আন নাফির বুলেটিন – ৩৩ || ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য কে প্রস্তুত আছে? কেননা সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিয়েছে!

ক্রুসেডার ফ্রান্স তার কুচক্রী ও বিদ্বেষী নেতৃত্ব ম্যাক্রনের কারণে ইসলাম ধর্মের সাথে তার শত্রুতা অব্যাহত রেখেছে। এমনকি করোনা মহামারীর মহা–দুর্যোগে বিপাকে পড়া সত্ত্বেও ইসলাম ধর্মের সাথে তার শত্রুতার পরিমাণ কমেনি, বরং তার শাসিত অঞ্চলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে শত্রুতার উৎসগুলোকে আরো জোরদার করেছে। ফ্রান্সের নিকৃষ্ট লোকেরা ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে বিদ্রূপ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তারা নতুন করে এটা প্রমাণ করেছে যে, তাদের মূল শত্রু – ইসলাম ধর্ম। ইসলামের বিরুদ্ধে তারা সৈন্য দিয়ে যুদ্ধ করছে। তাদের বিমানগুলোর মাধ্যমে আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, মালি ও অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে বোমাবর্ষণ করছে। আর নিজেদের দেশে ইসলামের সম্মানিত প্রতীকগুলোর সাথে যথাসাধ্য যুদ্ধ করছে। তারা আযান, অশ্লীলতা মুক্ত থাকা, পর্দা ও ইসলামের দায়ী’দেরকে তাদের যুদ্ধের টার্গেট বানিয়েছে।

ক্রুসেডারদের এই সকল হামলার প্রতিরোধে মুসলিম যুবকদের দায়িত্ব হল – নিজেদের ছুরি–চাপাতিগুলো তীক্ষ্ণ–ধারালো করে ও বিস্ফোরক প্রস্তুত রেখে তাদের ক্ষুদ্র জীবনকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান রক্ষার্থে বিলিয়ে দিবে। যুবকদের এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে চেচনিয়ান যুবক (আল্লাহ তাকে কবুল করুন) (রসূলের কটুক্তিকারী কুলাঙ্গার শিক্ষককে জবাই করে) জালিলুল কদর সাহাবি মুহাম্মাদ বিন মাসলামার ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করেছেন। একদা কোন এক মজলিসে যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন,

مَنْ لِكَعْبِ بْنِ الْأَشْرَفِ فَإِنَّهُ قَدْ آذَى اللهَ وَرَسُوْلَهُ فَقَامَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَقَالَ أنا يَا رَسُوْلَ اللهِ

অর্থ: কা’ব ইব্‌নু আশরাফের হত্যা করার জন্য কে প্রস্তুত আছ? কেননা সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিয়েছে। মুহাম্মাদ ইব্‌নু মাসলামা (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) দাঁড়ালেন, এবং বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি প্রস্তুত। (আবু দাউদ–হাদিস নং–২৭৬৮, সহিহ)

মুহাম্মাদ বিন মাসলামা আল্লাহর রাসূলের কথার উত্তরে বীরত্বের সাথে সাড়া দিয়ে বলেছিলেন “হে আল্লাহর রাসূল! আমি প্রস্তুত”।

হে ইউরোপ ও ফ্রান্সের মুসলিম ভাইয়েরা –

বর্তমানে আপনাদের সামনে জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত। আর এতে সন্তুষ্টচিত্তে জান উৎসর্গকারী সত্যিকারের প্রেমিকরাই প্রবেশ করবে। সুতরাং আপনারা জেগে উঠুন! কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। সচ্ছল–অসচ্ছল, যুবক–বৃদ্ধ, দল বেঁধে–একাকী যেভাবে সম্ভব বের হয়ে ব্যঙ্গকারী কাফেরদের বিরুদ্ধে আপনারা অপারেশন পরিচালনা করুন। এমন কিছু করুন যাতে আপনাদের উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। যেন আপনাদের প্রতি আল্লাহর সাহায্য আসে।

এমন আগুন প্রজ্বলিত করুন যা স্তিমিত ও নির্বাপিত হবেনা, এমন যুদ্ধ শুরু করুন যা বন্ধ হবেনা। সুতরাং কথা কম হবে এবং কাজ হবে বেশি। যে যার সাধ্য মত তাদের অপকর্ম প্রচার করুন ও প্রতিরোধ করুন। শক্তিশালী বয়কটের অভিযান মজবুত করুন। মনে রাখবেন, ব্যঙ্গকারী এই সমস্ত নিকৃষ্ট লোকদের সমর্থন দিয়ে ক্রুসেডার ফ্রান্স নিজেই নিজেকে – আল্লাহর রাসূলের সম্মান রক্ষাকারী প্রেমিকদের টার্গেট বানিয়েছে।

পশ্চিমা ক্রুসেডার ও বিশ্বাসঘাতক মুরতাদ শাসকরা ইতিপূর্বে ‘শার্লি হেবদো’ পত্রিকার নিহতদের কফিনে সমবেদনা জানিয়ে, তাদের নিকৃষ্ট পদ্ধতিতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঠাট্টা–বিদ্রূপের উপর একমত প্রকাশ করেছে। সেই হামলায় নিহতরা – নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মানে আঘাত করার কারণে – জান উৎসর্গকারী দুই মুসলিম যুবক –শরিফ ও সাঈদ কাওয়াশী রহিমাহুমাল্লাহ এর হাতে তাদের পাওনা বুঝে পেয়েছে। তারা প্রমাণ করেছে, নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান রক্ষার জন্য আল্লাহ তা’আলার পর মুসলিম জাতি সদা প্রস্তুত।

মুসলিম উম্মাহ’র সকলকে আমরা ফ্রান্সের পণ্য বর্জন করা ও অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই বরকতময় অভিযানে শামিল হওয়ার আহবান করছি। উম্মাহর সকল উলামায়ে কেরাম, চিন্তাবিদ, নেতৃবর্গ, ব্যবসায়ী ও সকলকে – ক্রুসেডার ফ্রান্সের এই জঘন্য অপরাধের বিষয়টি ব্যাপক প্রচারণা চালানোর আহবান জানাচ্ছি। সেই সাথে সকলকে আহবান জানাচ্ছি – তারা যেন শুধুমাত্র এই ধরণের পদক্ষেপ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ না থাকে।

বরকতময় প্যারিস অভিযানঃ:-

আমরা তানযিম আল–কায়দা জাযিরাতুল আরব শাখার পক্ষ থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই অপারেশনের পরিকল্পনা করেছি। আমরা উম্মাহর কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, এই ধরনের পদক্ষেপ, পরিকল্পনা ও কার্যক্রম তানযিমের নেতৃত্ব দানকারীরা পরিচালনা করে থাকেন আল্লাহর আদেশ পালনার্থে ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান রক্ষার লক্ষ্যে। অতঃপর আমাদের সকলের আমির মুহতারাম শাইখ আইমান আয–যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহুর আদেশ পালনার্থে ও শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহর অসিয়ত বাস্তবায়নের জন্য। শাইখ আনওয়ার আল–আওলাকি সমগ্র জীবন জুড়ে অপারেশন কমান্ডারদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি তার জীবদ্দশায় ও শহীদ হওয়ার পরেও পশ্চিমা বিশ্বকে আতঙ্কিত করে রেখেছেন।

এই বরকতময় অপারেশন বাস্তবায়ন করেছেন শরিফ ও সাঈদ নামক দুই মুসলিম যুবক ভাই, রহিমাহুল্লাহু তা’আলা।