আকিদা-মানহাজনির্বাচিতপ্রবন্ধ-নিবন্ধবই ও রিসালাহশাইখ আবু কাতাদা আল ফিলিস্তিনী হাফিযাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

যদি কেউ পার্লামেন্টে অংশ নিতে চায়, তবে সেটা কি কুফর হিসাবে গণ্য হবে? এ কাজ কি কাউকে মুরতাদ বানিয়ে ফেলে?-শায়খ আবু ক্বাতাদা আল-ফিলিস্তিনী

প্রশ্নঃযদি কেউ পার্লামেন্টে (জাতীয় সংসদে) অংশ নিতে চায়, তবে সেটা কি কুফর হিসাবে গণ্য হবে? এ কাজ কি কাউকে (ইসলাম) ধর্মত্যাগী বানিয়ে ফেলে অথবা ইসলাম ত্যাগ করতে বাধ্য করে ?

উত্তরঃ

এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে, আমাদের প্রথমে কিছু ব্যাপারে আলোকপাত করা উচিত।

আগেও বলা হয়েছে, উম্মাহর সমস্যা হল তারা শরীয়াতের পরিভাষাগুলো গ্রহণ করে তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে ভুল করে। তারা ‘তাওহীদ নুসুখ’ কে শুধুমাত্র সালাত আদায় করা, যাকাত প্রদান করা , দাড়ি রাখা প্রভৃতির মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখে।

তাওহীদ রুবুবিয়্যাহকে স্বীকার করাকেই তারা ইলাহ শব্দটির একমাত্র অর্থ বলে মনে করে।

গণতন্ত্র একটি ধর্ম। জনগণ এই ধর্মের উপাসনা করে। একটি ধর্ম তৈরি করার উপাদানগুলো আমরা আগেও আলোচনা করেছি। মূলত মানুষ সেই ধর্মের আদেশ-নিষেধ মেনে চলে এবং যেকোনো বিষয়কে সেই ধর্মের আলোকে বিচার করে।

আইন প্রণয়নকারী সংসদগুলোই মূলত একটি দেশে গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করে। ধর্মনিরপেক্ষতা, পুঁজিবাদ এবং গণতন্ত্র -এর প্রত্যেকটি একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই তত্ত্বগুলো মিলিতভাবে মানুষকে ‘স্বাধীনতা’ দান করে।

ধর্মনিরপেক্ষতা মানুষকে নিজের বিধান নিজেই তৈরি করার ক্ষমতা দেয়। এর মূলনীতি হল একজন মানুষ কীভাবে জীবন যাপন করবে, এ ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়। তারা মানুষকে আইন প্রণয়নের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রদান করে।

এটি এমন একটি গুণ যা একচ্ছত্রভাবে আল্লাহর জন্য নির্ধারিত। নিজস্ব বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলে সেটার মাধ্যমে ভুল-ঠিক নির্ধারণ করাকেই আইন প্রণয়ন করা বলে ।

যেসব ব্যক্তি আইন প্রণয়ন করে, তারা বলে জিহাদ নিষিদ্ধ অথচ যিনাহ বৈধ! আর একারণেই মানবরচিত এসব বিধান আল্লাহর আইনের পরিপন্থী।

 

তিন রকমের প্রধান সংস্থা সাধারণত ক্ষমতাগুলো ভাগ করে নেয়ঃ

১. নির্বাহী সংস্থাঃ যারা নির্দেশ পালন করে, উদাহারণ: পুলিশ।

২. আইন প্রণয়নকারী সংস্থাঃ তারা আইন প্রণয়ন করে। এ কাজটি করে জাতীয় সংসদ।

৩. বিচার বিভাগীয় সংস্থাঃ এটি আদালতের দায়িত্ব।

 

সংসদে নির্বাচিত ব্যক্তির এ কথা বলার অধিকার আছে যে ইসলামি বিধানগুলি ভুল এবং তা সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাই গণতন্ত্র দ্বীনের ভিত্তিকেই ধ্বংস করে দেয়।

এর কারণ হচ্ছে আমরা বলে থাকি যে আল্লাহই একমাত্র আইন প্রণেতা, পক্ষান্তরে তারা বলতে চায় যে আইন প্রণেতা হচ্ছেন সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ (সুপ্রিম কোর্ট)। তাই তাদের সংসদ থেকে উৎসরিত সবকিছুই কুফর, এমনকি গণতন্ত্রের কিছু আইন যদি শরীয়াহভিত্তিক হয়, তারপরেও।

জাতীয় সংসদ আল্লাহর পরিবর্তে মানুষের শাসন কায়েম করার জন্যেই ব্যবহৃত হয়।

‘ইলাহ’ শব্দটির সবচেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল আপনি আপনার কাজ দ্বারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। সংসদও এ কাজই করে থাকে,কিন্তু পরিবর্তে তারা সর্বোচ্চ আইন প্রণেতাকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করে।

তারা শাসককে ঐশ্বরিক ক্ষমতা (গুণ)প্রদান করে। আল্লাহ আমাদের কি বলেছেন এবং কি কি বিধান জারি করেছেন সেটা জানার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করাটা ইবাদাতের অংশ। এরপরেও ভুল হয়ে গেলে আমরা বলি, ইনশাল্লাহ আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।

কারণ আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করেছি। সুতরাং এতে প্রতীয়মান হয় যে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় প্রবেশ করা বড় কুফর। যখন আপনি প্রবেশ করবেন, আপনাকে স্বীকার করতেই হবে ও স্বীকৃতি দিতে হবে যে, এটাই আইন প্রণয়ন করার একমাত্র উৎস।

দুটি ক্ষেত্রে ভুলের কারণে এই বিষয়ে তা’ওয়ীল করা হয়:

  • দলীল বুঝতে ভুল করা
  • বাস্তবতা বুঝতে ভুল করা

দলীল বোঝার ক্ষেত্রে ভুল বিভিন্ন রকমের হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: কেউ একটি দুর্বল হাদিসকে সহীহ মনে করতে পারে।

যখন আপনি পার্লামেন্টে যোগ দেয়া সমর্থন করেন এমন কোন শাইখ বা আলেমকে জিজ্ঞেস করবেন, যে আইন প্রণয়নের অধিকার কার? তিনি জবাব দিবেন এটি তো আল্লাহর জন্যেই। উনার বিবৃতি প্রমান করে তিনি শাহাদাহকে স্বীকৃতি দেন।

তিনি বলবেন তিনি আইন প্রণয়নের জন্য সংসদে যান না। বরং তিনি তো শুধু তাদেরকে সত্যের সন্ধান দিতে এবং সংসদের অন্যদেরকে এটি জানাতে যান যে সকল আইন প্রণয়নের মালিক আল্লাহ। এই বিবৃতিও শাহাদাহ কে সমর্থন করে।

তিনি যুক্তি দেখাবেন যে উনার তা’ওয়ীল আছে এবং প্রমাণ হাজির করবেন যে নবী (সা) মুশরিকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তিনি এই উদাহারণ দেখিয়ে যুক্তি খাড়া করেন যে তিনি যা করছেন তা ইসলাম অনুমোদন করে।

 

আরেকটি ব্যাপার মনে রাখা উচিত, গনতন্ত্র যে কুফর এই জ্ঞানটি কী আমাদের সমাজে প্রচলিত?

হাজার হাজার শায়খ আছেন যারা বলবেন যে পার্লামেন্ট মাসলাহা দ্বারা অনুমোদনযোগ্য, এবং এটার একটা সুফলও আছে। তাই আমরা বলতে পারব না যে এ ব্যাপারটি কুফর হিসেবে সুপরিচিত। তাই আমরা তাকে সরাসরি কাফের বলতে পারব না।

 

যদি কোন ব্যক্তি অপর একজনকে সালাত ছেড়ে দিতে বলে, তারপরেও সে মুসলিম থাকবে। এ কথা বলার কারণে আপনি তার উপর তাকফীর করতে পারবেন না, কারণ সে হয়ত নিজের ভুল তা’ওয়ীল দ্বারা এমন কোন হাদীস নিয়ে আসবে যা তার মতবাদকে সমর্থন দেবে।

তবে যদি তার কথা শুনে কেউ সালাত ছেড়ে দেয় তাহলে আমরা সালাত ত্যাগকারীর উপর তাকফির করি। তাই এখানে এ দুই ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য আছে। যে ব্যক্তি আহবান করছে আর যে ব্যক্তিটি তা পালন করছে, তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে।

একইভাবে যখন কোন ব্যক্তি পার্লামেন্ট বা সংসদে যোগ দেয়ার আহবান জানায় আমরা তার উপর তাকফীর করি না, বরং আমরা বলি সে তার পন্থায় ভুল করেছে। কিন্তু যদি কেউ পার্লামেন্টে যোগ দেয়, আমরা তার উপর তাকফীর করি।

তাই কুফর হয় মানুষের কাজের দ্বারা, তার ফতোয়ার দ্বারা নয়। তবে সবগুলো ব্যপার মাথায় রেখে যখন কোন শায়খ ফতোয়া জারি করেন যে সর্বোচ্চ বিচারকের আইন প্রণয়নের অধিকার আছে,তখন আমরা তাঁর উপর তাকফির করি, কারণ এটি তার দ্বীনের ভিত্তিকে বাতিল করে।

কিন্তু তিনি যদি বলেন, আপনি সেখানে ভালো আদেশ দিতে এবং মন্দকে অপসারণ করতে যেতে পারবেন, তখন তাকফির করা যাবে না।

তাদের আরেকটি প্রিয় বিতর্ক হল, তারা মুখে বলে যে যদি কোন কাফির শক্তি আমাদের ভূমিতে ক্ষমতা দখল করে, আমাদেরকে অবশ্যই যুদ্ধ করতে হবে। কিন্তু এটার মানে কিন্তু এই না যে আপনি দাওয়াহ করতে পারবেন না।

তাছাড়া প্রস্তুতি স্বল্পতার দরুণ আপনি যদি জিহাদ না করতে পারেন, সে সময়টা আপনি তাদেরকে ইসলামের পথে ডাকতে তো পারেন। কিছু ব্যক্তি আছে যারা বলবেন FIS নব্বইয়ের দশকে তো আলজেরিয়াতে এটা করেছিল। তারা যুক্তি দেখাবে যে তারা পার্লামেন্টে যোগ দিয়েছে ভালকে প্রতিষ্ঠা করতে ও খারাপকে অপসারণ করতে।

তাদের কাছে তো অস্ত্র বা ক্ষমতা ছিল না। তাই আল্লাহর পক্ষ থেকে ইসলাম ত্যাগকারী সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করার আদেশ থাকার পরেও তারা তা’ওয়ীল দ্বারা নিজেদের পার্লামেন্টে যোগ দেয়াকে বৈধ করবে।

তারা বলে যে উপরোক্ত বিষয়গুলো সংসদে যোগদানকারীদের তাকফির করা থেকে বিরত থাকার জন্য যুক্তি হিসাবে কাজ করে। যদিও অন্যরা প্রতিবাদ করে যে এই যুক্তিগুলো গ্রহণযোগ্য নয় কারণ তাদের জানানো হয়েছে যে এটি কুফর।

কিছু লোক পার্লামেন্টে প্রবেশ করে কিছু বিবৃতি দেয় যা তা’ওয়ীল দ্বারা গ্রহণযোগ্য করা যায় না। যেমন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শাসক কর্তৃক প্রণীত সকল আইনের অনুগত থাকব । কারণ একমাত্র তারই আইন প্রণয়নের অধিকার আছে।’ তখন তারা কাফির হয়ে যায়, তাদের তা’ওয়ীল আর গ্রহণ করা হয় না।

কেউ যদি সংসদে যোগদান করে এবং পরবর্তীতে আইন প্রণয়ন করে তবে এটি স্পষ্ট কুফর এবং এর জন্য কোনো তা’ওয়ীল গ্রহণযোগ্য হবে না।

কিছু লোক এমনও বলে থাকে যে, তারা ভেতর থেকে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চায়। তারা দাবী করে তারা ভেতরে দাওয়াহ করতে ইচ্ছুক। যদিও পার্লামেন্ট দা’ওয়াহর জায়গা না। উদাহারণস্বরূপ, সত্য জানানোর জন্য কিংবা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে ইসলামের বক্তব্য জানানোর জন্য একজন শায়খ সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে পারেন না।

কারণ, পার্লামেন্টের সদস্যরা ঐ লোকের কথা অনুসরণ করতে বাধ্য নয়। অন্যান্য সাংসদদের মতো উনার কথাগুলোও শুধুই একটি মত হিসাবে গৃহীত হবে।। তাই আল্লাহ কি বলেন তা বিবেচনায় না নিয়েই এই শায়খের বক্তব্যকে একটি সাধারণ মতামত হিসাবে বিবেচনা করা হবে ।

তাই সাংসদরা হয়তো ঘন্টার পর ঘন্টা খুঁটিনাটি নিয়ে গবেষণা করে শেষমেষ শায়খের পরিবর্তে অন্য কারো ‘মত’কেই গ্রহণ করবে।

কিছু পথভ্রষ্ট দল যুক্তি দেখায়, শায়খরা শুধু উপদেশ দিতেই প্রবেশ করেন, সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।

কিন্তু সংসদীয় ব্যবস্থা অনুযায়ী, যেকোনো আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সকল সাংসদের নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার থাকে কিন্তু একটি নির্দিষ্ট মত আইন হিসাবে গৃহীত হলে এই মতের বিরোধীদেরকেও সেটিকে আইন হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

সকল সদস্যের বিতর্ক-বিশ্লেষণশেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াই এই আইনকে বৈধতা দান করে। তাই বিরোধীদলীয় এমপিরাও কার্যত আইন প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন। এর কারণ হলো একটি আইন প্রণীত হওয়ার ক্ষেত্রে সরকার এবং বিরোধীদল উভয়পক্ষের সাংসদদের সেটিকে বৈধতা দিতে হয়।

বিরোধীদলও সংসদের অপরিহার্য অংশ এবং আইন প্রণয়নে তাদের ভূমিকা সরকারী দলের সমান। উভয়ের অবদান সমান। মিশরের ইখওয়ান এবং অন্যান্য ‘গণতান্ত্রিক ইসলামি দল’ গুলো নিজেদের বিরোধীদল বলে দাবী করে । তাদের দাবী সত্য।

কিন্তু যখন আইন বাস্তবায়িত হয়, তখন তারা তা গ্রহণ ও মান্য করতে বাধ্য থাকে। ফলে প্রকৃতপক্ষে তারা সেই মানবরচিত আইনকে বৈধতা দান করে।

 

আল্লাহ আমাদের শরীয়াহ দ্বারা জানিয়ে দিয়েছেন, কী গ্রহণযোগ্য আর কী গ্রহণযোগ্য নয়। যদি সংসদ আইন করে যে এলকোহল নিষিদ্ধ, তাহলে তো সরকার শরীয়াহর মত একই উপসংহারে আসল, তখন আমরা এটিকে কীভাবে দেখব? আমাদের প্রথমে দেখতে হবে তারা এই সিদ্ধান্তে কীভাবে উপনীত হল?

তারা কি কুরআন ও সুন্নাহ ব্যাবহার করেছিল? না কি তারা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে এ সিদ্ধান্তে আসলো? তাই যদিও সরকার এখানে শরীয়াহর সাথে একমত, ইসলাম তখনো এটিকে শিরক বলবে। কারণ তারা আল্লাহর সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেনি, বরং মানুষেরটা করেছে।

তাই এখানে আসল বিষয় হল সবকিছুই একান্তভাবে আল্লাহর উপর অর্পণ করা। তাই যদিও কিছু অংশ শরীয়াহ সমর্থন করে, তারপরেও এটি শিরক।তাই আমাদের দেখতে হবে কোথা থেকে এবং কীভাবে তারা এ সিদ্ধান্তে এল, এবং কোথা থেকে তারা তা প্রাপ্ত হল।

যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ মহান আল্লাহর সিদ্ধান্ত খুঁজছে, যদিও সে কোনো ভুল করে, তারপরেও সে পুরস্কৃত হবে। একইভাবে যদি আইন আল্লাহর হুকুম সমর্থন করে, কিন্তু সংসদ থেকে আসে, তবে তা শিরক।

কারণ, সরকারের মাধ্যমে আংশিকভাবে শরীয়াহ প্রয়োগ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করা।

তা’ওয়ীলের ভুল দেখিয়ে দিয়েই আমরা কারও উপর তাকফির করতে পারি না। কারণ, আমরা জানিনা তারা আমাদের যুক্তি মন থেকে গ্রহণ করবেন কিনা, তাই তারা তখনো নিজ তা’ওয়ীলে বিশ্বাস করে থাকতে পারেন।

এ কারণে ইবনে তাইমিয়াহ আল্লাহর বৈশিষ্ট্য অস্বীকারকারীদের তাকফির করা থেকে বিরত থেকেছিলেন।

_____ ______________________________________________

অনুবাদ করা হয়েছেঃ শায়খ আবু ক্বাতাদা আল ফিলিস্তিনি রচিত ‘ঈমান সিরিজ’ থেকে। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে অটল রাখেন এবং তাঁকে হেফাজত করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − 3 =

Back to top button