প্রবন্ধ-নিবন্ধ

আল-কায়েদা কি আমেরিকার সৃষ্টি?

#‎প্রশ্নআল-ক্বা’ইদা কি অ্যামেরিকার তৈরি? বিন লাদেন কি অ্যামেরিকার তৈরি? অনেকে বলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য অ্যামেরিকা আল ক্বা’ইদাকে তৈরি করে? এ কথা কি সত্য?

‪#‎উত্তরবস্তুত যারা আল-ক্বা’ইদা এবং শায়খ উসামা বিন লাদেনকে রাহিমাহুল্লাহকে অ্যামেরিকার এজেন্ট বলে মনে করে তারা ৫ শ্রেনীতে বিভক্ত।
.
এরাই সর্বাধিক ষড়যন্ত্র তত্ব প্রচার করে থাকে। এদের বিভিন্ন মিডিয়া যেমন রেডিও তেহরান, প্রেস টিভি ইত্যাদির মাধ্যমে এসব তত্ত্ব প্রচার করা হয়।
.
২) বাম চিন্তাধারায় অনুপ্রানিত বুদ্ধিজীবিরা। আমাদের দেশীয় বাম চিন্তাধারার অধিকাংশ বুদ্ধিজীবি পশ্চিমা ও পশ্চিম বঙ্গের বাম বুদ্ধিজীবিদের চিন্তাগুলোই দাড়ি-কমা সব অনুবাদ করে নিজেরা মস্তিষ্ক ও মননে ধারন করেন।
.
৩) রাশিয়ান মিডিয়া। RT নিউয এর মতো রাশিয়ান মিডিয়াগুলো এবং রাশিয়ার শাসক শ্রেণী মুজাহিদিনকে অ্যামেরিকার এজেন্ট বলে দাবি করে, এবং প্রচার করে অ্যামেরিকার সাথে তাদের নিজেদের যে মিডিয়া যুদ্ধ, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ তার অংশ হিসেবে
.
৪) বাংলাদেশী রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন ভূইফোড় ধর্মীয় সংগঠনগূলো যারা সত্যমিথ্যা যাচাই না করেই একথা বলে বেড়ায় কারন এটা বললে তাদের নিজেদের কাপুরুষতাকে আড়াল করা সহজ হয়। দুনিয়াতে যে আসলে জিহাদ হচ্ছে এ সত্য লুকিয়ে রাখা সহজ হয়।
.
৫) সাধারণ মানুষ যারা উপরের চার শ্রেণীর প্রচারনা থেকে বিভ্রান্ত হয়।
.
প্রথমত পাঠকের যা জানা উচিৎ তা হল শায়খ উসামা বিন লাদিন রাহিমাহুল্লাহ আমাদের বাংলাদেশীদের কাছে অপরিচিত ব্যক্তি হতে পারেন, কিন্তু আরবদের কাছে তিনি কোন অপরিচিত ব্যাক্তি ছিলেন না। আল-ক্বা’ইদা ঘটনের আগেই তিনি সম্পূর্ণ আরব জুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তার জনপ্রিয়তার পেছনে ছিল দুটি কারন।
.
১) তার পিতৃপরিচয়। শায়খ উসামার পিতা মুহাম্মাদ বিন আওদাহ বিন লাদিন ছিলেন একজন ইয়েমেনী যিনি হিজাযে (যাকে সাউদী আরব বলা হয়) এসে একজন দিনমজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৩০ সালে শুরু করেন নিজের কোম্পানি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একসময় তিনি পরিণত আরবের সবচেয়ে বড় বিযনেস টাইকুনে। আরবের সবচেয়ে বড় কনশট্রাকশান কোম্পানী ছিল তার। এবং সাউদী আরবে তেল পাবার আগে মুহাম্মাদ বিন লাদেনের সম্পদের পরিমান ছিল সাউদী রাজ পরিবারের চেয়েও বেশি।
.
মুহাম্মাদ বিন লাদেনের সোভাগ্য হয়েছিল মাসজিদুল হারাম (কা’বা শরীফ), মাসজিদ আন-নাওয়াউয়ী, এবং বাইতিল মাকদিসে আল-আক্বসা – এ তিন পবিত্র স্থানের তিন পবিত্র মাসজিদের সংস্কার ও নির্মান কাজে অংশ গ্রহনের। এর মাঝে মাসজিদ আল হারামের সংস্কারের সময়, সাউদী রাজবংশের কাছে পর্যাপ্ত পরিমান টাকা না থাকায় মুহাম্মাদ বিন লাদেন নিজ খরচে কাজ চালিয়ে যান।

কাজের সুবাদে প্রায়ই মুহাম্মাদ বিন লাদেন একইদিনে মক্কা-মদীনা ও জেরুসালেমের পবিত্র মাসজিদে নামায আদায় করতেন। এবং মাঝেমধ্যে এসময় তার সাথে সঙ্গী হিসেবে থাকত তার প্রিয় ছেলে উসামা। মুহাম্মাদ বিন লাদেন ছিলেন বাদশাহ ফায়সালের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ও অন্তরঙ্গ বন্ধু। এবং মুহাম্মাদ বিন লাদেন মারা যাবার পর বাদশাহ ফায়সাল প্রকাশ্যে আক্ষেপ করেছিলেন।
.
আরব জুড়ে বিন লাদেন কোম্পানী বানানো রাস্তা-প্রাসাদ, অট্টালিকা, স্কাইস্ক্রেপার, এয়ারপোর্ট, পাওয়ার প্ল্যান্ট, হাসপাতাল ইত্যাদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বিন লাদেন কোম্পানী এবং তাদের অন্যান্য অঙ্গপ্রতিষ্ঠানেবার্ষিক আয় কমের দিকে ১০ বিলিয়ন ডলারের মতো। শায়খ উসামা বিন লাদেন এ পরিবারের সন্তান।

সাউদী রাজ পরিবার আরবে সকল সম্ভ্রান্ত পরিবার, ব্যবসায়ী এবং উলামা ছোটকাল থেকেই শায়খ উসামা বিন লাদেনকে চেনেন। শায়খ উসামার সুযোগ ছিল এ ব্যবসায়িক রাজত্বের দায়িত্ব নিয়ে রাজার মটো জীবন যাপন করার। যদি তিনি টাকার পেছনেই ছুটতেন তাহলে অ্যামেরিকার কাছে যাবার কোন প্রয়োজন তার ছিল না। বরং উল্টো এফবিআই ও সিআইএকে কিনে ফেলার মতো টাকা তার কাছে ছিল।
.
২) মুজাহিদ হিসেব পরিচিতি- শায়খ উসামা যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আফগান জিহাদে শামিল হন তখনো তার বয়স তিরিশ ছোয়নি। প্রথম দিকে শায়খের ভূমিকা ছিল মুজাহিদিনের জন্য অর্থ সংগ্রহের। শায়খ নিজে মিলিয়ন মিলিয়ন রিয়াল জিহাদের জন্য দান করার পাশাপাশি আরব ঘুরে ঘুরে সম্ভ্রান্ত পরিবার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুজাহিদিনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন। পরবর্তীতে আফগানিস্তানের যুদ্ধের ময়দানেও তিনি বীরত্বের পরিচয় দেন।

শুধুমাত্র আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য তিনি ধন-সম্পদ আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে আফগানিস্তানের পাহাড়ে-পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। আর এ আত্বত্যাগের মাধ্যমেই আরবের ঘরে ঘরে তিনি একজন বীর মুজাহিদ হিসেব পরিচিতি লাভ করেন। প্রকৃত পক্ষে তার পরিবার, সম্পদ, তার আত্বত্যাগ, তার বীরত্ব, তার চেহরা, তার চলন, তার ব্যবহার সব কিছু মিলিয়ে শায়খকে অতীত যুগের কোন রাজপুত্র মনে হওয়াই স্বাভাবিক যিনি দ্বীনের জন্য দুনিয়াকে ক্বুরবানী করেছেন।
.
শায়খ উসামা একজন মুজাহিদ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন আরব শায়খদের কাছে। এমনকি যখন তিনি অনেক বিষয়ে অনেকে তার সাথে মতপার্থক্য করেছে তখনো কেউ তার ব্যাপারে এ কথা বলেননি যে তিনি এজেন্ট বা অজ্ঞাত পরিচয় কোন চর।

দেখুনঃ
শায়খ উসামার ব্যাপারে শায়খ ইবন জিব্রীন – https://www.youtube.com/watch?v=B88YOpRa6J4
শায়খ উসামার ব্যাপারে শায়খ উসাইমীন – https://www.youtube.com/watch?v=ZQwINRHERZs
এছাড়া শায়খ হামুদ বিন উক্বলা আশ-শুয়া’আইবি তার সূরা তাওবাহর তাফসীর লেখার অনুরোধ করেন শায়খ উসামাকে। এমনকি আরব সাংবাদিকদের অনেকেও শায়খ উসামাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন। প্রকৃত পক্ষে শায়খ উসামা যে এজেন্ট হতে পারে এরকম কথা আরবের মানুষদের কাছে হাস্যকর, কারন তারা জানে এ মহান ব্যক্তি কে। দেখুন সাংবাদিক আব্দুল বারি আতওয়ানের বক্তব্য – https://www.youtube.com/watch?v=WQb2yKe2yhQ
শায়খ উসামা পরিচিত ছিলেন পাকিস্তানের উলামাগণের কাছে। মাওলানা মাসউদ আযহার, হাফিয সাইদ, মুফতি নিযামুদ্দীন শামযায়ীসহ আফগানিস্তানের ও পাকিস্তানের অনেক প্রসিদ্ধ আলেম ও নেতার কাছে শায়খ উসামা পরিচিত ছিলেন। যখন শায়খ উসামা সুদানে ছিলেন তিনি সুদানের উন্নয়নের জন্য খরচ করেছিলেন ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
.
শায়খ উসামাকে এজেন্ট বলার অর্থ হল আরবের সকল উলামা, সকল সম্ভ্রান্ত পরিবার, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের উলামা, আরবের সাংবাদিক সবাই একসাথে মিথ্যা বলছে।
.
.
খোদ অ্যামেরিকানদের বক্তব্য থেকেও জানা যায় যদিও রাশিয়ার বিরুদ্ধে জিহাদ চলাকালীন সময় অনেক দল পাকিস্তানের আইএসআই এর মাধ্যমে অ্যামেরিকার কাছ থেকে সাহায্য গ্রহন করতো, কিন্তু শায়খ উসামা এবং তার সাথে থাকা অন্যান্য আরব মুজাহিদরা কখনই তা গ্রহন করতেন না। দেখুন,সিআইএর বিন লাদেন ইউনিটের প্রধানের বক্তব্য –
Conversations With History – https://www.youtube.com/watch?v=ImWX5vJYbk0
Who was Osama bin Laden – https://www.youtube.com/watch?v=xoxcB2s3ABg
Bin Laden died a success – https://www.youtube.com/watch?v=1JnNP_IWzSc
.
পাশাপাশি আপনার যদি আল ক্বা’ইদার অন্যান্য নেতা ও সদস্যদের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন সেখানে আছেন আরব বিশ্বের অত্যান্ত সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আসা সন্তানেরা। যাদের মধ্যে অনেকেই আল-ক্বাইদাতে যোগ দেয়ার আগেই তাদের কার্যকলাপের জন্য বিশ্বজুড়ে নন্দিত/নিন্দিত ছিলেন। যেমন শায়খ আইমান আল-যাওয়াহিরি। আল-ক্বাইদাতে এমন অনেকেই পরবর্তীতে যোগ দিয়েছেন যারা ৬০, ৭০ এর দশক থেকে দীর্ঘদিন তাদের নিজস্ব দেশে জিহাদি কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। অনেকে ছিলেন সামরিক বাহীনির সদস্য, অনেকে ছিলেন সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী – যাদের অভাব ছিল না, অর্থের, সম্মানের কিংবা খ্যাতির।

বর্তমানে আল-ক্বাইদা যেসব জায়গায় কাজ করছে সব জায়গায় যে তারা আরবদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে এমন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা ঐ অঞ্চলের যোগ্য লোকদের তাদের সাথে নিচ্ছেন। যেমন সিরিয়াতে আল-ক্বাইদার সাথে পাশপাশি কাজ করছে মাসজিদ হারামের ইমাম শায়খ মুহাইসিনির ছেলে আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনি।

পাকিস্তানে আল-ক্বাইদার হয়ে কাজ করেছেন উস্তাদ আহমেদ ফারুক যার পিতা পাকিস্তানের একজন প্রসিদ্ধ ইউনিভার্সিটি শিক্ষক এবং আর মা পাকিস্তানে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। একইভাবে শায়খ আনওয়ার আল আওলাকীর বাবা ছিলেন ইয়েমেনের কৃষিমন্ত্রী। এরা সবাই এক সাথে অ্যামেরিকার এজেন্ট হয়ে গেল? আর এমনো না যে তারা নিম্ন পর্যায়ের নেতা ছিলেন। বরং উচু পর্যায়ের নেতাই তারা ছিলেন।
.
এটা কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য যে বিশ্বজুড়ে উম্মাহর সম্ভ্রান্ত বংশীয়, উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষগুলো অ্যামেরিকার এজেন্ট হয়ে যাছে, তাও কি রকম এজেন্ট যে এজেন্ট হয়ে তারা না পাচ্ছে টাকা, না পাচ্ছে আরাম-আয়েশ। পাহাড়ে, মরুভুমিতে, বনে-জঙ্গলে ড্রোন আর গুলির শব্দ শুনে, রক্ত আর আগুন মাখা এক জীবন তার কাটাচ্ছে? এটা এরা কি ধরনের এজেন্ট হল? কোন মূর্খও তো এমন সওদা করে না।

যদি তারা এজেন্ট হতে চাইতেন তাহলে কেন সরকারি আমলা হলেন না, কিংবা অ্যামেরিকাতে গিয়ে বিদেশী দিগ্রি নিয়ে জাতিসঙ্ঘ, আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, কিংবা অ্যামেরিকা অথবা ইউরোপীয় সরকারদের কোন চাকরি নিলেন না? সেতাই কি এজেন্ট হবার সহজ রাস্তা না? যদি ধন-সম্পদ, প্রচার-প্রসার, আরাম-আয়েশ লক্ষ্য হয়ে থাকে তাহলে কি এরকম কিছু করাই বুদ্ধিমানের কাজ না? যোগ্যতা তো তাদের ছিল? তাহলে কেন তারা তা না করে, এ জীবন বেছে নিলেন? সত্যি কি “এরা অ্যামেরিকার এজেন্ট” এ কথা বলে নিজেকে বুঝ দেওয়া সম্ভব?
.
হ্যা, প্রশ্ন উঠতে পারে কেন তাহলে এরকম বলা হচ্ছে। এর উত্তর হল, দেখুন কারা আসলে এ অভিযোগগুলো করছে। দেখুন তাদের মধ্যে কেউ কখনো আদৌ জিহাদের ময়দানে ছিল কি না। বিশ্বব্যাপী জিহাদ চলছে, কুফফার ও তাগুতের বিরুদ্ধে একদল মুসলিম লড়াই করে যাচ্ছে।

শারীয়াহ কায়েমের জন্য নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহর বিজয়ের জন্য, ফিলিস্তীন, কাশ্মীর, আরাকানসহ সকল মুসলিম ভুমিকে মুক্ত করার জন্য, উম্মাহকে সম্মানিত করার জন্য একদল মুজাহিদ কাজ করে যাচ্ছেন, এবং তাদের হাতে আল্লাহর ইচ্ছায় দু-দুটো সুপারপাওয়ারের পতন হয়েছে – এ সত্যগুলোকে স্বীকার করে নিলে ঐসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের লাভ না ক্ষতি, যারা ধর্মকে শুধু খানকাহ আর মাসজিদ-মাদ্রাসা বানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চায় – যারা ইসলামকে শুধু ব্যক্তিজীবনে আবদ্ধ রাখতে চায় – যারা মুসলিম বিশ্বের এসব দুর্নীতিবাজ শাসকদের টিকিয়ে রাখতে চায় – যারা চায় যেভাবে চলছে চলুক, জীবনটা এভাবেই সৃষ্টির দাসত্ব পার হয়ে যাক?
.
পৃথিবীতে যে আসলে জিহাদ চলছে এ কথা স্বীকার করে নিলে মিডিয়ার কি লাভ না কি ক্ষতি? পৃথিবীতে যে আসলে জিহাদ চলছে এ কথা স্বীকার করে আমাদের জাতীয়তাবাদ আর পতাকার রঙ্গ বেঁচে খাওয়া রাজনীতিবিদদের কি লাভ না কি ক্ষতি? পৃথীবিতে জিহাদ চলছে এ কতাহ স্বীকার করে নিলে কুফফার ক্রুসেডার আর যায়নবাদীদের কি লাভ না কি ক্ষতি?

পৃথিবীতে জিহাদ চলছে এ কথা মেনে নিলে উম্মাহর শত্রুদের লাভ না কি ক্ষতি? তাই এতে কি অবাক হবার কিছু আছে যে জিহাদ যাদের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াবে তারা জিহাদের ব্যাপারে সংশয় সৃষ্টি করছে? মুজাহিদদের বিরুদ্ধে মানুষ বিভ্রান্ত করছে? বরং যদি এর অন্যথা হত তাহলেই তো সেটা বিস্ময়কর হতো।
.
সুতরাং আমাদের উচিৎ শারীয়াহর আলোকে মুজাহিদিনকে বিচার করা ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নিরিখে না। পাশাপাশি আমাদের দেখা উচিৎ ক্বুর’আনে বিশ্বাসীদের যেসকল বৈশিষ্ট্য বর্নিত আছে সেগুলো পৃথিবিতে কোন দলের মাঝে আজ বিদ্যামান। হাদিসে যে সাহায্যপ্রাপ্ত দল বা ত্বাইফাতুল মানসুরার কথা বর্ণিত হয়েছে সে ত্বইফা নিশ্চিত ভাবেই আজ পৃথিবিতে বিদ্যমান আছে, সে ত্বইফার বৈশিষ্ট্যগুলো কাদের মাঝে বিদ্যমান।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সিরাতুল মুস্তাক্বিমে চালিত রাখুন এবং হক্ব দলের সন্ধান দিন, এবং তাদের সাথে যোগ দেয়ার তাউফীক দান করুন। আমীন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =

Back to top button