নির্বাচিতবার্তা ও বিবৃতি [আন নাসর]

Pdf/word || কায়িদাতুল জিহাদ – কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঈদুল ফিতর ১৪৪৪ হিজরি উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও উপদেশ বার্তা || আন নাসর মিডিয়া

مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم

পরিবেশিত

Presentsالترجمة البنغالية

বাংলা অনুবাদ

Bengali Translationبعنوان:

শিরোনাম:

Titled:

بيان من القيادة العامة : تهنتة و تبصرة بمناسبة عيد الفطر المبارك ١٤٤٤هـ

কায়িদাতুল জিহাদ – কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
ঈদুল ফিতর ১৪৪৪ হিজরি উপলক্ষে
শুভেচ্ছা ও উপদেশ বার্তা

Qaidatul Jihad – Central leadership
On the occasion of Eid-ul-Fitr 1444 Hijri
Messages of greetings and advice.

 

 

 

للقرائة المباشرة والتحميل
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading

লিংক-১ : https://justpaste.it/AQC_eid_barta1444
লিংক-২ : https://mediagram.me/517003c678763578
লিংক-৩ : https://noteshare.id/sF2lNNI
লিংক-৪ : https://web.archive.org/web/20230503…_eid_barta1444
লিংক-৫ : https://web.archive.org/web/20230503…7003c678763578
লিংক-৬ : https://web.archive.org/web/20230503…are.id/sF2lNNI

روابط بي دي اب
PDF (427 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪২৭ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/mWBNmmppE2FKeqD
লিংক-২ : https://archive.org/download/eid-barta-1444/AQC%20-%20Eid%20Barta%20-%201444%20F.pdf
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qy30cb4b24c4ab409cb34db0af76501b97
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/23e35fb6-bcc8-4401-8a82-2630defa9944/de5a264515229343201556a6d91a924e3bc66116f2331bc84a806df6fa5e7b9a
লিংক-৫ : https://f005.backblazeb2.com/file/AQCEidBarta1444/AQC+-+Eid+Barta+-+1444+F.pdf
লিংক-৬ : https://jmp.sh/fis408zr

روابط ورد
Word (692 KB)
ওয়ার্ড [৬৯২ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/jqYswNAi6ioDsxJ
লিংক-২ : https://archive.org/download/eid-barta-1444/AQC%20-%20Eid%20Barta%20-%201444%20F.docx
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qy8f22ff3e15134c408d0bbff0cce243fe
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/c687db53-3156-421a-9506-1ee398104cf5/9b9397b1f2eeef88961288d2387382ee09e421c05a1b08fdecf821b0eb1c0496
লিংক-৫ : https://f005.backblazeb2.com/file/AQCEidBarta1444/AQC+-+Eid+Barta+-+1444+F.docx
লিংক-৬ : https://jmp.sh/RVo7AaKC

روابط الغلاف
Banner [4.4 MB] ব্যানার ডাউনলোড করুন [৪.৪ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/o7g9EQHqYFLw5mK
লিংক-২ : https://archive.org/download/eid-barta-1444/AQC%20-%20Eid%20Barta%20-%201444%20F%20Banner%20HQ.jpg
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qyebf04ee5702d49a99a0af165401669d7
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/d557a66e-32a5-43ec-8fbf-96bca22a095b/8035720a199defa9a3cb91cf68140082fd94b3b0b7fc28ce4dd28432d5c7a003
লিংক-৫ : https://f005.backblazeb2.com/file/AQCEidBarta1444/AQC+-+Eid+Barta+-+1444+F+Banner+HQ.jpg
লিংক-৬ : https://jmp.sh/GI1Y3gGC

 

=============

কায়িদাতুল জিহাদ – কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
ঈদুল ফিতর ১৪৪৪ হিজরি উপলক্ষে
শুভেচ্ছা ও উপদেশ বার্তা

 

আলহামদুলিল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি রমজান মাসের সমাপ্তির মাধ্যমে মুসলিমদেরকে সম্মানিত করেছেন। সিয়াম ও কিয়াম সুসম্পন্ন করার তাওফিক দান করার মাধ্যমে মুসলিমদের ওপর নেয়ামতের বারিধারা বর্ষণ করেছেন। অন্তঃকরণের গভীর থেকে নেকির প্রত্যাশা করার ফলে, পূর্ণ প্রতিদানের ঘোষণা দিয়ে তাদেরকে সৌভাগ্যবান করেছেন! দৃঢ় ঈমানের সঙ্গে ‘লাইলাতুল কদর’ লাভ করার সুযোগ প্রদান করার মাধ্যমে তাদের প্রতি রহম ও দয়া করেছেন এবং সবশেষে মোবারক ঈদুল ফিতরে তাদেরকে উপনীত করেছেন!!

রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত ও শান্তির দূত হিসেবে প্রেরিত এবং হেদায়েত ও আলোর পথের দিশারী হিসেবে আগত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর। তার পরিবার-পরিজনের ওপর, তার সাহাবীদের ওপর এবং কেয়ামত দিবস পর্যন্ত তাদের পদাঙ্ক অনুসারী এবং তাদের সঠিক পন্থা অনুকরণে চেষ্টা-প্রচেষ্টাকারী সকল মুমিন মুসলিমের ওপর!!

হামদ ও সালাতের পর…

আমাদের এই বার্তা মুসলিম উম্মাহর প্রতি, যাদেরকে আল্লাহ ‘খাইরু উম্মাহ’ বা শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এই জাতিকে মানুষের কল্যাণের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আমাদের এই বার্তা সারা বিশ্বের মুসলিম ভাইদের প্রতি। পৃথিবীর নানা প্রান্তে ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত মুজাহিদদের প্রতি।

আপনাদের সকলকে জানাই:

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

আপনাদেরকে ঈদুল ফিতর আগমনের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ তায়ালা আনন্দ, উৎফুল্লতা, বিজয় ও কল্যাণের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবনে ঈদের আনন্দ যেন বারবার দান করেন!! আল্লাহ আমাদের এবং আপনাদের পক্ষ থেকে সিয়াম, কিয়াম ও সকল প্রকার সৎকর্ম কবুল করে নিন!! আমাদেরকে এবং আপনাদেরকে হেদায়েতপ্রাপ্ত, সঠিক পথে পরিচালিত এবং অন্যদের জন্য সরল পথের দিশারী বানিয়ে দিন!! আমাদের সকলকে তার সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন!! আল্লাহ যেন আপনাদের ঈদকে সৌভাগ্য ও আনন্দ দিয়ে ভরপুর করে দেন!! ঈদের আনন্দকে ঘিরে যেন রহমত ও বরকতের বারিধারা বর্ষণ করেন!!

আপনাদের মত ব্যক্তিদের জন্যই তো আপন রব জাল্লা জালালুহুর এই আয়াত তারতিল সহকারে তিলাওয়াত করা সাজে—

قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ﴿٥٨﴾‏

“অর্থঃ বল, আল্লাহর দয়া ও মেহেরবানীতে। সুতরাং এরই প্রতি তাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। এটিই উত্তম সে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছো”। (সুরা ইউনুস ১০:58)

হে সরল পথ অবলম্বনকারী উম্মাহ!

মুসলিম উম্মাহর কাছে ঈদ ফিরে আসে আনন্দ, উৎসব ও উৎফুল্লতার পাশাপাশি কিছু মহৎ শিক্ষা ও উপদেশ নিয়ে। সে সমস্ত শিক্ষা ও উপদেশের মাঝে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো – মুসলিম উম্মাহর মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণা।

ঈদ তথা ইসলামী উৎসবের এই দিনগুলোতে উম্মাহ সহযোগিতামূলক ও সাম্যবাদী কার্যক্রমকে জোরদার করে তোলে। ধনী গরিবের মাঝে সহানুভূতিমূলক ও ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক তৈরির মধ্য দিয়ে জনকল্যাণকর ও উন্নয়নশীল কার্যক্রম বেগবান হয়। এভাবেই গোটা উম্মাহর সদস্যদের মাঝে পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও সহযোগিতা আদান-প্রদানের এক স্বর্গীয় দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। এ থেকেই বুঝা যায় মুসলিম সমাজের মাঝে ঐক্যের বন্ধন কতটা মজবুত এবং মুসলিম জাতি পরস্পরে কতটা দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত! এরই মধ্য দিয়ে যেন ‘গোটা জাতি এক দেহ’ কথাটি মূর্ত হয়ে ওঠে।

এ জাতির কাঁধে অর্পিত মহামূল্যবান গুরু দায়িত্বগুলোর কিছু হল: দাওয়াতের প্রচার প্রসার ঘটানো, মুসলিম অঞ্চলগুলোতে ইসলামী সংস্কৃতির বিস্তার ঘটানো, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে থাকা মানব প্রকৃতিবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মানব মস্তিষ্ক মুক্তকরণ, তাওহীদ ও ঈমানের মাধ্যমে পৃথিবী আবাদকরণ, আসমানী শরীয়ত ও উন্নত নীতি নৈতিকতার মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গন পরিচালনা এবং গোটা বিশ্বে মুসলিম অস্তিত্বের প্রতিরক্ষা। উৎসবমুখর এই সমস্ত ঈদ এসবকিছুর ব্যাপারে পুনরায় সজাগ করে দিয়ে যায়।

প্রিয় মুসলিম উম্মাহ,

আমরা নিজেরাও আপনাদের অন্তর্ভুক্ত। আপনাদের সাথে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আপনাদের নিয়ে আমরা আগামী দিনগুলোর স্বপ্ন দেখি। আমরা মুসলিম উম্মাহর সকলকে পারস্পরিক ঐক্য গঠন, ভ্রাতৃত্ব ও সহযোগিতামূলক মনোভাব তৈরির আহবান জানাচ্ছি। উম্মাহর নিষ্ঠাবান সন্তান ও বীর বাহাদুরদের পাশে দাঁড়াবার জন্য, উম্মাহকে আমরা জোরালোভাবে উদ্বুদ্ধ করছি।

যারা নিরবচ্ছিন্নভাবে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার গুরু দায়িত্বে নিজেদের নিয়োগ করেছেন, তাদের পাশে দাঁড়ান। এরাই জালিম ও তাগুতগোষ্ঠীর হাত থেকে উম্মাহকে মুক্ত করার জন্য সংগ্রামরত। তারা সামাজিক ইনসাফ ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদে লিপ্ত আছেন।

মুসলিমদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, ক্রুসেডার জায়নবাদীদের যৌথ আগ্রাসন থেকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, মুসলিম দেশগুলোতে মুসলিমদের সম্মান ফিরিয়ে আনার সত্যিকার প্রচেষ্টা, গোটা মানবতার জন্য শরিয়া প্রদত্ত স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, শয়তানের দোসরদের দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মানবজাতিকে মুক্তি দান এবং আরহামুর রাহিমীন মহান আল্লাহর দরবারে প্রত্যাবর্তন – এসব লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তারা এগিয়ে চলেছেন। দয়াময় মহান আল্লাহ হলেন এমন সত্তা, যিনি তার আশ্রয় প্রত্যাশাকারীকে ভালোবাসা দিয়ে, রহমত দিয়ে এবং ফিতরত বা স্বভাবজাত নীতি-নৈতিকতার মধ্য দিয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা ও মুক্তির স্বাদ আস্বাদন করান।

আমরা আদম সন্তান। আদম সন্তানদের বড় একটা অংশ আমাদের বিরুদ্ধাচারণকারী ও শত্রু। আনন্দমুখর এই সময়ে তাদের প্রতিও আমাদের উপদেশ ও বার্তা রয়েছে। তাই আবারো উপদেশমূলক বার্তা এবং ঈদের আনন্দ নিয়ে তাদের কাছে এবং গোটা বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর কাছে মুসলিমদের এগিয়ে যাবার – এটাই মূল্যবান ও উপযুক্ত সময়।

গোটা বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর প্রতি আমাদের আহ্বান – আপনারা দ্বীন ইসলাম এবং সর্বজ্ঞানী আল্লাহর বাণী জানার জন্য নিজেদেরকে সুযোগ করে দিন। জায়নবাদীদের সঙ্গে মৈত্রীমূলক রাজনীতি থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখুন। তবেই আপনাদের চোখ থেকে অন্ধকারের পর্দা সরে যাবে। তখন ইসলামের উপস্থাপিত বাস্তবতা দিনের আলোর মত আপনাদের কাছে ধরা দিবে।

قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَىٰ كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِّن دُونِ اللَّهِ ۚ فَإِن تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ﴿٦٤﴾‏

“অর্থঃ বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে আস-যা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান-যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করব না, তাঁর সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত করব না এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাব না। তারপর যদি তারা স্বীকার না করে, তাহলে বলে দাও যে, ‘সাক্ষী থাক আমরা তো অনুগত”। (সুরা আল ইমরান ৩:৬৪)

আপনাদের প্রতি আমাদের নসিহা ও উপদেশ হলো: আপনারা ওই সমস্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতির নীতি নির্ধারক এবং বিশ্ব নেতাদের উপর নির্ভর করবেন না, যারা আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে এবং আপনাদের স্বজাতিকে ধ্বংস ও লাঞ্ছিত করছে। আপনাদের নেতৃবৃন্দের যদি সামান্যতম সুস্থ মস্তিষ্ক ও বিবেচনাবোধ থাকতো, তাহলে তারা অবশ্যই এমন উম্মাহর বিষয়ে ভেবে দেখতো, যারা সংখ্যায় দুই বিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে।

সুস্থ মস্তিষ্ক ও বিবেচনাবোধ থাকলে তারা বুঝতে পারতো – মুসলিম উম্মাহ এমন এক জাতি, যুগ বা শতাব্দী অন্তর অন্তর যারা জেগে ওঠে। অতএব এই উম্মাহকে কখনোই নিশ্চিহ্ন করে দেয়া সম্ভব নয়। এই উম্মাহ নিঃসন্দেহে আবারও বিশ্বনেতৃত্বের আসন কেড়ে নিবে। নিজেদের দ্বীন, মূল্যবোধ, নীতি নৈতিকতা, সংস্কৃতি, সাম্য ও ইনসাফ দিয়ে এই বিশ্বকে তারা আবারো শাসন করবে।

এই সমস্ত নেতৃবৃন্দের যদি বিন্দুমাত্র সঠিক মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক পরিপক্বতা থাকতো, তাহলে এরা নিজেদের উপদেষ্টা পরিষদে দ্বীনের প্রতি নিষ্ঠাবান বহু সংখ্যক মুসলিমকে স্থান দিত। এ সমস্ত মুসলিম তাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে, ইসলামের অতীত ভূমিকা ও অবদান সম্পর্কে, মুসলিমদের ঐতিহাসিক অর্জন, সাফল্য ও কৃতিত্ব সম্পর্কে বাস্তবনিষ্ঠ তথ্য প্রদান করতেন। তারা নেতৃবৃন্দের চিন্তা জগতকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতেন। বিশ্ব নেতৃত্বের প্রকৃত দাবিদার ‘ইসলামী আদর্শের’ বাস্তবতা তুলে ধরে তাদের মেধা ও মননকে আলোকিত করতেন।

আপনারা যে নিজেদের ওপর মুসলিমদের ব্যাপারে অপরাধী, উগ্র, সাম্প্রদায়িক শ্রেণীকে নির্বাচিত করেছেন, এটাই তো নির্বুদ্ধিতা ও বোকামির লক্ষণ। দলান্ধ, চরমপন্থি লোকগুলোকে নিজেদের রাষ্ট্র পরিচালনার গুরু দায়িত্ব ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।

মোদী ও ইবনে কাফিরের মত ইসলামের চরম প্রকাশ্য শত্রুগুলো কখনোই নিজেদের দল ও দেশবাসীকে ধ্বংস ছাড়া আর কিছু উপহার দিতে পারবে না। তারা আমাদের ভূমিতে যে বীজ বপন করেছে, অচিরেই তার ফল ভোগ করবে। কারণ প্রবাহিত রক্ত পরিণতিতে জমাট বাঁধা রক্তই হয়ে থাকে।

অচিরেই তারা অনুতপ্ত ও লজ্জিত হবে। হিংসা বিদ্বেষ তাদেরকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। তারা এমনই অন্ধ হয়ে গিয়েছে যে, ভবিষ্যৎ বোঝার জন্য মানচিত্র বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যামূলক পর্যালোচনার মাধ্যমে বাস্তবতা উপলব্ধির ব্যাপারে তারা বেখবর। তারা কি বুঝতে পারছে না, মুসলিমদের অদম্য, অপ্রতিরোধ্য স্রোতের মুখে তারা কেমন অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে!?

জায়নবাদী ও ক্রুসেডার পশ্চিমা শক্তির তাবেদার সরকারগুলোকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য মুসলিম জাগরণের সে জোয়ারই যথেষ্ট হবে। সেই জোয়ার অত্যাসন্ন। সেই দিন এই উম্মাহ নেকড়ের মত ক্রোধ নিয়ে তাগুত গোষ্ঠীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে তারা কোনরূপ দয়া দেখাবে না। সেই দিন মুসলিম উম্মাহর মাঝে সহানুভূতি, সমঝোতা ও সহাবস্থানমূলক দর্শনের কথা বলার মত কেউ থাকবে না।

অচিরেই সেই আঘাত মুনাফিক শাসকগোষ্ঠী, অপরাধী তাগুতগোষ্ঠী এবং পরাজিত চিন্তা চেতনার অধিকারীদের পতন ঘটাবে। সর্বোপরি রয়েছেন ওই ইলাহ্, যিনি সর্বশক্তিমান এবং ন্যায়বিচার ভিত্তিক প্রতিশোধ পরায়ণ। তিনি ছাড় দেন, কিন্তু ছেড়ে দেন না। জালিম গোষ্ঠীকে ধ্বংস করা তার সুন্নাহ। অপরাধীদেরকে তিনি শিক্ষণীয় আলোচনার বস্তু বানিয়ে রাখেন এবং তাদেরকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ সত্যই বলেছেন—

وَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ غَافِلًا عَمَّا يَعْمَلُ الظَّالِمُونَ ۚ إِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْ لِيَوْمٍ تَشْخَصُ فِيهِ الْأَبْصَارُ﴿٤٢﴾‏

“অর্থঃ জালিমরা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহকে কখনও বেখবর মনে করো না। তাদেরকে তো ঐ দিন পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, যেদিন চক্ষুসমূহ বিস্ফারিত হবে”। (সুরা ইব্রাহিম ১৪:৪২)

وَكَذَٰلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَىٰ وَهِيَ ظَالِمَةٌ ۚ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ﴿١٠٢﴾‏

“অর্থঃ আর তোমার পরওয়ারদেগার যখন কোন পাপপূর্ণ জনপদকে ধরেন, তখন এমনিভাবেই ধরে থাকেন। নিশ্চয় তাঁর পাকড়াও খুবই মারাত্মক, বড়ই কঠোর”। (সুরা হুদ ১১:১০২)

পূর্বের কথায় ফিরে আসি। আমরা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আবারও মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মুসলিম উম্মাহকে রবের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহ্বান জানাচ্ছি। এই উম্মাহর জাগরণ যেন ইসলাম নিয়েই ঘটে। কারণ ইসলামের নূর ছাড়া সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ন্যায়, ইনসাফ সবকিছুই মূল্যহীন।

সম্মানিত এই উম্মাহর জেনে রাখা উচিত, আজ কেউ কেউ ইসলামের সংস্কারমূলক কার্যক্রমের কথা বলছে। এগুলো প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। জায়নবাদী জোট এবং তাদের তাবেদার সরকারগুলো মনিবদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এজাতীয় বিষয় উত্থাপন করে থাকে। তারা এমন বৃত্তকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, যার কোন শেষ নেই।

মুসলিম উম্মাহর উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে – তাদের রবের ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটানো। আর আল্লাহর ইচ্ছা বাস্তবায়িত হবে এ সমস্ত নাফরমান ও তাগুতি শাসনব্যবস্থার কার্যকরী ও সামগ্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে। এটা শুরু হতে হবে একেবারে শেকড় থেকে।

আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে দুয়া করি, তিনি যেন সামনের ঈদগুলোতে শত্রুর বিরুদ্ধে এই উম্মাহকে ভরপুর বিজয় ও সাফল্য দান করেন!! সকলকে কল্যাণ ও সুপথ দান করেন!! সকলকে সিরাতে মুস্তাকিমের উপর পরিচালিত করেন!! সকলকে ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য কল্যাণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের তাওফিক দান করেন!!

একমাত্র আল্লাহ তায়ালার কাছেই আমাদের সাহায্য কামনা। একমাত্র তার ওপর আমাদের তাওয়াক্কুল ও আস্থা। একমাত্র তিনিই আমাদের আশ্রয়ের ঠিকানা। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ (তার তাওফিক ছাড়া না রয়েছে কারো সৎকর্মের সামর্থ্য; আর না রয়েছে কারো অসৎকর্ম থেকে বিরত থাকার সাধ্য)

শাওয়াল, ১৪৪৪ হিজরি

এপ্রিল, ২০২৩ ইংরেজী

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =

Back to top button