ফাতাওয়া-ফারায়েজবই ও রিসালাহ

পিতা নিষেধ সত্বেও জিহাদে বের হওয়া কি হুকুম ? শায়খ আবু উসামা শামী

পিতা নিষেধ সত্বেও জিহাদে বের হওয়া কি হুকুম ?
শায়খ আবু উসামা শামী

প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম।

আমি যুবক। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে বের হতে চাই। এবং আমি বর্তমান সময়ে জিহাদ ফরয হওয়ার উপর বিশ্বাষ করি। আমি কুরআন, সহীহাইন (বুখারী ও মুসলিম ) ও অন্যান্য কিছু কিতাব মুখস্ত করেছি এরং ইলম শিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি পিতা মতার কাছে অনুমতি চেয়েছি অতপর মা অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বাবা বলছে: তার অনুমতি ছাড়া বের হলে দুনিয়া ও আখেরাতে কখনোই সে আমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না কেননা সে জিহাদকে ফরজে আইন মনে করে না। অথচ সে একজন বড় আলেম। সুতরাং আমার জন্য কি তার অনুমতি ছাড়া বের হয়ে তাকে অসন্তুষ্ট করা জায়েজ হবে ? আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

উত্তর: ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
প্রশ্নকারী ভাই আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
সংক্ষিপ্তভাবে আপনার প্রশ্নের জবাব হচ্ছে আমাদের সময়ে কাহারো জিহাদে বের হওয়ার জন্য পিতা-মাতার অনুমতি থাকা শর্ত নয় এবং তাদের জন্য জিহাদ থেকে বাধা দেয়াও জায়েজ নয় কেননা ইহা ফরজ। আর মুজাহিদদের জন্য যদি নির্দিষ্ট করে তার মত ভাইদের প্রয়োজন হয় ও তার আসার কারণে অনেক উপকার হয় তাহলে সন্তানের জন্য এই সমস্ত ক্ষেত্রে তাদের আনুগত্য না করাই আবশ্যক কেননা স্রষ্টা অবাধ্যতায় সৃষ্টির আনুগত্য জায়েজ নয়। যেমন আপনার মত ত্বালেবে ইলমরা ( কারণ জিহাদের ময়দানে একজন আলেমের অনেক প্রয়োজন ) … ইহা সবই মৈালিক মাসআলা হিসেবে, যদিও এখানে অনেক ব্যাক্ষ্যা রয়েছে যা অন্যান্য জবাব সমূহে বর্ণনা করা হয়েছে।
তোমার মত ইলম অন্বেষনকারী ও তাওহীদের দিকে আহ্বান কারীর জন্য আমরা পছন্দ করব এখন তাওহীদ ও জিহাদের প্রতি দাওয়াত ও ইহার ইলম অন্বেষনের পথেই ফিরে যাবে এবং তাতেই মগ্ন হবে। বিশেষ তাদেরকে করে যারা বুঝেছে যে, গভীর ইলমের সাথে তাওহীদ ও জিহাদের দিকে দাওয়াত দেয়া এবং ইহার পথে কষ্টের উপর ধৈর্য ধারণ করাও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর অন্তভূক্ত এবং যে এই পথে থেকে নিহত হবে সেও পূতপবিত্র শহীদ হিসেবেই গণ্য হবে। তখন এই কাজ তুমি যেখানেই থাক তোমার জন্য দ্বীনকে সাহায্য করার এক বিশাল দিগন্ত খুলে দিবে।
আর যদি তোমার জন্য এই পথে দ্বীনকে সাহায্য কার সহজ না হয় এবং তুমি বের হওয়া ও জিহাদের ভূমি সমূহের কোনটাতে শামীল হওয়াকে পচ্ছন্দ কর তাহলে তোমারকে প্রথমে পিতার সাথে নরম আচরণ করা ও তাকে গভীরভাবে জিহাদের ফরজিয়্যাত বুঝানোর পরামর্শ দিব। আর ইহা তাকে রাগান্বিত ও অসন্তুষ্টি কারার থেকে উত্তম হবে। এরপরও যদি অস্বিকার করে তবে তাই করবে যা পূর্বে বলেছি “স্রষ্টা অবাধ্যতায় সৃষ্টির আনুগত্য জায়েজ নয়”।
আল্লাহ তায়ালাই উত্তর সাহায্যকারী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + 14 =

Back to top button