আরব বিশ্বনির্বাচিতসংবাদ

ইয়েমেনের কারাগারে সৌদি নেত্বত্বাধীন জোটের নির্যাতন পদ্ধতি: যন্ত্র ব্যবহার করে ধর্ষণ, ক্ষতস্থানে গরম গোলমরিচ ও লবণ দেওয়া এবং দেহের হাড় ভেঙ্গে ফেলা!

ইয়েমেনে সৌদি-আরব আমিরাত জোটের সাথে কারাগার এবং গোপন বন্দী সেন্টারে কাজ করা একজন সাবেক সামরিক অফিসিয়ালের তৈরি করা একটি গোপন রিপোর্ট হাতে পেয়েছে আলজাজিরা সংবাদমাধ্যম।

মিডলইস্টমনিটর -এর বরাতে জানা যায়, হিউম্যান রাইটস্ একটিভিস্ট  নামক সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বন্দী এবং আটক হওয়া ব্যক্তিদের বক্তব্যের সাথে প্রাপ্ত রিপোর্টের মিল রয়েছে। এছাড়াও, এমন তথ্য প্রকাশ করেছিল এসোসিয়েট প্রেস নামক একটি সংস্থাও!

আল-জাজিরা’র পাওয়া রিপোর্টটিতে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের নিয়ন্ত্রিত কারাগারগুলোতে কারাবন্দীদের উপর সৌদি জোটের লোমহর্ষক কিছু নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে। তাদের অত্যাচারের মাত্রা বন্দীদেরকে অত্যাচার করা ও তাদের অধিকার হরণ করা থেকে শুরু করে হত্যা করা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে! রিপোর্টটিতে আরো রয়েছে, গোপন কবরসমূহের নাম ও অবস্থানের তালিকা, নির্যাতনে হত্যা করা ব্যক্তি এবং হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা, সর্বোপরি বিভিন্ন ধরণের নির্যাতন ও জেরা করার বিস্তারিত বর্ণনা!

রিপোর্টটিতে বন্দীদের উপর চালানো শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারসমূহের একটি তালিকা রয়েছে। সেখানে উল্লেখিত নির্যাতনের কিছু প্রকার হলো- যন্ত্রপাতি বা লাঠি বা ভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে ধর্ষণ করা, বুকে, বগলে এবং পুরুষাঙ্গে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, লাঠি, রড, কেবল এবং দড়ি ব্যবহার করে মারধর করাসহ আরো অনেক ধরণের অমানষিক নির্যাতন! নির্যাতনের আরো কিছু প্রকারের মধ্যে রয়েছে- বন্দীকে ঝুলিয়ে রাখা, ক্ষতস্থানে গরম গোলমরিচ ও লবণ দেওয়া, ঘুমহীন রাখা, চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারা, শরীরে ঠাণ্ডা পানি ঢেলে দেওয়া, অপমান ও গালিগালাজ করা, দেহের হাড় ভেঙ্গে গুড়ো করা, নখ উপড়ে ফেলা, গলিত প্লাস্টিক ব্যবহার করে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ পুড়িয়ে ফেলা, পুরুষাঙ্গ নষ্ট করে ফেলা এবং সর্বশেষে নৃশংসভাবে হত্যা করে দেওয়া!

এই হলো ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের কারাগারে কারাবন্দীদের উপর চালানো নির্যাতনের কিছু প্রকার! কারাগারের বাস্তব অবস্থা যে আরো কত ভয়ংকর হতে পারে তা এই রিপোর্টের বর্ণনাতেই বুঝা যায়!

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + thirteen =

Back to top button