আর-রিবাত মিডিয়াইতিহাস- ঐতিহ্যবই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতিমিডিয়া

শামের মুজাহিদীনদের প্রকাশিত আর-রিসালাহ (ইস্যু-৪) থেকে বাংলা অনূদিত প্রবন্ধ।। (ইরাকের) আনসার আল-ইসলামের সাথে সাক্ষাৎকার।।

পড়ুন…

আর্কাইভ লিংক
ডক
পিডি এফ

আর্কাইভ সর্ট লিংক
ডক
পিডি এফ

 

(Word)

https://archive.org/download/9.ansaralislamersathesakkhatkar1/9.ansar%20al%20islamer%20sathe%20sakkhatkar1.docx

http://www.mediafire.com/file/4hyvyfxb83xgc8m/9.ansar_al_islamer_sathe_sakkhatkar1.docx/file

(PDF)

https://archive.org/download/9.ansaralislamersathesakkhatkar1/9.ansar%20al%20islamer%20sathe%20sakkhatkar1.pdf

http://www.mediafire.com/file/zs6bm1wv51bxizo/9.ansar_al_islamer_sathe_sakkhatkar1.pdf/file

====================

 

আনসার-আল-ইসলাম উত্তর ইরাকে (বর্তমান কুর্দিস্তান) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯২৪ সালে খিলাফতের পতনের পর, দলটি সে অঞ্চলের ইসলামী আন্দোলনের চলতি ধারার একটি অংশ হয়। বিভিন্ন ইসলামীদলসমূহের বিপ্লব ও আন্দোলনের মধ্যে এটি একটি শক্ত ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বিশ্বব্যাপী যখন মুসলিম যুবাদের ও আঞ্চলিক গোত্রগুলোতে রক্তের বন্যা বইছে তখন এর মাধ্যমে আহলুস সুন্নাহের আলেমগণ এই উর্বর পৃথিবীকে এক নতুন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত  করছেন যা বিকশিত হচ্ছে। সকলযুবক এবং বৃদ্ধ আল্লাহর রাস্তায় এক হয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন উপনিবেশবাদী, সেক্যুলারিস্ট, জাতীয়তাবাদী এবং বর্ণবাদীর জাতিগত আন্দোলনের বিরুদ্ধে যারা মুসলিম ভূমিগুলো থেকে ইসলাম ও তাওহিদের শেকড়কে চিরতরে উপড়ে ফেলতে চায়। সেক্যুলার সরকার ও দলগুলোর স্বৈরাচারিতা বৃদ্ধি, পশ্চিমা এজেন্ট ও কর্মচারী বৃদ্ধিএবং এ অঞ্চলে তাদের পুঁজি নিয়োগ বৃদ্ধির সাথে সাথে এই ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রায়ই দেখা গেছে যে, যখনই কেউ শরীয়াহ আইনের বিরোধিতা করে ও একে দমিয়ে রাখতে চেয়েছে তখনই বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যেমন- ৭০-এর দশকে বর্তমান কুর্দিস্তান ও ইরাকে মুসলিম ব্রাদারহুড এবং ৭০ ও ৮০-এর দশকের শেষদিকে বিভিন্ন যুদ্ধরত মুজাহিদীন বাহিনী ও অন্যান্য আন্দোলন।

ইসলামী এজেন্ডার বিপরীতমুখীতার কারণে, মানুষের জীবন জাতীয়তাবাদ, গোত্রবাদ ও দলাদলির ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে, কাফেরগোষ্ঠী এবং তথাকথিত দরবারী আলেম ও মাদখালিদের (এরা হল এমন এক নিয়মের প্রবর্তক যেখানে ইসলামকে একতরফাভাবে রাষ্ট্র ও শাসকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে) ন্যায় মতাবলম্বী কিছু লোক দ্বারা গঠিত নব্য-মুরজিয়া গোষ্ঠীর মাধ্যমে তা প্রসারিত হয়েছে। অভ্যুত্থানের সময়ে, জনগণকে বিভক্ত ও বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক, আঞ্চলিক ও জাতীয়তাবাদী নানা দল গঠন করা হয় এবং এসকল সেক্যুলার ও জাতীয়তাবাদী দলগুলোর ক্রমবর্ধমান আন্দোলনে যারা বাধা প্রদান করেছিল তাদের বিরুদ্ধে নানা দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তাদের মধ্যে অনেক কুর্দী মুসলিম ছিলেন যারা উম্মাহর প্রতি নিজেদের দায়িত্বকে পরিপূর্ণ করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন,আর তারা কোন সেক্যুলার ‘জাতি’, দল কিংবা বর্ণগোষ্ঠীর ব্যাপারে দায়বদ্ধ ছিলেন না। এসব নিষ্ঠাবান মুসলিমদের নিয়ে ১৯৮৭ সালে “ইসলামিক মুভমেন্ট অব কুর্দিস্তান (IMK)”গঠিত হয়। শায়খ উসমান আব্দুল আজিজের নেতৃত্বেআই.এম.কে(IMK)বেশকিছু ইসলামী আন্দোলন পরিচালিত করে, তাদের কিছু সদস্য ৮০’র দশকের সময় আফগান জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিছু অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগত প্রভাবের কারণে ২০০১ সালের শুরুতেআই.এম.কে(IMK) ভেঙে যায়।

এর ফলে অনেক রাজনৈতিক-মননশীল সদস্যরা রাজনৈতিক সমাধান ও দলের খোঁজে বের হয়, তখনপরিপূর্ণ ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের কেউ কেউনিজস্ব দল গঠন করে। এই দলগুলো যেমন, ইসলামী ইউনিফিকেশন মুভমেন্ট (IUM) কিংবা আল-তাওহীদ, সোরান ফোর্সেস সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ন, কুর্দিশ হামাস, জুন্দ আল-ইসলাম এবং দ্যি রিফরমিস্টস গ্রুপ- আই.এম.কে(IMK)-এর ভাঙ্গনের পর ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছিল। তারা সাফল্যের জন্য একটি সম্মিলিত ফ্রন্টের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে,যার ফলশ্রুতিতে এই দলগুলো ২০০১ সালের ডিসেম্বরে মোল্লা ক্রেকার-এর নেতৃত্বে একত্রিত হয় এবং আনসার আল-ইসলাম নাম ধারণ করে।

আল-রিসালাহ’র আনসার আল ইসলামের সাথে বসার সুযোগ হয়েছিল, তাদের সাথে ইরাক ও কুর্দিস্তানেরজিহাদের ময়দানে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক, আর বাশার আল-আসাদ ও তার সন্ত্রাসী দোসরদের অত্যাচার ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সিরিয়ান জনগণের প্রতি নিজস্ব প্রতিবাদে সহায়তা প্রদানপূর্বক তাদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে আলোচনা করার উদ্দেশ্যে।

 

  • আল-রিসালাহ:২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার পূর্বে আনসার আল-ইসলামের ভূমিকা কি ছিল?
  • আনসার আল-ইসলাম:খিলাফতের পতনের পর আনসার আল ইসলাম কুর্দিস্তানে গঠিততাদের প্রথম ইসলামীরাষ্ট্রের ভিত্তি প্রস্তুত ও জোরদার করা শুরু করে, আর শরীয়াহ্ আইনের বিরোধিতাকারী মুরতাদদের সাথে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমরা এই ভিত্তিগুলোকে আরো জোরালোভাবে আঁকড়ে ধরি।
  • দলের একটি শাখা সামরিকক্ষেত্রে নিয়োজিত ছিল:

যেমন, সদস্যদের ট্রেনিং দেওয়া, অস্ত্রনির্মাণ ও উৎপাদন, নতুন নতুন অস্ত্র ও কারখানা তৈরি, আর চলমান যুদ্ধে সফলতা নিশ্চিতকরণ ও জিহাদ চালু রাখার লক্ষ্যে নতুন সামরিক ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ প্রস্তুত করা।

  • দলের আরেকটি পৃথক অংশ একটি মজবুত দাওয়াহ প্রতিষ্ঠার কাজ করতেছিল:

যেমন, ইসলামী বক্তা ও আলেমদের তালিম এবং তালেবে-ইলমদেরকে ভাল কাজে যোগদান ও বাতিলকে দমন এবং সুবিচার সম্পাদনে প্রশিক্ষণ দেওয়া।

  • দলের কিছু সদস্য মিডিয়া কর্মকান্ডতে নিযুক্ত ছিল, যেমন বেতারযোগে সম্প্রচার, টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের চেষ্টা এবং ছোট ও বড় সকলের কাছে ইসলাম ও দাওয়াতের প্রসারে লিফলেট ছাপানো।

 

তারা(আনসার আল-ইসলাম) প্রত্যেক মুজাহিদদের জন্য দুনিয়াবী প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করার চেষ্টা করেছিল, তাদের পরিবারের সাথে জীবনযাপনের জন্য একটি জায়গার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছিল এবং মুসলিম উম্মাহ বিশেষ করে জিহাদী গ্রুপগুলো এবং আলেমদের মাঝে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ ছড়িয়ে দিয়েছিল।

 

  • আল-রিসালাহ:আমেরিকার বিরুদ্ধে আপনারা কিভাবে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন?
  • আনসার আল ইসলাম:[আমাদের অধিকারভুক্ত এলাকাসমূহে] ইসলামী শরীয়াহ ঘোষিত হবার পর, জনগণ এই সীমানার অভ্যন্তরে শান্তি ও ন্যায়বিচারের সাথে বসবাস করছিল, এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে, নানা জাতীয়তার অধিকারী মুসলিমরা সেখানে বসবাস করার জন্য এসেছিল।এমন একটি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব শত্রুপক্ষের[যুক্তরাষ্ট্র জোট]চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল,কেননা তারা এই নতুন রাষ্ট্রের শক্তি সম্পর্কে অবগত ছিল।ফলে, প্রথমেতারা এই রাষ্ট্রের নামকে কালো তালিকাভুক্ত (সন্ত্রাসবাদের তালিকায় যোগ) করল, তারপর তারা এর প্রতি যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল এবং এমনকি ইরাকের বাথিস্ট শাসনে আক্রমণ করার পূর্বে তারা এই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছিল। বিপুল সংখ্যক বিমানহামলার পাশাপাশি বোমা বর্ষণের পর, পেশমেরগা (আমেরিকান ও ক্রুসেডারদের স্থানীয় এজেন্ট) সম্মুখ সমরে প্রবেশ করেছিল। এর ফলস্বরূপ, কাফের ও মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে একটি চুক্তি হয়;চুক্তি অনুযায়ী,

 

মুসলিমদের জোরপূর্বক কিছু এলাকা থেকে অপসারণ করা হয় এবং ওই এলাকাগুলো কুর্দি সেনাবাহিনীকে প্রদান করা হয়।

পরে, রণাঙ্গন আরো বৃহৎ ও কঠিন হয়ে ওঠে, মুসলিম সেনাবাহিনী জনপদে মিশে যেতে থাকে কেননা তারা এখানে দখলদারদের [আমেরিকান জোট] বিপক্ষে স্থানীয়দের সহায়তা পেয়ে থাকে, যাতে ক্রুসেডার ও তাদের এজেন্টদেরযুদ্ধ করা কষ্টকর হয়ে যায়। পর্যায়ক্রমে,মুসলিমরা আটক করা যানবাহন ব্যবহার করে তাদের শত্রুদের বিপক্ষে গুপ্তহত্যা এবং শহিদী অপারেশন পরিচালনা করার মাধ্যমে গেরিলা অভিযান শুরু করে। যা আমেরিকানদের আশাহত করেছিল এবং তাদের প্রত্যাশাকে তছনছকরে দিয়েছিল।তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ তারা এতে ব্যর্থ হয়েছে এবং আল্লাহর রহমতে, আনসার আল-ইসলাম এখনো টিকে আছে, আর ইনশা-আল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবে।

 

  • আল-রিসালাহ: ‘ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এন্ড শাম(ISIS)-এর ফিতনা কিভাবে শুরু হয়েছিল?
  • আনসার আল-ইসলাম: দুর্ভাগ্যবশত, এই জটিল ব্যাপারটি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগের ঘাটতি রয়েছে। এই বিষয়ে যারা জানে আনসার আল-ইসলাম তাদের মধ্যে অন্যতম একটি দল, কেননা আমরা তাদের নেতাদের সম্পর্কে অবগতএবং কিভাবে তাদের আবির্ভাব ঘটেছিল সে বিষয়েওজানি। তারা যখন চরমপন্থা (extremism)-তে পতিত হতে শুরু করেছিল তখন আমরা ছিলাম, আর আমরা এভাবে তাদের অনেক উপদেশ দিয়েছি যে, তারা বিপথে অগ্রসর হচ্ছে এবং ভুল উপায় অবলম্বন করছে। এমনকি আমরা এর স্বপক্ষে দলিল প্রমাণাদিসহ তাদেরকে উপদেশ দিয়েছি। ◽
  • আমাদের বিবেচনায় তাদের খাওয়ারিজ হওয়ার ব্যাপারে কিছু বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কারণ রয়েছে:

বাহ্যিক কারণসমূহের একটি হচ্ছে যে, জিহাদ মানেই ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, যুদ্ধ আর বিপর্যয়। আর তাই শরীয়াহ জ্ঞানের আলোকে সঠিক পন্থায় একে পরিচালিত করা প্রয়োজন। আইসিস(ISIS)-এর নেতৃত্বে এগুলো পাওয়া যায়নি, আর এর বহু ও নানামুখী প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি, অন্যান্য দলের কিছু নেতারা প্রকৃত অর্থেই আইসিস(ISIS)-কে শত্রুবাহিনী ও সরকারের এজেন্ট বিবেচনা করেছে, আর একটি বিরাট সমস্যা হল যে, তারা (ISIS) কিছু বাথ অফিসারকে তাদের নেতৃত্বের সুযোগ করে দিয়েছিল এবং তাদের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করেছিল। কারণ এসকল অফিসাররা বাথ ইন্টেলিজেন্স স্কুল থেকে পাশ করেছিল, আর এই বিষয়টি নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হওয়াকে তাদের জন্য সহজ করে দিয়েছিল,আবার ভাল ব্যক্তিদের দ্বারাও এই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল,কেননা তারা পেছনে থাকাকেই ভাল মনে করেছিল [অর্থাৎ, তারা এর দায়িত্ব ও জটিলতা অনুধাবন করে নেতৃত্ব ও শাসনের পদ প্রত্যাখ্যান করেছিল]। যাইহোক, আমরা বলি না যে, তাদের প্রত্যেকেই খাওয়ারিজ, কারণ তাদের মধ্যে কিছু ভাল লোকও আছে যারা সৎ নিয়ত রাখে, তবে তাদের অধিকাংশই জিহাদের মুখোশের আড়ালে তাদের খেয়াল খুশির বাস্তবায়ন করে। দুর্ভাগ্যবশত, তাদের মাঝে সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তিও জিহাদীদলের নেতৃত্ব দেবার মত শরীয়ার পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখে না, আর তারা ইসলামকে সঠিকভাবে নয়, বরং নিজেদের খায়েশের আলোকে বুঝে থাকে। এছাড়া তারা ধ্বংসাত্মক ব্যাখ্যা করে থাকে, সাধারণ কোন কিছুকে আরো বড় করে তোলে এবং তারা আগ্রাসী দখলদারদের সাথে যুদ্ধ করার চেয়ে শিয়াদের সাথে যুদ্ধ করাকে প্রাধান্য দেয়, যখন যা করা প্রয়োজন সেটা না করে বরংঅধিক ফেতনার [এবং শত্রুর] সৃষ্টি করে। তারা প্রকাশ্যে আলেমদের উপর তাকফির করে, আর যারা তাদেরকে বাইয়াত দেয়না কিংবা তাদের ব্যতীত অন্য কোন পন্থায় [জিহাদের ময়দানে] কাজ করে, তারা তাদের সবাইকে নিজেদের বিপক্ষদল মনে করে। তাদের একটি বড় সমস্যা হল যে, তারা নিরাপত্তা বাহিনী এবং ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শরীয়াহকেশাসন করে, অথচ এর বিপরীতটা সঠিক ছিল। যেমন, তাদের নেতাদের কেউ একজন বলেছে যে; “সিকিউরিটি অফিসাররা আমাদের নেতৃত্ব দেয়; আমাদের উচিত তাদের নেতৃত্ব দেওয়া।”

তাদের দলের অন্য সমস্যাগুলো হল, সাবেক কারাবন্দীদের ব্যবহারের ব্যাপারে তাদের সুপারিশ এবং তাদের অপরাধীদের সাথে বোঝাপড়ায় কঠোর প্রকৃতির লোকদের বাছাই করা।  শুরুর দিকে, ছোট এবং অল্পকিছু ভুল-ত্রুটি দেখা দেওয়ায় অনেক আলেম এগুলো উপেক্ষা করে তাদের সমর্থন করেছিলেন, কিন্তু এরপরে যখন আরো বহু কারণ জমা হতে থাকে, আলেমরা তখন তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করতে থাকেন, এরূপ অসংখ্য কারণ রয়েছে যা এখন এই অল্পসময়ে উল্লেখ করা সম্ভব নয়।

 

  • আল-রিসালাহ:আনসার আল-ইসলাম কেন শামে এসেছিল?
  • আনসার আল-ইসলাম:শামের জনগণ যখন সাহায্যের আবেদন করেছিল তখন আমরা তাদের সাহায্যার্থে, আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবং মুসলিম উম্মাহর জীবন ও তাদের ভূমিগুলোর প্রতিরক্ষায় এগিয়ে এসেছি। যারা বলে থাকে যে শামে জিহাদের জন্য পর্যাপ্ত লোকবল রয়েছে, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই; “শামের সম্মুখসারিতে আমাদের জনবল ও সরঞ্জামাদির যে কতখানি প্রয়োজন সেটা দেখার জন্য তুমি তো আর এখানে নেই!” আমরা এখানে একারণেও এসেছি যাতে, আমাদের সামরিক অভিজ্ঞতা থেকে ভাইয়েরা কিছুটা লাভবান হতে পারেন এবং আমরা সর্বোত্তম উপায়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি।

 

  • আল-রিসালাহ:কোন শেষ কথা বলবেন ?

আনসার আল-ইসলাম: জিহাদ এখন ফরজে আইন, এটা এখন ফরজে কিফায়া নেই, কেননা সকল কাফের আজ মুসলিমদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে এবং তাদের তুলনায় আমরা অতি নগণ্য। মুসলিম হিসেবে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল, আমাদের দ্বীনকে রক্ষা করা। আমরা যদি যুদ্ধে পরাজিত হই, তবে যুদ্ধ আরো দীর্ঘায়িত হবে এবং বিজয় অর্জনের রাস্তা হবে কষ্টকর । সর্বশেষে, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আমরা মুজাহিদদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং শরীয়াহকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরতে একান্ত আহবান জানাচ্ছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − three =

Back to top button