শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ-এর পুস্তিকা “জিহাদের সাধারণ দিকনির্দেশনা” -এর উপর ব্যাখ্যামূলক আলোচনা (পর্ব-৩) || শাইখ কাসিম আর-রীমি রহিমাহুল্লাহ
مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al-Hikmah Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা ডাবিং
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled
تعليق على رسالة (توجيهات عامة للعمل الجهادي) (٣) للشيخ قاسم الريمي (رحمه الله
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ-এর পুস্তিকা
“জিহাদের সাধারণ দিকনির্দেশনা”
-এর উপর ব্যাখ্যামূলক আলোচনা
(পর্ব-৩)
শাইখ কাসিম আর-রীমি রহিমাহুল্লাহ
Commentary on The Message ‘General Guideline for Jihadi Action by Sheikh Ayman al-Zawahiri’ (May Allah protect him) (3)
by Sheikh Qassem Al-Rimi (May Allah have mercy on him)
للمشاهدة المباشرة والتحميل
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading
লিংক-১ : https://justpaste.it/jihader_diknirdesonar_bekkha-3
লিংক-২ : https://mediagram.me/f59983c2a0e1d9e5
লিংক-৩ : https://noteshare.id/aacpHev
লিংক-৪ : https://web.archive.org/web/20220329164231/https://justpaste.it/jihader_diknirdesonar_bekkha-3
লিংক-৫ : https://web.archive.org/web/20220329164314/https://mediagram.me/f59983c2a0e1d9e5
লিংক-৬ : https://web.archive.org/web/20220329164521/https://noteshare.id/aacpHev
روابط الجودة الاصلية
FULL HD 1080 (284.7 MB)
মূল রেজুলেশন [২৮৪.৭ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/5FtFwRW5nKXrATa
লিংক-২ : https://archive.org/download/jihade-rsadharon-nirdeshona-part-3-update/Jihadersadharonnirdeshona%20Part-3.mp4
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d7t7k2d492101b3ac4294975fdeccf6450031
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=q1p8w9n7l2
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/3eacac77-4d11-437f-b66b-733190357813/67bb13a6154cb46d16986925eb6a80ea8510949a48482237e122aba6805c4c02
লিংক-৬ : https://f005.backblazeb2.com/file/diknirdesona3/Jihadersadharonnirdeshona+Part-3.mp4
روابط الجودة الاصلية
HQ 1080 (184MB)
মূল রেজুলেশন [১৮৪ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/temReaMw5XWAtn2
লিংক-২ : https://archive.org/download/jihade-rsadharon-nirdeshona-part-3-update/Jihade%20rsadharon%20nirdeshona%20Part-3%20-1080.mp4
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d63puf206150fe9ba43b3baeb2ed1460c31ed
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=s7f3g4t6t1
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/0b21fabe-b82f-4858-aa49-27042c7a6f41/2358413ca348f472bbce20835f594f8fd6c24f463289a6f56b4334dd03432618
লিংক-৬ : https://f005.backblazeb2.com/file/diknirdesona3/Jihade+rsadharon+nirdeshona+Part-3+-1080.mp4
روابط الجودة المتوسطة
MQ 720 (86.5MB)
৭২০ রেজুলেশন [৮৬.৫ মেগাবাইট।
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/BPPNRWbJWM9btiS
লিংক-২ : https://archive.org/download/jihade-rsadharon-nirdeshona-part-3-update/Jihade%20rsadharon%20nirdeshona%20Part-3%20-720.mp4
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d63pu73b2c671db47470ea3441973b22a439f
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=k5d6j5i7s6
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/074f6817-9d66-4832-859a-1fcde60e7500/777bafe5e2b4fffe19b678e1ebe78d58eb7fe4393ec2e97fa2e65cd316fd6d13
লিংক-৬ : https://f005.backblazeb2.com/file/diknirdesona3/Jihade+rsadharon+nirdeshona+Part-3+-720.mp4
روابط الجودة المنخفضة
LQ 360 (23.2MB)
৩৬০ রেজুলেশন [২৩.২মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/xmaws8BHmiHB9q5
লিংক-২ : https://archive.org/download/jihade-rsadharon-nirdeshona-part-3-update
/Jihade%20rsadharon%20nirdeshona%20Part-3%20-360.mp4
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d63pu631c2a8869314ef8afe78b0be2bddf7d
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=h5o7j9p1p2
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/98e17cfc-bbba-4ec5-98f1-2917453223d1/9a669c091595190e8e019cef8b43f3d8f64b8a0ec97214c0f51749a8b40e8df8
লিংক-৬ : https://f005.backblazeb2.com/file/diknirdesona3/Jihade+rsadharon+nirdeshona+Part-3+-360.mp4
روابط جودة الجوال
Mobile Qoality (22.1 MB)
3GP রেজুলেশন [২২.১ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/4jaixcTjcQXJCgB
লিংক-২ : https://archive.org/download/jihade-rsadharon-nirdeshona-part-3-update/Jihadersadharonnirdeshona%20Part-3.3gp
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d63puecf4abdc19174bf68350cf053be134cc
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=w4q6x6b9c0
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/c368548a-d27f-4b60-9723-1c507f080e7e/a757c21cd752a09e560316cb32aba03f5c43d46e1d6c434fef67429ab92c71aa
লিংক-৬ : https://f005.backblazeb2.com/file/diknirdesona3/Jihadersadharonnirdeshona+Part-3.3gp
روابط بي دي اب
PDF (387 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৩৮৭ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/bCyfaW3QGJZaJmN
লিংক-২ : https://archive.org/download/jihade-rsadharon-nirdeshona-part-3-update/JihaderSadharonNirdeshona-er%20Bekkha-3.pdf
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d63pua1511a061f284f8a94ae7618d9619608
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=a6h0s2k6j5
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/0b33abe8-190e-442c-9d28-f9489c295437/035c5aa55eb2ae2a36ba4ac608a931d5ed05851eb31213654171a596604e9657
লিংক-৬ : https://f005.backblazeb2.com/file/diknirdesona3/JihaderSadharonNirdeshona-er+Bekkha-3.pdf
روابط ورد
Word (1.4 MB)
ওয়ার্ড [১.৪ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/RJMTXGgtQ43sSeG
লিংক-২ : https://archive.org/download/jihade-rsadharon-nirdeshona-part-3-update/JihaderSadharonNirdeshona-er%20Bekkha-3.docx
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d63pud3459d27b6b74c439a4dc652e8761072
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=i9i6m8a9i9
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/d466e48e-00e6-4d74-97a3-ccb873f3e4da/602072b8fd4bdf5bf19ccde3eebf679060044b48b784566eab422cf9957559bc
লিংক-৬ : https://f005.backblazeb2.com/file/diknirdesona3/JihaderSadharonNirdeshona-er+Bekkha-3.docx
روابط الغلاف- ১١
book Banner [2.2 MB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [২.২ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/2r5mSLpdcFza2Lr
লিংক-২ : https://archive.org/download/jihade-rsadharon-nirdeshona-part-3-update/Jihade%20rsadharon%20nirdeshona%20Part-3%20Cover.png
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d63pu38cdb42613c745158a9461b3b5c9a2d1
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=g4g8s1v3r3
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/a0db58a5-b574-41a8-9c2d-b67fe1c18fb8/530968e6498242413fa996ccb1a42d14ee3cb74d8c6d71b193ef1bb774f1c22f
লিংক-৬ : https://f005.backblazeb2.com/file/diknirdesona3/Jihade+rsadharon+nirdeshona+Part-3+Cover.png
روابط الغلاف- ٢
Banner [1.5 MB]
১ব্যানার ডাউনলোড করুন [১.৫ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/Mbwx4FbGJBgbnHQ
লিংক-২ : https://archive.org/download/jihade-rsadharon-nirdeshona-part-3-update/Jihade%20rsadharon%20nirdeshona%20Part-3%20Banner.png
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d63pu7e1184f2b58a4cd9a94251b04189c197
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=x9u8p1z8n6
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/e5409806-3559-413d-b690-435c29555de2/5b7577447d82f22c7adc8ee97e09006d9b4373f31350ac0a8d7adc69640ebe8a
লিংক-৬ : https://f005.backblazeb2.com/file/diknirdesona3/Jihade+rsadharon+nirdeshona+Part-3+Banner.png
*****
শাইখ আইমান আয–যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ–এর পুস্তিকা
“জিহাদের সাধারণ দিকনির্দেশনা”
–এর উপর ব্যাখ্যামূলক আলোচনা
(পর্ব-৩)
তিনি (শাইখ আইমান আয–যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন:
(সরাসরি যারা যুদ্ধ করছে না এমন কাফেরদের ক্ষেত্রে)
“৬। স্বাভাবিকভাবে যারাই আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলেনি, কিংবা আমাদের শত্রুদের সাহায্য করে নি, আমরা তাদের সাথে সংঘাত এড়িয়ে চলি। মূলত: আমাদের যুদ্ধ হলো, ক্রুসেডার জোট এবং তাদের স্থানীয় এজেন্টদের বিরুদ্ধে”।
আল্লাহ তা‘আলা কতইনা উত্তম বলেছেন– ‘তোমরা সকল কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো’। তবে হুকুমটি পর্যায়ক্রমে আসবে। আজকে আমরা যুদ্ধ শুরু করবো, যে শত্রু আমাদের উপর হামলা করে বসেছে। হ্যাঁ, তাকে শেষ করে আমি তৃতীয় ও চতুর্থ জনের কাছে যাবো। তবে প্রথমে শুরু করতে হবে– যে শত্রু তোমার মাথার উপর আছে। সব কাফেরই আমাদের শত্রু, সবার সাথেই ক্বিতালের নির্দেশ। কিন্তু একজন ক্রুশ নিয়ে সশস্ত্র তোমার মাথার উপর দাঁড়িয়ে আছে। তোমাকে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, স্বভাবতই তুমি তাকে আগে প্রতিরোধ করবে। এরপর অন্যদের দিকে তাকাবে।
“৭। যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন জন সাধারণকে টার্গেট না বানানো। তাদের থেকে হাত গুটিয়ে রাখা। যদিও তাদের আত্মীয় স্বজন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত থাকে। যথাসাধ্য তাদের থেকে এড়িয়ে যাওয়া”।
যেমন– আমাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত মুরতাদদের মা–বোন, সন্তানাদী, বৃদ্ধ আত্মীয়–স্বজন।
(সতর্কতা)
“৮। মুসলিমদের সব ধরনের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। যেমন– বিস্ফোরণ, হত্যা, অপহরণ, ছিনতাই, লুটপাট ইত্যাদি কাজ দ্বারা কোন মুসলমানকে কষ্ট না দেওয়া।”।
“৯। বাজারে বা অধিক জনসমাগমের জায়গায় শত্রুদের টার্গেট না বানানো। তো শত্রুদের টার্গেট বানানো যাবে না কোথায়? বাজারে এবং মসজিদে।”।
মসজিদে তো আমাদেরকে তীর তলোয়ারের প্রদর্শনী থেকেই নিষেধ করা হয়েছে। সেখানে বিস্ফোরণ তো অনেক দূরের কথা। মসজিদ হলো আল্লাহর কাছে সবচে প্রিয় স্থান, আর বাজার হলো সবচে অপছন্দের জায়গা। উভয় জায়গায় অস্ত্র প্রয়োগ ও বিস্ফোরণ ঘটানো নিষিদ্ধ। কারণ, এসব জায়গায় হামলা হলে, এমন অনেক মানুষ আক্রান্ত হবে; যারা প্রকৃতপক্ষে শত্রু নয়। অনেক নিরপরাধ মানুষের রক্ত ঝড়বে। আর সাধারণ মানুষও মনে করে যে এসব জায়গায় কেউ কাউকে টার্গেট বানায় না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন– ‘তোমরা ক্ষমা করো এবং উরফের নির্দেশ দাও’। আয়াতে উরফের এক ব্যাখ্যা হলো, কল্যাণের কাজ, আরেক ব্যাখ্যা হলো, মানুষের মাঝে প্রচলিত বিষয়। অর্থাৎ যে সকল বিষয় সর্ব সাধারণের কাছে প্রচলিত, তার মূল্যায়ন করা উচিত। তো সাধারণ মানুষ মনে করে যে, এসব উন্মুক্ত প্লেসে কেউ ব্যাপক আক্রমণ চালায় না। তো মানুষের সেই মনোভাবের মূল্যায়ণ করা উচিত। তাছাড়া এসব স্থানে হামলা চালালে অপরাধীর চাইতে নিরপরাধরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সারকথা হলো– বাজার, মসজিদ বা এ জাতীয় উন্মুক্ত স্থান; যেখানে অমুসলিমদের সাথে মুসলিমরাও মিলে থাকে, যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিরীহরাও থাকে, সেসব জায়গায় হামলা করা যাবে না।
তাই তিনি (শাইখ আইমান আয–যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন:
“শত্রুদেরকে মসজিদ, বাজার এবং এমন জনসমাগমের জায়গায়; যেখানে তারা মুসলমান অথবা যারা যুদ্ধরত নয় তাদের সাথে মিশে থাকে, ইত্যাদি জায়গায় টার্গেট বানানো থেকে বিরত থাকুন”।
(উম্মাহর উলামায়ে কেরামের ক্ষেত্রে)
“১০। উলামায়ে কেরামকে শ্রদ্ধা জানানো, তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া। কারণ, তারা হলেন, নবীগণের ওয়ারিস। উম্মাহর পথপ্রদর্শক। বিশেষ করে এই দায়িত্ব ঐসব আলেমদের প্রতি পালন করা আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ; যারা সত্য প্রকাশ করেন এবং এর জন্য ত্যাগ স্বীকার করেন। আর যারা উলামায়ে সূ, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান এটুকুই হবে যে, আমরা তাদের অপযুক্তি অপনোদন করব, তাদের বিভ্রান্তি তুলে ধরবো কিন্তু আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যাব না কিংবা তাদেরকে হত্যা করতে উদ্যত হবো না। তবে তারা সশস্ত্র লড়াইয়ে অংশ গ্রহণ করলে ভিন্ন কথা।”।
বিশেষ করে সেসব আলেম; যারা জীবনের রিস্ক নিয়ে হলেও সত্য তুলে ধরেন, হক কথা বলতে গিয়ে কুরবানী পেশ করেন, উলামায়ে সূ’দের ছড়িয়ে দেওয়া সংশয়ের জবাব প্রদান করেন, দলীলের আলোকে তাদের অপব্যাখ্যার অসারতা তুলে ধরেন, যদিও তারা সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে কম আসেন, কিন্তু উম্মাহর মাঝে জিহাদী চেতনা জাগ্রত করা, খোঁড়া যুক্তির বিপরীতে সঠিক দলীল উপস্থাপন করা, জিহাদের অনেক বড় একটি দিক। এটিকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
তাই আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাবো। বিনয়ের সাথে তাদের মোলাকাতে যাবো। যদিও কখনো তারা দু‘চারটা কটু কথা শোনান, তা হজম করবো। সঠিক সংবাদ না জানার কারণে যদি কোন আপত্তি তোলেন, আদবের সাথে সঠিক তথ্যটি তুলে ধরবো। কারণ, এটাই হলো দ্বীন।
হতে পারতো, তার মতো আপনিও এই ভুল বুঝের মাঝে থাকতেন। আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে সঠিকটি জানার তাওফীক দিয়েছেন বিধায় আপনি জেনেছেন। তাই আদবের সাথে সঠিকটি তুলে ধরুন।
তো আপনি যদি সঠিকটি না জানতেন, তাহলে আপনি অপর পক্ষ থেকে কেমন আচরণ কামনা করতেন? অবশ্যই আপনি চাইতেন যে, সে কোমলভাবে আমার কাছে সঠিকটি উপস্থাপন করুক। সুতরাং আপনিও তাই করুন! হাদিসে এসেছে– ‘তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে অন্যের জন্যও তা–ই পছন্দ করে’।
কতজন আলেম এমন রয়েছেন বাস্তবে যাদের মাঝে এবং মুজাহিদদের মাঝে বিরোধ রয়েছে? কী এর কারণ? আমরা জানি না তারা উলামায়ে কেরামের কেউ নাকি মুজাহিদদের কেউ? কিন্তু যতদূর আমরা দেখেছি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রকম পেয়েছি, তারা যুবক। প্রধান অংশে আমরা দেখেছি তারা হলেন যুবক।
আমি একটি উদাহরণ দিচ্ছি। বাস্তব উদাহরণ; কাল্পনিক উপমা নয়। এতে এ জাতীয় অনেকের সরলতা প্রকাশ পাবে। তারা আসলেই কত সাদাসিধে। একবার এক শাইখ কোন এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলছিলেন। তখন অপর এক ভাই সেখানে উপস্থিত হয়ে হযরতকে একটি ক্যাসেট দিলেন। সেই ক্যাসেটে ঠিক সে ব্যক্তির বক্তব্য যার ব্যাপারে হযরত কথা বলছিলেন। তাতে শোনা যাচ্ছিল: উলামায়ে কেরামের ভূমিকা বিরাট ও অগ্রণী। আমরা আশাবাদী আল্লাহ তা‘আলা তাদের মাধ্যমে ইসলামকে অনেক উপকৃত করবেন। তাদেরকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো উচিত। তো এই আলোচনা শুনে একই মজলিসে ওই হযরতের মত পাল্টে যায় এবং তিনি বলতে থাকেন: ‘আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি- এই ব্যক্তি তো অনেক ভালো ও শ্রেষ্ঠ একজন আলেম।’
অথচ সেই ভাই প্রকৃতপক্ষে কোন আলেম ছিলেন না। বরং তিনি একজন সাধারণ ভাই ছিলেন।
সারকথা: যতদিন পর্যন্ত তারা বর্তমান সংঘাত বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি এবং ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকবে, আমাদের উচিত হবে পুরোপুরিভাবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখা।
(আরেকটি উদাহরণ)
তো আসলে আপনার নিজের বৃদ্ধ পিতাকে কিন্তু তাঁর জীবন সায়াহ্নে আপনি উফ বলে বিরক্তি প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি যদি ভুল কিছু করেন কিংবা ভুল কিছু ধারণা করে বসেন, সেটাই আপনার মানিয়ে চলতে হবে। দেখা যাবে আপনার কথাই সঠিক, কিন্তু তিনি তো তাঁর ধারণা মতেই কিছু করছেন।
এবার আপনারা নিজেদের অবস্থার সঙ্গে তাদের অবস্থাও তুলনা করুন। আপনারা সেই বহু আগে থেকেই এই ময়দানে রয়েছেন এবং উপর্যুপরি আপনাদের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অথচ তারা তো এমন পরিবেশে রয়েছেন, যেখানে তারা একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত। কত রকমের জুলুম–নির্যাতন তাদের ওপর। হত্যা লুণ্ঠন। জাতিগত বিনাশের অপচেষ্টা। এজন্যই আসলে তাদের সঙ্গে নম্রতার সঙ্গে আমাদের আচরণ করতে হবে। উলামাদের সম্মান রক্ষা করতে হবে। ইবনুল কাইয়্যিম রহিমাহুল্লাহ বলেন– ‘ইসলামের উপর আঘাত করার সবচে উপযোগী জায়গা হলো ইসলামের পর্বতসম উলামাদের উপর আঘাত করা।’ হ্যাঁ, আলেমগণই হলেন, ইসলামের পর্বত। কারণ, তারাই ইসলামকে ধারণ করেন এবং জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দেন।
তাই তাদের সাথে আমাদের আচরণ হবে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাপূর্ণ। যদিও তাদের থেকে অনাকাঙ্খিত আচরণ প্রকাশ পায়। দেখুন! আল্লাহ তা‘আলা কি বলেন– ‘তুমি উত্তম পন্থায় প্রতুত্তর করো। এতে তোমার সাথে যার শত্রুতা ছিল সে তোমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে পরিণত হবে।’ এই নির্দেশনা সাধারণ মানুষের ব্যাপারে দেওয়া হয়েছে। তো ভেবে দেখুন, উলামাদের সাথে এই আচরণের ফল কেমন হবে!
শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ-এর একটি ক্যাসেট বের হয়েছিল। ‘হাদিসে কা’ব বিন মালেক এর ব্যাখ্যা’ নামে। ভাইয়েরা একদল আলেমের কাছে ক্যাসেটটি পৌঁছে দিয়েছিলেন। আমিও তাদের সঙ্গে ছিলাম। আল্লাহু আকবার, তাদের উপর এই ক্যাসেটের অনেক বড় প্রভাব পড়েছিল। প্রথমে তো এমন ছিল যে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানে মুজাহিদদের ঢুকতেই দিত না। এরপর এখন গেলেই বলেন, আহলান সাহলান! দিন দিন, তাদের আন্তরিকতা বৃদ্ধি পেতে লাগল। কিসের কারণে? শুধু এই ক্যসেটের কারণে। একজন তো বলতে লাগল, আল্লাহর শপথ! আমি তো এই লোকের (শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ) চাইতে বড় ফকীহ কাউকে দেখিনি। আরেকজন বলেন– হায় আফসোস! আমরা এই লোকটির প্রতি অনেক অবিচার করেছি। আরেকজন লোক পাঠিয়ে বলল, তাকে গিয়ে আমার সালাম বলবে, আর জানাবে, আমি যদি কখনো তাঁর কাছে যেতে পারি, তখন আমি তাঁর সামনাসামনি সাক্ষ্য দিয়ে বলবো, শাইখ উসামা অবশ্যই হক্বের উপর অধিষ্ঠিত।
দেখুন! তারা কিভাবে মাত্র একটি ক্যসেটের আলোচনা শুনে প্রভাবিত হয়েছিল। তদ্রুপ আলেম যারা হবে, তারা হক্বের কথা বুঝবেই। আগে হোক বা পরে। বর্তমানে উলামায়ে কেরাম মনে করছেন জিহাদ তো পৃথিবীতে নেই। তাই তারা এ বিষয়ক আলোচনাগুলো এড়িয়ে যান। তারা না জানার কারণে মনে করেন– এ আয়াত আর হাদিসগুলো কোথায় ফিট হবে। কোথাও তো এমন ময়দান নেই। এমন কাজ চলছে না। তাই হয়তো এই বিষয়ক আয়াত হাদিস এড়িয়ে যান বা এর দূরবর্তী কোন ব্যাখ্যা দেন।
কিন্তু কেউ যদি তাদের সামনে ইহতেরামের সাথে বাস্তব ময়দানের চিত্র তুলে ধরতে পারে, তাহলে তারা অবশ্যই বুঝবেন। তো উলামায়ে কেরামকে সম্মান করতে হবে। শ্রদ্ধা জানাতে হবে। তারা তাত্ত্বিক বিষয় এবং কিতাবের উপর পারদর্শিতার অধিকারী এবং অনেক বড় আলেম কিন্তু বাস্তব ময়দানে অবশ্যই তাদেরকে অনুপস্থিত ধরা হবে। আর এই কারণে দেখা যাবে বাস্তব ময়দানের অনেক চিত্র তাদের সামনে থাকবে না বিধায় তারা ভিন্ন রকম মাসআলা–মাসায়েল বয়ান করবেন। কিন্তু বাস্তব ময়দানের চিত্র সামনে আসার পর তারা নিজেদের থেকেই বুঝতে পারবেন।
আমাদের সামনে এমন উদাহরণ রয়েছে, ক্লাসে সবক দিচ্ছিলেন কিতাবুল জিহাদ বিষয়ের উপর। অতঃপর যখন বাস্তবায়নের চিত্র তার সামনে তুলে ধরা হল তখন তিনি উপর থেকে নেমে এলেন। আসলে খুলে বললেই অনেক কিছু তাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে।
যাই হোক, উলামায়ে কেরামকে শ্রদ্ধা করতে হবে। অপরদিকে আলেমদের বিরুদ্ধে লাগা, তাদেরকে গালি গালাজ করা, তাদের কুৎসা রটনা করা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ।
“১১। অন্যান্য ইসলামী আন্দোলনগুলোর ব্যাপারে আমাদের করণীয় হলো: একে অপরের সহযোগিতা করবো (একে অন্যের প্রতি কল্যাণকামী হবো)। ইখতিলাফী বিষয়ে নাসীহার সাথে কাজ নেবো।”।
অর্থাৎ হতে পারে তার মতটি তার ইজতিহাদ অনুযায়ী হক্ব। আর আপনার মত আপনার ইজতিহাদ অনুযায়ী হক্ব। কিন্তু প্রতিটি মু’মিনের ব্যাপারে সুধারণা পোষণ করবো। যতক্ষণ সে কিতাব ও সুন্নাহর উপর আছে। আমরাও তাদের ব্যাপারে সুধারণা পোষণ করবো, তারাও আমাদের ব্যাপারে সুধারণা রাখবেন। আমরাও তাদের প্রতি কুধারণা পোষণ করবো না, আর তারাও আমাদের ব্যাপারে কুধারণা পোষণ করবেন না।
“তো এক নাম্বার বিষয় হলো– যে সকল বিষয়ে আমাদের ঐক্য আছে ইখতিলাফ নেই, সে সকল বিষয়ে একে অপরের সাহায্য করবো। অপরদিকে যে সকল বিষয়ে ইখতিলাফ আছে, সেসব বিষয়ে কুধারণার শিকার না হয়ে একে অপরের কল্যাণকামী হবো।
দ্বিতীয়তঃ– আমাদের প্রধান টার্গেট হলো– ইসলামের শত্রুরা। তাই আমাদের শক্তির সবটুকুই যেন তাদের বিরুদ্ধে খরচ হয়। যারা সামরিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সব লাইনে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। সামান্যটুকুও যেন অন্যান্য ইসলামী আন্দোলনের ভাইদের বিরুদ্ধে খরচ না হয়।”।
বর্তমানের অবস্থা দেখুন! সালাফীগণ কত ধরনের মতানৈক্যের শিকার। একদল আরেক দলের সাথে কি সব আচরণ করছে। একে অপরকে ধ্বংস করতে মেতে উঠেছে। এটাই আল্লাহর হেকমত। তুমি যখন কাউকে কোন সমস্যায় আক্রান্ত করতে চাইবে, আল্লাহ তা‘আলা তোমাকেই সেই সমস্যায় আক্রান্ত করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন– ‘আর যখন তোমাদের কোন বিপদ হয়, ইতিপূর্বে তোমরাও তাদেরকে এর দ্বিগুণ বিপদ পৌঁছিয়েছ, তখন তোমরা বলো, এটা কার পক্ষ থেকে? আপনি বলে দিন, এটা তোমাদের নিজেদের পক্ষ থেকেই। নিশ্চই আল্লাহ তা‘আলা সব বিষয়ে ক্ষমতাবান।’
দেখুন! তারা আজ পাচঁ ছয় দলে বিভক্ত। আমরা যখন ২০০১, ২০০২ এর শুরুতে আফগান থেকে সরে আসছিলাম, সুবহান আল্লাহ! তখন তারা নিজেদেরকে বিরত রেখেছিল– যুগের ফরজ দায়িত্ব জিহাদ থেকে। দুর্বলদের সাহায্য করা থেকে। পুরো কুফর তখন ঐক্যবদ্ধ, কিন্তু তখনও তারা আমাদেরকে পিষে যাচ্ছিল। ব্যস! তখনই তারা কয়েক দলে ভাগ হয়ে যায়। মসজিদ মসজিদ আলাদা হয়ে যায় তাদের। একে অপর থেকে পানাহ চাইতে থাকে। প্রত্যেকে অপরকে গোমরাহ মনে করতে থাকে। শুধু নিজেকেই হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত আর সবাইকে গোমরাহ ভাবতে থাকে। মনে করে সেটাই হলো ইসলাম। আমাদেরকে বুঝতে হবে ইসলামের প্রাণবস্তু কোনটা? আপনার দু’টো হাতের মধ্যে যদি একটি হাত কোন সমস্যা করতে থাকে, আপনি সেটা ঠিক করার চেষ্টা করবেন। এখন মুসলমানদের একটি জামা‘আত যদি ভুল করে, তাহলে এখানেও অনুরূপ আচরণ করা উচিত। একটি অঙ্গের কারণে রূহ বের করে ফেলা তো সমাধান হতে পারে না। আপনি নিজের মত ও পথকেই কেন ইসলামের সারবস্তু মনে করেন? যেন আপনি একাই গোটা ইসলাম! আপনার বিরোধিতা করার অর্থ ইসলামের বিরোধিতা করা। সুতরাং যারা মানবে না, তাকে হত্যা করা বৈধ। আমাদের থেকে যে বের হয়ে যাবে, সেই মুরতাদ।
ব্যস! প্রথমে আমাদের লক্ষবস্তু হবে ইসলামের শত্রুরা। তাই যারা সামরিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সব লাইনে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত; তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্যান্য ইসলামী জামাতের সাথে শত্রুতায় যাওয়া কোনভাবেই ঠিক হবে না।
অন্যান্য জামাতের সাথে সহযোগিতামূলক আচরণ করা। তাদের যেকোন সঠিক কাজ বা কথার প্রশংসা ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। কোন ভুল প্রকাশ পেলে কল্যাণকামিতার সাথে তা শুধরে দেওয়া, গোপনের ভুল গোপনে, আর প্রকাশ্যের ভুল প্রকাশ্যে। ভুল শোধরানো হবে শক্তিশালী দলিল উপস্থাপনের মাধ্যমে। শুধু কাউকে আঘাত করে কথা বলা, গায়ের জোরে কিছু একটা চাপিয়ে দেওয়া কখনোই মুমিনের কাজ হতে পারে না। কারণ, শক্তির উৎস হলো দলীল; উঁচু আওয়াজ নয়।
“এদের মাঝে কোন দল যদি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কুফফারদের সহযোগিতা করে, তাহলে তাদের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যথাসম্ভব কম ক্ষতির মাধ্যমে প্রতিহত করার চেষ্টা করা। যাতে যুদ্ধের মোড় কুফফারদের থেকে মুসলিমদের দিকে ঘুরে না যায় এবং সাধারণ মুসলিমদের ক্ষতি না হয়।”।
যেমন– সৌদিয়ান রিফর্মার্সদের কথাই ধরুন। তারা ইয়েমেনে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এখন আমরা কি সর্বত্র তাদেরকে হত্যা করবো? তাদের অনেক সদস্য বলেছে যে, আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তারা রাজি ছিল না। কিন্তু রাষ্ট্রের ক্ষমতাশীলদের কারণে তারা বাধ্য। এখন কি আমাদের জন্য উচিত হবে, যারাই আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে, তাদেরকেই হত্যা করা হবে। এই নীতির আলোকে সর্বত্রই তাদেরকে হত্যা করতে থাকবো? না এমনটা কখনোই উচিত হবে না। কারণ, এর দ্বারা তখন যুদ্ধটা উম্মাহর মাঝেই সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। দ্বীনের আসল দুশমনরা এর ফাঁকে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে ফেলবে। তাই উম্মাহর কেউ যদি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে তাহলে তার অনিষ্ট থেকে বাঁচা যায় পরিমাণ তাকে প্রতিহত করা হবে। এর বেশি নয়।
“১২– মাজলুমদের কর্তৃক জালেমদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে সেখানে আমাদের ভূমিকা কি হবে?
সমর্থন, অংশগ্রহণ, দিকনির্দেশনা।
*সমর্থন করা। কারণ, জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুমের সাহায্য করা ওয়াজিব। এদের মধ্যে কে মুসলিম আর কে মুসলিম নয়, তা বিবেচ্য নয়।
*অংশগ্রহণ করা। কারণ, এটা আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকারের অন্তর্ভুক্ত। আর তা আমাদের উপর ফরজ”।
তবে তাদের সাথে অংশগ্রহণের অর্থ এটা নয় যে, তাদের এই বিক্ষোভ মিছিল, আন্দোলন, অবরোধ এগুলোই আমাদের কর্মপন্থা। এগুলোই আমাদের দাওয়াত। বরং তাদের সাথে অংশগ্রহণের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিপদে মাজলুমের পাশে দাঁড়ানো। তাকে সমর্থন জানানো। আমরা কখনোই এটা বলবো না যে, আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী নই, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই আমাদের লক্ষ্য। এটা তারা বলতে পারে, আমরা কখনো এতে বিশ্বাসী নই। তো বলছিলাম, তাদেরকে সমর্থন করা এক বিষয়, আর আমাদের মানহাজের উপর অটল থাকা আরেক বিষয়।
কিন্তু এর বদলে কোন মুসলিম গোষ্ঠী যদি জুলুমের বিপক্ষে প্রতিবাদ জানাতে চায়, তখন যদি আপনি তাদেরকে বাধা দিয়ে বলেন, না না এমন করবেন না! এগুলোর সঠিক পন্থা নয় বরং ধৈর্য ধরুন! ধৈর্য্য ধরুন! তাহলে কাজটা কেমন হলো!? এই পার্থক্যটা আমাদের ভালোভাবে বুঝতে হবে।
আচ্ছা, আমরা সমর্থন, অংশগ্রহণ, দিকনির্দেশনা এর ব্যাপারে কথা বলছিলাম।
“*দিক নির্দেশনা। অর্থাৎ– তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া যে, মু’মিনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো, তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা। আল্লাহর আহকাম মেনে নেওয়া। ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা।”
“১৩– মুসলিমদের কেড়ে নেওয়া অধিকার নিয়ে যারাই কথা বলবে, পক্ষে দাঁড়াবে, সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে বুদ্ধি, আলোচনা এবং যে কোন কাজ দিয়ে প্রতিহত করবে, তাদেরকে সাপোর্ট করা। যতদিন তারা মুসলিমদের পক্ষে থাকবে, তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক কোন কথা না বলা।”
আমাদের মনে রাখতে হবে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন– ‘সে সত্তার কসম! যার হাতে আমার জান, তারা (মক্কার মুশরিকরা) যদি আমাকে এমন কোন পদক্ষেপের প্রতি আহবান করে, যা দ্বারা বাইতুল্লাহর সম্মান উদ্দেশ্য, তাহলে আমি অকপটে তাদের আহ্বানে সাড়া দেবো।’
“১৪– মুসলিমদের হকসমূহ রক্ষা করা। তাদের মর্যাদা বজায় রাখা। তারা যেখানেই থাকুক না কেন।”
“১৫– মাজলুম ও নিষ্পেষিতদের সাহায্য করা। মুসলিম হোক বা অমুসলিম। আর যারাই তাদের সাহায্যে আসবে তাদেরকে সাপোর্ট করা। তারা অমুসলিম হলেও।”
(মিথ্যা অপবাদ ও ভুলত্রুটির ব্যাপারে)
“১৬– মুজাহিদদের উপর যত বানানো অপাবাদ দেওয়া হয় তার শক্তিশালী জবাব তুলে ধরা এবং সঠিক তথ্য প্রচারে সচেষ্ট হওয়া। বাস্তবেই যদি মুজাহিদদের থেকে কোন দোষ প্রকাশ পেয়ে থাকে, তাহলে প্রথমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং এই অপরাধ থেকে বেরিয়ে আসা। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা।”
অধিকাংশ ঘটনায়ই এমনটা করা হয়েছে। বিশেষত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘটনায়।
সবশেষে তিনি (শাইখ আইমান আয–যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন:–
(আহবান)
“১৭– আমাদের ভাই, আল–কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন গ্রুপের আমীর-উমারা, আমাদের সকল সমর্থক এবং আমাদের ব্যাপারে নমনীয় ব্যক্তিবর্গ সকলের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, তারা আমাদের এই দিকনির্দেশনাগুলো ছড়িয়ে দেবেন। গ্রুপের প্রধানদের মাঝে ও সদস্যদের মাঝে।
খেয়াল রাখবেন– এটা গোপন কোন দিকনির্দেশনা নয়। বরং সকলের জন্য উন্মুক্ত নির্দেশনা। একটি হিদায়াতনামা। এর দ্বারা আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, ইসলামী জিহাদের এই স্তরে– শরঈ কল্যাণ বাস্তবায়ন এবং অনিষ্টের অপনোদন। যাতে শরীয়তের কোন বিধান আমাদের দ্বারা লংঘন না হয় এবং ইসলামী শরীয়ার মূলনীতির উপর আমরা থাকতে পারি।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভালো জানেন। তিনিই হিদায়াত দানকারী।
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নেতা, মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাহাবাগণের প্রতি। আমাদের শেষ কথা এটাই যে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর; যিনি জগতসমূহের রব।”
হে আকসা! আমরা আসছি…
মূল
শাইখ কাসিম আর–রীমি রহিমাহুল্লাহ
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent
