প্রবন্ধ-নিবন্ধ

তবে কি কাশ্মিরে মুসলমানরা আল কায়েদাকে আপন করে নিয়েছে?

এই প্রবন্ধ টি লিখেছেন ফেসবুকের ভাই সাইফ আল আদিল, পাঠকদের জন্য আমরা কাটছাঁট ব্যতিরেকে তুলে দিলাম।       – নির্বাহী এডমিন

আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসুলিহিল আমিন। আম্মা বাদ-

এই তো কিছু দিন আগে কাশ্মিরের মুসলমানদের স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মোড়ে বাঁক নিয়েছে। হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার শহীদ বুরহান ওয়ানি ইন্ডিয়ান পুলিশের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়ার পর ফুঁসে উঠেছে জনগণ, প্রতিবারের মত এবারও পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা ও ভারতীয় এজেন্টরা চেষ্টা করেছে জনগনের উত্থান যেন একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবীর দিকে মোর না নেয়, কিন্তু কাশ্মিরি স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রকৃত যোদ্ধারা এবার সত্যিই চমৎকার কৌশল প্রণয়ন করলেন, তাঁরা জনগণকে বুঝাতে সক্ষম হলেন একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা তথা শরিয়াহ শাসন প্রতিষ্ঠার মাঝে-ই আমাদের মুক্তি রয়েছে, খোলা হল তুখোড় গেরিলা যোদ্ধা জাকির মুসার নেতৃত্বে নতুন দল আনসারু গাজওয়াতুল হিন্দ, প্রকাশ করা হল নতুন জিহাদি দলের লক্ষ্য- উদ্দেশ্য ও আকিদা- মানহাজ। শুরু হল আন্তর্জাতিক শলাপরামর্শ ও বিচার বিশ্লেষণ, বলা শুরু করলো আল কায়েদা কাশ্মিরে ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে, আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ মুলত আল কায়েদার কাশ্মিরে গোপন শাখা, যদিও আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ নিজেদের স্বতন্ত্র একটি শাখা হিসেবে দাবী করেছেন, কিন্তু অধমের ব্যক্তিগত বিচার- বিশ্লেষণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতও এটা-ই, আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের নিজেদের স্বতন্ত্র দাবী করাটা হল আল কায়েদার-ই একটি সামরিক কৌশল, যাতে কুফফাররা আল কায়েদার দোহাই দিয়ে যে কোন অনাচারকে বৈধতা দিতে না পারে।

আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের আত্মপ্রকাশের কারণ বর্ণনা করে এক বার্তায় কর্তৃপক্ষ বলেন-

মর্দে মুজাহিদ বুরহান ওয়ানি রহঃ এর শাহাদাতের পর কাশ্মিরের জিহাদ জাগরণের এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। এবং কাশ্মিরি মুসলমানরা জিহাদের পতাকা মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরেছেন। এবং দৃঢ় অঙ্গিকার করেছেন দখলদার হিন্দু আর্মির জুলুম ও অত্যাচারের জবাব শুধুমাত্র বন্দুক দ্বারা-ই দেওয়া হবে।
এবং জিহাদের পথকে আপন করে নিয়ে আল্লাহ সাহায্যে কাশ্মিরকে আযাদ করা হবে।
সেই মাকসাদ অর্জনের জন্য শহীদ বুরহান ওয়ানি রহঃ এর সাবেক সাথীগন তাঁর শাহাদাতের পর কমান্ডার জাকির মুসা হাফিজাহুল্লাহর নেতৃত্বে এক নতুন জিহাদি গ্রুপ “আনসারু গাযওয়াতুল হিন্দ” প্রতিষ্ঠার এলান করছেন।

আরও পড়ুন- আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ’এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কিত বিবৃতি লিংক-

https://www.mediafire.com/file/23wxwq6232in439/Ansar%20Gazwatul%20Hind%20Lokho%20Uddesho.pdf

কিন্তু কথা হল কাশ্মিরের জনগণ কি আল কায়েদাকে আপন করে নিয়েছে? আল কায়েদা জনগণের অন্তরে গভীরভাবে প্রোথিত হতে পেরেছে? উত্তর খুবই স্পষ্ট, সিরিয়ার জনগণ যেমন আল কায়েদাকে গ্রহণ করে নিয়েছিল, তেমন কাশ্মিরের মুসলমানরাও আল কায়েদাকে গ্রহণ করে নিয়েছে, পর্যালোচনায় দেখা যায় নতুন জিহাদি দলের আত্মপ্রকাশের পরপর-ই জনগনের মাঝে প্রভুত সাড়া পড়ে গেল, দেয়ালে, ওয়ালে বা দোকানে সব জায়গাতেই আল কায়েদাকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা লেখা হল। জনগণ স্বেচ্ছায় গেরিলাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতো লাগলো, যা মিডিয়ায় পরিস্কারভাবে-ই উঠে এসেছে, তবে এর জন্য আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ কে কিছু মুল্য চুকাতে হল, পরপর বেশ কয়েকটি এনকাউন্টারে বেশ কিছু যোদ্ধা শহীদ হলেন, এতে জনগণ আল কায়েদাকে আরও আপন করে নিলেন, এই তো সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা গেছে ট্রেনের যাত্রীরা জাকির মুসার সমর্থনে, তাঁর নাম ধরে ধরে মিছিল করেছে, সম্প্রতি শহীদ হওয়া গেরিলা কমান্ডার আব্দুল কাইয়ুম নাজর রহঃ এরর জানাজায় আল কায়দা এবং জাকির মুসার নামে প্রকাশ্যে শ্লোগান দিয়েছে। গত কয়েক মাস আগে এক শহীদের জানাজা নেওয়ার সময় তাঁর শরীর থেকে পাকিস্তানের পতাকা ফেলে দেওয়ার ভিডিও তো সবাই-ই দেখেছিল।

ভিডিও লিংক-১-https://www.mediafire.com/file/9avoyput487152c/video_2017-09-29_14-44-20.mp4

ভিডিও লিংক-২- https://www.mediafire.com/file/b2xr19rgs5lb7o4/video_2017-09-29_13-55-59.mp4

বিশ্লেষকরা বলছেন- কাশ্মিরের জিহাদ এবার নতুন বাঁকে মোড় নিয়েছে, জনগণ এবার শরিয়াহ প্রতিষ্ঠাড় দাবীকে গ্রহণ করে নিয়েছে, আল কায়েদা খুবই কৌশল অবলম্বন করে কাশ্মিরের জনগণের অন্তরের গভীরে জায়গা করে নিয়েছে, এখানে আন্তর্জাতিক কুফুরি মিডিয়ার অপপ্রচার ও কলাকৌশল ব্যর্থ হয়েছে বলে-ই প্রতীয়মান। সুতরাং স্বাগতম ও অভিনন্দন, যারা শরিয়াহ প্রতিষ্ঠার তরে নিজেদের জান ও মাল বিলিয়ে দিয়েছে, যারা আল্লাহর সাহায্যে অপরাধীদের কলাকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছে।

ওয়াসাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাইন

জাস্টপেস্ট লিংক- https://justpaste.it/AQ_kashmir

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − seven =

Back to top button