অডিও ও ভিডিওউম্মাহ নেটওয়ার্কনির্বাচিতশাইখ তামিম আল আদনানী হাফিযাহুল্লাহ

Ummah network || গুনাহ ও নাফরমানি উম্মাহর বিজয়ের মূল অন্তরায় || আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে?

UMMAH NETWORK পরিবেশিত
গুনাহ ও নাফরমানি
উম্মাহর বিজয়ের মূল অন্তরায়
আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে?
ডাউনলোড করুন।
ডাউনলোড করুন, ১০৮০ ফরম্যাট ২৩১ এমবি
ডাউনলোড করুন,৭২০ ফরম্যাট ১২৪ এমবি
ডাউনলোড করুন, ৩৬০ ফরম্যাট ৩৮.১ এমবি

ডাউনলোড করুন, অডিও ফরম্যাট ১১.০ এমবি

Related Articles

One Comment

  1. আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে?
    শাইখ তামিম আল আদনানী

    اِنَّ الْحَمْدَ لِلّٰه والصَلٰوةُ عَلٰى رَسُوْلِ اللّٰه اَمّا بَعْد
    গোটা বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা আজ পরাজিত লাঞ্চিত, নির্যাতিত। আরাকান, কাশ্মীর, ফিলিস্থিন, পূর্ব তুর্কিস্থান যে দিকেই চোখ যায়, মুসলিম জনপদে আগুন জলছে, উম্মাহর সন্তানদের রক্ত ঝরছে। বাতাসে ভাসে বারুদের গন্ধ, কান পাতলেই শোনা যায় সন্তানহারা মা-বোনদের করুণ আহাজারি। প্রায় শত বছর ধরে পরাজয়ের গ্লানি সইতে সইতে মুসলিমদের মনেও দানা বেধেছে নানান সংশয় ও সন্দেহ, মনে জেগেছে নানান প্রশ্ন;
    আর কত রক্ত ঝরবে আমাদের?
    আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? (ভিডিও ০১:০০)
    উম্মাহর আকাশে কবে উদিত হবে বিজয়ের সূর্য?

    এই প্রশ্নগুলো তো তাও কোন রকম চলে। কিন্তু অনেক ভাইয়ের অবস্থা আরো খারাপ তারা প্রশ্ন করতে শুরু করেছে,
    “ইসলাম যদি সত্য ধর্ম হয়, তাহলে গোটা পৃথিবীতে মুসলিমরা এতো লাঞ্চিত ও নিপীড়িত কেন?
    এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও আল্লাহ্ মুসলিমদের সাহায্য করেন না কেন?”
    সুবহানাল্লাহ! এক শতাব্দীরও কম সময়ের সাময়িক পরাজয় কিভাবে মুসলিম উম্মাহর মনে খোদ ইসলাম সম্পর্কেও সংশয়ের জন্ম দিয়েছে।
    আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
    আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
    প্রিয় উম্মাহ! সবাই তো আমরা আল্লাহর সাহায্যের জন্য হাহাকার করছি; “আল্লাহ কেন সাহায্য করছেন না?”
    “আল্লাহ কেন সাহায্য করছেন না।” বলে হায় হুতাশ করছি। কিন্তু কখনও কি আমরা নিজেদের প্রশ্ন করেছি? আল্লাহ তাআলা সাহায্যের জন্য যেসব শর্তের কথা বলেছেন আমরা কি সেগুলো পূরণ করেছি? বিজয় লাভের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে যে পথে চলার কথা বলেছেন আমরা কি সেই পথে আছি? আমরা কি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশগুলো মেনে চলেছি? (ভিডিও ০২:০৫)
    সুবহানাল্লাহ! প্রিয় উম্মাহ! একটু ভেবে দেখুন তো! আমরা কি ইসলামের শিক্ষা থেকে বহু দূরে সরে যাই নি? আমরা কি জাতিসংঘ কেন্দ্রিক কুফুরি বিশ্ব ব্যবস্থার গোলামী মেনে নেইনি? আমরা শরীয়া বাদদিয়ে গনতান্ত্রিক কুফুরী ব্যবস্থাকে গ্রহণ করিনি?
    আমরা কি সুদি অর্থনিতি চালু করে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করিনি? আমরা কি কাফিরদের অনুসরণ করে গুনাহ্ ও নাফরমানির সাগরে ডুবে যাইনি?
    দাওয়াহ্, ইদাদ ও জিহাদের নববী মানহাজ ছেড়ে আমরা কি কুফুরী গনতন্ত্রের পথে হাটিনি?
    আল্লাহর সাহায্য আসার কোন পথটি আমরা খোলা রেখেছি?
    প্রিয় ভাই ও বোনেরা! এতো কিছুর পরও আমরা নিজেদের অপরাধের দিকে না তাকিয়ে আমরা আল্লাহর ব্যাপারে অভিযোগ করছি, তিনি কেন সাহায্য করছেন না? এমনকি খোদ ইসলামকে নিয়েও সংশয়ে নিপতিত হচ্ছি।
    সুবহানাল্লাহ! বিজয় লাভের জন্য আমরা কোন কাজটি করেছি? আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন,
    وَ لَیَنْصُرَنَّ اللّٰهُ مَنْ یَّنْصُرُهٗ ؕ
    ‘আল্লাহ নিশ্চয় তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর দ্বীনকে সাহায্য করে।’ [সুরা আল হাজ ২২:৪০] (ভিডিও ০৩:০২)
    যারা আল্লাহর দ্বীনকে সাহায্য করবে, আল্লাহর নাজিলকৃত শরীয়া বাস্তবায়ন করবে, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর ঝান্ডা বুলন্দ করবে, হারাম থেকে বিরত থাকবে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সাহায্য করার ওয়াদা করেছেন।
    আল্লাহ তাআলা বলেন,
    وَعْدَ اللّٰهِ ؕ لَا یُخْلِفُ اللّٰهُ وَعْدَهٗ

    `এটি আল্লাহর ওয়াদা! আল্লাহ তাঁর ওয়াদার খেলাফ করেন না।‘ [সূরা আর রূম ৩০:০৬]
    প্রিয় উম্মাহ! আল্লাহ আমাদের সঙ্গে ওয়াদা খেলাফ করেন নি, আমরাই আল্লাহর ওয়াদার শর্ত পূরণ করিনি বরং আমরা উল্টো পথে হেটেছি। গোনাহ ও নাফরমানির প্রান্তরে ঘোড়া ছুটিয়ে আমরাই নিজ হাতে পরাজয় ও লাঞ্চনার কাঠখড় সংগ্রহ করেছি। আমরাই নিজ হাতে নিজেদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতে আগুন লাগিয়েছি। আমাদের জেনে রাখা উচিৎ আমরা যারা আল্লাহ তাআলার হুকুম লঙ্ঘন করেছি, আমরা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে কাফের মুশরিকদের সাহায্য করেছি। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলে, ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলে ইসলামী শরীয়াহকে ছুড়ে ফেলেছি, কুফুরী সংবিধানের আনুগত্য করেছি, আমরাই উম্মাহর পতন ডেকে এনেছি। আমাদের প্রতিটি গুনাহ ও নাফরমানি (ভিডিও ০৪:০০) উম্মাহর দেহে ক্ষত সৃষ্টি করেছে। যারা যত বেশি গুনাহ করেছে, তারা ততবেশি উম্মাহর দেহকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। যারা প্রকাশ্যে কুবরা গুনাহে লিপ্ত, তারা উম্মাহর দেহে সবচেয়ে বেশি যখম করেছে।যারা সমাজে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা ছড়িয়েছে, যারা আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার তরক করেছে, তারা উম্মাহর বিজয়কে আরো দীর্ঘায়িত করেছে।
    প্রিয় ভাই ও বোনেরা! উম্মাহর এই দুঃসময়ে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ নিজেদের ইমান-আমলের দিকে মনোযোগ দেয়া। যার যার ইমান-আমলের দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে পারব, আমরা কি উম্মাহর পক্ষে কাজ করছি? নাকি উম্মাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি? সবাই নিজেকে প্রশ্ন করুন, গুনাহ ও নাফরমানিতে লিপ্ত হয়ে আমরা উম্মাহর দেহে আঘাত করছি না তো? গনতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতার মত কুফুরী মতবাদগুলো গ্রহন করে আমি দ্বীনের দুশমনদের বন্ধু বানিয়ে নেইনি তো? আল্লাহর সাহায্য বিলম্বিত হয় এমন কোন আমল করছি না তো? আমার আমল কি উম্মাহর পতনের রাত গুলোকে দীর্ঘায়িত করছে? নাকি উম্মাহর বিজয়ের সুবহে সাদিককে কাছে টেনে আনছে?
    প্রিয় উম্মাহ!
    আমাদের এই পতন, আমাদের এই পরাজয়, আমাদের এই বিপর্যয়ের জন্য আর কেউ নয় আমরাই দায়ী। রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন,
    اَوَ لَمَّاۤ اَصَابَتْكُمْ مُّصِیْبَةٌ قَدْ اَصَبْتُمْ مِّثْلَیْهَا ۙ قُلْتُمْ اَنّٰی هٰذَا ؕ قُلْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اَنْفُسِكُمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ۝۱۶۵
    ‘হা, যখন তোমাদের ওপর বিপর্যয় নেমে এলো, যার দ্বিগুন বিপর্যয় তোমরা ইতিপূর্বে তোমাদের শত্রুদের জন্য ঘটিয়েছিলে, তখন তোমরা বললে: ‘এই বিপর্যয় কোথেকে এলো?’ হে নবী, আপনি বলে দিন: এই বিপর্যয় তোমাদের কৃতকর্মের ফল। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।’ [সুরা আলি ইমরান ৩:১৬৫] (ভিডিও ০৫:৪২)
    প্রিয় ভাই ও বোনেরা! এই আয়াত আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, আত্মপর্যালোচনা ও আত্ম গুরুত্ব কত বেশি। আল্লাহ তাআলা েএখানে মুসলিমদেরকে পরাজয় ও বিপর্যয়ের কারণ দেখিয়ে দিচ্ছেন, যাতে তারা ভবিষ্যতে পরাজয় এড়াতে পারে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন সাহাবীদের বলছেন, তোমরা কি জান কেন তোমাদের উপর বিপর্যয় নেমে এসেছে? হাঁ তার কারণ হল, ওহুদের ময়দানে রাসুলের আদেশ অমান্য করা। তোমরা রাসুলের নির্দেশের বাহিরে গিয়ে নিজেদের বুঝ মত নিজেরা যেটা ভাল মনে করেছ, সেটিই করেছো। তোমাদের এই অবাধ্যতা মুসলিমদের পরাজয়ের কারণ হয়ে দাড়াল। এ সবই ঘটেছিল কেবল মুসলিম বাহিনীর ৫০ জন লোক আদেশ অমান্য করার কারণে। (ভিডিও ০৬:২০)
    প্রিয় উম্মাহ! সামান্য একটি নির্দেশ অমান্য করার কানণে যদি এই পরিনাম হয় তবে চিন্তা করে দেখুন। আমরা প্রতিনিয়ত শরীয়তের কত নির্দেশ অমান্য করে চলেছি। সুবহানাল্লাহ! তারপর আমরা আশ্চর্য হয়ে নিজেদের পরাজয়ের কারণ খুঁজছি। আর সাহায্য কেন আসছে না বলে আল্লাহর ব্যাপারে অভিযোগ করছি। কেউ যদি কেবল উহুদের এই ঘটনা নিয়ে ভাবে সে সহজেই গুনাহর ভয়াবহতা বুঝতে পারবে। এবং ব্যক্তিগত ও জাতীয় জিবনে গুনাহর পরিনতি কি তা উপলব্ধি করতে পারবে। (ভিডিও ০৬:৫২)
    প্রিয় ভাই ও বোন! আমাদের গুনাহ ও নাফরমানির ফিরিস্তি বড়ই দীর্ঘ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের উপর জিহাদকে ফরয করেছেন। আমরা জিহাদকে পরিত্যাগ করেছি। জিহাদের দায়িত্ব থেকে বাচতে খোদ জিহাদকে নিয়েই তাল-বাহানা শুরু করেছি। দাওয়াহ, তালিম, তাযকিয়াহ, জিকির ইত্যাদির মত দ্বীনের যেকোনো মেহনতকে জিহাদ আখ্যা দিয়ে আমরা জিহাদের অর্থকে বিকৃত করেছি। জিহাদের জন্য এমন কিছু মনগড়া শর্ত জুড়ে দিয়েছি, যাতে কিয়ামত পর্যন্ত আমাদের জিহাদ করতে না হয়। আমরা বলেছি, জিহাদ করতে গেলে আমির লাগে আমাদের আমির নেই, তাই আমাদের জিহাদও করতে হবে না, ভাবখানা এমন যে জিহাদের জন্য আমির আল্লাহ তাআলা আসমান থেকে পাঠাবেন। আমরা বলেছি, জিহাদ করতে শক্তি লাগে আমাদের শক্তি নেই অথচ আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য ইদাদ ফরজ করেছেন, শক্তি সঞ্চয় করা ফরজ করে দিয়েছেন, ভাবখানা এমন যে আল্লাহ তায়ালা আসমান থেকে ফেরেশতা পাঠিয়ে ইদাদ করাবেন।
    আমাদের একদল দরবারী শাইখ জিহাদের জন্য তাগুত শাষকের অনুমতি নেয়া শর্ত করে দিয়েছে। অথচ এই তাগুত শাষকরা জাতিসংঘ কেন্দ্রিক কুফুরী বিশ্বব্যবস্থার পোষা কুকুর, তাদের দায়িত্বই হল, যেকোন মূল্যে জিহাদের উত্থান ঠেকানো এবং মুজাহিদদের দমন করা। যদি তারা এই দায়িত্ব পালন না করে তবে তাদের কাফিররা লাথি মেরে ক্ষমতা থেকে বিদায় করবে। আসলে দরবারী শাইখরাও জানে, এসব তাগুত শাষকরা কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদ করবে না, ফলে তারাও জিহাদের ঝামেলা থেকে বেচে যাবে।
    আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, জিহাদ পরিত্যাগ করলে আমরা আজাবের সম্মুখিন হব;
    قُلْ اِنْ كَانَ اٰبَآؤُكُمْ وَ اَبْنَآؤُكُمْ وَ اِخْوَانُكُمْ وَ اَزْوَاجُكُمْ وَ عَشِیْرَتُكُمْ وَ اَمْوَالُ ِ۟اقْتَرَفْتُمُوْهَا وَ تِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَ مَسٰكِنُ تَرْضَوْنَهَاۤ اَحَبَّ اِلَیْكُمْ مِّنَ اللّٰهِ وَ رَسُوْلِهٖ وَ جِهَادٍ فِیْ سَبِیْلِهٖ فَتَرَبَّصُوْا حَتّٰی یَاْتِیَ اللّٰهُ بِاَمْرِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الْفٰسِقِیْنَ۠۝۲۴
    ‘আপনি বলো দিন, যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের চেয়ে এবং আল্লাহর পথে জিহাদের চেয়ে তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্রীয় লোক, ধনসম্পদ যা তোমরা উপার্জন করেছো, ব্যবসা-বানিজ্য যা তোমরা মন্দা হওয়ার আশঙ্কা করো এবং ঘরবাড়ি যা তোমরা পছন্দ করো, তাহলে অপেক্ষা করতে থাকো, যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর আজাব নিয়ে আসেন। আল্লাহ ফাসেকদের সঠিক পথ দেখান না।’ [সূরা আত-তাওবা, ৯:২৪] (ভিডিও ৯:১৫)

    সুবহানাল্লাহ! জিহাদ পরিত্যাগকারীদের আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ফাসেক বলেছেন। আর ফাসেকদের তিনি পথ দেখান না। আল্লাহ যদি পথ না দেখান, আমাদের মত জিহাদ পরিত্যাগকারী নাফরমান-ফাসিকদের আর কে পথ দেখাবে?
    প্রিয় উম্মাহ! গুনাহ্ ও নাফরমানির মত আর কোন কিছুই উম্মাহর ভবিষ্যতকে এতটা ধ্বংস করে না, উম্মাহর প্রত্যাসাগুলোকে এতটা হতাসায় পরিনত করে না। আয়াতের শেষে আল্লাহ তাআলা বলেন,
    ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ۝۱۶۵
    নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।’ [সুরা আলি ইমরান ৩:১৬৫]
    এখানে আল্লাহ তাআলা নিজের সক্ষমতার কথা বলেন। হাঁ, আল্লাহ তাআলা সবকিছু করতে সক্ষম, মুসলিমদের শত্রুদের ধ্বংস করতেও সক্ষম কিন্তু আল্লাহর সুন্নাহ্ ও নীতি হল তিনি মুমিনদের হাত দ্বারাই এই কাজটি করে থাকেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
    قَاتِلُوْهُمْ یُعَذِّبْهُمُ اللّٰهُ بِاَیْدِیْكُمْ وَ یُخْزِهِمْ وَ یَنْصُرْكُمْ عَلَیْهِمْ وَ یَشْفِ صُدُوْرَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِیْنَۙ۝۱۴
    ‘কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করো; যাতে আল্লাহ তাআলা তোমাদের হাত দিয়ে তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন, তাদেরকে লাঞ্চিত করতে পারেন, তোমাদেরকে তাদের ওপর বিজয়ী করতে পারেন এবং মুমিনদের বুক শান্ত করতে পারেন।’ [সূরা তাওবা ৯:১৪] (ভিডিও ১০:২০)
    আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলছেন, আমরা ইমানের দাবী গুলো পূরন করতে পারি, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’র পথে অগ্রসর হতে পারি তবে তিনি আমাদের কাফিরদের বিরুদ্ধে শক্তি ও সাহস দান করবেন। আমাদের হাতে তাদেরকে শাস্তি দিবেন এবং তাদেরকে লাঞ্চিত করবেন। কিন্তু আমরা জিহাদের পথে বের হতে রাজি নই, সবর ও কুরবানী করতে রাজি নই, বরং আমরা ঘরে বসেই আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকি আর দোয়া করি আল্লাহ তোমার সাহায্য পাঠাও। তোমার কুদরতি হাতে ইহুদিদের শাস্তি দাও, মুশরিকদের শাস্তি দাও, বায়তুল মাক্বদিসের হেফাজত কর। আল্লাহ তাআলা বলছেন, আমাদের হাতে শাস্তি দিবেন আর আমরা বলছি, আল্লাহ তুমি নিজ হাতে শাস্তি দাও, আমরা ঘরে বসে থাকলাম। এ যেন হুবহু বনি ইজরাইলদের নাফরমানদের কথা
    فَاذْهَبْ اَنْتَ وَ رَبُّكَ فَقَاتِلَاۤ اِنَّا هٰهُنَا قٰعِدُوْنَ۝۲۴
    ‘হে মুসা! তুমি ও তোমার রব যাও, দুশমনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো; আমরা এখানে বসে থাকলাম।’ [সুরা মায়িদা, ৫:২৪] (ভিডিও ১১:১৫)
    প্রিয় উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার সুন্নাহর, তার নীতির অন্যথা করবেন না। আমরা কিভাবে এমন বিজয়ের প্রত্যাশা করতে পারি, যেটি মোজেজার মত আসমান থেকে দলে দলে ফেরেশতা নামবে আর কাফিরদের পরাজিত করে আমাদের হাতে বিজয় তুলে দিবে, এমন মোজেযা তো কিছুতেই ঘটবে না। আমরা তো উম্মাহর বিজয়ের জন্য, উম্মাহর মুক্তির জন্য সবর, নজরানা ও কুরবানী পেশ করতে পারিনি, আল্লাহর পথে জিহাদে বের হতে পারিনি। আমরা কিভাবে বিজয়ের আশা করতে পারি, আমরা কিভাবে আল্লাহর সাহায্যের আশা করতে পারি। আফগানিরা সবর, কুরবানি ও নজরানা পেশ করেছে, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কঠিন পথে হেটেছে।
    আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কি তাদের বিজয় দেন নি?
    তাদেরকে গোটা বিশ্বের সামনে সম্মানিত করেন নি?
    তাদের হাতে কাফিরদের লাঞ্চিত করেন নি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × three =

Back to top button