مؤسسة النصر
اداره النصر براۓ نشر و اشاعت
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
♦️♦️♦️تـُــقدم
پیش کرتے ہیں
পরিবেশিত
Presents
♦️♦️♦️الإصدار المرئي
ویڈیو ريليز
ভিডিও পরিবেশনা
New Video Release
♦️♦️♦️
جندي لغزوة الهند
حياة المجاهد فيصل إشفاق بات
أحد سكان كشميرغزوۂ ہند کے سپاہی!
سرینگر سے تعلق رکھنے والے مجاہد ’فیصل اشفاق بٹ‘ کی آپ بِیتی
কাশ্মিরের শ্রীনগরের বাসিন্দা মুজাহিদ ফয়সাল ইশফাক বাট-এর আত্মজীবনী
The soldier of Gazwatul Hind
The life of Mujahid Foysal Ishfaq Vatt
♦️♦️♦️

في اللغة البنغالية
بنغالي زبان مين
বাংলা ভাষায়
In the Bengali Language
♦️♦️♦️
للمشاهدة المباشرة والتحميل
ڈون لوڈ كرين
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading
https://mediagram.io/soldierhindbangla
সাবটাইটেল ভিডিও
১০৮০ রেজুলেশন
https://banglafiles.net/index.php/s/k8rG5bFFWoSGEo7
https://www.file-upload.com/proukeg6ymla
http://www.mediafire.com/file/o84sygfggejp2k8/Seepahi-As_Sahab-Bangla_SubTitle_High.mp4/file
http://www.mediafire.com/file/4y9zq34xl4ozsx9/Gazwaye_Hinder_Sipahi_Bangla_SubTitle_1080._High.mp4/file
৭২০ রেজুলেশন
https://banglafiles.net/index.php/s/97kyEfidxxkBqEw
https://www.file-upload.com/j7oe2e04beqn
http://www.mediafire.com/file/291xc141i911de4/Seepahi-As_Sahab-Bangla_SubTitle_720.mp4/file
http://www.mediafire.com/file/65r2a63awhhr63z/Seepahi-As_Sahab-Bangla_SubTitle_720.mp4/file
৪৮০ রেজুলেশন
https://banglafiles.net/index.php/s/YqZ6YtjkHreKfJz
https://www.file-upload.com/p2psep4cgmjr
http://www.mediafire.com/file/dljdb23a46xfxak/Seepahi-As_Sahab-Bangla_SubTitle_480.mp4/file
http://www.mediafire.com/file/0194st3gg88eu1g/Seepahi-As_Sahab-Bangla_SubTitle_480.mp4/file
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/tJznkjJK8gB3zGa
https://archive.org/download/seepahiassahab_201906/Seepahi-As%20Sahab.pdf
https://archive.org/download/SeepahiAsSahab_pdfword/Seepahi-As%20Sahab.pdf
https://www.file-upload.com/9hsc5eb0tzy1
https://www.mediafire.com/file/o3uwubr9p952jlh/Seepahi-As_Sahab.pdf/file
http://www.mediafire.com/file/znk3jvgm7mh4xc6/Seepahi-As_Sahab.pdf/file
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/5MpA5o5BBZAYKJ9
https://archive.org/download/seepahiassahab_201906/Seepahi-As%20Sahab.docx
https://archive.org/download/SeepahiAsSahab_pdfword/Seepahi-As%20Sahab.docx
https://www.file-upload.com/wynkjewbc8wr
https://www.mediafire.com/file/ou1nikzcjlfo59r/Seepahi-As_Sahab.docx/file
http://www.mediafire.com/file/00i0tkhhi460d0q/Seepahi-As_Sahab.docx/file
ডাবিং ভিডিও
১০৮০ রেজুলেশন
https://banglafiles.net/index.php/s/xpD2zitNBLoM8bN
https://www.file-upload.com/b6yd6gnpngf4
http://www.mediafire.com/file/ginb8yc7pa93m12/Gazwaye_Hinder_Sipahi_Bangla_Dubing_1080_High.mp4/file
৭২০ রেজুলেশন
https://banglafiles.net/index.php/s/BAjskrmSmnfYjsz
https://www.file-upload.com/iwi8n60lrdbg
৪৮০ রেজুলেশন
https://banglafiles.net/index.php/s/TTiL6wjTTPzZ99W
https://www.file-upload.com/dj0vnkn4yeyv
http://www.mediafire.com/file/mbncvdje153d55b/Seepahi-As_Sahab-Bangla_Dubing_480.mp4/file
ডাবিং অডিও
https://banglafiles.net/index.php/s/XMTgfard3ogyWAj
https://archive.org/download/SeepahiAsSahabBanglaDubing/Seepahi-As%20Sahab_Bangla_Dubing.mp3
https://www.file-upload.com/3x9olm2344ka
http://www.mediafire.com/file/7qlo31om15iew3v/Gazwaye_Hinder_Sipahi_Bangla_Dubing.mp3/file
http://www.mediafire.com/file/k3dqrapws3y2kq8/Seepahi-As_Sahab_Bangla_Dubing.mp3/file
————————–
গাজওয়ায়ে হিন্দের সিপাহী!
কাশ্মিরের শ্রীনগরের বাসিন্দা মুজাহিদ ফয়সাল ইশফাক বাট-এর আত্মজীবনী
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আমার নাম ফয়সাল ইশফাক বাট। আমি দখলকৃত কাশ্মিরের শ্রীনগরের অধিবাসী।
আজ আমার হৃদয়ের কিছু কথা এবং জিহাদি জীবনের কিছু অবস্থা আল্লাহর ইচ্ছায় আপনাদের সামনে পেশ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। আল্লাহ তা’আলার কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাকে হক কথা বলার এবং তার ওপর আমল করার তাওফিক দান করেন। আমিন।
আমি বলেছি যে, আমার জন্ম জম্মু ও কাশ্মীরের মূল শহর শ্রীনগরে। এখানেই আমি প্রতিপালিত হয়েছি। আমরা ছোটবেলা থেকেই কখনো কারফিউ, কখনো দোকানপাট ও ধন-সম্পদ লুট, কখনো নিজের মা-বাবার সম্মানহানি ও বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠিত হতে দেখেছি। কখনো-বা দেখেছি, স্বাধীনতাকামী যুবক ভাই এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের দায়িত্বশীল সম্মানিত ব্যক্তিদের লাঠির আঘাতে জর্জরিত হয়ে জেলে যেতে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে যাকে ইচ্ছা তুলে নিয়ে যায়। সর্বত্র শোনা যেত টর্চার সেলের ভয়ানক কাহিনীগুলো।
১৯৯২ সাল। আমার বয়স তখন পনেরো বা ষোলো। আমাদের হৃদয়ে তখন এ সকল জুলুম নির্যাতন ও মালাউন প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ স্পৃহা জেগে উঠেছিল। হৃদয় ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল ইসলামি শাসন ব্যবস্থার বসন্ত দেখার আশায়। ইসলামি শাসন ব্যবস্থা এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে মাজলুমকে তার হক দেওয়া হয় এবং জালিমের হাত প্রতিহত করা হয়। যেখানে কারও কোনো দুর্দশা থাকে না। কিন্তু এই সময় পর্যন্ত আমাদের সামনে স্পষ্ট কোনো পথ ছিল না। এরপর যখন আমরা কলেজে পড়ছিলাম এবং বিএসসিতে অধ্যয়নরত ছিলাম, তখন আমাদের কর্ণকুহরে এই জুলুম থেকে মুক্তির আসল দাওয়াত পৌঁছে। যে পথ আমাদের সামনে স্পষ্ট ছিল না, এই দাওয়াতের মাধ্যমে তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
দাঈ ভাই আমাদের সামনে এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন:
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا [٤:٧٥]
আর তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে, হে আমাদের রব, আমাদেরকে এই জনপদ থেকে বের করুন; যেখানকার অধিবাসীরা জালিম। আর আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য কোনো অভিভাবক নির্ধারণ করুন এবং নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী। [সুরা নিসা- ৭৫]
এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, তোমরা কেন আল্লাহর পথে লড়াই করছ না? সুতরাং আল্লাহর পথেই সবকিছু কুরবানি করতে হবে। এ জন্যই জীবন-মরণ—এই বাক্যগুলো আমাদের জন্য ভিত্তি হয়ে গেল, হয়ে গেল পথের আলো এবং দৃষ্টান্ত।
আমরা কী চাই? স্বাধীনতা! ভারতের জুলুম এবং তার জালিম প্রশাসন থেকে স্বাধীনতা! প্রত্যেক অন্যায় থেকে স্বাধীনতা! মানুষের দাসত্ব থেকে স্বাধীনতা! মানুষের তৈরি শাসনব্যবস্থা থেকে স্বাধীনতা! সেক্যুলারিজম, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, কমিউনিজমসহ সকল (বাতিল) ব্যবস্থা থেকে স্বাধীনতা!
মানুষের দাসত্ব থেকে বের হয়ে আল্লাহ তা’আলার দাসত্বের স্বাধীনতা! আসল স্বাধীনতা তো আল্লাহর দাসত্বেই রয়েছে। এটি এমন দাসত্ব, যা অন্য সকল দাসত্ব থেকে মুক্তি দেবে। আল্লাহর দাসত্ব হলো তাঁর শরিয়াতের আনুগত্য। আর এই আনুগত্যেরই অন্তর্ভুক্ত হলো শরিয়াহ বাস্তবায়নের জন্য জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ-এর চেষ্টা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করা। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য না হওয়া।
আল্লাহর অনুগ্রহে শুরু থেকেই আমরা এমন কিছু সাথী এবং অভিভাবক পেয়েছি, যারা আমাদের সামনে আল্লাহর জন্য বাঁচা এবং আল্লাহর জন্য মরার দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। কাশ্মিরি মুজাহিদদের কমান্ডার ও অভিভাবক শহিদ গাজি বাবা রহ. আমাদেরকে বিভিন্ন এজেন্সি থেকে মুক্ত হয়ে শরয়ী নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে জিহাদি স্ট্রাটেজি, জিহাদের কর্মপদ্ধতি ও পরিকল্পনা এবং শরয়ী জিহাদি তরবিয়াত অনুযায়ী আমাদেরকে তরবিয়াত দেন।
বান্ডিপুরা এলাকায় মুজাহিদদের একটি মারকাজ ছিল, যাকে আমরা base (বেস) বলতাম। এই মারকাজের আমির ও উস্তাদ ছিলেন গাজি বাবা রহ.। এখানে প্রথম আমরা মৌলিক কিছু সামরিক ট্রেনিং গ্রহণ করি। সামরিক ট্রেনিংয়ের সাথে সাথে গাজি বাবা আমাদেরকে কিছু দ্বীনি ও শরয়ী বিধানও শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে জিহাদি দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্দেশ্য বুঝিয়েছেন।
মৌলিক এই ট্রেনিংয়ের পর আমাদেরকে সামরিক সফল অপারেশনের জন্য শ্রীনগর পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এখানে কয়েকটি সফল টার্গেট ক্লিনিং বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাই। আল্লাহর অনুগ্রহে এই সময় আমরা শহিদ মুজাহিদ শাকের বখশি রহ.-এর সাথে কাজ করতে থাকি।
এই বছর এবং পরবর্তী কয়েক বছর যাবৎ আমরা বিভিন্ন স্থানে সামরিক, তরবিয়াতসহ দাওয়াহ কাজ করতে থাকি। গাজি বাবা আমাদের আমির ছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্বেই আমরা এসব কাজ করছিলাম। আল্লাহর অনুগ্রহে গাজি বাবার অনেক কাছাকাছি থেকে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। এই নৈকট্য তাঁর ব্যক্তিত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি খুব ভালোভাবে বোঝার সুযোগ করে দিয়েছিল।
টার্গেট ক্লিনিং হোক বা অন্য কোনো সামরিক অপারেশন হোক—সব ক্ষেত্রেই টার্গেট নির্ধারণ ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে কর্মপদ্ধতি ও দৃষ্টিভঙ্গি দশ বছর পর আমরা আল-কায়েদার সাথে শামিল হয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে শিখেছিলাম, গাজি বাবা নব্বইর দশকে তা কাশ্মিরের মুজাহিদদের শিক্ষা দিয়েছিলেন।
গাজি বাবা যিনি ওয়াদিতে ৮ বছরেরও অধিক কাজ করেছিলেন, তিনি বলতেন, واحدہ ملۃ الکفر ইসলাম এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিশ্ব কুফুরি-শক্তি এক জাতি। আর আমেরিকা হলো এদের মাথা। এ জন্য কাশ্মিরের স্বাধীনতা এবং মুসলিমদের অধিকার আদায়ে এসব কাফিরের কাছে তার কোনো প্রত্যাশা ছিল না। বরং তিনি মনে করতেন যে, পৃথিবীব্যাপী মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের জন্য এই আমেরিকাই দায়ী। এর পেছনে সবচেয়ে বড় হাত তারই। এ জন্য যা কিছু করার, তা উম্মতে মুসলিমা এবং মুজাহিগণ নিজেরাই করবেন। এ কারণেই যখন ৯/১১ (নাইন-এলেভেনের) হামলা হয়, তখন তিনি অনেক খুশি হন।
তিনি বলতেন, ভারত পরিচালনার মূলে রয়েছে ব্রাক্ষ্মণ। এই ব্রাক্ষ্মণদের অধীনেই রাজ্য চলে। এ জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় অংশগ্রহণকারী ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের নিশানা বানাতে হবে। নিশানা বানাতে হবে জেনারেল, সেনাবাহিনীর বড় বড় অফিসার ও পুলিশ বাহিনীর সিনিয়র লোকদের। আল-কায়েদার মানহাজ বোঝা এবং আল-কায়েদার সাথে শামিল হওয়ার পর গাজি বাবার কথা আমাদের খুব স্মরণ হতো। বর্তমানেও বিশেষভাবে কাশ্মির মুজাহিদীন এবং উপমহাদেশের মুজাহিদদের জন্য গাজি বাবার কর্মপদ্ধতি অনুসরণীয় হয়ে আছে।
কাশ্মির মুজাহিদীন সাধারণ মুসলিমদের সাহায্য-সহযোগিতায় নিজেদের জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ১৯৯৮-১৯৯৯-এ মুজাহিদদের মাঝে মতানৈক্য শুরু হয়। বিভিন্ন তানজিমগুলো ভেঙে নতুন নতুন তানজিম গঠিত হতে থাকে। দুর্ভাগ্যক্রমে মৌলিক কর্মপদ্ধতির বিরুদ্ধেও বিভিন্ন তানজিম দাঁড়িয়ে যায়। আর এসব মতানৈক্যের পেছনে মূল চাবিকাঠি নাড়ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা। এই সংস্থা নিজেদের স্বার্থে জিহাদি তানজিমগুলোর মাঝে ফাটল সৃষ্টি করেছিল। সামনে আমি এদের বিবরণ দেবো।
পারস্পরিক এই বিরোধগুলো ছিল খুবই শক্তিশালী। এসবের কারণে আমরা খুবই চিন্তিত ছিলাম। এই সময় পরিস্থিতির কারণে আমাদের এবং গাজি বাবার মাঝে বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়ে যায় এবং সিকিউরিটির বিষয়গুলো বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের পারস্পরিক সাক্ষাতের কোনো রাস্তা ছিল না। নব্বইর দশকের শেষের দিকে আমার অন্য এক তানজিমি ভাইয়ের সাথে আমাদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে কথা হয়। সামরিক ও কৌশলগতভাবে জিহাদের কাজে উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আমরা পাকিস্তান যাওয়ার ইচ্ছা করলাম। আমাদের মাথায় এই বিষয়টিও কাজ করছিল যে, পাকিস্তান একটি ইসলামি রাষ্ট্র। তাই সেখানে হিজরত করাও দরকার। এ কারণেই অনেক চেষ্টার পর ২০০১ সালে আমি অন্যান্য সাথীর সাথে পাকিস্তান হিজরত করি। কিন্তু এখানে পৌঁছার সাথে সাথেই কাশ্মির জিহাদে সাহায্যকারী বাহিনী এবং আইএসআই-এর স্বরূপ উন্মোচিত হতে থাকে। এখানে ইসলামের কতটুকু বাস্তবায়ন আছে, তাও দৃষ্টিগোচর হতে থাকে। লাগাতার পাঁচ দিন-পাঁচ রাত, প্রচণ্ড ঠান্ডায় ছয় ফুট বরফে আচ্ছাদিত উঁচু উঁচু পাহাড়গুলো পদব্রজে অতিক্রম করে আমরা এল.ও.সি. নামক স্থানে পৌঁছলাম। আমরা যে তানজিমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম, সে তানজিম আমাদের জন্য একজন রাহবারের ব্যবস্থা করেছিল। পরবর্তী সময়ে জানতে পারলাম, এই রাহবার অধিকাংশ সময়ই পাকিস্তানি এজেন্সিগুলোর হয়ে কাজ করে, টাকার বিনিময়েই সে কাজ করে। জিহাদের ব্যাপারে তার সামান্য সহানুভূতিও নেই।
এই রাহবাররা মুজাহিদদেরকে এমনভাবে হাকিয়ে নেয়, যেমন বকরি বা ভেড়ার পালকে হাকিয়ে নেয়া হয়। এদের হাতে লাঠি থাকে, যা দিয়ে তারা হিজরতকারী মুজাহিদদের ওপর আঘাত করতে থাকে। হাঁ, গাইডদের খুব কম সংখ্যক লোকই এমন আছে, যারা মুজাহিদদের সাথে মানুষের মতো আচরণ করে।
কাশ্মির থেকে পাকিস্তান হিজরত করে আসা হাজারো মুজাহিদ এই এজেন্সিগুলোর গাইড এবং তাদের বাহিনীর সহযোগিতার স্বরূপ জানতে পারে এবং তারা সাক্ষী এদের অমানবিক আচরণের ব্যাপারে। গাইডদের হাতে লাঠির আঘাতে জর্জরিত মাজলুম এবং কিছু জালিম গাইডের হাতে জবাই হয়ে শহিদ হয়ে যাওয়া ও বরফে পুঁতে যাওয়া ঠান্ডা দেহগুলো কাল কিয়ামতের দিন এ নামধারী দরদীদের কলার চেপে ধরবে।
এখানে পৌঁছে আমাদের ছয় সাথীর অবস্থাও এমন ছিল যে, পায়ের নিচে ঠান্ডার কারণে প্রাণ ছিল না। কারও পায়ের গোড়ালি জ্বলে গিয়েছিল, কারও আঙুল ছিল না। আমি নিজেও যখন জুতা খুলি, তখন দেখতে পেলাম—পায়ের আঙুল আছে, কিন্তু নখ নেই। এর জন্য বহুদিন যাবৎ চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
এ ছাড়াও ছয়জন মুজাহিদের আরেকটি গ্রুপের কাহিনী এমন ছিল যে, গাইড তাদের কয়েক দিন ও কয়েক রাত সফর করানোর পর যখন বর্ডার পার করালো, তখন তাদের বলল, সামনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট।
এ কথা শোনার সাথে সাথেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে এক সাথী বরফের ওপর শুয়ে পড়লেন, কারণ এখন আর কোনো ভয় নেই। ইনি মূলত পাকিস্তানি ছিলেন, জিহাদের উদ্দেশ্যে তিনি কাশ্মির গিয়েছিলেন। এখন নিজ ভূমিতে ফিরে এসেছেন। বাকি সাথীরা চেকপোস্টে পৌঁছল। সেখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক মেজর ছিল। সে বলল, দ্রুত কাগজে এন্টি করো যে, তোমরা কত জন ছিলে এবং কে কে ছিলে? তারা সকলেই নিজের পরিচয় দিল এবং বলল, ‘আমরা মোট ছয় জন ছিলাম।’ মেজর জিজ্ঞেস করল, ‘তোমরা তো পাঁচজন আছ, আরেক জন কোথায়?’ তারা বলল, ‘সে পাকিস্তান পৌঁছার খুশিতে বরফের ওপর শুয়ে পড়েছে। এ কথা শুনে মেজর কোনো প্রতিক্রিয়া ছাড়াই বললেন, ‘সে তো মরে গেছে।’ সে নিজের অধীনের একজনকে তার লাশ তুলে নিয়ে আসার জন্য বলল। যখন সে তার লাশ নিয়ে আসলো, তখন দেখা গেল যে, এই মুহাজির মুজাহিদ বাস্তবেই শহিদ হয়ে গেছেন এবং তার লাশই নিয়ে আসা হয়েছে। মূলত তখন ভীষণ ঠান্ডা ছিল। তাপমাত্রা ছিল শূন্যের কোঠায়। ঐসব সাথীর দেহ পায়ে হেঁটে আসার কারণে গরম ছিল। আর ঐ ভাই তৎক্ষণাৎ বরফের ওপর শুয়ে পড়ায় দেহ পুরো ঠান্ডা হয়ে যায়। আল্লাহ তা’আলা সেই ভাইয়ের প্রতি রহম করুন এবং তাকে শহিদদের কাতারে শামিল করুন।
প্রাথমিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই আমাদের কাছে কাশ্মির জিহাদে নামধারী সহযোগীদের স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে যায়। এখন আমার বুঝে আসছে যে, গাজি বাবা কেন পাকিস্তানি এজেন্সিসমূহের বিরোধী ছিলেন। আর এ কারণেই তিনি কাশ্মিরেই ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালনা করে সামরিক ট্রেনিং দিতেন। যদিও এই সামরিক ট্রেনিং উপকরণ ও যোগ্যতার দিক থেকে অপ্রতুল ছিল। গাজি বাবাকে জানেন এবং এখনো জীবিত আছেন—এমন যেকোনো ভাই এ কথার সাক্ষ্য দেবেন যে, গাজি বাবা এই এজেন্সিসমূহের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। এ ছাড়াও আমাদের শহিদ ভাই আফজাল গুরু রহ.-ও নিজের কিতাব “আয়েনা”-এর বিভিন্ন স্থানে তাঁর কথা উল্লেখ করেছেন।
এখানে এসে আমরা একটি প্যাঁচে পড়ে যাই এবং আল্লাহ তা’আলার কাছে প্রার্থনা করছিলাম যে, আল্লাহ আমাদের জন্য বের হওয়ার কোনো পথ খুলে দিন। আল্লাহ আমাদের দুআ কবুলও করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
নিঃসন্দেহে মুজাহিদদের এই তানজিমগুলোতে তখনো এবং এখনো একটি বড় অংশই মুখলিস যুবকদের দ্বারা পূর্ণ, যারা এই ধোঁকাবাজ এজেন্সিগুলোকে ইসলামের সহযোগী মনে করে। যদি এ সকল মুখলিস মুজাহিদের কথা বলি, তাহলে বলতে হয় যে, এ সকল হজরতগণ তাদের (এজেন্সিগুলোর) সামনে অপারগ। এজেন্সিগুলো তাদেরকে বেষ্টন করে রেখেছে, তাদেরকে ফাঁদে ফেলে রেখেছে। আমরা এ তানজিমগুলোকে এজেন্সিগুলোর হাতে আবদ্ধ দেখেছি। মুজাহিদদের হাতগুলো বেঁধে রাখা হয়েছে। আমি নিজেই এই বিষয়ের স্বাক্ষী। বরং আমি নিজেও এটিতে শরিক ছিলাম। ২০০৫ সালে যখন আমি পাকিস্তান ছিলাম, তখন কাশ্মিরে কাজে করে এমন একটি তানজিমের সাথে যুক্ত ছিলাম। আমরা গাজি বাবার লক্ষ্যগুলো নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছিলাম।
সবকিছুর প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণসহ সম্পূর্ণ সেটিং হয়ে গিয়েছিল। অস্ত্রও পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমাদের তানজিমের এখানকার দায়িত্বশীল বললেন, আমরা এমন কাজ করতে দিতে পারি না। এজেন্সির পক্ষ থেকে এমন কাজের অনুমতি পাওয়া যাবে না। কারণ, এমন কাজে আমাদের রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাবে। তারা আরও বলল যে, এতে পাকিস্তানের বিভিন্ন সমস্যা হবে। এজেন্সিগুলোর নিকট জিহাদের উদ্দেশ্য আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করা বা -قَاتِلُوا أَئِمَّةَ الْكُفْرِ কুফুর নেতাদের হত্যা করো।”- এর পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ এবং বৈদেশিক পলিসি ছিল।
আমরা তখন দেখেছি যে, আফজাল গুরু এবং গাজি বাবার মতো মুজাহিদদের একটি টার্গেট ছিল ইন্ডিয়ান পার্লামেন্ট। এখানেও সেই লক্ষ্যেই কাজ করা হয়েছে, যা আমরা পেছনে উল্লেখ করেছি। যদিও আমি তখন তাদের সাথে ছিলাম না। কিন্তু গাজি বাবাকে যতটা কাছ থেকে জেনেছি, তার ভিত্তিতেই বলেছি। আমরা ধারণা যে, এই অপারেশনের শুরু থেকে টার্গেট পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই মহান দুই মুজাহিদ এজেন্সিসমূহ থেকে কোনো ধরনের সাহায্য নেননি। তাদেরকে কোনো ধরনের সংবাদও দেননি। অন্যথায় নিঃসন্দেহে এই পাকিস্তানি এজেন্সি এবং তাদের নামধারী অনুগ্রহকারী এই অপারেশনকে ব্যর্থ করে দিত। আপনি দেখেছেন যে, ইন্ডিয়ান পার্লামেন্টে হামলার কী কী লক্ষ্য ছিল? কিছু নির্বাচিত ব্যক্তি। ঐ সময় মুসলিমদের সবচেয়ে বড় দুশমন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এল কে এডওয়ানি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হ্যরিন পাটক, ইন্ডিয়ান ভাইস প্রেসিডেন্ট কৃষাণ কান্তের মতো লোকেরা উপস্থিত ছিল। এরা সবাই তখন ইন্ডিয়ান পার্লামেন্টে অবস্থান করছিল।
আমরা কর্মের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। কাশ্মিরে আমরা শুনতাম যে, কাশ্মির পাকিস্তানের শাহারগ। আর আমরা এজেন্সিগুলোকে জিহাদের আনসার বা সাহায্যকারী মনে করতাম। কিন্তু পাকিস্তান এসে আমরা সঠিকভাবে জানতে পারলাম – আল্লাহর কসম, এটা শুধু জেনারেলদের অভ্যন্তরীণ জাতিসমূহ থেকে সুবিধা গ্রহণ, ব্যাংক-ব্যালেন্স এবং বৈদেশিক পলিসি, কোনো জিহাদ নয়।
এজেন্সিগুলো কাশ্মিরের জিহাদি তানজিমগুলোকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে এবং করছেও। এর আগেও এই সামরিক বাহিনী নিজেদের অপরাধ ও কৃতকর্মকে গোপন করার জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এবং পরবর্তী বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে দ্বীনদ্বার লোকদের জিহাদি তানজিমগুলোকে ব্যবহার করেছিল। আর সেখানকার দ্বীনদ্বার লোকেরা আজ পর্যন্ত তাদের সঙ্গ দেয়ার কারণে শাস্তি ভোগ করছে এবং ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলছে। স্বয়ং এই সামরিক বাহিনী পরবর্তীকালে ৯০ হাজার সেনা থাকা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণ করেছে।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নিজস্ব কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। রয়েছে বৈদেশিক এজেন্ডা। ভারতের উপর কিছুটা চাপ রাখা। এটা একটা গেম, যা তাদের পলিসির অংশ। এ ধরনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তাদের জন্য কিছু সহযোগী জরুরি এবং বাহিনী প্রয়োজন। আর এসবের জন্য তারা এমন এক কাজের সহযোগিতা নিয়েছে, যেখানে উম্মতে মুসলিমার নতুন যুবকদের ব্যবহার করা হবে। আমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন এসব এজেন্সির ষড়যন্ত্রগুলো ফাঁস করে দেন এবং আমাদের এই তানজিমগুলোতে অবস্থানরত মুজাহিদ ভাইদের জন্য সহজ করে দেন এবং তাদের জন্য রাস্তা বের করে দেন। আল্লাহ আমাদের পরস্পরের মধ্যে একতা দান করুন। আমিন, ইয়া রব্বাল আলামিন।
আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে, এ সকল জেনারেলের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকা চাই। এ সকল জেনারেলের উদ্দেশ্য হলো, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি। যদি জিহাদের মাঝে এদের ফায়দা থাকে, তবে এরা সীমান্ত খুলে দেয় এবং অস্ত্র-শস্ত্র, গোলা-বারুদ এবং লোকজনের যাতায়াত সবকিছু বৈধ হয়ে যায়।
উদাহরণ হিসেবে আমরা এক গাদ্দার ও প্রতারক জেনারেল পারভেজ মুশাররফের কথা বলছি। কারগিলের যুদ্ধে {سیاچن} সিয়াসিন এর সতো কঠিন রণাঙ্গনে মুজাহিদদেরকে বাহিনী হিসেবে নির্বাচিত করা হলো।
সেখানে যুদ্ধের কর্মপদ্ধতি ভুল ছিল। তো এ সকল মুজাহিদদেরকে সহায় সম্বলহীন অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয় এবং পারভেজ মুশাররফ আবার মৌখিকভাবে তাদের সাহায্য করতে থাকে। সেই মুশাররফই আবার ইউটার্ন দিল এবং গতকালের মুজাহিদদের আজ সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে দিল। এরপর যখন দশ বছর চলে গেল, তখন এই পারভেজ মুশাররফই আবার এই মুজাহিদদেরকে ফ্রিডম ফাইটার (স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা) বলে দিল। বরং দুই-তিন বছর আগে বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে কয়েকটি তানজিমের নাম উল্লেখ করে বলল, এরা জিহাদি এবং আমিই তাদের সহযোগী। এরা স্বাধীনতাকামী। আর এ সকল জিহাদি তানজিম আমাদের জন্য সর্বোত্তম সহযোগী। এই জেনারেলদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকলে তা হলো, নিজেদের স্বার্র্থ এবং নিজেদের ক্ষমতা।
সাবেক আর্মি চীপ জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি সামরিক অফিসারদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘৯/১১ এর ঘটনা কয়েকটি সমীকরণকে হয়তো পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে ফেলেছে, না হয় সেগুলোকে ভিন্ন রূপ দিয়েছে। আমরা ৯/১১ ঘটনার আগের বিষয়গুলো এবং ঘটনার পরের বিষয়গুলোকে যাচাইয়ের জন্য একই চিন্তাশক্তি ব্যবহার করতে পারি না। ৯/১১ এর ঘটনার আগে যাকে “স্বাধীনতা সংগ্রাম” বলা হতো, ৯/১১ এর ঘটনার পর ভিন্ন কিছু (সন্ত্রাসবাদ) বলা হয়। আমরা এখনো এই চিন্তা করছি যে, কাশ্মিরের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। কিন্তু যদি আপনার কাছে কারও সাহায্য না আসে, তাহলে আপনাকে অবস্থার পরিপেক্ষিতে পরিবর্তন হতে হবে। এ কথা বলায় আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, আমরা কাশ্মিরের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ করে দিয়েছি। কারণ, এতেই আমাদের জাতীয় স্বার্থ রয়েছে।’
জেনারেল কিয়ানি বলছেন যে, আমরা কাশ্মিরি জিহাদকে সমাপ্ত করে দিয়েছি। ছেড়ে দিয়েছি। কেন? কারণ, এখন সেখানে কোনো স্বার্থ নেই! এই জিহাদের প্রকৃত কল্যাণকামী এই জেনারেল, আইএসআই-এর আরও কিছু ব্যক্তি যেমন মেজর হামজা, ব্রিগেডিয়ার রিয়াদ বা এমন আরও যারা আছে, তারা নয়। বরং এই জিহাদের প্রকৃত কল্যাণকামী হলেন গাজি বাবা, ভাই আফজাল গুরু, কমান্ডার ইলিয়াস কাশ্মিরি, ইঞ্জিনিয়ার আহসান আজিজ এবং কমান্ডার বুরহান মুজাফফর ওয়ানি-এর মতো মুজাহিদগণ।
সত্য কথা হলো, কাশ্মির জিহাদের জন্য কল্যাণকামী এবং উপযুক্ত বাহিনী হলো, এখানকার আফগান (মুজাহিদ) বাহিনী। এখানে ইমারাতে ইসলামিয়্যাহর নেতৃত্বে জিহাদে লিপ্ত দলগুলোর মাঝে একটি হলো আল-কায়েদা উপমহাদেশ। গাজি বাবা, আফজাল গুরু এবং বুরহান ওয়ানির চিন্তা-ধারার রক্ষক হলো এই জামাআহ। যার অধীনে কাশ্মির এবং পরে আফগানিস্তানে লড়াইকারী শাইখ ইলিয়াস কাশ্মিরি, শাইখ আহসান আজিজ, কমান্ডার বদর মনসুর, শাইখ হাজি ওয়ালি উল্লাহ, কারি ইমরান, মাওলানা সাইদুল্লাহ, কমান্ডার আফজাল, কমান্ডার খুররাম সাইদ কিয়ানি, রানা আমির আফজাল এবং এ ধরনের আরও অনেক মুজাহিদের রক্ত সিঞ্চিত হয়েছে। সুতরাং গাজি বাবা, আফজাল গুরুর মতো মহান মুজাহিদদের চিন্তাধারা আমরা আল-কায়েদা উপমহাদেশ শাখায় নিয়ে এসেছি। আলহামদুলিল্লাহ।
আমরা সাধারণভাবে এখানকার মুজাহিদদের মাঝে; বিশেষ করে কমান্ডারদের মাঝে কাশ্মির স্বাধীন করা এবং সেখানে শরিয়াহ বাস্তবায়ন করার ব্যাকুলতা দেখতে পাচ্ছি। এখানকার মুজাহিদগণ কাশ্মিরি ভাইদের সাথে মিলিত হওয়ার চিন্তায় অস্থির। আর অচিরেই তারা নিজেদের কাশ্মিরি ভাইদের সঙ্গী হবেন। কাশ্মিরি মোর্চাগুলোতে বসে সেখানকার জালিম ব্রাক্ষ্মণ, জালিম সেনাবাহিনী ও পুলিশকে নিশানা বানাবেন। সেখানের রণাঙ্গনে রণাঙ্গনে আনন্দের বন্যা বয়ে যাবে। শরিয়াহ বাস্তবায়নের বরকতপূর্ণ মেহনতের পতাকা বুলন্দ হবে। সেখানে কোনো নাপাক হিন্দু কোনো মেয়ে, মা বা বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করতে সামনে অগ্রসর হবে না। কোনো সম্মানিত মেয়ের উড়না ছিনিয়ে নেওয়া হবে না। এখানকার মুজাহিদগণ সেখানকার কোনো নদী-নালায় মুসলিমদের লাশ ভাসতে দেখতে চায় না।
এখানকার মুজাহিদগণ নিজেদের নির্যাতিত মুসলিম ব্যবসায়ীদের জন্য হিন্দু বণিকদের হাতে লুণ্ঠিত হওয়ার বাজার বন্ধ করতে চাচ্ছেন।
মুজাহিদিনে ইসলাম কাশ্মির এবং উপমহাদেশ পীরপাঞ্জাল এর চূড়া, লাহারের শাহি কেল্লা, দিল্লির লাল কেল্লায় পুনরায় ইসলামি পতাকা উড্ডয়নের জন্য গাজওয়ায়ে হিন্দের মোবারক বাহিনী হয়ে রওয়ানা শুরু করেছেন।
শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর। এবং আমাদের শেষ কথা হলো, সকল প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার জন্য।
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু!
আস-সাহাব মিডিয়া, উপমহাদেশ
১৪৪০ হি./২০১৯ ই.