অন্তরে উপস্থিত হত। (সুরা ক্বাফ ৫০:৩৩)

ادْخُلُوهَا بِسَلَامٍ ۖ ذَٰلِكَ يَوْمُ الْخُلُودِ ﴿٣٤ لَهُم مَّا يَشَاءُونَ فِيهَا وَلَدَيْنَا مَزِيدٌ ﴿٣٥

তোমরা এতে শান্তিতে প্রবেশ কর। এটাই অনন্তকাল বসবাসের জন্য প্রবেশ করার দিন। (সুরা ক্বাফ ৫০:৩৪)

 

আয়াতগুলো থেকে কি বুঝে আসে ভাই?

আয়াত সমুহের শিক্ষা:

ক. এতে মুত্তাকীদের জান্নাতে যাওয়ার সু-সংবাদ রয়েছে।

খ. চারটি বিশেষ গুণ রয়েছে মুত্তাকীদের। আর তা হচ্ছে,

  • ১. حَفِیْظٍ : যে নিজের সত্তাকে কলুষমুক্ত রাখে।
  • ২. اَوَّابٍ: অর্থাৎ গুনাহ হয়ে গেলে যে তাওবা করে ফিরে আসে।
  • ৩. مَنْ خَشِیَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَیْبِ: রহমানকে যে না দেখেই ভয় করে।
  • ৪. وَجَآء بِقَلْبٍ مُّنِیْبِ: যে আল্লাহর দরবারে হাযির হয়েছে কলবে মুনিব অর্থাৎ আল্লাহমুখি দিল নিয়ে।

গ. আরেকটা বিষয় এই আয়াতগুলো থেকে বুঝা যায় তা হচ্ছে, হাশরের ময়দানের একটি দৃশ্যের কথা এই আয়াতগুলোতে বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে- মুত্তাকীদের জন্য জান্নাতকে অদূরে এনে উপস্থিত করা হবে। অর্থাৎ হাশরের ময়দান থেকে জান্নাত দেখা যাবে। এরপর ইশারা করে বলা হবে :

هٰذَا مَا تُوْعَدُوْنَ

এই জান্নাতেরই ওয়াদা করা হয়েছিল তোমাদের সাথে দুনিয়ায়। (সূরা ক্বাফ ৫০:৩২)

কে পাবে এই জান্নাত?

এর সহজ উত্তর হচ্ছে – মুত্তাকিগণ। ঐ চারটি গুণের অধীকারী মুত্তাকীই পাবে এই জান্নাত। যা আয়াতগুলোতে উল্লেখ আছে।

এবার আমরা ঐ চারটি গুণের একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।

মুত্তাকীদের প্রথম গুণ – حَفِیْظٍ

حَفِیْظٍ : যে নিজের সত্তাকে কলুষমুক্ত রাখে। নিজেকে শুদ্ধ ও সাফ-সুথরা রাখে। আল্লাহ তো আমাকে সাফ-সুথরা পয়দা করেছেন। জন্মের সময় গুনাহের ময়লা আমার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। আমি আমাকে গুনাহের ময়লা থেকে, পাপের ময়লা থেকে, অপরাধের ময়লা থেকে সাফ-শুদ্ধ রাখব।

حَفِیْظٍ -এর আরেক মর্ম, সংরক্ষক। নিজেকে সংরক্ষণ করব সকল অপরাধ থেকে।

حَفِیْظٍ : সংরক্ষণ করব আমি আল্লাহর বিধানগুলোকে, আল্লাহর পক্ষ থেকে বেধে দেওয়া হারাম-হালালের গণ্ডিকে। সংরক্ষণ করব আল্লাহর আহকামগুলোকে। ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহসহ যাবতীয় বিধানাবলির সংরক্ষণকারী হব ইনশাআল্লাহ। বিশেষ করে যে বিধানগুলো সবচে বেশী অবহেলিত তা মজবুত ও দৃঢ়তার সাথে সাথে আকড়ে ধরবো। যেমন বর্তমানে জিহাদের বিধানটি সবচে বেশী অবহেলিত, এই জন্য আমরা এই বিধানকে মজবুতির সাথে আকড়ে ধরব ইনশা আল্লাহ। কেউ তা পালন করুক বা না করুক, আমি পালন করবোই। কারণ হাদীসের ঘোষনা অনুযায়ী এটা জান্নাতে যাওয়ার সংক্ষিপ্ত একটি রাস্তা। সুতরাং জিহাদের আমল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমি হব হাফীয তথা দ্বীন-সংরক্ষণকারী।

আমার জীবনের লক্ষ্যই হবে দ্বীন কায়েমের চিন্তায় জিহাদের বিধানকে আঁকড়ে ধরা। অতএব এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য দৃঢ়তার সাথে সম্মুখ পানে এগিয়ে যাবো ইনশা আল্লাহ। এক্ষেত্রে যদি কেউ আমার সমালোচনা করে, কিংবা তিরস্কার করে অথবা গাল-মন্দ করে, অথবা জাগতিক কোন শাস্তির ভয় দেখায় তবুও আমাকে পিছনের দিকে না তাকিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যদি পিছনের দিকে তাকাই কিংবা তাদের সমালোচনা ও দোষ-ত্রুটির পরোয়া করি অথবা দুনিয়াবী শাস্তির ভয় করি, তাহলে আমরা উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ হবো।

জিহাদের আমলটা যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ এক ইবাদত, তাই এই ইবাদত পালনের সময় অন্য দিকে মনোযোগ দিয়ে সময় নষ্ট করা যাবেনা, কারণ ইবাদত হচ্ছে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়া। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমাদেরকে জিহাদের পথে দৃঢ়পদ করুন। যেই ইবাদতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হব সেই ইবাদত যদি মনোযোগের সাথে আদায় না হয়, তাহলে তো লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। হযরত আশরাফ আলী থানবী রহ. একটি দৃষ্টান্তের মাধ্যমে বিষয়টিকে আরো পরিস্কার করে বুঝিয়েছেন। দৃষ্টান্তটি হচ্ছে:

হযরত থানভী রহ. বলেন: মনে করো, কারো কাছে বাদশাহের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ এসেছে যে, (তুমি) অমুক সময় দরবারে উপস্থিত হবে। তোমাকে বাদশাহের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হবে এবং পুরষ্কৃত করা হবে। আমন্ত্রিত ব্যক্তি যথাসময়ে প্রস্তুত হয়ে দরবারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল। পথিমধ্যে দুটি কুকুর রাস্তার দুই পার্শ্বে দাড়িয়ে ঘেউ ঘেউ করতে লাগল। এখন তার কী করা উচিত? যথাসময়ে দরবারে পৌঁছার জন্য কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে দ্রুত পথ চলা, নাকি ওই কুকুরগুলোর চিৎকার বন্ধ করার চেষ্টায় লেগে যাওয়া?

বুদ্ধিমান মাত্রই বলবে – যথাসময়ে দরবারে পৌঁছার জন্য কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে দ্রুত পথচলাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। পথ চলতে গিয়ে যদি সে কুকুর তাড়ানোর জন্য কুকুরের পিছনে ছুটতে থাকে তাহলে আর সঠিক সময়ে দরবারে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। এজন্য বুদ্ধিমানের কাজ এটাই যে, কুকুরগুলো চিৎকার করছে করতে থাকুক, তুমি যেখানে যেতে মনস্থ করেছ সেখানে কীভাবে দ্রুত পৌঁছা যায় সেই চিন্তা কর। তুমি যদি কুকুরের চিৎকার থামানোর চিন্তায় পড়ে যাও তাহলে বাদশাহর সাক্ষাত ও তার দেয়া উপহার- সবটাই তোমার হাতছাড়া হয়ে যাবে।

একইভাবে ইবাদত হল আল্লাহর দরবারে উপস্থিতি। এই সৌভাগ্যের মুহূর্তে যেসব বিক্ষিপ্ত ভাবনা অন্তরে সৃষ্টি হয় সেগুলো হল কুকুরের চিৎকার। যদি কেউ সেদিকে মনোযোগ দেয় এবং তা দূর করার চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়ে তাহলে শয়তানের উদ্দেশ্য হাসিল হবে আর মহান রবের সাক্ষাতের সৌভাগ্য থেকে সে বঞ্চিত হবে।

(থানবী রহ. এর কথা এখানেই শেষ)

অতএব ভাইয়েরা!

দুনিয়াবী সকল চিন্তা-পেরেশানী ঝেরে ফেলে দিয়ে নিজ নিজ সেকশনের কাজে মনোযোগের সাথে লেগে থাকুন। কাজের পরিধি বাড়াতে থাকুন।

দুনিয়াবী বিভিন্ন রকম ঝামেলা পেরেশানী প্রতিবন্ধক হিসেবে সামনে আসবেই। এজন্য এই সমস্যার সমাধান হল, এসবের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা। অর্থাৎ কী আসল, কী গেল-তা না ভেবে নিজের কাজে মশগুল থাকুন। যেমন, এখন আপনার নামায পড়ার সময়, আপনার মনে যে ভাবনাই আসুক আপনি নামাযে মশগুল হয়ে যান। আপনার এখন তেলাওয়াতের সময়, মনে যত চিন্তাই আসুক আপনি তেলাওয়াতে রত হয়ে যান। এভাবে অন্য কোনো কাজের সময় হয়ে থাকলে তাতে লেগে যান। মোটকথা, এদেরকে আপনার নির্ধারিত কাজে প্রতিবন্ধক হওয়ার সুযোগ দিবেন না। এটাই সমাধান। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন। আমিন। এমনটা না করে আপনি যদি চিন্তা দূর করার চিন্তায় পড়ে যান তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না।

মুত্তাকীদের দ্বিতীয় গুণ – اَوَّابٍ

اَوَّابٍ: অর্থাৎ গুনাহ হয়ে গেলে যে তাওবা করে ফিরে আসে। তওবার মর্ম হচ্ছে ফিরে আসা।

আমরা তো মানুষ। গুনাহ হয়ে যেতে পারে। ভুল হয়ে যেতে পারে। হয়ে গেলে আবার গুনাহর উপর অনমনীয় থাকব না। আমাদের গুনাহর উপর জিদ ধরে থাকব না। এমন মনে করব না যে (নাউযুবিল্লাহ) গুনাহ-ই আমার জীবনের মিশন। বরং গুনাহ হয়ে গেলেই সাথে সাথে আল্লাহর দিকে ঘুরে আসব। তওবার মাধ্যমে ফিরে আসব। গুনাহ করার মানেই হল আল্লাহর কাছ থেকে আমার চেহারা ফিরে গেল। আমি তো ঈমানের মাধ্যমে, কালিমার মাধ্যমে, তাওহীদের মাধ্যমে আল্লাহমুখি ছিলাম। যার বর্ণনা পবিত্র কোরআনে এভাবে এসেছে:

إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِيْ فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ..

অর্থ: আমি আমার চেহারা ওই সত্তার দিকে ঘুরিয়েছি, যিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশ ও যমীন। (সুরা আন’য়াম ৬:৭৯)

 

আমি তো আল্লাহমুখি। মুওয়াহহিদ হওয়া আর কালিমা পড়ার অর্থ আমি আল্লাহমুখি। আমার দিল আল্লাহর দিকে, আমার চেহারা আল্লাহর দিকে। পক্ষান্তরে অপরাধ হওয়া- গুনাহ হওয়া মানেই হল, আমি অন্যদিকে ফিরে গেলাম। আমার কেবলা পরিবর্তন হয়ে গেল। এখন তো শয়তানকে আমি আমার লক্ষ্য বানিয়ে ফেললাম। নাউযুবিল্লাহ।

তওবার মাধ্যমে তাই ফিরে আসা হয়। তওবাকে তওবা এজন্যই বলা হয় যে, তওবার মাধ্যমে বান্দা আবার তার রবের নিকট ফিরে এসেছে। আমি তো অন্যদিকে চলে গিয়েছিলাম। তারপর খেয়াল করলাম আমার রাস্তা তো এটা নয়। আমার গন্তব্য তো এদিকে নয়। আমার কেবলা ভিন্ন। তাই আবার ফিরে এসেছি। আবার তওবার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ফিরে এসেছি।

কীভাবে তাওবা করবো?

আমরা বেশি বেশি তওবা করবো ইনশা আল্লাহ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

 

أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ الَّذِيْ لَا إلٰهَ إلَّا هُوَ الْحَيُّ القَيُّوْمُ، وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ، رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُورُ.

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কেউ যদি ইখলাছের সাথে এই দোয়া পাঠ করে তাঁর গুনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও তা মাফ হয়ে যাবে-

 

أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ الَّذِيْ لَا إلٰهَ إلَّا هُوَ الْحَيُّ القَيُّوْمُ، وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ،

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নাই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরন্তন; এবং আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি। (তিরমিজি, আবু দাউদ)

আমরা সকালে এবং সন্ধ্যায় পড়ব :

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِيْ، وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِيْ، فَاغْفِرْ لِيْ، فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ.

অর্থ: হে আল্লাহ তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।

এটি সাইয়েদুল ইস্তিগফার। এর ফযীলত সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

“যে ব্যক্তি দিনে(সকালে) এই ইস্তিগফার পাঠ করবে, সন্ধ্যার আগে তাঁর মৃত্যু হলে সে জান্নাতি; যে ব্যক্তি রাতে(সন্ধায়) এই ইস্তিগফার পাঠ করবে, সকালের আগে তাঁর মৃত্যু হলে সে জান্নাতি।” (বুখারি: হাদিস নং ৬৩০৬)

সর্বাবস্থায় সকল গুনাহ থেকে আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা করা প্রত্যেক বালিগ মুসলমানের কর্তব্য। ইয়া আল্লাহ! আমাদের সবাইকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আমীন। আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَتُوْبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ، لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ.

অর্থ: হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যেন তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূর : ৩১)

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্বাপর সবকিছু ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছিল। তবুও তিনি প্রতিদিন একশ বার আল্লাহ তাআলার নিকট তওবা করতেন। হযরত আগার ইবনে ইয়াসার আলমুযানী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلَى اللَّهِ فَإِنِّي أَتُوبُ فِي الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرَّةٍ

“হে লোকসকল! তোমরা আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা কর। আমি দৈনিক তাঁর নিকট একশ বার তাওবা করি। (সহীহ মুসিলম, হাদীস:২৭০২)

সুনানে ইবনে মাজায় (৪২৫০) হাসান সনদে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لاَ ذَنْبَ لَهُ

“গুনাহ থেকে তাওবাকারী ওই ব্যক্তির মতো হয়ে যায়, যার কোনো গুনাহ নেই”। (সুনানে ইবনে মাজায় হাদিস-৪২৫০)

তাওবার ব্যাপারে উদাসীনতা – শয়তানের কৌশল

তাওবার বিষয়ে উদাসীন বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইবলিস-শয়তানের একটি কৌশল, যা দ্বারা সে মানুষকে প্রতারিত করে। সে মানুষের মনে এই কুমন্ত্রণা দেয় যে, এখনও অনেক সময় আছে, তাওবা করার অনেক সুযোগ পাওয়া যাবে। এখন তাওবা করে তো তা রক্ষা করা যাবে না। বার বার তাওবা ভাঙ্গলে কি আল্লাহ সে তাওবা কবুল করবেন?

এ ধরণের ধোকায় যেন আমরা না পড়ি। কখনো শয়তান এই কুমন্ত্রণা দেয় যে, ‘এখন তো জীবন সবে মাত্র শুরু। যখন বয়স হবে তখন খাঁটি মনে পাকা-পোক্তভাবে তাওবা করে নিও। ঐ সময় মসজিদে পড়ে থাকবে এবং বেশি করে নেক আমল করতে থাকবে। সুতরাং এই বয়সেই ইবাদত-বন্দেগীর পাবন্দি করে কষ্ট না পেয়ে জীবনটা একটু উপভোগ কর’।

তো এগুলো হচ্ছে তাওবা থেকে বিরত রাখার জন্য শয়তানের অপকৌশল। এ কারণে সালাফগণ বলেছেন, তোমাদেরকে ‘ছাওফা’ (ভবিষ্যতে) শব্দটির বিষয়ে সাবধান করছি। এটা শয়তানের অনেক বড় হাতিয়ার। সচেতন মুমিন তো সে, যে প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর নিকট তাওবা করে। আর গাফেল মুসলমান তো সে, যে অর্থহীন অজুহাতে তাওবাকে বিলম্ব করে। তাদের দু’জনের দৃষ্টান্ত হল ঐ যাত্রীদলের মতো, যাদের প্রতি এই হুকুম জারি করা আছে যে, যেকোনো সময় যাত্রা করতে হবে। তাদের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান তারা কষ্ট করে সফরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করল এবং সফরের জন্য প্রস্তুত থাকল। আর যারা অলস তারা করছি-করব বলে কোনো প্রস্তুতিই গ্রহণ করল না। এরপর হঠাৎ কাফেলার আমীরের পক্ষ থেকে যাত্রার ঘোষণা এল। তখন বুদ্ধিমানরা নিশ্চিন্তে সফর করল আর অলসেরা হায়-হুতাশ করতে লাগল।

অতএব প্রিয় ভাই আমার…

আমাদেরকে হিজরত ও জিহাদের জোড়ালো প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে, যাতে করে আমীরের হুকুম আসার সাথে সাথেই বের হয়ে যেতে পারি। আখিরাতের দৃষ্টান্তও অনুরূপ। যখনই মৃত্যু আসুক সচেতন মুমিনের কোনো দুশ্চিন্তা থাকে না। সে তো তাওবা করে গুনাহ থেকে পাকসাফ হয়ে প্রস্তুত হয়েই আছে। পক্ষান্তরে পাপীরা বলতে থাকবে,

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আবার দুনিয়ায় ফিরিয়ে দাও, যেন আমরা সেখান থেকে কিছু নেক আমল নিয়ে আসতে পারি।

لِكُلِّ اَوَّابٍ حَفِیْظٍ :

এখানে এই দুটি গুণের কথা বলা হয়েছে। এ গুণ দুটি কিন্তু দেখা যাবে আমার সীরাত-সুরতে। আমি ‘হাফীয কি না এবং ‘আওয়াব’ অর্থাৎ গুনাহ হয়ে গেলে ফিরে আসছি কি না – এ দুটি গুণ মুমিনের দৃশ্যমান বা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য। এ দুটি কখন হবে, যখন আরো দুটি অদৃশ্য বৈশিষ্ট্য মুমিনের মধ্যে থাকবে তখন। ওই দুটি বৈশিষ্ট্যের কথা সামনে বলা হচ্ছে। এবার আসুন তৃতীয় গুণটি নিয়ে আলোচনা করা যাক।

মুত্তাকীদের তৃতীয় গুণ – مَنْ خَشِیَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَیْبِ:

مَنْ خَشِیَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَیْبِ: অর্থাৎ রহমানকে যে না দেখেই ভয় করে। অর্থাৎ, মুত্তাকী সেই, যার অন্তরে থাকবে আল্লাহর ভয়।

আসমায়ে হুসনা অনেকগুলো। আল্লাহর সুন্দর নাম অনেক। এখানে جبار (প্রতাপশালী) قهار (পরাক্রমশালী) এগুলো বলা হয়নি। বলা হয়েছে, রহমান। মনে হতে পারে- ‘জাব্বারকে কাহহারকে ভয় করে’ এভাবে বলা হলে বেশি মুনাসিব হত।

কিন্তু আল্লাহ এভাবেই বলেছেন এবং বাস্তবেই ভয় তো রহমানকেই করা উচিত।

আমি ইনসান। যিনি আমার সাথে দয়ার মুআমালা করেন, তাকেই তো আমার ভয় করা উচিত। এখানে ভয় মানে কী?

ভয় মানে মহব্বত মিশ্রিত ভয়। মানুষের জন্য আমরা ‘শ্রদ্ধা’ শব্দ যেখানে ব্যবহার করি, মহান খালেকের জন্য সেখানে উপযোগী শব্দ যা হবে- এই ভয় দ্বারা সেটাই উদ্দেশ্য। হযরত আশরাফ আলী থানবী রহ. বলেন,

“ভয়ের সঙ্গে মুহাব্বত আবশ্যক। মুহব্বত ও ভয় উভয়টা আবশ্যক। যে কোনো একটা দ্বারা উদ্দেশ্য অর্জন হবে না। ভয়ের কারণে কাছে যেতে মনে চাইবে না, তাই ভয়ের সঙ্গে মুহব্বত কাম্য। ভয় অন্তরে দুই ভাবে আসে –

এক. বাহ্যিক কিছু আমলের দ্বারা। তা হলো বেশি বেশি আজাবের আয়াতসমূহ পড়া এবং এগুলো নিয়ে চিন্তা করা। আমল না করলে কঠিন ভয়ানক শাস্তিতে পতিত হতে হবে, এসব বিষয়ে চিন্তা করা। আজাবের বিভিন্ন ঘটনা পড়া।

দুই. আল্লাহর অসীম কুদরত ও ক্ষমতার কথা চিন্তা করা। পুলিশ দেখে সাধারণত মানুষ ভয় করে না, কিন্তু যে আসামি, সে অবশ্যই পুলিশ দেখলে পলায়ন করবে। কারণ সে জানে, পুলিশ তাকে ধরতে পারলে শায়েস্তা করবে”।

আল্লাহর ক্ষমতা অসীম, তিনি মহাপরাক্রমশালী ও শক্তিধর; তার শক্তির সামনে কারও শক্তি নেই। সেই শক্তি তিনি প্রয়োগ করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধরদের ওপর। ফেরাউন, নমরুদ, শাদ্দাদ, কারুন, কওমে লুত, বনি ইসরাইল এসব সম্প্রদায়কে তিনি চিরতরে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো বাধা নেই, আমি গুনাহ করলে আমার ওপরও এসব শাস্তি প্রয়োগ করতে পারবেন। সুতরাং গুনাহ করা যাবে না, ভয় করতে হবে। ভয় সৃষ্টির জন্য মূল কাজ হলো – অন্তরে ভয় আসার দোয়া করতে থাকা। আল্লাহর কাছে এ পরিমাণ ভয়ের দোয়া করবে, যার দ্বারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।

মুত্তাকীদের চতুর্থ গুণ – وَجَآءَ بِقَلْبٍ مُّنِیْبٍ:

.وَجَآءبِقَلْبٍمُّنِیْبِ: যে আল্লাহর দরবারে হাযির হয়েছে কলবে মুনিব – আল্লাহমুখি দিল নিয়ে।

কলব যদি আল্লাহমুখি হয়, কলবের মধ্যে যদি রহমানের ভয় থাকে তাহলে আমলগুলোর মধ্যে দেখা যাবে حَفِیْظٍ (সংরক্ষণকারী, কলুষমুক্ত)-এর গুণটা প্রকাশ পাবে। আচার-আচরণ, লেনদেন, উঠাবসা যাবতীয় বিষয়ে এবং জীবনের যত অঙ্গন আছে সবগুলোর মধ্যে। আর বিপরীত কিছু হয়ে গেলেই তওবা-ইস্তেগফার করবে।

এই চারটি গুণ থাকা ব্যক্তিত্বই হল মুত্তাকী। আলোচনার সারাংশ হচ্ছে, মুত্তাকীর জন্য চারটি গুণ । সুতরাং যদি প্রশ্ন করা হয় মুত্তাকী কাকে বলে? এর উত্তরে বলা হবে, মুত্তাকী হতে হলে এই চারটা গুণ লাগবে। দিলে আল্লাহর খাশিয়াত (ভয়) থাকা আর ওটার প্রভাবে হাফীয হওয়া। আল্লাহর বিধানকে খেয়াল করে চলা। বেদআত থেকে বেঁচে সুন্নাত মোতাবেক চলা। গুনাহ হলে তওবা করা। আল্লাহর দরবারে আল্লাহমুখি দিল নিয়ে হাযির হওয়া। এই চারটা বৈশিষ্ট্য থাকলে তাকে মুত্তাকী বলা হবে।

এই মুত্তাকী মুসলমানদেরকেই হাশরের মাঠে তাদের অদূরে বেহেশতের উপস্থিতির কথা বলা হবে। সেখানে নিশ্চিন্তে প্রবেশ করতে বলা হবে তাদেরকে। সেখান থেকে কেউ তাদের বের করবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেন:

 

اُدْخُلُوْهَا بِسَلٰمٍؕ ذٰلِكَ یَوْمُ الْخُلُوْدِ

অর্থ: তোমরা সেখানে শান্তিতে প্রবেশ কর এবং এটিই চিরকালের আবাসস্থলে প্রবেশের দিন। (সূরা ক্বাফ ৫০:৩৪)

 

আল্লাহ তা’আলা আরও বলেন:

لَهُمْ مَّا یَشَآءُوْنَ فِیْهَا وَلَدَیْنَا مَزِیْدٌ.

অর্থ: জান্নাতে যা তাদের মনে চায় সব পাবে এবং আল্লাহর কাছে আছে আরো বেশি। (সূরা ক্বাফ ৫০:৩৫)

 

মানুষের মনের চাওয়াও এক সময় শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহর নিআমতের শেষ নেই। সুবহানাল্লাহ!!!

তাকওয়ার এই সিফাতগুলো অবলম্বন করে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পূর্ণ মুত্তাকী হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমাদেরকে সর্বক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করার তাওফীক দান করুক। আমাদের মুজাহিদ ভাইদেরকে সব জায়গায় কাফেরদের উপর বিজয়ী হওয়ার তাওফীক দান করুন। পরকালে আমাদেরকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুক, আমীন। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।

মুহতারাম ভাইয়েরা আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করছি। আমরা সাকলে মজলিস থেকে উঠার দোয়াটা পড়ে নিই।

 

سبحانك اللهم وبحمدك، أشهد أن لا إله إلا أنت، أستغفرك وأتوب إليك،

وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وأصحابه أجمعين.

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين.

 

 

****************

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + one =

Back to top button