সম্মানিত ভিজিটর! গাজওয়াতুল হিন্দ ওয়েবসাইটের আইপি এড্রেস- 82.221.136.58, ব্রাউজিং করতে সমস্যা হলে আইপি দিয়ে প্রবেশ করুন!
Home / অডিও ও ভিডিও / কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনঃ একই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি | শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ | Bengali Translation

কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনঃ একই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি | শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ | Bengali Translation

 

مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা ডাবিং
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled

كشمير وفلسطين : قصة تتكرر

কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনঃ একই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি

Kashmir and Palestine : A Recurring Tragedy

للشيخ أيمن الظواهري حفظه الله
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
By Sheikh Ayman Az Zawahiri Hafizahullah

للمشاهدة المباشرة والتحميل
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading

https://justpaste.it/Kashmir_and_Palestine
https://mediagram.me/072979b1eb034495
https://noteshare.id/Uet63dB
https://archive.ph/FxbJV
https://archive.ph/4RM4V
https://archive.ph/AK5yr

روابط الجودة الاصلية
FULL HD 1080 (859.6 MB)
মূল রেজুলেশন [৮৫৯.৬ মেগাবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/dgX7ZNBKB9Brg3A
https://archive.org/download/kashmir…hAymanHafizahu llah.mp4
https://www.file-upload.com/c26031wr6dhr

روابط الجودة العالية
HQ 1080 (707.8 MB)
১০৮০ রেজুলেশন [৭০৭.৮ মেগাবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/C4zqeoMZbip8Lme
https://archive.org/download/kashmir…ine%20–HQ.mp4
https://www.file-upload.com/lht2ik3mee5z

روابط الجودة المتوسطة
MQ 720 (371.3 MB)
৭২০ রেজুলেশন [৩৭১.৩ মেগাবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/W2bt2tDKcfefLZo
https://archive.org/download/kashmir…tine%20-MQ.mp4
https://www.file-upload.com/iu0xvbyxtax5

روابط الجودة المنخفضة
LQ 360 (150.2 MB)
৩৬০ রেজুলেশন [১৫০.২ মেগাবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/sszKSC8FtD4JA9X
https://archive.org/download/kashmir…tine%20-LQ.mp4
https://www.file-upload.com/q61o06kqu4kj

روابط جودة الجوال
Mobile Qoality (121 MB)
3GP রেজুলেশন [১২১ মেগাবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/7yA734D5cdaH5SE
https://archive.org/download/kashmir…hAymanHafizahu llah.3gp
https://www.file-upload.com/rdiryql9f8e7

روابط بي دي اب
PDF (622 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৬২২ কিলোবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/SPkRpd8Mo5p8TXW
https://archive.org/download/kashmir…hAymanHafizahu llah.pdf
https://www.file-upload.com/p7jsyff6sceu

روابط ورد
Word (120 KB)
ওয়ার্ড [১২০ কিলোবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/3bWqWSQgxo4wHZ4
https://archive.org/download/kashmir…hAymanHafizahu llah.docx
https://www.file-upload.com/qrgq7227f3y0

روابط الغلاف- ١
book Banner [667 KB] বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৬৬৭ কিলোবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/jijiRFwNqwxXHCn
https://archive.org/download/kashmir…ne/prossed.jpg
https://www.file-upload.com/sut37o49lvxf

روابط الغلاف- ٢
Banner [550 KB] ব্যানার ডাউনলোড করুন [৫৫০ কিলোবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/6j3tDb8gJawiaNw
https://archive.org/download/kashmir-palestine/kashmir%20o%20filistin%20Banner.jpg
https://www.file-upload.com/delosapunsla
https://i.imgur.com/Axb3oG2.jpeg

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent

​————————————————————

 بسم الله الرحمن الرحيم

কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনঃ একই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি

 

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ

প্রকাশনা

মূল প্রকাশনা সম্পর্কিত কিছু তথ্য

মূল নাম:

  كشمير وفلسطين قصة تتكرر -للشيخ أيمن الظواهري – حفظه الله

ভিডিও দৈর্ঘ্য: ৪৭:০৪ মিনিট

প্রকাশের তারিখ: শাওয়াল ১৪৪৩ হিজরি

প্রকাশক: আস সাহাব মিডিয়া

শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ:

“আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের প্রতি! আপনাদের সন্তানদের রক্ত তো আমাদেরই সন্তানদেরই রক্ত। আর আপনাদের রক্ত তো আমাদেরই রক্ত। রক্তের বিনিময়ে রক্ত ঝরানো হবে, আর ধ্বংসের বিনিময়ে ধ্বংস চালানো হবে। মহান আল্লাহকে সাক্ষী করে বলছি, আমরা আপনাদেরকে ভুলে যাবো না। যতদিন না সাহায্য আসে, অথবা আমরা সেই স্বাদ আস্বাদন করি যা আস্বাদন করেছিলেন হামযা বিন আব্দুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু”।

 

কাশ্মীরী শ্লোগান:

আমরা কি চাই? – আযাদি

বুরহান ওয়ানি’র শাহাদাতের বিনিময়ে কি চাই? – আযাদি

না পাওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নিব না – আযাদি

ভারত থেকে আমরা ছিনিয়ে নিব – আযাদি

আযাদি! আযাদি! আযাদি!

উপস্থাপকঃ

কাশ্মীরে আমাদের মুসলিম ভাই ও বোন এবং বিশ্বের সর্বত্র যেখানেই মুসলিমদের আবাস, সেখানেই তাদের বিরুদ্ধে কুফরি শক্তির যুদ্ধের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। মুসলিমদের দুঃখ-কষ্ট ও সংগ্রামের ইতিহাস, নানা ফ্রন্টে নানা রণাঙ্গনে সমানতালে রচিত হচ্ছে।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

কাশ্মীরের আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনেরা!

আপনাদের এ সমস্যা আপনাদের একার নয়, এটা গোটা মুসলিম উম্মাহর সমস্যা। গোটা মুসলিম উম্মাহ আজ নির্যাতিত, নিপীড়িত। তাদের অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠিত হচ্ছে। তাদের ভূমিগুলো আগ্রাসনের শিকার। তাদের মান-সম্মান ভূলুণ্ঠিত। এই বিপর্যস্ত মুসলিম উম্মাহর যে বেদনা ও ক্ষত, সেই একই ‘বেদনা ও ক্ষত’র অংশ আপনারা বয়ে চলেছেন। মালি, সোমালিয়া, মিশর, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইরাক, শিশান, আফগানিস্তান, বার্মা এবং ভারত – সর্বত্রই একই বেদনার দহন।

উপস্থাপকঃ

ফিলিস্তিনের সঙ্গে কাশ্মীরের কি আজব মিল!! শুধু তাই নয়। ফিলিস্তিনের সাথে নোংরা ইহুদি গোষ্ঠীর আচরণ যেমন জঘন্য, কাশ্মীরের মুসলিমদের সাথে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয়দের আচরণও তেমন জঘন্য। ধূর্ত ইহুদিদের সাথে মুশরিক হিন্দুদের পাপাচারের কী বিস্ময়কর সাদৃশ্য!

لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِينَ آمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا ۖ

“অর্থঃ যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি মানুষের মধ্যে ইহুদি ও মুশরিকদেরকে তুমি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি শত্রুতাপরায়ণ দেখতে পাবে”। (সুরা আল-মায়িদা ৫:৮২)

ভারতীয় মিডিয়া থেকে সংগৃহীত খণ্ডচিত্রঃ

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় সৈন্যরা শক্তিশালী এক শত্রুকে পরাজিত করে। ইসরাইলের হাইফা শহর মুক্ত করতে তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিল।

ইসরাইল সরকারের সাক্ষ্য:

আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইফার সাহসীদের সম্মান জানাতে এসেছি। হাইফার মুক্তিতে অংশগ্রহণকারী সাহসী ভারতীয় সৈন্যদের স্যালুট জানানো, আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের বিষয়। হাইফার বিজয় পরোক্ষভাবে আমাদের মুক্তিতে অবদান রেখেছিল।

উপস্থাপকঃ

এই মিল ও সাদৃশ্য ইহুদি ও হিন্দুদের একাত্মতা ও অভিন্নতার স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। এই দুটো ঘটনার ইতিহাস যারা পর্যবেক্ষণ করবে, তাদের দৃষ্টিতে এটা এড়িয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই। কাশ্মীর এবং ফিলিস্তিনের শুরুটা একই ছিল।

নিউইয়র্ক সম্মেলন (১৯৩১):

যদি আমার পক্ষে সম্ভব হয় তবে আমি ইংরেজদেরকে বলবো, ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব হল আরব অস্তিত্ব। এই আরব অস্তিত্ব গ্রেট ব্রিটেন ও গোটা বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। কিন্তু ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদীদের অস্তিত্ব গ্রেট ব্রিটেন এবং গোটা বিশ্বের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।

উপস্থাপকঃ

গ্রেট ব্রিটেনের নেতৃত্বে পশ্চিমা কাফেররা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনকে সোনার থালায় ইহুদিদের কাছে হস্তান্তর করে দিয়েছে।

ডেভিড লয়েড জর্জ (সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী):

আপনাদের রাষ্ট্রপতি যেমনটা আপনাদের কাছে উল্লেখ করেছেন যে, যায়নবাদী আন্দোলনকে সফল করার জন্য তিনি আমাকে ১৬ বছর আগে নিয়োগ করেছিলেন।

উপস্থাপকঃ

ইহুদিবাদী জাতিসংঘ বরাবরই মুসলিম উম্মাহর সাথে শত্রুতা পোষণ করে এসেছে। ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বৈধ করার জন্য তারা ‘শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা’র নামে একাধিক রেজুলেশন পাস করেছে।

জাতিসংঘ অধিবেশন (২৯শে নভেম্বর, ১৯৪৭)

ফিলিস্তিন সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির রেজুলেশনটি তেত্রিশটি পক্ষের ভোট, তেরোটি বিপক্ষের ভোট এবং দশটি অনুপস্থিত ভোটের ভিত্তিতে গৃহীত হল।

উপস্থাপকঃ বিশ্বব্যাপী ঐক্যবদ্ধ কাফের গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় মুজাহিদরা তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা এবং ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। তবুও কাফের গোষ্ঠী তাদের দৃশ্যত অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করে বিজয়ী হয়।

শহীদ যোদ্ধা (যেমনটা আমরা তাকে মনে করি) আব্দুল কাদির আল-হুসেইনি, আরব লীগকে চিঠিতে লিখেছিলেন: “আমার সৈন্যরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছার পরেও আপনারা সাহায্য পরিহার করে নিয়েছেন। অস্ত্র ও লজিস্টিক সরবরাহ না করে, তাদেরকে মাঝপথে ছেড়ে এসেছেন। এই পরাজয়ের জন্য আপনারাই দায়ী।

এরপর ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা দিনকে দিন বাড়তেই থাকে। তারা ক্রমাগত হত্যা, জোরপূর্বক বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ ও নির্বাসনের স্বীকার হতে থাকেন। এরপর ইহুদিদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেই ঘোষণা আসে।

ডেভিড বেন গুরিওন:

আজ ফিলিস্তিনের ভূমিতে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট শেষ হচ্ছে। এখন আমরা ফিলিস্তিনের ভূমিতে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিচ্ছি। এর নাম হবে ‘স্টেট অফ ইসরাইল’।

উপস্থাপকঃ

গ্রেট ব্রিটেনের পর আমেরিকা ইহুদিবাদীদের সমর্থনের মশাল হাতে নিয়েছে।

জাতিসংঘে আমেরিকার বিবৃতি (১৪.০৫.১৯৪৮):

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে ইসরাইলের প্রকৃত কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

উপস্থাপকঃ

অপরদিকে মুসলিম উম্মাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে। কাশ্মীরের মুজাহিদরা হিন্দু ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান জোরদার করে। অথচ এই দখলদারিত্বে ক্রুসেডার ব্রিটেনের পূর্ণ সমর্থন ছিল।

এ.এম ওয়াতালি (জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রাক্তন ডি আই জি):

এটি একটি আকস্মিক আক্রমণ ছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় (কাশ্মীরে ভারতের এজেন্ট) মহারাজাকে কাশ্মীর থেকে পালাতে হয়েছিল।

উপস্থাপকঃ

কাশ্মীরের মুক্তি তখন প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিল। জিহাদি প্রতিরোধের জোয়ার বন্ধ করার জন্য হিন্দু ভারত তাদের স্বভাবগত ধূর্ততার মাধ্যমে গ্রেট ব্রিটেনের নেতৃত্বাধীন ক্রুসেডার পশ্চিমের সাথে একজোট হয়। ভারত কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের আহবান করে। ফলে কাশ্মীরের অবস্থাও তার বোন ফিলিস্তিনের মতই হয়েছিল। ফিলিস্তিনের মত একই দুর্ভাগ্য কাশ্মীরকে বরণ করতে হয়।

ভারত সম্পর্কে ডকুমেন্টারির একটি অংশ:

অবশেষে, নেহরু জাতিসংঘের দ্বারস্থ হয়। জাতিসংঘের উদ্দেশ্য তার বক্তব্য এরকম ছিল: “আমরা এখানে এসেছি কারণ আমরা চাই না এ সংঘাত আরও বিস্তার লাভ করুক।” অবশেষে ১৯৪৮ সালের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পাকিস্তানকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিত সমস্ত সংস্থা ও গ্রুপ অপসারণ করতে বলে। অপরদিকে ভারতকে বলে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজনীয় সৈন্য রেখে অবশিষ্ট সৈন্য প্রত্যাহার করতে। জম্মু ও কাশ্মীরের সকল গুরুত্বপূর্ণ মাসলাকের সদস্যদের নিয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করার কথা ছিল। এছাড়া জনগণের প্রকৃত ইচ্ছা বুঝার জন্য একটি গণভোটের আয়োজন করার কথা বলা হয়েছিল। এই গণভোট কার্যক্রম সম্পাদনার জন্য একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার কথাও বলা হয়েছিল।

উপস্থাপকঃ

প্রকৃতপক্ষে প্রথম অংশ, যেটি ‘যুদ্ধবিরতি’ সংক্রান্ত ছিল – সেটি বাস্তবায়িত হয়েছিল। আর দ্বিতীয় অংশটি এখন পর্যন্ত গণভোট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা দেখতে পাই জাতিসংঘের কার্যক্রম তখনই পরিলক্ষিত হয়, যখন কোনও ইস্যুতে মুসলিমদের স্বার্থ ও লাভের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু করার প্রয়োজন হয়। মুসলিমদের স্বার্থের পক্ষে কখনই জাতিসংঘ সোচ্চার হয় না। এ সুযোগে এই মুশরিক হিন্দু ও যায়নবাদী ইহুদিরা কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। তারা এই দুই ভূখণ্ডে আমাদের জনগণের উপর সর্বপ্রকার নিপীড়ন, অবিচার ও অত্যাচার চালাচ্ছে। পুরুষ, মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদেরকে নির্বিশেষে হত্যা করছে। লাখ লাখ জনগণকে বাস্তুচ্যুত করেছে। হাজার হাজার জনগণকে কারাগারে বন্দি করেছে। মসজিদ ধ্বংস করেছে। তীর্থস্থান, পুণ্যভূমি ও পবিত্র স্থানগুলোকে অপবিত্র করেছে। মুসলিমদের জমি ও বসতবাড়ি বাজেয়াপ্ত করে নিজেদের বসতি গড়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন –

لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِينَ آمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا ۖ

“অর্থঃ যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি মানুষের মধ্যে ইহুদি ও মুশরিকদেরকে তুমি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি শত্রুতাপরায়ণ দেখতে পাবে।” (সুরা আল-মায়িদা ৫:৮২)

উপস্থাপকঃ

ফিলিস্তিনে মুসলিম উম্মাহর সাথে যুগ যুগ ধরে চলমান শত্রুতা ও নিপীড়নের সর্বশেষ সংযোজন হল – ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি (শতাব্দীর চুক্তি)। আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতায় সম্পাদিত এই চুক্তিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, অপরাধী জারজ রাষ্ট্র ইসরাইলের রাজধানী হবে কুদস (জেরুজালেম)।

ডোনাল্ড ট্রাম্প:

এই প্ল্যান অনুযায়ী কুদস ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী হবে। এই অংশটা গুরুত্বপূর্ণ – “ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী”।

উপস্থাপকঃ

একইভাবে একই সময়ে বহু মানুষের অগোচরে আরও একটি ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু এটা হয়েছে কাশ্মীরের বেলায়। উম্মাহর ভুলে যাওয়া ‘ক্ষত’। এবারের এই ঘোষণা জম্মু-কাশ্মীরে আমাদের ভাইবোনদের অবশিষ্ট অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ, ধর্মান্ধ, হিন্দু মোদী কাশ্মীরকে সম্পূর্ণরূপে ভারতের সাথে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।

নরেন্দ্র মোদী:

‘আর্টিকেল ৩৭০ বাতিল করা’ – এটা সম্পন্ন করা হয়েছে। ‘জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্তি’ – এটাও সম্পন্ন করা হয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থার অধীনে আমরা সবাই মিলে জম্মু ও কাশ্মীরকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’ থেকে মুক্ত করব।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

ভারতের হিন্দু সরকার কাশ্মীরকে ভারতের সাথে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ইসলামি দেশগুলোর শাসকের গালে থাপ্পড় মারার মতই ঘটনা। কুফফার ক্রুসেডার জোটের শীর্ষ সন্ত্রাসী দেশগুলোর সমর্থনের কারণেই ভারত পুরো আত্মবিশ্বাসের সাথে এমনটা করতে পেরেছে। পাকিস্তানের প্রকৃত শাসক ‘পাকিস্তানি মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স’ বা আই এস আই এর অক্ষমতা ও ব্যর্থতাকে ভারত নিজেদের স্বার্থে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে।

ইমরান খান (পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী):

আজ আমি আপনাদের কিছু কথা বলতে চাই। কেউ যদি মনে করে যে সে পাকিস্তান থেকে ভারতে যাবে কাশ্মীরে লড়াই ও জিহাদ করার জন্য, তবে তার মনে রাখা উচিত, তার এমন সিদ্ধান্ত সবার আগে কাশ্মীরিদের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে। আর কেউ যে কোন পন্থায় এবং যেকোন ভাবে যদি পাকিস্তানে থেকে কাশ্মীরের জন্য কিছু করতে চায়, তবে আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, সে ব্যক্তি অবশ্যই পাকিস্তানের এবং কাশ্মীরিদের শত্রু বলে বিবেচিত হবে।

উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ:

কারা কাশ্মীর থেকে মুজাহিদদের ফিরিয়ে রাখতে চায়!? কারা কাশ্মীরে উম্মাহর সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছানোকে ফিরিয়ে রাখতে চায়?! এরা হলো পাকিস্তানের শাসকবর্গ এবং জেনারেলরা। ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে আরবের শাসকবর্গ এবং সেনাবাহিনী যে ভূমিকা পালন করছে, এই বিশ্বাসঘাতক গোষ্ঠী ঠিক একই ভূমিকা পালন করছে কাশ্মীরের বেলায়।

উপস্থাপকঃ

আরবের যায়নবাদী শাসকেরা ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’কে খুশি মনে সমর্থন জানিয়েছে। তারা তাদের মনিব ইহুদিদের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতক গোষ্ঠীও স্বতঃস্ফূর্তভাবে একই কাজ কাশ্মীরের বেলায় করেছে।

সিসি (মিশরের প্রেসিডেন্ট):

‘শতাব্দীর চুক্তি’তে শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের জন্য যে সকল পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, আমি দৃঢ়ভাবে সেসমস্ত প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি। আমি নিশ্চিত যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি (ট্রাম্প) – এটিকে সফল করতে সক্ষম হবেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প:

এখানে আমি ওমান, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

উপস্থাপকঃ

মুসলিম বিশ্বের এই গাদ্দার শাসকেরা মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরের সম্পূর্ণ অধিগ্রহণের পর, অপরাধী হিন্দু মোদীকে সমর্থন জানাতে দ্বিধা করেনি।

আল জাজিরার সংবাদ প্রতিবেদন:

ভারতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে, এই পদক্ষেপ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে। আবুধাবি নয়াদিল্লিকে তার রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে এই অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। সম্ভবত ভারতের পরে আরব আমিরাতই দ্বিতীয় দেশ, যে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। আরব আমিরাতের বক্তব্য ছিল এমন – এই পদক্ষেপ উক্ত অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠাকে উৎসাহিত করবে। কাশ্মীরের জনগণের জীবন যাপনের মানেরও উন্নতি ঘটবে৷

উপস্থাপকঃ

আলে সৌদের নির্বোধ ছেলে সৌদি আরবকে ভারতের বৃহত্তম বিদেশী বিনিয়োগের দেশ বানাতে চেয়েছে। হিন্দুদের অর্থনীতিতে বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের জন্য চুক্তি করেছে।

বিন সালমানঃ

আমরা ভারতে আগামী দুই বছরের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে একশ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আমরা আরও আশা করছি যে, সৌদি আরব এবং ভারতের মধ্যকার এই সম্পর্ক আরও বেশি ভারতীয় কর্মী এবং জনশক্তিকে সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করবে। আমরা আশাবাদী এর দ্বারা ভারতীয়রা আমাদের ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নে অবদান রাখবে।।

উপস্থাপকঃ

সে (মুহাম্মাদ বিন সালমান) কাশ্মীরের মুসলিমদের উপর হিন্দুদের জবর দখলের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছে।

বিন সালমান:

ভারত ও সৌদি আরব উভয় দেশই আজ একই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এর মধ্যে প্রথমটি হল সন্ত্রাসবাদ এবং ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা। আমরা ভারতকে আশ্বস্ত করছি – গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং রাজনৈতিক সহযোগিতায় সমন্বয় সাধনের জন্য একসাথে কাজ করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।

উপস্থাপকঃ

প্রতারক তামিম যায়নবাদীদের ও ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি দুঃসাহসী। ক্রুসেডারদের মনোরঞ্জনের চেষ্টায় সে কোন রাখঢাক রাখে না। এই তামিম হিন্দু অপরাধী মোদীরও বড় সমর্থক।

তামিম বিন হামাদ (কাতারের আমির):

আমাদের মধ্যকার যৌথ সামরিক সহযোগিতা অত্যন্ত দৃঢ় এবং শক্তিশালী। সবাই জানে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু আমাদের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি। আমরা আমাদের অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সাফল্যের জন্য আল্লাহর শোকর আদায় করছি।

উপস্থাপকঃ

কাতারি দূতাবাস এ বিষয়টা উদযাপন করেছে যে, কাতার থেকে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে মুসলিমদের ওপর বিমান হামলার সংখ্যা প্রায় ২০,০০০ (বিশ হাজার) ছুঁয়েছে। এটা গত ২০ বছরে মার্কিন বিমান বাহিনীর মোট বিমান হামলার প্রায় ৫ ভাগের ১ ভাগ।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

মুসলিম দেশের সরকারগুলোর বিশ্বাসঘাতকতা, এমনকি ভারতের সাথে তাদের সহযোগিতা আসলে আশ্চর্যের কিছু নয়। বরং কোন ইস্যুতে মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এ সমস্ত মুসলিম দেশের সরকার যদি আন্তরিকভাবে কিছু করে তবে সেটাই হবে আশ্চর্যের বিষয়। কারণ এই সরকারগুলো সর্বদাই সেই বিশ্ব ব্যবস্থার আজ্ঞাবহ, অনুগত এবং নির্ভরশীল, যারা এসকল দেশে সরকারপ্রধান হিসেবে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শুধু তাই না, এই বিশ্বব্যবস্থা নিজেদের স্বার্থে এসকল সরকার প্রধানের কাজের গণ্ডি পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে।

উপস্থাপকঃ

আর এভাবেই এসমস্ত শাসকেরা আরব হয়েও ইহুদিবাদী ও হিন্দুত্ববাদীতে পরিণত হয়েছে। তারা আজ মুসলিমদের প্রতি সবচেয়ে বেশি শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণকারী দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নিজেদের রিদ্দা ও ধর্মত্যাগে পুরোপুরি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

আবু দাবিতে স্থাপিত হিন্দু মন্দিরের খণ্ডচিত্র:

জয় শ্রীরাম

জয় শ্রীরাম

(জয় শ্রী রাম – একটি শিরকি শ্লোগান। এর অর্থ – রাম দীর্ঘজীবী হোক। রাম হচ্ছে হিন্দুদের একজন দেবতা।

ভারতের মুসলিমদের অস্ত্রের মুখে এই শ্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। কেউ শ্লোগান দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে হত্যা করা হয়।)

হিন্দুদের এমন কিছু নৃশংস ভিডিও যেখানে দেখা যাচ্ছে তারা মুসলিমদেরকে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করছে:

এক হিন্দু বলছে: জয় শ্রীরাম বল, জয় শ্রীরাম বল।

ভারতের একজন মুসলিম: তারা (হিন্দুরা) আমার উপর আক্রমণ করেছে। তারা আমাকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বলেছিল। আমি বলতে অস্বীকার করায় আমাকে মারধোর করেছে।

অপর একজন ভারতীয় মুসলিম (২২শে জুন, ২০১৯): তারা আমাকে জয় শ্রীরাম বলতে বলে। এমনই আরও বিভিন্ন শ্লোগান উচ্চারণ করতে বলে।

ভারতীয় একজন মুসলিম নারী: তারা আমাদেরকে বলে: তোমরা জয় শ্রীরাম বল। তাহলে আমরা (এই করোনা পরিস্থিতিতে) তোমাদেরকে সাহায্য করবো। তখন আমরা তাদেরকে বলি: আমাদের সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। দুই কেজি আটার জন্য আমরা আমাদের ঈমান বিক্রি করব না।

আবুধাবির প্রথম হিন্দু মন্দিরে বক্তৃতার সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন: জয় শ্রী রাম…। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত সহনশীলতা, ভালবাসা এবং সহানুভূতির দেশ। ধন্যবাদ, জয় শ্রী রাম।

উপস্থাপকঃ এখনো কারও কি সন্দেহ আছে যে, কাশ্মীরে আমাদের লড়াই মূলত গোটা উম্মাহর লড়াই?!

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

এটি একটি সময়সাপেক্ষ লড়াই। এখানে আমাদের সবর অবলম্বন করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদেরকে এ ময়দানে লড়তে হবে। বিভিন্ন ফ্রন্টে এক উম্মাহ একই জিহাদি পতাকা তলে লড়াই করবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ইরশাদ করেন

إِنَّ هَذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ

অর্থঃ নিশ্চয়ই এটি তোমাদের উম্মাহ, এক উম্মাহ। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমারই ইবাদত করো। (সুরা আল আম্বিয়া ২১:৯২)

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন –

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنهُمَا : أنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «المُسْلِمُ أَخُو المُسْلِم، لا يَظْلِمهُ، وَلاَ يُسْلِمُهُ.

“ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার উপর অত্যাচার করবে না এবং তাকে অত্যাচারীর হাতে ছেড়ে দেবে না।”। (বুখারী ২৪৪২, মুসলিম ২৫৮০)

নরেন্দ্র মোদী:

আমার বন্ধু! ভারতের বন্ধু! আমেরিকার মাননীয় প্রেসিডেন্ট মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প।

উপস্থাপকঃ

সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে বৈশ্বিক কাফের গোষ্ঠী আমাদেরকে নির্মূল করতে এবং আমাদের জাতিসত্তাকে ধ্বংস করার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শয়তানী জোট তৈরি করছে। সেখানে আমরা কীভাবে ঐক্যবদ্ধ না হয়ে থাকতে পারি?!

ডোনাল্ড ট্রাম্প:

আজ আমরা সেসকল সাহসী আমেরিকান সৈন্য এবং ভারতীয় জওয়ানদের সম্মান জানাচ্ছি, যারা আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষার্থে গর্বিতভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে পারি। আমরা ইসলামী সন্ত্রাসবাদ ও কট্টরপন্থা থেকে আমাদের বেসামরিক নিরপরাধ লোকদেরকে নিরাপদ রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নরেন্দ্র মোদী:

আজ সময় এসেছে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা করার। যারা সন্ত্রাসবাদের বিকাশে সহায়তা করে তাদেরকেও আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। এ যুদ্ধে মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (মোদীর ইসরাইল সফরকালীন সময়ে):

আমরা আমাদের সম্মিলিত যৌথ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের জন্য কাজ করছি। এই বিনির্মাণে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা দুই জাতিগোষ্ঠী একত্রিত হয়েছে। আমাদের এই সম্পর্ক ঊর্ধ্বজগতে স্থাপিত হয়েছে। আজ যেটা হচ্ছে তা হলো পৃথিবীর বুকে ঊর্ধ্বজগতের সেই বন্ধনের বহিঃপ্রকাশ। তাই মহান নেতা মোদীর প্রতি শুভেচ্ছা! হে আমার প্রিয় বন্ধু! ইসরাইলে আপনাকে স্বাগতম!!

নরেন্দ্র মোদী:

ইসরাইলের শহর হাইফা। এই শহর স্বাধীন করার ক্ষেত্রে ভারতের সৈন্যদের অনেক বড় অবদান ছিল।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু:

হিন্দুরা এবং ইসরাইলিরা খুব ভালোভাবেই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণগুলোর বেদনা সম্পর্কে জানে! আমরা একে অপরকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিরোধ করব, কখনোই পরাজয় মেনে নিব না।

শাইখ শান-উল-হক সানভালী (মাওলানা আসেম ওমর):

এগুলো হলো আকিদা-বিশ্বাসের লড়াই। আকিদা বিশ্বাস থেকেই এ লড়াইয়ের উদ্ভব। গোটা বিশ্বে আজ এ লড়াই চলছে। গোটা বিশ্ব থেকে যায়নবাদী সৈন্যরা এ যুদ্ধে ভারতকে সমর্থন করছে। এটা অসম্ভব যে ভারত একাই কাশ্মীরে এসব জঘন্য অপরাধ সংঘটন করবে। ক্রুসেডারদের সমর্থন না থাকলে আসাম থেকে এক কোটি নয় লক্ষ মুসলিমকে উচ্ছেদ করার সাহস ভারত দেখাতে পারতো না। আমাদেরকে ভালোভাবে এই যুদ্ধের প্রকৃতি বুঝতে হবে। আমেরিকা থেকে ভারত পর্যন্ত, ব্রিটেন থেকে ইসরাইল পর্যন্ত – এটা এক ও অভিন্ন লড়াই।

উপস্থাপকঃ

ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ সমন্বিত প্রচেষ্টা পরিচালনার লক্ষ্যে এই অপরাধী চক্র নানান জোট গঠন করছে। এদের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য – মুসলিমদের ঐক্য ভেঙে উম্মাহকে টুকরো টুকরো করে রাখা। তারা চাচ্ছে, লড়াইয়ের সারিতে এক হয়ে সংগ্রাম করার যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত পালনে মুসলিমরা যেন ব্যর্থ হয়। সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো তারা যেন প্রতিরোধ সংগ্রাম করতে না পারে। তারা আমাদেরকে নিকৃষ্ট জাতীয়তাবাদের কুঠুরিতে আবদ্ধ রাখতে চায়।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

আজ একজন ফিলিস্তিনির ফিলিস্তিনের বাইরে অন্য কোন কিছু নিয়ে মাথা ঘামাবার সুযোগ তারা রাখেনি। আজ একজন সিরিয়ান সিরিয়ার বাইরে কিছু নিয়ে ভাবতে পারে না। একজন মিশরীয়, একজন ভারতীয়, একজন তুর্কি – কেউই সীমাবদ্ধ গণ্ডির বাইরে কিছু ভাবতে পারে না। প্রত্যেকে শরীয়তের নির্দেশনার বিরোধিতা করছে। নিকৃষ্ট এক সীমাবদ্ধ গণ্ডিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। নিকৃষ্ট ‘ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী’র গণ্ডিতে উম্মাহ আজ আটকে আছে।

আপন দেশের বাইরে অবস্থানকারী মুসলিম ভাইদের সমস্যা নিয়ে তারা চিন্তা করে না। এই জাতীয়তাবাদী চিন্তার দোহাই দিয়ে অন্য অঞ্চলের মুসলিমদের সমস্যা তাদের মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে বলা হয়। অন্যদিকে একই অঞ্চলের ধর্মনিরপেক্ষবাদী, কমিউনিস্ট, নাস্তিক এবং স্বজাতি থেকে বিতাড়িত নিকৃষ্ট চিন্তার লোকদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানানো হয়। নিজ অঞ্চলের বিধর্মীদের প্রতি সমব্যথী হবার এবং সহানুভূতি দেখানোর দাওয়াত দেয়া হচ্ছে। এটাই মুসলিমদের শত্রুদের প্রধান লক্ষ্য। এভাবেই তারা মুসলিম উম্মাহকে টুকরো টুকরো করে রাখতে চায়।

ভারতের এক মুসলিম বোন:

হে মুসলিম ভাই ও বোন!

আপনাদের কাছে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি, আপনারা ভীত হবেন না। ‘আমরা মুসলিম’ – এই অনুভূতি পোষণের কারণে ভীত হবেন না। “মুসলিম হিন্দু ভাই ভাই” – এটা আমাদেরকে বলতেই হবে এমনটা বিশ্বাস করবেন না। কোন খ্রিস্টান আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে কি দাঁড়ায়নি – এতে আমাদের কোনও পরোয়া থাকা উচিত নয়। আমাদের উচিত, কেবল নিজেদের ওপর নির্ভর করেই নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করা। অন্য ধর্মের লোকদের কাছ থেকে ভোট পেয়ে কিছু করার প্রয়োজন আমাদের নেই। অন্য জাতির সমর্থন নিয়ে আমাদের সমস্যাকে ‘স্বদেশ ও মাতৃভূমির সমস্যা’ মনে করে বিজয় অর্জনের প্রয়োজন নেই। আমরা এই ভারতের জন্য লড়াই করছি এমনটা ভাবার প্রয়োজন নেই। ভারতের পক্ষে লড়াই করার জন্য অনেক মানুষ রয়েছে। আমাদের ভালোভাবে বুঝতে হবে, আমাদের মুসলিম পরিচয় রক্ষার্থে লড়াই করা কোনও অপরাধ নয়। কেউ যদি আপনাদেরকে বলে, আপনারা নিজেদের মুসলিম পরিচয় প্রকাশ করবেন না, তবে সে আপনাদের বন্ধু নয়।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

আমাদের রব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং নবীজি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ (সমগ্র পৃথিবীর মুসলিমরা এক উম্মাহ) অমান্য করার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে – দ্বীন ও দুনিয়া উভয়টিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।

মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা বিশ্বাসঘাতক আরিফ এম খান (কাশ্মীরের মুসলিমদের ব্যাপারে বলে):

‘এটা বলা আপনাদের অধিকারে নেই যে, সেখানকার (কাশ্মীরের) মুসলিমদের উপর জুলুম করা হয়েছিল’।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী, পরাজিত ও মুনাফাখোররা কাশ্মীরে আমাদের জনগণের প্রচেষ্টাকে জাতিসংঘের অধীনে গণভোটের ফলাফল দ্বারা নষ্ট করার চেষ্টা করবে। এরা ক্রুসেডারদের সহানুভূতি ভিক্ষা করে, আরব উপদ্বীপের তেল চোরদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে। এগুলো সবই আবর্জনা এবং অসার কার্যকলাপ।

উপস্থাপকঃ

জাজিরাতুল আরব এর নির্বোধ যায়নবাদী শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে কীভাবে কোন কল্যাণ আশা করা যেতে পারে?! অথচ বাস্তবে এদের কার্যকলাপের জন্য এরা আল্লাহর আদালতে শাস্তির উপযোগী হয়ে আছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এরশাদ করেন—

وَلَا تُؤْتُوا السُّفَهَآءَ اَمْوَا لَـكُمُ الَّتِيْ جَعَلَ اللّٰهُ لَـكُمْ قِيٰمًا وَّا رْزُقُوْهُمْ فِيْهَا وَا كْسُوْهُمْ وَقُوْلُوْا لَهُمْ قَوْلًا مَّعْرُوْفًا

“এবং তোমরা অল্প-বুদ্ধিসম্পন্নদেরকে নিজেদের মাল প্রদান করো না, যা আল্লাহ তোমাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত থাকার উপকরণ করেছেন এবং সে মাল হতে তাদের অন্ন-বস্ত্রের ব্যবস্থা করবে এবং তাদের সঙ্গে দয়ার্দ্র ন্যায়ানুগ কথা বলবে।” (সুরা আন নিসা ৪:৫)

তারা নির্বুদ্ধিতার সকল সীমা অতিক্রম করেছে। এই যে মানসিক বিকারগ্রস্ত ইবনে সালমান। সে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা ও নির্লজ্জতার উৎসবে বিলাদুল হারামাইনের অর্থ অপচয় করছে। ওহী অবতরণের দেশে মূর্তি পুনর্নির্মাণের জন্য সে অর্থ ব্যয় করছে।

বিলাদুল হারামাইনের একজন নাগরিক:

এইটা আমার বাড়ি। আর এই যে নাইট ক্লাব। নাচের মজলিস। আজকে শুক্রবার রাত। এই হল ভিশন ২০৩০ এর প্রকৃত চিত্র। দেখুন, প্রকৃত অবস্থা এটাই। এর চেয়ে বেশিও না, কমও না। প্রকৃত অবস্থা এটাই। এখন আপনারাই বলুন এখানে আমি কীভাবে আমার কন্যাদেরকে এই পরিবেশে বড় করবো?!….. কিভাবে আমি আমার কন্যাদেরকে নাইট ক্লাবের পাশে গড়ে তুলবো?!… আপনারা বলুন, কীভাবে বড় করব আমি আমার মেয়েগুলোকে?!….. হে বিশ্ববাসী! আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন! কীভাবে বড় করব আমি আমার মেয়েগুলোকে?!

উপস্থাপকঃ

তামিম বিন হামাদও নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেয় এমন কাজ কর্মে ইবনে সালমান থেকে পিছিয়ে নেই। সে এমন এক টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে যেখানে চামড়ার থলির মধ্যে আটকানো বাতাসের (ফুটবল) একটি বস্তু নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকে। ওয়ার্ল্ড কাপের প্রস্তুতিতে সে প্রায় ২০০,০০,০০,০০,০০,০০০ (২০০ বিলিয়ন) ডলার খরচ করেছে।

যদি এর দশ ভাগের এক ভাগও কাশ্মীরের মুজাহিদদের অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য ব্যয় করা হত, তাহলে শুধু কাশ্মীর নয়, বরং গোটা হিন্দুস্তান আজ আল্লাহর সাহায্য ও তাওফিকে হিন্দুদের আগ্রাসন থেকে মুক্ত হয়ে যেত।

আমাদের কাশ্মীরের ভাইদের কোন উপায় উপকরণ ছাড়া একাকী ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জিহাদের প্রতি তাদের ভালবাসা আর স্বভাবজাত বীরত্বই আজ তাদের জিহাদ চালিয়ে যাবার মূল প্রেরণা।

কাশ্মীরের কতক মুজাহিদ:

হে আল্লাহ আপনি কাশ্মীরকে মুক্ত করে দিন! হে আল্লাহ আপনি ফিলিস্তিনকে মুক্ত করে দিন! হে আল্লাহ আপনি দখলদারদের দখল থেকে প্রতিটি মুসলিম ভূখণ্ডকে মুক্ত করে দিন!

শহীদ নেতা জাকির মূসা রহিমাহুল্লাহ:

হে শহীদদের সন্তানেরা! হে শহীদদের উত্তরসূরিরা!! আপনাদের সমস্যার সমাধান জাতিসংঘে নেই।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

হে আমাদের কাশ্মীরি ভাইয়েরা!

জিহাদ, ত্যাগ তিতিক্ষা, শাহাদাত, বন্দিত্ব, হিজরত ও নিজেদেরকে উৎসর্গ করা ছাড়া কখনোই নিজেদের অধিকার অর্জন, নিজেদের ভূখণ্ড স্বাধীন করা, নিজেদের সম্মান-সম্ভ্রম রক্ষা করা এবং রবের মনোনীত শরীয়ত বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবেন না। সক্ষমতা অর্জনের জন্য উপরোক্ত কাজগুলো আপনাদেরকে করতেই হবে।

কাশ্মীরের একজন মুসলিম যুবক:

আমরাও বন্দুক বহন করব এবং এই জারজদের বিরুদ্ধে লড়াই করব।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ইরশাদ করেন:

اَمْ حَسِبْتُمْ اَنْ تَدْخُلُوا الْجَـنَّةَ وَ لَمَّا يَأْتِكُمْ مَّثَلُ الَّذِيْنَ خَلَوْا مِنْ قَبْلِكُمْ مَسَّتْهُمُ الْبَأْسَآءُ وَا لضَّرَّآءُ وَزُلْزِلُوْا حَتّٰى يَقُوْلَ الرَّسُوْلُ وَا لَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ مَتٰى نَصْرُ اللّٰهِۗاَ لَاۤ اِنَّ نَصْرَ اللّٰهِ قَرِيْبٌ

“অর্থঃ তোমাদের কি এই ধারণা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনিভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্য! তোমরা শুনে নাও, আল্লাহর সাহায্য একান্তই নিকটবর্তী”। (সুরা বাকারা ২:২১৪)

কাশ্মীরী শ্লোগান:

আমরা কি চাই?

আন্দোলনরত লোকজনঃ আযাদি

এই আযাদির অর্থ কী?

আন্দোলনরত লোকজনঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

শহীদ শাইখ আবু ইয়াহইয়া লিবি রহিমাহুল্লাহঃ

আমরা কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে চাই। কিন্তু কি উদ্দেশ্যে আমরা স্বাধীন করতে চাই?

কুরআন, হাদিস ও পূর্ববর্তীদের শিক্ষা থেকে আমরা জানি যে, আমাদের স্বাধীনতার দ্বারা স্বাধীনতার একটি বিশেষ অবস্থাকে বুঝায়। আর সেটি হল – সে ভূমিকে তার আসল অধিবাসীদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। সেইসাথে সেই ভূমির আসল পরিচালনাকারীদের কাছে সেটা বুঝিয়ে দেয়া। যেন তারা তাদের রবের নির্দেশিত উপায়ে সে ভূমির অধিবাসীদের পরিচালনা করতে পারে। আর এটাই হচ্ছে ইসলাম।

কাশ্মীরের একজন মুসলিম যুবক:

আমরা শরীয়তের জন্য লড়াই করছি। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং খেলাফতের জন্য আমরা লড়াই করেছি।

তাকবীর, আল্লাহু আকবার!

তালিবান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রবেশ করছেঃ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ আপন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন, আপন বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই যৌথ বাহিনীকে পরাজিত করেছেন।

হামদ ও সালাতের পর…

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ জাল্লা জালালুহু এর জন্য। একমাত্র তিনিই সাহায্য-সহযোগিতা করে আমাদেরকে এ পর্যায়ে পৌঁছিয়েছেন।

উপস্থাপকঃ

আপনাদের জন্য আপনাদের আফগান ভাইদের থেকে শিক্ষার অনেক কিছু রয়েছে। তারা কোন কুফরি রাষ্ট্র বা সংস্থার উপর নির্ভর করেননি। একমাত্র নিজ রবের উপর তারা আস্থা রেখেছেন। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা মানুষের অন্তরে তাদের জন্য ভালবাসা তৈরি করে দিয়েছেন এবং আফগান ভূমি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন করে দিয়েছেন। তাদের থেকে উত্তম আদর্শ গ্রহণ করুন।

কাবুলের প্রেসিডেন্ট ভবনে সুরা আন-নাসর তেলাওয়াতঃ

إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ۝وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا۝فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا۝

“অর্থঃ যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় (1) এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, (2) তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী”। (সুরা আন-নাসর ১১০:১-৩)

উপস্থাপকঃ

গোপূজারীদের লাঞ্চনাকর পরাজয়ের আগ পর্যন্ত আপনাদেরকে জিহাদ ও শাহাদাতের এই পথে নীরবচ্ছিন্নভাবে চলতে হবে। যেমনটা আপনাদের আফগানিস্তানের ভাইরা করেছেন। আপনাদের আফগান ভাইরা গরুর রাখালদেরকে পরাজিত করেছেন। দুই দশক ধরে চলা এক দীর্ঘ যুদ্ধের পর আপনাদের ভাইরা রাখাল গোষ্ঠীকে পরাজিত করেছেন।

(কাবুল এয়ারপোর্টে অবরোধের মধ্যে থাকা আমেরিকান সৈন্যরা)

(২০ বছর পর মুজাহিদরা কাবুল এয়ারপোর্টে প্রবেশ করছে)

কাবুল বিমানবন্দরে ইমারাতে ইসলামিয়া’র একজন মুজাহিদ:

ক্যামেরা ম্যানঃ

মৌলবি সাহেব, এই বিমানগুলো দেখুন…

তালিবান নেতাঃ

আলহামদুলিল্লাহ, কাবুল বিমান বন্দর এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। মুজাহিদদের প্রতি আমার বার্তা – আপনারা গুলি ছুঁড়বেন না। বিমানগুলো যেন ধ্বংস না হয়। এগুলো সব মুসলিমদের সম্পত্তি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি এই আগ্রাসনের অবসান ঘটিয়েছেন।

তালিবান নেতাঃ

এই সময়টাকে সালাত ও ইবাদতের মাধ্যমে আপনারা উদযাপন করুন।

উপস্থাপকঃ

কেমন ছিল এই দুটো দশক? এই দুই দশক ছিল – ত্যাগ-তিতিক্ষা, নেতৃবৃন্দকে হারানো, মুজাহিদ, আমির, ওলামায়ে কেরাম এবং হাজার হাজার নারী, শিশু ও বৃদ্ধের শাহাদাতের দশক।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

তাই আমি আমার কাশ্মীরের ভাই বোনদের নসীহা করতে চাই – আপনারা একমাত্র আল্লাহর উপর আস্থা রাখুন। এরপর নিজেদের প্রতি এবং ঐ সমস্ত মুসলিম ভাই বোনদের প্রতি আস্থা রাখুন – যারা মুজাহিদ, দাঈ এবং সত্যনিষ্ঠ আলেম-উলামা।

ভারতীয় এক মুসলিম বোন:

সময়ের দাবি হচ্ছে – আপনারা একে অপরকে সাহায্য করুন এবং মুসলিমদের মাঝে বিরোধ তৈরি হবার সমস্ত উপায় উপকরণকে প্রতিরোধ করুন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে।

উপস্থাপকঃ

আল্লাহর অনুগ্রহে কাশ্মীরের মুজাহিদরা উম্মাহর অন্যান্য মুজাহিদদের থেকে সাহসিকতা, পুরুষত্ব ও অবিচলতায় কোন অংশে কম নয়। তবে তাদের ঐ সমস্ত লোকের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত, যারা তাদের জিহাদ বিকৃত করে দিয়ে সঠিক পন্থা থেকে এবং মোবারক এই কাজ থেকে বিচ্যুত করতে চায়। আমরা দেখে এসেছি, বিগত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি এই কাজটাই করে আসছে।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

বিভিন্ন সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কোন কাজেই আসবে না। ঐসকল গোষ্ঠী নিজেদের ক্ষতি মেনে নিয়ে কখনই তাদেরকে সাহায্য করবে না। তারা কেবল তাদের ইস্যু নিয়ে বাণিজ্য করবে।

উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ:

যদি কাশ্মীরের মুসলিমরা হিন্দুদের জুলুমের বিরুদ্ধে জিহাদ করার সময় এসকল বিশ্বাসঘাতকদের ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন না করে, যদি তারা তাদের পিঠে ছুরিকাঘাতকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয় – তবে তারা কখনোই ময়দান জয় করতে পারবে না। তাই তাদের জন্য করণীয় হল – হিন্দুদের জুলুম মোকাবেলা করার পাশাপাশি পাকিস্তানের জেনারেলদের বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাপারেও সোচ্চার থাকা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী, পরাজিত ও মুনাফাখোররা একটি সেকুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপনাদের জিহাদকে ব্যবহার করতে চাইবে। সন্ত্রাসীদের এই প্রবঞ্চনা সম্পর্কে সজাগ থাকুন। ভিক্ষা হিসেবে গণতন্ত্র চাওয়ার ফলাফল আপনারা মিশর, সুদান এবং আলজেরিয়াতে দেখেছেন।

উপস্থাপকঃ

এই সকল তিক্ত অভিজ্ঞতার কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। মিশরে ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’কে করুণ পরিণতির স্বীকার হতে হয়েছিল। ইখওয়ানের সদস্যরা নির্মম হত্যা, গণগ্রেফতার আর দেশ থেকে নির্বাসনের মুখোমুখি হয়েছিল। তিউনিসিয়ার আন নাহদা পার্টি ও রশিদ গান্নুশি ইখওয়ানের চাইতেও অবমাননাকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। আন নাহদা শয়তানের বাহিনীর সাথে মিত্রতা করে কোয়ালিশন সরকার গঠন করেছিল। আল্লাহর আইন দিয়ে শাসন করা থেকে বিরত থেকেছে। এরপর ইসলামের শত্রুদের সাথে মিলিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে, যারা আল্লাহর শরিয়ত অনুযায়ী শাসন করার কথা বলে।

রশিদ আল গান্নুশিঃ

নিজেকে, নিজের পরিবার পরিজনকে এবং সাধারণ জনসাধারণকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিবেন না।052

উপস্থাপকঃ

পরিশেষে এরাও ব্যর্থ ও অপমানিত হয়েছে…

তিউনিসিয়ার সেকুলারদের একজনঃ

পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে রশিদ আল গান্নুশিকে ‘না’ ভোট দিয়েছে।

উপস্থাপকঃ

গণতন্ত্রের প্রতারণাপূর্ণ ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখা আর কুমিরের কান্নার মত অবাস্তব বিষয় দেখতে চাওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। লা হাওলা ওয়া কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ…

রশিদ আল গান্নুশিঃ

আমি, রশিদ আল গান্নুশি। পার্লামেন্টের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও, আমাকে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আমি পার্লামেন্টের গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি। সামরিক বাহিনীর নির্দেশনা মোতাবেক আমাকে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না!

উপস্থাপকঃ

পাকিস্তানের অবস্থাও একই…

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

পাকিস্তানে দুর্নীতিগ্রস্থ একটি সেকুলার শাসন ব্যবস্থা চালু আছে। আপনাদের শিক্ষা নেয়ার জন্য পাকিস্তান একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। দীর্ঘ সময়ের সেকুলার শাসনব্যবস্থায় এর লাঞ্ছনা ছাড়া কোন অর্জন নেই। ভারতের কাছে পরাজয়, আমেরিকার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ, বাংলাদেশ, সোয়াত, ওয়াজিরিস্তান ও বেলুচিস্তানের জনগণের উপর নির্মম নিপীড়ন এর উল্লেখযোগ্য কিছু লাঞ্ছনাকর অর্জন।

শহীদ মাওলানা ওয়ালিউর রহমান মেহসুদ (আস সাহাব মিডিয়ার সাথে একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারের খণ্ডচিত্র):

পাকিস্তান আর্মি কাশ্মীরের জন্য কিছু করবে বা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে – এটি আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। এমনটা ঘটার কোন সম্ভাবনাই নেই। পাকিস্তান আর্মি তার নিজ লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেই ব্যস্ত। এর অন্যতম লক্ষ্য গোত্রীয় এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়া। এই বাহিনী আমেরিকার মিত্র হয়ে কাজ করছে। এটাই নির্মম বাস্তবতা এবং আপনারা সকলেই এটা জানেন। তারা আমেরিকার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে। এরপর আমেরিকার নির্দেশে নিজ দেশের অধিবাসীদের নিজেরাই হত্যা করে।

জেনারেল কিয়ানিঃ

আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য আমরা কাশ্মীরকে ত্যাগ করেছি। একথা স্বীকার করে নিতে আমার কোন আপত্তি নেই।

উপস্থাপকঃ

এই বিশ্বাসঘাতকতার সামনা সামনি জবাব দেয়ার উপযুক্ত উপায় একটাই। একনিষ্ঠভাবে জিহাদ করা। এ জিহাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হবে – আল্লাহর কালিমা আল্লাহর জমিনে বুলন্দ করা।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ

“আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়”। (সুরা আনফাল ৮:৩৯)

আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বলল, এক ব্যক্তি গনিমতের জন্য, এক ব্যক্তি প্রসিদ্ধ হওয়ার জন্য এবং এক ব্যক্তি বীরত্ব দেখানোর জন্য জিহাদে শরীক হলো। তাদের মধ্যে কে আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করল? তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র কালিমা বুলন্দ থাকার উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করল, সে-ই আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করল।’(বুখারি – ২৮১০)

বুরহান ওয়ানিঃ

যাতে কাশ্মীরে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা শুধু কাশ্মীরই নয়, বরং পুরো পৃথিবীতে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবার আগ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবো না।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

আমাদের লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাদের অধ্যবসায়ী ও ধৈর্যশীল হতে হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন –

وَكَأَيِّن مِّن نَّبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ

“অর্থঃ আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জিহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।” (সুরা আল-ইমরান ৩:১৪৬)

কাশ্মীরী শ্লোগানঃ

চাইলে আমাদেরকে জেলে পাঠাও – আযাদি

চাইলে আমাদেরকে হত্যা কর – আযাদি

কাশ্মীরী যুবকঃ

আমরা আমাদের জাতির জন্য প্রয়োজনে নিজেদের জীবন দিয়ে দিতে প্রস্তুত আছি। ইসলামের প্রতিরক্ষায় যদি আমাদের হাতে একে-৪৭ তুলে নিতে হয়, তবে তার জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি।

কাশ্মীরী শ্লোগানঃ

আমরা চাই – আযাদি

আমরা চাই – আযাদি

উপস্থাপকঃ

ইসলাম ও আল্লাহর নির্দেশিত শরিয়তের প্রতি সাধারণ মুসলিমদের এই ভালবাসায় মুশরিকদের আতংকিত করেছে। তাইতো নাপাক মুশরিকরা আজ কাশ্মীর সহ সমগ্র ভারত থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের উচ্ছেদ করতে চাচ্ছে।

একজন উগ্র হিন্দুর বক্তব্যঃ

পরিস্থিতি যাইহোক না কেন, আমরা ভারতকে একটি ইসলামী রাষ্ট্র হতে দিব না। যদি এজন্য আমাদের জীবন দিতে হয়, তবে আমরা তাই করবো। যদি এজন্য আমাদের সন্তানদের হত্যার স্বীকার হতে হয়, তাতেও আমরা রাজি আছি। মোটকথা ভারতকে ইসলামী দেশে পরিণত হওয়া ঠেকাতে আমাদের যা করা লাগবে, আমরা তাই করবো।

আমরা বিশ্বের অন্যান্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি – যদি ভারত ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে যায় তবে এর দ্বারা সমগ্র পৃথিবীই হুমকির মুখে পড়বে। ইটালির পোপ এবং আমেরিকার রাজনীতিবিদরাও হুমকির মুখে পড়বে।

আমাদের প্রথম আদর্শ ইসরাইল। ইসরাইলের পর আমাদের দ্বিতীয় আদর্শ মিয়ানমার (বার্মা)। আমাদের এই দুই দেশ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত এবং তাদেরকে অনুসরণ করা উচিত।

উপস্থাপকঃ

ভারতীয় হিন্দুরা ইসরাইল ও মিয়ানমারের মডেল অনুযায়ী ইতিমধ্যেই কাজ করা শুরু করেছে। আসামের মুসলিম গণহত্যা এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। প্রকৃত পক্ষে ইসরাইলের মডেল অনুযায়ী কাজ সমগ্র ভারতেই শুরু করা হয়েছে। সম্প্রতি দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাতে মুসলিমদের বাড়ি ও সম্পত্তি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এভাবে জোর করে মুসলিমদের সম্পত্তি দখল করা হচ্ছে। মোদীর পোষা পুলিশ বাহিনীর সামনেই এসকল হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলেও একটা কথা ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ হামলাকারীদের সাথে হামলায় অংশ নিচ্ছে।

ভারতীয় মুসলিমঃ

পুলিশ সদস্যরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসন এসকল হামলায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।

উপস্থাপকঃ এসকল হামলার উদ্দেশ্য একটাই। মুসলিমদের তাদের গ্রাম ও শহরগুলো থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা।

ভারতীয় মুসলিমঃ

এখানে চারপাশে ভয় ও অনিশ্চয়তার এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

আমরা এখানে আর পুনরায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারব না।

আমি আমার সবকিছু বিক্রি করে দিয়ে এখান থেকে চলে যাব।

আমি অন্য দেশে চলে যাবো।

আমরা কখনোই ভাবি নি যে, আমাদেরকে এখান থেকে চলে যেতে এভাবে বাধ্য করা হবে।

উপস্থাপকঃ

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশটির রাজধানী দিল্লিতে ‘শরণার্থী শিবির’ স্থাপন করা হয়েছে। মুসলিমদেরকে তাদের নিজ বাড়ি ও এলাকা থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার জন্যই এই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উগ্র হিন্দুরা তাদের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক হারে প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। RSS এর যুবকদের দলটি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপে পূর্ণ নেতৃত্ব দিচ্ছে। BJP এর সন্ত্রাসী মোদী সহ অধিকাংশ নেতারা দূর থেকে তাদের সমর্থন করে যাচ্ছে। RSS এর সদস্যপদ শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নারী, এমনকি বালিকাদেরকেও ব্রেনওয়াশ করে এই দলের সদস্য করা হচ্ছে এবং সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

হিন্দু বালকঃ

আমরা মুসলিমদের থেকে হিন্দুদের রক্ষা করার জন্য এসকল কলাকৌশল শিখছি।

উপস্থাপকঃ

RSS এর নেতারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দু জনসাধারণকে উসকে দেয়ার জন্য ক্রমাগত মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। একাজে তারা নির্দ্বিধায় প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে।

উগ্রবাদী হিন্দুঃ

মুসলিমরা তাদের ধর্মের নামে যে কোন কিছু করতে পারে। এমনকি তারা ধর্মের নামে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে টুকরা টুকরা করতে পারে। এরপর সেগুলো খেতেও পারে। আমাদের ধর্ম কি আমাদের এমন কিছু করার অনুমতি দেয়?

উপস্থাপকঃ

মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের উসকে দেয়ার জন্য কসাই মোদীর সন্ত্রাসী সরকার আসামে জঘন্য এক পদক্ষেপ নিয়েছে। আসামের প্রায় ২০ লক্ষের অধিক মুসলিমকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে দিয়েছে।

অমিত শাহ (ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী):

সি এ বি (CAB) নিবন্ধনের পর আমরা এন আর সি (NRC) চালু করবো। এন আর সি (NRC) শুধুমাত্র বাংলাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং সমগ্র ভারতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের(মুসলিমদের) জন্য অবশ্যই এটি ভয়াবহ হবে। তারা ছাড়া অন্যান্য সংখ্যালঘুদের চিন্তার কোন কারণ নেই।

উপস্থাপকঃ

মোদীর পিছনের জীবনে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ইতিহাস রয়েছে। তা সত্ত্বেও ইসরাইলের একান্ত বাধ্যগত বাইডেন মোদীকে ‘কৌশলগত পার্টনার’ হিসেবে নিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বাইডেন তার তথাকথিত গণতন্ত্র সম্মেলনে মোদীকে ‘বিশেষ অতিথি’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

জো বাইডেনঃ

স্বাগতম…আমি আমার বন্ধু মি. প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা উভয় জাতির মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে পারস্পরিক চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

উপস্থাপকঃ

আমেরিকার সাথে ভারতের এই পারস্পরিক সম্পর্ক একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে। এ কারণেই হিন্দুরা আজ মুসলিমদের ভারত থেকে উচ্ছেদ করার স্বপ্ন দেখছে। এ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতেই পুরোপুরি উচ্ছেদের আগে ‘কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প’ ও ‘ডিটেনশন সেন্টারে’ মুসলিমদের পাঠানোর সাহস দেখাচ্ছে।

মুখপাত্র, ভারতীয় জনতা পার্টিঃ

সকল অবৈধ অভিবাসীদের (মুসলিমদের) নিবন্ধন শেষ হলে পরে তাদেরকে এ দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে।

বিবিসি’র সাংবাদিকঃ

এই অভিবাসীদের লিস্টে মুসলিম ছাড়াও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিবাসী আছে। আমি আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি – তাদের ব্যাপারে কী করা হবে?

মুখপাত্র, ভারতীয় জনতা পার্টিঃ

না, অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারা আছে তারা হিন্দু ধর্মেরই অংশ। জৈন বলেন বা শিখদের কথা বলেন, এসকল ধর্ম হিন্দু ধর্ম থেকেই এসেছে। এদের ভারত ছাড়া আর কোন মাতৃভূমি নেই।

বিবিসি’র সাংবাদিকঃ

তাহলে আপনি পরোক্ষভাবে বলতে চাচ্ছেন যে, ভারত মুসলিমদের মাতৃভূমি নয়? আপনারা কি তাদের সকলকে এদেশ থেকে উচ্ছেদ করবেন?

মুখপাত্র, ভারতীয় জনতা পার্টিঃ

আমাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর আমরা অনিবন্ধিতদের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠাবো। চাইনিজরা তাদের দেশের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে থাকা উইঘুরদের সাথে যেমন আচরণ করে, আমরাও আমাদের ক্যাম্পগুলোতে তেমন আচরণ করবো।

উপস্থাপকঃ

হিন্দু সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের শুধুমাত্র কাশ্মীর থেকে উচ্ছেদ করতে চায় না, বরং তারা পুরো ভারত উপমহাদেশ থেকেই মুসলিমদের উচ্ছেদ করতে চায়।

উগ্রবাদী হিন্দু মহিলাঃ পাকিস্তান, বাংলাদেশ, বার্মা ও আফগানিস্তান আলাদা দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার পূর্বে এগুলো সব বৃহত্তর ভারতের অংশ ছিল। আমাদেরকে এই ভূমিগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে হবে। এগুলোকে আবার হিন্দু দেশে পরিণত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বৃহত্তর ভারতের এই অঞ্চলগুলোকে আবার একত্রিত করার চেষ্টা করছেন।

উপস্থাপকঃ

আমাদের শত্রুরা আমাদের সাথে তাদের শত্রুতার বিষয়টি এখন স্পষ্ট করেই বলছে। আমাদের শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিরামহীন ভাবে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। এক দিনের জন্যও তারা তাদের যুদ্ধে বিশ্রাম নিচ্ছে না। আমাদের কাশ্মীরের মুসলিম ভাইবোনেরা যে জুলুমের স্বীকার হচ্ছেন, তা ভারত উপমহাদেশ জুড়ে চালানো ভয়ানক জুলুমেরই একটি অংশ। প্রকৃত পক্ষে এটি সমগ্র উম্মাহর উপর চলমান ভয়ানক নির্যাতনেরই একটি অংশ।

(উপমহাদেশ জুড়ে চলমান জুলুমের কিছু খণ্ডচিত্র)

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

হে কাশ্মীরের অধিবাসীরা! আপনাদের যুদ্ধ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর যুদ্ধ! আপনাদের লড়াইয়ের ময়দান শুধুমাত্র কাশ্মীর না, বরং সমগ্র উপমহাদেশই আপনাদের ময়দান। তাই পুরো উপমহাদেশে শত্রুকে ধ্বংস হবার আগ পর্যন্ত রক্তাত্ত করে যাবার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করুন।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

আল্লাহর রাসুল হাদিস শরিফে আপনাদের জন্য সুসংবাদ দিয়ে গেছেন। এই সুসংবাদে আনন্দিত হোন। রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন –

 عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: “ عِصَابَتَانِ مِنْ أُمَّتِي أَحْرَزَهُمَا اللَّهُ مِنَ النَّارِ: عِصَابَةٌ تَغْزُو الْهِنْدَ، وَعِصَابَةٌ تَكُونُ مَعَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَام

“অর্থঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গোলাম ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমার উম্মতের দুটি দল, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দান করবেন। একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈসা ইব্‌ন মারিয়াম আলাইহিস সালাম-এর সঙ্গে থাকবে”। (সুনানে আন-নাসায়ী – ৩১৭৫)

উপস্থাপকঃ

উম্মাহর একটি দল পবিত্র কুদসকে যায়নবাদী দখলদারদের থেকে মুক্ত করবে। আরেকটি দল হিন্দুস্তানকে নোংরা মুশরিকদের থেকে মুক্ত করবে। আর কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার মিলটা এখানেই। এজন্যই আল্লাহর রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুই দলের সুসংবাদ একসাথে দিয়েছেন।

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

আমরা এক উম্মাহ এবং আমাদের জিহাদও এক। তাই মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব তাদের কাশ্মীরের ভাইদের নীতিগতভাবে সমর্থন দেয়া এবং সকল প্রয়োজন পুরা করার মাধ্যমে তাদেরকে সমর্থন করা।

ভারতের মুসলিমরা শ্লোগান দিচ্ছেঃ

জোরসে বলঃ আযাদি

একে অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা বিশ্রামে যাব না: আযাদি

উপস্থাপকঃ

আমাদের অন্তরে প্রশান্তি এনে দেয় যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে – ইমানের বলে বলিয়ান হয়ে ভারত উপমহাদেশের মুসলিমরা আজ জেগে উঠছেন। তারা তাদের দ্বীন, সম্মান ও মুসলিম ভূমির জন্য জেগে উঠেছেন।

বাংলাদেশের মুসলিমরা শ্লোগান দিচ্ছেঃ

এক হও জিহাদ কর! – দুনিয়ার মুসলিম!

কাশ্মীরিরা শ্লোগান দিচ্ছেঃ

রক্তের বদলা রক্ত দিয়ে নিব!

বাংলাদেশী একজন আলিমঃ

সেখানে একটি বাবরি মসজিদ ছিল, সেখানে একটি বাবরি মসজিদ আছে এবং সেখানে একটি বাবরি মসজিদ থাকবে। রাম মন্দিরকে ধ্বংস করা হবে ইনশাআল্লাহ!

শাইখ হাবিবুর রহমান লুধিয়ানবিঃ

আমরা এটিকে জোর দিয়ে বলবো: আল্লাহু আকবার। পৃথিবীর কোন শক্তি আমাদেরকে চুপ করাতে পারবে না। যদি মুসলিম হওয়া অপরাধ হয় তবে খেয়াল করে শুনুন: আমরা মুসলিম!

তোমরা আমাদের উপর যত জুলুম নির্যাতনই চালাও না কেন, আমরা পাল্টা জবাব দিব এবং নিজেদেরকে রক্ষা করবো।

ভারতের একজন মুসলিম বোন:

আমরা চুপচাপ বসে থাকবো না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। যদি তোমরা মনে কর যে, আমাদেরকে আঘাত করে বা কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করে বা আমাদের বন্দী করে আমাদের চুপ করিয়ে দিতে পারবে – এমনটা কখনোই হবে না ইনশাআল্লাহ।

শাইখ মুফতি রইস কাসমি (ভারত)

মুসলিমদের মধ্যেও যুবকদের দল রয়েছে,

মুসলিমদেরও শক্তি রয়েছে,

মুসলিমদেরও অস্ত্র রয়েছে,

মুসলিমরাও এগুলোকে ব্যবহার করতে জানে।

যদি আমরা শুধুমাত্র একবার আমাদের যুবকদের ডাকি…,

তারা যেকোন কিছুকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে হিন্দুদের চাইতে অধিক সক্ষম।

আমরা এমন জাতি যারা মৃত্যুকে আনন্দের সাথে গ্রহণ করি।

এদেশে পরিকল্পিতভাবে অরাজকতাকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

দেশটি এখন বিস্ফোরিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত এমন বোমার উপর আছে।

ভারতের একজন মুসলিম বোন:

মুসলিমরা প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আসবে…

মুসলিমরা প্রয়োজনে রাস্তাতেই তাদের সালাত আদায় করবে…

মুসলিমরা স্পষ্ট করে জোরসে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবীর দিবে।

মুসলিমরা ঘোষণা দিবে যে, জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া এবং আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাদের সম্পর্ক ‘ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর ভিত্তিতে।

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

ইন্তিফাদা, ইনকিলাব!

ভারতের একজন মুসলিম কবি:

যদি জুলুম এভাবে চলতেই থাকে

তবে মুসলিমরা এভাবে ঘুমিয়েই থাকবে বলে ভাবছ কি?

ভারতের একজন মুসলিম ভাই:

হে হিন্দু উগ্রবাদীরা! নিজেদেরকে ধোঁকায় নিমজ্জিত করে রেখ না। আমরা যদি পাল্টা হামলা শুরু করি তবে তোমরা পালানোর পথও পাবে না…।

ভারতীয় মুসলিম বোন:

আমাদের পথ…আমাদের পথ…আল জিহাদ…আল জিহাদ

মুসকান খান (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন):

আল্লাহু আকবার!

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

কবিতা

كبرت في هند فرد مكبرين               في قدس في كشمير كل المؤمنين.

আমি হিন্দুস্তানের ভূমিতে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিকে জাগ্রত করেছি

জেরুজালেম, কাশ্মীরসহ অন্যান্য অঞ্চলের মুমিনরা তাকবীর দিয়েছে

فانهدت الأصنام فوق الراكعين           وانهارت الأحجار فوق العابدين.

তাকবীর ধ্বনিতে আজ মূর্তিগুলো উপাসকদের ওপরেই ভেঙ্গে পড়ছে, পৌত্তলিক সেজদাবনতদের ওপরেই পাথরের মাবুদগুলো  টুকরো টুকরো হয়ে পড়েছে

وتصدعت لما رأتني لا ألين

মূর্তিগুলো যখন দেখেছে আমি দুর্বার অদম্য, তখন তারা কেঁপে উঠেছে

لبيك يا أختاه لسنا قاعدين               فلتثبتي فالله خير الناصرين.

লাব্বাইক হে বোন, আমরাও বসে নেই

সত্য পথে অবিচল থাকুন, কারণ আল্লাহ সর্বোত্তম সাহায্যকারী

والله نعم العون إن قل المعين              والزحف ماض في الثبات الواثقين.

সাহায্যকারী যত কম-ই হোক না কেন আল্লাহই উত্তম সাহায্যকারী

মুমিনদের কাফেলা আজ অবিচলতার সাথে সামনে বাড়ছে

والفتح أوشك كبري للفاتحين.

নিঃসন্দেহে বিজয় নিকটে, তাই উচ্চকণ্ঠে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে বিজয়ের তাকবীর দিন

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহঃ

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,

وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا۝ الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا

“অর্থঃ আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও। (75) যারা ঈমানদার তারা যে, জিহাদ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জিহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল”। (সুরা নিসা ৪:৭৫-৭৬)

فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا

“অর্থঃ সুতরাং তোমরা জিহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল”। (সুরা নিসা ৪:৭৬)

*********

৪ comments

  1. আমি কিভাবে আংশগ্রহন করতে পারি?

  2. আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সকলকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি।আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাকে কবুল করেন।যেন অতি তারাতারি আপনাদের সাথে মিলিত হতে পারি। আমিন।

  3. আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু প্রিয় ভায়েরা অবশ্যই আপনাদের কে আল্লাহ্’র জন্যই ভালবাসি যদি মহান রাব্বুল আ’লামীন কবুল করেন তিনিই ব্যবস্থা করে দেখিয়ে দিবেন আপনাদের সাথে মিলিত হহওয়ার পথ।
    মহান রাব্বুল আ’লামীন যেন সবাইকে কবুল করে সমস্ত মুসলিম উম্মাহ’র সাথে আমাদের মিলিত করেন

  4. আসসালামু আলাইকুম…..ভাই, আইমান আল যাওয়াহিরী কি বেচে আছেন…….?? বাইডেন বলল, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোন পোস্ট আপলোড করুন। জাযাকুমুল্লাহু হায়রান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

20 + two =

x

Check Also

শাপলা চত্বর ট্রাজেডি আর্কাইভ

শাপলা চত্বর ট্রাজেডি আর্কাইভ   শাপলা চত্বরের ঐতিহাসিক সমাবেশ ও নবীপ্রেমিক তাওহিদি জনতার উপর চালানো ...