“আল্লাহর কসম! আমি এত জায়গায় গিয়েছি কিন্তু এখানে যে মজাটা লাগছে তা আমি বর্ণনা করতে পারব না। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন। এখানে না আসলে জিহাদের বাস্তবতা বুঝবেন না। যেমন অনেক ভাই বলেন যে: “এই কাজটা না করলে বুঝবেন না”। সহিহ কথা। এখানে যদি না আসেন তবে এটা ভেঙ্গে বুঝিয়ে বলা সম্ভব না। ছোট ছোট জিনিস এত মজা লাগে। সুবহানাল্লাহ!”

“আত-তাওহীদু আমালিয়্যাহ যা এক আল্লাহর একত্বতা… আমরা বাসায় বসে সব সময় এটা প্রাক্টিসে, থিউরিটিকেলি পড়ি, বইয়ে পড়ি, লেকচারে দেখি এবং আল্লাহর একত্ববাদকে বুঝার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখানে এসে বুঝেছি আল্লাহ এত কিছু সৃষ্টি করেছেন। সুবহানাল্লাহ!”

“আল্লাহ এখানে মুজাহিদীনদের জন্য অনেক নেয়ামত রেখেছেন, অনেক রিজিক রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ এসব আমরা এখানে না এসে কখনই বিশ্বাস করতে পারব না… যতই ভিডিও দেখি যতই যাই করি”।

“আলহামদুলিল্লাহ নিজে এখানে না এসে এটা কখনও বুঝা যাবে না। ইচ্ছা হয় যে, গাট্টি বাঁইন্ধা সব ভাইদেরকে নিয়া আসি। ইনশাআল্লাহ… যত ভাইয়েরা আছেন, যত ভাইয়েরা সাহায্য করেছে এখানে আসতে। আলহামদুলিল্লাহ… আল্লাহ তাদেরকে কবুল করুক (আমীন) এবং আল্লাহ তাদেরকে এই জিহাদে অংশগ্রহন করার তাওফিক্ব দান করুন। (আমীন)”

শহীদ আশিকুর রহমান (সুলাইমান)

(আল্লাহ তাকে রহম করুন):

“এখানে এসে আমি দ্বীন যতটুকু শিখতে পেরেছি তার কানাকড়িও বাংলাদেশে শিখতে পারিনি। আমি এখন বুঝতে পারি বাবা-মায়ের প্রতি আমার খেদমত কেমন হওয়া দরকার ছিল। যেটা আমি বাংলাদেশে কিছুই করতে পারিনি। বাংলাদেশে থাকতে আমি বুঝতামেই না যে খেদমত কি জিনিস। এখন আমার মনে হয় আমি যদি এক সপ্তাহর জন্য দেশে ফিরতে পারি, তাহলে আমি বাবা-মাকে সেই খেদমত করতে পারবো যেই খেদমত আমার করা উচিত। যেই খেদমত আমাকে দ্বীন শিক্ষা দেয়।

এখানে আসা মানে শুধু এই না যে আমি জিহাদ করবো, জিহাদ শিখবো শুধু তাই না! এখানে এসে ইসলামের প্রতিটা জিনিস আমি শিখতে পারবো। আমার আখলাক ভালো হবে, আমার মুয়ামালাত ভালো হবে, আমি বুঝতে পারবো যে সংসারে কিভাবে থাকতে হয়, বাবা-মায়ের সাথে কিভাবে থাকতে হয়, ছেলে হিসেবে ভূমিকা কি, মুজাহিদ হিসেবে ভূমিকা কি, মুসলিম হিসেবে ভূমিকা কি সব কিছু এখানে শেখা যায় এবং খুব সহজ ভাবে শেখা যায়।

মাথার উপর যখন এখানে ড্রোন ঘুরে তখন আল্লাহর রসূল صلى الله عليه و سلم এর সেই হাদিস স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যেটা রাসূল صلى الله عليه سلم বলেছেন: “যে মাথার উপর তরবারির ঝলক দেখে তার কবরের আযাব হবে না”।

এই হাদিস পড়ে আমি বাংলাদেশে কিছুই বুঝতে পারি নাই, কিন্তু একদিন যখন আমার মাথার খুব উপরে একদম কাছে ড্রোন এসে পড়েছিল, তখন আমার সেই ফিলিংস হয়েছিল, যেটা এই হাদিসের সত্যিকারের ফিলিংস।

তো ভাইয়েরা! এখানে আসুন, দ্বীনকে পরিপূর্ণ করুন। আল্লাহর সাথে আমাদের ওয়াদা এটাই – যে আল্লাহর জন্য আমরা সব কিছু ছেড়ে দিবো এবং তার বিনিময়ে আল্লাহ আমাদেরকে বিস্তৃত জান্নাত দান করবেন”।

উস্তাদ আবু ইউসুফ (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন):

“আল্লাহ আমাদের থেকে আমাদের জীবন কিনে নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আল্লাহই ইনভেস্ট করে আবার আল্লাহই কিনে নেন। সুবহানাল্লাহ! এর চেয়ে বড় কমার্স, এর চেয়ে বড় বিজনেস আমি আর দেখি না।

যে ভাইয়েরা ব্যবসা বুঝেন তারা এই বিষয়টি আরো ভালো করে বুঝবেন। যখন আমরা শোনতাম সাহাবিগণ তরবারি নিয়ে ঘুরতো…আজ আমরা ক্লাশিনকোভ নিয়ে ঘুরছি।

আল্লাহর রাস্তায় আসতে হবে। না হলে আপনি বুঝতে পারবেন না: “ঈমান কি জিনিস!”। না হলে আপনি বুঝতে পারবেন না: “মুজাহিদ কি জিনিস!”। না হলে আপনি বুঝতে পারবেন না: “আল্লাহর নুসরত কি জিনিস!”।”

“দুনিয়াতে কি আছে? আমি দুনিয়া দিয়ে কি করবো? দুনিয়া আমাকে কি দিতে পারবে? দুনিয়া আমাকে দিতে পারবে সামান্য কিছু ইজ্জত, কিছু টাকা-পয়সা। কিন্তু এগুলো আমাদের জন্য যথেষ্ট নয় হে আমাদের ভাই। আমরা মুসলিম উম্মাহ। আমরা ইহুদি-নাসারদের গোলামী করতে দুনিয়াতে আসিনি। আমরা দুনিয়াতে এসেছে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালার শরীয়াকে বাস্তবায়ন করার জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য। মুহাম্মাদ صلى الله عليه و سلم তাঁর জীবনে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালার প্রদত্ত দ্বীনকে বাস্তবায়ন করেছেন। তো মুসলমানদের কাজ হচ্ছে সেই দ্বীনের অনুসরণ করা এবং সেই দ্বীনকে বাস্তবায়ন করা”।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

“একটি উটের দুধ দোহাতে যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ কেউ যদি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে তবে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়”

(আহমেদ, আবু-দাউদ, আত্-তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান)

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪

০ ৭,০৩৪ ৩ minutes read