আরবআল-কাদিসিয়াহ মিডিয়াইয়েমেনইলম ও আত্মশুদ্ধিবই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতিমিডিয়াশাইখ আবু জুবায়ের আদেল বিন আল আব্বাবহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

আলেমদের প্রতি বার্তা – শাইখ আবু আল-যুবায়ের আল-আবাব


مؤسسة القادسية للإنتاج الإعلامي

আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

تقدم

পরিবেশিত

الترجمة البنغالية لإصدار الملاحم الصوتي

বাংলায় অনূদিত আল-মালাহিম এর অডিও প্রকাশনীর

بعنوان

শিরোনাম


رسالة إلى العلماء

আলেমদের প্রতি বার্তা

لفضيلة الشيخ أبي الزبير عادل بن عبد الله العباب حفظه الله

শ্রদ্ধেয় শাইখ আবু আল-যুবায়ের আল-আবাব আল্লাহ্ তাঁকে হিফাজত করুন

Downland

Archive Link:
https://archive.org/details/rslh-3lm2-3bb-bn

Word
https://banglafiles.net/index.php/s/fFban9RFW2B8XLj
http://www.mediafire.com/file/e4mk7poaxihaw0w/22.message-bn.docx/file

PDF
https://banglafiles.net/index.php/s/jfjbHrayzkJJRma
http://www.mediafire.com/file/vvpmljwcc7hm7s7/22.message-bn.pdf/file
=====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
In your dua remember your brothers

========================

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

প্রশংসা আল্লাহর যিনি বলেন,

إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ

“শুধু তারাই আল্লাহকে ভয় করে চলে আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে যাদের জ্ঞান আছে” সূরা ফাতির, আয়াত ২৮ এবং সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবীর উপর যিনি বলেছেন,

إِنَّمَا الدِّينُ النَّصِيحَةُ

“দ্বীন মানে হল নসীহাহ।” এবং অতঃপর

ইয়েমেনে এবং বিদেশে থাকা আমাদের সম্মানিত শায়েখদের প্রতিঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনাদের উপর সালাম, রাহমাহ এবং বারাকাহ বর্ষিত হোক।

আমার শায়েখেরা, আল্লাহ জানেন আমরা আপনাদের মুজাহিদীন সন্তানদের মাঝে কতটুকু চাই যেখানে আমরা আপনাদের সাথে বসা এবং আপনাদের কাছে আসার মজা উপভোগ করতে পারতাম, আপনাদেরকে আমাদের জিহাদের বাস্তবতা এবং আমাদের অবস্থানের কথা জানাতে পারতাম। আপনারা এই হেয়ালী এবং সমস্যাগুলো সমাধানে আপনাদের হাত বাড়িয়ে দিতে পারতেন বিশেষত যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। এবং আমরা আপনাদেরকে ঐসব সব লুকায়িত বাস্তবতাকেও তুলে ধরতে পারতাম যা আপনাদের থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে যেন আপনারা সত্য এবং মিথ্যার ব্যাপারে দ্বিধান্বিত না হোন বা, আমাদের সুসংবাদ এবং দুঃসংবাদগুলো যেগুলো আপনারা প্রকৃত খবর ও ভূয়া খবরের মাঝে খুঁজে পাচ্ছেন না।

আমাদের প্রিয় শায়েখেরা, আমাদের শত্রুরা – আগে এবং বর্তমানে – তাদের সব ধরনের মিডিয়া হোক তা অডিও, ভিডিও অথবা, লিখিত- ব্যবহার করে চলছে ইসলামের ভাবমূর্তি বিকৃত করার জন্যে। যার মাধ্যমে মুজাহিদীনদের ভাবমূর্তিও নষ্ট করার চেষ্টা করছে যারা আল্লাহর শরিয়াহ দ্বারা পরিচালিত হতে চায় যারা তাদের জীবন বাজি রাখছে মুসলিমদেরকে জাহেলি যুগের মতাদর্শ, গনতন্ত্রের থাবা, সমাজতন্ত্র, হাউথিজম থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে এবং অহী দ্বারা প্রাপ্ত ন্যায় বিচার ফিরিয়ে দিতে। শত্রুরা তাদের সব শক্তি নিংড়ে ফেলছে নিরপরাধ মুজাহিদীনদেরকে দোষারোপ এবং মিথ্যা কাজে ভূষিত করছে বিষয়গুলোকে উল্টো করে দিয়ে অথবা, মিথ্যা ও প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে। শত্রুরা যুদ্ধকে এমনভাবে উপস্থাপন করছে যে তারা এমন লোকদেরকে ধাওয়া করছে যারা সত্যকে বিকৃত করছে এবং তারা দুর্নীতি পরায়ণ।

وَقَالَ فِرْعَوْنُ ذَرُونِي أَقْتُلْ مُوسَىٰ وَلْيَدْعُ رَبَّهُ ۖ إِنِّي أَخَافُ أَن يُبَدِّلَ دِينَكُمْ أَوْ أَن يُظْهِرَ فِي الْأَرْضِ الْفَسَادَ [٤٠:٢٦]

আর ফিরআউন বলল, আমাকে ছেড়ে দাও যাতে আমি মূসাকে বধ করতে পারি, আর সে তার প্রভুকে ডাকতে থাকুক,নিঃসন্দেহ আমি আশঙ্কা করছি যে সে তোমাদের ধর্মমত বদলে দেবে, অথবা সে দেশের মধ্যে বিপর্যয়ের প্রসার করবে। সুরা আশ-শুরা, আয়াত ৪০

এগুলো করার ফলে সকলে ভুলেই বসেছে যে শত্রুরা আবিয়ানে ইসলামিক শরিয়াহ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে এবং তারা লড়ছে আমেরিকার প্লেন এবং ক্রুসেডারদের যুদ্ধ জাহাজগুলোকে সাথে নিয়ে। আল্লাহর শপথ, আমরা এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত কি তা জানতে এবং আপনাদের পরামর্শ নিতে খুবই আগ্রহী। আপনারা এই ব্যাপারে কি করতে সক্ষম?

যখন আমরা আপনাদের থেকে যোগাযোগের জন্যে কোন সাড়া পাই নি তখন আমরা এক কদম আগে বাড়িয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে যাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে তা করেছি। সত্য এবং বাস্তবতা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যখন এগুলোই হল ফাতোয়া প্রদানের ভিত্তি। তাই আমরা সত্য প্রকাশ করতে আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি যেহেতু তা আমাদের ঈমানের অংশবিশেষ। প্রতারকরা আজ বিশ্বাসী সেজে বসে আছে এবং বিশ্বাসীদের প্রতারক ধরা হচ্ছে। যারা আল্লাহর শরীয়াহ বাস্তবায়ন করতে চায় এবং গনতন্ত্রকে প্রত্যাক্ষান করেছে তাদের রক্তপাত হালাল করা হয়েছে যা শরীয়াহর বিপক্ষে এবং গনতন্ত্রের পক্ষে লড়ছে তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে। আসলে ফাতওয়াগুলোতে কাদের রক্তপাত হালাল হওয়ার কথা ছিল? তার রক্ত যে আমেরিকার প্লেনগুলোর পক্ষে লড়ছে না তাদের যারা এর বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে? না তার রক্ত যে ধর্মনিরপেক্ষতা দিয়ে শাসন করতে চায় অথবা, তার যে আল্লাহর নিকটে রয়েছে এবং আল্লাহর শরীয়াহ বাস্তবায়ন করতে চায়? অথবা, তাদের যারা সালাত কায়েম করছে এবং যাকাত আদায় করছে?

الَّذِينَ إِن مَّكَّنَّاهُمْ فِي الْأَرْضِ أَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ وَأَمَرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَنَهَوْا عَنِ الْمُنكَرِ ۗ وَلِلَّهِ عَاقِبَةُ الْأُمُورِ [٢٢:٤١]

এরাই,আমরা যদি এদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করি তাহলে এরা নামায কায়েম করবে ও যাকাত আদায় করবে ও সৎকাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর সব কাজের পরিণাম আল্লাহ্‌রই এখতিয়ারে।

উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তরে নির্ভর করবে আপনাদের পর্যবেক্ষনের উপর অথবা, পরিস্থিতি না জেনে ফাতোয়া প্রদান থেকে বিরত থেকে।

হে আমাদের শায়েখেরা, যখন অগনিত সরকারী সেনাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল যারা গনতন্ত্রকে গ্রহন করেছে তারা এই দুনিয়ায় এবং আখিরাতে তাদের এই পরিনতির জন্যে আপনাদেরকেই দায়ী করছে কারণ তারা আপনাদের ফাতোয়ায় বন্ধী। আপনারা কি এটা চিন্তা করে ভীত হচ্ছেন না যে এই সেনারা হাশরের দিন এসবের জন্যে দায়ী হিসাবে আপনাদেরই দাঁড় করাবে? আপনাদের উপর আবশ্যক হচ্ছে যে মুজাহিদীনদের বাস্তব চিত্র সবার সামনে ফুটিয়ে তোলা যা ইচ্ছাকৃত ভাবেই লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তারা কিসের জন্যে জিহাদ করছে? কারা তাদের সাথে জিহাদে লিপ্ত? কারা শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করছে? ঐ মুসলিমের কি অবস্থান যে আল্লাহর শরীয়াহকে সাহায্য করে? তারা কতটুকু এর সাথে লেগে আছে? মুজাহিদীনরা কেমন শক্তিশালী? সাধারন জনগণ থেকে তারা কিরূপ সমর্থন পাচ্ছে?

উপরে যা বর্ণনা করা হল তার জন্যে আমি সব শায়েখ, দাঈ এবং তলেবে ইলমদেরকে আমন্ত্রণ করছি তারা যেন আমাদের নিয়ন্ত্রিত আবিয়ান এবং শাবওয়া, আযান, অয়াকার এবং অন্যান্য এ ধরনের শহরগুলো অথবা, এরকম অন্যান্য শহরগুলো পরিদর্শন করে দেখুন। আপনারা আমাদেরকে সেখানে স্বাগতম জানানোর জন্যে পাবেন এবং আমরা সত্য প্রকাশের স্বার্থে আপনাদের সাথে কথোপকথনে প্রস্তুত। আমরা আপনাদের পরামর্শ পেতে খুব আগ্রহী এবং আপনাদের এবং আমাদের মাঝে থাকবে আল্লাহর বই এবং নবীর সুন্নাহ তার উপর এবং তার পরিবারবর্গের উপর সালাত এবং সালাম বর্ষিত হোক। এই দেশটি এক আধার সুড়ঙ্গ এবং অজানা নিয়তীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এই দেশের জন্যে তিন দল যুদ্ধ করে যাচ্ছেঃ

১. এক দল হল যারা পূর্বের অনুসরণ করছে যা ইরান এবং রাশিয়া – সমাজতন্ত্র এবং হাউতিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

২. এক দল হল যারা আমেরিকার অনুসরণ করছে যা আল-উইফাক গনতান্ত্রিক সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

৩. এক দল যারা নিজেদের নিরপরাধ ঘোষণা করেছে তাদের থেকে যারা আল্লাহর দীনের ব্যাপারে যুদ্ধে লিপ্ত। যা আমাদের ভাই এবং মুজাহিদীনদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

সুতরাং কোন দল আপনাদেরকে অধিক গ্রহণ করবে? এইগুলোর মধ্যে কোনটার পাশে আপনারা দাঁড়াবেন? আপনাদের ফাতোয়ার অবস্থান কোথায় হবে?

আপনাদের তথ্য দিচ্ছি যে, হাউতিরা রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে সরকারের সাথে এমনকি বিরোধীদের সাথেও যেন তারা সুন্নীদের ভূমি দখল করে নিতে পারে। জনতার কংগ্রেস এবং হিরাকের অনেক নেতৃত্ব তাদের সাথে যোগ দান করেছে।

আশ্চর্য্যের বিষয়টি হল কিছু আলেমেরা হাউতি এবং তাদের পরিকল্পনার ব্যাপারে অন্ধের দৃষ্টি দিচ্ছেন পুনর্গঠনের অজুহাত দেখিয়ে অথবা, ডোরাকাটা দের ভয়ে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি যে আপনারা প্রস্তুতি নিন, আপনাদের অস্ত্র উঠান এবং আপনাদের ভাইদের সাথে শরিক হোন সুন্নি জনতার বিরুদ্ধে গণহত্যা আরো প্রবল হওয়ার আগে।

ইয়েমেনী সামরিক বাহিনী সফল ভাবে স্বেচ্ছায় এই অঞ্চল এমনকি সামরিক বাহিনীর কিছু অংশও হাউতিদের কাছে সমর্পনে প্রস্তুত। আর যখন হাউতি এবং সমাজতন্ত্র এক সাথে হয়ে যাবে যার চুক্তি আগেই ইরান এবং রাশিয়ার মাঝে হয়েছিল তখন ই বিপর্যয় শুরু হবে।

আমাদের শায়েখেরা, আমরা মূল্যায়ন করছি আপনাদের ঐসব সমস্যাগুলোকে যেগুলোর মধ্য দিয়ে আপনাদেরকে আসতে হবে কারণ এই রাস্তা খুবই দীর্ঘ এবং সংঘাতপূর্ণ। আমরা আপনাদেরকে আধারের মধ্যে আলো হিসাবে বিবেচনা করি, এর উপকারিতা তখনি প্রকাশিত হয়ে পড়ে যখন আপনারা একে আপনাদের নিজেদের হাতে ধরে রাখেন যার নিয়ন্ত্রন আল্লাহর ছাড়া কারো কাছে থাকে না। যখন মানুষ্য বাঁধা আসে তখন এই আলো ম্লান হয়ে যায় এবং অন্ধকার ছড়িয়ে পড়ে। দৃঢ়চিত্ত থাকুন যে আল্লাহ আপনাদের পদক্ষেপে এবং প্রচেষ্টায় বারাকাহ দিবেন। এটা ঐ বিষয় যা নবী এবং সালাফরা করে গেছেন উদাহরণ হল আল্লাহর নবী সুলাইমান (আঃ) যখন হুদহুদ পাখি তাঁর কাছে আসলো যে আগে কখনও মিথ্যা বলেনি বললঃ

إِنِّي وَجَدتُّ امْرَأَةً تَمْلِكُهُمْ وَأُوتِيَتْ مِن كُلِّ شَيْءٍ وَلَهَا عَرْشٌ عَظِيمٌ وَجَدتُّهَا وَقَوْمَهَا يَسْجُدُونَ لِلشَّمْسِ مِن دُونِ اللَّهِ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ فَصَدَّهُمْ عَنِ السَّبِيلِ فَهُمْ لَا يَهْتَدُونَ [٢٧:٢٤]

আমি নিশ্চয়ই এক নারীকে দেখতে পেলাম তাদের উপর রাজত্ব করছে,আর তাকে সব-কিছু থেকে দেওয়া হয়েছে, আর তার রয়েছে এক মস্তবড় সিংহাসন। আর আমি তাকে ও তার লোকদের দেখতে পেলাম তারা আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে সূর্যকে সিজদা করছে, আর শয়তান তাদের জন্য তাদের ক্রিয়াকলাপ চিত্তাকর্ষক করেছে, কাজেই পথ থেকে সে তাদের সরিয়ে রেখেছে, সুতরাং তারা সৎপথ পাচ্ছে না। সূরা নামল, আয়াত ২৩-২৪

পরে আল্লাহর নবী সুলাইমান (আঃ) কোন ধরনের বিচারে এবং তাদেরকে আক্রমন করা অথবা, তাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী প্রস্তুত করার আগে বলেন নিশ্চিত করে নেন …

قَالَ سَنَنظُرُ أَصَدَقْتَ أَمْ كُنتَ مِنَ الْكَاذِبِينَ[اذْهَب بِّكِتَابِي هَٰذَا فَأَلْقِهْ إِلَيْهِمْ ثُمَّ تَوَلَّ عَنْهُمْ فَانظُرْ مَاذَا يَرْجِعُونَ

তিনি বললেন আমরা শীঘ্রই দেখব তুমি কি সত্য বলছ, না তুমি মিথ্যাবাদীদের মধ্যেকার? ”আমার এই লিপি নিয়ে যাও আর এটি তাদের কাছে অর্পণ কর, তারপর তাদের থেকে চলে এস, আর দেখ কি তারা ফেরত পাঠায়।’’ সুরা নাহল, আয়াত ২৭-২৮

যখন আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে এসে বলা হল যে আল-মুস্তালাক্বের পরিবার যাকাত দিচ্ছে না তখন তিনি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) কে পাঠালেন এবং নির্দেশ দিলেন যে তিনি যুদ্ধ শুরুর আগে যেন নিশ্চিত হয়ে নেন এবং আল্লাহ পরে এই আয়াত নাযিল করেন…

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ [٤٩:٦]

ওহে যারা ঈমান এনেছ! যদি কোনো সত্যত্যাগী কোনো খবর নিয়ে তোমাদের কাছে আসে তখন তোমরা যাচাই করে দেখবে, পাছে অজানতে তোমরা কোনো লোকদলকে আঘাত করে বস, আর পরক্ষণেই দুঃখ কর তোমরা যা করেছ সেজন্য। সূরা হুজুরাত,আয়াত ৬

একটি হাদিস শিখার জন্যে আমাদের সালাফরা এক মাস অথবা, দুই মাস অথবা, কয়েক মাসের পথ পাড়ি দিতেন।

আমাদের শায়েখেরা, আপনারা কি আমাদের কাছে আসতে চান না এবং সরাসরি আমাদের থেকে শুনতে চান না?

যদি আমরা হাদীস সংকলনের যুগে থাকতাম, আপনারা কি বিবৃতির চেইনের প্রতি মনোযোগ দিতেন না, আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে আপনারা মিথ্যাবাদী মিডিয়াকে পুনরাবৃত্তি করে চলছেন। তাহলে আমাদের মাঝে কি বাঁধা এসে দাঁড়াতে পারে? যদি ভ্রমণ খরচ আপনাদের এবং আমাদের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তবে আমরা খুশি হয়েই আপনাদের ভ্রমণ এবং অন্যান্য খরচ বহন করতে রাজি আছি ইনশাআল্লাহ। এবং যদি কঠিনতা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে এই পথই হল নবী এবং তাদের অনুসারী এবং সালাফদের উলামাহ যেমন- আল-শাফেঈ, আহমাদ এবং অন্যান্যরা, এবং তাদের পড়ে যারা এসেছেন যেমন আল ইযয বিন আব্দুস সালাম এবং ইবনে তাইমিয়্যাহের পথ। যদি তিনি জীবিত থাকতেন তবে তাওহীদের ভুমিতে অবস্থান করাকে কোন ভাবেই ছেড়ে দিতেন না এবং অবশ্যই তারা গনতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের ভূমি পরিত্যাগ করতেন এবং তা তাদের বক্তব্য এবং অস্ত্র দিয়েই করতেন যেভাবে তারা ক্বারমাতিয়ান এবং অজ্ঞতার ভূমিকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারা কখনও তাদের চিন্তা ভাবনা এবং ফাতোয়া গুলো ধর্মনিরপেক্ষ বর্ননাকারীর ভিত্তিতে করার কথা চিন্তাও করতেন না। তারা বিদ’আতী বর্ণনাকারীদেরকে বর্জন করতেন তাহলে কি এটা বলার আর অবকাশ আছে যে তারা কখনও ধর্মনিরপেক্ষদের বর্ণনা গ্রহন করতেন না। সুতরাং আপনাদের ভ্রমনের ফলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরো কাছাকাছি আসবে এবং দৃশ্যপটকে আরো স্বচ্ছ করে তুলবে। এর ফলে আপনারা স্বচক্ষে আমাদের অবস্থা অবলোকন করতে পারবেন এবং নিজেরাই পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন যা মিডিয়া পরিবেশিত এবং তাদের মিথ্যাগুলো থেকে অনেক দূরে হবে। আপনাদের ভ্রমন আল্লাহর রাসুল (সাঃ) যা বলে গেছেন তা বাস্তবায়ন করবে,

দ্বীন হল নাসীহাহ।

যা বিবৃত হয়েছে তার সত্যতা যাচাই করুন এবং বাস্তবতাকে বুঝতে সালাফদের অনুসরণ করুন এবং জনগণের অবস্থা বিচার করুন। যখনই লোকেরা আমাদের কে জিজ্ঞেস করে এই ভূমিগুলোতে আপনাদের এবং আপনাদের ফাতোয়ার অনুপস্থিতির ব্যাপারে এবং এই বাস্তবতায় যখন তারা আল্লাহর শাসনের নিয়ন্ত্রণে বসবাস করছেন এবং আনন্দিত হচ্ছেন আমরা উত্তর দিতে পারি না। সুতরাং আপনাদেরকে মর্যাদা হারানোর এবং সন্দেহভাজন হওয়ার দিকে ফেলবেন না।

আমরা আবারো আমাদেরকে দেখে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছি। আমরা আপনাদের সাথে দেখা করতে, আপনাদের কথা শুনতে এবং আমাদের বাস্তবতা দেখিয়ে দিতে খুবই আগ্রহী। এবং আমরা আপনাদের পরামর্শের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারলেও খুব খুশি হব।

কবিতাঃ

হে শ্রদ্ধেয়দের পুত্ররা, এগিয়ে আসুন যেন দেখে নিতে পারেন আপনাদের সামনে কি রয়েছে

কারণ যে শুধুই শুনেছে সে যে দেখেছে তার মত নয়।

পরিশেষে আমরা আল্লাহ, পরাক্রমশালীর কাছে তিনি যা পছন্দ করে এবং যা তাঁকে খুশি করে তাতে বিজয় চাই।

এবং আমাদের শেষ দো’আ হল আল্লাহ জন্যেই সমস্ত প্রশংসা, যিনি দুই জাহানের রব।

শায়েখ আবু আল-যুবায়ের আল-আদেল আল-আবাব (আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করুন)

০৪.২০১২

জুম’আদুল আখির ১৪৩৩হি

আলক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

উৎসঃ ইকো অফ জিহাদ মিডিয়া সেন্টার

দ্যা গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্ট

মুজাহিদিনদের খবর পর্যবেক্ষন করছে এবং ঈমানদারদের উৎসাহিত করছে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + fourteen =

Back to top button