খোরাসান (আফগানিস্তান)বার্তা ও বিবৃতিশাইখুল হাদিস হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাহ হাফিযাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

ঈদুল আযহা উপলক্ষে সম্মানিত আমিরুল মু’মিনিন শাইখুল হাদিস আল্লামা হেবাতুল্লাহ্ আখুন্দজাদা এর পক্ষ থেকে বিশেষ পয়গাম

[এই বার্তাটি অনুবাদ করেছেন ফেসবুকের না দেখা কয়েকজন ভাই। আল্লাহ তায়ালা ভাইদের কাজটি কবুল করুন। তাঁদেরকে মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছে দিন। আমিন। বার্তাটি ঈদের আগেই অনুবাদ হয়েছে এবং ফেসবুকে পোস্ট হয়েছে। ফোরামের ভাইদের দুয়া পাওয়ার জন্য পোস্ট করা হল। ]

ঈদুল আযহা উপলক্ষে সম্মানিত আমিরুল মু’মিনিন শাইখুল হাদিস আল্লামা হেবাতুল্লাহ্ আখুন্দজাদা এর পক্ষ থেকে বিশেষ পয়গাম :
بسم الله الرحمن الرحيم
الله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله والله أكبر، الله أكبر ولله الحمد
সর্বোচ্চ প্রশংসা সেই আল্লাহ্ সুবহান ওয়া তাআলার যিনি আমাদের ঈমানের মত নেয়ামত দিয়ে ধন্য করেছেন এবং আমাদের জন্য, সর্বোত্তম কিতাব, সর্বোচ্চ সম্মানিত রাসূল এবং সর্বোত্তম শরীয়াত বা বিধিবিধান প্রেরণ করেছেন! সকল প্রশংসা একমাত্র তাঁরই। সকল কল্যাণ তাঁর হাতে এবং সকল বস্তু তাঁর প্রতি প্রত্যাবর্তনশীল। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, আমাদের ইচ্ছার ব্যতিরেকে। আমদের কোন নির্বাচনক্ষমতা নেই (সৃষ্টির ক্ষেত্রে)। উভয় জগতের সম্মান ও মর্যাদা একমাত্র আল্লাহর, তাঁরই সিদ্ধান্ত এবং তোমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাবে।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক এবং তাঁর কোন শরীক নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল। যিনি আমাদের নিকট রিসালাত পৌঁছেছেন, তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পূর্ণরূপে পালন করেছেন, উম্মাহ্ কে হিদায়াত-নসিহাত শিক্ষা দিয়েছেন এবং আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করেছেন। তাঁর এবং তাঁর পবিত্র পরিবারের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আরো বর্ষিত হোক পবিত্র ও উত্তম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী সাহাবা আজমাঈন রাঃ এবং তাবিঈন ও তাবে তাবিঈন রহঃ গণের উপর।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
‘আপনার রবের উদ্দেশ্য সলাত আদায় করুন এবং কুরবানী করুন’। (সূরা কাউসার, আয়াত ২)
হে দেশবাসী, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভাই ও বোনেরা,
আস্ সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্ ওয়া বারাকাতুহু।
আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মুবারকবাদ জানাচ্ছি! আল্লাহ্ সুবহান ওয়া তাআলা আপনাদের ইবাদাত, কুরবানী, নেক আমলসমূহ ও যা কিছু আল্লাহ্র সন্তুষ্টির নিমিত্তে করে থাকেন, তার সবই কবুল করুন! ঈদুল আযহার এই সম্ভাষণ এর পাশাপাশি মুজাহিদিন ভাইদের বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানাতে চাই, বিশেষত সেইসব মুজাহিদ দের যারা যুদ্ধক্ষেত্রে, ব্যাপক বোমাবর্ষণ ও শত্রুসেনার আক্রমণ সত্বেও, জানামালের কুরবানীর উছিলায়, আল্লাহ্র ফযল ও বারাকাহ্ লাভ করে মর্যাদাপূর্ণ বিজয় লাভ করেছেন! এখনো বহু জেলা ও এলাকা হতে শত্রুরা বিতাড়িত হচ্ছে। সকল প্রশংসা আল্লাহ্র এবং ইমারাতে ইসলামিয়াহ্ এর শ্বেতশুভ্র পতাকা এখানেই উড্ডীয়মান!
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা,
দখলদারীত্বের প্রথম বছর আমাদের দায়িত্ব ছিলো শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কিন্তু এখন যখন আমাদের নিয়ন্ত্রনে দেশের অনেক জায়গা আছে, এটাই মোক্ষম সময় আমরা আমাদের সু দীর্ঘ ১৫ বছরের জিহাদের ফসলকে ঘরে তুলবো এবং জিহাদের উদ্দেশ্য কে বাস্তবায়ন করবো যা হলো: আল্লাহর জমিনে তাঁরই প্রদত্ত শরীয়াকে বাস্তবায়ন করা যাতে করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা; সীমান্ত প্রতিরক্ষা করা এবং জনগনের জান, মাল ও ইজ্জত কে রক্ষা করা এবং শরীয়া প্রদত্ত সকল সকল অধিকার জনগন ভোগ করতে পারে।
মিলিটারী কমিশনের কর্তাব্যাক্তিগন, গভর্নরগন, বিচারিক আদালতের কর্মচারীবৃন্দ, প্রাদেশিক কমিশনের সকল সদস্যবৃন্দ, জেলা প্রশাসকবৃন্দ এবং সামরিক বাহীনির কমান্ডারবৃন্দ সহ সকল বেসামরিক কমিশনের কর্মচারীবৃন্দ কে সুসাশন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে, শরীয়ার বাস্তবায়ন, কার্যকরী প্রশাসন, ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার প্রচার করা এবং অন্যান্য জনস্বার্থমূলক কর্মকান্ড যেমন রাস্তাঘাট, ব্রিজ, জনস্বাস্থ, খাবার পানি, কৃষিকাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অন্যান্য জনস্বার্থমূলক কাজের দিকে বিশেষ নজর রাখবেন। তাদেরকে প্রতিহত করুন যারা এসব জনস্বার্থে ক্ষতি করতে চায়। যাতে করে আমাদের বিশ্বাসী জনগন শরীয়ার স্বার্বভৌমত্বের অধীনে একটি উজ্জল, আনন্দময়, সচ্ছল ও সমৃদ্ধ জীবন-যাপন করতে পারে এবং একটি শান্তিমহ পরিবেশে স্বস্থির নিশ্বাস ফেলতে পারে।
মুজাহীদগন এই বিশাল পরিক্ষায় সাফল্য পেতে হলে নিচের পয়েন্টগুলোতে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখুন।
-আপনার নিয়তকে শুদ্ধ রাখুন শুধুমাত্র আল্লাহ তা’য়ালা এবং তাঁর রাস্তার জন্য।
-ছোট, বড় সকলে নিজেদের অলঙ্কৃত করুন তাকওয়ার অলঙ্কার দ্বারা।
-সব সময় আল্লাহ তা’য়ালার প্রসংশা করুন যেন তিনি আপনাকে পবিত্র জিহাদের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা দান করেন।
-ন্যায় বিচার ও দয়া করুন।
– গর্ব, আহংকার ও দাম্ভিকতা থেকে বিরত থাকুন। সেই সাথে খারাপ কর্ম ও বিশ্বাসঘাতকতা থেকে এবং যে কোন ধরনের জাতীয়তা আঞ্চলিকতা, ভাষা ও গোষ্ঠিগত পক্ষপাত থেকে নিজেদের বিরত রাখুন।
– শুধু তাকওয়া আর আমানতদারী ই যেন প্রাধান্যের মাপকাঠি হয়।
– পরস্পরের মধ্যে আস্থা ও ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ রক্ষা করা এবং ভ্রাতৃত্ব নষ্ট করে এমন কাজ হতে বিরত থাকা।
– মুজাহিদ ভাইগণ একে অপরের মাঝে আমর বিল মা’রুফ ও নাহয়ি আনিল মুনকার (সৎ কাজের নির্দেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ ) সর্বদা জারি রাখা, জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করা এবং বাইতুল মালের সম্পদে খেয়ানত না করা।
– শুহাদা ও বন্দী মুজাহিদ ভাইদের পরিবার ও সন্তানদের উত্তম খেয়াল রাখা।
– সর্বশক্তি দিয়ে মাহবুব নেতাদ্বয় মোল্লা মুহাম্মদ উমর(রহঃ) এবং মোল্লা আখতার মানসুর (রহঃ) এর শরীয়া পলিসি সমূহের উপর অটুট চর্চা জারি রাখা।
– মুসলমানদের খেদমত করা ও জনগণের সুখ শান্তির প্রতি লক্ষ্য রাখা যেন, মুজাহিদিনদের নিকট এক দ্বীনি লক্ষ্য হিসেবে গণ্য হয়, কারণ মানুষের কল্যাণ সাধন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দৃষ্টিতে পছন্দনীয় কাজসমূহের অন্তর্গত।
“ইবনে উমর রাঃ বলেন – যারা মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে তারা আল্লাহ্র নিকট অধিক প্রিয়। আর আল্লাহ্র নিকট প্রিয় কাজ হচ্ছে – কেউ কোন মুসলমানকে খুশি করা বা তাকে একটি বিপদ থেকে রক্ষা করা বা তার ঋণ শোধ করা বা ক্ষুধার্ত অবস্থায় তাকে খাওয়ানো। কোন ভাই এর চাহিদা পূরণের জন্য তার সাথে হাঁটা আমার নিকট মাসজিদে নাবাওয়ী তে এক মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম মনে হয়। ” (তাবারানী)
মুজাহিদ ভাইদের বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে, নিজেদের দলের শুদ্ধিকরণের দিকে। কোন বিবেকবর্জিত, কুখ্যাত, স্বার্থপর, লোভী এবং যারা মানুষের সাথে অন্যায় ব্যবহার করে, তাদের দলে বা বাহিনীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করবেন না। এটা এজন্য যে সাধারণ মানুষের যাতে মুজাহিদ বাহিনীর কারো দ্বারা কোনরকম হয়রানি না হয়। মুজাহিদিন রা অবশ্যই সম্মানিত আলেম, আধ্যাত্মিক নেতা বা মাশায়েখ, গোত্রীয় নেতাদের সংস্পর্শে থেকে তাদের প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা থেকে ফায়দা লাভের চেষ্টারত থাকবেন। সামরিক ট্রেনিং এর পাশাপাশি মুজাহিদিন ভাইদের – জনসাধারণের সাথে উত্তম আচরণ করা, জনগণের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করে কার্যপরিচালনা করার অভ্যাস, জনগণের মন জয় করে কাজ করার প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং বারংবার জনগণের অধিকার ও সম্মানের ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। এছাড়া, মুজাহিদিন ভাইয়েরা কাবুলের পুতুল সরকারের কর্মচারী বা পদ ছেড়ে দিয়েছে, তাদের সাথে সদাচরণ করবেন।
মুজাহিদিন ভাইদের প্রতি আমার হিদায়াহ্ বা নির্দেশ এই যে – জিহাদি অপারেশনের পাশাপাশি শত্রু বাহিনীসমূহে যারা কর্মরত, তাদের প্রতি দাওয়াত ও সচেতনতা সৃষ্টি করুন। এই উদ্দেশ্যে, সাধারণ মুজাহিদিন, দাওয়াহ্ ও ইরশাদ বিভাগের কর্মীগণ, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া সেল এর ব্যাক্তিবর্গ, শিক্ষিত ও জ্ঞানীরা যেন মানুষের মধ্যে দাওয়াত ও সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারে অধিকতর জোর প্রদান করেন। আর মুজাহিদিন ও তরুণ প্রজন্মের তরবিয়ত বা ট্রেনিং এর পাশাপাশি, শত্রুবাহিনীসমূহে কর্মরত ব্যাক্তিদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়া, যেন তারা জিহাদের সত্যবাদী অবস্থান ও অবশ্যম্ভাবী সাফল্যের কথা অনুধাবন করতে পারে এবং ইসলামের সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ইতিহাসের ব্যাপারে অবগত হয়। তাদেরকে (মুসলমানদের উপর হামলাকারী) শত্রুদের আনুগত্য ও গোলামীর ক্ষতি সম্পর্কে অবগত করুন। যেন তারা বুঝতে পারে যে – শত্রুবাহিনীসমূহে অবস্থান তাদের নিজেদের জন্য ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়!
আমরা দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা ইমারাতে ইসলামিয়াহ্ কে সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই তাঁদের সবার প্রতি, যারা ইমারাতে ইসলামিয়ার প্রতি সর্বাবস্থায় দৃঢ় সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন। একইভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই সেসকল বিজ্ঞ উলামা ও লেখকদের যারা তাদের নেক পরামর্শ দিয়েছেন এবং আমাদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে আমিরুল মু’মিনিন মোল্লা মুহাম্মদ উমর (রঃ) ও মোল্লা আখতার মানসুর (রঃ) এর শাহাদাত পরবর্তী সময়ে। আমরা সেসময়ে তাঁদের এখালসপূর্ণ অবস্থানের শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি এবং মহান আল্লাহ্ সুবহান ওয়া তাআলার কাছে এই দুআ করছি, যেন তাঁদের এই এখলাসের বদলায় তাঁরা ‘আজরুন আজিম’ ও সম্মান লাভ করেন!
ঈদুল আযহার উপলক্ষে, আমি আফগানিস্তানের আপামর জনসাধারণের প্রতি, বিশেষ করে যারা দখলদার ক্রুসেডারদের সাথে সামরিক বা বেসামরিক ক্ষেত্রে কাজ করছেন, তাদের আরো একবার বলতে চাই যে – এক মূহুর্তের জন্য হলেও নিজেদের অবস্থানকে যাচাই করে দেখুন! তাদের এই উপলব্ধি খুব জরুরি যে, আমেরিকা ও তার দোসর রাষ্ট্রসমূহের দ্বারা আফগানিস্তানে হামলা, বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে কুফরি শক্তির যুদ্ধের একটা অংশমাত্র! তাদের লক্ষ্য হচ্ছে – প্রকৃত ইসলামী শাসনব্যবস্থাকে উৎখাত করে তাদের পোষা দ্বীন বিরোধী শাসকদের ক্ষমতায় বসানো এবং এদের মাধ্যমে মুসলিম অঞ্চলসমূহে ইসলামবিরোধী পশ্চিমা শাসনব্যবস্থা কায়েম করা!
সুতরাং দখলদার ক্রুসেডারদের দলভুক্ত হয়ে থাকার ব্যাপারে, শত্রুর কাতারে অবস্থানকারীদের গভীরভাবে চিন্তা করা জরুরি! এব্যাপারে কোন সন্দেহ ই নেই যে, শত্রুর প্রতি তাদের এ সমর্থন ও সহাবস্থান নিশ্চিতভাবে আল্লাহ্ তাআলা ও রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আদেশসমূহের সম্পূর্ণ বিপরীত ও বিরুদ্ধাচরণ! যেমধটা আল্লাহ্ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন –
“অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তাদের এবিষয়ে সতর্ক করা হোক যে, বিপর্যয় তাদেরকে স্পর্শ করবে অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব তাদেরকে গ্রাস করবে” [সূরা নূর, আয়াহ্ ৬৩] সকল ইসলামি রাষ্ট্র ও স্বাধীনতাপ্রেমী জনতার প্রতি আমাদের বার্তা এই যে – আমাদের সংগ্রাম কোন অবৈধ যুদ্ধ নয়, কোন পবিত্র উদ্দেশ্যবিহীন দ্রোহ নয়, নয় শরীয়ী ফাতওয়াবিহীন আবেগের বহিঃপ্রকাশ! বরঞ্চ, আমাদের উপর বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়েছে, কামান ও বিমান হামলার বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতাপ্রেমী জনতার উপর অবৈধ-ইসলামবিরোধী, পুতুল সরকার চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, যারা আমাদের দ্বীন ও আদর্শের সাথে সংঘাতপূর্ণ নীতিতে বিশ্বাসী! ইসলামী শাসনব্যবস্থাকে পুনঃস্থাপন করা আমাদের দ্বীনি ও মানবিক অধিকার। দুনিয়ার তাবৎ ইসলামী রাষ্ট্রসমূহের ও স্বাধীনতাপ্রেমী জনগণের নৈতিক দায়িত্ব হবে, আমাদের দাবিসমূহের প্রতি আবশ্যক সমর্থন জানানো এবং আমদের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সহমর্মিতা ও সহাবস্থান প্রকাশ করা।
আফগানিস্তানে চলমানসংঘাতের সমাধানের জন্য, ইমারাতে ইসলামিয়ার পক্ষ থেকে সামরিক কার্যক্রমের পাশাপাশি কূটনৈতিক পদক্ষেপ ও নেয়া হয়েছে, রাজনৈতিক অফিস খোলা হয়েছে বিভিন্ন দেশে(যেমন রয়েছে কাতারে)। আমরা চাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সংযুক্ত হতে এবং তাদের প্রশ্নের সমাধান করতে, যেন আমাদের দেশ ভবিষ্যতে বহিঃশত্রুর ক্ষতির আশঙ্কার অবসান হয় এবং আমাদের দ্বারা ও কারো ক্ষতিসাধন না হয়!
আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মুসলমানদের উপর চলমান নৃশংসতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই, বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের উপর বিভিন্ন দলের নির্বিচার বোমাবর্ষণের। জনতার ঘরবাড়ি, মসজিদ, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে, যা ঘৃণ্য ও অবৈধ কাজ! আমরা পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষের প্রতি এধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কন্ঠ উচ্চকিত করবার আহ্বান জানাই। বর্তমানে মাজলুম জনগোষ্ঠীর উপর যে অত্যাচার চলছে তা যদি বন্ধ করা না হয়, তবে তা সকলের জন্যই ক্ষতিকর হবে। কারণ, এসকল নিপীড়িত জনতা তাদের দুরবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবে এবং প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠবে। ফলে, সারা বিশ্বের নিরাপত্তা ই বিপর্যস্ত হবে।
সর্বশেষে, সকল সামর্থ্যবান ভাই-বোনদের নিকট আবেদন জানাই, ঈদের মুবারাক মূহুর্তে শহীদদের পরিবার, বন্দি, পঙ্গু, ইয়াতিম, মুজাহিদিন দের পরিবার ও তাদের সন্তানদের না ভুলে গিয়ে, ঈদের আনন্দ তাদের সাথে যথাসাধ্য ভাগাভাগি করে নিন, তাদের সহায়তা করুন!
আল্লাহ্ আপনাদের তত্ত্বাবধায়ক হোন, তিনিই সর্বোত্তম প্রতিপালক ও সাহায্যকারী!


– আমিরুল মু’মিনিন হেবাতুল্লাহ্ আখুন্দজাদা হাফিজাহুল্লাহ
(আমির, ইমারাতে ইসলামিয়াহ্)

৭ ই যু’ল হাজ্জাহ্, ১৪৩৭ হিজরী।
৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 4 =

Back to top button