আমিনকে বলতে দাওপ্রবন্ধ-নিবন্ধ

এ সব কিছুর পর তারা আমাদের থেকে আশা করে আমরা যাতে তাদের দেশে আক্রমণ না করি!

 

মুজাহিদদের পশ্চিমে “সাধারণ নাগরিক” হত্যাকারী হিসেবে দেখা হয়…

এ প্রসঙ্গে ডঃ আইমান-আয -যাওয়াহিরির জবাবঃ

“শারিয়াহতে সৈনিক ও সাধারণ নাগরিকের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
বরং শরিয়াহ মানুষকে ২ ভাগে ভাগ করে- যোদ্ধা ও অযোদ্ধা। এবং যোদ্ধা হল তারা যারা সরাসরি যুদ্ধ করে কিংবা তাদের সম্পদ ও বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে যুদ্ধে সহায়তা করে।

এ মূলনীতির আলোকে পশ্চিমের জনগণ হল যোদ্ধা কেননা তারা তাদের নেতা ও পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের নিজ ইচ্ছায় ভোট দিয়ে নির্বাচন করে এবং এ নেতারাই আমাদের শিশুদের হত্যা করার, মুসলিমদের দেশ দখল ও তাঁদের সম্পদ লুন্ঠনের পলিসি তৈরি করে।

এ জনগণই তাদের সরকারকে ট্যাক্স দেয় যা দিয়ে এসব পলিসির বাস্তবায়ন হয়, এরাই তাদের সেনাবাহিনীতে সৈন্যের যোগান দেয় এবং মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা করে।

আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের শহরগুলোতে ৭ টনের বোমা নিক্ষেপ করে, কার্পেট বম্বিং করে ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যাবহার করে; এরপর তারা চায় আমরা হালকা অস্ত্র দিয়ে তাদের মোকাবেলা করি, এটা কখনই হতে পারে না!

আমাদের জন্য এটা ওয়াজিব যে আমরা আমাদের দ্বীন, শিশু এবং সম্পদ রক্ষার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

তারা যেভাবে আমাদের উপর বোমা ফেলে আমরাও একইভাবে তাদের উপর বোমা নিক্ষেপ করব, তারা যেভাবে আমাদের হত্যা করে আমরাও একইভাবে তাদের হত্যা করব।

আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল সত্যই বলেছেন। তিনি বলেনঃ

“সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে, তোমরা তাদের উপর সীমালঙ্ঘন কর যেমন সীমালঙ্ঘন তারা করেছে তোমাদের উপর।”সুরা বাকারা(১৯৪)

আর এটা সারা বিশ্ব জানে আমারিকান সেনাবাহিনীর কাছে বিপুল বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার পরও তারা সম্মুখ যুদ্ধে খুবই দুর্বল।

আর এদের যুদ্ধের কৌশল হল বোম্বিং করে সবকিছু ধ্বংস করা এবং সবাইকে হত্যা করে ফেলা এবং শত্রুপক্ষকে আত্মসমর্পণ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা।

আর এ সব কিছুর পর তারা আমাদের থেকে আশা করে আমরা যাতে তাদের দেশে আক্রমণ না করি!”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + sixteen =

Back to top button