আরবইয়েমেনউসামা মিডিয়াতথ্য প্রযুক্তি ও যুদ্ধকৌশলবই ও রিসালাহমিডিয়াশাইখ খালেদ বিন উমর বাতারফি হাফিযাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

পিডিএফ/ওয়ার্ড || ঈমান ও হেকমতের ইয়েমেন – শাইখ খালিদ বিন উমর বাতরাফি হাফিযাহুল্লাহ

pdf

 

word

 

PDF
—-
http://www.mediafire.com/file/ftmddjofxc2i8g7/123._Iman_o_Hikmater_Yeamen.pdf/file

https://archive.org/download/u_m_a_5/123.%20Iman_o_Hikmater_Yeamen.pdf

Word
—–
http://www.mediafire.com/file/89dglyg8i6fg6a7/123._Iman_o_Hikmater_Yeamen.doc/file

https://archive.org/download/u_m_a_5/123.%20Iman_o_Hikmater_Yeamen.doc

===================

 

ঈমান ও হেকমতের ইয়েমেন

 

মূল

শাইখ খালিদ বিন উমর বাতরাফি হাফিযাহুল্লাহ

 

অনুবাদ

মাওলানা ইউনুস আবদুল্লাহ

 

[এই পুস্তিকাটি জামাআত কায়েদাতুল জিহাদের ইয়েমেন শাখা (আনসারুশ শরিয়াহ) এর মুজাহিদদের অফিসিয়াল আল মালাহিম মিডিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক শাওয়াল১৪৩৯ হিজরীতে আরবি ভাষায় প্রকাশিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতের বঙ্গানুবাদ। – প্রকাশক]

 

বিমমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لا نبي بعده و على اله و صحبه و سلم :

হামদ ও সালাতের পর-

সমগ্র বিশ্বের মুসলমান ভাইয়েরা! আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.

আমরা আল মালাহিম মিডিয়ার পক্ষ থেকে শাইখ মুজাহিদ খালিদ বিন উমর বাতরাফি হাফিযাহুল্লাহর সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের ইচ্ছা করেছি। যে বিষয়টি আমাদেরকে সাক্ষাৎকার গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলেছে তা হল: আমরা এই সাক্ষাৎকারে কথোপকথনের মাধ্যমে ইয়েমেনে মুজাহিদদের প্রতিষ্ঠা এবং ইয়েমেনের রাফেজি ও ক্রুসেডারদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের পরিকল্পনা আপনাদের সামনে পেশ করতে পারি। পাশাপাশি ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধে মুজাহিদদের দৃষ্টিভঙ্গি, গোপনরহস্য, যুদ্ধের ফলাফল এবং তাতে তাদের ভূমিকাসহ অন্যান্য বিষয়ে আপনারা ধারণা লাভ করতে পারেন।

এবার চলুন আমরা আপনাদের খেদমতে প্রশ্নোত্তরগুলি পেশ করি-

 

প্রশ্ন: ইয়েমেনে মুজাহিদদের প্রতিষ্ঠা লাভ করণ এবং তাদের কর্মপদ্ধতির ধরণ সম্পর্কে কিছু বলুন?

উত্তর:

الحمد لله والصلاة و السلام على رسول الله و على اله و صحبه و من والاه .

হামদ ও সালাতের পর-

আলহামদুলিল্লাহ, ইয়েমেনে মুজাহিদীনের প্রতিষ্ঠা লাভ খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। শত্রুদের প্রতি আক্রমণ ও পলায়নের নীতিতেই সামনে বাড়ছেন। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ, মুজাহিদীন এই ক্রুসেডারদের হামলার বিরুদ্ধে এবং আরব ও অনারবের তাগুতদের ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সর্বদা নিজেদের শক্তিকে বর্ধিতকরণে এবং উৎকর্ষ সাধনে তৎপর রয়েছেন। যদিও আমরা বিগত সময়ে আমাদের একদল মুজাহিদ ভাইদেরকে হারিয়েছি, যাদেরকে শত্রুরা বিভিন্নভাবে টার্গেট বানিয়েছিল। অন্যদিকে ইতর শ্রেণীর লোকেরা মুজাহিদীনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, যাদেরকে অর্থের বিনিময়ে কাজ করা ভাড়াটে সৈন্যবাহিনী/কর্মীবাহিনী বলা যেতে পারে। তারপরও আল্লাহর ফযল ও করমে আমাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘য়ালা তাদের গুরুত্বপূর্ণ কার্যপ্রণালির ভেদ উন্মোচন করার সক্ষমতা দান করেছেন, যার জন্য প্রায় এক বছর যাবত তাদের প্রতি নজরদারি এবং চিন্তা-ভাবনা করতে হয়েছে। ইনশাআল্লাহ অচিরেই তাদের আরো বাস্তবতা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়াদি প্রকাশ পাবে। তখন তা আল্লাহর হুকুমে মুজাহিদীনের জন্য উপকারী বলেই প্রমাণিত হবে বলে আশা রাখি।

তাছাড়া বর্তমান সময়ে ইসলাম, মুসলমান ও মুজাহিদীনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে শত্রুদের চক্রান্ত, তাদের নোংরা কর্মপন্থার বাস্তবতা উন্মোচিত হওয়ার দ্বারা সাধারণ মুসলমানদের জন্য সতর্কীকরণের উপকরণ হবে বলেও আশা রাখি।

 

প্রশ্ন: আপনারা জিহাদের ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন?

উত্তর: মানুষের প্রত্যেক কাজের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফলাফল লাভের জন্য বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। এমনিভাবে আমাদের জিহাদের পথেও মুজাহিদীন শত্রুর পক্ষ থেকে অগনিত নিরাপত্তাসংক্রান্ত, সামরিকসংক্রান্ত ও তথ্যসংক্রান্ত হামলার শিকার হচ্ছেন। এছাড়াও এই পবিত্র জিহাদের ক্ষেত্রে আমরা যে সমস্ত প্রতিবন্ধতার সম্মুখীন হই, তা হল- সম্ভাব্যতার কমতি, সম্পদের অপ্রতুলতা এবং শত্রুদের পক্ষ থেকে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই আক্রমণের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সচেতনতার অভাব, মুজাহিদদের বিরুদ্ধে বিকৃত তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে মুসলমানরা তথ্যসন্ত্রাসের শিকারে পরিণত হওয়া প্রভৃতি। কিন্তু তারপরও এই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ও জটিলতা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর হুকুমে আমরা জিহাদের আলোকউজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখবই দেখব, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর শোকর! আমরা দেখছি যে, আল্লাহ তায়ালার সাহায্য আমাদের সাথে রয়েছে এবং জিহাদের যাবতীয় উপকরণের ব্যবস্থা নিকটবর্তী হচ্ছে, যা অচিরেই আমাদের নিকট আল্লাহর হুকুমে প্রত্যাশিত সাহায্যরুপে পৌঁছাবে ইনশা আল্লাহ।

 

প্রশ্ন: আপনাদের সংগঠন ও অন্যান্য জিহাদী সংগঠনগুলোর মাঝে বিদ্যমান সম্পর্ককে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ, মুসলিম জনসাধারণের সাথে আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল অবস্থানে আছে। আমাদের মাঝে ও তাদের মাঝে সম্পর্কের ধরণ হল, এক মুসলমান ভাইয়ের উপর অন্য ভাইয়ের যে হক রয়েছে সে ভিত্তিতে। আমাদেরকে তারা যখন কোন উপদেশ প্রদান করে তখন তা আমরা গ্রহন করি। আমরা তাদের মাঝে কোন পদস্খলন দেখলে গোপনে ও সুন্দরভাবে উপদেশ প্রদান করি। তাছাড়া যারা ইসলামের খেদমত ও তার মর্যাদা বুলন্দি এবং মুসলমানদের খেদমত করতে চায় এমন সকল মুসলমানের জন্য আমাদের দরজা উন্মুক্ত। এমনিভাবে অন্যান্য সংগঠন লড়াইয়ের ফ্রন্টে হুথি গ্রুপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে সাহায্য করেছি। আমরা এই জাতীয় অন্যান্য সংগঠনগুলির সাথে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা ও সাহায্য করার ক্ষেত্রে কোন ধরণের কমতি করিনা। ইসলাম ও মুসলমানদের উপর এই রাফিজী ক্রুসেডারদের আক্রমণের বিরুদ্ধে আমাদের পরিচালিত যুদ্ধে আমরা তাদেরকে সাহায্য করার জন্য সর্বদা আহবান করি।

 

প্রশ্ন: ইয়েমেনে ইসলামপন্থীদের উপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আক্রমণের রহস্য কি?

উত্তর:  ইয়েমেন ও  ইয়েমেনের বাহিরে ইসলামপন্থীদের উপর ত্বাগুত আরব আমিরাতের আক্রমণের ব্যাপারে কোন রহস্য নেই। বরং তা সূর্যের আলোর ন্যায় স্পষ্ট। তা হলো- প্রত্যেক মুসলমানের সাথে এবং যেখানেই ইসলাম ও মুসলমানদের শক্তি-সামর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য কেউ জিহাদ করবে, তার উপরই আক্রমণ করার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত আমেরিকার গোলামী, অনুসরণ ও নিকটবর্তী হওয়ার প্রচেষ্টা করে যাবে। আমরা দেখেছি যে, তারা আগ্রহভরে প্রকাশ্যভাবে সেক্যুলারিজম তথা ধর্মনিরপেক্ষতার শাসনব্যবস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য ঘোষণা দিচ্ছে। এটা তো সুস্পষ্ট নাস্তিক্যবাদিতা, যার দ্বারা বোঝা যায় তাদের কাছে দ্বীন-ধর্মের কোন মর্যাদা নেই। তারা চাচ্ছে যে, তাদের দেশের মত অন্যান্য দেশেও গোলযোগ ছড়িয়ে পড়ুক। যেমন: প্রকাশ্যে মদের আসর, অশ্লীলতা ও পাপের আড্ডাখানা/ক্লাব ইত্যাদির ছোঁয়া লাগুক এবং এ জাতীয় বিষয়গুলি অন্যান্য সাধারণ পণ্যের মতই ব্যাপক হোক, যেগুলিকে কেউ অস্বীকার বা বাঁধা দিতে সক্ষম হবে না। কিন্তু অচিরেই তারা বংশভিত্তিক পারষ্পারিক সংঘর্ষে লিপ্ত হবে, তখন সেখানে তারা ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুকে নিজেদের পরিচালক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে পাবে না। অবশেষে তাদের পরিণতি হবে তাদের মত যারা পূর্বে এই জুলুমের পথে চলেছে। যেমনটি মহান আল্লাহ জাল্লা শানুহু পবিত্র কুরআনে মাজীদে ইরশাদ করেছেন:

يُرِيدُونَ أَنْ يُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا أَنْ يُتِمَّ نُورَهُ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ (32) هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ (33) ]  التوبة 32، 33[

অনুবাদ: তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে।

মুশরিকরা অপ্রীতিকর মনে করলেও অপর সমস্ত দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করবার জন্য তিনিই পথনির্দেশ ও সত্য দ্বীনসহ তাঁর রাসূল প্রেরণ করেছেন।{সূরা তাওবা, আয়াত নং ৩২-৩৩}

 

প্রশ্ন: এডেনে উলামায়ে কেরাম ও দায়ীদের গুপ্তহত্যার পিছনে কে রয়েছে? এবং এই কর্মকাণ্ড দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: অপরাধের ও বিশ্বাসঘাতকতার এই গুপ্তহত্যার পিছনে যারা রয়েছে, তারা হল- আমিরাতের পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত বাহিনী। এই বিষয়টি কারো নিকট কখনো গোপন ছিল না। এমনকি কতক প্রচারমাধ্যম মিডিয়া তা রিপোর্টও করেছে। তাছাড়া আমাদের কাছে বিষয়টির প্রমাণাদি রয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা তা সময়মত প্রকাশ করব। আবার অনেক সময় আমরা কতিপয় ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছি, যারা তা বাস্তবায়নের পিছনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এছাড়াও এই বিষটির উপর আমাদের তাহকীক/তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আমরা আল্লাহ তায়ালার তাওফিকে এই স্থানের শূণ্যতা পূরণে কতককে গ্রেফতার করার চেষ্টায় লিপ্ত আছি, যার টার্গেট হল- সরাসরি আমিরাতের সৈন্যবাহিনী।

আর এই গুপ্তহত্যার টার্গেট হলো-যাদের ইসলামের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এবং যারা যে কোন উপায়ে ইসলামের সহযোগিতা করছে তাঁদের সাথে যুদ্ধ করা। কেননা, আরব আমিরাত ও তাদের জোটমিত্ররা; যারা মুসলমানদের আকীদা-বিশ্বাস এবং তাদের চরিত্রকে খতম করে দিতে চায় এবং তাদের সেই ধ্বংসাত্মক গোলযোগকে আইনসম্মত করতে চায়, তারা কখনো এটা কামনা করে না যে, যে সমস্ত আলিম-উলামা, দায়ীগণ এবং সংস্কারকগণের ব্যাপারে আশংকা আছে যে, তারা এই নোংরা আইনের বিরুদ্ধে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে, তারা উম্মাহর মাঝে বাকী না থাকুক (তাই তারা গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছেন)। আর বর্তমানে হুবহু তা (বিন সালমান) হারামাইনের ভূমিতে আহলে ইলম (উলামায়ে কেরাম), দায়ীগণ এবং সংষ্কারকগণের সাথে যা করছে তা চূড়ান্তরূপে উম্মাহর সামনে এসেছে। সে যাদের পক্ষ থেকে মুখের কথার দ্বারা হলেও তার নোংরামীর উপর বা তার অপরাধের উপর প্রতিবাদের আশংকা করছে, তাদেরকেই গ্রেফতার করছে, যাতে করে এ জাতীয় ব্যক্তিদের ময়দান শূণ্য হয়ে যায় এবং সে কোনরূপ বাঁধাবিহীন যেকোন ধরণের আইন প্রয়োগ করতে পারে।

 

প্রশ্ন: আপনি কি সেখানে অবস্থানরত অবশিষ্ট আহলে ইলমদের (উলামায়ে কেরাম) কাছে কোন উপদেশ ও পরামর্শ দিতে চান?

উত্তর: আমাদের দায়ীগণ ও তালিবুল ইলম ভাইদের উদ্দেশ্যে উপদেশ হলো- তাদের এই সমস্ত গুপ্তহত্যার সিদ্ধান্তের যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং সংশোধন ও অন্যায়ের প্রতিবাদে তাদের প্রচেষ্টাকে আরো দ্বিগুণ করেন। তারা যেন এই সমস্ত বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের গ্রহনযোগ্যতার শীর্ষচূড়া বলে বিবেচিত না হয়ে যান। বরং তাদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিবেন, অস্ত্র উঠিয়ে নিবেন, লড়াই করবেন এবং নিজেদের ও নিজেদের দ্বীনকে রক্ষা করার জন্য তৈরী হয়ে যাবেন। পাশাপাশি তাদের মুজাহিদ ভাইদের হাতে হাত রেখে এই সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবেন এবং ঐ সমস্ত সম্মানিত উলামায়ে কেরাম, দায়ীগণ ও সংস্কারকগণকে আহবান করি যে, আপনারা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং আল্লাহ তায়ালার বাণী অনুযায়ী আমল করবেন-

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন:

يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا خُذُوا حِذْرَكُمْ فَانْفِرُوا ثُبَاتٍ أَوِ انْفِرُوا جَمِيعًا (71)

অনুবাদ: হে ইমানদারগণ! তোমরা নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে অথবা সমবেতভাবে বেরিয়ে পড়।  (সূরা নিসা, আয়াত নং-৭১)

আপনারা জেনে রাখুন যে, আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম ও রাসূলগণের এবং তাদের অনুসারীদের সাথে বড় বড় অপরাধীদের ব্যবহারের রীতিনীতি সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে-

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ইরশাদ করেছেন-

وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ (30)

অনুবাদ: স্মরণ কর, কাফিরগণ তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তোমাকে বন্দী করবার জন্য, হত্যা করবার অথবা নির্বাসিত করবার জন্য, এবং তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও কৌশল করেন; আর আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী। (সূরা আনফাল, আয়াত নং-৩০)

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরো ইরশাদ করেছেন-

وَكَذَلِكَ جَعَلْنَا فِي كُلِّ قَرْيَةٍ أَكَابِرَ مُجْرِمِيهَا لِيَمْكُرُوا فِيهَا وَمَا يَمْكُرُونَ إِلَّا بِأَنْفُسِهِمْ وَمَا يَشْعُرُونَ (123)

অনুবাদ: এইরূপে আমি প্রত্যেক জনপদে তথাকার অপরাধীদের প্রধানকে সেখানে চক্রান্ত করার অবকাশ দিয়েছি; কিন্তু তারা শুধু তাদের নিজেদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে, অথচ তারা উপলব্ধি করে না। (সূরা আন‘আম, আয়াত নং-১২৩)

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরো ইরশাদ করেছেন-

وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِرُسُلِهِمْ لَنُخْرِجَنَّكُمْ مِنْ أَرْضِنَا أَوْ لَتَعُودُنَّ فِي مِلَّتِنَا فَأَوْحَى إِلَيْهِمْ رَبُّهُمْ لَنُهْلِكَنَّ الظَّالِمِينَ (13)

অনুবাদ: কাফিরগণ তাদের রাসূলগণকে বলেছিল, ‘আমরা তোমাদেরকে আমাদের দেশ হতে অবশ্যই বহিষ্কৃত করব অথবা তোমাদেরকে আমাদের ধর্মাদর্শে ফিরে আসতেই হবে।’ অতঃপর রাসূলগণকে তাদের প্রতিপালক ওহী প্রেরণ করলেন, যালিমদেরকে আমি অবশ্যই বিনাশ করব।

 

প্রশ্ন: “দক্ষিণ অন্তর্বর্তীকালীন কাউন্সিল”এর ব্যাপারে আপনাদের অভিমত কি? আপনারা কি দক্ষিণ ইয়েমেনের আলাদা হয়ে যাওয়াকে সমর্থন করেন?

উত্তর: আমরা ‘অন্তর্বর্তীকালীন কাউন্সিল’ নামে যেটি দেখেছি, তাকে ইয়েমেনবাসীদের জন্য নতুন বিপদ বলেই মনে হচ্ছে এবং তা জাহিলিয়্যাতের দূর্গন্ধময় আহবান ছাড়া আর কিছুই নয়। তা কমিউনিস্টদের অন্ধকারের যুগে দক্ষিণের মুসলমানগণকে প্রত্যাবর্তন করাবে। যা উগ্রপন্থী পদ্ধতিগুলির রীতিতে মুসলমানদেরকে তাদের দ্বীন থেকে, আকীদা থেকে, নৈতিকতা থেকে এবং প্রশংসনীয় অভ্যাসসমূহ থেকে আলাদা করার জন্য নিয়োজিত আছে।

আর আমরা দক্ষিণ ইয়েমেনের আলাদা হয়ে যাওয়াকে সমর্থন করি না। বরং তার বিরোধিতা করি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো- সকল মুসলমানের মাঝে ঐক্যবদ্ধতা বজায় রাখা এবং সবাই ইসলামের পতাকা তলে সমবেত হয়ে আল্লাহর হুকুমে সত্যনিষ্ঠ ইসলামের খেলাফত রাষ্ট্র কায়েম করা। আমরা আমাদের অবস্থান এই খারাবীর শুরুলগ্নেই সুস্পষ্ট করে দিয়েছিলাম, যাকে তারা দক্ষিণের আন্দোলন নাম দিয়েছে। আমাদের আমীর (শহীদ ইনশাআল্লাহ) শাইখ আবু বাসির রহ, (আল্লাহ তায়ালা তাকে কবুল করুন।) এই বিষয়বস্তুর উপর বয়ান শুরু করেছিলে, যার শিরোনাম ছিল- ‘দক্ষিণে অবস্থানরত আমাদের ভাইদের প্রতি বার্তা’ এবং আল মালাহিম মিডিয়া থেকে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল, যার শিরোনাম ছিল- ‘একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনের দিকে’।

 

প্রশ্ন:  কেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেন বিভক্তিতে কাজ করে? এবং ইয়েমেনি জনগণের উপর তার প্রকল্পের ফলাফল কি?

উত্তর: ইয়েমেন বিভক্তিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের টার্গেট হল: তার প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তার মিশন সহজ করা এবং আমেরিকার গোলামী ও বন্ধুত্ব অটুট রাখা। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে যে গোলযোগ আগেই ঘটেছে, তা ইয়েমেনের মাঝেও ছড়িয়ে দেয়া এবং আরব সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলি, সামুদ্রিক ও তৈল সম্পদের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রন গ্রহন করা।

আর ইয়েমেনি জনগণের উপর তার প্রকল্পের ফলাফল হল: আল্লাহর হুকুমে নিঃসন্দেহে এটা তাদের ব্যর্থতা ও ক্ষতির কারণ। কেননা, ইয়েমেনী জনগণ তাদের ভূখন্ডে এই জাতীয় নোংরা প্রকল্পের বাস্তবায়নের সুযোগ কখনো দিবে না। কারণ, তারা ধার্মিক ও রক্ষণশীল জনগণ। যারা ইয়েমেনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোলযোগের মিশন বাস্তবায়নের ব্যাপারে কখনো রাজী হবে না।

 

প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আপনাদের পরিকল্পনা কি? এবং কয়েকটি এলাকায় মুজাহিদদের বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণ বৃদ্ধির প্রবণতার মূল্যায়ন আপনারা কিভাবে করেন?

উত্তর: সংযুক্ত আরব আমিরাতের এজেন্ট হওয়ার বিষয়টি সবারই জানা এবং তারা এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করে। তাদের সাথে যুদ্ধ করা এবং তাদেরকে বাঁধাপ্রদান করা মুজাহিদদের ‍জিম্মাদারী। যেখানে আক্রমণের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক রয়েছে, যা তারা তাদের এজেন্টেদের মাধ্যমে করে থাকে, তাদেরকে শহুরে এলিট বা শাবানী এলিট অথবা সিকিউরিটি বেল্ট বলা হয়। তবে তারা এতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং এই সমস্ত আক্রমণের উল্টো প্রভাব তাদের উপর পড়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, মুজাহিদীনরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দখদারিত্বের এবং তাদের এজেন্টদের উপর কয়েকবার হামলা চালিয়েছেন। পাশাপাশি তাদের পক্ষ থেকে কতক আক্রমণের প্রত্যুত্তর কঠিনভাবে দেয়া হয়েছে। হাজরামাউতের তীর এবং হাজর ও সিতানের উপত্যকায় কতক বাহিনীকে শেষ করে দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ…

এমনিভাবে শাবওয়ায় এবং আবদানেও শত্রুবাহিনীর উপর গুরুতর হামলা চালানো হয়েছে।

মহান আল্লাহ জাল্লা শানুহু তাদেরকে তাদের রাগসহ ফিরিয়ে দিন, যার মাধ্যমে তারা কিছুই অর্জন করতে পারেনি। মিডিয়ায় তাদের যে বিজয়ের এবং মুজাহিদকে পরাজিত করার সংবাদ প্রচার করা হয়, তা নির্জলা মিথ্যা ও প্রতারণা বৈ কিছুই নয়। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।

 

প্রশ্ন: আল-কায়েদার কর্মতৎপরতা অনুপাতে তাদের পশ্চাৎপদের রহস্য কি? এবং কতক ভূখন্ডে তাদের অনুপস্থিতির কারণ কি?

উত্তর: আমরা সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ ও বিস্ময়কর পরিবেশে কাজ করি। অধিকাংশ সময়ই তারা আমাদের টার্গেট হয়ে থাকে, কিন্তু আমরা যদি এই সময়ে তাদেরকে আক্রমণ করি তাহলে এর দ্বারা তারা অন্য দিক দিয়ে লাভবান হয়ে যাবে; তার কারণ হচ্ছে: দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। সুতরাং আমরা আমাদের তানযীমের স্বার্থের উপরে সাধারণ মুসলমানদের কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রাখি। তবে হ্যাঁ, যখন সময়োপযোগীতার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে যাবে, তখন ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণে আমাদের অপারেশন লক্ষ্যে আঘাত হানবে। আল্লাহর হুকুমে অচিরেই আমাদের কর্মতৎপরতা সকলেই দেখতে পাবে এবং তা আল্লাহর শত্রুদের উপর ভারী বেদনাদায়ক হবে। (ইনশা আল্লাহ…)

 

প্রশ্ন: ইয়েমেনে “প্রবলঝড়ের” তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর বর্তমানে আপনি সেখানকার পরিস্থিতিকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

উত্তর: ইয়েমেনের তিন বছরের পরিস্থিতির (যাকে ‘প্রবলঝড়’ বলে নামকরণ করা হয়েছে) পর বর্তমান অবস্থা প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের নিকট সুস্পষ্ট-পরিস্কার। তা হল: সর্বস্তরের হালাত খারাপ থেকে অধিকতর খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাছাড়া সেখানে মানুষের ধর্মীয় দিক থেকে তাদের আকীদা-বিশ্বাস ও চরিত্র বিনষ্ট করার জন্য হুথিদের ও রাফেজীদের পক্ষ থেকে এবং আমেরিকার অনুমোদিত পদ্ধতিতে তারা জোটবদ্ধভাবেও অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া যাচ্ছে।

আর নিরাপত্তার বিষয়ে বলব: সেখানে কেউ নিজের উপর বা নিজের সম্মানের উপর অথবা নিজের সম্পদের উপরও নিরাপদ নয়। তবে সে তার সক্ষমতা ও ক্ষমতা অনুপাতে ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যে কোন পদক্ষেপ নিতে পারে; যে অঞ্চলে হুথিদের নিয়ন্ত্রন রয়েছে অথবা যে অঞ্চল জোটের অধীনে পরিচালিত হয় সেখানে এ বিষয়টি সার্বজনীন, সকলের জন্য প্রযোজ্য।

সেখানে অর্থনৈতিকভাবে দামের উচ্চতা, বিনিময় হার বেশী হওয়া এবং আয়ের অভাব তো সুস্পষ্ট বিষয়। রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী সংগ্রাম ও যুদ্ধরত দলগুলোর মধ্যে বহিরাগত প্রকল্পগুলির প্রয়োগ; চাই তা ইরানের রাফিজীদের সমর্থক হুথিরা হোক বা আবদে রাব্বিহ সরকার এবং ক্রুসেডার আমেরিকার সমর্থক জোট হোক।

এমনকি পরিবেশগত দিক থেকেও সেখানকার অবস্থা শোচনীয়। যেমন: বর্জ্যের স্তুপীকৃত হওয়ার কারণে দূষণ, যা কেহই অস্বীকার করতে পারবে না। তা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে মহামারী ও মারাত্মক ধরণের রোগ-বালাই। যেমন: কলেরা, ডায়রিয়া প্রভৃতি। তাছাড়া এর কারণে প্রায়  হাজার  হাজার মুসলমান ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ তা’য়ালাই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম কর্মবিধায়ক।

পাশাপাশি জোড় করে কঠোরতার সাথে সাধারণ মানুষের সামনে তাদের সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর ও আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে অথবা ইয়েমেনে তারা মুসলমানদেরকে অব্যাহত দুঃখ-কষ্ট দেওয়ার কাজে লিপ্ত আছে।

আর হুথিদের আক্রমণ অবধি ইয়েমেনে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সে ব্যাপারে কথা হলো: সেখানে একটি অপারেশন শুরু হয়েছে, যাকে “প্রবলঝড়” বলে নামকরণ করা হয়েছে। এ বিষয়টি কারো নিকট অস্পষ্ট নয়।

 

প্রশ্ন: ইয়েমেনে হুথিদের জোয়ারের মোকাবেলায় আপনাদের প্রচেষ্টা কি? এবং হুথিদের বিপরীতে সেখানে আপনাদের ফ্রন্টের গুরুত্ব কতটুকু?

উত্তর: হুথিদের বিপরীতে আমাদের প্রচেষ্টার ব্যাপারে কথা হলো: আলহামদুলিল্লাহ, আমরাই প্রথমদিকে মুসলিমদের নীরবঘাতক এই জামাতের বিরুদ্ধে কয়েকটি যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিলাম, তারা এ বিষয়টি খুব ভালভাবেই জানে। বরং পরবর্তীতে তাদেরকে এই রাষ্ট্রের উপর দখলদারিত্বের সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছি এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রত্যেক স্থানে প্রাচীরের ন্যায় দাঁড়িয়ে গিয়ে এই রাষ্ট্রের সকল খনিজ সম্পদ ও তৈল সম্পদের ভান্ডারের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হতে দেইনি; তা হচ্ছে: ২০১৫ সালে মুকাল্লা ও তার আশেপোশের এলাকাগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যখন হাজরামাউতের পেট্রোলের উপরও দখল নিতে চেয়েছিল। তাছাড়া আমরা মুকাল্লাতে অনেক গনিমত লাভ করি, যা আমরা শাবওয়াহ, আবয়ান, আদন, তায়েজ, আল-বায়দা ও রিদা‘ই প্রমুখ রণাঙ্গনে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি সরবরাহ করে সহায়তা করি। হুথিদের বিরুদ্ধে এই সমস্ত রণাঙ্গনে আমাদের ভাইদের সাথে গোত্রের ছেলেরাও অংশগ্রহন করেছিল এবং শহরের সম্মানিত ব্যক্তিরাও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সাম্প্রতিককালেও কাইফাহ ও আল-বায়দা রণাঙ্গনে আমাদের ভাইয়েরা ও গোত্রের ছেলেরা মিলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত আছে। পাশাপাশি হুথি শক্রদেরকে তাদের মাআরিব, জাউফ ও তায়েজ প্রভৃতি ঘাঁটি থেকে বিতাড়িত করতে আমাদের ভাইদের সাথে মিলে গোত্রের ছেলেরা কাজ করে যাচ্ছে।

হুথিদের বিরুদ্ধে পরিচালিত আমাদের যুদ্ধসমূহের উল্লেখযোগ্য রণাঙ্গন হল: কাইফাহ ও আল-বাইদা এর রণাঙ্গন। যা হুথিদের মাআরিব, তায়েজ, যিমার ও শাবওয়াহ রণাঙ্গনের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। আমাদের রণাঙ্গন আবইয়ান ও আদনের কিনারে চালু আছে; যেখানে হুথিরা পরাজিত হয়েছিল। আর এ রণাঙ্গনের পরাজয়কে হুথিরা সকল রণাঙ্গনের পরাজয়ের তুলনায় সবচেয়ে বড় পরাজয় বলে বিবেচনা করে। তাছাড়া হুথিরা এখন পূর্ণাঙ্গ রণাঙ্গনের উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করাকে আমরা দূরবর্তী মনে করি না, তারপর তারা পূর্ণ দেশের উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করবে এটাকেও আমরা দূরবর্তী মনে করি না।

আর এ কারণেই আমেরিকা ইয়েমেনে ইরানের জোটকে শক্তিশালী করতে চাচ্ছে, যাতে করে তারা ইরাক ও সিরিয়ার মত করে ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহন করতে পারে। তাই আমরা দেখতে পাচ্ছি: এ উদ্দেশ্য পূরণে আমেরিকা ঐ সমস্ত রণাঙ্গনে আমাদেরকে ড্রোন হামলার টার্গেট বানাচ্ছে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমরা দৃঢ় আছি এবং আমরা আমাদের সাধ্যানুযায়ী মুসলিম ভাইদের সাহায্য করা থেকে একটুও পিছু হটব না, যদিও বিশ্বের সকল রাষ্ট্র আমাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়…! (ইনশা আল্লাহ)

 

প্রশ্ন:  আপনি কি আমাদেরকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঝে আভ্যন্তরীণ প্রভাবের দ্বন্দ্বের ব্যাপারে কিছু বলবেন?

উত্তর: সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একে অপরের কলহপ্রিয় সাথী। তাদের সবচেয়ে বড় মনোযোগের বিষয় হচ্ছে: কে সবচেয়ে বেশী তাদের মনিব ‘মিষ্টার ট্রাম্প’কে খুশী করতে পারে। এজন্য তারা পারস্পরিক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। তাদের মতপার্থক্যের সীমানা তাদের মনিবের পক্ষ থেকে চিত্রিত হয়। আমরা ‘দুবাই’ নগরীর অভ্যন্তরে কিছু অপারেশন পরিচালনা করার উদ্যোগ গ্রহন করি, যাতে করে আমরা সৌদি আরবের গোয়েন্দাদের মধ্য থেকে কাউকে গ্রেফতার করতে পারি; যে কিনা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরিতে লিপ্ত আছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এই রকম গোয়েন্দাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি এবং তার কাছ থেকে শত্রুর অনেক গোপন তথ্য ও তাদের গোপন বন্দিখানা সম্পর্কে তথ্যসহ আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। যা আমরা এখন প্রকাশ করতে পারছি না। তবে আমরা এমন অপারেশনের উদ্যোগ না নিলে তা জানতে সক্ষম হতাম না। আল্লাহামদুলিল্লাহ, এই অপারেশনের ধারাবাহিকতা প্রায় এক বছর যাবৎ চলমান এবং বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। আল্লাহ পাকের রহম ও করমে এ সময়ের মাঝে আমরা সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার অধিকাংশ ফাঁদ বাস্তবায়ন করা থেকে মুজাহিদদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থাপনা করতেও সক্ষম হয়েছি। এমনকি আমাদের এই অপারেশনকে আমাদের ভাই আবুল খাইর আল-আসিরীর  মুহাম্মাদ বিন নায়েফের বিরুদ্ধে তার প্রাসাদের ভিতরে পরিচালিত অপারেশন থেকে দশগুণ বেশী শক্তিশালী বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া এই অপারেশন পরিচালনা করার দ্বারা আমাদের সম্মুখে সৌদি আরবের প্রতারণার পরিমান এমনকি তাদের মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতেরও প্রতারণার পরিমানও প্রকাশ পেয়েছে। ইনশাআল্লাহ, অচিরেই আমরা উম্মতের সামনে তা সবিস্তারে প্রকাশ করব। আল্লাহর সাহায্যে আমরা এর উপর দৃঢ়পদ আছি এবং আমরা সবার সামনে তাদের সেই প্রতারণাও প্রকাশ করব যা তারা গোয়েন্দাদের মাধ্যমে সম্পাদন করে থাকে।

 

প্রশ্ন: হারামাইনের ভূমিতে সাম্প্রতিক সময়ে যে পরিবর্তনগুলি হচ্ছে, এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?

উত্তর: হারামাইনের ভূমিতে সাম্প্রতিক সময়ে যে পরিবর্তনগুলি হচ্ছে, তা প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের দ্বীনের উপর নগ্ন হামলা ও তাদের আকীদা-বিশ্বাস ও চরিত্রকে বিকৃত করে দেয়ার মিশন এবং তাদেরকে পশ্চিমা কাফিরদের নিকৃষ্ট চরিত্রের কোলে নিক্ষেপ করার নামান্তর। তাছাড়া দ্বীনে ইসলাম, মুসলমানগণ, বিশেষকরে উলামায়ে কেরাম, দায়ীগণ ও সংস্কারকগণের সাথে সংগ্রাম/লড়াই। সেখানকার স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও দায়ীগণসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার করার মাধ্যমে ও চলমান আন্দোলন পর্যন্ত তাদের ভুমিকার দ্বারা বিষয়টি সুস্পষ্ট। অন্যদিকে ইবনে সালমান তার ক্ষমতার ভিতরে থেকে সৌদি রাজ পরিবারের শাহজাদা, ব্যবসায়ী ও সম্পদশালীদের গ্রেফতার করার মাধ্যমে নিজের প্রভাব বিস্তার করার লড়াইয়ে নেমেছে এবং সারা দেশের পূর্ণাঙ্গ কর্তৃত্ব নিজের আয়ত্বে নিতে ব্যস্ত। সে এ সবকিছু করছে আমেরিকা ও তার উন্মাদ প্রেসিডেন্ট ড্রোনাল ট্রাম্পের সহযোগিতা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন যায়েদ-এর উৎসাহ প্রদানের কারণে। আল্লাহর হুকুমে এই সমস্ত কর্মকান্ড প্রমাণ করে যে, এই তাগুত শাসকের শাসন পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এ অশুভ পরিবারের শাসকেরা হারামাইনের ভূমিতে তাদের শাসন স্থাপন অবধি- যা সৌদি রাষ্ট্রের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজীজ আল-সাউদ কর্তৃক স্থাপিত হয়েছিল, তারা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে পিছপা হয়নি। তবে তা কখনো মানুষের চোখের আড়াঁলে গোপনে ও অস্পষ্টতায় আবার কখনো প্রকাশ্যে ও সুস্পষ্টতার সাথে তারা লড়াই করেছে এবং অদ্যবধি করে যাচ্ছে। তারা সর্বদা সকল স্থানে মুসলমানদের বিপক্ষে আল্লাহর দুশমনদের বিশেষকরে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। আমি এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, পুরো পৃথিবীর উপর আমেরিকানদের কর্তৃত্ব বজায় থাকার প্রধান কারণ হচ্ছে: এই শাসনব্যবস্থা টিকে থাকা। এ জন্যই আমরা আমাদের মুসলমান ভাইদের বিশেষকরে উলামায়ে কেরাম ও দায়ীদের আহবান করি যে, তারা যেন এই নষ্ট শাসনব্যবস্থার বাস্তবতা উন্মোচন করে সাধারণ জনগণকে দেখায়। তার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি গ্রহন করায়, যাতে উপযোগী সময়ে তাকে পতন করতে পারে। পাশাপাশি সম্প্রতি তাদের পাগলামী কর্মকান্ডের পরিণতি ও অবিন্যস্ততার ফল দেখায়, যা আল্লাহর হুকুমে অচিরেই তাদের উপর আসছে.. ইনশাআল্লাহ। আর তাদের পতনের পর তাদের শূণ্যস্থান পূরণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করে। এই দ্বীনে ইসলামের শত্রু রাফিজী, ধর্মনিরপেক্ষবাদী ও অন্যান্যরা যারা দ্বীনের ক্ষতি করার প্রত্যাশী তাদের জন্য যাতে সকল রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং মুসলমানদের নিকট জ্ঞান ও গ্রহনযোগ্যতার যে আমানতের প্রতি মনোযোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে সে ব্যাপারে যাতে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে। তারা যাতে উদ্যোগের তত্ত্বাবধান গ্রহন করে, কেননা, এটাই তো আজ তাদের দিন।

 

প্রশ্ন: আল-কায়েদার বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধনীতির ক্ষেত্রে কি কোন পরিবর্তন এসেছে?

উত্তর: সামরিক দিক থেকে বাস্তবে কোন পরিবর্তন আসেনি। তবে এতটুকু পরিবর্তন হয়েছে যে,  আমাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধে আমেরিকানদের সংকীর্ণ মনমানসিকতা ও অধৈর্য্য হওয়ার কারণে তারা এখন উদ্দেশ্যহীনভাবে চলা শুরু করেছে। তারা বেশী অপারেশনের মাধ্যমে ও অনেকবেশী হামলা করার মাধ্যমে তাড়াতাড়ি যুদ্ধ সমাপ্ত করতে চেয়েছিল। তন্মধ্যে অধিকাংশ হামলা-ই হয়েছিল সাধারণ মুসলমানদের উপর। তাদের এই উদ্দেশ্যহীনভাবে চলার কারণে তাদের গোয়েন্দা ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে পড়ে, যার উপর তারা ভরসা রাখত।

আর নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে বলব: জাযিরাতুল আরবে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধে আমেরিকা ও তাদের জোটেরা যখন ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছিল, তখন আমেরিকা ও তাদের জোট আল-সাউদ ও আল-যায়েদ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে এমন সব কদর্যপূর্ণ পদ্ধতি গ্রহণ করতে থাকে যার দৃষ্টান্ত প্রথম জাহিলিয়্যাতের সময়েও পাওয়া যায় না। তারা এমন সব মন্দ কার্যাবলী আরম্ভ করে যার দ্বারা আপনার কপালে ভাঁজ পড়বে। উদাহরণস্বরূপ: মাঝে মাঝে তারা কিছু দূর্বল চিত্তের অধিকারী লোককে নিয়োগ প্রদান করে, অতঃপর তাদের সাথে জোড়পূর্বক অথবা অচেতনকারী ঔষধ সেবন করানোর মাধ্যমে অপকর্মে লিপ্ত হয় এবং সেই অদ্ভুত পরিস্থিতির ভিডিও করে রাখে। তারপর এই সমস্ত ভিডিওর মাধ্যমে তাদেরকে ধমকায়, ব্ল্যাকমেইল করে ও চাপ প্রয়োগ করে; যাতে তারা তাদের সাথে মিলে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করতে বাধ্য হয়। আলহামদুলিল্লাহ, এই কদর্যপূর্ণ কাজের পরিকল্পনাকারীকে খুঁজে বের করা হয়েছে এবং এই অপরাধমূলক কাজের সাথে আরো যারা সম্পৃক্ত তাদের কতককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আল্লাহর শত্রুদের ব্ল্যাকমেইল করার কারণে বা তার ইচ্ছায় যারা এই অপরাধমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত, চাই তারা পুরুষ হোক বা মহিলা; তাদেরকে আমরা আহবান করি যে, আল্লাহ তায়ালার কাছে তাওবা করার ঘোষণা দাও এবং মুজাহিদদের সাথে সম্পর্ক কায়েম কর, তাহলে এর দ্বারা অচিরেই তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা এই সমস্ত কাজের মূল হোতাদের শাস্তি প্রদান করব। তবে আমাদের এই আহবান তাদেরকে পাকড়াও করার আগ পর্যন্ত।

যারা মুজাহিদদের হাতে পাকড়াও হবে, তখন তারা যেন নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে তিরস্কার না করে। আল্লাহর ইচ্ছায় তারা দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্ছনা ও লজ্জার শিকার হবে।

 

প্রশ্ন: মার্কিন প্রশাসনের বোমাহামলাগুলো কি যুদ্ধের ফলাফল পরিবর্তন করে দিয়েছে?

উত্তর: না, বোমাহামলাগুলো যুদ্ধের ফলাফল পরিবর্তন করে দেইনি। তবে দুটি বিষয় উন্মোচিত হয়েছে। যথা:

প্রথম বিষয়: আমেরিকা এমন অনেক মানুষ তৈরী করেছে, যারা লড়াইয়ের বাস্তবতা জানে এবং তারা তাদের মুজাহিদ ভাইদের পাশে এসে সমবেত হয়েছে। আমরা কখনো আশা করিনি যে, আমাদের বরকতময় কাজের মাধ্যমে সাধারণ মুসলামদের মাঝে এই মহান পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। আমাদের ও সকল মুজাহিদীনদের পক্ষ আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে উত্তম বদলা দান করুন।

দ্বিতীয় বিষয়: আমাদের সকলের জন্য সুস্পষ্ট হয়েছে যে, (যদিও তা আগেই আমাদের নিকট সুস্পষ্ট ছিল) আমেরিকান সৈন্যরা কতটা ভঙ্গুর ও কতটা দুর্বল! পনের মিটার জায়গার মাঝে কোন ঘর দশ মিটারের বড় নয়, এমন স্থানে আমেরিকার সেনাবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী সেনারা একে অপরের সাথে ভিড় করে এবং বিশের অধিক বিমান তাদের সাহায্যে বিদ্যমান থাকে! অতঃপর যখন তাদের ছয়জনকে হত্যা করা হয়, তখন বাকীরা চিৎকার করতে করতে পলায়ন করে অথচ এই ঘরকে স্পর্শ করতে সক্ষম হয় না, প্রবেশ করা তো দূরের কথা!! আফসোসের বিষয় হল: আমরা তাদের এই গোপন বাস্তবতা সম্পর্কে সম্যক অবগত আছি কিন্তু অধিকাংশ মুসলমানই তা জানে না!!!!!! আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তরে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছেন এবং আমাদেরকে তাদের উপর ক্ষমতা দিয়েছেন।

 

প্রশ্ন: জিহাদের রাস্তা সুগঠিতকরণে উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কতটুক গুরত্ব রাখে?

উত্তর: জিহাদের রাস্তা সুগঠিতকরণে উলামায়ে কেরামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ও মুখ্য বিষয়। কেননা, উলামায়ে কেরামের দিক-নির্দেশনা করার দ্বারাই জিহাদ কুরআন ও হাদীসের শিক্ষা অনুযায়ী হবে। এজন্য উলামায়ে কেরামকে মুজাহিদীনের সামনের সারিতে থাকা উচিত। আমরা উম্মতের সুদীর্ঘ ইতিহাসে দেখতে পাই যে, যে কোন জিহাদী আন্দোলন তখনই সফল হতে পেরেছে; যখন তাদের মাঝে উলামায়ে কেরাম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বর্তমান যুগেও আমরা দেখছি যে, অসংখ্য উলামায়ে কেরাম এ কাজের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছেন। যাদের মধ্যে কতক শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেছেন আর কতক অপেক্ষায় আছেন। উদাহরণস্বরূপ: শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম রহ., শাইখ উমর আবদুর রহমান রহ., শাইখ আবদুর রশীদ গাজী রহ., শাইখ মোল্লা মুহাম্মাদ উমর রহ., শাইখ আবু ইয়াহইয়া আল-লিবি রহ., শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল-লিবি রহ., শাইখ আনওয়ার শুবান রহ., শাইখ আবু আনাস আশ-শামী রহ., শাইখ আনওয়ার আওলাকী রহ., শাইখ আবুল হাসান আল-বুলাইদি রহ., শাইখ হারিস আন-নাযযারী রহ., শাইখ ইবরাহীম আল-রুবাইশ রহ. প্রমুখ। বর্তমানে জীবিত শাইখদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হল: শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল-মাকদিসী হাফি., শাইখ আবু কাতাদাহ আল-ফিলিস্তিনী হাফি. প্রমুখ। আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা- তিনি তাদের সকলকে হেফাযত করুন, তাদের সুস্থতার সাথে আমাদেরকে তাদের থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন এবং আমাদেরকে ও তাদেরকে হকের উপর অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। (আল্লাহুম্মা আমীন)

উলামায়ে কেরামের জন্য জরুরী হল: বর্তমানের এই জিহাদের মুবারক রাস্তায় নেতৃত্ব দান করা এবং তাতে তাদের গুরত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার কথা তারা ভুলে না যান। পাশাপাশি সত্যানুসন্ধানী উলামায়ে কেরামকে বের হওয়ার ও নিজে স্বয়ং এই মুবারক জিহাদের সঙ্গ দানের এবং তাদের মুজাহিদ সন্তানদেরকে দিক-নির্দেশনা দান করার আহবান জানাচ্ছি। আল্লাহর কসম! তারা তাদের মুজাহিদ সন্তানদের থেকে এমন উপযুক্ত সম্মান, শ্রবণ ও আনুগত্যই পাবেন যা আল্লাহ তায়ালার পছন্দনীয়।

 

সাক্ষাৎকার সমাপ্ত হল। আলহামদুলিল্লাহ…

 

صلى الله على نبينا محمد و على اله و صحبه أجمعين.

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − eleven =

Back to top button