পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বার্তা : শরীয়ত না হয় শাহাদাত -শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ)
পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বার্তা
শরীয়ত না হয় শাহাদাত
শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ)
Vedio Download Link
https://archive.org/details/PeopleOfThePakistanbangla-SheikhOsamaBinLadinha
————-
পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বার্তা
শরীয়ত না হয় শাহাদাত
শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ)
আউযুবিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বনীর রজিম…….
وَقٰتِلُوْهُمْ حَتّٰى لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ وَّيَكُوْنَ الدِّيْنُ لِلّٰهِ
তোমরা তাদের সাথে লড়াই করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা নির্মূল হয় এবং জীবনব্যবস্থা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়….(সূরা বাকারাঃ১৯৩)
শরীয়ত না হয় শাহাদাত
শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ)
إن الحمد لله. نحمده ونستعينه ونستغفره. ونعوذ بالله من شرور أنفسنا و من سيآت أعمالنا. من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له. وأشهد أن لا إله إلاالله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده ورسوله. أما بعد:
আমার প্রিয় পাকিস্তানের মুসলিম ভাইয়েরা,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। আজ আমি আপনাদের সামনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং মুজাহিদীনদের সাথে সোয়াত ও (আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের) সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সংঘটিত যুদ্ধের ব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ، حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ»
“তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত সত্যিকার ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না নিজের জন্য যা পছন্দ করবে অন্য ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে”।(বুখারী, মুসলিম)
সত্যিকারভাবে, আমি আপনাদের জন্য তাই পছন্দ করি যা আমি আমার নিজের জন্য পছন্দ করে থাকি।আর আমি আমার নিজের জন্য যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি তা হলো আমি যেন জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। কেননা, সত্যিকার অর্থে এটিই হলো বিরাট সফলতা। আমি আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাদের সবাইকে জান্নাতের অধিবাসী করে দেন। আর এই বিষয়টিই আমি আপনাদের জন্য সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি এবং আমি চাই আপনারাও তা অর্জনের চেষ্টা করুন।
হে আল্লাহর বান্দারা! আমরা সবাই এই দুনিয়ায় একটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন, আল্লাহ তা’আলার এই বাণীকেঃ
الم ﴿١﴾ أَحَسِبَ النَّاسُ أَن يُتْرَكُوا أَن يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ ﴿٢﴾ وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ ۖ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ ﴿٣﴾
“আলিফ-লাম-মীম। মানুষ কি (এটি) মনে করে নিয়েছে, তাদের (শুধু) এটুকু বলার কারণেই ছেড়ে দেয়া হবে যে, আমরা ঈমান এনেছি এবং তাদের (কোন রকম) পরীক্ষা করা হবে না! আমি তো সেসব লোকদেরও পরীক্ষা করেছি যারা এদের আগে (এভাবেই ঈমানের দাবী করে) ছিলো। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা নিশ্চয়ই তাদের ভালো করে জেনে নেবেন যারা (ঈমানের দাবীতে) সত্যবাদী; আবার (ঈমানের) মিথ্যা দাবীদারদেরকেও তিনি অবশ্যই জেনে নেবেন”। (সূরা আন-কাবূতঃ ১-৩)
আজ আমরা এরকমই একটা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আর তা হলো-ইহুদী-খ্রিস্টান মিত্র বাহিনী এবং তাদের সহযোগী মুরতাদ শাসকেরা এই উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতার একটি অংশ হচ্ছে, আমেরিকা এবং জারদারীর সরকার তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে যারা সোয়াত উপত্যকা ও সীমান্ত এলাকায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। তাই আপনার হিসাব নেয়ার পূর্বেই আপনার হিসাব আপনি নিজেই করুন। এবং আপনার আমলগুলোকে মাপার পূর্বেই আপনি নিজেই নিজের আমলগুলোকে মেপে দেখুন।
এটি আল্লাহর অনুগ্রহ যে, এই পরীক্ষাটি আমাদের কাছে খুব সহজ এবং এটি বোঝার জন্য বেশি কষ্ট করার প্রয়োজন হয় না। এটি যদি সহজ ও পরিষ্কার ভাষায় বলা যায় তাহলে বলতে হয়, আপনি কি আল্লাহর শরীয়াহ প্রতিষ্ঠাকারীদের পক্ষে না কি এর বিপরীতে আপনি আমেরিকা, জারদারী ও তার সহযোগীদের পক্ষে? যদি আপনি প্রথম দলের পক্ষে হোন তাহলে আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করুন যে, তিনি আপনাকে তাঁর দ্বীনের প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে এবং এর জন্য কাজ করতে তৌফিক দান করেছেন। আপনি আল্লাহর পথে এই জিহাদকে চালিয়ে যান। কিন্তু যদি আপনি জারদারী ও তাঁর সেনা বাহিনীর সহযোগী হোন, তাহলে আপনি মারাত্মক বিপদের মধ্যে আছেন। যদি আপনি এই অবস্থায় মারা যান তাহলে আপনাকে হয়তো নিকৃষ্ট ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। আর এটিই হচ্ছে সুস্পষ্ট ক্ষতি। কেনইবা এমনটি হবে না যখন আল্লাহ তা’আলা নিজেই ঐ সকল ব্যক্তির ঈমানের দাবীকে অস্বীকার করেছেন যারা শরীয়াহ প্রত্যাবর্তনে সন্তুষ্ট নয়। মহান আল্লাহ বলেনঃ
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿٦٥﴾
“না, তোমার মালিকের শপথ, এরা কিছুতেই ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না তারা তাদের যাবতীয় মতবিরোধের ফায়সালায় তোমাকে (শর্তহীনভাবে) বিচারক মেনে নেবে। অতঃপর তুমি যা ফায়সালা করবে সে ব্যাপারে তাদের মনে আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে না বরং তোমার সিদ্ধান্ত তারা সর্বান্তকরণে মেনে নেবে।” (সূরা নিসাঃ৬৫)
আপনি জেনে রাখুন, একজন ব্যক্তির অন্তরে কখনোই আল্লাহতা’আলার প্রতি ঈমান এবং শরীয়াহর শত্রু ও তাদের সহযোগীদের প্রতি ভালোবাসা একই সাথে অবস্থান করতে পারে না। যদি এই শত্রু আমাদের নিজেদের পিতা-মাতা এবং ভাই-বোন হয় তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
তাহলে সেখানে জারদারী ও তার সেনাবাহিনীর অবস্থান কোথায়? আল্লাহ তা’আলার এই বাণীকে চিন্তা করে দেখুনঃ
لَّا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ ۚ أُولَٰئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَأَيَّدَهُم بِرُوحٍ مِّنْهُ ۖ وَيُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ۚ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ۚ أُولَٰئِكَ حِزْبُ اللَّهِ ۚ أَلَا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ﴿٢٢﴾
“(হে রাসূল), আল্লাহ তা’আলা ও পরকালে ঈমান এনেছে এমন কোনো সম্প্রদায়কে তুমি কখনো পাবে না যে তারা এমন লোকদের ভালোবাসে যারা আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে যদি সে (আল্লাহ বিরোধী) লোকেরা তাদের পিতা,ছেলে, ভাই কিংবা নিজেদের জাতিগোত্রের লোকও হয় তবুও নয়; এ আপোষহীন ব্যক্তিরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের অন্তরে আল্লাহ তা’আলা ঈমান (এর ফায়সালা) এঁকে দিয়েছেন এবং নিজস্ব গায়বী মদদ দিয়ে তিনি (এ দুনিয়ায়) তাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছেন। কেয়ামতের দিন তিনি তাদের এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে; সর্বোপরি, আল্লাহ তা’লা তাদের ওপর প্রসন্ন হবেন এবং তারাও (সেদিন) তাঁর ওপর সন্তুষ্ট হবে। এরাই হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার নিজস্ব বাহিনী। আর হ্যাঁ,আল্লাহর বাহিনীই (শেষতক) কামিয়াব হয়”।( সূরা আল-মুজাদালাহঃ২২)
তিনি আরো বলেনঃ
وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَن مَّوْعِدَةٍ وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِّلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ ۚ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ ﴿١١٤﴾
“ইবরাহীমের স্বীয় পিতার জন্যে মাগফেরাতের ব্যাপারটি একটি ওয়াদা পালন ছাড়া আর কিছুই ছিল না, যা সে তার পিতার সাথে আগেই করে রেখেছিল। এ (ব্যতিক্রমটা) ছিলো শুধু তার এ কাজের জন্যেই। কিন্তু যখন এ কথা তাঁর সামনে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, সে অবশ্যই আল্লাহর দুশমন তখন সে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেললো। অবশ্যই ইবরাহীম ছিলো কোমল হৃদয় ও সহানুভূতিশীল।” (সূরা তাওবাহঃ১১৪)
আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের( এই বাণীর বিষয়েও চিন্তা করে দেখুন, যেখানে তিনি বলেছেনঃ
أَوْثَقُ عُرَى الْإِيمَانِ الْحَبُّ فِي اللَّهِ وَالْبُغْضُ فِي اللَّهِ.
“ঈমানের শক্তিশালী হাতল হচ্ছে আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ত্ব করা ও আল্লাহর জন্য শত্রুতা করা, আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও আল্লাহর জন্য ঘৃণা করা”। (আহমাদ)
হে আল্লাহর বান্দারা!
নিজেদেরকে ও নিজেদের দ্বীনকে হেফাজত করুন। দুনিয়ার এ জীবন যেন আপনাকে প্রতারিত করতে না পারে। কবরের ব্যাপারে সাবধান হোন; কারণ বাস্তবিকই এটি খুবই কঠিন ব্যাপার (বাস্তবিকই কবরের পরীক্ষা খুবই কঠিন)। প্রত্যেকেই তার পরিবারের মধ্যে আমোদ-প্রমোদে থাকে অথচ মৃত্যু হচ্ছে তার জুতার ফিতার (শাহরগ) চেয়েও নিকটবর্তী। এই দুনিয়ায় তো আমরা মাত্র কয়েকদিনের জন্য এসেছি যা আমাদেরকে অবশ্যই ছেড়ে চলে যেতে হবে। আগামীকাল আমাদের সবাইকে আমাদের কবরের মধ্যে যেতে হবে। বস্তুতঃ যার অন্তর্দৃষ্টি আছে একমাত্র সে-ই জানে, আগামীকাল খুব বেশি দূরে নয়। তখন আমাদের প্রত্যেককেই কবরের মধ্যে জিজ্ঞাসা করা হবে যে, ” তোমার রব কে? তোমার দ্বীন কি? তোমার নবী কে?” রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: ” مَنْ قَالَ: رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا، حِينَ يُمْسِي ثَلَاثًا، وَحِينَ يُصْبِحُ ثَلَاثًا، كَانَ حَقًّا عَلَى اللهِ أَنْ يُرْضِيَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ “
“কেউ যদি সকাল-সন্ধ্যায় বলে ‘আমি আল্লাহকে প্রভূ হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবীরূপে লাভ করে পরিতুষ্ট’ তবে আল্লাহর উপর তার অধিকার হয়ে যায় যে, তিনি তাকে সন্তুষ্ট করবেন”।(আহমাদ)
আল্লাহ তা’আলার শরীয়াহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা তো দূরের কথা যে ব্যক্তি এর প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, আল্লাহ তা’আলাও তার প্রতিও কখনো সন্তুষ্ট হবেন না। এবং এক সময় সে এর জন্য অনুশোচনা করবে; যখন এই অনুশোচনা তার কোনই কাজে আসবে না। যে ব্যক্তি ইসলামকে তার দ্বীন হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছে; তার জন্য এটি বাধ্যতামূলক দায়িত্ব যে, সে জারদারী ও তার সেনাবাহিনী যারা শরীয়াহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে -তাদেরকে নিজেদের হাত দিয়ে বাধাপ্রদান করবে। যদি তা করার সামর্থ্য না থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই মৌখিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। যদি তাও করার সামর্থ্য না থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই অন্তর দ্বারা একে বর্জন ও ঘৃণা করতে হবে এবং এর নীচে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও অবশিষ্ট থাকে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“আমার পূর্বে যখনই কোন নবী প্রেরিত হয়েছিল, তার উম্মত ও সাথীরা তার আদেশ মান্য করেছে ও তার শিক্ষা অনুসরণ করেছে। অতঃপর পরবর্তীতে যারা আসত তারা যা বলতো তা আমল করতো না এবং যা আমল করতো তা ওহী থেকে আদিষ্ট ছিল না। সুতরাং যে তাদের বিরুদ্ধে হাত দিয়ে যুদ্ধ করে সে মু’মিন; যে মৌখিকভাবে যুদ্ধ করে সে মু’মিন; যে অন্তর দিয়ে যুদ্ধ করে সেও মু’মিন; কিন্তু এর নীচে কোন ঈমান অবশিষ্ট থাকে না।” (সহীহ মুসলিম)
হে আল্লাহর বান্দারা!
আগামীকাল আপনি মহান আল্লাহর দরবারে কী জবাব দিবেন যদি আপনি তাদের পক্ষে হোন যারা আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠাকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তারা তো আল্লাহদ্রোহীদের পক্ষে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। আর আপনি আপনার কথা ও অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ঐ সময়ে আপনার কাছে এই প্রশ্নের কি জবাব হবে যে, আপনি একদিকে আল্লাহর শত্রুদেরকে তো ভালো বলছেন আর অপরদিকে, মুজাহিদীনদের উপর অপবাদ আরোপ করার চেষ্টা করছেন; ঠিক একই অপবাদ যা হোয়াইট হাউজের নেতারা মুজাহিদীনদের ব্যাপারে বলে থাকে যে, এরা হচ্ছে ধ্বংসকারী ও সন্ত্রাসী। যখন আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে, “তোমার দ্বীন কি ছিলো?” আপনি কি তখন মিথ্যা বলতে পারবেন? যদি তা বলেনও তখন আপনার এই মিথ্যা কি কোন কাজে আসবে?
আপনি যদি বলেন যে, আপনার দ্বীন হচ্ছে ইসলাম কিন্তু আপনাকে এর পতাকার নিচে না পেয়ে তার বিপরীতে ওবামা ও জারদারীর পতাকাতলে পাওয়া যায় যারা এই দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে, তাহলে কি আপনার এই দাবীকে গ্রহণ করে নেয়া হবে? মানুষকে তো ঐ পতাকা দিয়েই চিহ্নিত এবং আলাদা করা হয়ে থাকে যার সাথে তার ভালোবাসা ও বন্ধুত্ত্বের সম্পর্ক পাওয়া যায়। তাহলে আপনি নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন যে, আপনি কোন পতাকাতলে দাঁড়িয়ে আছেন। এ কথা আপনার অজানা থাকার কথা নয় যে, জারদারী আমেরিকার নৈকট্য লাভের আশায় আল্লাহ তা’আলার শরীয়াহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। আল্লাহ তা’আলা এ ধরনের মানুষের কথা তাঁর কিতাবের বহু জায়গায় বর্ণনা করেছেন, যারা আল্লাহদ্রোহীদের পক্ষে যুদ্ধ করে তারা কাফির; যাদের না জানাযার নামায পড়া যাবে, না তাদেরকে মুসলিমদের কবরে দাফন করা যাবে। আল্লাহতা’আলার এই বাণীটি একটু চিন্তা করে দেখুনঃ
الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا ﴿٧٦﴾
“যারা আল্লাহ তা’আলা ও রাসূলের উপর ঈমান এনেছে, তারা (সর্বদা) আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে। আর যারা (আল্লাহ তা’আলাকে) অস্বীকার করেছে তারা লড়াই করে তাগুতের (আল্লাহদ্রোহীদের) পথে। অতএব, তোমরা যুদ্ধ করো শয়তান ও তার চেলা-চামুন্ডাদের বিরুদ্ধে ;(তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলো না), অবশ্যই শয়তানের ষড়যন্ত্র খুবই দূর্বল”।(সূরা নিসাঃ ৭৬)
জারদারী এবং তার সেনাবাহিনী হচ্ছে শয়তানের সহযোগী। এই আয়াতে সেই সকল লোকদের ঐ মিথ্যা অভিযোগকেও খন্ডন করা হয়েছে যাদেরকে এই প্রশ্ন করতে দেখা যায় যে, “মুজাহিদীনরা কীভাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে যখন কি না এটি একটি মুসলিম বাহিনী?” অথচ এ বিষয়টি সবারই জানা যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমেরিকার সহযোগিতা ও দাবী পূরণের লক্ষ্যে নিজেরাই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে তাদের উপর হামলা করার জন্য এসেছে। এ বিষয়টিও কারো কাছে অজানা কিছু নয় যে, যদি কোনো মুসলিম কাফেরদের পক্ষ নেয় এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করে তাহলে তার এই কাজের জন্য সে ইসলাম থেকে বের হয়ে কাফের ও মুরতাদ হয়ে যায়। কেননা যেমনিভাবে অজুর বিনষ্টকারী বিষয় রয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে ঈমানেরও কিছু বিনষ্টকারী বিষয় রয়েছে যা করার ফলে একজন ব্যক্তির ঈমান বিনষ্ট হয়ে যায়। আর কুফফারদের সাথে বন্ধুত্ত্ব এবং ইসলামের বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা ইসলাম থেকে বের করে দেয়ার আমলগুলোর মধ্যেই একটি আমল। আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাবের মধ্যে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবেই এ বিষয় জানিয়েছেনঃ
۞ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَىٰ أَوْلِيَاءَ ۘ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ ۗ
” হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা (কখনো) ইহুদী-খ্রিস্টানদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। (কেননা) এরা নিজেরা (সবসময়ই) একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি (কখনো) এদের কাউকে বন্ধু বানিয়ে নেয় তাহলে সে তাদেরই দলভুক্ত হয়ে যাবে….”। (সূরা মায়েদাঃ৫১)
এটি হচ্ছে ইসলামের বিধান যে, “যে কেউ তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে, সে তাদেরই একজন হয়ে যাবে”। অন্যকথায়, সে তাদের মতোই কাফের হয়ে যাবে। নাসারা আমেরিকানদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনকারীরা এবং সাহায্য-সহযোগিতাকারী কারা? এটি কি জারদারী, তার সরকার এবং তার সেনাবাহিনীরা নয়? তাহলে এর পরে বুঝতে আর কি বাকি থাকতে পারে? যারা কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ত্ব স্থাপন করবে তারা তাদের মতোই কাফের হয়ে যাবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আবশ্যক হয়ে যায় যদিও তারা নামাজ পড়ে, রোজা রাখে এবং নিজেদেরকে মুসলিম মনে করে। এখানে আমি আপনাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, রাশিয়ানরাও আফগান সেনাবাহিনী থেকে মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সহযোগিতা নিত। আর আজ আমেরিকা ঠিক একই কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামিক বিশ্বের আর প্রতিটি দেশের সেনাবাহিনী এবং এর শক্তিগুলো এই উম্মাহর শত্রুদের হাতের ক্রীড়ানকে পরিণত হয়ে গেছে; তা বাহিরের শত্রুর দ্বারাই হোক অথবা ভিতরের শত্রুর দ্বারা কিংবা উভয়ভাবেই হোক না কেন। এভাবে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এটি আরো পরিষ্কার হয়ে গেছে গাজাতে সর্বশেষ হামলা করার পর থেকে, যেখানে আরব সেনাবাহিনীরা অংশগ্রহণ করেছিল রাফাহতে ইহুদিদের সাথে আমাদের প্রিয় মুসলিম ভাইদেরকে দমন করার জন্য। আর অন্যদিকে, রাফাহ এর আরেক অংশ মুজাহিদীনদের প্রতিরোধ করছে যাতে তারা ফিলিস্তিনের ভাইদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে না পারে। মুজাহিদীনরা পূর্বেও রুশ ও তার মিত্র আফগান সেনাবাহিনী উভয়ের সাথে একই সময়ে যুদ্ধ করেছিল। কারণ তাদের উভয়ের ব্যাপারে শরীয়তের বিধান একই ছিল। পাকিস্তান ও মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের উলামাগণ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ফাতওয়াও দিয়েছিলেন এই কারণে যে, তারা কাফিরদের সাথে একই কাতারে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করে যাচ্ছিল যদিও তারা নামাজ পড়ে, রোজা রাখে এবং নিজেদেরকে মুসলিম বলে মনে করে। শিক্ষা নেয়ার জন্য এই উদাহরণটি-ই যথেষ্ট।
আজ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একই অবস্থা। তারা এবং আমেরিকা একই কাতারে দাঁড়িয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। সত্যিকার ঈমানের দাবীদারের জন্য এটি একটি আবশ্যক দায়িত্ব যে, তারা তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাবে। আর যারা এ কথা দাবি করে যে, তারা বাধ্য হয়ে মুসলিমদের হত্যা করছে, এ ধরনের বাধ্যবাধকতা দ্বীনের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক মুসলিমই এই মিথ্যা দাবীর ফাঁদে পড়েছেন। এমনকি জারদারীর অনুসারীদেরকেও এই দলিল দিতে দেখা যায় যে, তারা নিরুপায় হয়ে পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তারা যদি তা না করে তাহলে আমেরিকা ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, কিছু সাধারণ মুসলিমও সঠিকভাবে চিন্তাভাবনা না করে ও জ্ঞান ছাড়াই একই ধরনের কথা বলছেন। এর উদাহরণ হচ্ছে ঐ জালেম লোকের মতো যে হুমকি দেয় যে, যদি তুমি তোমার সন্তান ও ভাইদেরকে হত্যা না কর তাহলে আমি তোমাকে হত্যা করবো। আপনি নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন,আপনি কি আপনার জীবন বাঁচানোর জন্য তাদেরকে হত্যা করবেন নাকি ঐ জালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন? যদি আমরা ধরেও নেই যে, তার বিরুদ্ধে আপনার যুদ্ধ চালানোর সামর্থ্য নেই তাহলে একমাত্র আপনিই এই মুসিবতে নিমজ্জিত আছেন। এটি আপনার জন্য গ্রহণযোগ্য ওজর হবে না যে, আপনি আপনার নিজের প্রাণ বাঁচানোর স্বার্থে একটি নিরপরাধ প্রাণকে হরণ করবেন।
তাদের এই নিরুপায় হয়ে করার দাবীর প্রপাগাণ্ডা যদি আমরা মেনেও নেই তাহলে এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে যে, আমরা ঐ সকল মুরতাদ শাসকদেরকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিবো যাতে তারা আল্লাহ তা’আলার দ্বীনকে ধ্বংস এবং এর পরিবর্তে তাদের নিজেদের ও তাদের প্রভূদের মনগড়া ব্যবস্থা কায়েম করতে পারে। এই কথা আল্লাহ তা’আলার বাণী এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) উপর নাযিলকৃত ওহীর সম্পূর্ণ বিপরীত, এবং আল্লাহ তা’আলার দেয়া নির্দেশ থেকে অনেক দূরে। যিনি তাঁর কিতাবের মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে, দ্বীনের সমস্ত বিষয়ই একমাত্র আল্লাহর জন্য নিবেদিত করতে হবে।
হে আল্লাহর বান্দারা! সাবধান থাকুন! আপনি তাদের মতো হবেন না যাদের ব্যাপারে আল্লাহতা’আলা বলেছেনঃ
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ فَإِذَا أُوذِيَ فِي اللَّهِ جَعَلَ فِتْنَةَ النَّاسِ كَعَذَابِ اللَّهِ وَلَئِن جَاءَ نَصْرٌ مِّن رَّبِّكَ لَيَقُولُنَّ إِنَّا كُنَّا مَعَكُمْ ۚ أَوَلَيْسَ اللَّهُ بِأَعْلَمَ بِمَا فِي صُدُورِ الْعَالَمِينَ ﴿١٠﴾ وَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْمُنَافِقِينَ ﴿١١﴾
“মানুষের মাঝে কিছু এমনও আছে যারা (মুখে) বলে, আমরা আল্লাহ তা’আলার উপর ঈমান এনেছি কিন্তু যখন তাদের আল্লাহর পথে (চলার জন্য) কষ্ট দেয়া হয় তখন তারা মানুষের এ পীড়নকে আল্লাহ তা’আলার আযাবের মতোই মনে করে। আবার যখন তোমার মালিকের কোন সাহায্য আসে তখন তারা (মুসলমানদের) বলতে থাকে, অবশ্যই আমরা তোমাদের সাথে ছিলাম; (এরা মনে করে) আল্লাহ তা’আলা কি সৃষ্টিকুলের (মানুষের) অন্তরের গোপন বিষয় সম্পর্কে মোটেই অবগত নন। আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই তাদের ভালো করে জেনে নিবেন যারা ঈমান এনেছে; আবার তিনি মুনাফিকদেরও ভালো করে জেনে নিবেন।” ( সূরা আন-কাবূতঃ১০-১১)
সাবধান থাকুন! জারদারী এবং ইউসুফ রাজা গিলানির প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া থেকে। কারণ তারা উভয়েই আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) মিল্লাত থেকে বের হয়ে গিয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত আছে। আপনার উপর এটি বাধ্যতামূলক যে, আপনি তাদের এবং তাদের সহযোগী সবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন, বিশেষ করে তাদের ঐ সকল দুনিয়াদার আলেম এবং শয়তানী মিডিয়া থেকে যারা এইমাত্র কয়েক দিন পূর্বেও সাবেক দালাল (মোশাররফ) এর সেই নিষ্ঠুর কুকর্মগুলোকে ঢাকার কাজে নিয়োজিত ছিল যখন কি না সে লাল মসজিদের মধ্যে আক্রমণ চালিয়ে সেখানকার মহিলা ও পুরুষ উভয়দেরকেই নির্বিচারে হত্যা করে যাচ্ছিল, যাদের এ ছাড়া আর কোনো অপরাধই ছিল না যে, তারা আল্লাহ তা’আলার শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়েছিল। শুধুমাত্র আমেরিকার সন্তুষ্টি লাভের আশায় ঐ সকল নির্দোষদের পবিত্র রক্ত ঝরানো হয়েছে যারা রুকু এবং সিজদাহরত অবস্থায় ছিল। এই কাজের উপর আমেরিকা খুশি হয়ে পারভেজকে অনেক বাহবা দিয়েছে। আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর ঐ আযাব নাযিল করুন যে আযাবের তারা উপযুক্ত।
আজ এই দুনিয়াদার আলেমরা নতুন দালালকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে ঐ একই নিকৃষ্ট ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কোন মুসলমানেরই তাদের এই নিফাক্ব ও কুফরের ব্যাপারে সন্দেহ নেই। তারা নিজেদের জান ও মাল বাঁচানোর জন্য ইসলাম ও মুজাহিদীনদের কুরবানী করার জন্য প্রস্তুত আছে। এই সকল লোকদেরকে মুরতাদদের পক্ষে কাজ করা থেকে স্বশরীরে প্রতিরোধ করা ওয়াজিব।
সার-সংক্ষেপ কথা হচ্ছে, আসিফ জারদারী এবং আশফাক্ব কিয়ানী সেনাবাহিনীকে ইসলাম, ইসলামের অনুসারী এবং তাদের ভূমি রক্ষার মতো কাজকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেয়ার পরিবর্তে ইসলাম এবং যারা এর প্রতিষ্ঠার দাবী করছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত করার কাজে নিয়োজিত রেখেছে। আর তাদেরকে পাশতুন ও বালোচ গোত্রের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-ফাসাদ ও হত্যাকাণ্ডের মধ্যে লিপ্ত রেখেছে । অথচ বাস্তবতা হচ্ছে পাকিস্তানের অধিকাংশ জনগণই এই ধরনের জুলুম-নির্যাতনকে সমর্থন করে না। জারদারী এ সকল কাজগুলো হোয়াইট হাউসে বসে থাকা তার ঐ সকল মনিবদের নির্দেশে করে যাচ্ছে, যারা তাকে শতকরা দশ ভাগ নয় বরং অনেক সময় তার চেয়েও অনেক বেশি দিচ্ছে। এটি দ্বীন ও এই উম্মাহর সাথে এক বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে। সে শুধু পাকিস্তানের অর্থনীতিকেই ধ্বংস করছে না বরং জায়নিষ্ট ইহুদী-খ্রিস্টানদের ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার চেয়েও অনেক বড় ধরনের ক্ষতি করে যাচ্ছে অর্থাৎ এই যুদ্ধের মাধ্যমে সে পাকিস্তানের মধ্যে ইসলাম, এর নিরাপত্তা এবং একতাবদ্ধতাকে বিনষ্ট করছে। এ পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য এটি খুব সহজ হয়ে যাবে যে, তারা পাকিস্তানের একের পর এক প্রদেশগুলোকে বিভক্ত করে দিতে এবং তা দখল করে নিতে পারবে। এবং পাকিস্তানের ঐ একই অবস্থা করবে যেমনটি তারা করেছিল পূর্ব পাকিস্তানের ( বর্তমান বাংলাদেশ) সাথে অথবা তার চেয়েও নিকৃষ্ট কিছু। এই ভাবে আমেরিকা তার গলার কাঁটা পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার বোমা থেকে মুক্তি পাবে। এর চেয়েও নিকৃষ্ট হচ্ছে ভারত তাদের সাথে মিলে মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। এটি পাকিস্তানের সকল মুসলিমের দায়িত্ব যে, তারা সবাই মিলে জারদারী এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করবে, যারা তাদের দ্বীন,এর নিরাপত্তা, একতাবদ্ধতা এবং অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তাদেরকে উৎখাত করার জন্য অবিরামভাবে চেষ্টা চালাবে এবং তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদেরকে পাকড়াও করবে।
পারভেজের মাধ্যমে পাকিস্তানের এক বিরাট ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু জারদারী আমেরিকার কথামত যা করছে তা তার চেয়েও মারাত্মক। জারদারী এবং তার সেনাবাহিনীর ফিতনা থেকে মুক্ত হওয়ার একটিই মাত্র পথ আছে আর তা হল শুধুমাত্র আল্লাহর পথে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাওয়া। এদের ব্যাপারে আল্লাহতা’আলা কুরআনে পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেনঃ
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ ۚ
“(হে ঈমানদার লোকেরা!) তোমরা কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাক, যতক্ষণ না (আল্লাহর যমীনে কুফুরীর) ফিতনা নির্মূল হয়ে যায় এবং দ্বীন সম্পূর্ণ আল্লাহতা’আলার জন্যেই (নির্দিষ্ট) হয়ে যাবে….”. (সূরা আনফালঃ৩৯)
এখান থেকে আপনাকে অবশ্যই এ কথা বুঝে নেওয়া উচিত যে, যে মুরতাদ বাহিনী তাদের পুরো শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে ইসলামি শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার কাজকে বাধা প্রদান করে আসছে। তাদের কাছ থেকে আর কিইবা ভালো আশা করা যেতে পারে! যদিও আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইসলামী শরীয়াহ; কিন্তু এটি তাদের কাছে কোনো মূল্য পায় না। তাহলে তাদের কাছে এর থেকে কম মূল্যবান বিষয় যেমনঃ আমাদের রক্ত, সম্মান, ভূমি এবং সম্পদ কিইবা মূল্য রাখে! আর এটি বোঝা তো কঠিন নয়। এখন তাদের উপরে একমাত্র মূর্খ এবং মুনাফিকরা ছাড়া আর কেইবা ভরসা করতে পারে! এই বাহিনী কাশ্মীরকে আর কি পুনরুদ্ধার করবে বরং এরা তো উলটো পাকিস্তানকেই ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছায় পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য একমাত্র মুজাহিদীনরাই এগিয়ে আসবে।
আমার বক্তব্য শেষ করার পূর্বে আমি আমেরিকাকে কয়েকটি বার্তা দিবো। সময়ের স্বল্পতা থাকার কারণে আমি শুধু ঐ বিষয়গুলোই আলোচনা করবো যা আমার এই বক্তব্যের সাথে সংশ্লিষ্ট; বাকি বিষয়গুলোকে আমি আমার পরবর্তী বার্তার মধ্যে বলবো ইনশাআল্লাহ। আমেরিকায় চিন্তাশীল, বুদ্ধিমান এবং ন্যায়বান অনেক ব্যক্তি যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতির সাথে জড়িত তারাও আমি যা বলেছি তা বুঝতে পেরেছে। যার ফলে অনেক মানুষই আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ করতে ও তাদের থেকে প্রতিশোধ নিতে তৈরি হয়ে গিয়েছে।যদিও এ কথাগুলো হোয়াইট হাউজের বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাদের কানের বধিরতার কারণে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।
বস্তুত আমি বলবো ৯/১১ এর আক্রমণ পরিচালনাকারী ঐ মুক্ত মনের যুবকেরা, যারা নিজেরা কোন প্রকারের যুলুম নির্যাতনের তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেন নি যা তাদেরকে নিজেদের ঘরবাড়ি ও দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে তাবুতে অবস্থান করতে এবং ক্ষুধার্ততার সম্মুখিন বাধ্য করেছে। বরং আমেরিকানদের অস্ত্র এবং ইহুদীদের হাতের মাধ্যমে সংঘটিত ফিলিস্তিনের ভাইদের উপর যুলুম-নির্যাতনের কথা শুধু ঐ উনিশ যুবকদের মধ্যে প্রত্যেকে শুনেছিল। এতেই তারা তাদের বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ছেড়ে দিয়ে সবার আগে ফিলিস্তিনের ভাইদেরকে যুলুম থেকে রক্ষা করার জন্য জালেম আমেরিকাকে এর উপযুক্ত শিক্ষা দিতে ঝাপিয়ে পড়েছিল। আর যদি এ সব যুলুম-নির্যাতন তাদের নিজেদের উপর হত তাহলে তারা কি ধরনের প্রতিশোধ গ্রহণ করতো এর অনুমান করা কোন কঠিন কাজ নয়। ওবামা-জারদারীকে সোয়াতের প্রতিষ্ঠিত শরীয়াহকে বাধা দেয়ার জন্য হত্যা,বোম্বিং এবং ধ্বংসাত্মক কাজের যে নির্দেশনা দিয়েছিল, এতে লক্ষ লক্ষ মুসলিম মহিলা, বৃদ্ধ এবং শিশুদেরকে তাদের নিজেদের ঘর ও এলাকা থেকে হিজরত করতে এবং খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে তাবুতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। এর পরিণতি খুবই পরিষ্কার যে, ওবামা এবং তার সরকার নিজেদের জন্য ঘৃণা এবং প্রতিশোধের এক নতুন আগুন জ্বালিয়েছে। ঘৃণা ও প্রতিশোধপরায়ন লোকদের সংখ্যা সোয়াত ও উত্তর-দক্ষিন ওয়াজিরিস্তানের উপজাতীয় এলাকায় অবস্থিত প্রভাবিত লোকদের ও তাদের প্রতি সহমর্মিতা পোষণকারীদের সংখ্যা বরাবর। ইসলামের সাথে শত্রুতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মাধ্যমে ওবামা তার পূর্বসূরীদের পথই অনুসরণ করে যাচ্ছে, তাই আমেরিকার জনসাধারণকে আসন্ন কয়েক বছরে নিজেদের নির্বাচিত হোয়াইট হাউজের নেতারা যে বীজ বপন করেছে তার ফসল কাটার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।
পরিশেষে, আমি নিজেকে এবং আমার ভাইদেরকে কবি ইউসুফ আবু হেলালার কবিতার কয়েকটি লাইন দিয়ে উদ্বুদ্ধ করতে চাইবো। আমি এটি মুসলিম উম্মাহর মুজাহিদীন ভাইদের উদ্দেশ্যে, বিশেষ করে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মুজাহিদীনদের জন্য; পশতুন মুজাহিদীন ভাইদের জন্য এবং বিশেষ করে তাঁর প্রতি যিনি ঈমানদারদের নেতা মোল্লা মুহাম্মদ উমার তাঁর প্রতি নিবেদন করছি। আল্লাহ তা’আলা তাদের প্রতি বিজয় দান করুন। এরা ঐ সকল মানুষ যারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কুফরের বিরুদ্ধে উম্মতের পক্ষ থেকে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে জিহাদের সবচেয়ে বড় এবং গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। আমি আল্লাহ তা’আলার কাছে দু’আ করি, তিনি যেন তাদের পা-কে দৃঢ় রাখেন, তাদের লক্ষ্যকে দিক-নির্দেশনা দান করেন, তাঁদের শহীদদেরকে কবুল করে নেন এবং তাঁদের আহতদেরকে দ্রুত আরোগ্য দান করেন। তিনি তাঁর নিজের পক্ষ থেকে তাঁদের উপর সাহায্য নাযিল করুন এবং তাঁদের শত্রুদেরকে পরাজয় দান করেন। এবং দুনিয়া ও আখিরাতে তারা যা হারিয়েছে তার চেয়ে উত্তম কিছু তাদেরকে দান করেন। বস্তুতঃ তিনিই হচ্ছেন সেই সত্ত্বা যিনি এগুলোকে কবুল করার সামর্থ্য রাখেন। এর সাথেই আমি আমার নিজেকে এবং আমার ভাইদেরকে প্রকাশ্যে এবং গোপনে আল্লাহ তা’আলার ভয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, এবং আমি তাদেরকে বলবো, ধৈর্য্য ধরুন এবং ধৈর্য্যের ব্যাপারে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করুন এবং আপনারা এটা নিশ্চিতভাবে জেনে রাখুন যে, আপনারাই সত্যের উপরে আছেন। শরীয়াহর ছায়াতলে যদি আমরা বাঁচতে না পারি তাহলে বেঁচে থাকার চেয়ে এমন সম্মানের মৃত্যুই আমাদের কাছে অধিক পছন্দনীয়। আল্লাহ তা’আলা আপনাদের সবার উপরে রহমত বর্ষণ করুন। দৃঢ় পায়ে অটল থাকুন এবং আন্তর্জাতিক কুফর এবং এর সহচরদের বিরুদ্ধে একটি দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখুন এর পথ যতই কঠিন আর এর সহযোগী যতই কম হোক না কেন এবং লক্ষ্য রাখুন, আপনার দূর্বলতার কারণে শত্রুরা যেন মুসলিমদের কাছে পৌঁছাতে না পারে।
তুমি আল্লাহ তা’আলার দ্বীনের জন্য
সবচেয়ে সম্মানিত পতাকা উত্তোলন করেছ
তোমার শ্লোগান হচ্ছে তাওহীদ
এবং আল্লাহু আকবার
কোনো প্রকারের ভয়-ভীতি ছাড়াই তুমি
সমুদ্রতুল্য মৃত্যুকে অতিক্রম করছো
যারা ভয় করে না মৃত্যুকে
ভয় করে না অন্য কোনো কিছুকেই
তোমার পথ অনুসরণ করা হচ্ছে
খুবই কঠিন ও ভয়ংকর
এর মধ্যে আছে অনেক ধরনের
কুরবানী এবং বাধা-বিপত্তি।
তোমার পথ হচ্ছে এমন, যে পথে
দু’টি বিজয়ের একটি আসবেই
তোমার পথ হচ্ছে বিজয়ের এবং
আশ্চর্যজনক সাহায্যের পথ
অথবা এই দ্বীনের জন্য মৃত্যু
সম্মান এবং নিরাপত্তার পথ,
যে কেউ এই সুউচ্চ মর্যাদা
অর্জন করতে গিয়ে মারা গেল
বস্তুতঃ সে অব্যাহতি পেয়ে গেল।
এর সাথেই আমি আমার পুরো মুসলিম উম্মাহকে উদ্বুদ্ধ করবো যে, আপনারা মুজাহিদীনদের পাশে এসে দাঁড়ান এবং বিশ্বের প্রতিটি কোণায় তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করুন। এবং এই বিষয়টিও লক্ষ্য রাখুন যে, আন্তর্জাতিক কুফরী শক্তি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। তাই স্বশরীরে খৃষ্টান-ক্রুসেডারদের মোকাবিলা করার পাশাপাশি যাকাত ও অন্যান্য সাহায্য-সহযোগিতা করা আপনাদের উপর এখন ফরজ হয়ে গেছে।
পরিশেষে, আবু হেলালার কবিতার কয়েকটি লাইন আমি আপনাদের সামনে পেশ করছি..
আমি সকল তিরস্কারকারীর
তিরস্কারই পরিত্যাগ করেছি
এবং পরিত্যাগ করেছি তাদের
যারা হেদায়েতের পথ হতে অনেক দূরে।
যারা জীবন থেকে আর
কিছুই উপার্জন করতে পারে নি
শুধুমাত্র নিদ্রা আর অলসতা ছাড়া।
যারা বসে ছিল বসে থাকা লোকদের সাথে
যখন দাউ দাউ করে জ্বলছিল
যুদ্ধের আগুন তাদেরই চারপাশে।
যারা মনে করেছে তারা তাদের
লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে
যদিও তারা তাদের পথের মধ্যেই হারিয়ে গেছে।
আমি সম্মান জানাই তাদেরকে
যারা গত হয়ে গেছে
যারা কখনোই কাঠিন্যতাকে
পরোয়া করে নি
যারা কখনো তাদের গন্তব্য
থেকে পিছু হটে নি
যদিও এ পথে ছিল অনেক বিপত্তি।
যাদের রক্ত আলো ছড়ায়
সন্দেহের অন্ধকারে
হে দ্রুত ধাবমান অনভিজ্ঞ যুবক!
যে ক্লান্তি অনুভব করে না
সম্মানের তরী পাল তুলেছে
যদিও তা প্রবলভাবে আন্দোলিত হচ্ছে।
আলোয় ঝলসানো তলোয়ার
ঝলসাতে থাকে যখন তা উন্মোচিত হয়।
যখন ঝড় প্রবল বেগে আসতে থাকে
সবকিছু ধ্বংস করে যেতে থাকে
তুমি একজন মুজাহিদ হিসেবে বেঁচে থাক
যাদেরকে সম্মানের সাথে অনুসরণ করা হয়।
আফগানীরা কখনো জিহাদ ত্যাগ করে না
যদিও যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়
অথবা তারা অস্ত্রহীন থাকে।
তারা বেড়ে উঠে দুঃখ ও কষ্টে
এবং তারা বেড়ে উঠে জ্বলন্ত আগুনে
তাদের পোশাক হচ্ছে কষ্ট
এই কাপড় তারা কখনো খুলে না।
এই তাদের যমীন।
তেজী ঘোড়ার পায়ের চিহ্নে ভরপুর।
যার নিচে বোমার আঘাত প্রচুর।
তারা হচ্ছে জ্বলন্ত জাতি
তারা হচ্ছে উদ্যম জাতি।
যখন যুদ্ধে ডাকা হয়
তখন সব চূর্ণবিচূর্ণ করে।
তারা উদ্ধত, অহংকারী জাতি
দ্বারা লাঞ্চিত নয়।
কখনো তারা পরাজিত হয় না,
জাতির নেতারা সবসময়ই
সম্মানিত থাকে
সবসময়ই কাজে ব্যস্ত
কেউ কেউ আছে যারা বলে
তোমাদের জিহাদ সঠিক নয়।
আশ্রয় চাই আল্লাহর কাছে
ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
যে ব্যাপারে কারও সন্দেহ নাই।
হে উম্মত-এ-ইসলাম!
যারা পিছনে বসে আছ
তোমরা আসল ব্যাপার জানো না
তোমাদের এই কথা বলার
একমাত্র কারণ হচ্ছে
তোমাদের আগ্রহ পঙ্গু হয়ে গিয়েছে।
যাদের চিন্তা বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
শিক্ষা থেকে।
যাদের অন্তর দূরে চলে গিয়েছে
আল্লাহর ভয় থেকে;
তাদের কাজ সঠিক নয়
শিরকের আগুন কখনো
নির্বাপিত হবে না
আল্লাহর পথে রক্ত দেয়া ছাড়া।
আমাদের শেষ দু’আ হচ্ছে সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর।