নির্বাচিতবাংলাদেশসংবাদ

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের অর্থের কালোবাজারী থেকে রেহাই পায় নি হজযাত্রীরাও!!! উন্নয়নের আড়াঁলে মেকি বাস্তবতা!!

#bangladesh#Alfirdaws_News

মানুষ যখন ক্ষমতা আর টাকার মোহে অন্ধ হয়ে যায়, তখন আর এবিষয়টা খেয়াল করা প্রয়োজন মনে করে না নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে কতটা লাশ পড়বে, কিংবা অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়তে কোথা থেকে অর্থ আসবে। আমাদের দেশের ক্ষমতাসীন ও অর্থলোভীদের অবস্থাও তাই হয়েছে। একদিকে চলছে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে অন্যায় ভাবে ছাত্রলীগের লাঠিয়াল বাহিনী, পুলিশ ওঅন্যান্য সন্ত্রাসী বাহিনীর দমন নিপীড়ন, অন্যদিকে সম্পদের পাহাড় গড়ার লক্ষ্যে চলছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি,দুর্নীতি, সুদ ঘুষ আর রাহাজানি। তাদের চাঁদাবাজি থেকে বাদ পড়ছে না আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাইতুল্লাহ তওয়াফকারী হাজীরাও।

 

আর এ বিষয়টি নিয়ে আর টিভি নিউজের করা একটি আর্টিকেল তুলে ধরছি,  হজের মৌসুমে হজযাত্রীদের কাছ থেকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বিমান ভাড়া আদায় করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে বিমান ভাড়া না বাড়লেও প্রতিবছরই হাজিদের বিমান ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অবিচার ও অযৌক্তিক বলছে  হজ্জ এজেন্সিগুলো।

ধর্মমন্ত্রণালয়ও বিষয়টি এ নিয়ে কথা বলতেই রাজি নয়।

একজন সাধারণ যাত্রী বছরের যে কোনও সময় সৌদি আরব যেতে বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্সে ফিরতি টিকেটসহ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বিমান ভাড়া দেন। কিন্তু, হজযাত্রীদের কাছ থেকে একই বিমানের ভাড়া আদায় করা হয় কয়েকগুণ। এবছর হাজিদের বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা। যা গত বছরের চেয়ে ১৪ হাজার টাকা বেশি।

পৃথিবীর কোনও দেশে বিমান ভাড়া বাড়েনি, অথচ আমাদের দেশে বাড়ানো হচ্ছে। সাধারণ একটা সিট ৩৮ হাজার টাকায় নেয়া হয়। কিন্তু হজের জন্য সেটা এক লাখ ৩৮ হাজার হয়ে যাচ্ছে।

আমাদের পাশের দেশ ভারত থেকেও ৮৫০ ডলারে হাজিরা সৌদি যাচ্ছেন। আর আমাদের দেশে ১৫৭৫ ডলারে হাজি নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দেশ হওয়া সত্ত্বে দ্বিগুণ ব্যবধান।

ইমদাদ এয়ার ট্র্যাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. ইমদাদুল্লাই সাঈদ বলেন, উমরা যাত্রী পাঠানোর সময় ৪০ হাজার টাকা করে বিমান ভাড়া নেয়া হয়, বিমানের বক্তব্য অনুযায়ী ফ্লাইটটা খালি আসে। সেটা হলেও ভাড়া আসে ৮০ হাজার টাকা।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ‘হাব’ বলছে, বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স কোনও কারণ ছাড়াই সেচ্ছাচারীভাবে হাজিদের কাছ থেকে অযৌক্তিক ভাড়া আদায় করে।””

দেশের আরো কিছু হালচিত্র তুলে ধরছি,

বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ কাজে লোহার রডের বদলে বাঁশের পাতি দেওয়া হচ্ছে।  কাস্টমস বা শুল্ক বিভাগ, চোরাচালানীদের নিকট থেকে জব্দ করলেন সোনা এবং সেগুলো নিয়ম মোতাবেক জমা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে। কিছুদিন পর দেখা গেল, সোনা তামা হয়ে গিয়েছে! বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উড়ে গিয়েছে। কিশোর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বাস্তবতা টের পাওয়া গেল, হাজার হাজার গাড়ি রাস্তায় চলছে অথচ বিআরটিএ থেকে ফিটনেস না করিয়ে। টের পাওয়া গেল, গাড়ির চালকগণের যত সংখ্যা, প্রায় তিন ভাগের এক ভাগেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। বাস্তবতা হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স যাদের আছে তাদের মধ্যেও সবাই যে সুন্দরভাবে পাশ করে লাইসেন্স পেয়েছে তার কোনো গ্যারান্টি নেই। আমাদের দেশের প্রশাসন কত মেকি, কত ছদ্মবেশ পরা। সীমাহীন আসমানের দিকে স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে; ইন্টারনেট সেবা ফোর-জি থেকে ফাইভ-জি’তে নিয়ে যাচ্ছে; নিম্ন আয়ের দেশ থেকে প্রমোশনের বাণী শোনানো হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের ভিতরে যে এত ফাঁক-ফোঁকর, এতো শুভঙ্করের ফাঁকি তা সাধারণ জনতা এখনো বুঝতে সক্ষম হচ্ছে না।   আর যতটুকুই বুঝতে পারছে তাতেই বা কী লাভ? সাময়িক একটু আন্দোলন করলেই সবকিছু ঠিক হওয়ার নয়। কেননা সকল কিছু চলছে প্রশাসনের প্রভাবশালী এমপি মন্ত্রীদের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। সুতরাং সকল কিছুর সমাধান একটাই চলমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ছুড়ে ফেলে ইসলামিক জীবন ব্যবস্থাকে আঁকড়ে ধরা।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × five =

Back to top button