দুপুর সময়, জুম্মা’বার, ইবনে তাইমিয়াহ মাসজিদ, মুসলিমদের হৃদয় ফিলিস্তিন এর গাযা উপত্যাকায় হামাস হামলা করে আল কায়দার মুজাহিদীনদের উপর, তাদের উপর চালায় গণহত্যা।
ভিডিওটা দেখে নিন, মাইকে তাকবির দেওয়ার পরেও শায়েখকে হত্যা করে হামাস কারণ শাইখ ও তার অনুসারীরা শুধুমাত্র শরীয়াহ দ্বারা শাসনের ইচ্ছা পোষণ করেছিল, যেটা স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু তায়া’লার আদেশ ও প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ।
ফিলিস্তিনের জাতিয়বাদী হামাস গাজাতে কোন “জঙ্গি” দলের সদস্যকে থাকতে দেয় না, তাদের হত্যা বা গ্রেপ্তার করে, আল কায়দা হোক বা খারিজী জাহান্নামের কুকুর আইএস হোক, সবার ভাগ্যে একই, জঙ্গিরা কি ইজরায়েলে তাহলে বিমান-ড্রোন দিয়ে হামলা করবে? তবুও তো আশেপাশের আল্লাহর আইন পরিবর্তনকারী মুর্তাদ শাসকেরাই আগে ইসরায়েলকে বাচাতে আসবে তাদের আর্মি, এয়ারফোর্স নিয়ে…
হামাস বছরের পর বছর গাজার ক্ষমতা থাকলেও গাজাতে শরিয়াহ কায়েম করে নি। মুসলিমদের প্রথম কিবলা, মাসজিদুল আকসা মুক্ত করার চেষ্টা করেনি। শিয়া কাফেরদের সাথে তাদের মাখামাখি সম্পর্ক।
হামাস কিভাবে গাজাতে মসজিদে হামলা করে মসজিদ ধংশ করেছে ও মসজিদের মাইকে কালেমা পড়েও তাদের বাঁচার সুযোগ দেয় নি…
ভিডিও লিংক :
https://www.youtube.com/watch?v=jAIgxW8G1cY
আরবের একটি পেজের লিংক :
https://web.facebook.com/photo.php?fbid=326605861085097&set=a.138738856538466.1073741828.100012070579151&type=3
হামাসের কিছু ভালো কাজ আছে সঙ্গে সঙ্গে শিয়া কাফেরদের সাথে মাখামাখি আছে। ভিডিওটা পূর্ণরূপে দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন। অন্ধের মত সিদ্ধান্ত নিবেন না। এই মোডারেটরা বিভিন্ন সময় এসে বলে জঙ্গিরা কেনো ইজরায়েলে হামলা করে না? আশা করি ভিডিওটা দেখলে তাদের মুখে কুলুপ দিতে ব্যাধ্য হবে। ইজরায়েলে হামলা না করা জঙ্গিদের দোষ, না মোডারেট হামাসের দোষ?
হামাস কর্তৃক আক্রমণের পর ইবনে তাইমিয়া মাসজিদ আল কায়েদার মানহায আনুসারী গ্রুপটার ব্যাপারে বিস্তারিতঃ
গ্রুপটির প্রধান ছিলেন শাইখ আব্দুল লাত্বিফ মুসা-
শায়েখ আব্দুল লাতিফ মুসা ফিলিস্তিনের গাজাতে ১৯৫৯ সালে জম্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১১ বছর বয়সে মাধ্যমিক পড়া শেষ করেন। এরপর মেডিসিন বিষয় ডিগ্রীলাভ করেন। ১৯৭৯ সালে Faculty of Medicine of Alexandria University তে ডক্টর ও শিক্ষক হিসাবে জয়েন করেন । সেখানে তিনি শাইখ সাঈদ আব্দুল আযিম, মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাইল আল মুকাদ্দিম, শাইখ আহমাদ ফারিদ, এবং শাইখ হামদ ইবরাহীম এর কাছে ইসলামী বিভিন্ন বিষয়ে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করেন।
তারপর তিনি গাজাতে খান ইউনুস শহরে Ahl Al Hadith Al Sharif Centre এ ৫ বছর হাদিস বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। খান ইউনুস শহরে ‘আহলুস সুন্নাহ মসজিদে’ ১৫ বছর খতিব ছিলেন, এরপর ‘Nour Ala Al Hadoud মাসজিদে’ ১৮ মাস খতিব ছিলেন, মাসজিদটি ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলায় ২০০৬ সালে ধ্বংস হয়ে গেলে তিনি ‘শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ মসজিদ’ এ ইমাম ও খতিব ছিলেন শহিদ হওয়ার আগ পর্যন্ত। তিনি Medicine of the Rafah Martyrs Medical Centre এর পরিচালক থাকা অবস্থাতে তিনি পাশাপাশি মসজিদ গুলোর খেদমতে ছিলেন।
শায়েখ ফিলিস্তিনের বড় মুফতি ছিলেন, শায়েখ কিছু ফতওয়ার কিতাব লিখেন।
শায়েখের লিখিত কিতাবের তালিকা:
শাইখ বেশ কিছু কিতাবাদি লিখেছেন, যা জ্ঞানী সমাজে বহুল গ্রহণযোগ্য, তার কিছু নিম্নে দেওয়া হল-
- الصوفية في ميزان الكتاب والسنة
- الطريق السوي في اقتفاء أثر النبي عليه الصلاة والسلام
- صفة صلاة النبي عليه الصلاة والسلام
- البَــيِّــنـة – 30 سؤالاً وجوابًا في باب الجهاد
- الياقوت والمرجان في عقيدة أهل الإيمان
নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করুন-
http://www.ilmway.com/site/maqdis/MS_14218.html
শায়েখের অসংখ্য অনুসারী ও ভক্ত তৈরি হয় ফিলিস্তিনসহ গাজার রাফা এলাকাতে, কয়েক হাজার তরুন শায়েখের ইবনে তাইমিয়া মাসজিদে জুম্মা পড়তে জড়ো হতেন। শায়েখের সাথে আল কায়দার মুজাহিদীনদের সম্পর্ক ছিলো, শায়েখ আল কায়দার মানহাজ অনুসরণ করতেন। আল কায়দার শায়েখ আসেম মাকসিদির (হাফিজাহুল্লাহ) সাথে সম্পর্ক রাখতেন। রাফাতে কয়েক শতাধিক (প্রায় ৫০০) আল কায়দার অনুসারী মুজাহিদ তৈরি হলে জুন্দু আনসারুলল্লাহ নামে ২০০৮ সালের নভেম্বরে দল গঠন করা হয়।
আল কায়দার অনুসারী জুন্দু আনসারুল্লাহর মুজাহিদীনরা ইজরায়েলের উপর ৮ জুন ২০০৯ সালে হামলা করে, ইজরায়েলের সৈন্যরা হামলাটি প্রতিহত করে, আর ইজরায়েলের সৈন্যদের গুলিতে ৫ জন জুন্দু আনসারুল্লাহ মুজাহিদীন শহিদ হন।
লিংক-
http://www.terrorism info.org.il/malam_multimedia/English/eng_n/html/ipc_e035.htm
হামাস ২২ জুলাই ২০০৯ সালে জুন্দু আনসারুল্লাহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে । হামাস ২০০৭ সালে ফাতহার কাছে থেকে গাজাকে দখল করে, হামাস মানব রচিত আইন দিয়ে গাজাকে পরিচালনা করে, তারা ফিলিস্তিনে ইসলামী শরিয়াত কায়েম করেনি।
রাফা এলাকাতে জুন্দু আনসারুল্লাহ এর সামান্যা এলাকা ছিলো, শায়েখ আবদুল লফিত মুসা রহঃ সেই এলাকাতে ইমারত ইসলামী ফিলিস্তিন ঘোষণা দেন ইবনে তাইমিয়া মসজিদে। ফিলিস্তিনি ইসলামী শরিয়াত কায়েমের জন্য ইমারত ইসলামি ফিলিস্তিন ঘোষণা দেন শায়েখ আবদুল লতিফ মুসা ও আল কায়দার অনুসারী মুজাহিদীন।
হামাস শায়েখের ইমারতে ইসলামী ঘোষণা করার সংবাদে হামলা করতে চলে আসে রাফার ইবনে তাইমিয়া মসজিদে, ইবনে তাইমিয়া মসজিদের আশেপাশে অবরোধ করে হামাস। তারপর মসজিদ ভর্তি মানুষের উপর গুলিতে ছুড়তে থাকে। হামাসের মসজিদে হামলায় ২৪ জন নিহত ও ১৩০ জন আহত হয়। জুন্দু আনসারুল্লাহ সামরিক কমান্ডার আবু আব্দুল্লাহ মুহাজির’কে নির্মমভাবে হত্যা করা হামাস। তিনি সিরিয়ার লোক ছিলেন।
আল কায়দার অনুসারী মুজাহিদীনদের গুলি করে হত্যা করতে থাকে। নিহত ২৪ জন বলা হলেও নিহতের সংখ্যা বেশি হবে। আল্লাহু ‘আলাম
- ইবনে তাইমিয়াহ মসজিদে শাইখের প্রদত্ত বয়ানের ভিডিও-
https://archive.org/details/APO-NOOR
- নুখবাতুল ফিকর কর্তৃক বিশাল ডকুমেন্টারি সংকলন-
https://archive.org/details/Masjd-Abn-Timia
ইবনে তাইমিয়াহ মসজিদের ট্র্যাজেডি নিয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংকলন-
- শাইখ আব্দুল লতিফ মুসার শাহাদাত বরণের পরের ভিডিও-
http://www.archive.org/download/ta84000/abdalatef2_512kb.mp4
- শাইখ আব্দুল লতিফ মুসার জানাজা ও দাফনের ভিডিও- http://www.archive.org/download/ta84000/jnaza_512kb.mp4
- মুজাহিদদের উপর হামাসের মসজিদে হামলা করার ভিডিও-
- গুলিবিদ্ধ মসজিদের ভিডিও-
http://www.archive.org/download/ta84000/abdalatdf_512kb.mp4
- আল জাজিরা’র নিউজ-
- http://www.archive.org/download/ta84000/jzera1_512kb.mp4
- বিবিসি’র নিউজ-
http://www.youtube.com/watch?v=_313qw9uLwA
http://www.archive.org/download/ta84000/bbc_512kb.mp4
- রাশিয়ান চ্যানেলের নিউজ-
http://www.youtube.com/watch?v=9ceU9pv4xkc
http://www.archive.org/download/ta84000/rusea_512kb.mp4
- আল জাজিরা’র নিউজ-
http://www.youtube.com/watch?v=SU5Iqo-R-kM&feature=fvsr
http://www.archive.org/download/ta84000/jzera-enteha_512kb.mp4
- ইবনে তাইমিয়াহ মসজিদ বিধ্বস্ত হওয়ার ভিডিও-
http://www.archive.org/download/ta84000/tfjer_512kb.mp4
- ডকুমেন্ট্রি ভিডিও – https://goo.gl/h98JTq
- আল কায়দার অনুসারী জুন্দু আনসারুল্লাহ মুজাহিদীনদের ট্রেনিং ভিডিও।
- ১=> https://goo.gl/5xaEKa
- ২=>https://goo.gl/A4Nxj4
হামাস পরবর্তিতে আল কায়দার অনুসারীদের হত্যা ও গ্রেপ্তার করেছে। ২০১৩ সালে শায়েখ আবদুল লতিফ মুসা রহঃ এর ছেলেকে হামাস গ্রেপ্তার করে।
লিংক- http://www.longwarjournal.org/archives/2013/06/son_of_jund_ansar_allah_leader.php
আল কায়দার একটি ইউনিট এই জুন্দু আনসারুল্লাহ, আরো কয়েকটি দল আল কায়দার অনুসারী ফিলিস্তিনে ছিলো তাদের গ্রেপ্তার ও ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করেছে এই মোডারেট হামাস।
হামাসের কারণে ফিলিস্তিন আল্লাহ বরকত আল কায়দার মুজাহিদীনদের সাহায্য পায় নি। আল কায়দা পৃথিবীর প্রায় ৪৫-৫০ লাখ বর্গকিলোমিটার ইসলামি শরিয়াত কায়েম করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্* । তারপরও আল কায়দার বহুত রহম ও ইহসান হামাসকে ধংশ করার মত তাদের উপর হামলা করে নি। ৭ বছর আগের আল কায়দার সদস্যরা ফিলিস্তিনে স্থায়ী হতে পারলে ইহুদী ইজরায়েল আজ রক্ত ভূমিতে পরিনত হতো। বাইতুল আকসা বিজয়ের সপ্ন সত্যিতে রুপ নিত।
আল কায়দা ফিলিস্তিনে একটু মাটি পেলে সিরিয়া ইরাকের মত পৃথিবীর হাজার হাজার আল কায়দার মুজাহিদীন ফিলিস্তিনে হিজরত করার সুযোগ পেত।
ফিলিস্তিনে তাওহিদ আল জিহাদ
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Tawhid_al-Jihad_(Gaza_Strip) (https://en.m.wikipedia.org/wiki/Tawhid_al-Jihad_%28Gaza_Strip%29)
সিনার বাইতুল মাকদিস
গাজাতে জায়শুল ইসলাম
এই সবগুলো ফিলিস্তিনের আল কায়দার অনুসারী ছিলো।
শুধু হামাসের কারণে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের আল কায়দা সাহায্য করতে পারেনি।
ইবনে তাইমিয়াহ মসজিদের ছবি-
শহীদ শাইখ আব্দুল লতিফ মুসা রহঃ