আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশনপিডিএফ ও ওয়ার্ড

আমিরুল মু’মিনিন শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ’র পক্ষ থেকে ১৪৪২ হিজরি’র ঈদ-উল-আযহ


مؤسسة الفردوس
আল ফিরদাউস
Al Firdaws

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

في اللغة البنغالية
বাংলা ভাষায়
In the Bengali Language

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:

بيان أمير المؤمنين الشيخ هبة الله أخند زاده حفظه الله تعالی
ورعاه بمناسبة حلول عید الأضحی المبارك لعام ١٤٤٢ هـ

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের আমিরুল মু’মিনিন
শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ’র পক্ষ থেকে
১৪৪২ হিজরি’র
ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা বার্তা

Message of felicitation of the esteemed
Amir-ul-Mumineen Sheikh-ul-Hadith Mawlawi Hibatullah Akhundzada (may Allah protect him)
on the occasion of Eid-ul-Adha

 

 

للقرائة المباشرة والتحميل
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading

লিংক-১ : https://justpaste.it/Eid_ul_azha_SaikhHibatullah
লিংক-২ :  https://archive.vn/WWnLJ
লিংক-৩ : https://mediagram.me/d743f1fa8a77c9b9
লিংক-৪ : https://archive.ph/fQLLQ
লিংক-৫ : https://noteshare.id/CO8UXz3
লিংক-৬ : https://archive.ph/5ISJg
লিংক-৭ : https://web.archive.org/web/20210722…aikhHibatullah
লিংক-৮ : https://web.archive.org/web/20210722…43f1fa8a77c9b9
লিংক-৯ : https://web.archive.org/web/20210722…are.id/CO8UXz3


روابط بي دي اب
PDF (432 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৩২ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/9LxYY5m3WRNo47o
লিংক-২ : https://archive.org/download/eidul-azha-bartta-1442/Eidul%20Azha%20Bartta%201442.pdf
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/8097136c-b2dc-490f-bd1e-0ba3018b3909/3cb381b89583a6e3fff3c776cb672211de2869c5a3ab586110ead2953e5743e6
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/dhoipc12991f98af84bbb918fb0753e396784
লিংক-৫ :https://f004.backblazeb2.com/file/EidulAdha
/Eidul+Azha+Bartta+1442.pdf


روابط ورد
Word (365 KB)
ওয়ার্ড [৩৬৫ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/TygmAakyzaJHxmQ
লিংক-২ : https://archive.org/download/eidul-azha-bartta-1442/Eidul%20Azha%20Bartta%201442.docx
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/6c7d8649-1925-4931-8ec2-dc380f844237/55075d1513242165617efd310700fa2eb3378e318879c5ec7e9a31215c1bf170
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/dhoipb6fbb62157d04074b3d1002b7eab1949
লিংক-৫ :https://f004.backblazeb2.com/file/EidulAdha/Eidul+Azha+Bartta+1442.docx


روابط الغلاف-
١
book Banner [1.15 MB]

বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [১.১৫ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/ri9AXzx7ZXiyStg
লিংক-২ : https://drive.internxt.com/sh/file/19294096-9c7e-46f5-9a8f-36a484554eab/2083a06091f7d74a0f849f366aab9a3373f0b90dd99242588e39cf08e1a92783
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/dhoip12bc7f957413428aa184dfa89e414e14
লিংক-৪ : https://f004.backblazeb2.com/file/EidulAdha/Eidul+Azha+Bartta+1442+Cover.jpg
লিংক-৫ : https://archive.org/download/eidul-azha-bartta-1442/Eidul%20Azha%20Bartta%201442%20Cover.jpg


روابط الغلاف- ٢
Banner [819 KB]

ব্যানার ডাউনলোড করুন [৮১৯ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/mHaZsDySWTBX4NQ
লিংক-২ : https://drive.internxt.com/sh/file/0b854ee6-fed1-49b6-8d25-cca87e4ad678/ca18340535672d8ac06be404b928e93db441ea6f285de3cc19e8364c0a55f4c5
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/dhoipe5672acfceee44b39b14379b22cfa514
লিংক-৪ : https://archive.org/download/eidul-azha-bartta-1442/Eidul%20Azha%20Bartta%201442%20Banner.jpg
লিংক-৫ : https://f004.backblazeb2.com/file/EidulAdha/Eidul+Azha+Bartta+1442+Banner.jpg


************

 

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের আমিরুল মু’মিনিন
শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ’র পক্ষ থেকে
১৪৪২ হিজরি’র

ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা বার্তা

 

 

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
الله اكبر الله اكبر ، لااله الاالله والله اكبر ، الله اكبر ولله الحمد
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করি এবং তাঁর কাছে সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করি। তাঁর কাছে আশ্রয় কামনা করি অন্তরের যাবতীয় অনিষ্ঠতা ও মন্দ কর্মগুলো থেকে।
আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। আর তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, কেউ তাকে হেদায়েত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত ইবাদাতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। তিনি এক এবং তাঁর কোন সমকক্ষ নেই। তিনি তাঁর সৈন্যদল ও বান্দাদের সাহায্য করেছেন এবং শত্রুসেনাদেরকে পরাজিত করেছেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। শান্তি , বরকত ও রহমত বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসুল, তাঁর পরিবার ও সাহাবাগণের উপর।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন –
إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِينًا ‎﴿١﴾‏ لِّيَغْفِرَ لَكَ اللَّهُ مَا تَقَدَّمَ مِن ذَنبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ وَيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكَ وَيَهْدِيَكَ صِرَاطًا مُّسْتَقِيمًا ‎﴿٢﴾‏ وَيَنصُرَكَ اللَّهُ نَصْرًا عَزِيزًا ‎﴿٣﴾‏
“নিশ্চয় আমি আপনার জন্যে এমন একটা ফয়সালা করে দিয়েছি, যা সুস্পষ্ট। (1) যাতে আল্লাহ আপনার অতীত ও ভবিষ্যৎ ত্রুটিসমূহ মার্জনা করে দেন এবং আপনার প্রতি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন ও আপনাকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (2) এবং আপনাকে দান করেন বলিষ্ঠ সাহায্য”। (সূরা আল-ফাতহ ৪৮:১-৩)
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ ‎﴿١﴾‏ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ ‎﴿٢﴾‏ إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ ‎﴿٣﴾‏
“নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। (1) অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কুরবানি করুন। (2) যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ”। (সূরা আল-কাওসার ১০৮:১-৩)
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‎﴿١٦٢﴾‏ لَا شَرِيكَ لَهُ ۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ ‎﴿١٦٣﴾‏
“আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কুরবানি এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে। (162) তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল”। (সূরা আল-আনআম ৬:১৬২-১৬৩)
আফগানিস্তানের সাহসী মুসলিম, বীর মুজাহিদ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর প্রতি –
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের যাবতীয় কুরবানি, হজ্জ, সাদাকা, সালাত ও সৎকর্মগুলোকে কবুল করে নিন। আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামিন।
সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশী বাহিনীর দেশত্যাগ ও সৈন্য প্রত্যাহার এবং আসন্ন বিজয় ও অগ্রযাত্রা উপলক্ষে আমি আমাদের আফগানবাসী, সকল মুজাহিদ, বাস্তুচ্যুত জনসাধারণ, শহীদদের পরিবার, কারাগারে বন্দী, বিধবা ও এতিমদের পরিবারকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। স্বাধীনতা অর্জন, বিশুদ্ধ ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর জমিনে আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করার জন্য আপনারা বিগত দুই যুগে অনেক কুরবানি ও কষ্ট স্বীকার করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সকল ত্যাগ, দু:খ-কষ্ট ও বেদনাগুলো কবুল করুন। আমিন, ইয়া রাব্বাল আলামিন।
প্রিয় দেশবাসী,
আজ আমরা এমন একটি সময়ে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি, যখন আল্লাহর অপার অনুগ্রহে আমেরিকা তার ন্যাটো জোট ও সৈন্যবাহিনীকে আমাদের এ মোবারক ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে নিয়েছে এবং বাকিদেরও সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আমাদের বরকতময় এ পূণ্যভূমির বহু জেলা ও বিশাল-বিস্তৃত অঞ্চল আজ শত্রুর অনিষ্ঠতা থেকে নিরাপদ। পাশাপাশি আজকের আফগান মুজাহিদিনগণও আল্লাহর সাহায্যে অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী, সুসংগঠিত ও সুসজ্জিত।
এই মহাসাফল্য এককভাবে ইমারাতে ইসলামিয়া এবং জিহাদরত মুজাহিদিনদের নয়; বরং এ বিজয় সমগ্র আফগান জাতির এক ও অভিন্ন বিজয়। এ ভূখণ্ডকে বিদেশিদের দখল মুক্ত করতে বিগত দুই দশক ধরে চলমান জিহাদে আপনারাই আমাদের সহযোগী ছিলেন এবং প্রতিটি কষ্টের মুহূর্তে আপনারাই আমাদেরকে সঙ্গ দিয়েছেন। তাই আজকের এ বিজয় আপনাদেরও।
সামরিক সাফল্য এবং আশাতীত অগ্রগতি সত্ত্বেও ইমারাতে ইসলামিয়া রাজনৈতিকভাবে আফগানের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী। একটি পরিপূর্ণ ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং আফগানে শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবেশ নিশ্চিতকরণে যে কোন সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ইমারতে ইসলামিয়া আগ্রহী। এজন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাব, ইনশাআল্লাহ।
আমরা আলোচনার সুবিধার্থে একটা রাজনৈতিক শাখা খুলেছি এবং কিছু নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রতি আমরা আগ্রহী। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিরোধী দলগুলো এখনো সময় নষ্ট করছেন। বিরোধীদের প্রতি আমাদের বার্তা হল – আপনারা বিদেশীদের উপর নির্ভর করা বন্ধ করুন। আসুন আলোচনার মাধ্যমে নিজেরা নিজেদের সমস্যার সমাধান করি এবং বিরাজমান সংকট থেকে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করি।
বিদেশী শক্তি প্রত্যাহারের পর আমেরিকা সহ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর সাথে আমরা পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে শক্তিশালী কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, যা সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
আমরা আঞ্চলিক প্রতিবেশী এবং বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকে আশ্বস্ত করছি যে, অন্য কোনও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয় এমন কোন কাজের ক্ষেত্রে আমরা আফগানের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি কাউকে দিব না। একইভাবে আমরা অন্যান্য দেশগুলিকে আমাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোন ধরণের হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
আমরা সমস্ত বিদেশী কূটনীতিক, দূতাবাস, কনস্যুলেট, মানবাধিকার সংস্থা এবং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করছি যে, আপনারা আমাদের পক্ষ থেকে কোনও সমস্যার মুখোমুখি হবেন না। বরং আমরা আপনাদের নিরাপত্তার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। আপনাদের উপস্থিতি আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজনীয়, এ কথা আমরা অস্বীকার করছি না। তাই আপনাদের প্রতি আমাদের আহবান – আপনারা নিশ্চিন্তে আপনাদের কাজ করতে থাকুন। মুজাহিদিনের অগ্রযাত্রা ও শাসনে আপনাদের বিচলিত হবার কোন কারণ নেই।
আমরা সমস্ত অভ্যন্তরীণ দলগুলোকে জানাচ্ছি যে, আমরা কারও সাথে শত্রুতার পথ খুঁজছি না। আমাদের বাহু সবার জন্য উন্মুক্ত। আফগানিস্তান আমাদের সকলের জন্মভূমি। আপনারা যদি আমাদের একটি পরিপূর্ণ ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহবান গ্রহণ করে নেন তবে আমরাও আপনাদের সমস্ত ন্যায়সঙ্গত অধিকার এবং দাবী মেনে নিব এবং স্বদেশের পুনর্গঠনে আপনাদের সামর্থ্যগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
বিরোধী দলের সক্রিয় সৈনিক এবং বিভিন্ন নতুন সামরিক সংগঠনের প্রতি আমাদের আহবান হলো – আপনারা যুদ্ধ বন্ধ করুন। হাজার হাজার সৈন্য যারা আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন, তারা ইসলামী ইমারাতের প্রদত্ত সুযোগ সুবিধাগুলো উপভোগ করে অনন্য মর্যাদার অধিকারী হচ্ছেন। তাই আপনারাও আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতের বিপদ থেকে নিজেদের রক্ষা করুন। নিজেদেরকে আমাদের দেশের ধ্বংসের কারণ হওয়া থেকে হেফাজত করুন।
বিভিন্ন প্রদেশ ও জেলায় ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশে মুজাহিদিনদের কাছে কাবুল প্রশাসনের হাজার হাজার সৈন্যদের আত্মসমর্পণ একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। আমরা আশা করি যারা এখনো যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং আপন স্বজনদের সাথে শত্রুতায় জড়িয়ে পড়ছেন, খুব শীঘ্রয় তারা শান্তিপূর্ণ জীবনে ফিরে আসার বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং সাধারণ ক্ষমার আহবানে সাড়া দিয়ে উপকৃত হবেন। আমাদের সাথে যোগদানকারী ব্যক্তি, তার জান, মাল ও সম্মানের সর্বাত্মক নিরাপত্তা পাবেন। তাদের কারো উপর কোন প্রকার জুলুম-নিপীড়ন করা হবে না। তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ইমারাতে ইসলামিয়া তা যথাযথ পালন করবে ইনশাআল্লাহ।
যেহেতু ইমারাতে ইসলামিয়ার সাথে বিরোধী যোদ্ধাদের সংযুক্তিকরণের এই প্রক্রিয়াটি এখনো চলমান তাই আমি সকল সামরিক কমান্ডারদের নির্দেশ দিয়েছি যে, তারা যেন বিরোধী দল থেকে ইমারাতে ইসলামিয়াতে যোগ দেয়া নতুন সৈন্যদের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখেন এবং নিরাপদে তাদের বাড়িতে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যারা এখনো নতুন অভ্যুত্থানের নামে যুদ্ধের প্রতি উত্সাহি তাদেরকে অতীতের শোষণ, জুলম ও নিপীড়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
পূর্বে আপনারা কয়েক লাখ বিদেশী সৈন্য, আধুনিক যুদ্ধ বিমান ও উন্নত সমরযন্ত্র ও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েও কিছুই অর্জন করতে পারেন নি। আর এখনো একাকী কিছুই করতে পারবেন না ইনশাআল্লাহ। অতএব, আপনাদের জন্য উচিত হলো – শত্রুতার পথ পরিহার করে একটি পরিপূর্ণ ইসলামী ব্যবস্থা গঠনের প্রতি সমর্থন দেয়া ও সর্বাত্মক সহায়তা করা।
জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের সুযোগ, সুবিধা ও সংকটগুলোর বিষয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া ভালোভাবেই অবগত। তাই সংলাপের মাধ্যমে সকল বিরোধপূর্ণ বিষয়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি এবং আমদের দৃঢ় বিশ্বাস; জনগণও ইমারাতে ইসলামিয়ার এই প্রচেষ্টার প্রতি দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাবে। আলেম-উলামা এবং উপজাতীয় প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের আন্তরিক পদক্ষেপগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তাদের কার্যকর মধ্যস্থতার কারণেই বিপুল সংখ্যক বিরোধী সেনা ইতিমধ্যে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছে। আমরা এই নেতাদের তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে এবং শান্তি ও সুরক্ষা প্রতিষ্ঠায় ইমারাতে ইসলামিয়াকে সহায়তার এই পদক্ষেপ বহাল রাখার অনুরোধ করছি।
সরকার ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র গঠনে জনগণই মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। সে জন্য ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানের জনগণকে রাষ্ট্রের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখার সুযোগ প্রদান করবে, যাতে করে আমরা আমাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত জন্মভূমিকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে গড়ে তুলতে পারি এবং একটি ইসলামী শাসনব্যবস্থার অধীনে সুখ-সমৃদ্ধিতে বসবাস করতে পারি।
ইমারাতে ইসলামিয়া শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা কর্মসূচির প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়। যদি আমাদের জাতি শিক্ষাগতভাবে উন্নত হতে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই অগ্রসর হতে ব্যর্থ হব। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা ও স্বনির্ভরতার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ সচল রাখা, সকল শিক্ষা পদ্ধতির দ্বারা আমাদের শিশুদের উপযুক্ত করে গরে তোলা, বিশেষত তাদেরকে দ্বীনি ও আধুনিক বিজ্ঞানের বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করার গুরুত্ব অপরিসীম। ইমারাতে ইসলামিয়া এবিষয়টি স্বীকার করে এবং তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এই বিষয়ে মুজাহিদদের প্রতি আমাদের নির্দেশ হল – ইমারাতে ইসলামিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলিতে ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক শিক্ষার উপর বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। মাদ্রাসা, স্কুল, উচ্চ বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে কার্যকরী রাখতে হবে এবং বিষয়গুলিকে সহজতর করতে সহায়তা করা। বিজ্ঞানের শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করা, সমাজে তাদের অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা বোঝার চেষ্টা করা এবং সর্বোত্তম দক্ষতার সাথে তাদের প্রয়োজন মেটাতে চেষ্টা করা। দ্বীনি আলিমদের পাশাপাশি বিজ্ঞানের শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক এবং অন্যান্য শিক্ষিত ব্যক্তিদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়তা করা। সমাজ ও জাতির বিনির্মাণে তাদের গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করুন এবং নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের সর্বাত্মক সাহায্য করার চেষ্টা করুন।
বেসামরিক জনগণের জীবন সুরক্ষিত করতে আরো বেশি মনোনিবেশ করুন। যুদ্ধের সময় কেউ যাতে মুজাহিদিনদের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে জন্য একটি নির্ধারিত কমিশনকে ইমারাতে ইসলামিয়া দায়িত্ব দিয়েছে। ইমারাতে ইসলামিয়া সর্বদা এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেয় এবং সকল মুজাহিদিনকে বেসামরিক মানুষদের হতাহত প্রতিরোধকল্পে উক্ত কমিশনকে সহযোগিতা করা এবং বেসামরিক জনগণের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়।
ইমারাতে ইসলামিয়া ‘বেসামরিক নাগরিক হতাহত প্রতিরোধ কমিশন’ এর কাছে অভিযোগ পেশ করার একটি বিভাগ চালু রেখেছ। যে কোন নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই বিভাগে যোগাযোগ ও অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। অধিকন্তু, অভিযোগকারীর প্রতিটি অভিযোগকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে, প্রতিটি মামলার ফলোআপ করতে এবং দ্রুততম সময়ে এর সমাধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে সমাধান না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সামরিক কমিশনের সহায়তা চাওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
সীমিত সামর্থ্য সত্ত্বেও জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ইমারাতে ইসলামিয়ার দায়িত্ব। একাজের জন্য ‘স্বাস্থ্য কমিশন’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের নির্দেশ হল, সকল মুক্ত অঞ্চলে ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো সচল রাখুন, বিশেষ করে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত অঞ্চলসমূহে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসংস্থা ও এনজিও গুলোর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন এবং আফগানবাসীদের সেবা করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতি তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আলেম-উলামা ও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের উচিত হবে – জনগণের মানবিক গঠন ও চরিত্র সংশোধনের জন্য আমাদের গঠিত কমিশনকে সহযোগিতা করা। একটি জাতি কেবল তখনই মর্যাদা, শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বাদ নিতে পারে, যখন তারা আল্লাহ তায়ালার হুকুম অমান্য করা এবং তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা করা থেকে বিরত থাকে।
ইসলামী জনসাধারণকে তাকওয়ার উপর গড়ে তোলা এবং তাদের নৈতিক ও চারিত্রিক পরিশুদ্ধি গঠন করার মহান দায়িত্ব সম্মানিত আলেম ওলামাগণের উপর অর্পণ করা হয়েছে। আর তাদেরকেও তাদের এই জিম্মাদারি সর্বোত্তম উপায়ে আদায় করতে হবে। মসজিদসমূহ, ওয়াজ মাহফিল, সভা সমাবেশ ও মিডিয়া অর্থাৎ যেভাবে সম্ভব সেভাবেই মানুষের অন্তরকে আল্লাহমুখি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা প্রয়োজন। এই জাতিকে একটি সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে আজকের আলেম উলামাদের কার্যকর পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে।
ইমারাতে ইসলামিয়া সকল দেশবাসীকে তাদের অধিকার প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কারণ ইসলাম আমাদেরকে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার যথাযথ অধিকার আদায় করার আদেশ দিয়েছে। একই সাথে ইমারাতে ইসলামিয়া ইসলামী আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে মা-বোনদের শিক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করার প্রতিও বিশেষ মনোযোগ দেবে ইনশাআল্লাহ।
ইমারাতে ইসলামিয়া ‘ইসলামী শরিয়াহ’ ও ‘জাতীয় স্বার্থসীমা’র মধ্যে থেকে বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তাই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রেখেই সংবাদকর্মীদের তাদের নীতিমালা গঠন ও কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছে।
সকল পেশাদার ও দক্ষ ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, আলেম, শিক্ষক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিক্ষিত ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে যে, ইমারাতে ইসলামিয়ার বিজয় তাদের কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুখীন করবে না ইনশাআল্লাহ। আমাদের স্বদেশকে গঠনের জন্য আপনাদের কর্মদক্ষতা ও পরামর্শের প্রয়োজনীয়তা আমরা স্বীকার করি। আগামীতে ইমারাতে ইসলামিয়া তাদের যথাযথ মর্যাদা দেবে। তাই আমাদের কারোরই দেশ ত্যাগ করা উচিত হবে না। বরং সকলের উচিত একটি ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠা এবং এর মাধ্যমে আমাদের দেশটিকে পুনর্গঠনে অংশগ্রহণ করা। ইমারাতে ইসলামিয়া আবারও এবিষয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করছে।
মুজাহিদিনদের উচিত হবে – তাদের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড, সততা, জিহাদের নিয়তের শুদ্ধতার দিকে খেয়াল রাখা। সেইসাথে ঊর্ধ্বতনদের প্রতি আনুগত্য এবং মানুষের সাথে সৎ আচরণের প্রতি নিবিড় মনোযোগ দিতে হবে। সর্বদা দাম্ভিকতা ও অহংকার পরিহার করা উচিত, যাতে তারা সর্বদা আল্লাহ তায়ালার সাহায্য লাভ করে এবং তা যেন সর্বদাই অব্যাহত থাকে।
সরকারী কোষাগার রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে আমাদের সকলের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষত সদ্য প্রাপ্ত অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জামাদি, সরকারী ভবন, জাতীয় সম্পদ এবং কোষাগারের সমস্ত কিছু – জনসাধারণের সম্পদ। উপরস্থ কর্মকর্তাদের অনুমতি ব্যতিরেকে করো জন্যই তা দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া, অপচয় করা বা ব্যক্তিগতভাবে করায়ত্ব করার অধিকার নেই।
জেলা ও অন্যান্য সরকারি ভবনে শত্রুদের রেখে যাওয়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী , ব্যক্তি সনাক্তকরণের তথ্যাদি, উপজাতীয় সংক্রান্ত তত্থাবলি যথাযথভাবে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। বিরোধীদের সরিয়ে দেয়ার সময় এই নথিপত্রগুলো এবং সংরক্ষণাগারগুলি ক্ষতি থেকে রক্ষা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
দেশের আদিবাসী, এতিম, প্রতিবন্ধী, বন্দীদের পরিবার এবং অন্যান্য অভাবী মানুষের প্রয়োজন পূরণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। ইমারাতে ইসলামিয়া এই বিষয়গুলোর দেখার জন্য একটি বিশেষ কমিশন নিয়োগ করেছে। অনাথ, বিধবা পরিবার এবং অভাবীসহ অন্যান্যদের বিষয়টি যথাযথ তদন্তপূর্বক আন্তরিকভাবে সহায়তা দেওয়ার জন্য এই কমিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই বিপদজনক অর্থনৈতিক সময়ে অভাবী ও বিপদগ্রস্তদের সহায়তা করা সমগ্র জাতির দায়িত্ব। বিশেষত ঈদের এই শুভ দিনগুলিতে, আমাদের ধনী দেশবাসী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম ব্যবসায়ীদের উচিত এই লোকদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়া এবং এদিকে বিশেষ মনোযোগ দেয়া।
পরিশেষে আমি আবারও আমাদের আফগানবাসীদের প্রতি ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি তারা আশংকামুক্ত পরিবেশে ঈদের এই আনন্দময় দিনগুলি উদযাপন করবেন ইনশাআল্লাহ।

আমিরুল মু’মিনীন শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ
আমির, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান।

০৮/১২/১৪৪২ চন্দ্র হিজরি
২৭/০৪/১৪০০ সৌর হিজরি
১৮/০৭/২০২১ খ্রিস্টাব্দ

************


مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الفردوس للإنتاج الإعلامي
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন
In your dua remember your brothers of
Al Firdaws Media Foundation

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 2 =

Back to top button