সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামক আন্দোলনকে ‘দাবি মেনে নিয়েছি’ বলে থামিয়ে দিয়ে সরকার জনগণের সাথে এখন প্রতারণা করছে, যেভাবে পূর্বেও তারা করে এসেছে! এ বিষয়ে ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার প্রকাশিত একটি আর্টিকেলের একটু ভাষ্য এখানে হুবহু তুলে ধরছি- ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশ কাঁপানো আন্দোলনের পর সড়ক পরিবহন খাতে যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসার কথা ছিল, তার বিন্দুমাত্র আলামত দেখা যাচ্ছে না। মন্ত্রিসভায় একটি বিল অনুমোদন এবং ‘পরিবহনমোগলদের’ যৎসামান্য আশ্বাস, ঘটা করে ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্যাপনের মধ্যেই যেন নীতিনির্ধারকেরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাইছেন। বাস্তবে এসব ‘মুখরক্ষা’ করার চেষ্টা সড়ক পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা কমাতে পারবে বলে মনে হয় না। পরিস্থিতি এতটাই নৈরাজ্যকর যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িতেও বাস ধাক্কা দিচ্ছে।’ আর্টিকেলটিতে আরো বলা হয়, ‘সরকারের নীতিনির্ধারকদের দাবি, তাঁরা শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছেন, ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু আইনের প্রয়োগ তো ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের বিষয় নয়। সড়কের নিরাপত্তায় শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি করেছে, সেটি আইনের বাইরে নয়।’ মূলত, বর্তমানে দেশে যে অনিয়ম, অন্যায়-অবিচার চলছে, তথাকথিত সরকারের সহযোগিতা ও অবহেলার কারণেই যে এরকম হচ্ছে সেটা সকলেই বুঝতে পেরেছেন। দেশের জনসাধারণের কাছেও বিষয়গুলো সুস্পষ্ট যে, সরকার দেশকে ধ্বংসের মুখোমুখি করেছে। তাই, দেশের জনসাধারণ যখনই এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে কোন আন্দোলনে নামেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের উপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। যেকোন মূল্যে আন্দোলন থামানোর প্রচেষ্টা করে তাগুত সরকার। সাম্প্রতিক আন্দোলনগুলো থেকে জনসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা লাভ করেছে, সেটা হলো- ‘দাবি মেনে নিয়েছি’ বলে সরকারের প্রতারণাপূর্ণ একটি বক্তব্য! যে বক্তব্যের মাধ্যমে সাময়িকভাবে আন্দোলনকে থামানোর প্রচেষ্টা করে সরকার। জনগণের কাছে এই বিষয়টিও এখন সুস্পষ্ট যে, সরকারের এই দাবি মেনে নেওয়া কেবল মেনে নেওয়াই থেকে যায়। কখনো বাস্তবায়নের মুখ দেখে না!