প্রবন্ধ-নিবন্ধ

৯/১১ ও “চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধকৌশল

photo383256386298032096

শামে হিজরতকারী আল কায়েদার একজন উইঘুর মুজাহিদ

তানযিম ক্বা’ইদাহতুল জিহাদের আরবী ম্যাগাযিন “আল-আনসার”-এর দ্বিতীয় সংখ্যায় প্রকাশিত প্রবন্ধ “চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধকৌশল” এ লেখক আবু-‘উবাইদা আল-ক্বুরাইশি বলেন –

“আল-ক্বা’ইদাহ একটিমাত্র আঘাতে নিজ ভূখণ্ড রক্ষার জন্য অ্যামেরিকার ব্যবহৃত কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যূহের [Strategic Defense] সবগুলো স্তরকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। অ্যামেরিকার কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যূহের এ স্তরগুলো হল –

ক) পূর্বাভাস [Early Warning] খ) আক্রমনের পূর্বে প্রতিরোধক আঘাত [Preventive Strike ] গ) নিবৃত্তকরনের নীতি [Principal of Deterrance]

পূর্বাভাস [Early Warning]:

৯/১১ এর হামলাগুলো ছিল সামরিক ইতিহাসের সর্বাধিক কার্যকর ও সফল অতর্কিত হামলাগুলোর একটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯৪১ সালে অ্যামেরিকার পার্ল হারবারের জাপানের হামলা, ৯১৪১ এ সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর নাযি জার্মানীর হামলা, ১৯৬৮ সালে সোভিয়েত বাহিনী কর্তৃক অতর্কিতে চেকোস্লোভাকিয়াতে হামলা, ১৯৭৩ সালে আরব আর্মিগুলোর অতর্কিতে বার-লেভ লাইন অতিক্রম করা –এসবই সফল অতর্কিত হামলার উদাহরণ।

আক্রমনের কার্যকারিতা এবং শত্রুর ক্ষয়ক্ষতির বিবেচনায় আল-ক্বা’ইদাহর এ হামলা ছিল এধরণের অন্যান্য সকল আক্রমনের তুলনায় সফল।

কারন এ আক্রমনের পর আক্ষরিক ভাবেই প্রতিটি অ্যামেরিকান নাগরিকের মনে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। সকলেই আশংকা করছিল যেকোন সময়ে যেকোন কিছু ঘটে যাবার।

একটি দেশের মধ্যে এধরণের একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে দেশের অর্থনীতি ও মনস্তত্ত্বের উপর তা প্রচণ্ড প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে অ্যামেরিকার মতো একটি সমাজের ক্ষেত্রে এর প্রভাব আরো বেশি, কারন অ্যামেরিকার গৃহযুদ্ধের পর নিজ ভুমিতে যুদ্ধের ভয়াবহতা তারা প্রত্যক্ষ করে নি।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + fourteen =

Back to top button