আফগানিস্তানে যেভাবে শান্তি ফিরে আসবে…
অতি বিস্ময়করভাবে কাবুল প্রশাসনের অফিসিয়ালরা, তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সমাজকর্মী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকবর্গ একতরফাভাবে শান্তির স্লোগান দিচ্ছে, চুক্তি এবং এই যুদ্ধ বন্ধের কথা বলছে।
কিন্তু, কথিত শান্তির এই সকল প্রবর্তকেরা বিদেশী ক্রুসেডারদের উপস্থিতিতে আপত্তি করছে না, সমালোচনা করছে না বিদেশী সেনাদের বর্বরতার, আর না সমালোচনা করছে তাদের রাত্রকালীন হামলার, বাছবিচারহীন বোমাবর্ষণ এবং ড্রোন হামলার। আর না তারা বিদেশী ক্রুসেডারদের উচ্ছেদ এবং আফগানদেরকে একটি সুদৃঢ় ইসলামী আইনের ছায়ায় বসবাস করার জন্য ছেড়ে যাওয়ার দাবি করছে।
আমরা এসকল পথভ্রষ্ট এবং বাধ্যগত শান্তি দাবিকারী কর্মকর্তা, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সমর্থকদেরকে বলতে চাই, কোন কারণে মূল সমস্যাটি এবং এটার শিকড়ের কথা উল্লেখ করতে তোমরা এত অন্ধ, বধির এবং দ্বিধান্বিত? তোমরা কি চিন্তা করেছ যদি দেশে প্রকৃত ইসলামী আইন থাকত, তাহলে মুজাহিদীন অথবা তালেবানরা কি বাধ্য হত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে এবং কী প্রয়োজনে নিজেদের মূল্যবান জীবনকে প্রতিদিন উৎসর্গ করে দিত?
এই হলো সেই আমেরিকা, যে ১৭ বছর পূর্বে ‘ধর্মযুদ্ধ’(ক্রুসেড)-এর স্লোগান তুলে আফগানিস্তানে হামলা করেছিলে এবং প্রতিহিংসার নীতি অবলম্বন করে চলেছিল, ৩ লক্ষের অধিক নিরপরাধ আফগানীকে শহীদ করেছিল, প্রায় ২০ লক্ষকে অত্যাচার করেছিল এবং হাজার হাজার মানুষকে করেছিল তাদের ঘর এবং শহর ছাড়া। বর্তমানে, যেহেতু সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে প্রত্যেকটি ময়দানে তাদের সর্বশক্তি ব্যবহার সত্ত্বেও অপমানজনক পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করাচ্ছেন, তাই এখন তারা যেখানে দুঃসাহসিক আফগান যুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টায় আমেরিকার আগ্রাসন ব্যর্থ হয়েছে সেখানে মিথ্যা শান্তির স্লোগান, সাংগাঠনিক সমাবেশ এবং অধ্যাদেশ জারিকে শেষ অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে ।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, প্রকৃতপক্ষে শান্তি তখনই ফিরে আসবে যখন আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনাদেরকে প্রত্যাহার করবে এবং তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমাপ্তি ঘোষণা করবে।
যখন আমেরিকা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে থাকে, আমাদের ভূমি এবং আকাশকে দখল করে রাখে, নিরপরাধ আফগানীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকে, যেখানে পুতুল কাবুল প্রশাসন আমেরিকার অনুমোদন ব্যতীত একজন গভর্নর অথবা পুলিশ প্রধানকেও পরিবর্তন করতে অক্ষম, যেখানে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ব্যতীত শান্তির ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছে, তখন এটা স্পষ্ট যে এইসকল স্লোগান আমেরিকার লক্ষ্য এবং অর্জন। যদি কেউ চিন্তা করে যে, এইসকল স্লোগান প্রত্যাশিত প্রভাব ফেলবে, তাহলে এটা তাদের চরম বোকামিরই পরিচায়ক।
কেবল আফগান মুজাহিদ জাতি এই ধরণের শান্তি স্লোগান, প্রতিবাদ চিহ্ন এবং পতাকা গ্রহণ করতে পারেন, যখন তারা স্পষ্টভাবে লালন করছেন এই বাক্যগুলো “ আমেরিকান ক্রুসেডারদের উচিত আমাদের ভূমি ছেড়ে যাওয়া এবং আমাদের ধর্মীয় ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।”
ইসলামী ইমারতের অফিসিয়াল সাইটে প্রকাশিত “The titular demands of Peace” নামক একটি আর্টিকেলের বাংলা অনুবাদ-