ইলম ও আত্মশুদ্ধিউসামা মিডিয়াপ্রবন্ধ-নিবন্ধবই ও রিসালাহ

প্রবন্ধ সিরিজ || সে কুরআনের নূর গ্রহণ করেছে – ১ – শাইখুল মুজাহিদ বিলাল খরিসাত (আবু খাদীজাহ উরদুনী) হাফিজাহুল্লাহ

প্রবন্ধ সিরিজ || সে কুরআনের নূর গ্রহণ করেছে -১

তাওহীদ ও জিহাদ

-শাইখুল মুজাহিদ বিলাল খরিসাত (আবু খাদীজাহ্ উরদুনী) হাফিজাহুল্লাহ

 

 

মাওলানা ইসমাইল সিরাজ অনূদিত

 

ডাউনলোড করুন

pdf

https://archive.org/details/QuranerNurGrohonKoreche

http://www.mediafire.com/file/gc1bd5lvus62743/QuranerNurGrohonKoreche.pdf/file

 

word

https://archive.org/details/QuranerNurGrohonKoreche

http://www.mediafire.com/file/vmtganuf4bvbtg9/QuranerNurGrohonKoreche.doc/file

 

PDF
—-
http://www.mediafire.com/file/1q1wmccr4fzbmcl/130._QuranerNurGrohonKoreche.pdf/file

https://archive.org/download/u_m_a_5/130.%20QuranerNurGrohonKoreche.pdf

Word
—–
http://www.mediafire.com/file/3iqtfahm0f5brf5/130._QuranerNurGrohonKoreche.doc/file

https://archive.org/download/u_m_a_5/130.%20QuranerNurGrohonKoreche.doc

===================

 

প্রবন্ধ সিরিজ || সে কুরআনের নূর গ্রহণ করেছে -১

তাওহীদ ও জিহাদ

-শাইখুল মুজাহিদ বিলাল খরিসাত (আবু খাদীজাহ্ উরদুনী) হাফিজাহুল্লাহ

মাওলানা ইসমাইল সিরাজ অনূদিত

 

সকল প্রকার প্রশংসা আল্লাহর জন্য যেমন প্রশংসা করতে তিনি আদেশ করেছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মানবতার প্রতি অনুকম্পা হিসেবে প্রেরিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর। এবং শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবাগণের প্রতি আর যারা তাঁর আদর্শের উপর চলছেন। অতঃপরঃ

হক্ব তাবারাকা ওয়া তা’আলা বলেন,

وَ جَآءَ مِنْ اَقْصَا الْمَدِیۡنَۃِ رَجُلٌ یَّسْعٰی۫ قَالَ یٰقَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِیۡنَ ﴿ۙ۲۰﴾

 

অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে একব্যক্তি দৌড়ে এল। সে বলল, হে আমার জাতি! তোমরা রাসূলগণের অনুসরণ কর। (সূরা ইয়াসিন-২০)

وَجَآءَ رَجُلٌ مِّنْ اَقْصَا الْمَدِیۡنَۃِ یَسْعٰی۫ قَالَ یٰمُوۡسٰۤی اِنَّ الْمَلَاَ یَاۡتَمِرُوۡنَ بِکَ لِیَقْتُلُوۡکَ فَاخْرُجْ اِنِّیۡ لَکَ مِنَ النّٰصِحِیۡنَ ﴿۲۰﴾

 

এসময় শহরের প্রান্ত থেকে একব্যক্তি ছুটে এসে বলল, হে মূসা! রাজ্যের পরিষদবর্গ তোমাকে হত্যা করার পরামর্শ করছে। অতএব, তুমি বের হয়ে যাও। নিশ্চয় আমি তোমার একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। (সূরা ক্বাসাস-২০)

প্রথম আয়াতেঃ اَقْصَا الْمَدِیۡنَۃِ দ্বারা শহরের প্রান্ত থেকে ছুটে আসার উপর গুরুত্বারোপ করেছে। অর্থাৎ কেমনভাবে আসছে, দ্রুত নাকি আস্তে আস্তে। তাই আয়াতে رَجُلٌ یَّسْعٰی শব্দটি উল্লেখ করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, নগরীর দূরবর্তী কোন এক প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এল।

পক্ষান্তরে দ্বিতীয় বাক্যেঃ দুইটি বিষয়ের সম্ভাবনা রয়েছে-

এক. শহরের প্রান্ত থেকে ‘আসা’টাও বাস্তবিক হতে পারে।

দুই. তিনি সেই ঘটনাস্থলেই বসবাস করেন। এখানে শহরের প্রান্ত হতে ছুটে আসাটা জরুরী নয়।

প্রথম আয়াতে শহরের প্রান্ত থেকে ‘ছুটে আসার’ অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, আর তাহলো- ‘দৌড়ে আসা’। এখানে দা’য়ীদের জন্যে সতর্কবাণী হল, আল্লাহর আদেশে উপস্থিত দাওয়াহ্ দেওয়া। অর্থাৎ দেরী করার কারণে যেন দাওয়াহ্ এর সুযোগ হাতছাড়া না হয়।

প্রথম আয়াতে এটাও বর্ণনা করা হয়েছে যে, প্রথমে দাওয়াহ’র বিষয়-বস্তুর প্রতি আমন্ত্রণ জানানো বা ঘোষণা দেওয়া। অতঃপর ঐ বিষয়ের সৌন্দর্য্য বর্ণনা করা, সবশেষে যিনি এ মহান কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন তার গুণাবলী ফুটিয়ে তোলা।

প্রথম আয়াতে দাওয়াহ্ দেওয়ার সময় দায়ী’র অবস্থাও বর্ণনা করা হয়েছে যে, দায়ী’ দাওয়াত দেওয়ার সময় না ভীত হবে আর না সংশয় বা জড়তা নিয়ে কথা বলবে; বরং কোন ধরণের ভয়-ভীতি, সংশয় বা জড়তা দূরে ঠেলে দ্ব্যার্থহীনকন্ঠে দাওয়াহ্ দেওয়া।

প্রথম আয়াতে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যে, দাওয়াহ্’র বিষয়বস্তুর প্রতি বিরোধী মনোভাবের মাদয়্যূ বা যারা নিরপেক্ষ মনোভাবের হয় তাদেরকেও তাদের দলভূক্ত মনে করে দাওয়াহ্ দেওয়া। এমন যেন না হয় যে, বিরোধী মনোভাবাপন্নদের দাওয়াহ্ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

পক্ষান্তরে দ্বিতীয় আয়াতে উপরোক্ত বিষয়গুলির উল্লেখ নেই। কেবলমাত্র গোপনে এবং ভয়ার্ত চাহনিতে মূসা আলাইহিস সালামকে ফিরআউন ও তার জাতির যড়যন্ত্রের ব্যাপারটা বলে দিলেন।

দ্বিতীয় আয়াতে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জালিমের অনিষ্টতা থেকে নিপীড়িতকে বাঁচাতে দ্রুত নসিহত বা পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

আরেকটা বিষয় দ্বিতীয় আয়াতে ফুটে উঠেছে, তাহলো মূসা আলাইহিস সালাম উক্ত বিষয়ের বিরোধী মনোভাবের ছিলেন না। তাই পরবর্তীতে মূসা আলাইহিস সালামকে কারোর সতর্ক করতে হয়নি।

প্রথম আয়াতে দাওয়াহ্ ছিল ‘তাওহীদ’ বা একাত্ববাদের। আর নিরপেক্ষতা ছিল নবী আলাইহিস সালামদের বন্ধুদের পক্ষে। এবং ঐ মাদয়্যূ বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছিল শিরক ও গাইরুল্লাহর ইবাদত আর তাই যিনি এক্ষেত্রে দাওয়াহকে কর্তব্য মনে করেছে তার জন্যে প্রতিদানের ব্যবস্থাও হয়ে গেছে। আর তা হলো চিরসূখের আবাস্থল ‘জান্নাত’।

মহান আল্লাহ্ জাল্লা জালালুহু তেমনই বলেছেন-  { قِیۡلَ ادْخُلِ الْجَنَّۃَ } তাকে বলা হল, তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর। (সূরা ইয়াসিন-২৬)

অতঃপর আল্লাহ্ তায়ালা তার আলোচনাকে সুউচ্চ করেছেন এবং তার মর্যাদাকে করেছেন সুমহান!

সুতরাং হে আমার ভাই! দ্ব্যর্থহীনকন্ঠে প্রাঞ্জলভাষায় ‘তাওহীদ ও জিহাদ ফি সাবীলিল্লাহ্’র দাওয়াহ্ দিতে লালায়িত হও; তাহলে তোমার মর্যাদা ও আলোচনাকে সুউচ্চ করতে পারবে। আর আমিতো কেবল  তোমার একজন হিতাকাঙ্খী, যার আখেরাতের প্রতিদান ও আবাসস্থল অজ্ঞাত।

 

২২ জিলহজ¦ ১৪৩৯ হিঃ

বায়ান মিডিয়া কর্তৃক ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে প্রকাশিত

(1)التوحيد والجهاد – “سلسلة مقالات “قبس من نور القرآن

 পুস্তিকার অনুবাদ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + twenty =

Back to top button